কলকাতা টাউন হলের সমবেত দর্শকেরা দীর্ঘ একটা সময় চুপ করে থাকেন নিজ জায়গায়। এরপরে ধীরে ধীরে করতালি শুরু হয়, তালির শব্দ বাড়তেই থাকে- একসময় তা স্তিমিত হয়ে যায়।
জহির রায়হান পেছনের সারি থেকে চুপচাপ বেরিয়ে আসেন। প্রদর্শনীর পরের এই সময়টুকু তাঁর পছন্দ না। এখন প্রশংসাবাণী ছুটে আসবে, দর্শকেরা একে অপরের কাছে নিজের পছন্দ-অপছন্দ সবিস্তারে জানান দেবে। হট্টগোল। জহির রায়হান নীরবে থাকতে ভালোবাসেন। ক্যাপস্টানে টান দিয়ে জহির রায়হান আশেপাশের একটা নীরব জায়গা খুঁজে বের করেন।
একাকীত্বের স্থায়ীত্ব হয় মিনিট পনেরোর। লম্বাটে এলো জুলফি আর মোটা চশমার এক যুবক খুঁজে বের করে তাকে। ‘জহির ভাই, জানতাম আপনাকে এখানেই পাওয়া যাবে। আপনি তো আবার শো’ এর পরের সময়টা সহ্য করতে পারেন না!! ’
জহির রায়হান মৃদু হাসেন, কোন কথা বলেন না। আলমগীর কবিরকে তাঁর বড় পছন্দ।
- ‘ দর্শকেরা সিনেমাটা দেখে খুব আবেগতাড়িত হয়ে গেছে, জহির ভাই। মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ভারতীয় বন্ধুরাও ভালো সাড়া দিচ্ছে। ডিরেক্টর তপন সিনহা তো আপনাকে না দেখে যেতেই চাইলেন না প্রথমে, আমি পরে বুঝিয়ে-টুঝিয়ে...’
- ‘ আরেকটা ডকুমেন্টারি বানানোর কথা ভাবছি, বুঝলা কবির।’ জহির রায়হান হঠাৎ বলেন। ‘ হানাদারদের গণহত্যাটাকে আরেকটু বেশি করে ফোকাস করবো সেটায়। সেইটার নাম ঠিক করলাম এতক্ষণ। ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’। সমিতির সাথে প্রাথমিক আলোচনা করা হয়ে গেছে। কাজে নামতে হবে তাড়াতাড়ি।’
আলমগীর কবির একটু ইতস্ততঃ করে পরের কথাটা বলেন। ‘ও।... তাহলে, পরেরটার সব রেডি করে ফেলেছেন জহির ভাই ??’
জহির রায়হান আবার অল্প হাসেন। ‘ সব রেডি।’
পরমুহুর্তেই আবার তিনি গম্ভীর হয়ে যান। ‘ দেশের জন্যে খারাপ লাগে, বুঝলা। বড়দা, পান্না ভাবী, আম্মা, সুচন্দা- ওদের অনেক দিন দেখি না। এফডিসি যাই না কতদিন। সবকিছুর জন্যেই খারাপ লাগে। বিশেষ করে বড়দার জন্যে খুব বেশি পেট পুড়ে।... তোমার এমন লাগে না ??’
শ্যামলীর বাসার কথা মনে করে আলমগীর কবিরেরও একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ে। তবে তিনি তা সযতনে গোপন করে বলেন- ‘ বেশি মন খারাপ করবেন না জহির ভাই। সামনে অনেক কাজ। ... এই তো, দেখবেন- খুব তাড়াতাড়িই দেশ স্বাধীন হবে। তখন স্বাধীন দেশে ফিরে গিয়ে আমরা আবার সবাইকে দেখতে পারবো। দেখবেন, দেখা হবে। খুব তাড়াতাড়িই হবে।... ’
সেই মুহুর্তে আলমগীর কবির ভুলে যান যে ১৯৭১’ সব কিছু মিথ্যা করে দেয়। যা হওয়ার- তা হয় না। যা ঘটবার- তা ঘটে না।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী জহির রায়হানের প্রাণপ্রিয় বড়দা, শহীদুল্লা কায়সারকে অপহরণ করে নিয়ে গেলো।
২.
শাহরিয়ার কবির একদৃষ্টিতে তার চাচাতো ভাই জহিরের দিকে চেয়ে রইলেন।
জহির দেশে ফিরেছে ১৮ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই তার বড়দা শহীদুল্লা কায়সারের অপহরণের খবর পেয়ে একদম ভেঙ্গে পড়েছে। তার দুই চাচাতো ভাই একে অপরকে খুব তীব্রভাবেই ভালোবাসতো, শাহরিয়ার কবির জানেন।
জহির ভাইকে খুব ব্যস্ত দেখাচ্ছে। ছাই রঙ প্যান্ট, সাদা শার্টের সাথে হালকা হলুদ কার্ডিগানে ফর্সা জহিরকে খুব মানিয়েছে। জহিরের যেন শাহরিয়ার কবিরের দিকে তাকাবার অবসর নেই। দ্রুত হাতে ঘড়ি পড়ে নিতে নিতে সে বললো, ‘ এসে পড়েছো ?? গুড। আমরা এক্ষুনি বেরিয়ে পড়বো। ...ভোরে টেলিফোন এসেছে একটা। দাদাকে নাকি বিহারীরা মীরপুরে আটকে রেখেছে। আমায় যেতে বললো।’
শাহরিয়ার কবির ভাবতে লাগলেন ফোন করে এমন খবর কে দিতে পারে। রফিক ?? রফিক নামের ভণ্ডটা নয় তো ?? জহির ভাইয়ের ব্যস্ততা দেখে তো তাই মনে হচ্ছে।
শাহরিয়ার কবির একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। গত একমাসে জহির ভাইয়ের মাঝে অস্বাভাবিক পরিবর্তন এসেছে। পীর-ফকির জাতীয় বুজরুকিতে একদম বিশ্বাস ছিলো না ওনার। এখন দাদার অভাবেই সে অতিন্দ্রীয়বাদী হয়ে উঠেছে পুরোমাত্রায়। ভাগ্যে বিশ্বাস করছেন। আজমীর শরীফও ঘুরে এসেছে এরমাঝে। হাত দেখে ভবিষ্যত বলা গুরুও বাগিয়েছে একটা। তার নাম রফিক। সে-ই জহির ভাইকে আশ্বাস দিয়েছে, বড়দা এখনো বেঁচে আছে। লোকটার সাথে একবারই দেখা হয়েছে শাহরিয়ার কবিরের। জহির ভাইকে সরাসরি বলেছিলেন তিনি, লোকটাকে তার প্রতারক বলে মনে হয়েছে।
সেদিন সশব্দে তার গালে চড় মেরেছিলেন জহির ভাই। বলেছিলেন, ‘ যা বোঝো না, তা নিয়ে কথা বলো না। ’ চমকে গিয়েছিলেন সেদিন শাহরিয়ার, জহির ভাইয়ের উপর লোকটার প্রভাব দেখে।
‘রেডি ??’ জহির রায়হানের প্রশ্নে ভাবনা থামে শাহরিয়ার কবিরের। পায়ে স্যান্ডেল গলিয়ে প্রস্তুত জহির রায়হান। ড্রয়িংরুমের একপ্রান্তে বসে থাকা জাকারিয়া হাবিব, পান্না কায়সারের ভাই আর সুচন্দার ভাই- এই তিনজনের উদ্দেশ্যে বললেন তিনি। ‘ চলো, বের হই। দুটো গাড়ি আছে। জায়গার সমস্যা হবে না।... আরে, সময় নিয়ে ভেবো না। কায়েতটুলী থেকে মীরপুর ১২ যেতে কতক্ষণই বা আর লাগবে।’
নীচে নেমে গাড়িতে উঠবার সময় শাহরিয়ার কবির শুনতে পেলেন জহির ভাইয়ের কণ্ঠ। পান্না ভাবীকে বলছেন, ‘ ভাবী, দাদাকে না নিয়ে আজ কিন্তু আর ফিরবো না।’
দুটো গাড়ি একত্রে স্টার্ট দিলো। গন্তব্য মীরপুর ১২।
শাহরিয়ার কবির ঘড়ি দেখলেন। ৩০ শে জানুয়ারি, ১৯৭২। সকাল ১০টা বেজে ২৭ মিনিট।
বাইরে নিস্তেজ রোদ। একটি সদ্যস্বাধীন অগোছালো দেশ। শাহরিয়ার কবিরের হঠাৎ মনে হয়- ঢাকার বাতাসে কীসের যেন ফিসফিসানি, কীসের যেন অমঙ্গলের বার্তা।
৩.
ল্যান্স নায়েক আমির হোসেনের কাছে বিষয়টা ভালো ঠেকছে না, একদম না। গত চারদিন ধরে এরকম উত্তেজনার মাঝে থাকায় স্নায়ূ কেমন উত্তপ্ত হয়ে আছে আমির হোসেনের। অবচেতন মন থেকে থেকে সতর্ক করে দিচ্ছে তাকে, আজ কিছু একটা ঘটবেই।
আমির হোসেন দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ডি কোম্পানি, ১২ নং প্লাটুনের ল্যান্স নায়েক। গত ২৭শে জানুয়ারি থেকে উপরের নির্দেশে এই মীরপুর এলাকায় অবাঙ্গালি বিহারীদের কাছে জমা থাকা অস্ত্র উদ্ধারে পাঠানো হয়েছে তার প্লাটুনকে।
ঝামেলাটা লাগলো গতকাল, ২৯শে জানুয়ারির বিকেলে। প্লাটুন কমান্ডার সুবেদার মমিন সহ আমির হোসেন এবং আরো চার সৈনিক গিয়েছিলো মীরপুর ১২ নম্বর সেকশন রেকি করতে। হঠাৎ করেই এলাকার পানির ট্যাঙ্কির পশ্চিমপ্রান্ত হতে ৬০/৭০ জন বিহারী তাদের পিকআপ ভ্যানটি ঘেরাও করে ফেলে। তাদের দাবি ছিলো, তাদের খাবার ও পানি সরবরাহ করতে হবে- নয়তো তারা এই পিকআপ আটকে রাখবে। সুবেদার মমিন ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি বুঝে তাদের শান্ত করলে তারা পিকআপটা ছেড়ে দেয়। স্থায়ী ঘাঁটি মীরপুর ১এর টেকনিকাল স্কুলে ফিরে আসতে তাদের এরপর কোন ঝামেলা হয়নি।
আজ সকাল হতেই প্রস্তুত হয়ে ওঠে ডি কোম্পানি। পরিস্থিতি যে গুরুতর, তা অনুধাবন করতে দেরী হয় না আমির হোসেনের। বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব মইনুল হোসেন চৌধুরী সশরীরে এসে নির্দেশ দিয়ে গেছেন কোম্পানি কমাণ্ডার ক্যাপ্টেন হেলাল মোরশেদকে। হেলাল মোরশেদ দেরী না করে চলে গেছেন ১২ নং সেকশনে। অতএব, সময় নষ্ট না করে আমির হোসেনের প্লাটুনও যাত্রা করে সেই দিকে- সঙ্গী থাকে পেছনে পুলিশের গাড়ি।
সকল গাড়ি এসে থামে ১২ নং সেকশনের পানির ট্যাঙ্কির আশেপাশে। ক্যাপটেন হেলালের নির্দেশে ১২ নং প্লাটুনের সদস্যদের আশেপাশের নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কেবল সিপাহী আকরাম আর আমির হোসেনের জায়গা স্থির করা হয়েছে এই পানির ট্যাঙ্কির কাছে।
ল্যান্স নায়েক আমির হোসেন সশব্দে থুতু ফেলে আশেপাশে তাকান। জায়গাটা নিচু, অনেক জলাশয় চারপাশের ফাঁকা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমির হোসেন আর আকরামের দায়িত্ব হলো আশেপাশের কোন মহল্লায় যেন অস্ত্র পাচার হতে না পারে- সেদিকে নজর রাখা। হঠাৎ করেই যেন, আমির হোসেনের দ্বিতীয় দায়িত্বটার কথাও মনে পড়ে যায়।
আসবার পথে কথাটা বলেছিলেন সুবেদার মমিন। ‘ আমির হোসেন, একটু নজর রাইখো তো পিছের দিকে। পিছের গাড়িতে একটা মেজর আছে- সাংবাদিকও ভি আছে একটা। ’
- ‘সাংবাদিক, স্যার ??’ আমির হোসেন নিশ্চিত হতে চেয়েছিলো। ‘ মানে, এই এলাকায় সিভিলিয়ানদের ঢুঁকা নিষেধ না স্যার ??’
- ‘আমিও তো হেইডাই জানতাম, মাগার’ সুবেদার মমিন বলেন। ‘ এই সাংবাদিক ভিয়াইপি। লগে আরো লোক আছিলো। ক্যাপটেনে হেগোরে অনুমতি দেয় নাইক্যা। ক্যাবল এই মানুষটারে আইবার দিছে।’
আমির হোসেন অদূরে হালকা-পাতলা গড়নের সাংবাদিকটিকে দেখতে পান, তার চারপাশে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যকেও দেখা যাচ্ছে। আমির হোসেনের কেমন যেন বোধ হয়। কিছু ঘটবেই আজ, নিশ্চিত। ঘটবেই।
এবং তা ঘটে।
বেলা ১১টা নাগাদ হঠাৎ করেই যেন কোথাও পাগলাঘন্টি বেজে উঠলো। আমির হোসেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বুঝতে পারলো দক্ষিণ দিক থেকে একাধিক গুলির শব্দ ভেসে আসছে। প্রবৃত্তির তাগিদেই লাফ দিয়ে আমির হোসেন আশ্রয় নিলো পাশ্ববর্তী ইটের স্তূপের আড়ালে। সতর্ক ছিলো সে, কিন্তু তাই বলে এরকম গোলাগুলির মাঝে পড়তে হবে- সেটা সে ভাবেনি।
সাবধানে মাথা উঁচিয়ে বামপাশে লক্ষ্য করা মাত্রই আমির হোসেনের পেটের ভেতর পাক দিয়ে ওঠে। খানিক আগেও বেঁচে ছিলো যে পুলিশেরা, অতর্কিত গুলি হামলায় তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে মৃত। এবং এই দলে সাংবাদিকটিও আছেন। তাঁর কার্ডিগানের একাংশ ভিজে গেছে রক্তে।
মাথায় রক্ত উঠে যায় ল্যান্স নায়েক আমির হোসেনের। প্রচণ্ড এক অজানা ক্রোধে পাশের খেজুর গাছটার আড়ালে লাফ দিয়ে চলে যায় সে। হাতের এলএমজি’টা দক্ষিণ মুখে তাক করতেই আবারো আসে আক্রমণ।
এবার উত্তর দিক হতে। শ’খানেক বিহারী হাতে দা- ছুরি হাতে উর্দুতে হুঙ্কার দিতে দিতে ছুটে আসতে থাকে তাদের দিকে। প্রচণ্ড আক্রোশে মাটিতে পড়ে থাকা মৃতদেহগুলোকেই দা দিয়ে কোপ দিতে থাকে তারা, মৃতদেহগুলোকে টেনে নিতে থাকে পানির ট্যাঙ্কির দিকে। একটা ছোট্ট দল দেখা যায় তার দিকে ছুটে আসতে।
উপায়ান্তর না দিকে হাতের এলএমজি তুলে একপশলা ব্রাশ করে দিলো আমির হোসেন। ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়া আক্রমণকারীরা হতভম্ব অবস্থা কাটাবার আগেই ল্যান্স নায়েক ঝাঁপ দিলো পাশের কাদাপানির জলাশয়ে। ঝাঁপ দেবার আগে সর্বশেষ যে দৃশ্য আমির হোসেনের চোখে পড়লো, তা ছিলো ছাই রঙ প্যান্ট- সাদা শার্টের-হালকা হলুদ কার্ডিগানের সাংবাদিকের দেহ বিহারীরা টেনে নিয়ে যাচ্ছে পানির ট্যাঙ্কির দিকে।
৪.
অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরে মৃদু শব্দে চলমান প্রজেক্টর। পর্দায় ছবি চলছে। প্রজেকশন রুমের তিনজন দর্শকের মাঝে একজনের চোখ নিবিষ্টভাবে পর্দায় নিবদ্ধ। অপর দুইজন অপেক্ষা করছেন।
অপেক্ষার পালা ফুরিয়ে ছবি শেষ হয়ে যায়। একজন উঠে আলো জ্বেলে দেন ঘরের। মনোযোগী দর্শক ভুরু কুঁচকে তখনো পর্দার দিকে তাকিয়ে আছেন, সেখানে কোন ছবি চলমান নয়।
- ‘ তোমরা বলছো, ’ দীর্ঘদেহী দর্শকটি বলেন। ‘ কোন কিছু কাগজে লেখা নেই ?? পরিচালকের মাথাতেই ছিলো পুরোটা ??’
- ‘ হ্যাঁ, স্যার।’ সিনেমাটোগ্রাফার আফজাল চৌধুরী বলেন। ‘ জহির ছেলেটা ছবি তৈরীর কাজে নামার আগেই পুরো ছবিটা মাথায় তৈরী করে নিতো। কাগজে স্যার তেমন কিছুই লেখা থাকতো না। পকেটে ছয় আনা পয়সা নিয়ে যে ছেলে একটা রঙ্গিন সিনেমা বানিয়ে ফেলতে পারে, তার পক্ষে এটা খুবই সম্ভব।’
- ‘ কী যেন নাম বললে ছবিটার... ‘লেট দেয়ার বি লাইট’, তাই না ??’ পরিচিত এক ভঙ্গীতে থুতনিতে হাত দিয়ে দর্শক ভদ্রলোক বলেন। ‘যদ্দুর মনে পড়ে, কয়েক বছর আগে তোমাদের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালেই তো ছবিটার ঘোষণা এসেছিলো। তাই তো, নাকি ??’
- ‘হ্যাঁ স্যার, নির্দিষ্ট করে বললে ৭০’ সালের অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে।’ ঘরের তৃতীয় ব্যক্তি, মোটা চশমার আলমগীর কবির বলেন। ‘ যেটুকু দেখলেন স্যার, ওইটুকুই কাজ শেষ করা হয়েছিলো ছবির। এরপর তো স্যার যুদ্ধই শুরু হয়ে গেলো। ছবির নায়ক যাকে দেখলেন, ওমর চিশ্তি- ছেলেটা পাকিস্তানের। নায়িকা ছিলো আমাদের ববিতা। যুদ্ধের মাঝে এই ছবির কাজ জহির ভাই এগিয়ে নিতে চান নি। এরপরে তো কি হলো, আপনি জানেনই...
খুব ইচ্ছে স্যার, এখন যদি এই ছবিটা কোনক্রমে শেষ করা যায়। জহির ভাইয়ের শেষ ছবি, বোঝেনই তো...’
-‘ সমস্যা হচ্ছে, এই ফুটেজগুলো দেখে আমি আসলে কোনক্রমেই আঁচ করতে পারছি না পরিচালকের উদ্দেশ্য কী ছিলো। কাগজে যদি টুকটাক কোন নোটও লেখা থাকতো, তাহলে হয়তো চেষ্টা করা যেতো।’ দর্শক ভদ্রলোকের কণ্ঠ একটু হয়তো হতাশ শোনায়।
-‘ কিন্তু স্যার আপনাকে যে পারতেই হবে !! ’ আলমগীর কবিরের স্বরে তীব্র আকুতি থাকে। ‘আপনি যদি না পারেন, তাহলে...’
দর্শক ভদ্রলোক উঠে দাঁড়ান। ঘরের মৃদু আলোতে এই প্রথম বোঝা যায়, তিনি সাধারণ কেউ নন। তাঁর ব্যক্তিত্বের সামনে চারপাশের সমস্ত কিছুকে হঠাৎ ম্লান মনে হয়। তাঁর ঋজু, দীর্ঘদেহী শরীরের দিকে তাকিয়ে আলমগীর কবিরের মনে পড়ে যায় এই লোকটি সম্পর্কে আকিরা কুরোসাওয়া কী বলেছিলেন- ‘সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা যে দেখেনি, সে লোক পৃথিবীতে বাস করেও চাঁদ আর সূর্য দেখেনি।’
সেই কিংবদন্তীর সত্যজিৎ রায় মন্থর হেঁটে ঘরের দেয়ালে ঝোলানো ফটোগ্রাফটির কাছে যান। ছবিতে জহির রায়হান হাসছেন। ছবির নীচে লেখা- “ জহির রায়হান। জন্মঃ ১৯ আগস্ট, ১৯৩৫। মৃত্যুঃ _ _ _”
সত্যজিৎ বলেন, ‘ সত্যি বলতে কী, এরকম অভিজ্ঞতা আমার আগে হয় নি। ভেবেছিলাম তোমাদের সাহায্য করতে পারবো। কিন্তু পারছি না। ছেলেটার মাথার ভেতরে যে কী চিন্তাটা ছিলো এই ছবি বানানোর পেছনে, সেটা আমি এই ফুটেজ দেখে ধরতে পারিনি। সাধারণ কোন পরিচালক তো এইভাবে ডকুমেন্টেশন না রেখে ছবি বানানোর কথা কল্পনাও করবে না।’
জানালার দিকে তাকিয়ে সত্যজিৎ রায় একটু যেন আনমনা হয়ে পড়েন। ‘ অবশ্য, জহির রায়হান সাধারণ কেউ ছিলো না।...’
তথ্যসূত্রঃ
১। মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র- খন্দকার মাহমুদুল হাসান
২। এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য- মইনুল হোসেন চৌধুরী(অবঃ)
৩। অমি রহমান পিয়ালের 'ডেথ অফ আ জিনিয়াস' পোস্ট সূত্রে প্রাপ্ত দুইটি পেপার কাটিং
মন্তব্য
ভালো লাগলো, আসলেই আমরা যেই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারিয়েছি সেই ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবারনা, তারা বেছে থাকলে আজ হয়তো দেশটা অন্যরকম হতো....
>>>তারা বেছে থাকলে আজ হয়তো দেশটা অন্যরকম হতো
বুদ্ধিজীবী রা বেচে থাকলে দেশটা অন্যরকম হত বা আমাদের এক মাহাথির দরকার, এই attitude বের হয়ে আসতে হবে আমাদের | চাইলে আমরাই পারব পরিবর্তন করতে |
অসাধারণ সুহান।
অসাধারণ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
একহারা গড়নের এই লোকটাকে আমাদের দরকার ছিল, বড্ড দরকার ছিল...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমাদের অন্যের দরকার নেই, আমাদের দরকার নিজেদের শুধরানোর
কি হলে কি হতে পারত এই চিন্তা যতদিন করব তত দিন আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে না | আমাদের ভাগ্য আমাদের কেই গড়ে নিতে হবে | যারা পরপারে চলে গিয়েছেন তারা কারো জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরাই দায়িত্ব নিয়েছিলেন | এই শিক্ষা তাই আমাদের দরকার | নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করা |
যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী তাদের ধর্ম গ্রন্থেই আছে "যে জাতি নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে না আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করে না" | কোর'আন বা হাদিস এর বাণী, বিটিভি তে দেখাত |
লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। স্বাধীন দেশেই আমরা জহির রায়হানের মতো অমূল্য সম্পদকে হারিয়েছি, এ কথা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে! আমরা কি দুর্ভাগা! তা না হলে, আমাদের সিনেমার আজ এই দশা হয়?
বাহ, চমৎকার লাগলো।
এইটা সেই পানির ট্যাঙ্কি !
আরো ছবি এইখানে।
লেখাটা ভালো হয়েছে সুহান !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ রণ'দা। এই ছবিটি লেখাটির জন্যে খুবই দরকারী ছিলো।
আপনার দুই মেগাপিক্সেলে ইতিহাসের সাক্ষীগুলো আরো বেশি করে ধরা দিক নতুন প্রজন্মের কাছে, এই আশা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অসাধারণ।
অলস সময়
সুহান, এর পরেরবার আজিজে গেলে কোন বইটা চাও তুমি খালি বলবা...
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
আর খাওয়াদাওয়া আমার থেকে....
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
তন্ময়দা ইজ রাইট! একটা লিস্ট করো সুহান।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইমো কম পইড়ে গ্যাসে.... অসাধারন!!!
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভাই, শেষ করে দিলেন...আরো তো আছে...দিতে হবে...চমৎকার লাগছে...আরো চাই
অসাধারণ! অনেক কৃতজ্ঞতা এই লেখার জন্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অসাধারণ লিখেছো সুহান...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জহির রায়হানের ভক্ত ও অনুরাগী ছিলেন আলমগীর কবির এবং আলমগীর কবিরের শিষ্য ছিলেন তারেক মাসুদ। তিন জনই বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের তিন সময়ের নক্ষত্রতুল্য প্রতিভা ছিলেন। দুর্ভাগ্য এই জাতির এরা সবাই কর্মচঞ্চল থাকতেই অপঘাতে অস্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন।
অনেক অজানা কথা জানলাম। প্রশংসা ও ধন্যবাদ।
আবার পড়তে হবে- এক নিঃশবাসে পড়ে শেষ করেও এটাই মনে হল।।।।।।
লেখায়
লেখক ও জহির রায়হান উভয়ের প্রতি
এ হাসনাত
জোস সুহান! জোস!!
সুহান, আমাদের জাতির এই লজ্জার কথা তোমার লেখাটার কারণে কোনদিন ও আর ভুলতে পারবো না। ধিক্কার তোমাকে....
এই লেখা পড়ে কী মন্তব্য করা যায় বুঝতে পারছি না। অভিভূত, এতোটুকুই জানায় গেলাম।
সুহান ভাই, অসাধারণ , সত্যি অসাধারণ!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ লিখসো মিয়া! ভাল্লাগসে!
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খুব খুব ভালো।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
উফফ্! অসামান্য!!
আজ আমি যে শংসাবচনই দেই না কেন---সবকিছুই কম শোনাবে এমন একটা লেখার কাছে!
তা সেই চেষ্টায় না গিয়ে একটা কুর্ণিশ জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি
জয় হোক!
জটিল হয়েছে সুহান
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অসাধারন!!!
মনে হচ্ছিল সুনীল পড়ছি। অসাধারণ সুহান। তুমি অনেক বড় মাপের একজন লেখক হও সেই কামনা করি।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই শূন্যস্থানগুলো একদিন তোমরাই পূরণ করবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
চমৎকার।
মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম, সুহান! সীমাহীন মুগ্ধতা!
ভাই আপনারে আমি কোনদিন দেখি নাই, আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড ও জানি না, তবে আজ থেকে জানলাম আপনি আমার ভাই... জহির রায়হানের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর ভালবাসা আকাশ ছোঁয়া, আপনি ও সেই একই রকম অনুভূতি আর আর ভালোবাসা নিয়ে জহির রায়হানকে ধারণ করেছেন, তাই আর কিছু লাগে না ভাই হবার জন্য।
আর একটা কথা আপনার এই লেখাটা কিছু মডিফিকেশনের পর ইস্কুলের বইতে যুক্ত হবার মত।
গ্রেট
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মেসিমার্কা লেখা হৈছে
তীব্র আবেগ নাড়া দিয়ে গেল।
সুমন_সাস্ট
চমতকার
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ওঁনাদের ইতিহাস আসলে আমাদের শক্তিমান করে!!! শক্তিগুলোর ঐক্য হলেই পরিবর্তন সম্ভব, অচলায়তন-আঁধার দূর হয়ে যাবে!!!!
চমৎকার লিখেছো।
_____________________
Give Her Freedom!
অর্ফিয়াস, সুরঞ্জনা'পু, অদ্রোহ, চরম উদাস, কাজি মামুন, পলাশ, ওডিনদা, সিমন ভাই, গেরিলা, সজল ভাই, তাসনীম ভাই, দেরসু উজালা, দিগন্ত বাহার, পাঠক(স্যাম), ওসিরিস, এ হাসনাত, মুর্শেদ ভাই, সেতু, রু, আব্দুর রহমান, মিলু, ফাহিম ভাই, খেকশিয়ালদা, অনিকেতদা, ঢাকাইয়া যাদুকর, ত্রিমাত্রিক কবি, তেজস্বিনী বিডি, জাহিদ ভাই, স্পর্শ ভাই, নৈষাদদা, যুধিষ্ঠিরদা, শ্রীকৃষ্ণ, স্বাধীন ভাই, আলবাব ভাই, তিথীডোর, সাফি ভাই, নীল_ অণুকাব্য, সুমন_সাস্ট, আশফাক, মৃত্যুময় ঈষৎ-
সকলে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন পড়বার জন্যে, মন্তব্যের জন্যে, উৎসাহের জন্যে। আপনাদের মন্তব্যগুলো সাহস যোগাবে অনেক।
[সকলকেই আলাদা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপণ করা কর্তব্য ছিলো, শ্লথ নেটের গতির কারণে সেটা করা আপাত দুঃসাধ্য বোধ হচ্ছে। সে জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি। ]
খুবই চমৎকার একটি লেখা, সুহান... অনেক ভাল লাগলো।
সুহান লেইটে আইলাম ... ভাল্লাগছে
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লেখাটা খুবই সুন্দর হৈছে। বিশেষ কৈরা বিহারি ক্যাম্প আর অসমাপ্ত মুভির দৃশ্যকল্প যেন সত্যিই দেখতে পাইছি।
-অন্যকেউ
আসাধারণ সুহান ভাই,
পড়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনেই পুরো ব্যাপারটা ঘটছে।
নির্ঝরা শ্রাবণ
ভালো লেখা।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম। পাকা হাত, পাকা মগজ। অনেক বড় লেখক লিখেছেন মনে হচ্ছিল। শুভাসিস।
গল্পটা অসাধারণ....
জহির রায়হানকে নিয়ে অনেক লেখা পড়া হলেও এরকম গোছানো প্রানবন্ত লেখা বোধহয় আর একটাও পড়িনি। একাত্তর নিয়ে আমাদের যে আবেগ সেটাকে খুব জোরে নাড়া দিতে পেরেছে লেখাটি। অনেক অনেক সাধুবাদ সুহান!!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অদ্ভুত ! অসাধারন লেগেছে,
কিন্তু আমাদের প্রতিভাবান রা কেন স্ব্ল্প জীবন পায়?
তোমার ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং চলছে না? অবশ্য এমন সব চাপের সময় মাথা ভালো খোলে।
অনেক অনেক দিন পর তোমার কাছ থেকে একটা তোমার মানের গল্প পাওয়া গেলো। কিপ ইট আপ ম্যান! গল্প সবাই লিখতে পারে না। তুমি অন্য কিছুতে আর মনোযোগ দিও না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং আর চাপ কিন্তু বিপরীত শব্দ
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ পাণ্ডবদা, মন্তব্যের জন্যেও।
নিত্যানন্দ রায়, নাদির জুনাইদ ভাই, অনিন্দ্য'দা, অন্য কেউ, নির্ঝরা শ্রাবণ, আশরাফ মাহমুদ, আশফাক, হাসান মাহমুদ টিপু, শামস্ বিশ্বাস, নীড় সন্ধানী ভাই, শাব্দিক-
পড়বার এবং কষ্ট করে মন্তব্য করবার জন্যে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যে দেশে গুনের কদর হয়না সেই দেশে নাকি গুনীর জন্ম হয়না ...... আমার এই সোনার দেশ যুগে যুগে সোনা ফলিয়েছে এদেশের সন্তানের দিকে আজো পৃথীবি অবাক বিস্ময়ে অপলোক তাকিয়ে রয়... তবে কেন আজ আমাদের দেশের এই অবস্থা,কেন তার সোনার ছেলেরা এগিয়ে আসে না...... তবে কি আমার দেশ আজ অনুর্বর হয়ে গেছে ... আমাদের মায়েরা কি তাদের সন্তানকে স্তন্য দান করে বড় করে না তবে কেন তারা মায়ের ডাকে সারা দেয় না ... কেন মায়ের ঋণ শোধ করতে এগোয় না......
গল্প উপন্যাস লেখা সবার কাজ না। তবে আপনারে আল্লাহ বিশেষভাবে এই গুন দিয়া দিছে ভাই, আগায়ে যান, পিছনে থাকি বা না থাকি ব্যাপার না।
..............................অধম
[আমার মন্তব্য কই গেলো বুঝতেছি না! ]
যাই হোক, আমার মন্তব্য মাইরা দিছে তানভীর ভাই। তুমি এখনই বড় লেখক। তোমাকে আর বড়ো হইতে বলার কিছু নাই।
টুটুল ভাইয়ের ঘাড়ে চাপার ব্যপারটা ভাবছ না কেন? সময় কিন্তু দুষ্প্রাপ্য জিনিস!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মডুর মন্তব্য যদি মডারেশন পার না হয়, তাহলে ক্যাম্নে কী
ধন্যবাদ অনার্যদা।
সবাই এত্ত প্রশংসা করেছে ... বুঝতেই পারছেন কেমন লিখেছেন । অসাধারন লেখনির জন্য ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
ঐ বিহারীদেরকে ও নিশ্চয় আমরা নাগরিকত্ব প্রদান করেছি।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
সুমন_তুরহান, পাঠক, অধম ও রিডার-
পড়বার ও কষ্ট করে মন্তব্য করবার জন্যে আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
খুব খুব খুব ভাল্লাগছে, সুহান।
অদ্ভুত ভাল একটা গল্প।
যারা পারতো আমাদের এই দেশটাকে পৃথিবীর কাছে অনন্য সাধারণ ভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে তাদের সবাইকে আমরা হারিয়েছি আমাদের অবহেলায়। সত্যি এই লজ্জা রাখার জায়গা নাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুহান ভাই এতো চমৎকার করে লেখার জন্য।
-মেঘা
চমৎকার লিখেছেন। শুধু সেই দুই ভাইকে যদি আমরা না হারাতাম।
facebook
উফফ...গাঁয়ে কাঁটা দিচ্ছে, আরও জানতে চাই।
এই লেখা পড়ার পর ধনবাদ জানানো কর্তব্য ছিল।
অসাধারণ।
আমরা যেন এক জহির রায়হানদের জন্য চিরকাল হা হুতাশ না করে তাঁদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে শত শত জহির রায়হানের জন্ম দিতে পারি, সেই প্রত্যাশাই রইলো।
এই ব্যাপারে পুরাই আঁধারে ছিলাম,সুহান তোরে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।ভালো লিখসোস.....আরো লিখতে থাক,দীর্ঘজীবি হ বাবা
এক কথায় অনন্যসাধারণ... সত্যিই আমাদের দেশ তার বুকে কতটা মেধাবী আর দেশপ্রেমিক সন্তানের জন্ম দিয়েছে, ভাবলেই এখন চোখ ফেঁটে জল আসে। দারুণ লিখেছেন।
অসাধারণ, অসাধারণ ,আর কিছু বলার নাই সুহান ভাই।
__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---
শুভ জন্মদিন জহির রায়হান !!! সচলের আজকের ব্যানারটা আপনাকে নিয়ে দেখলে খুব ভাল্লাগতো।
নতুন মন্তব্য করুন