হ্যাপি বার্থডে সবুজ পাতা
১
চোখ থেকে ঝরছিল শিশির…..
মাতৃ জরায়ু হতে নামহীন সবুজ পাতা ।
প্রথমে আমরাই তাদের ডাকলাম
কাউকে কেনারাম
কাউকে খেলারাম
কাউকে ভোলারাম বলে
সেই থেকে কেনারাম করে যাচ্ছে লুট
না মেটা সমস্ত তেষ্টা মাথা ভর্তি স্বপ্ন করে ফিকে
খেলারাম খেলে যাচ্ছে দেহ সত্যি কানামাছি খেলা
দুহাতে লাটিম ঘোরে দুটো পলকা মেয়ে
ভোলারাম ভুলে যাচ্ছে সব
সদ্য চুষে খাওয়া প্রিয়তী স্তনের আধভেজা বোটা ।
২
অনেক তেষ্টার কৌটায় পাতার জন্ম
অনেক নরক থেকে ভেসে এসেছে
পাতা নয় দুটো চোখ
স্বপ্ন ধরার জন্য ফুটন্ত সূর্য ছুয়েছে
তার বুকে রক্ত ছায়া
ঠোটে লাজ রঙ
দু-হাতে জড়ায় পাতায়
প্রেমী নয়
যোনীখোর
নৈশব্দ্য বেড়াল ।
৩
পাতাদের মৃত্যু ভয় নেই ?
পাতারা মরে না ?
পাতারা করে শুধু জন্ম বদল
অগ্নি থেকে উঠে ডোবে সাগর শিখরে
পাতাদের জ্যোতিষ্মান আয়ু
নক্ষত্রের নুড়ি দিয়ে বোনা
সকলে ঘুমিয়ে যায় পাতারা ঘুমায় না ।
৪
অভিশংসক রাত নৈঃশব্দ্যে বলে যায়
মায়াবী ভ্রুণের কথা
সময়ের মোহর ছুয়ে পাতাদের শপথ
গোলাপী আপেলে আর দাঁত রাখব না ।
ঘুমিয়ে পড়লে তবু তিনটি খাকি দাড় কাক
নিয়ে শৈল প্রস্তরিত জ্বর পোড়া চোখের মালা,
পাতারা এগিয়ে আসে কামকূট পাখিদের সন্ধ্যায়
আদরে সোহাগে খোলে ছিপি আটা গোলাপের কৌটো
তবু কেন? স্বপ্ন জরায়ু ফুলে ওঠার আগেই
বেদনায় নীল
জ্বলন্ত হাউই রাশি
উড়ুক্কু প্রেমিক পাতা ।
৫
পাতাদের জীবন নিয়ে ক’পৃষ্টা লিখবে তুমি
সাত সাতটি ছিপি আটা সমুদ্র কালি এনে নাও
মরুকে কাগজ করে লিখে যাও তুমি
মাথা ভর্তি নগ্ন স্মৃতি ফুসে উঠতে পারে
তারকা চক্ষু, পাথর স্তুপ, পাহাড় চাপা দাও
এরা কি কখনো ঘুমায়! এদের কি ঘুম পাড়ানো সম্ভব!
এরা তো নিশুতি পাখি
নৈঃশব্দ্যে রাত্রি জাগে
পরীকে প্রেমিকা করে
রঙিন পোষাকে ঢাকে শাপগ্রস্থ সাপের অবয়ব ।
৬
পাতারা ঝরে যায়?
বৃক্ষ মাস্তুল হতে লুটিয়ে পড়ে
ধূলোর চাতালে?
কিছু পাতা চিরকাল বাচে কিছু পাতা দুদিনে শুকায়
ছাই হয় চন্দ্রভুখ ক্ষুধার আগুনে
তবু পাতারা তো রেখে যায়
কিছুটা ছাই, কিছুটা ভস্ম, কখনো একটা দুটো মুগ্ধ হাতপাখা
পাতারা পৃথিবীর জীয়ন কাঠি
পাতাদের রঙ নিয়ে মেয়েকে আবীর দেয়
তার রঙিন বন্ধুরা ।
৭
পাখিরা প্রস্তুত অনন্ত যাত্রায়………
পাতারাও পেয়ে যাচ্ছে মৃত্যু খ্যাতি
দু-হাত কে ডানা করে উড়ে যাবে বাতাসের নীড়ে
মেঘ ষোড়শীর বজ্র সঙ্গম গিলে নেবে
নীলমনি শাদা চোখদের অলোক পাথরে
মানুষ কী জানে?
সে কত নিঃসঙ্গ হয়ে পচে মাটিদের নগ্ন আক্রোশে
পাতা কিন্তু জানে
তবু সে কিছুই করছেনা
চুপ করে শুয়ে আছে হিংস্র হিম মাটির কোটরে
অনেকটা বাঘিণীর প্রেম আক্রান্ত এক উদাস হরিণ ।
৮
সন্ধ্যার এখনো অনেক দেরী
সবে তো দুপুর
তবু পাতা কেন হাওয়ায় মিলিয়ে যাও?
মুক্তি চাও
.......... মৃতদন্ডিতের মতো
নীলে নীলে দগ্ধ স্মৃতির দহন থেকে ।
অথচ তোমার মগজে কোন স্মৃতিই নেই
ঠোটের এস্রাজে নেই কোন বিরহী সুর
শুধু পদ্মার ঘাটে কপিলার শরীরের উত্তাপ
নখ ডুবিয়ে মিশে যাচ্ছে এক বুক ডালিম জলে ।
কামনায় কাঁপে কাঁচের পৃথিবী
ক্রমশ খসে মূমুর্ষু স্বপ্নের খড়ের স্তুপ,
পাতা আর সে
মুখোমুখি আজ দু নদীর দুটো স্রোতধারা।
জন্ম ও মৃত্যু
আজন্ম প্রেমিক দুজন ।
.............................................................agunpakhi011(niaz morshed)
মন্তব্য
বুঝতে পারলে বলতাম 'ভাল হইছে'
কপিলা ক্যারেকটারটা কি আমরা ঠিকঠাক বুঝতে পালাম?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
নতুন মন্তব্য করুন