বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে ‘সাদ’ (অথবা কাছাকাছি উচ্চারন) নামে একটা অনুষ্ঠানের চল আছে। প্রেগন্যান্সির সাত মাসে পড়লে অথবা সাত মাস পূর্ন হলে এটা করা হয়। হবু মাকে মজার মজার খাবার খাওয়ানো, উপহার দেয়া,নবজাতকের যত্নআত্নি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ঘরোয়া সুন্দর একটা অনুষ্ঠান।(আমাদের চিরায়ত রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠানগুলো মেয়েদের গুরুত্ব দেয়, সম্মান দেয়। মোল্লারা ধর্মের নামে আজব কিছু জিনিস আমদানি করে সমাজে মেয়েদের অবস্থান নড়বড়ে করে দিয়েছে...)
যদিও আমার আত্নীয় পরিজন কেউ আশেপাশে ছিলোনা তবু আমার বাসায় ও এমন এক অনুষ্ঠান করলাম। বন্ধু, সহকর্মী অনেকে এলো, খুব সুন্দর সময় কাটলো। যথারীতি আবিবাহিতরা এবং বাচ্চাকাচ্চা নেই এমন কাপলরা বুদ্ধি-পরামর্শ বেশি দিলো! তবে খুব কাজের টিপস পেলাম আমার প্রতিবেশি আন্টির কাছে। ব্রেস্টফিডিং এর জন্য নিপল লিফট আপ করার কথা বললেন উনি। শিশুর জন্মের পরপর দুধ খাওয়াতে গেলে বেশিরভাগ মা’ই অস্বস্তি বোধ করেন। নিপল সাক করার উপযুক্ত না থাকায় বাচ্চার ও অসুবিধা হয়। প্রেগন্যান্সির শেষের দু-এক মাস ম্যাসাজ করে নিপল লিফট আপ করলে ব্রেস্টফিডিং সহজ হয়ে যায়।
আমি যখন সাতমাসের অন্তঃস্বত্তা তখন দুটা সমস্যা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছিল প্রায়। এক- প্রচন্ড গরম লাগা। অনেকটা হটফ্ল্যাশের মতো। মুখে গলায় পানি ছিটালে আরাম লাগতো। পানি খেলেও ভালো লাগতো। কিন্তু পানি খাওয়ার আরেক ঝামেলা,ঘনঘন বাথরুম পায়। এই ‘ঘনঘন’ যে কতোটা ‘ঘনঘন’ তা শুধু অ্যাডভান্সড স্টেজের প্রেগন্যান্ট মেয়েরা বোঝে!
দুই- নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট শুরু হলো। পা যেনো শরীরের ভার নিতে পারছেনা। আমার পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি শরীর, বাচ্চা পেটের পুরোটা দখল করে ফেললো।আমি দেখলাম তার নড়াচড়া কমে এসেছে। সাতমাসে একটা বাচ্চা সম্পুর্ণ মানুষ হয়ে যায়। তার সব অঙ্গ তৈরি;এরপরের সময়ে চামড়ার নিচে ফ্যাট জমা হয়। বাচ্চা বড় হয় খুবই দ্রুত। বেচারার নিজের ও কষ্ট হয়। নিজের ঘর যদি এমন হয় যে দাঁড়াতে গেলেই মাথায় ছাদ ঠেকে যায়, হাত বাড়ালে দেয়ালে লেগে যায় তাহলে আমাদের কেমন লাগবে?
একদিন হঠাৎ মনে হলো আর তো বেশি সময় নেই অথচ ঘরদোর জীবানুতে কিলবিল করছে। শুরু করলাম পরিচ্ছন্নতা অভিযান। । সারাদিন কাজ করলাম। শাওয়ার নিয়ে অনেক ক্লান্ত হয়ে শুয়ে মনে পড়লো আরে বাচ্চাতো অনেকক্ষন নড়ছেনা। কাজের ঘোরে খেয়াল করিনি আমি। দুই ঘন্টা, তিন ঘন্টা কেটে গেলো, সে নড়ছেইনা...ডাক্তার ডাকলাম, হার্টবিট পেলোনা ঠিকমতো। তক্ষুনি ছুটলাম হাসপাতালে। আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা গেলো সে পাশ ফিরে আরামে ঘুমাচ্ছে! ডাক্তার আমাকে ধমক লাগালেন ‘এতো কাজ করা একদম ঠিক হয়নি’। বাচ্চাগুলো এই কান্ড করে। মা যখন কাজকর্ম করে তারা ঘুমায়। আর রাতে মা ঘুমালে তারা শুরু করে খেলা। এজন্যই বেশিরভাগ নবজাতক রাতে জেগে থেকে জ্বালায়...
আমার ঘুমের সমস্যা ও শুরু হলো এই সময়। রাত দশটা বাজলে চোখ বুজে আসতো ঘুমে। ঘন্টাদুয়েক ঘুমানোর পর ঘুম ভেঙ্গে যেতো। তারপর জেগে থাকা, কোনোদিন দুইটা তিনটা পর্যন্ত, কখনো সারারাত। গান গাইতাম,গান শুনতাম,বই-ম্যাগাজিন পড়তাম, বাচ্চার সাথে গল্প করতাম, অনেক পরিকল্পনা করতাম। তবু সময় কাটতে চাইতোনা। কতো লম্বা একেকটা রাত...একটা ছড়াগান গাইতাম বেশি- ‘চাঁদের পানে চেয়ে চেয়ে রাত কেটেছে কতো,তাইতো সোনা চাঁদের কণা পেয়েছি মনের মতো’। আরেকটা গান অন্তঃস্বত্তা মায়েদের জন্য খুব অ্যপ্রপ্রিয়েট মনে হতো ‘যার লাগি ফিরি একা একা, আঁখি পিপাসিত নাহি দেখা...!’
আমি মোটামোটি গোছানো মানুষ। কিন্তু শরীর ভারী হবার পরে কলম, কার্ড, ডায়রী সবকিছুর হাত পা গজিয়ে গেলো। সব পড়ে যেতো! আশপাশের লোকজন, অফিসের কলিগরা কুড়িয়ে দিতো! বারবার সবাই আমার জন্য এটা সেটা কুড়াচ্ছে, অস্বস্তি লাগতো। কলম টলম পড়লে আমি বলতাম থাক আরেকটা নিয়ে নিচ্ছি। একদিন বেশ কটা পাঁচশ টাকার নোট পড়ে গেলো। অবাক কান্ড, আমার শয়তান কলিগরা কেউ আর তুলে দিতে আসেনা। বলে কি ‘থাক, আরো তো আছে ব্যাগ থেকে নিয়ে নেন’!!
একদিন অফিস থেকে ফিরে দেখলাম আমি অনেক মোটা হয়ে গেছি। সন্ধ্যায় কিছুক্ষন শুয়ে থেকে বিছানা থেকে নামার সময় দেখলাম পায়ের চামড়ার নীচে পানি এদিক থেকে সেদিন যাচ্ছে! কি আশ্চর্য-হাতে আঙ্গুল দিলে আঙ্গুল দেবে গেলো। যদিও আমি অফিসে সবসময় একটা টুলের উপর পা তুলে রাখতাম তবু রক্তশুন্যতার জন্য পানি এসেছিলো । রাতে শুরু হলো চুলকানি। পানি জমে থইথই করছে, এরমধ্যে চুলকালে কেমন লাগে? চুলকানি থেকে মুক্তির একটাই পথ, ভুলে যাওয়া। আমাকে ভুলানোর জন্য আমার বর হাসির সিনেমা চালাতে লাগলো একে একে। জিম ক্যারি, জ্যাকি চ্যান, গোবিন্দ কেউ বাদ গেলোনা। হাসি তো দুরের কথা আমি মনে মনে সবাইকে গালি দিলাম। ভাগ্যিস দুদিন পরে চুলকানি ঠিক হয়ে গেলো নাহলে গালাগালি আর মনে মনে থাকতোনা, প্রকাশ্য হয়ে যেতো!
সাতমাসের পরে সোফায় বা নরম গদিওয়ালা কিছুতে বসতে পারতাম না আর। শুতাম হাঁটুর নীচে বালিশ দিয়ে। সারাদিন আহ,উহ যে কতো হাজারবার করতাম...অন্তঃস্বত্তা অবস্থায় আরো দুটা অসুবিধার মুখোমুখি হয়েছি। দাঁতের মাড়িতে রক্ত পড়া আর পায়ের মাসলে টান। মাসলে টান পড়লে ফুটবলারদের কথা মনে পড়তো! বেচারাগুলো কতো কষ্টে মাঠে দাঁত-মুখ খিচিয়ে পড়ে থাকে এখন তো বুঝলাম! প্রেগন্যান্সির সব অসুবিধা সহ্য করার নিজস্ব একটা ম্যাকানিজম আবিষ্কার করেছিলাম আমি। নিজেকে বলতাম ‘দিহান তোমাকে লেবার পেইন সইতে হবে, এইসব কষ্ট তো মামুলি...’। বড় ঝামেলার কথা ভাবলে ছোটখাটো ঝামেলা বেশ সহজে মোকাবেলা করা যায়।
আরো একটা তথ্য আমাকে অনেক শক্ত করে দিয়েছিলো। লেবার মা’র জন্য যেমন কষ্টকর, বাচ্চার জন্যও। ইশ আমি একটা বড় মানুষ, আমি সব কষ্ট সহ্য করতে পারি। কিন্তু এইটুকু একটা প্রাণ, সে কীভাবে পারবে? আমি শুরু করলাম ওকে বোঝানোর নাম করে নিজেকে বোঝানো। গুটলুমনি, তুমি একটুও ভয় পেয়োনা...একদিন তোমার বেলুন-ঘরটা হঠাৎ’ চুপসে যাবে। তুমি যে অ্যামনিওটিক ফ্লুইডে সাঁতরে বেড়াও তা বের হয়ে গেলে তোমার চারপাশ শুকনো খটখটে হয়ে যাবে। তুমি ঘাবড়ে যাবেনা, একটু একটু করে নীচের দিকে নামতে শুরু করবে ওকে? তোমার ছোট্ট মাথাটা যখন বার্থ ক্যানেলের ভিতর ঢুকবে নিঃশ্বাস নিতে তোমার খুব কষ্ট হবে, কিন্তু একটু পরেই ডাক্তার তোমাকে বের করে নিয়ে যাবে। তুমি অবশ্যই গলা ফাটিয়ে কাঁদবে, নয়তো ডাক্তার তোমাকে মার লাগিয়ে দেবে!
তারপর তুমি মা’কে দেখতে পাবে! মাকে দেখেই তুমি বাবাকে দেখতে যাবে! কী দারুণ হবে তাইনা সোনাপাখি? আমারা মানুষ হিসেবে কেমন সেটা তুমি বড় হলে জানবে, বুঝবে। কিন্তু একটা কথা জেনো-শুধুমাত্র তোমার জন্য এই দুটা মানুষ পৃথিবীর সবচে সেরা মানুষ হবার প্রতিজ্ঞা করেছে।
মন্তব্য
আগের পর্বগুলোও পড়েছি। খুবই খুবই ভালো।
আপনার পুরোনো লেখাগুলো আপনার একাউন্টে এনে দেয়া হলো।
ধন্যবাদ!
চলুক আপু চলুক ... কয়টা দিন মন খুব খারাপ ছিল । লেখা পেয়ে ভাল লাগছে
ভালো লেগেছে। আমি আমার বাচ্চাদের গুটলু বুটলু বলে ডাকি।
আ ম্যাজিকাল রাইটিং এবাইট এ ম্যাজিকাল জার্নি
কি অসাধারণ অনুভূতি। এমন করে এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সত্যি অন্য রকম। মুগ্ধ হলাম আপু।
-মেঘা
আপনি অদ্ভুত সুন্দর লেখেন! চলুক।
last part really teared me up...so many emotions
বাংলায় লিখুন প্লিজ।
শেষের অংশটুকু খুব সুন্দর.. বিশেষ করে গুলটুমনি'র জায়গাটা.. প্রতিটা পর্বই অসাধারণ..দিহান আপু আর তার গুলটুমনির জন্য সুভকামনা..
প্যাগান যুগে মেয়েদের সন্তান প্রসবের ঘটনাকে পৃথিবীর দৃশ্যমান অলৌকিক ঘটনাগুলোর অন্যতম বিবেচনা করা হতো। আর তাই মেয়েরা সে যুগে ছিলো বিশেষ সম্মানিত। মেয়েদের উপরই দেবত্ব আরোপ করা হয়েছিল বেশী। কিন্তু মোল্লাদের (অবশ্যই সব ধর্মের) কারণে সে যুগ হয়েছে বাসি।
লেখাটি সত্যি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। ম্যাজিকাল জার্নির মতই আমাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
মেয়েদের নতুন জীবন সৃষ্টি করার এই ক্ষমতাকে প্যাগানরা খুবই সম্মানের সাথে দেখত। এমনকি তাদের সময় নারী পুজা বা পবিত্র নারী পূজা প্রচলিত ছিল। শুনলে অবাক হবেন, তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল sexual intercourse করা। এটা নারীপূজার একটা অংশ। পরবর্তীতে ক্যাথলিক চার্চ প্রথম প্রচার করে মেয়েরা হচ্ছে খারাপ। কারণ eve এর কারণেই পুরুষদের স্বর্গ থেকে বিতারিত হতে হয়েছে। পবিত্র নারী পূজা তখন ডাইনী পূজার ''মর্যাদা'' পায়। আবার অনেকে মনে করে, যেহেতু eve বা মেয়েদের কারনেই আমাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত হতে হয়েছে তাই মেয়েদের menstrual cycle নামক ঈশ্বরপ্রদত্ত শাস্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
মেয়েদের নতুন জীবন সৃষ্টি করার এই ক্ষমতাকে প্যাগানরা খুবই সম্মানের সাথে দেখত। এমনকি তাদের সময় নারী পুজা বা পবিত্র নারী পূজা প্রচলিত ছিল। শুনলে অবাক হবেন, তাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ছিল sexual intercourse করা। এটা নারীপূজার একটা অংশ। পরবর্তীতে ক্যাথলিক চার্চ প্রথম প্রচার করে মেয়েরা হচ্ছে খারাপ। কারণ eve এর কারণেই পুরুষদের স্বর্গ থেকে বিতারিত হতে হয়েছে। পবিত্র নারী পূজা তখন ডাইনী পূজার ''মর্যাদা'' পায়। আবার অনেকে মনে করে, যেহেতু eve বা মেয়েদের কারনেই আমাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত হতে হয়েছে তাই মেয়েদের menstrual cycle নামক ঈশ্বরপ্রদত্ত শাস্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এ হাসনাত
আমি রাজশাহীর দিকে 'সাদ' বা এ জাতীয় অনুষ্ঠান হতে দেখিনি। তবে ইদানীং প্রবাসী অনেক বন্ধুদেরকে দেখি 'বেবি শাওয়ার' করতে।
আমরা অনেক কাজিন ভাই-বোন আর তাই আমার ভাগ্নে-ভাগ্নী, ভাস্থে-ভাস্থির সংখ্যাও কম না। আমাদের পরিবারে অবশ্য দুই কূলেই অনেকের থেকে হই-চই উৎসব কমই হয় একটু, উত্তেজনা বা ইমোশনের বহিঃপ্রকাশও হয়তো। এই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও আমরা গত কয়েক বছরের মাঝে দুইজন প্রি-ম্যাচিওর বেবিকে হারিয়েছি। খুব কাছ থেকে দেখেছি তাই বলছি, এই কষ্টটা সেই বাবা-মা ছাড়া আর কারও বুঝতে পারার কথা না আসলেই। তাই কারও এক্সপেক্টেশনের কথা শুনলেই গুড উইশেস/দোয়া অটোমেটিক হয়ে যায় এখন।
কাজের চাপে মন-মেজাজ খুব খারাপ, আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো, পার্ফেক্ট টাইমিং।
বলেন কি! রাজশাহীর ওদিকেই তো বাচ্চাদের নিয়ে আরও নানারকম অনুষ্ঠান প্রচলিত বেশি। সাদ/সাত অনুষ্ঠান করাও হয় অনেক বেশি ধুমধাম করে। প্রায় বিয়ের মত ঘটা হয়। আসন্ন মা-টিকে বিয়ের কনের মত নতুন শাড়ি গয়না দিয়ে সাজিয়ে বসানো হয়। সবাই সাত রকম ফলমূল, পিঠা আর মিষ্টির ডালা সাজিয়ে নিয়ে আসে। সাথে শাড়ি তো মাস্ট। এক পাহাড় শাড়ি জমে যায়। সধবারা সবাই মিলে খাইয়ে দেয়। বাচ্চা জন্মাবার পরেও নানারকম মজার অনুষ্ঠান হতে দেখেছি। বাচ্চা হাঁটা শুরু করলে মাথায় গুড়গুড়ি পিঠা ঢালার একটা মজার অনুষ্ঠানও হয় ওদিকে। ওতে বাচ্চা নাকি পিঠার মতই গড়গড়িয়ে হাঁটতে শেখে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতার তথ্যের ঝুড়ি খুবই রিচ! ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বেশ কিছুদিন অপেক্ষার পর আরো একটা পর্ব পেয়ে ভালো লাগল। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সুমন_সাস্ট
কোথায় জানি পড়েছিলাম প্রাচীন ভারতে যেহেতু অনেক মা সন্তান প্রসবের সময় মারা যেত। তাই তার জন্মের "সাধ" মিটিয়ে তাকে খাওয়ানো হত বলে এই অনুষ্ঠানটির নাম "সাধ"। অনুষ্ঠানটার পেছনের এই করুণ কাহিনীর কারণে আমি দেশে থাকতে এই অনুষ্ঠানটা এড়িয়ে যেতাম। তবে বিদেশে এসে খুব আগ্রহ করে অংশ নেই কারণ দুনিয়ার মজার মজার ভত্তা খাওয়ার লোভটা এড়াতে পারিনা।
দিহান, আপনার লেখাটা খুব ভাল হচ্ছে। শুভকামনা রইল।
'সাধ' অনুষ্ঠানের এই ইতিহাসটা জানতাম না। মনখারাপ করা...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
বরাবরের মতই ... শেষ বাক্যটা চমৎকার ... আছি আপনার ম্যাজিক্যাল জার্নির সাথে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ওয়েল্কাম ব্যাক
যথারীতি (গুড়) (গুড়) (গুড়)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দারুণ! সবসময়ই আগ্রহ নিয়ে পড়ছি।
জীবাণুর কথা উঠলেই আমার হাত নিশপিশ করে। তাই একটা অফটপিক মন্তব্য করে ফেলি, ঘরবাড়ি/মেঝে জীবাণুমুক্ত করা ব্যপারটা বিজ্ঞাপনদাতাদের বুজরুকি! ঘরবাড়ি জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজন নেই। তা সম্ভবও নয়। বরং চেষ্টা করাটা কখনো কখনো ক্ষতিকর! কেবল পরিচ্ছন্ন থাকলেই চলবে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
গত পর্বে আপনার লেখার উপর মন্তব্যে লিখেছিলাম, আপনার জার্নির সহযাত্রী হয়ে অনেক পুরাতন স্মৃতি মনে পড়ে যাবার কথা। উত্তরে আপনি জানিয়েছিলেন, আপনার জার্নি শেষ। তারপরও আরেকটি পর্ব পেলাম । নবজাতকের পরিচর্যাও কিন্তু আরেক ধরনের জার্নি। সময় থাকলে সেটাও চালিয়ে যাবার অমুরোধ রইল। ভেবে দেখবেন। মা হবার সংবাদটি অবশ্যই জানাবেন। সবশেষে আপনার নিরাপদ প্রসবের, আপনার, আপনার অনাগত সন্তানের এবং আপনার পরিবারের মঙ্গল কামনা করছি।
মন্তব্য লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা
অসাধারন!!
গুটলু নামটা আমি ভাবসি আমি আবিষ্কার করসিলাম, কখনো বাবু হইলে এই নামে ডাকবো...
এখন তো দেখি আপনিও...
ফেইসবুকে শেয়ার দিলাম!!
সিরিজের প্রথম পর্ব থেকে আগ্রহ নিয়ে পড়ছি, ম্যাজিকাল লেখার হাত আপনার
যথারীতি চমৎকার।
(গুড়)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
এত কষ্ট! শুনেছি আমি গর্ভে থাকাকালীন সময়ে নাকি আমার মায়ের পায়ে পানি চলে এসেছিল।
দারুণ
আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনার বর খুব কেয়ারিং আপনার ব্যাপারে। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব বলেন তো! আপনি তো নিজের পছন্দে বিয়ে করেছেন। অনেকের মতে নিজের পছন্দে বিয়ে করা মানেই হলো, বর হবে একজন সন্দেহাতীত 'হাসান সাঈদ'। আর বাপ-মা এক নং মার্কামারা 'হাসান সাঈদ' পছন্দ করলেও সে হবে খোদ ঈশ্বরের প্রেরিত পুরুষ।
অসাধারণ এই সিরিজটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
খুব মজা লাগলো কথাটা; নিজে পছন্দ করে বিয়ে করলে বাবা-মাদের ধারণা বর হয় "হাসান সাঈদ"
আচ্ছা কেন জানি মনে হয় ইয়া মানে "মানুষ"র আগ্রহ সব সময় বিয়াশাদির দিকে একটু বেশইই্ই...হে হে হোতা হে হোতা হে...
মন্তব্যে সহস্রবার লাইক (Y)। পুরাপুরি একমত...অনেকের ধারনা "নিজে পছন্দ" করা বিয়ে টিকেনা...ঝামেলা লেগেই থাকে...আরও নানা কিছু!
আররে! "আরো ভালো আছে ..পামু মনের মানু" এই করতে করতে উপযুক্ত সময় যাইতেছে
পড়ছি...
সাথেই আছি...
এস এম মাহবুব মুর্শেদ, অশেষ ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
শুভাশীষ দাশ, the reader,রু,মাহবুব, নিটোল,সানজিদা, কাজী মামুন- অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপু, এই পর্ব লিখতে এত দেরি হল কেন?
আমার প্রেগন্যান্সির শুরু থেকে পায়ের মাসল এ টান পড়ছে। কি যে কষ্ট!
আমার বর আমাদের বেবিকে ভুতুম বলে ডাকে। ও যখন ভুতুম বলে ডাকে, কথা বলে তখন ভুতুম আরও বেশি নড়াচড়া করে।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, সত্যি বলেছেন। আমি প্রায় নাস্তিক তবু কেউ অন্তঃস্বত্তা জানলে কেমন দোয়া চলে আসে ভেতর থেকে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
রুমঝুমা,সুমন_সাস্ট,ত্রিমাত্রিক কবি, ফাহিম হাসান- ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অনার্য সঙ্গীত, এইরে আমিতো ভুল করে আপনার বাচ্চাকাচ্চাদের নিয়ে খারাপ কথা লিখে ফেলেছি! আপনার কথাটা মনে রাখবো।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
প্রোঢভাবনা, আমার বড়মেয়ের বয়স পাঁচ আর ছোটটা এক বছর। জার্নি শেষ, এর ম্যাজিক রয়ে গেছে। রোকসানা রশীদ, আরে আমার শাশুড়ি নাকি তার ছেলেকে গুটলু ডাকতো। আপনি ভাবছেন এই নাম আপনি আবিষ্কার করেছেন?!
আনন্দী কল্যাণ, সুমন তুরহান, মিলু-ধন্যবাদ। ধন্যবাদ, ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
রাজকন্যা, পায়ে পানি আসাটা বড় কষ্টের। মা'রে এক্সট্রা ভালোবাসবেন!
ধুসর গোধুলি,আমার ও একটু সন্দেহ হয় আমার বর এতো কেয়ারিং কেনো এটা ভেবে!! নিশ্চয়ই কোনো গড়বড় আছে!! জোকিং...নাহ সবাই তো হাসান সাঈদের মতো বরবর না। আমার বরের মতো, আপনার মতো ছেলেরা আছেতো!
কৌস্তুভ, ইস্কান্দর বরকন্দাজ-ধন্যবাদ। সাথে থাকুন সবসময়।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
জয়ন্তী, মনখারাপ ছিলো আপু। তারেক মাসুদ, মিশুক উনাদের জন্য কষ্ট পেয়েছি। আর ক্যাথরিনের ঐ ছবিটা, তারেকের কফিনের উপর হাত রাখা-চোখ ভর্তি হাহাকার, সেটা দেখে খুব কেঁদেছি। ভুতুমের জন্য ভালোবাসা। মাসলে টান পড়লে বরকে বলবে হাল্কা করে হাত বুলিয়ে দিতে, আরাম লাগে। (আমি তুমি করে লিখে ফেলেছি!)
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
তুমি করেই বলবেন আপু।
ভাল একটা উপায় বলেছেন তো!!! বরকে বলতে হবে
অসাধারণ লেখনী আপনার। আবারও বলে যাই খুব ভালো লাগছে সিরিজটা।
btw: মন্তব্যের নিচে কমলা রঙ এর 'জবাব' এ ক্লিক করলে আপনার জবাবটি উদ্দিষ্ট মন্তব্যের সাথেই থাকবে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
স্পর্শ, ইশ কী ভালো একটা টিপস যে দিলেন! ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার এই সিরিজের সবগুলো পর্বই বিশেষ মনোযোগ পড়েছি। চুপচাপই পড়েছি বলতে পারেন। এবং মুগ্ধ হয়েছি সাবলীল বর্ণনায়। বাংলাদেশের মেয়েরা যে ব্যাপারগুলোতে খুব সংকোচবোধ করে আপনি সেই ব্যাপারগুলো এত শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করেছেন যে আপনাকে সাধুবাদ।
আমার স্ত্রীর ওই সময়গুলোতে আমি তো পাশে পাশেই ছিলাম, তাই যেসব লক্ষণ দেখেছি তার সাথে মিলিয়ে নিতে পেরে ভালো লেগেছে। এই সিরিজটা ভবিষ্যত বাবাদের জন্য যেমন ভবিষ্যত মা'দের জন্যও তেমনি প্রয়োজনীয় টেক্সট হতে পারে। লেবার পেইন ব্যাপারটা নিয়ে আমার বিরাট আতংক ছিল, সে সহ্য করতে পারবে কিনা। দুজনেই ওটা নিয়ে নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু কী কপাল ওর লেবার পেইন ব্যাপারটাই ঘটে নাই অনেক চেষ্টা সত্ত্বেও। অবশেষে সিজারিয়ান বেবী। তাতেই দুজনে আনন্দিত ছিলাম।
এই নয়মাস সময়কালে পরিবারের সাপোর্ট সবচেয়ে বেশী দরকার। বিশেষ করে মানসিক সাপোর্ট। মেয়েরা এসময় একটু উল্টোপাল্টা চিন্তা করে, অস্থিরতায় ভোগে। আর স্বামীর ব্যাপারে নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগে। তাই স্বামীদের কাছ থেকে মানসিক সাপোর্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন। স্বামীর কাছ থেকে সত্যিকারের বন্ধুর পরিচয় এই সময়েই পাওয়া যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
নীড় সন্ধানী, ধন্যবাদ। সত্যিকারের বন্ধুর পরিচয় এই সময়েই পাওয়া যায়।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ওহ, আর যে কথাটা বলা হয় নি। আপনার লেখার ফ্যান হয়ে গেছি। যে কোনো সময়ে ফ্যানক্লাব গঠন করে ফেলব!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
প্রথমে, হাচলাভিনন্দন! চমৎকার হচ্ছে সিরিজটা। তবে প্রতিটা মাসের কথা যদি পর্যায়ক্রমিকভাবে আরো বিস্তারিত বলেন তাহলে ভালো হয়। আর একটা কথা, যতদূর জানি শব্দটা "অন্তঃসত্ত্বা"।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আপনার বানানটাই শুদ্ধ মনে হচ্ছে! সর্বনাশ আমাকে অনেক সম্পাদনা করতে হবে!!
আমিতো সময়টা পেরিয়ে এসেছি, পর্যায়ক্রমিকভাবে লিখা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এখন যারা কনসীভ করবে তাদের কেউ একজন প্রতিমাসের ডিটেইল লিখবে আশাকরছি। আমার দুইটা বাচ্চা আছে অলরেডি তাই আবার লিখার সম্ভাবনা নাই!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অপার মুগ্ধতা নিয়ে আপনার প্রতিটি পর্ব পড়েছি।
অনেক ধন্যবাদ যুমার। ( আপনার নামটা একটু অন্যরকম!)
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
এটি শুধু প্রয়োজনীয় পোস্টই নয়, অত্যন্ত সুলিখিতও বটে। নতুন তথ্য পেলাম দিহানাপু। ধন্যবাদ সব সময়।
_____________________
Give Her Freedom!
মৃত্যুময় ঈষৎ আমি ও মনে করি এইধরনের লেখা অনেক থাকা উচিত। আমি বড় একা আর আনাড়ি ছিলাম, কতো কথা জানতে ইচ্ছা করতো...উত্তর দেবার কেউ ছিলোনা। আরো অনেকে লিখুক সেটা চাই।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ম্যাজিক্যাল জার্নি শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম সম্ভবত কোন গল্পের অনুবাদ। হায় খোদা, এটা গল্পের চেয়েও বেশি কিছু।
আমার এক শিক্ষক বলতেন, "প্রশংসায় কখনও কৃপণতা করতে নেই।" যথারীতি এক কান দিয়ে ঢুকে আরেক কান দিয়ে বেরিয়ে ম্যারাথন দৌড় লাগিয়েছে কথাটা। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে একটু পেছন ফিরে তাকালো।
আমি প্রথমে পড়লাম এই ৬ নং পর্বটা। এরপরে ১ থেকে ৫ পরপর। এরপরে বাকি পোস্টকয়টা।
আপু, "অসাধারণ", "অসাধারণ" "অসাধারণ" "অসাধারণ" "অসাধারণ"। এইরকম চমৎকার করে লিখতে পারলে...
শুভ কামনা অনেক অনেক অনেক। বাবুটাকে আদর দিয়েন আর আপনার জন্যে ভালোবাসা।
- কাঠপুতুল
বেশি হয়ে গেলো...হজম করা মুশকিল তো! অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ভাল লাগছে আপু, চালিয়ে যান!!
আমি নিজেও এখন প্রেগন্যান্ট আপু। আপনার সিরিজটা শুরু হবার পর ভাবছিলাম প্রতি মাসের এক একটা পর্ব লিখলে কেমন হয়। আমি সাধারণত প্রতিদিনের খুঁটিনাটি লিখে রাখি, কখনও সময় পেলে সেগুলি এক জায়গায় করব দেখি!
সাধ/সাদ যেটাই বলেন, এটা সাধারণত ৫বা ৭ মাসে করে। আসলে "মর্নিং সিকনেস" এর জন্য অধিকাংশ অন্তঃসত্ত্বা মেয়েই প্রথম ৩থেকে৪ মাস কিছুই খেতে পারেনা। ৫ মাসের শুরুতে এটা কমে আসে। এইজন্য মেয়েটির যা যা খেতে ভাল লাগে অন্যরা সেগুলি (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাবার বাড়ির আত্মীয়রা) তার জন্য রান্না করে। আমি নিজে অনেকের জন্যই সাধের আয়োজন করেছি। যেহেতু বিদেশে নিজের বাড়ির মানুষ নেই, প্রেগন্যান্ট মেয়েরা আসলেই খুব খুশি হয় এই ব্যাপারটাতে।
কিছুদিন আগে আমার মাঝে মাঝে বিশেষ করে রাতে ব্লাড প্রেশার খুবই কমে যেত। যে আমি ঠাণ্ডা পানীয় একেবারেই খেতে পারতাম না, সেই আমিই গপগপ করে বরফ খেতাম। আমার এক কলিগ এর কথা শুনে পরে নেট এ সার্চ করে দেখলাম এটা সাধারণত রক্তে লোহার অভাবে হয়ে থাকে। যাকে বলে পিকা(Pica), বাংলাটা জানা নেই। তখন আপনার গত পর্বের কথা মনে পড়ে গেল। আমিও কলিজা, কচুরমুখি, কলা এসব খেতে শুরু করলাম নিয়মিত। এখন লোপ্রেশার আর বরফ খাওয়া দুটাই কমেছে।
অনেক কিছু লিখে ফেললাম। আরও বড় লেখা দেয়া যায় না আপু? ভাল থাকবেন আপনার রাজকন্যাদের কে নিয়ে।
দ্বীপজ্বলেযায়, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সময়টাকে উপভোগ করুন, আপনার জন্য শুভকামনা রইল। উইশ ইউ আ ভেরী হ্যাপি অ্যান্ড সেফ জার্নি।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার লেখা পড়লে এত্ত ভালো লাগে...চোখে পানি চলে আসে...
nawarid nur saba
সাবা, আপনার মনটা খুব নরম...ভালো থাকবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
কাজের চাপে দেরিতে পড়লাম।
যথারীতি দুর্দান্ত। এই সিরিজটা ই-বুক হওয়া উচিত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বরাবরের মতই অসাধারন আপু!
এটা একটু পড়ে পড়লাম, সময় হচ্ছিল না।
আপনার বরের মত কেয়ারিং হইতে মন চায়!
-
বিবর্ন সময়
অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ লেখা ...........
শেষ লাইনটায় এসে গলা ধরে এলো, আপনার লেখার হাত অনবদ্য! আমি আমার আশেপাশের শিশু গুলাকে গুটলুবুড়ী, পুটলুবুড়ী বলে ডাকি, ওরা দেখি এই ডাকটাই পছন্দ করে। শিশুদের যে কত নামে ডাকা যায় আর কত অদ্ভুত সব নাম মাথার মধ্যে চলে আসে!
এত চমৎকার করে লিখেছেন আপনি!ফেসবুকে লিঙ্ক পেয়ে পড়তে আসলাম....... অসাধারণ আপনার অনুভূতি আর তার প্রকাশ।আর আপনি অনেক ভাগ্যবান(ভাগ্যবতী শব্দটা ভাল লাগে না তাই ভাগ্যবান লিখলাম) যে এত চমতকার,কেয়ারিং বর পেয়েছেন
শেষ লাইনটা পড়ে কান্না পাচ্ছে আপু......
দোয়া করি আপনার তুংকা আর রাইম অনেক বড় হোক,ভাল মানুষ হোক।
অসাধারণ লিখছেন আপু...এই পর্বটা পড়তে একটু দেরি করে ফেললাম।
যে সময়টুকুকে ধরার চেষ্টা করছেন, আবেগ দিয়ে সেই সময়টাকে ধরার চেষ্টা খুব বেশি হয়নি।
আপনি পেরেছেন।
শুভ কামনা রইল আপনার আর আপনার গুলটুসোনাটার জন্য।
শেষ লাইনটা একদম মন ভিজিয়ে দেওয়া......
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একদিনে বসে সব ক'টা পড়লাম... কিছু কিছু জায়গা বারবার পড়লাম মনটা ঘেঁষে গেল একদম...অঅঅঅনেক ভাল লাগলো আপু...তুংকা আর রাইম এর জন্য শুভাশিস্ । ভাইয়াকে স্যালু্ট।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপু, নতুন পর্ব আসছে না কেন? অপেক্ষার প্রহর একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে।
আমি একজন guest_ writer আমি ইত্তু সোনামনির জন্ম অব্দি সবগুলো পস্মাত)(সাত) পড়েছি ।সাবলীল ভঙ্গীতে নিপুন দক্ষতার সাথে এমন উপস্থাপনা সত্যি চমতকার! ভবিষ্যৎ মায়েদের অনেক সাহস যোগাবে,মেয়েরা গর্বের সাথে মা'হতে আগ্রহী হবে। ভবিষ্যতে আরও এমন লিখে যান ।
Just awsome apu.......................................
নতুন মন্তব্য করুন