সিভিল সার্জেন সাহেবের কন্দর্পকান্তি ছেলেটি পড়াশোনায় তুখোড়। লোকে বলত, এছেলে বাঁচলে কালে একটা কেউকেটা না হয়েই যায়না। সেই ছেলে পরীক্ষায় কি এক অঙ্কের উত্তর মেলাতে না পেরে পাগল হয়ে গেল। ঘরে ফিরল বদ্ধ উম্মাদ হয়ে। দিগম্বর হয়ে সারাদিন ঘরের দেয়ালজুড়ে নানারকম আঁক কষে বেড়ায় আর মেলাতে না পেরে ঝপাঝপ মাথায় পানি ঢেলে এসে ভেজা গায়ে আবার লিখতে বসে। সন্তু একদিন দেখে ফিক করে হাসতেই চোখ গোল করে তেড়ে এসে বলে, 'আন্ডা চিনো আন্ডা ? একদম আন্ডার ভিতর ঢুকায় রাখবো !' সেই থেকে পড়াকু পাগলদের আমি খুব ভয় পাই। তাই আক্কাস ভাই পরীক্ষার আগের দিন মাথা ন্যাড়া করে এসে 'আমার আর কি মাথা গরম রে, বুয়েটে তো ফি বছর একটা দুটো ছেলে পাগল হয়' বলাতে আমার মুখ শুকিয়ে গেল। ভাই যে বুয়েটে পড়ে! ওরও যে অঙ্ক ভারী পছন্দের! শিগগির শিগগির চিঠি লিখলাম, ভাইয়া প্লিজ কম কম পড়িস, তোকে ফার্স্ট হতে হবেনা।
সত্যি, সংসারে যে কত রকম পাগল আছে তার ইয়ত্তা নেই। কেউ টাকার পাগল তো কেউ রূপের, নয়ত যশ- মানের। কেউবা টিমটিমে, কেউবা মিনমিনে তো কেউবা আবার ভারী সেয়ানা। আমার এক খালার ছেলে একবার হুট করে পাগল হল। সে ভারী সুবিধের পাগলামি। বাসে চেপে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি যায়, এক দুদিন থাকে, সেই ফাঁকে সেবাড়ির সবাইকে কষে গালাগাল দেয়। সেঝ মামাকে সবার সামনে আঙুল তুলে, 'আপনি একটা মহা ছোটলোক'- বলতে সবাই মিলে রায় দিল বিয়ে দিলেই এ পাগলামি ভালো হয়ে যাবে। সত্যি সত্যি দেখা গেল গরিব ঘরের এক পরমাসুন্দরীর সাথে বিয়ের সাথে সাথেই পাগল একদম ঠাণ্ডা পানি হয়ে গেল। তাই বলি, এসব হল নেহাত ছেঁদো পাগলামি। সত্যিকারের বদ্ধ পাগল সংসারে রোজ রোজ দশটা মেলেনা। আজকাল অবশ্য বিদ্যে জানা লোকজন 'পাগল' শব্দটায় বড় চটে যান। বদলে মানসিক প্রতিবন্ধী বা ওরকম সম্মানজনক শব্দ ব্যবহার করতে বলেন। আমি নেহাত পুরনো মানুষ বলে এমন পাঠকের কাছে এইটুকু দোষঘাট মাফ চাই।
আমাদের পাশের বাসায় প্রায় পাঁচ সাত বিঘে জায়গা নিয়ে বিরাট বাগান ঘেরা বাড়িতে থাকতেন এস পি চাচারা। ওনার হুল্লোড়বাজ ছোট ছেলে টেনিস-ফুটবল খেলে, দিনমান হৈ হৈ করে বেড়ায় আর ভরাট গলায় গান গায়। হাসিখুশি এই ছেলেটা সবার ভারী পছন্দের মানুষ। সেই ছেলে একদিন প্রেমিকার আচমকা বিয়ের খবর শুনে যেন কেমনধারা হয়ে গেল। কত ডাক্তার-বদ্যি-হেকিম-কবিরাজ-টোটকা-ওষুধ কিছুতে কিছু হলনা। সবাই জবাব দিয়ে দিলেন। বাবু ভাই হয়ে গেলেন বাবু পাগলা। দিনরাত বিড়বিড় করে অদৃশ্য কোন ছায়াসঙ্গীর সাথে হাসেন কাঁদেন । কেউ আদর করতে গেলে মেরে তক্তা বানান। যে চোখে একদিন ভালবাসা ছলকাত, সেই চোখ কেমন ভাষাহীন ঘষা কাঁচের মত হয়ে গেল। চাচা চাচির সাথে ওদের বাসাটাও আস্তে আস্তে কেমন চুপচাপ হয়ে গেল। বাবু পাগলার চুল দাড়ির জঙ্গল বাড়ার সাথে সাথে ওদের বাগানটাও যেন একই রকমভাবে জংলা ঝোপে ভরতে লাগলো। চোখের সামনে একটা মানুষ আর মানুষ রইল না, 'পাগল' নামের একটা অন্য মানুষ হয়ে গেল।
ছোট ছেলে পিলে মাঝে মধ্যে ইট পাথর ছোঁড়ে, পাগলের তাতে ভ্রুক্ষেপ নেই। একখানা ঝলঝলে খাকি প্যান্ট আর সবুজ গেঞ্জি পড়ে বিড়বিড় বকতে বকতে পথে পথে হেঁটে ফেরে। মাঝে মধ্যে দোকানিরা ডেকে চা বিস্কুট খাওয়ায়। একবার কোত্থেকে এক ভুশভুশে কাল কম্বল পেয়ে গেল যেন, সেটা হয়ে গেল নিত্যসঙ্গী। চৈত্র দিনের খর দুপুরে স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে দেখতাম হু হু ধূলবাতাসের ঘূর্ণির মাঝ দিয়ে শুনশান পথে দাঁড়িগোঁফ জটাজুটের ভয়ানক মূর্তি কম্বল গায়ে হেঁটে চলছে বিকারহীন । কখনও হয়ত বাগানের গাছগুলোকে নয়ত পানির চৌবাচ্চাটাকে লাঠি পেটা করতে করতে বকে বকে অস্থির।
পাড়ার ছেলেপুলের সাথে বাবু পাগলার তেমন কোন বিরোধ ছিলনা। শুধু মাঝে মধ্যে খেলতে গিয়ে বল ওনাদের বাগানে চলে গেলেই ঝামেলা হত। ছেলেরা বাগানের দেয়ালে সার বাঁধা বানরের মত পা ঝুলিয়ে বসে বসে আওড়াত-
-বাবু ভাই, একটু বাগানে নামি ? একটুউ...
অনেকবার শোনার পর পাগলা হয়ত বলত, আচ্ছা নাম।
-মারবেন না তো ?
-[উদাস গলায়] নাহ্।
অভয় পেয়ে একজন নামতেই পাগলা তাকে ক্যাঁক করে ধরেই বেদম মার। মারের গতি দেখেই বাকিগুলো ভোঁ ভাঁ দৌড়।
একদিন চুপিসারে বাগানে নামলাম এক বেড়াল ছানাকে ড্রেন থেকে বাঁচাতে। সিধে উঠে দাঁড়াতেই দেখি সামনেই পাগলা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে। একগাল হেসে বলল-
লারে লাপ্পা পাম্পাম পাম্
আলু দিয়া গোস্ত খাম !!
আর যায় কোথা। প্রাণ হাতে নিয়ে এক ছুটে দেয়ালে। কিন্তু দেয়ালে উঠে দেখি পাগলা ওখানেই দাঁড়িয়ে আপনমনে হেসে কুটি পাটি। যেন প্রাণভয়ে ইঁদুরদৌড় দেখে ভারী আমোদ হয়েছে।
নানান রঙের আলোছায়ায় দিন ক্রমশ গড়াতে থাকে। আমাদের জীবনের রঙ বদলাতে থাকে। বদলায় না কেবল বাবু পাগলার জীবন। তার স্মৃতি, তার সুখ দুঃখ এক সময়কালে স্থির হয়ে থেকে যায়। চাচা চাচি একসময় অসুখ হয়ে ছেলেকে ফেলে চলে গেলেন পরপারে। ভাইয়ের সংসারে অনাদরেও পাগলার জীবন থাকল আগের মতই। সেই নোংরা গায়েমুখে পথ হাঁটা, আপনমনে বিড়বিড় আর হটাত হটাত গান গেয়ে ওঠা। কোন কোন আধডোবা চাঁদরাতে জানালার পাশে দাঁড়ালে শোনা যায় পাগলা ইনিয়ে বিনিয়ে গাইছে 'একটা গান লিখ আমার জন্য...' । সেই কোনো এককালের মানবজীবনের কিছু ভালোলাগার গান, যেগুলো ওলটানো ব্রেনের কোনো এক কোণে থেকে গিয়েছিল সেগুলো এক এক রাতে ভরাট গলায় জেগে ওঠে। এক কলি লতা, দু'কলি মান্না দে, মাঝে খানিক বিড়বিড়ানি আবার দু'কলি সতীনাথ। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সারারাত। রাতভর ঘুম জাগরণে শুনি গভীর গলায় অবিরাম আকুতি "নাহয় আমি তোমার কাছে ছিলাম অতি নগন্য, একটা গান লিখ আমার জন্য... "
এতবছর পর ছেলেবেলার স্মৃতি মাখানো বদলে যাওয়া শহরটায় গেলে বড্ড মন কেমন হয়ে যায়। বয়েস হয়ে গেলে এই এক সমস্যা। সব কিছু আগের মত করে পেতে ইচ্ছে করে। মনে হয় আহা সব কিছু যদি ঠিক আগের মত থাকত। অথচ এস পি চাচার বাগান ঘেরা বাড়িটার দৃশ্যগুলো ঠিক আগের মতই আছে দেখেও কেন যেন ভালো লাগেনা। উলটে মন খারাপ হতে থাকে। শেষ শ্রাবণের ঝরঝর ঝরঝর দিনমান বৃষ্টিতে গাছপালা মানুষ জন সবাই জবুথবু হয়ে ধুঁকতে থাকে । সেই অঝোর বৃষ্টির মাঝে জংলা গাছ পালার ফাঁকে দেখি বাগানের চৌবাচ্চাটার পাশে পাগলা বসে আছে । চুল দাড়ির জঙ্গলে মুখ ঢাকা। বয়েসের ভারেই হয়ত আগের মত দাপাদাপি নেই। এত দিনের মার খেতে খেতে চৌবাচ্চাটার এক পাশ ভেঙ্গে গলগল জল ঝরে চলেছে অবিরাম। তার পাশে মাথা নিচু করে পাগলা বসে আছে চুপচাপ, ভিজছে একা একা। এতদিনের এই চেনা ছবিটাও হটাত কেমন বুকের ভেতর এসে লাগে। মনে হয় শ্যেওলাধরা পুরনো গাছপালার সাথে বৃষ্টি মাথায় বসে থাকা ওই এলোমেলো মানুষটাও যেন এক অচেনা গাছ, ভালোবাসার আলো হাওয়া নিয়ে বেড়ে উঠতে পারেনি । আর তাই ছড়িয়ে যাবার আকাশ না পেয়ে শেকড় ছড়িয়েছে অন্য কোথাও, অন্য কোন ভুবনে।
কতটা ভালোবেসে মানুষ পাগল হয় সত্যিকরে আমাদের জানা হয়না কখনই । মাঝে মাঝে বড় জানতে ইচ্ছে করে।
মন্তব্য
অসাধারণ লাগলো গল্পটা। ফিল্ড মার্শাল দিলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
গল্প হলেও এটা কিন্তু সত্যিগল্প। অত্যুত্তম তারিফের জন্য অনেক অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাহ ...
ধন্যবাদ চরম উদাস।
অ টঃ আপনি প্রথমে ছিলেন কেবলি উদাস, এখন দেখছি তা চরমে উঠেছে। এই হারে চললে খিচুড়ি রান্নার কি হবে ? সবাই যে উপোষ যাবে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খিচুড়ির দিন শেষ প্রায়, এরপর অন্য কিছু রান্না করব। আপনার লেখার হাত আসলেই খুব মায়াময়। আপনাকে বলতে চেয়েছিলাম, লেখা লেখি কে সিরিয়াসলি নিতে। পরে মনে হল, যা আছেন তাই ভালো। পরে আবার প্রোফেশনাল লেখক হয়ে গেলে লেখায় যে মায়া আর সততা আছে সেগুলা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আমি মানুষটাই এমন যে চাইলেও বোধ হয় প্রফেশনাল হতে পারবোনা কোনোদিন। আমার বস একদিন বলেছিলেন, আপনি এত 'সফট' থাকলে তো কর্পোরেট ওয়ার্ল্ড এ টিকতে পারবেন না, সবাই মিলে ছিঁড়ে ফেলবে। উনার কথা সত্যি হয়েছিল, তবু নিজেকে পাল্টাতে পারিনি। আমারও মনে হয় জীবনের বাকি কটা দিনও এমনই থাকব...সবাই বদলায় না। সবাইকে বোধ হয় বদলাতে নেই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভাল লাগল। সবকিছু যেন ছবির মত দেখতে পাচ্ছি।
লাবন্যপ্রভা
ধন্যবাদ লাবন্যপ্রভা। আপনার মন্তব্য পেয়ে লেখা সার্থক হয়েছে বোধ হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বিষণ্ণময়তা!!!!
অটঃ সতর্কীকরণঃ ভালোবাসা নিয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হওয়া জীবনের জন্য ক্ষতিকর।
যদিও এর ভুক্তভোগী আমিও, তবে তখন কৈশোর ছিল, তাই মাফ করে দেই নিজেকে। এখন হিসেব নিকেশ বুঝে গেছি, কোনটা পাথর কোনটা নদী বুঝতে পারি, আর ভুল হয় না!!!
_____________________
Give Her Freedom!
হুম, বিষণ্ণময়তার দখলিস্বত্ব নিয়ে নিয়েছি জানো না বুঝি ? ভালোবাসা নিয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হওয়া জীবনের জন্য ক্ষতিকর সবাই জানে তবু জীবনের জন্য ক্ষতিকর জিনিসগুলোই যে আমাদের বেশি ভালো লাগে ! দেখো না ছোটবেলায় মা বলতেন বেশি করে খা, নইলে অসুখ করবে, তখন খেতে মোটে ভাল্লাগত না, আর এখন ডাক্তাররা বলেন, বেশি বাচবেন তো কম খান; এখন সেটাও ভালো লাগেনা। খালি খালি আইসক্রিম খেতে লোভ হয়। তবেই বোঝ !
তুমি দেখি তো বিরাট কামেল লোক ! এই বয়েসেই পাথর আর নদীর তফাত বুঝে গেছ !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তাইতো দেখছি শুধু মনটন খারাপ করিয়ে দ্যান, তবে দরকার আছে বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার।
ঠিকই লতাপু, ক্ষতিকর টাই আমরা বেশি করি!!!
কামেল, হা হা। এই আর কী- কেউ পাগল করে দিতে আরবে না আর!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আশাদি, ভালোবেসে যারা বাহ্যিকভাবে পাগল হয়েছে তাদের সহজেই চেনা যায়, কিন্তু যারা অন্তরাত্মায় পাহল তাদের আপনি কিভাবে চিনবেন!!
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ অর্ক রায় চৌধুরী। আমাদের চেনা না চেনায় পাগলদের কি এসে যায় বলুন ? তাতে তাদের দুঃখ-সুখ তো কিছুই বাড়ে কমে না। তাই চেনা না চেনা সমান কথা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা নিয়া আর কি কমু - কঠিন শব্দ টব্দ লাগায়া একটা প্রশংসা বাক্য বানাইতে পারলে ভালো হইত - পারতাছিনা বইলা টু থাম্বস আপ দিলাম।
বাবু পাগলার পার্ট টা পড়তে পড়তে একটা প্রশ্ন মাথায় আইলো - ভালবাসা যে কত্ত ভালো, কত্ত মহত, এইটা বুঝাইতে খালি খারাপ ঘটনার উদাহরন দেয়া লাগে ক্যান? ভালোবাসার লাইগা এক্স আর ওয়াই প্রানত্যাগ করছে, থিটার অন্য জায়গায় বিয়া হওয়ার কারনে বিটা পাগল হয়া গেছে, ভালোবাসার মানুষরে না পাইয়া অমুকে একটা ফাস্ট ক্লাস বৈরাগী হইছে - আরো কত খারাপ খারাপ কথা ! কেউ তো কয় না যে ভালোবাসা সফল হওয়ার কারনে অমুকে একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হইছে, বা তমুকে একজন বিরাট সাইন্টিস্ট হইছে? খালি কয় - "অ্যান্ড দে হাপিলি লিভড এভার আফটার" কে জানে, আমার বুঝার ভুল ও হইতে পারে। যাউক, ধুনফুন কথা বেশী কওয়া ভালো না।
-মেফিস্টো
ভালোবাসাকে খামখা দুষে লাভ কি বলুন ?! এই যে ভালোবাসা সফল হওয়ার কারনে আমাদের এরশাদাদু পিসিডেন হলেন, কই কেউ তো সেটা ভালো কয় না ! অথচ এই যে আমি ভালোবাসার একটা খারাপ গল্প লিখতেই আপনি থাম্বস আপ দিলেন, বিচারটা কেমন হল আপনিই হিসাব করেন !
সে যাহোক, কঠিন শব্দ টব্দ লাগানো প্রশংসাবাক্য দরকার নেই, চমৎকার মন্তব্য পেয়েই আমি বিগলিত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরেহ না। আমি ভালোবাসারে ভালো কইয়া বুড়া আঙ্গুল দেখাই নাই। আপনের লেখা ভালো লাগছে, স্টোরী ডাস নট ম্যাটার।
-মেফিস্টো
আরে বাহ, আমিও যে ঠাট্টাই করছিলাম। মন্তব্য ভালো লেগেছে সেটাই বলেছি। আবারও ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভালবাসা সফল হওয়ার কারণে আমি mathematical economics এর quize এ hamiltonian এর একটা অঙ্ক solve করতে পেরেছি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
(hamiltonian একটা বিটকেল জিনিস কিনা)
অ্যাঁ ! এইসব কি গানিতিক কথাবার্তা ?! আমি অঙ্ক পারিনা, হামিল্টন ম্যামিল্টন চিনিনা এইটা বোঝানর জন্য বুঝি ? তাও আবার মাইক্রস্কপিক সাইজে ! এইসব চল্বেনা কিন্তু হুঁ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বহু যুগ আগে একদিন পরীক্ষার হলে একটা অঙ্ক করতে গিয়ে আটকে গিয়েছিলাম। অতঃপর পাশের টেবিলের মায়াবতী খাতা থেকে ctrl+c >> ctrl+v
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
Hamiltonian পাথ আর সাইকেল চিনি, আপনারা আবার কোন ব্যাটা হামিল্টনকে নিয়ে পড়লেন?
optimal control theory এর hamiltonian
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
Hamiltonian matrix, Hamiltonian group তো নিত্যি দিনই দেখতে হত, একটুখানি Hamiltonian path আর Hamiltonian mechanics চেখে দেখেছিলাম এককালে...
এই Hamilton নামটাই যত নষ্টের গোড়া...
জ্ঞানীদের বিশ্রম্ভালাপ চলছে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এইসকল হ্যামিল্টনিয়ান আলাপ বাদ দিয়া একবার এইখানকার হ্যামিলটনে আইসা বায়ু পরিবর্তন কর্তারেন, না হইলে কোনদিন আবার পাগল হইয়া ছিঃএনএন শিরোনাম হইয়া যান
love the life you live. live the life you love.
আপনি কি কোন লিংক দিলেন নাকি? কাজ করে না তো। আপনি থাকেন কোথায় ভাইয়া?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বস লিঙ্ক দেই নাই(ফণ্ট সাইজ লইয়া এক্সপেরিমেণ্টের ফল!)
আর জিগায়েন না, হ্যামিলটন; বারমুডা।
love the life you live. live the life you love.
বস আপনে বৈরাগী হয়া যাওয়া, পাগল হয়া যাওয়া এর মুদ্রার আরেক পিঠ হিসাবে hamiltonian দেখাইতাছেন, তার মানে কি hamiltonian না পারা আর ভালোবাসায় ফেইল মারা একই কথা?
-মেফিস্টো
আমার দুই নাম্বার মন্তব্যটা দেখেন বস
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যাউক, একটা তাও সাক্সেস স্টোরী পাওন গেলো ইতিহাসে।
-মেফিস্টো
ভালবাসা বিফল হবার কারণে আমি ইন্টারে জিপিএ ৪,৮৯ পাইছিলাম (শুধু বাংলাটা ফস্কে গেস্ল)
শাফি।
কোথাও কোনো উস্কোখুষ্ক পাগল দেখলে আমার মনে সব সময়েই একটি মাত্র প্রশ্ন আসে, কতটুকু ধাক্কা খেলে পর কারো মস্তিষ্ক বিকৃত হতে পারে?!"
আপনার শেষ লাইনটাও অনেকটা এরকমই...
আপনার ছেলেবেলার সময় আর ছেলেবেলার শহরটাতে খুব ঘুরতে যেতে মন চাইছে। কত কি দেখা শোনা জানা হত তবে। আহা ...
ধন্যবাদ বন্দনা।
কত কি দেখা শোনা জানার জন্য অত পেছনে যাবার দরকার নেই তো। আমাদের চারপাশেই হামেশাই কত কিছু ঘটে চলেছে, চাই শুধু দেখার নজর। আর ছেলেবেলার সময়টা তুলে আনার জন্য আমরা বুড়োরা তো আছিই। এই যে লেখার ছবি দিয়ে একটা একটা দৃশ্য তুলে আনছি। এই সময়ের লোকেরা তাতে বিরক্ত না হয়ে ওঠে, সেটাই ভয়ের।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
"কতটুকু ধাক্কা খেলে পর কারো মস্তিষ্ক বিকৃত হতে পারে?!"
নিজের জীবন থেকে একটা কথা বলতে পারি। নিজেকে "মস্তিস্ক বিকৃত" হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে যতটুকু কষ্ট আর মনের জোর নিয়ে আগাতে হয়েছে, সেটা নিজেকে চিরদিনের মত পালটে দেবার জন্য যথেষ্ট।
কেন জানি এখন এ ধরনের পাগলগুলোকে দেখলে সমবেদনার চাইতে রাগে গা জ্বলে বেশী। করুণাটুকু নিজের প্রতিই, সন্দেহ নেই।
প্রবল কষ্টের ভেতরেও মনের জোর নিয়ে আগাতে পেরেছেন এজন্যে আপনাকে সেলাম বাস্তবতা। আপনি নিশ্চয়ই অনন্য একজন মানুষ। সবাই একাজ পারেনা।
ভালো থাকুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কী যে অসাধারণ অভিব্যক্তি, কী অসাধারণ বর্ণনা ভঙ্গি!!
প্রতিটা লেখায় আপনি নিজেই নিজকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
অনিঃশেষ শুভ কামনা---
অনার্য সঙ্গীত একবার বলেছিলেন যে, ভালো লিখে আমি নিজেই নিজের সীমা কমিয়ে এনেছি; কথাটা বড় ভালো লেগেছিল। তারিফ আসলেও আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। তবে সেই সাথে লেখায় আপনার মন্তব্য পাওয়া একটা বিশাল প্রাপ্তিও বটে। এখনও মনে পড়ে, সচলে প্রথম দিন এসেই নীড়পাতায় আপনার একটা লেখা পেয়ে সেই যে সচলভক্ত হলাম, আর কিছুতে ছেড়ে যেতে পারিনা। এজন্যে আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অসাধারণ। কার যে কোথায় টান লাগে, সেই বুঝে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেক ধন্যবাদ সজল। এই জন্যেই আপনার লেখা পড়তে এত ভালো হয়। একটা লাইনে কি সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারলেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এটা কী লিখলেন!
(প্রথম দুটো প্যারা বাকি লেখাটার মুডের সঙ্গে ঠিক মেলে না...)
'কী লিখলেন' এর মানেটা ধরতে পারিনি ঠিকমত এটার মানে কি এইরকম যে, এত রাবিশ লিখে ফেলতে পারি সেটা বিশ্বাস্য মনে হচ্ছেনা আপনার কাছে ?
মুডের কথাটা ঠিকই ধরেছেন।[ ইশ্ আপনার আর অনার্য সঙ্গীতের কাছে ফাঁকি দেয়া যে কি কঠিন, পেত্তেকবার ধরা পড়ি!] সেকেন্ড প্যারাটার শেষে এক দুটো লাইন দিয়ে পরেরটার সাথে মেলালে ভালো হত এ আমারও মনে হয়েছে। কিন্তু লেখাটা প্রায় দ্বিগুণ বড় হয়ে গিয়েছিল, কাটছাঁট করতে করতে এমন বিরক্ত লাগা শুরু করল যে আর সময় দিতে ভালো লাগছিলনা। শেষটায় মনে হল, থাকুক গে, পাগল নিয়ে লেখায় একটু আধটু পাগলামি থেকে গেলই বা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
প্রথম দুটো প্যারা পুরোই বাদ দিয়ে দিলেও অসুবিধা নেই। অন্য কোনো মজার-ধাঁচের লেখায় ঢুকিয়ে দেওয়া যেত।
'কী লিখলেন' এর মানেটা বাকিদের মন্তব্য থেকেই ধরতে পেরে যাবেন। শুধু বলি, যিনি নামাবলীও লিখতে পারেন আবার এই লেখাও (ঐদুটো প্যারা বাদ্দিয়ে) লিখতে পারেন, সেই ভার্সাটাইল লেখকের জন্য
ধন্যবাদ পাঠক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বড় জানতে ইচ্ছে করে ... লেখা (গুড়) হইসে ...
গুড়ের জন্য ধন্যবাদ রিডার। বদলে আপনাকে দিলাম ধনেপাতা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা কষ্টকরই বটে।
অভিজ্ঞতা না থাকলে বোঝা কষ্টকর ঠিক তবে অভিজ্ঞতা থাকলে বোধহয় বেশি কষ্টকর হয়ে যায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শেষ প্যারাটা সত্যিই মন ছুঁয়ে গেল।
পড়ার জন্য অনেকনেক ধন্যবাদ মিলু।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শেষের লাইনটির জন্য আপনাকে কি ভাষায় বাহবা জানাব বুঝতে পারছিনা।
অতি বাহবার খুব বেশি প্রয়োজন নেই nefi পাঠক হিসেবে সাথে আছেন এটাই লেখক হিসেবে আমার অনেক পাওয়া।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কতটা ভালবাসলে মানুষ পাগল হয় সত্যিই জানতে ইচ্ছে করে...
চোখে পানি চলে আসল
অনেক ধন্যবাদ মাজহার। এত আবেগি মন্তব্য পেলে লিখে শান্তি পাওয়া যায়, মনে হয় লেখা সার্থক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ডুপ্লি ঘ্যাচাং।----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ডুপ্লি ঘ্যাচাং।----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
"কতটা ভালোবেসে মানুষ পাগল হয় সত্যিকরে আমাদের জানা হয়না কখনই । মাঝে মাঝে বড় জানতে ইচ্ছে করে।"
আশাদি, এত মন ছুঁইয়ে দেয়া লিখা, কি বলবো, অসাধারন অনেকগুলা লাইন।।
ধন্যবাদ বন্দনা। অনেকই ধন্যবাদ। অনেকদিন আপনার লেখা পড়ি না। আপনারাও লিখুন না। আমরা আবার আপনাদের নাম দিয়ে মজার ধন্ধে পড়ি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি সময় নাই যে, সুপারভাইজারের এর তোপের মুখে আছি, মিছিল মিটিং করতে করতে জান শেষ, সামনে একটা ডেডলাইন আছে, তারপর যদি একটু সময় করতে পারি।যা অবস্থা দাড়িয়েছে, অর্ধ সচল থেকে না জানি অচল হয়ে যাই।
আমার একটু জংলা বাগানই ভাল লাগে।
লেখা চমৎকার লেগেছে। তবে কৌস্তুভের সাথে একমত। ধরনটা মাঝে যেন হঠাৎ করেই পাটে গেল! সংলাপগুলো খুব প্রাণবন্ত - এভাবেই কথা বলে লোকে (একটু এর পর উ-কার টান দিয়ে "একটুউ" লেখাটা ) প্রথম লাইনে কন্দর্পকান্তি শব্দটা খট করে লাগল। এমন না যে শব্দটা এর আগে পড়ি নাই, কিন্তু শুরুতেই যুক্তাক্ষর যুক্ত কম ব্যবহৃত শব্দটা গল্পটার গতি মনে হয় কমিয়ে দিল (মাইর দিয়েন না)।
একটা গান লিখ আমার জন্য - এই প্যারাটা (গুড়) (গুড়) (গুড়) হয়েছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
জঙ্গল আমার ভীষণ প্রিয়। নানু বাড়ি গেলে সারাদিন জঙ্গলের মাঝে ঘুরে বেড়াতাম। কি ভালো যে লাগত। প্রায়ই দেখা যেত কোন একটা গাছে উঠে এমনি এমনিই বসে বসে পা দোলাচ্ছি। আর পকেট ভরা থাকত নানারকম বুনোফল। এর জন্যে মা আমার ফ্রকের মধ্যে আলাদা করে পকেট বানিয়ে দিত। সারাদিন ঘুরে হাত পা কাঁটায় ছিঁড়ে টিরে ঠিক খাবার সময় বাসায় হাজির হতাম। নানু তখন ধরে নিয়ে গিয়ে পুকুরের কাদামাটি মাখিয়ে গোসল করিয়ে দিয়ে বাসায় বানানো সর্ষের তেল লাগিয়ে দিতেন। উফফ তখন যে কি জ্বলুনি রে বাবা। আর শ্যম্পু সাবান তো ছিলই না, পুকুরের পাড়ের কাদামাটিই গায়ে মাথায় মাখাতেন। সেটায় আবার ফেনাও হত ! নানু বেঁচে থাকলে এখনকার শ্যম্পু সাবানের বহর দেখে কেমন তাজ্জব হতেন সেটাই ভাবি।
যাক, মেলাই অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে ফেললাম। লেখার সমালোচনা খুবই পছন্দ হয়েছে। যুগ যুগ জিও। এই লেখাটা বড় জ্বালিয়েছে তবু এটাকে বাগে আনতে পারিনি এ খুব সত্যি কথা। কি আর করা। থাকুক ওর মত।
আর হ্যাঁ, এই ঈদ পরবের সময় এত গুড়ের জন্য মেলাই ধন্যবাদ। পায়েস বানাতে কাজে লাগবে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমাদের চারপাশের পাগলগুলো আপনার চেনাজানা পাগলদের মত এমনই ।কেউ ভাবের কেউ বা ভবের।তবে এদের আঘাতগুলো আমরা খুব কমই সহানুভূতি দিয়ে বিচার করি।তারা আমাদের কাছে কখনো খুব আতঙ্কের,কখনো বা পরিবারের কিছু সদস্যের কাছে অনিঃশেষ যণ্ত্রণা।আপনার লেখা বরাবরের মতই ভালো হয়েছে,খুলে দিয়েছে স্মৃতির কোন বদ্ধ কপাট।
ধন্যবাদ যুমার। স্মৃতির কোন বদ্ধ কপাটের কথা বলাতেই আমারও অনেক কথা ঝাঁপিয়ে মাথায় চলে এল...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভালো লিখেছেন। বিষয়টা পাগলদের নিয়ে বলেই একটা বাড়তি আকর্ষণ কাজ করেছে অনেকের মধ্যে। শিশুদের সাথে পাগলের একটা চিরস্থায়ী আড়ি আছে মনে হয়। আর মানুষের মধ্যে পাগলামির নানা উদাহরণ দেখার মধ্যে বোধ হয় একধরনের বিকৃতি-আস্বাদনের মানসিকতা কাজ করে । মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ মাহবুবুল হক। কিন্তু আপনার বক্তব্য ঠিক পরিষ্কার বুঝিনি। আপনি কি বোঝাতে চাইছেন যে, শুধুমাত্র লেখার বিষয়বস্তুর জন্যেই পাঠকেরা সেটা পড়ছেন, নইলে আসলে এতজন পড়তেন না লেখাটা ? এবং যাঁরা পড়তে আসছেন তাঁরা পাগলামির নানা উদাহরণ দেখে একধরনের বিকৃতি-আস্বাদনের মানসিকতা পরিতৃপ্ত করতে আসছেন ? বোঝার ভুল হলে ক্ষমা চাইছি, কিন্তু একটু পরিষ্কার করে বলবেন কি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খুব ভালো লাগলো লেখা। আরো অনেক লিখুন।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
অনেক ধন্যবাদ সুরঞ্জনা হক আপনার প্রপিকটা এত দারুন, দেখলেই তেষ্টা পায়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার প্রতিবেশী এক পড়ুয়া তরুণ বয়সে এক বছরের বড় আরেক বাবুভাই একদিন হঠাৎ করে পাগল হয়ে গেল। কিন্তু কম্বল গায়ে দেয়া পাগল না। আপাদমস্তক সুস্থ। কিন্তু কেউ ওনার কথা বুঝতে না পারলে ক্ষেপে উঠে ভয়ংকর কান্ড ঘটাতেন।
একদিন সন্ধ্যায় নাটকের রিহার্সাল শেষে বেরিয়ে আসছিলাম, অমনি দেখি বাবু ভাই মাঠের মাঝখানে একা দাঁড়িয়ে। আমাকে হাত ইশারায় ডাকলো। ভয় লাগলেও নানান বিষয় আলাপ করলো সুস্থ মানুষের মতোই। তারপর নিজের বুকে হাত দিয়ে বললো, তুই জানিস এখানে কত কষ্ট? আমি আসলে তখনো জানি না ওখানে কিরকম কষ্ট, তবু ঝামেলা এড়াতে বললাম, জানি বাবু ভাই। খুব জানি। আমি ছাড়া পেয়ে বিড়বিড় করে বলছিলাম, পাগলে কিনা বলে। এখানে আবার কিসের কষ্ট?
অনেক বছর পরে টের পেয়েছি ওখানে কতোটা কষ্ট হলে মানুষ পাগল হয়ে যেতে পারে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আলামিন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নীড় সন্ধানী, এত সুন্দর করে বলতে পারেন আপনি। আমি ক্রমশ আপনার লেখার শক্ত ভক্ত হয়ে যাচ্ছি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার চাচা পাগল ছিলেন। তারপর একটা বোন পাগল হলো। পরিচিতরা মাঝে মাঝে আমারে পাগল বলে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ নজমুল আলবাব। এই বিশেষণটি আমরা অনেকেই পাই কখনও না কখনও।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার গদ্যভঙ্গী চমৎকার। আপনার এই লেখাটি আগের কয়েকটি লেখার তুলনায় অনেক বেশি রকমের ভালো হয়েছে বলবো।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
ধন্যবাদ সুমন তুরহান।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সুন্দর।
মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো সুহান রিজওয়ান। আমার সচল যাত্রায় সাথে থাকায় কৃতজ্ঞতা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা খুব ভালো হয়েছে। আশাকরি চালু থাকবে কিবোর্ড।
একজন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বন্ধুর কথা মনে পড়ল। এক সহপাঠীর প্রেমে পড়েছিল সেই প্রথম সেমেস্টারে। সেটা সফল না হওয়াতে পাগলামির শুরু এবং পড়ালেখাতে ইতি। তবে শুনেছি অনেক বছর পর আবার পড়া শুরু করেছিল এবং সাফল্যের সাথে সেটা শেষ করেছে। কিন্তু সবাই কি আর পারে?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
প্রিয় লেখকের মন্তব্য পেয়ে ভারী ভালো লাগলো। এমন একজন পাগলের পাল্লায় আমি নিজেই পড়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। সে-ও এক আলাদা গল্প।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সে গপ্পো জনগন জান্তে চায়
শাফি।
লেখায় । মন খারাপ হয়, কত স্মৃতি উঁকি দেয়
শাফি।
ধন্যবাদ shafi.m
জনগণকে একটু সবুর সইতে বলুন। আমি তো জীবনের গল্পই বলি; কোন লেখার সুতোয় সেই গল্প চলেও আসতে পারে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ মাহবুব মুর্শেদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হ
হ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দীর্ঘশ্বাস।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
শেষের প্যারায় এসে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলাম তা সে গদ্যরীতির কারণে বলাই বলাই বাহুল্য।
অট: আপনার জন্যও এক্টা আইএসও সিল তৈরি কর্তে হবে দেখছি
love the life you live. live the life you love.
হ্যাঁ, অন্য পোস্টটায় একজন লিখেছেন, "আমাদের ঠাম্মি সব কিছুতে সেরা, জয় ঠাম্মির জয়।", ওইটা স্লোগান হতে পারে...
বলছেন ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ওনার জন্য ISO না, আমাদের সবার জন্য একটা "অ্যাশলোটা 2011:abcd" সিল বানান (abcd বোঝাবে কোন বছর পর্যন্ত কোয়ালিটি গ্যারান্টিড)...
হুঁহ্, লিখতে লিখতে আঙ্গুলে কড়া পড়ে কিবোর্ডের চল্টা উঠে গেল, তবু এখনও অতিথি নামের ল্যাজ খসিয়ে সচল জামা পেলাম না; আর এদিকে এনারা সিল টিল নিয়ে দলবেঁধে পেছু লেগেছেন। তারচে সবাই মিলে পাষাণ হৃদয় মডুদের 'আশালতাকে সচল করা হউক' শিরোনামে একখানা সম্মিলিত এপ্লিকেশন দিতেন তো দরদ বুঝতাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওটা বলতে পারছি না ঠাম্মি, বেশি জ্বালালে যদি আমার ন্যাজখানা খসাতে রাজি না হয়? আগে নিজের ন্যাজটা খসাতে দিন তারপরেই আন্দোলন শুরু করবো
দিদি, আপনার সাথে আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের অনেক অভিজ্ঞতাই দেখি মিলে যাচ্ছে! শুধু আপনাদের মত অত সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারব না বলে আর লেখা হয় না।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
বিনয়টা বেশি হয়ে গেলনা ? আপনি আপনার মত করে লিখবেন সেটাই নিজের মত করে সুন্দর হয়ে উঠবে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ব্যাপারটা 'বিনয়' সম্পর্কিত না দিদি, 'লিটারারি কোষ্ঠকাঠিন্য' সম্পর্কিত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
'তোমার উপেক্ষা পেলে অনায়াসে ভুলে যেতে পারি
সমস্ত বোধের উৎস গ্রাস করা প্রেম; যদি চাও
ভুলে যাবো, তুমি শুধু কাছে এসে উপেক্ষা দেখাও।
আমি কি ডরাই সখি, ভালোবাসা ভিখারি বিরহে?'
শেষের লাইনে ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কি সুন্দর করে বলতে পারে মানুষ !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
যাকে নিয়ে এই লেখা তার কষ্ট আমি ছিটেফোটা উপলব্ধি করতে পেরেছি কিনা সন্দেহ। কারন, তার কষ্টের বিশালতা শুধু সেই জানে। কতটা কষ্ট পেলে ভালোবেসে পাগল হয় সেটা কল্পনা করতেই আমি বিশাল এক কষ্টের সমুদ্রে পড়ে যাচ্ছি।
আসলেই মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে করছে রে!
আমরা কেউ কখনও অন্যের কষ্ট ছুঁতে পারি কি ? মনে হয়না। সে সবার একান্তই নিজের জিনিষ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন