হাইওয়ে ম্যানেজমেন্ট নিয়ে দেখা কিছু অভিজ্ঞতার শেয়ার

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২১/০৮/২০১১ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলদেশে সড়ক দূর্ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে যে হারে যানবাহন বেড়ে চলেছে, তার সাথে সঙ্গতি রেখে মহাসড়ক ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতার যথাযথ উন্নয়ণ ঘটেছে কি না তা সম্ভবত কখোনোই খতিয়ে দেখা হয়নি। আমাদের বর্তমান মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রীমহোদয় সৈয়দ আবুল হোসেন যে কোনও ইস্যুতেই হাসিমূখে ক্যামেরার সামনে বানীর ফল্গুধারা ছুটিয়ে চলেন। কিন্তু তিনি একবারও ভাবেন না যে তার এই হাসির পিছনে কতো শতো পরিবারের কান্নার রোল বাতাসে ভাসছে। মন্ত্রীমহোদয় তবুও হেসেই চলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতার অন্যতম মেধাবী দুই মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর মন্ত্রীবাহাদুর না জানি কোনও গায়েবানা শক্তির বলে বানী দিয়ে বসলেন যে মাইক্রোবাস চালকের ওভারটেকিঙের কারনে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে বানী প্রসব করতে করতে তিনি কিন্তু ক্রমশ নিজেকে জাতীয় ভাঁড়ে রূপান্তরিত করে চলেছেন। সব সরকারের আমলে দু’একটা ভাঁড়মন্ত্রী থাকে। বর্তমান সরকারের আমলে মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রীবাহাদুর ক্রমশ নিজেকে সেই ভাঁড়ের স্থানে অভিসিক্ত করছেন। বিশিষ্ঠ ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন ‘আমার আবুল হাসে’ ছড়ায় যথার্থই লিখেছেন,

শেখ হাসিনার পাশে
ফাইল বগলে সুটেড বুটেড ব্যার্থ আবুল হাসে।

আমাদের দেশে (এবং সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ার বা আফ্রিকার দেশগুলোতে) শিক্ষাগত এবং ক্যারিয়ার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়না। তাই যদি হতো তবে নিঃসন্দেহে যোগাযোগ মন্ত্রী হওয়ার উপযুক্ত ছিলেন বঙ্গবেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজেমেন্টে একজন মাস্টারডিগ্রী হোলডার। বর্তমান পার্লামেন্টে সম্ভবত এই বিষয়ে এতোখানি যোগ্যতাসম্পন্ন আর কেউ নেই।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রকৌশলী নই এবং প্রকৌশল আমার ক্ষুদ্র মস্তিকে ঢোকেনা। তাই কারিগরী বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারবোনা। এটা সম্পূর্ণই নন টেকনিক্যাল লেখা। তবে আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হলো নিজের চোখে দেখা কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করা যে কিভাবে আমাদের মতো অনুন্নত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো তাদের হাইওয়ে ম্যানেজ করছে যাতে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করার মাধ্যমে মানুষের অকালমৃত্যু হ্রাস করা যায়। আমি এখানে কেবলমাত্র আমাদের অঞ্চলের কয়েকটা দেশের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই যেগুলো বাংলাদেশে কেনো, যে কোনও দেশেই অত্যন্ত সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

গতকাল শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলীয় শহর ভাভুনিয়া থেকে সড়ক পথে আসছিলাম পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান শহর বাট্টিকালোয়ায়। অফিসের গাড়িতে কেবলমাত্র ড্রাইভার এবং আমি। এখানে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ট্যাক্স, ইনস্যুরেন্স, হেলমেট, এইসব অত্যন্ত কড়াকড়ির সাথে চেক করা হয়। একই সাথে হাইওয়েতে স্পীড চেকও করা হয় অত্যন্ত কড়াকড়ির সাথে। স্পীড লিমিট অতিক্রমের জরিমানা ১,২০০ লঙ্কান রূপী, ৩ বার করলে সাময়িক লাইসেন্স বাতিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ক্যামেরা কোথায়? মনে হলো শ্রীলঙ্কানরা পাকিস্তানীদের মতো মাথামোটা নয়। পাকিস্তানে রাস্তার পাশে বিশাল সাইনোবোর্ড ঝুলিয়ে রাখে, “স্পীড ক্যামেরা এ্যাহেড।” তার মানে, বাবারা এবার একটু স্পীডটা কমাও। ক্যামেরা পার হয়ে আবার বাড়িও। শ্রীলঙ্কায় কোত্থাও একটা এরকম সাইনবোর্ড দেখলাম না। কিন্তু দেখলাম অন্য জিনিস। রাস্তার পাশে ঝোপের আড়ালে স্পীডোক্যাম হাতে দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ অফিসার। জিনিসটা দেখতে অনেকটা হেয়ার ড্রায়ারের মতো। ওটা সামনে থেকে গাড়ি চলে গেলে ক্ষুদ্রাকৃতির মনিটরে গাড়ির গতি রিডিং আকারে আসে। পুলিশগুলো এমন এমন সব জায়গায় পজিশন নেয় যে দুর থেকে ওদের দেখা যায়না। কোনও গাড়ি নির্ধারিত গতিশীমা অর্থাৎ ৭০ মিলোমিটার পার আওয়ার থেকে বেশি গতিতে ওই হেয়ার ড্রেসারসদৃশ্য বস্তুটার সামনে থেকে চলে গেলেই সাথে সাথে রেডিওতে মেসেজ চলে যাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। রাস্তাজোড়া ব্যারিকেড, গতি কমিয়ে সাপের মতো এঁকেবেকে পার হতে হয়। সুতরাং ধরা পড়তে হবে নির্ঘাৎ। এগুলো আমাদের ড্রাইভার ভাই যেতে যেতে আমাকে জানালো। শ্রীলঙ্কার তামিল অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মতো রাস্তায় এতো পুলিশ এবং আর্মি আমি পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখিনি। আগে নাকি গতিসীমা অতিক্রম করলে স্পট ফাইনের ব্যবস্থা ছিলো। এখন কেস দেওয়া হয় এবং কোর্টে গিয়ে ফাইন দিয়ে গাড়ির কাগজ ফিরিয়ে আনতে হয়। এখানে ভালো লাগলো যে রাস্তার পার হওয়ার জন্যে পথচারী বা স্কুলের বাচ্চারা জড় হলেই গাড়ি আপনা আপনিই থেমে যাচ্ছে। কাউকে হাত পর্যন্ত উচু করতে হচ্ছেনা। এখানে ওভারটেকিঙের প্রবনতা নেই বললেই চলে। যদি সামনের গাড়ি বাঁ দিকের ইন্ডিকেটর জ্বেলে দেয়, তবেই পিছনের গাড়ি ওভারটেক করে; নয়তো কখোনেই ওভারটেক করবে না। আর আমাদের দেশের ড্রাইভার সাহেবেদের মনে হয় গুহ্যদ্বারের মধ্যে সবসময় একটা পেরেক আধা ঢোকানো অবস্থায় থাকে। ওভারটেক না করা পর্যন্ত ওটা খোঁচাতে থাকে।

নিচে পোর্টেবল স্পিডক্যামের একটা ছবি জুড়ে দিলাম-

পাকিস্তানের মাথামোটাগুলোর কাছ থেকে অনেক শিক্ষণীয় আছে হাইওয়ে ম্যানেজমেন্টের উপর। স্পীড ক্যামেরার কথা তো আগেই বলেছি। পাকিস্তানের মোটরওয়ের কথা অনেকেই শুনেছেন। মাঝখানে ডিভাইডার দেওয়া এবং লেন বিশিষ্ঠ এই রাস্তা যেখানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পর্যন্ত টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং করতে পারে। এই মটর ওয়েতে দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নিতান্তই কম যদি সবাই ঠিকমতো লেইন বজায়। এখানে প্রতি ৫ মিনিট পরপর পুলিশের পেট্রোল কার পাবেন। বিপদজনক বাঁকগুলোতে এমন ভাবে স্পীডব্রেকার দেওয়া যে ড্রাইভারের বাপেরও সাধ্যি নেই পায়ে হাঁটা গতির থেকে বেশি কিছু জোরে গাড়ি চালিয়ে যায়। আর এইসব বিপদজনক জায়গাগুলোতে পুলিশ বা আর্মি থাকবেই। এখন একটু চিন্তা করে দেখুন যে আমাদের ঢাকা আরিচা মহাসড়কে এরকম বিপদজনক বাঁক কতগুলো আছে। শুধুমাত্র বিপদজনক বাকগুলোতে কিছু ধুমধাড়াক্কা স্পীডব্রেকার দিতে সরকারের কি নিদারুণ অর্থসংকট ঘটেছে নাকি সেখানে সদিচ্ছার অভাব? অথচ দেখেন, যেখানে স্পীডব্রেকার লেস প্রায়োরিটি, সেই খুলনা থেকে শুধুমাত্র যশোর পর্যন্ত ৬৪ টা স্পীড ব্রেকার! আগে শুনতাম স্পীডব্রেকার নাকি ডাকাতিবান্ধব। যেখানে সেখানেতো তো আর স্পীডব্রেকারের পক্ষে ওকালতি করছিনা। শুধু বলছি বিপদজনক বাঁকগুলোতে এর প্রয়োজনীয়তার কথা। আমাদের মহাসড়কগুলোতে এমন এমন বাঁক পাবেন যেখানে বাঁকের অপর দিকের কিছুই দেখা যায়না। এছাড়া হাইওয়ে পেট্রোল পুলিশের ক্যাপাসিটি বাড়ানো খুবই প্রয়োজনীয়।

নিচে পাকিস্তান মোটরওয়ের একটা ছবি জুড়ে দিলাম-

অনেকবছর আগে কলকাতা থেকে স্টেটবাসে বসিরহাট এসেছিলাম। বেপরোয়া ড্রাইভিং কাকে বলে সেবার দেখেছিলাম। এছাড়া বনগাঁ এবং কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী ট্যাক্সি এবং সুমোগুলোর চালকদের কথাও বলতে হয়। চালানো দেখে মনে হয় জীবনের শেষ ট্রিপ নিয়ে নেমেছে। কিন্তু চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, বোম্বে, পুণে, এইসব রুটে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থা। এখানের চালকরা যথেষ্ঠ সামলে চালায়। গতিসীমার মধ্যে থেকেই চালায় এবং অনর্থক ঝুঁকি নেয়না। একবার পুণে থেকে বোম্বে আসার সময় বোম্বে ঢোকার একটু আগে বিশাল ট্র্যাফিকে পড়ে গেলাম। পাশের সীটে বসা বান্ধবী মেরী ঘটনা ব্যাখ্যা করলো। হাইওয়ের পাশের জায়গাগুলো অবাধে মদ-গাঁজা-ড্রাগসসেবন এবং যৌনাচারের ক্ষেত্র। সেখানে হাইওয়ের পাশে গাড়ি পার্ক করে রেখে লোকজন ঢালে নেমে যায় এইসব কাজকাম করতে। এতে করে ট্র্যাফিক সৃষ্টি হয় এবং বেসামাল লোকজন প্রচুর এ্যাক্সিডেন্ট ঘটিয়ে থাকে। তবে ওইদিন পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়েছে। স্মেইল ডিটেক্টরের কথা এই প্রথম শুনলাম। এই মেশিন মুখের সামনে ধরে নিঃশ্বাস নিলে নাকি চালকের অবস্থা বোঝা যায় যে সে এ্যালকোহল, ক্যানাবিস বা অন্য কোনও ড্রাগের ইনফ্লুয়েন্সে আছে কি না। আমাদের দেশেও কিন্তু দেখবেন হাইওয়েতে গাড়ি পার্ক করে রাখা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। এছাড়া সাইডওয়ে থেকে ধুমধাম ডান-বাম না দেথে হাইওয়েতে গাড়ি নিয়ে ঠেলে ওঠা চালকদের স্বাভাবিক একটা প্রবনতা। এক্ষেত্রে পুলিশের যেনো কোনও মাথাব্যাথা নেই।

নিচে স্মেল ডিটেক্টরের একটা ছবি জুড়ে দিলাম। তবে ধারণা নেই যে ছবির যন্ত্রটা নিঃশ্বাস থেকে মানুষ সনাক্ত করে নাকি বেসামাল অবস্থা নিরূপন করে-

আফগানিস্তানের একটা বিষয় বেশ ভালো লেগেছে। এটা একটা নির্দিষ্ট এলাকায় যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করায় বেশ কাজে আসে। ওখানে এক প্রদেশের রেজিষ্টার্ড গাড়ি অন্য প্রদেশে ঢুকতে পারেনা। হ্যাঁ পারে অবশ্য, তবে তার জন্যে দিতে হয় প্রতি দিনের হিসেবে মোটা অংকের রুট ট্যাক্স। কেউ যদি তাখ্বার প্রদেশের গাড়ি নিয়ে তালেক্বান প্রদেশে ঢুকতে চায়; তবে তালেক্বানের বর্ডারে তাকে কয়দিন থাকবে সেই ডিক্লারেশন দিয়ে প্রতি দিনের জন্যে নির্ধারিত ফিস দিয়ে রিসিট নিয়ে তালেক্বানে ঢুকতে হবে। বেরোনের সময় তাকে সেই রিসিট আবার বর্ডারে দেখাতে হবে। রিসিটে উল্লিখিত সময়ের থেকে কম থাকলে ক্ষতি নেই কিন্তু অবস্থান বেশি সময় হয়ে গেলে অতিরিক্ত সময়ের জন্যে আবার ফি দিয়ে তবেই বেরোতে হয়। আবার স্থায়ীভাবে নতুন কোনও এলাকার জন্যে প্লেট বদলাতে হলেও বিশাল অংকের ফিস। আমার বন্ধু মনুচেহের আমীরীর গাড়ি হেরাতের রেজিস্ট্রেশন। সে ভাবছিলো গাড়ি কাবুলের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে কাবুলে এনে ব্যবহার করবে। কিন্তু যেইনা মনুচেহের ফিসের অংক জানতে পারলো, তার আশার গুড়ে বালি। হতাশার সাথে বলছিলো একদিন। তাই দেখেছি আফগানিস্থানে মানুষ দুরের পথে ভেঙে ভেঙে যাতায়ত করতেই অভ্যস্থ। আমাদের দেশের যোগাযোগ অবকাঠামোতে মনে হতে পারে এটা হয়তো দুঃসাধ্য। কিন্তু যদি ছোট গাড়িগুলোকে এই রেগুলেশনের আওতায় আনা সম্ভব হয়, তবে কিন্তু তা ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে। এবং এতে করে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মানুষের আগ্রহ বাড়বে এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট সেক্টর শক্তিশালী হয়ে ভালো সার্ভিস অফার করতে পারবে। বিকল্পভাবে, হাইওয়েতে ছোট গাড়ির চলাচলের উপর চড়া হারে টোল ধার্য করাও যেতে পারে।

আমাদের পলিসি লেভেলের বড়কর্তাদের মাথা অনেক বড়ো তাই মাথায় অনেক জ্বালা। এইসব বিষয় যে তারা জানে না তা কিন্তু আমার মনে হয়না। আমার বিশ্বাস তারা এই উদাহরণগুলো সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত আছে। কিন্তু তাদের সদিচ্ছার অভাব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ইনডিয়া বা আফগানিস্তান যদি এইসব বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে আমরা পারবো না কেনো? তবে কি আমাদের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবাহাদুর, সংসদীয় কমিটির বোজর্গান সদস্যমণ্ডলী এবং আমলাহুজুরদেরকে আমরা কয়েকদিনের জন্যে ইনডিয়া, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা পাঠাবো অথবা পাকিস্তানের মাথামোটাগুলোর কাছে পাঠাবো ক্রস ভিজিট করে হাইওয়ে ম্যানেজমেন্টের আনুষ্ঠানিকভাবে লার্ণিং নেওয়ার জন্যে?

ছবিসূত্রঃ ১. স্পীডক্যাম, ২. পাকিস্তান মোটরওয়ে, এবং ৩. স্মেল ডিটেক্টর

নদীর পাড় ঘেঁসে রিভিয়েরা রিসর্টের রেস্টুরেন্টে বসে লিখছি
বাট্টিকালোয়া, শ্রীলঙ্কা
২১ অগাস্ট ২০১১, সন্ধা ০৮:০০

পাদটীকা

  • ১. প্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় জনপ্রিয় ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটনের বিনা অনুমতিতে তার ছড়ার দু'টো লাইন কোট করলাম এজন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। আশাকরি তিনি এই প্রিভিলেজটুকু দেবেন।

মন্তব্য

বিলাস এর ছবি

চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

সবদেশেরই উন্নতি হয়, হয় না শুধু আমাদের!!!! খালি ওয়েবসাইট/পেইজ খুলে গেলেই তো আর দেশ ডিজিটাল হৈবো না, এই কথা 'ডিজি টাল' সরকাররে কে বুঝাইবো!!! খালি হতাশা..............

বদ্দা, দুই ছাগু মন্ত্রীরে বারবার 'মাননীয়' বললেন ক্যান, বলেন তো!!??


_____________________
Give Her Freedom!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বদ্দা, দুই ছাগু মন্ত্রীরে বারবার 'মাননীয়' বললেন ক্যান, বলেন তো!!??

কি কঁহচ বুইঝ্যা কঁহচ তো? খাল খিচ্যা লিবেক বুইলচি। কাকে লাড়িত্যে কাকে লাড়িচ্চো, পাছতে পারেনি। খাল খিচ্যা লিবেক বুইলচি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

থুক্কু বদ্দা, আচলেই বুইঝ্যা কই নাই। নৈলে হাইকোর্ট আবার আম্রে দেহা কৈরতে কৈবেক!!! ভুই পাইছি।। অবশ্যি তেনারা মান্নীয়!!! দেঁতো হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হুঁ, এমন প্যাঁদান প্যাঁদাবে যে পোঁদের চামড়া খুলে রেখে আসতে হবে। খুব হুশিয়ার!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

স্বপ্নবাবা এর ছবি

একটা টেকসই যোগাযোগ পরিকল্পনার (STP) বড়ই অভাব আমাদের দেশে; রাস্তার যত্রতত্র স্পীড ব্রেকারকে আপনি এরই ফসল বলতে পারেন। খুলনা থেকে যশোরের পথে গড়ে প্রতি কিলোমিটারে একটি স্পীড ব্রেকারের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিটা যানবাহনকে (পৃথিবীর অন্য কোন হাইওয়েতে এত ঘনঘন স্পীড ব্রেকার আছে কিনা সন্দেহ)। এক দিকে ফেরী পারাপারে দেরি অন্য দিকে স্পীড ব্রেকারের আধিক্য এই রুটের যানবাহনগুলোকে কি নন-স্পীড ব্রেকার জোনে বেপরোয়া চলাচলে পরোক্ষভাবে প্রলুব্ধ করছে না? তবে প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ত্রুটিপূর্ণ ডিজাইন, ট্রাফিক রুল না মানা, চালকের অদক্ষতা এবং পথচারীর অসতর্কতা; এই চারটি ফ্যক্টরের কোন না কোনটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তোমার মতামতের সাথে সম্পূর্ণ একমত। জানো তো সম্প্রতি মন্ত্রীবাহাদুর ২৪,০০০ চালককে দক্ষতার পরীক্ষা ছাড়াই ডিএল প্রদান করেছেন!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

স্বপ্নবাবা এর ছবি

এ ব্যাপারে শ্রদ্ধেয় হাশেম স্যারের একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস না বললেই নয়ঃ

An Accident is really an Accident but:

আমরা এমনই বিবেকহীন যে “অতি মূল্যবান একটি গাড়ী----অশিক্ষিত একজন ড্রাইভার (দুর্নীতির মাধ্যমে এই ড্রাইভার এর জন্ম) এর হাতে তুলে দিয়ে -----নিজে তাতে আরামে করে চড়ে বসি এবং সুস্থভাবে নিজ গন্তব্যে পৌঁছানের আশা করি”। এভাবে বাংলাদেশে দিবা রাত্রি কেটে যায়......এবং একদিন পটলতুলি!!!!!!!! দুর্নীতিতে আক্রান্ত রাস্তাও কম দায়ী নয়......

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দুর্নীতিতে আক্রান্ত রাস্তাও কম দায়ী নয়......

ভালো উদ্ধৃতি দিয়েছো ইঞ্জিনিয়ার। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা মহাসড়কের জন্মই দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে। দেখি দুর্নীতির কয়েকটা খাত বের করা যায় কি না-

১. রূট নির্বাচনে দুর্নীতিঃ মূলত ক্ষমতাশীন দলের নেতারা চান হাইওয়ে তাদের বাড়ির কাছ থেকে বা কন্সটিটিউয়্যান্সির উপর দিয়ে যাক। প্রকৃত প্রয়োজনটা কতটুকু খতিয়ে দেখা হয় তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

২. ল্যান্ড এ্যাকুইজিশনে দুর্নীতিঃ যাদের জমি সড়কের জন্যে অধিগ্রহণ করা হয়; বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জমির প্রকৃত ইভালুয়েশন করা হয়না। আর এই টাকা উদ্ধার করতে গিয়ে বাপ-দাদাসহ চৌদ্দগুষ্টির নাম ভোলার উপক্রম হয়। ঘুষ ছাড়া একটা পয়সা ট্রেজারী থেকে বের করা যায়না।

৩. ঠিকাদারী চুক্তি প্রদানে দুর্নীতিঃ এর ব্যাখ্যায় আর না যাই। লইজ্জা লাগে

৪. নির্মাণ সরঞ্জামে দূর্নীতিঃ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী নির্মাণ সামগ্রী এই জীবনে কোনও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেনেনা। স্থানীয় জননসাধারণ এর প্রতিবাদ করতে আসলে তাদের নামে চাঁদাবাজীর মামলা দেওয়া হয়। আর স্থানীয় এমপি/চেয়ারম্যানকে বখরা না দিলে অবশ্য কেইস ঘুরে যায়।

৫. টেকনিক্যাল ভ্যারিফিকেশন ও সার্টিফিকেশনে দুর্নীতিঃ নয়রে ছয়, ছয়রে নয়; মালেকরে খালেক আর খালেকরে মালেক বানানোর পরও টেকনিক্যাল ভ্যারিফিকেশনের স্যাটিসফ্যাকটরি রিপোর্ট আসে এবং সম্পন্ন কাজটুকু সার্টিফায়েড হয়ে যায়।

৬. রানিং বিল প্রসেসিংএ দুর্নীতিঃ চলতি বিলের জন্যে যতটুকু শতাংশ কাজ সুসম্পন্ন করতে হয়, তার থেকে অনেক কম কাজ সম্পন্ন করে, সার্টিফিকেশন নিয়ে রানিং বিল প্রসেস করা হয়।

৭. কস্ট ওভার রানে দুর্নীতিঃ ভূয়া কস্ট ওভার রান এস্টিমেট তৈরী করে, ভ্যারিফায়য়িং কমিটিকে মাল খাইয়ে বিপুল অংকের কস্ট ওভার রান অনুমোদন করিয়ে নেওয়া হয়।

৮. চুড়ান্ড বিল প্রসেসিংএ দুর্নীতিঃ অনেক ক্ষমতাশালী ঠিকাদার তো কাজ শেষ হওয়ার আগেই চুড়ান্ড বিল দাখিল করে বসে থাকে সার্টিফিকেশন সহ। আবার অনেক শেয়ানা ঠিকাদার তার জমানতের টাকার কৌশলে ব্যবহার করে। কিভাবে? একই ডিপার্টমেন্টে যখন অন্য কোনও কাজের ঘোষনা দেওয়া হয় তখন তারা তাদের আর্নেষ্ট মানি কম জমা দেয়। মোট আর্নেষ্ট মানি থেকে ডিপার্টমেন্টে জমা থাকা জমানতের টাকা মাইনাস করে তারপর তারা আর্নেষ্ট মানির ড্রাফট করে।

৯. মেরামত/সংস্কারকাজে দুর্নীতিঃ তৈরীর পর টেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে গিয়ে অনেক সময় সংস্কারের কাজকে স্প্লীট করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়।

আপাতত এই ক'টাই মনে আসলো। একটা রাস্তার জন্ম যদি এতোগুলো দুর্নীতির মধ্যে দিয়ে হয় তবে আর কি বলবো! রাস্তা তো মাঝেমধ্যে একটু বিগড়াতেই পারে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

The Reader এর ছবি

হাসি পইড়া ফালাইসি চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বেশ বেশ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানভীর রাব্বানী এর ছবি

আপনার সাথে একমত। ক্যারিয়ার বা ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে কেন মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়না, এই বিষয়টা আমার কাছে বোধগম্য নয় (কেবল মাত্র অর্থমন্ত্রীর পদটাতে ব্যতিক্রম দেখে আসছি)। আমি বলছি না যে মন্ত্রিত্ব করার জন্য ব্যাকগ্রান্ড মাষ্ট তবে হ্যা অভিজ্ঞতা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাটার্স!

আপনি হাইওয়ে ম্যানেজমেন্ট এর ব্যাপারে যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, আমার ধারনা বিষয় গুলো আমাদের হর্তাকর্তা ব্যাক্তিরা জানেন; কারন আমাদের মন্ত্রিবাহাদুর এবং আমলাহুজুররা আর কিছু করেন আর না করেন নিয়মিত বিদেশ ভ্রমন করে থাকেন এবং সেখানকার রাস্তাঘাট তাদের এই প্রকাশ্য জ্ঞানটুকু দেয়ার কথা। তবে কেন বিষয় গুলো বাস্তবায়িত হয়না তার প্রধান কারন সম্ভবত সদিচ্ছা/ ব্রেড এন্ড বাটার এর ভাগ। আসলে যতদিন না আমাদের এই প্রতিনিধিত্বমূলক গনতান্ত্রিক সরকার ব্যাবস্থায়- স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হবে ততদিন আমাদের পাতালরেলের স্বপ্ন নিয়েই ঘুমাতে যেতে হবে আর সত্যিকারের মরনফাদ মুক্ত হাইওয়ে ঘুমাবে পত্রিকা কিংবা ব্লগের পাতায়!

তবু অনেক খেটে চমৎকার একটা লিখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ....

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ তানভীর রাব্বানী। গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, স্বচ্ছ জবাবদিহিতা। এই সোনার হরিণের পিছনে এই অভাগা জাতির আর কতো ছুটতে হবে কেউ বোধহয় তা জানেনা।

আসলে লেখাটি তৈরী করতে একটুও খাটতে হয়নি। শুধু চোখে দেখা বিষয়গুলো তুলে এনেছি আর অনবরত নিজেকে প্রশ্ন করেছি যে ওরা পারলে আমরা কেনো পারছিনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অপছন্দনীয় এর ছবি

কী দরকার এত কিছু করার? দু'চারটা মানুষই নাহয় মরলো - ওরা তো আর পলিটিক্যাল ক্যাডার না যে মরলে কোন ক্ষতি হবে।

এই মটর ওয়েতে দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নিতান্তই কম যদি কি না কেউ ঠিকমতো লেইন বজায় না রাখে।

একটু কনফিউজিং মনে হলো। সম্ভবত ব্যাপারটা হবে,

এই মটর ওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নিতান্তই কম যদি সবাই ঠিকমতো লেইন বজায় রাখে
এই মটর ওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নিতান্তই কম যদি কেউ লেইন না ভাঙে

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিক্কর্দিলুম। ধন্যবাদাপ্নাকেভ্লুথাকুন। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাংলাদেশের সড়কব্যবস্থা উন্নত কর্তে আইটিএস (ইন্টেলিজ্যান্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম) ছাড়া উপায় নেই।

অট: শোষক পাকিস্তান বাংলাদেশরে শুইষা কি রাস্তা কর্সে দ্যাখেন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমাদের শোষণ করার কাম নাই। নেপালে দ্যাখেন, কম্বোডিয়ায় দ্যাখেন, লবিং কইরা, দাতাগোর পাও ধইরা হাইওয়ে ম্যানেজমেন্টে কি পরিমান উন্নতি করতেছে। SAMES Pvt. Ltd. নামের একটা দালালী প্রতিষ্ঠান আমার কাছে রেগুলার সিভি খোঁজে।

ইচ্ছা থাকলে উপায় ঠিকই বের হৈয়া যায় বস। আর উপায় বের হৈলে কমিশনও বের হৈয়া যায়। কিন্তু বুঝতেছি না যে ক্যান আমাগো হাস্যবদনা ইচ্ছা পোষন করতেছে না। চিন্তিত

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ইন্টারেস্টিং অভিজ্ঞতা। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনাকেও পড়ার জন্যে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

লাইট ক্যামেরা লাইসেন্স জরিমানা এসবে হবে না। বাংলাদেশে মুগুর থেরাপি দরকার ট্রাফিক সামলানোর জন্য
ট্রাফিক আইন ভাঙলে সোজা মুগুর দিয়ে পিটিয়ে গাড়ি ভাংচুর
একটা মাত্র একসপ্তা করলে দেখবেন মালিকরাই প্যাদানি দিয়ে ড্রাইভারদের ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করবে। আর যারা নিজেরা চালায় (এই দলেই লাইসেন্ন বিহনী আর মূর্খদের সংখ্যা বেশি) তারা তো গাড়িই চালানো বাদ দিয়ে দেবে

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ছোট বেলায় একটা হিন্দি সিনেমাতে দেখেছিলাম পুলিশ কমিশনার ধর্মেন্দ্র পাগলা মস্তান সেজে মুগুর দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে বেড়াচ্ছে। আমি নিশ্চিত, এই থেরাপি কাজে দেবে। আর যদি কোনও কায়দায় কোন বিগ শটের গাড়িতে একটা বাড়ি দিতে পারে। হাততালি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশালতা এর ছবি

পড়ে তো ফেললাম কিন্তু কথা হচ্ছে 'বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধিবে কে ?!'

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সেটাই তো কথা বুবু!!! আমরা তো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মুষিকবর। তবে লাখো মুষিক এক হয়ে মেকুরবরকে একটা ধাওয়া দেওয়ার চিন্তা করা যাইতে পারে। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মাহবুবুল হক এর ছবি

একটা ব্যপার অস্বীকার করা যায় না, আপনি যেসব দেশের উদাহরণ দিলেন সেসব দেশের চেয়ে বাংলাদেশের রোডগুলোতে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। যেকোন ট্রাফিক ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে যদি মিনিটে ২০০ গাড়ি চলার কথা যে রাস্তায় সেখানে ২০০০ গাড়ি চলে। আর বাংলাদেশের হাইওয়ে ব্যবস্থা অত্যন্ত উদার- হাইওয়েতে ইচ্ছামত গরু-ছাগল চরানো যায়, ধান-পাট শুকানো যায়, যেখানে-সেখানে গাড়ি থামানো যায়, গরুর গাড়ি-রিকশা-সাইকেল-ভটভটি চালানো যায়, দলবেঁধে স্কুলগামী শিশুরাও হাইওয়ে দিয়েই যাতায়াত করে, মাথায় বোঝা নিয়ে অপ্রশস্ত রাস্তার পাশ দিয়ে প্রায় অন্ধের মত চলতে থাকে কৃষক,মজুর। এতটা অবাধ আর কোন দেশের হাইওয়ে পাবেন ?

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত যে আমাদের হাইওয়েতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত গাড়ি চলে। এটা লেখার শুরুতে উল্লেখও করেছি। আসলেই, এতো অবাধ হাইওয়ে আমি অন্তত এশিয়ায় এবং আফ্রিকায় কোত্থাও দেখিনি। এই বাড়তি যানবাহনের চাপ আমাদের দেশের মতো দ্রতবর্ধনশীল জনসংখ্যার দেশে ইনএভিটেবল। কিন্তু সেই চাপকে সহনীয় করার অথবা বিকল্প কোনও উপায়ে সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা আমি দেখতে পাইনি। হয়তো এগুলো নিয়ে সরকার গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন কিন্তু সেই গবেষণার আউটকাম জনসমক্ষে প্রকাশিত হচ্ছেনা। এটাই দুঃখজনক। আফগানিস্তানের মতো অশান্ত এবং সুসাশনবিহীন দেশ যানচলাচল রেগুলেট করতে পারে, সোমালিয়ার মতো ফেইল্ড কান্ট্রিতে এক স্টেটের ছোট গাড়ি অন্য স্টেটে ঢুকতে পারেনা এবং বড় গাড়িকে ঘাটে ঘাটে খাজনা দিয়ে চলাচল করতে হয়। সেক্ষেত্রে দেখুন আমরা কিন্তু ওদের থেকে অনেক সংগঠিত একটা দেশ। তাহলে আমরা পারবো না কেনো? এটাই আমার আক্ষেপ। ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পাঠক এর ছবি

আমরা পারি না কারন আমরা ---রাইট পিপল ইন রাইট প্লেস--- ম্যানেজমেন্ট এর এ তত্ত্ব জানি কিন্তু মানি না !
বেয়াই মোশাররফ যদি যোগ্য, উপযুক্ত হন তবে এ অকালের সময়ে শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করে মন্ত্রনালয় পরিবর্তন করে যোগাযোগ মন্ত্রনালয় এর দায়িত্ব নিয়ে জনগনের কষ্ট লাঘবের ব্যবস্থা করে প্রমান করে দিন যে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় দুয়েকটা দক্ষ লোকও আছেন ! মন্ত্রনালয় পরিবর্তন কয় ঘন্টার প্রক্রিয়া ? শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদ উপহার হিসেবে এটুকু অন্তত দিতেই পারেন ???

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ঈদ উপহার হিসেবে এটুকু অন্তত দিতেই পারেন ???

পাঠক, আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত। কিন্তু একটু খেয়াল করে দেখবেন আমাদের সরকার প্রধানরা ঈদ উপলক্ষে কিছু সড়ক এবং লঞ্চ দূর্ঘটনা এবং একইসাথে ঈদ উপলক্ষে মনভরা একটা বাণী ছাড়া কবে কি দিয়েছেন?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার অ্যানালাইসিস রাতঃদা ... আসলে কিছু নিয়ম করলে আর কিছু শাস্তির ব্যাবস্থা করলে খুব বেশী টাকা পয়সা খরচ না করেই বোধহয় সড়ক ব্যাবস্থাপনা অনেক ভাল করা সম্ভব। আমরা যা বুঝি তাঁরা যে কেন বোঝেন না!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তারা বোঝে সবই কিন্তু আমার মনে হয় এগুলো তাদের সদিচ্ছার অভাব।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সব তো জানাই। করবেটা কে?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সেখানেই তো সমস্যাটা। জানা জিনিস পড়ে থাকে বালিশচাপায় আর যত্তো দৌড়োদৌড়ি অজানার পিছনে। আমার কিছু দেখাদেখির অভিজ্ঞতা আছে কিছু অনুন্নত আফ্রিকান দেশে। স্কুল শুরুর আর ছুটির সময়ে বড়ো বাচ্চারা লম্বা পাইপের মাথায় গোলাকার টিনের প্লেটে 'স্টপ' লেখা উঁচু করে ধরলেই সমস্ত গাড়িঘোড়া দাঁড়িয়ে যায়। তখন অন্য কয়েকটা বড়ো বাচ্চা ছোটগুলোকে রাস্তা পার করে দেয়।

করতে চাইলে সবাই করতে পারে, না চাইলে কেউনা। তবে আমাদের দেশে পাবলিকের এগুলো করতে যাওয়া খুবই বিপদজনক। ড্রাইভাররা পুলিশ মানেনা, তো পাবলিক কোন ছার!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পাঠক Down Under এর ছবি

দাদা, 'স্পীড ক্যামেরা ‌‌‌অ্যাহেড' কথাটা কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় ও লেখা থাকে। আমি ভাবতাম এরাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাড়ল।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার মনে হয় স্পীড ক্যামেরা এ্যাহেড কথাটা অনেকখানি এ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইনের মতো; মাঝে মাঝে সচেতন মানুষদেরকেও একটু মনে করিয়ে দেওয়া। কিন্ত স্থানভেদে এর ফলাফল ভিন্ন হতে পারে। যেমনটা বললাম, পাকিস্তানে এটার মানে হচ্ছে যে বাবাসকল ক্যামেরার সামনে দিয়ে নির্ধারিত গতিসীমার মধ্যে থেকে পার হয়ে যেও তারপর আবার গতি বাড়িয়ে দিও।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নজমুল আলবাব এর ছবি

চাইলেই আমাদের সড়ক ব্যবস্থাকে ভালো করা যাবে। কিন্তু করা হবে না। সসে্টেম ভালো হলেতো ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবেরে ভাই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সিস্টেমটা ভালো করে যদি তার থেকে ধান্ধাপাতির লাইন খুঁজতো ওরা, তা'ও তো কিছুটা হতো। এরা হাগেও না পথও ছাড়েনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তথ্যসমৃদ্ধ গোছানো লেখা। চমৎকৃত হলাম!
ঢাকার উত্তরপাড়ায় কিন্তু এমন ব্যবস্থা আছে। সেখানে ঝোপের ফাঁকে ডপ্লার রাডার হাতে পুলিশকে লুকিয়ে থাকতেও দেখেছি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ বস। কিন্তু আমরা হলাম পুব পাড়ার হরিজন, আমাদের কথা কবে কারা ভেবেছে?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তাসনীম এর ছবি

পোর্টবল স্পিডক্যামে ধরা খেয়েছি, সুতরাং এটা যে কাজের সেটা জানি।

আমাদের আশেপাশের দেশগুলোর রাস্তা-ঘাট অনেক উন্নত হয়ে গেছে (পাকিস্তানের রাস্তা দেখে মেজাজটা খারাপ হয়েছে) আর আমরা...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার একসময় প্রচণ্ড জোরে গাড়ি চালানো বদভ্যাস ছিলো। আমার গাড়িতে ফ্যামিলি মেম্বারদের মারাত্মক একটা এ্যাক্সিডেন্ট, এবং একজনের স্থায়ী পঙ্গুত্ব হওয়ার পর গাড়ি চালানোর আগ্রহ কমে গেছে। এখন তো গাড়ি নেই আর চালানোও প্রায় বাদ দিয়ে দিয়েছি; কালেভদ্রে অন্যের গাড়ি চালাই।

আমাদের দেশে হয়তো অবকাঠামোগত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হয় কিন্তু তা পাবলিকের সামনে আসেনা। দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে বিবেচনায় রেখে সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোতে বাস্তবসন্মত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিকল্প নেই। কিন্তু তা হলেও আমরা জানতে পারছিনা। আপনি দেখেন সেই ষাটের দশকের গোড়ায় লুই কানের করে যাওয়া ইসলামাবাদ মাস্টার প্ল্যান থেকে পাকিস্তান এতো বছর পরে এসেও একটুও সরেনি। সাম্প্রতিককালে যে এইচ এবং আই সেক্টর তৈরী হচ্ছে, তা কিন্তু লুই কানের মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ। কিন্তু আমাদের এখানে সরকার বদলের সাথে সাথে আগের সরকারের সমস্ত পরিকল্পনা আস্তাকুড়ে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আমরা আসলে বেশিদুর এগোতে পারবোনা। দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো খুবই প্রয়োজন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

শামীম এর ছবি

রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কেন করা হয়? সুন্দর দেখানোর জন্য - এটা নিশ্চয়ই প্রথম কারণ নয়। উত্তর হল: রাস্তার ক্যাপাসিটি বা ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য --- এটা দুইভাবে হতে পারে: ১। বেশি গাড়ি চলাচলের উপযোগী করার জন্য রাস্তার আকার বৃদ্ধি কিংবা ২। এর গতি বৃদ্ধি। এটা একটা সহজ ফর্মূলা দিয়ে লেখা যায়: প্রবাহমাত্রা = আকার * গতি । তবে একটা রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা যত বৃদ্ধি পায়, এর গতি তত কমে যায় (যানজট)। এক ধরণের রেখা চিত্রে এই দুইটার সর্বোচ্চ সাম্যাবস্থাটাকে সেই রাস্তার লেভেল অব সার্ভিস বলে।

আকার (লেন সংখ্যা, বিকল্প রাস্তার সংখ্যা) বৃদ্ধি হলে সেটা বেশি লোককে সার্ভিস দিবে, কিন্তু মানুষ একটা রাস্তা দিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়, তাই রাস্তার দ্রুতি/গতি বৃদ্ধি করাটাও জরুরী। তাই রাস্তার উন্নয়নের একটা মূল উদ্দেশ্য হল দ্রুততর চলাচল নিশ্চিত করা। তাই স্পীড ব্রেকার আমার কাছে রাস্তার উন্নয়নের ধারণার সম্পুর্ন বিপরীত একটা ধারণা। গাড়ির গতি বাড়ুক এটা না চাইলে এ্যাত খরচ করে রাস্তা মেরামত না করলেই হয় -- আস্তে যেতে বাধ্য হবে গাড়িগুলো।

তাই স্পীড ব্রেকারের সপক্ষে নই আমি। মোড়গুলোতে ডিভাইডার এবং গতি অনুযায়ী সুপার এলিভেশন দিয়ে ম্যানেজ করা উচিত। খুব কড়া বাঁক হলে এর আগে যথেষ্ট পরিমান রোড সাইন এবং স্পিড লিমিট দেয়া উচিত।
(সুপার এলিভেশন হল হেলানো রাস্তা: অর্থাৎ বাঁকের ভেতরের দিকের চেয়ে বাইরের দিকের ধারটি উঁচু থাকবে, যা বাঁকা পথে গমনকারী গাড়ীর গতিজনিত কেন্দ্রবিমূখী বলকে, হেলানো বল দিয়ে ব্যালেন্স করবে --- --- মোটর সাইকেল বা সাইকেলে মোড় নেয়ার সময় আমরা ওগুলোকে হেলিয়ে ফেলি একই কারণে।)

একই কারণে স্পীড ক্যামেরা এহেড লেখা থাকে। অর্থাৎ আপনি জোরে গাড়ি চালান অসুবিধা নাই --- তবে সতর্ক ও সচেতন আছেন তো! এমনতো নয় ৮০ কিমি/ঘন্টা লিমিট রাস্তায় ১২০‌এ গাড়ি চালালে আপনি বাধ্যতামূলকভাবেই দূর্ঘটনা ঘটাবেন; ঐ স্পীডে গাড়ি চালালেও আপনি নিরাপদে এবং অন্যের নিরাপত্তায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে চলে যেতে পারবেন --- শর্ত একটাই আপনি এলার্ট আছেন, বেখেয়ালী নাই। ড্রাইভার যে এলার্ট আছেন এটা প্রমাণের জন্যই ঐ "ক্যামেরা এহেড" সাইন -- ড্রাইভার যদি ঐ সাইন দেখার পরেও স্পীড না কমায় তাহলে সে আসলে এলার্ট অবস্থায় নাই .... ... সুতরাং সামনে শাস্তি পেতে হবেই।

এছাড়া রাস্তার নিরাপদ গতির যেই লিমিট সেটা কিছু এক্সট্রিম কন্ডিশন চিন্তা করে দেয়া হয়েছে। রাস্তায় যদি রাতে যথেষ্ট আলো না থাকে, কিংবা খারাপ আবহাওয়ায় একটা রাস্তায় চলাচলের নিরাপদ গতি অন্য একটা চমৎকার রৌদ্রজ্জ্বল দিনের নিরাপদ গতির চেয়ে অনেক কম। আবার একই রাস্তায় ভিন্ন কন্ডিশনের দুইটা গাড়ির নিরাপদ গতিও ভিন্ন (টায়ারের/ব্রেকের/সাসপেনশনের ক্ষমতা ইত্যাদি)। এই সব চিন্তা করে একটু রক্ষণশীল উপায়েই গতিগুলো নির্ধারণ করা হয়। যেসকল রাস্তায় ইন্টেলিজেন্ট সাইন থাকে সেসব রাস্তায় তাই আবহাওয়া অনুযায়ী স্পীড লিমিট পরিবর্তন হয়। কিন্তু বেশিরভাগে হাইওয়েতেই এগুলো স্থায়ী অপরিবর্তনশীল সাইনবোর্ডে লেখা থাকে। তাই স্পীড লিমিট আসলে একটা ভ্যারিয়েবল আর ক্যামেরা অ্যাহেড সাইন দেয়া খুব বেশি গাড়ল বুদ্ধির পরিচায়ক নয়।

আশা করি এই ব্যাখ্যা আপনার ধারণাগুলোকে কিছুটা প্রভাবিত করবে।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দামী কথা লিখেছেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আপনি যেভাবে সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তাতে যে কারোরই বুঝতে সুবিধা হয়। এইসব কারিগরী বিষয়গুলো জানার এবং বোঝার মতো জনশক্তি আমাদের সরকারী বিভাগগুলোতে বোঝাই কিন্তু তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই এসব বিষয়ে।

সুপার এলিভেশন হল হেলানো রাস্তা: অর্থাৎ বাঁকের ভেতরের দিকের চেয়ে বাইরের দিকের ধারটি উঁচু থাকবে, যা বাঁকা পথে গমনকারী গাড়ীর গতিজনিত কেন্দ্রবিমূখী বলকে, হেলানো বল দিয়ে ব্যালেন্স করবে

এটা কিন্তু আমি বেশ কিছু দেশের হাইওয়েতে দেখেছি। আর স্পীড ক্যামেরা এ্যাহেডের ব্যাপারটাতেও আপনার আর আমার মত অনেকটা একই। সচেতনাতামূলক একটা মেসেজ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কল্যাণF এর ছবি

খুব দরকারী লেখা চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কল্যাণF ভাই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।