কে এই আন্না হাজারে?? কেন তার এ দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন??
আন্না হাজারে-"ভারতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যদি কিছু করতে হয় তার এখনই উপযুক্ত সময়। এখন হয় কিছু করতে হবে, নয় মরতে হবে। স্বাধীনতার জন্য যেভাবে মরণপণ লড়াই করতে হয়, ঠিক সেভাবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে হয় আমরা সফল হব, নয় আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে হবে।"
১৯৬২-৬৩ এর চীন-ভারত লড়াই এ উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের সামরিক খাতকে এবং দেশগুলোর আভ্যন্তরীণ সম্পর্কগুলোকে কতটা প্রভাবিত করেছে তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। ভারতের পরাজয় এবং এরপর সামরিক খাতকে শক্তিশালী করতে গণহারে সৈনিক নিয়োগ শুরু করলে সেখানে যুক্ত হন এই আন্না ড্রাইভার হিসেবে। ৬৫ এর ভারত- পাকিস্তান লড়াই এ তার সব সহযোদ্ধাদের নিহত হওয়ার ঘটনা, বিবেকানন্দ, গান্ধি, বিনোদ ভাবের আদর্শ তাকে জীবন কে নতুন ভাবে ভাবতে শেখায়।
৭২-৭৩ এর মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ, সেচের ও খাদ্য পানির অভাব, তার গ্রামের মানুষের দুঃখ কষ্ট তাকে তাড়িয়ে বেড়াই। মাত্র ১২ বছর সৈনিক জীবন শেষ করে গ্রামের মানুষের মাঝে ফিরে আসে। সেচ কল্পের উন্নতি করেন। এখন তার গ্রাম রালেগান সিন্ধি এক আদর্শ গ্রামের প্রতীক রূপে দেশ- বিদেশের দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্র।
১৯৯১ সালে গঠন করেন ভ্রষ্টাচার বিরোধী এক গণ আন্দোলন। ৪২ জন ফরেস্ট অফিসারের কোটি কোটি রুপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুরু করেন আন্দোলন। সরকার এর মন্ত্রীর যোগসাজশ থাকায় সরকার গড়িমসি দেখাতে শুরু কর। আন্না প্রমাণ হাজির করার পর ও সরকার নীরব থাকলেও, সে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া পদবী ফেরত দেন। অনির্দিষ্ট কালের অনশনে গেলে সরকার বাধ্য হয় এদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে। তার আন্দোলনের কারণে মহারাষ্ট্র সরকারের ছয়জন মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হয়েছে।
এরপর শুরু হয় RTI act নিয়ে তার আন্দোলন। ২০০৩ সালের জুলাই এ এক সপ্তাহের অনশন, ১২,০০০ হাজার কিলোমিটার পথ পারি দেওয়া, ১ লক্ষাধিক ছাত্রদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াস, লাগাতার গণ সমাবেশ, গান্ধীজীর আদর্শে অহিংসা আন্দোলন চলে অনবরত। শেষ পর্যন্ত ২০০৫ সালে তা আলোর মুখ দেখে।
বর্তমানে তিনি ভারতের দুর্নীতিবিরোধী আইন Jan Lokpal Bill এর কিছু ধারায় পরিবর্তন আনার দাবিতে অনশন-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। । তার দাবি হচ্ছে এই বিলের আওতায় একটি স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ থাকবে, যেই কর্তৃপক্ষের কাছে মন্ত্রী, আমলা থেকে শুরু করে সবাই জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। এটা নির্বাচন কমিশনের সমান্তরালের ক্ষমতা রাখবে। এই পরিবর্তিত ধারা ব্যতিরেকেই Jan Lokpal Bill রাজনীতিবিদদের অসহযোগিতার কারণে এই বিল ১৯৭২ সাল থেকে এখনও পাস হয়নি।
তার এই অনশন-সংগ্রাম চালাতে যেয়ে তিনি তার সহযোগী সহ গ্রেফতার হয়েছেন, তার সমর্থকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারের সময়- আন্না হাজারে তার সমর্থকদের লক্ষ্য করে বলেন, "আমি আপনাদের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা কোনো সহিংসতায় লিপ্ত হবেন না।" গ্রেফতারের পরো তিনি তার অনশন চালিয়ে গেছেন। তার সমর্থকদের স্বেচ্ছায় গ্রেফতার হতে আহবান করেছেন। তার গ্রেফতারে খুদ্ধ ভারতবাসী রাস্তায় নেমে এসেছে।
ভারতের স্তরে স্তরে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা এই দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ এখন প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে। একটা মানুষের উপর ভর করে ভারতের সাধারণ মানুষ এখন স্বপ্ন বুনছে দুর্নীতিমুক্ত এক ভারত গড়ার। RTI act (right to information) এর জন্য ১২,০০০ হাজার কিলোমিটার পথ পারি দেওয়া, ১ লক্ষাধিক ছাত্রদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াসে গণসংযোগ, সরকার প্রদত্ত পদবী ত্যাগ, পুরষ্কারের অর্জিত সম্পদের পুরোটাই দান করা এক মানুষের মাঝে ভারতের মানুষ আস্থা খুঁজে পেতেই পারে।
আন্না হাজারের মতাদর্শ কি, কি বা কেন, ভারতের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে তাদের স্বার্থের এই আন্দোলন তাদের কোন পথে নিয়ে যাবে জানিনা। কিন্তু আস্তে আস্তে তারা সচেতন হচ্ছে, তারা লড়ছে ।
আমাদের সামনে এগিয়ে থেকে আমাদের স্বার্থের জন্য পথে-ঘাটে যে মানুষ গুলো লাঠি-ঝাঁটা খেয়ে কাজ করে চলেছে তারা কতটা পেয়েছে? কি স্বার্থ। তাদের মতাদর্শ নিয়েই আমরা পড়ে থাকব?? আমরা খুব সহজেই এড়িয়ে যাচ্ছি। দেশ নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছি। আমাদের আগের প্রজন্ম আমাদের ৭১ দিয়েছে, তার পরের প্রজন্ম দিয়েছে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন। আর আমরা কি এত সহজেই বিদেশী বণিকদের হাতে ছেড়ে দেব আমাদের দেশের সীমিত সম্পদ?? লড়াই না করেই ছেড়ে দেব আমাদের ভবিষ্যৎ এই দালাল গোষ্ঠীর কাছে?? অনেক হয়েছে পিসির সামনে বসে স্ট্যাটাস প্রদান, লেখা শেয়ার,সুচিন্তিত মতামত প্রদান। মতামত দিয়েই যাচ্ছে মানুষ অবিরাম। মতামত তোমার, দেশ তোমার, তাই তোমার মতের বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব তোমার। যখন তোমরা দেখেও বিষয়গুলো এড়িয়ে যেতে থাক তোমাদের দেখে আমি একটি উপসংহার টানি- তুমি স্বাধীন বাংলার চিন্তাধারী কোন মানুষ নও। তুমি হল তারা যারা নীরবে শয়ে যেতে চেয়েছিল। তোমাদের কাছে স্বাধীনতার কি কোন মূল্য আছে??
মন্তব্য
অসাধারন, গোছানো, ইনফোরমেটিভ লেখা!!!
শেষটা চরম হৈছে। গুড জব। শেষ প্যারাটা সবচেয়ে গুরুত্ববহ। আরেকটু বড় করা যায় কি?
নিজেরে কেমন ছোট ছোট লাগছে
এ হাসনাত
গুরুত্বপূন্য কথা। আরাম কেদারায় বসে বেশ কথা বলেন আমাদের দেশের এক শ্রেনীর লোক। এদের একমাত্র কাজ হলো ফেসবুকে আর কমিউনিটি ব্লগে সমালোচনা আর বিজ্ঞ মতামত প্রদান। কতিপয় পত্রিকার ভ্রান্ত দর্শন এরা গাধার মত গিলে আর চেয়ারে বসে ভার্চুয়াল প্রাতবাদ করে। এরা কেউই ঘটনার ভেতরের ঘটনা জানে না, কিন্তু ভাব করে যে মহা বুদ্ধিজীবি। কেউ কেউ আবার চোরের মত বিদেশ পালিয়ে গিয়ে দেশ চিন্তায় অস্থির। রাস্তায় থেকে দেশের জন্য চিন্তা করুন। দূর্নীতি, সন্ত্রাস আর লুটপাট আমাদের দেশেও টিকে থাকবেনা।
এইটা কী কইলেন ভাই ! গিয়ান অর্জনের লাইগ্যা পত্রিকা কিন্যা পড়ি আর বৈদেশে যাই !! বিদেশ না গেলে তো বুঝবেন না রে ভাই দেশপ্রেম কী জিনিস !! লগে একখান বিদাইশ্যা সাট্টিফিকেট থাকলেই দ্যাশ-বিদ্যাশ দোজাহানে অশেষ ফায়দা !! আর আমরা হইলাম মিয়া গ্যানী-গুনী লোক, ভদ্দরলোক,আপনে ভাই রাস্তায় থাকতে কয়া অপমান করতাছেন, হে হে হে !!!
তয় শেষপর্যন্ত আম্নেও মনে অয় আম্গো মতই ফেসবুক/ব্লগ বিপ্লবের দিবাস্বপ্নদোষাক্রান্ত ! কী করার আছে কন?? মানুষজন প্রতিবাদের লাইগ্যা বাস্তবতার রাস্তায় বাইরাইবো কী, ভার্চুয়াল জগত থুয়া বন্ধুবান্ধব লয়া আড্ডা পিডাইবার সময়ও তো হয় না !! আড্ডাই যেহানে জমতেছে না, সেহানে রাজা,উজীর মরব কেম্নে ???
আমাদেরও দেখায়া দেবার মত একখান জয়নাল হাজারী আছিল... এইবার অবশ্য খুব একটা সুবিধা হইতেছে না মনে হয় !
ইদানীং পেপার পত্রিকায় ভায়ার কোনও খোজ দ্যা সার্চ পাই না, তার এলাকার এক লোকের মুখে শুনেছি ভায়া নিজ এলাকার শিষ্য-সাগরেদদের সামনে আপাতত কোনঠাসা, তাই জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে আপাতত আলোড়ন তুলে দিতে পারতেছে না ! তবে প্রবলেম নাই ! হাজারী=তাহের পুত বিপ্লব আছে নাহ, আরো বিপ্লবের কী দরকার !
লেখাটা ভালো লেগেছে। তথ্যবহুল এবং গোছানো। এরকম কয়েকজন মানুষের আমাদের খুবই প্রয়োজন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আনা হাজারে এর কথা বলতে গেলে কিরণ বেদী এর কথা না বললেই নয়, এরকম সাহসী একজন মহিলা পুলিশ কমিশনার আমাদের মতো দুর্ভাগা দেশগুলোতে বিরল...
তথ্যবহুল লেখার জন্য ধন্যবাদ ..
লেখা ভাল হয়েছে। আরও ব্রেইনস্টর্মিং এর জন্য প্রাসঙ্গিক লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলে মন্দ হতনা।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ধন্যবাদ এই রকম ইনফোরমেটিভ এক তা লিখার জন্যে. লিখা শেষে আপনার নাম তা জুড়ে দিলে ভালো হত...
@সাইফ জুয়েল: না আপনার সাথে এক মত হতে পারলাম না; ভার্চুয়াল জগত আছে বলেই এত সহজে আপনার মতামত আমি পর্যন্ত চলে এসেছে. সাইফ ভাই, ভার্চুয়াল জগত এখন এনেক শক্তিশালী... তাই প্রতিবাদ শুধু রাজপথে না ভার্চুয়াল জগতেও হতে হবে...
ভার্চুয়াল জগতের মজাই হইতেসে ভ্রান্ত দর্শনের গন্ডি থেকে আপনাকে বের করে আনা... কেউ ভুল তথ্য দেয়া মাত্র কেউ না কেউ তাকে শুধরিয়ে দেবে!
ভাই এক কাজ করি, সমস্ত প্রবাসীরা দেশে এসে রাজপথে বসে থাকি! দেশ নিশ্চই তখন উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাবে!! কি বলেন ?
সাইফ ভাই, যদি কখনো আন্দোলনের সাথে জড়িত থেকে থাকেন তবে আপনার নিশ্চই জানার কথা কিভাবে একটা বিপ্লবের বেইজ তৈরী হয়; তাই দেশ কিংবা বিদেশ যেখানেই থাকুন দেশের চিন্তা নিয়েই আমাদের কাজ করা উচিত... ধন্যবাদ ভালো থাকবেন !
তানভির রব্বুানী ভাই, বুজলাম বিপ্লবের বীজ ফেসবুক আর ব্লগেই তৈরী হচ্ছে এখন। এই জন্যই তো জোকার বার্গরা আছেন। আপনারাও আছেন। কিন্তু এইসব বিপ্লব বাংলাদেশে সম্ভবনা। ভাই বাংলাদেশ আর মধ্যপ্রাচ্য একনা। এইখানে মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করতে বলার সুযোগ আছে ওখান থেকে হাজার গুন বেশী। আর বিদেশে বসে থেকে দেশটা খারাপ মানুষ খাইয়া ফেলল এই বয়ান না দিয়া একটু কম আরাম করে দেশের জন্য আমরা যদি একটু খাটতাম সবাই মিলে তাহলে হয়ত এইসব লুটপাটকারীরা এত ক্ষমতাধর হইতে পারতো না। কথায় কি আর চিড়া ভিজে যেখানে মানুষ খাইতে পায়না তিনবেলা। এইসব বড় বড় কথা আর বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের বয়ান একই রকম ভাই।
আন্না হাজারে আসলে একটা প্রতীক, যেটা সৃষ্ঠি করা হয়েছে অরাজনৈতিক ক্ষমতা চর্চার নতুন ধারা থেকে। আমার পর্যবেক্ষণ কিছুটা লেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু হিন্দুতে অরূন্ধতী লেখার পরে আর লেখার তেমন কিছু দেখি না।
এখানে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেনেঅলাদেরকে যারা গালিটালি দিচ্ছেন, তাদেরকে বিনয়ের সঙ্গে জানাই, আন্না হাজারী কিন্তু এসব মধ্যবিত্তেরই হিরো হয়েছেন, এর বেশি কিছু নয়।
ভাল লাগল পড়ে!
ভালো লিখেছেন
_____________________
Give Her Freedom!
ঘুম হারাম করে দেয়ার মত লেখা, আরাম কেদারায় বসেই পড়েছিলাম, শেষ প্যারাটা চাবুকের আঘাতের মত মনে হল !!!
লেখকের নাম ??
সাইফ জুয়েল ভাইয়ের মন্তব্যগুলোও ঝাঁঝালো, কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা দিতেছে !! বেশীরভাগ লোকের বিদেশ যাওয়া মেনে নেয়া যায়, প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কোনও ভাষাই যথেষ্ট না, আর আমাদের দেশটা টিকেই আছে আমাদের কৃষক, প্রবাসী, গার্মেন্টস শ্রমিকদের পরিশ্রম আর মহান স্রষ্ঠার দয়ায়, ঠাকুর/ভিক্ষু/হুজুরদের দোয়ায় আর এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলার নিষ্পাপ সহজ-সরল ছাত্রদের উছিলায় !!!
তবে যারা দেশ নিয়ে চিন্তিত না শুধু, কিছু একটা করতে চান, এরকম শিক্ষিতসমাজ বিদেশগামী হলে আর সেজন্য নানারকম অজুহাত দিলে হাসিও হয় আর দুঃখও আসে ! করার মত কত কাজ বাকী আছে এখনো এ দেশে, স্বাধীন হইলাম মাত্র ৪০ বছর ! এখনো দেশের সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারইতো পূরণ করা যায় নি, স্বাধীনতার সুফল পৌছায় নি সবার দুয়ারে, এখনো কত কত কাজ রয়েছে দরকারি, এখনো কতখানি পথ দিতে হবে পাড়ি......
অফটপিক: মাঝে মাঝে ভাবনায় পড়ে যাই... সাধারন একজন মুফতী আমিনী সরকারের বিরুদ্ধে নিজের মতামত কত জোরালো করে উপস্থাপন করে, যদি কোনোদিন ১০ জন মুফতী কোনোরকম ফতোয়া আপনাকে না দিয়ে শুধু তাদের অনুসারীদের নিয়ে দেশের ক্ষমতা দখল করতে যায়, সবার আগে তো মনে হয় বড় সড় জায়গার মসজিদগুলো থেকেই সমর্থন পাবেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুরু করে ক্যান্টনমেন্ট সব জায়গাতেই তো মসজিদ আছে.......তবে বাঙালী হুজুগের জাত হইলেও হুজুরের জাত না, ক্ষমতা নিলেও আমাদের বেশীদিন হুজুরগিরি দিয়া শাসন করা সম্ভব না....এটা হুজুরেরা জানে বলেই রক্ষা হে হে হে
অন্য কোনও বাস্তবতাভিত্তিক পরিবর্তনের চেষ্টা কী সম্ভব হুজুগের এ দেশে ??? হলে সেটা কী ????
ধন্যবাদ। এটা আমার লেখা। আসলে সচলে প্রথম লিখলাম। নামটা জুড়ে দিতে যেয়েও শেষে কেন জানি দিলে ইচ্ছে হল না।
@অদ্রোহ- ভেবেছিলাম লিঙ্ক গুলো জুড়ে দিব। আসলে আমি তার ব্যক্তিগত ব্লগ থেকে আর একটা বায়োগ্রাফির সাহায্য নিয়েছিলাম।
@জেবতিক ভাই- আমি আসলে এখানে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেনেঅলাদেরকে কটাক্ষ করতে চাই নি। আমরা অনেকে হয়ত চিন্তা করছি এবং সেই চিন্তা গুলো নিয়ে আমরা মত দিচ্ছি। সেখানেই যাতে আমাদের কার্যক্রম শেষ না হয়ে যায়। আমিও স্ট্যাটাস, লিংক দিই।
নতুন মন্তব্য করুন