প্লেয়ারদের সমবেত বিদ্রোহে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সদ্যই গ্রেগ চ্যাপেলকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছে। তাতে সৌরভও যারপরনাই আনন্দিত হয়েছেন। ওদিকে নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ডানকান ফ্লেচারের ভারত ইংল্যান্ডে নবুতনছুত হচ্ছে। কিন্তু এমনিতে, প্রশংসা-সমালোচনা মূলত দলের ক্যাপ্টেনের প্রতিই আসে, কোচের দিকে তেমন নয়।
ফুটবলে অবশ্য ম্যানেজাররাই সর্বেসর্বা। মোরিনহো, ফার্গুসন, সব হাই-প্রোফাইল লোকজন। কিন্তু তাঁদের সাফল্য মাপা হয় মূলত একটা বিষয়েই – গত দু-এক মরসুমে টিম কেমন খেলল, অর্থাৎ কটা ট্রফি জিতল, তাই দিয়েই।
মাপতে চাইলে অবশ্য অনেক কিছু মাপা যায়। গত মরসুমে মোট ম্যাচে সাফল্যের হার কত, দলের কত% খেলোয়াড় চোট পেয়েছে, একটা ম্যাচে গড়ে কটা কার্ড দেখেছে টিম, কটা গোল করেছে, ইত্যাদি অনেককিছুই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কিন্তু একটা টিমের ভালোমন্দ, প্লেয়ারদের পারফরম্যান্স যেভাবে কাটাছেঁড়া করা হয়, কোচের সেভাবে করা হয় না।
২০০৮ সালে নিউইয়র্ক টাইমসের এক আর্টিকলের মাধ্যমে তরুণ স্ট্যাটিস্টিক্স গবেষক স্টিভ ওয়াং গোটা আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বেসবল-পাগল ওই দেশের মেজর লীগ-এর ২০০১-২০০৭ সালের ৩০টা দলের ম্যানেজারদের ডেটা তিনি অ্যানালিসিস করেন। তা কার গড় ২.৩ আর কার ২.৪, এই নিয়ে হিসাব কষার জন্য কেউ জনপ্রিয় হবে কেন? কারণ হল, তিনি সংখ্যা উপস্থাপন করেন নি, করেছিলেন ভিজুয়ালাইজেশন।
১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড স্ট্যাট ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর হার্মান চার্নফ স্ট্যাট-এর সেই পুরোনো সমস্যাটা নিয়ে ভাবছিলেন – বহু-ভেরিয়েবল ডেটা’র চিত্র-উপস্থাপনা। একটা-দুটো হলে প্লট বা বার এঁকে চালিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু দশ-বিশটা চলক একটা দ্বিমাত্রিক জমিতে কিভাবে সরল দৃষ্টিনন্দন ভাবে ফোটানো যায়?
বিবর্তনের প্রক্রিয়াতে আমাদের মস্তিষ্ক এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যে তা শুকনো সংখ্যার চেয়ে ছবিতে, নকশায় বেশি আগ্রহী, আর তা যথেষ্ট পারদর্শী ছবির মধ্যে থেকে সূক্ষ্ম সংকেত খুঁজে পাওয়ায়, প্যাটার্ন চিনতে পারায়। আর ছবির মধ্যে আবার আমরা খুব দক্ষ হয়েছি মুখ চেনার জন্য – বাবা-মা’কে চিনতে পারায়, শত্রু-মিত্র আলাদা করায়, আবার মুখের মধ্যে ভাবনার, ইমোশনের সূক্ষ্ম প্রকাশও ধরতে পারায়।
এই প্যাটার্ন খুঁজে পেতে পেতে আবার আমরা সহজেই বাড়াবাড়িও করে ফেলি। মেঘে দেখতে পাই খরগোশ, চাঁদের আলোয় দুলতে থাকা কলাপাতাকে মনে হয় শাড়ি পরা পেত্নি। একে বলে প্যারিডোলিয়া। তেমনই, হুটহাট মানুষে পাউরুটির মধ্যে যীশুর বদনখানি খুঁজে পায়, চাঁদে দেখে বুড়ির হাসিমুখ।
তা চার্নফ ভাবলেন, সবথেকে সহজে মানুষ যেটাকে চিনতে পারে, যার সূক্ষ্ম প্রকাশগুলো ধরতে পারে, সেই মুখ-কেই ব্যবহার করা যাক না কেন? দুটো ডট আর একটা সরল/বক্ররেখা দিয়েই স্মাইলি বানিয়ে আমরা কত ইমোশনের ইঙ্গিত দিয়ে ফেলছি। সেইগুলো নিয়েই একটু খেলা যাক না।
ধরুন, ঠোঁট বোঝাতে ব্যবহার করা ওই রেখাটা। তার বক্রতা কত? নির্বিকার মুখের বক্রতা শূন্য, হাসিমুখ এর জন্য ধনাত্মক, আর দুঃখী এর জন্য ঋণাত্মক। এইরকম সংখ্যা ↔ ফীচার সম্পর্ক করা সহজই। এরকম চোখের সাইজ, মাথার মাপ, নাকের দৈর্ঘ্য ইত্যাদি অনেক ফিচার ব্যবহার করা যায়।
এমনই মাথা খেলিয়ে চার্নফ'দাদু (তখন ছিলেন কাকু) আবিষ্কার করে ফেললেন ‘চার্নফ ফেস', যেখানে মুখের নানা ফিচার দিয়ে নানা ভেরিয়েবল ছবিতে উপস্থাপনা করা যায়। চোখ-কান-নাক-মুখ-চুল ইত্যাদি নানা ফিচার দিয়ে একসাথে অনেক চলক একটাই ছবিতে ঢুকিয়ে দেওয়া গেল, প্রত্যেকটাকেই আলাদা গুরুত্ব দিয়ে।
কোন ফিচারে কোন চলক বসাব, তা আমাদের ইচ্ছামত। তা কিছুদিন আগেও চার্নফ দাদু’র সহকর্মী থাকা ওয়াং ভদ্রলোক (নিশ্চয়ই কিছুটা ট্রায়াল-এন্ড-এরর এর মাধ্যমে) এমনভাবে সেগুলো বেছেছেন, যে অনেক ম্যানেজারের প্লটই তাঁর আসল চেহারার মত হয়ে গেছে। তিনটে নমুনা শুরুর ছবিটায় দিয়েছি।
এই মিলগুলো খুঁজে পেয়েই নিউইয়র্ক টাইমস অমন ফলাও করে গল্প ছাপিয়েছে, আর লোকে এত আকর্ষিত হয়েছে। অনেক ম্যানেজার এতে মজা পেয়েছেন, কেউ অন্য এক সফল ম্যানেজারের সাথে নিজের কার্টুন-মুখের মিল খুঁজে পেয়ে উৎসাহিত হয়েছেন, কেউ আবার গোঁসা করেছেন; কারুর বক্তব্য, এই স্ট্যাটস’গুলো তো আমার ক্যারিশমা’র চেয়েও আমার হাতের টিম যেমন ভালো কি খাজা ছিল তার উপর বেশি নির্ভরশীল – ‘এ ক্যাপ্টেন ইস অনলি অ্যাজ গুড অ্যাজ হিস টীম’ আরকি।
আর আমি এত গল্প ফাঁদলাম এইটুকু বলতে, যে আমরা যা করি সবটুকুই নীরস সংখ্যা-কচকচি নয়; কালিদাস ওরফে গ্রাফিক্স-শিল্পীর হাতে পড়লে শুষ্কং কাষ্ঠং-ই নীরস তরুবর হয়ে সরস লাগে – Hans Rosling এর টেড-টকগুলো দেখলেও তা খানিকটা মানবেন।
মন্তব্য
বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো!
ধন্যবাদ
1st
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ইহ্ খালি ফার্স্ট হলেই হবে ? খাতা কলম নিয়ে আসেন দেখি কি কি বুচ্চেন তার পরীক্ষা নিই
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কেমন জব্দ!
পরীক্ষা নিলে নির্ঘাৎ ফেল করতাম। মডুরা মান রেখেছে আমার! আরেকজনকে প্রথম বানিয়ে দিল !!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নাহ, ফার্স্ট দেখছি হতে পারলেন না!
টেস্ট
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১০০ বার পড়ার মত পোস্ট। উচ্ছ্বাসের কারণ হল আমি বর্তমানে কাছাকাছি বিষয় নিয়ে কাজ করছি।
এইটা দেখছেন -
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে বলেন কি! খুইল্যা বলেন, তারপর কো-অথর হয়ে যাই...
দেখিনি, দেখছি এখুনি...ওহ না, এইটা দেখেছি। নাম দেখে চিনতে পারিনি...কিছুটা ছেলেমানুষী আইডিয়া- ফটো এডিটিং সফটওয়্যারে অটো অপশানটা দেখেছেন তো? হয় curve টাকে s আকারের করে দেয় ব্রাইটনেস কন্ট্রাস্ট নাড়াচাড়া করে - এতো গেল টেকনিকাল দিক। কিন্তু ননন্তাত্ত্বিক দিক্টকে ম্পাবেন কি করে? ধরুন ছবির দর্শকের জন্য একটা utility function. যা নির্ভর করছে বহু চলকের উপর। যেমন সিমেট্রি, কম্পোজিশান (আলাদা পাব্লিশড পেপার আছে মানুষের পছন্দের ক্ষেত্রে!) পরে একটা conditional probit ধরে গ্রুপ করা যায় - ভাল, মোটামুটি, পচা। কোন চলকের পরিবর্তনের জন্য ছবি পচা থেকে ভাল হোয়ার প্রোবাবিলিটি বের করা যাবে।
এইসব হাবিজাবি গিবিজিবি হিজিবিজিবিজ - হবেন নাকি কোঅথর?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
খাড়ান, আইতাছি। গোপনে কথা হবে।
কন কি? আপনে কি ইনফরমেশন ভিসুয়ালাইজেশন নিয়া কাম করেন?
-মেফিস্টো
এখনকার বিদ্যায় কুলাচ্ছে না, তবে ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে। কত কী যে ইচ্ছা আছে রে ভাই...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নাহয় আপনি জ্ঞানী মানুষ, তাই বলে খালি কঠিন কঠিন পোস্ট দেন ক্যান ? আমাদের মত গরিব গুর্বো সাধারণ মানুষের কথাও তো একটু ভাব্বেন, নাকি ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এত্ত ছবিটবি দিয়েও কঠিন পোস্ট? নাহ, কালকেই ছালা বেঁধে বনবাসে চলে যাব...
আমার স্ট্যাটিস্টিক্স ফাইনাল পরীক্ষার দিন দশেক আগে বাক্স বোঁচকা বেঁধে বাড়ি চলে গেস্লাম জানেন ? বাড়ি গিয়ে উদাস গলায় বললাম, পড়া হয়নি, পরীক্ষা দিবনা। মা মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন, সেইই তো, পড়া না হলে আর পরীক্ষা দিবিই বা কেমন করে। একথা শুনে সুড়সুড় করে আবার এসে পরীক্ষা দিলাম। রেজাল্ট দেখার পর থেকে স্ট্যাটিস্টিক্স আমার দুই চউক্ষের বিষ। ছবি টবি যাইই দেন, ভবি ভুলবে না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা, তখন নিশ্চয়ই চার্নফ'দাদুরও জোয়ান বয়স ছিল, ওনার কাছে গেলে নিশ্চয়ই যত্ন করে স্ট্যাটিস্টিক্স বুঝিয়ে দিতেন...
ইশ যত্ন করে বোঝানোর জন্য আমাদের ঢাবির শিক্ষকেরা কম পড়েছে বুঝি ? ওনাদের কেউ কেউ বিশেষ করে মেয়েদের কত 'যত্ন' করে পড়াবার চেষ্টা করেন জানেন না তো ! সেই যত্নের ভয়েই না ক্লাস পালাতাম !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঠিক এই জিনিস না হলেও কাছাকাছি একখানা কথা মনে পড়ে গেলো।
নাইজেল হোমস নামে মাথায় কিঞ্চিৎ ছিটযুক্ত গ্রাফিক ডিজাইনার নাকি বিভিন্ন টাইপের চার্ট বানাতেন। অতিসম্প্রতি এক HCI গ্রুপ তার চার্ট আর তার জেনারেল ভার্সন নিয়ে খানিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালায়। ফলাফল হচ্ছে স্বল্পসময়ে নাকি এইসবের কোন প্রভাব থাকে না, কিন্তু লম্বা সময়ের ক্ষেত্রে গ্রাফিক চার্ট বেশি মনে থাকে...
একখানা নমুনা দেখুন
ছবিটা নেয়া হয়েছে এখান থেকেঃ Scott Bateman, Regan L. Mandryk, Carl Gutwin, Aaron Genest, David McDine, and Christopher Brooks. 2010. Useful junk?: the effects of visual embellishment on comprehension and memorability of charts. In Proceedings of the 28th international conference on Human factors in computing systems (CHI '10). ACM, New York, NY, USA, 2573-2582.
যদি ACM-এ অ্যাক্সেস না থাকে, মূল পেপারটা এখানে পাবেন
ইনফোগ্রাফিক্সে আমারও বেশ উৎসাহ। এনার কাজের সঙ্গে পরিচিত করানোর জন্য ধন্যবাদ।
নতুন জিনিশ দেখছি...... লেখাটা বেশ লাগল।
ধন্যবাদ।
ইন্টারেস্টিং
এ হাসনাত
তাই বটে।
বুঝছি, এইটা হইলো পাত্রী চাই পোস্ট। চলকের সংখ্যা অনেক বেশি হলে, তখন মুখের বলিরেখা বুঝানো যাবে?
শিরোনামের মানে কী? নিরস গাছ আলোয় ভরা?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খালি দুষ্টুমি!
মহাকবি কালিদাসের এই গল্পটা জানেন না? ঊজ্জয়িনীর রাজসভায় কবি কালিদাসের খ্যাতি সম্পর্কে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কবি (বররুচি বোধহয়) ঈর্ষাণ্বিত ছিলেন, কেবলই রাজা বিক্রমাদিত্যকে বলতেন তাঁকে সুযোগ দিলে তিনিও দেখিয়ে দেবেন। তাই একবার রাজা দুজনকে পাশে পেয়ে বললেন, "এই যে সামনে এই গাছের মরা ডালটা পড়ে আছে, এইটা নিয়ে একটা ছোট্ট কবিতা বানান তো দেখি!" বররুচি বললেন, "যাঃ, এইটা নিয়ে আবার কবিতা হয় নাকি?" রাজা তখন শুনিয়ে দিলেন, "আরে, আপনিও তো বড় কবি, চেষ্টা করেই দেখুন না।"
বররুচি নিমরাজি হয়ে ভেবেচিন্তে বললেন, "শুষ্কং কাষ্ঠং তিষ্ঠতি অগ্রে।" বিক্রমাদিত্য পাশে ফিরে কালিদাসকে বললেন, "কী, আপনার মাথায় অন্য কিছু আসছে নাকি?" তিনি তৈরিই ছিলেন, চটজলদি শুনিয়ে দিলেন, "নীরস তরুবর পুরতো ভাতি।" এমন শ্রুতিমধুর কাব্যসুষমায় শুকনো কাঠকেও সরস করে তোলা দেখে উপস্থিত সবাই ধন্য ধন্য করে উঠলেন। বররুচির মুখ চুন হয়ে গেল।
কাহিনীটা ইন্টারেস্টিং! কিন্তু অর্থ কী এই বাক্যের সেইটা বলেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অর্থ তো ওইটাই - 'সামনে এই মরা গাছের ডালটা পড়ে আছে'
নীরস তো জানেনই, তরুবর = তরুশ্রেষ্ঠ, গাছকে একটু ভাষা মাখিয়ে বর্ণনা। পুরতঃ = পুরতো (কাব্যে) = সামনে, ভাতি = দৃশ্যমান।
চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ইন্টারেস্টিং।
(Hans সাহেবের টকও চমৎকার, বিশেষকরে যা বলছে সেটার ব্যাপারে তার কনভিকসন)
সে আর বলতে...
Interesting
থ্যাঙ্কিউ
সেইরকম ভাল্লাগছে ... পাঁচতারা দাগাইলাম ... পছন্দের পোস্টে নিলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সেইরকম ধন্যবাদ
পরিসংখ্যান এমনিতে ভয় পাই, কিন্তু লেখাটা বেশ লাগলো। টেড-ভিডিও গুলো দেখতে হবে, এখন সময় পেলাম না। (আচ্ছা আমাদের দেশের টিচারগুলো আপনার মতো হয় না কেনো? এরকম একটা বিরস বিষয়কে রসালো করা বোঝানোটা খুব জরুরি, না হলে তো ছেলেপেলেরা পড়বে না।)
লেখায়
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
সব বিষয়ই পড়ালে সরস করে পড়ানোই ভাল...
মানে আরেকটু বিস্তারিত হতে পারতো কী না ভাবছি!! জানলাম নতুন কিছু। ধন্যবাদ দাদা।
_____________________
Give Her Freedom!
এইটুকু তো গল্প, কত আর বাড়াব? এতেই দেখেন্না বিচ্ছিরি সাবজেক্ট বলে ঠাম্মি নাক সিঁটকে যাচ্ছেন...
না দাদা তোমার শিক্ষা বিষয়ক পোস্টগুলো আরাম করে পড়ি, সাধারণত তা বড়ও হয়, তাই আর কী, বড় হবে সেই রকম প্রিপারেশন নিয়ে বসছিলাম আর কী। লেখা যথারীতি সুলিখিতই হয়েছে। আর ঠাম্মি তো বেশ মজা করে বলেন এসব, আসলে ঠিকি পছন্দ করেন, দেখবেন সবার আগে পড়ে বসে আছেন, অবশ্য মাঝে মাঝে উনি ডুবও দেন!!!
_____________________
Give Her Freedom!
প্রাণবন্ত আলোচনা।
বাইরের টিজারটুকু পড়ে খেলা নিয়ে লিখেছেন ভেবে আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিলো, পরে অবশ্য বর্ণনার তোড়ে ভালোই লেগেছে।
টপিকটা তো খেলার অ্যানালিসিস নিয়েই... তাও পাঠক ঠকালাম মনে হয়
আমিও তো টিজার পরে খেলা নিয়ে ভেবে না পড়েই চলে যাচ্ছিলাম পরে হঠাৎ মনে হলো কে জানে খেলার মধ্যেও কিছু খেয়েছে নাকি...
সচলে এ বিষয়ে লেখা আগে দেখিনি বোধ হয়। ভালো লাগলো!
ধন্যবাদ
বেশ সরস লাগলো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তাহলেই বাঁচোয়া!
এই প্যারিডোলিয়া ব্যাপারখানা আমার প্রায়ই হয়। মেঘের মাঝে আকছারই আমি বিভিন্ন উদ্ভট কিসিমের বস্তু দেখতে পাই। তবে মজাটা কী জানেন, এই ঘটনার মুনাফা লোটারও চেষ্টা করা হয়। আমাদের দেশে প্রায়ই এরকম আনকোরা জায়গায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীক দেখার ঘটনা শোনা যায়। আর এসব ঘটনার ফায়দা হাসিলের জন্য একদল বুজরুক তো তৈরি থাকেই। সে যাকগে, প্রসঙ্গান্তরে চলে যাওয়ার জন্য দুঃখিত।
লেখা যথারীতি মুচমুচে
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
না না, প্রসঙ্গান্তর হবে কেন, আনকোরা জায়গায় বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতীক দেখার কথা তো আমিই তুলেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। মেঘের মধ্যে লোকে শুনেছি প্রেমিকার মুখ আকছারই দেখতে পায়...
বেশ রসযুক্ত পোস্ট! গ্রাফিক রিপ্রেসেন্টেশনের ব্যাপারটা মজা লেগেছে। তবে ট্রায়াল এন্ড এরর পদ্ধতিতে কিভাবে মুখের মিল পাওয়া গেল সেটা নিয়ে জানতে কৌতুহল হচ্ছে। ভবিষ্যতে পরী(! ) সংখ্যান নিয়ে আরো সরস পোস্ট চাই!
আপনার সাথে ই-পত্র যোগাযোগের উপায় বাতলাবেন?
ধন্যবাদ। কিন্তু পরীদের সাথে আতাপাতা হলে আপনাকে খোঁজ দিতে বয়েই গেছে!
মুখের কোন ফিচারে কোন চলক বসাবেন তা তো আপনার ইচ্ছাধীন, প্রোগ্রামে বলে দিলেই মুহূর্তে এঁকে দেবে। সেই চয়েস-টা বদলে বদলে গুটিকতক প্লট জেনারেট করে, যেইটা সবচেয়ে পছন্দ সেইটা নিলেই হল।
আমার ইমেল হল
।
জাস্ট ফাটাফাটি ।
ভাই
খুব ইন্টারেস্টিং! সহজ করে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
সিরিয়াসলি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আরে, এক কথা কতবার কইবেন? নাকি এটা অন্য কোনো পোস্টের কমেন্ট ছিল?
সহজ পোস্ট হিসেবে, ডালনার রেসিপি দিতে পারেন! বেশ কিছু ছবিটবি দিয়ে
এই তো বেশ সদুপদেশ দিয়েছেন! ন্যান হালুয়া খান...
তাও ভালু, লে হালুয়া! বলেনি ইয়ে হালুয়ার রেসিপিটা পেলে ঈদে ট্রাই করা যেত
love the life you live. live the life you love.
বাবারে! করেছেন কী!
চমৎকার!!
হেঁহেঁ ধন্যবাদ...
দারুণ জিনিস! আর বোঝানোর স্টাইল বটে আপনার!
এই পোস্টে দেখি কমেন্ট করিনি। অবশ্য আপনার আরও অনেকগুলো লেখাতেও কমেন্ট করা হয়নি--টিনটিন নিয়ে লেখাগুলো। যাই হোক, খুব ভালো লেগেছে। এই আইডিয়াটা আমার কাছে নতুন, আগে দেখিনি। কন্টেন্টে চমৎকৃত, লেখাতে তো আছেই। অনার্য সঙ্গীত আর আপনার সহজ ভাষায় কঠিন জিনিষ বুঝায় দেওয়ার ক্ষমতা আমাকে খুব অবাক করে।
নজ্জা পাইলাম...
নতুন মন্তব্য করুন