| লেখক-সম্ভ্রম বনাম লেখক-সম্মানী |

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: মঙ্গল, ২৩/০৮/২০১১ - ২:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(১)
বাটনে চাপ দিতেই মোবাইলের ওপাশ থেকে নারী-কণ্ঠের রিনিঝিনি বেজে ওঠলো- দাদা কেমন আছেন ?
জী ভালো। আপনি কেমন আছেন ?
জী আমিও ভালো। তো দাদা, আপনাকে রিং করেছি একটা প্রয়োজনে !
বলেন ?

আপনাকে একটা বিলের চেক পাঠাতে চাচ্ছি।
ও আচ্ছা ! পোস্টাল এড্রোস চাচ্ছেন ?
জী।
লেখেন………..।
চেকটা পেলে কাইন্ডলি একটু জানাবেন দাদা।
ঠিক আছে।
.
(২)
খুব একটা ফলপ্রসূ না হতে পারে, কিন্তু আমার লেখালেখি জীবনের দৈর্ঘ্য একেবারে খাটো বলি কী করে ! বলা যায় ছাত্র জীবনের সেই মধ্যলগ্ন থেকে। আড়াই দশক আগে ছাত্রত্বই শেষ হয়ে গেছে। আর অনিয়মিতভাবে হলেও পত্র-পত্রিকায় (print media) লেখালেখি তাও দেড় যুগ হবে। কিন্তু আমার এ লেখার উদ্দেশ্য এসব তথ্য জানানোর জন্য নয় মোটেও। মূলত লেখক (writer) জীবনের এক সদ্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, এবং তার বিপরীতে কিছু চলমান উপহাসের ব্যবচ্ছেদ করা।
.
অতএব পাঠক নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে উপরের ছোট্ট কথোপকথন কোন গল্পের সংলাপ নয়, যদিও আমার কাছে এটা একটা হঠাৎ গল্পের মতোই মনে হয়েছে। কেন এরকম মনে হয়েছে তা পরে বলছি। মোবাইলের ওপাশের নারীকণ্ঠটি একটি দৈনিক পত্রিকার খুব সম্ভবত সাহিত্য সম্পাদকের, যাঁকে আমি আজতক দেখি নি। কারণ লেখালেখিসূত্রে এযাবৎ কোন পত্রিকা অফিসে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার নাই বললেই চলে। ২০০৬ এর শেষার্ধ থেকে আমার ঢাকাবাসের কীবোর্ড জীবন শুরু। তার আগে চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বাইরেই ঘুরে ঘুরে কাটিয়ে দিয়েছি সতেরটি বছর। এখন গল্পের মতো মনে হলেও এরকম অঞ্চলেও থেকেছি যেখানে আজকের পত্রিকাটি হাতে পেতে অপেক্ষা করতে হতো আগামীকাল সন্ধ্যাতক। আর মোবাইল প্রযুক্তি তো স্বপ্নের মধ্যেও ছিলো না। ফলে সেই কাগজ-কলম আর পোস্টাফিসের খাম নির্ভর সময়টা ছিলো প্রধানত আমার কবিতারই কাল। মনের আনন্দে কবিতায় কষ্ট মিশিয়ে ছেড়ে দিয়েছি ডাকে, এক-দু’সপ্তা বা মাসখানেকের মধ্যে দৈনিকের সাময়িকী পাতা বা ম্যাগাজিনে সে লেখাটি আবিষ্কার করে উদ্বেলিত হয়েছি। মনেও আসে নি কখনো যে, পত্রিকাগুলো লেখককে তাঁর প্রকাশিত লেখার বিপরীতে সম্মানী নামক এক ধরনের বিশেষ শ্রমভাতা দিয়ে থাকে। আর মনে আসলেও দেশের প্রান্তসীমা থেকে আয়োজন করে ঢাকায় এসে পত্রিকা অফিস খুঁজে বের করে সেখান থেকে নগন্য লেখক-সম্মানী চেয়ে আদায় করা, এরকম ভাবতেই নিজেকে কেন যেন ভিক্ষুক ভিক্ষুক মনে হয়। আর যা হোক, লেখা বেঁচে তো আর খেতে হচ্ছে না ! অতএব, লেখা ছাপছে, এতেই উচ্ছ্বাস ! কৃতার্থ ! চলুক না এভাবেই !
.
এরপর আরো বেশ কতগুলো বছর কেটে গেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দৈনিক (daily) ও সাপ্তাহিক-পাক্ষিক পত্রিকা আমার লেখার ইতিহাস সমেত বন্ধও হয়ে গেলো। আমিও আরেকটু বয়ষ্ক হয়েছি। মাঠ-জীবনের মতো ঢাকায় তো আর সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পেরিয়েও অফিস-টাইমকে টেনে লম্বা করতে হয় না। এখানে সাপ্তাহিক ছুটির দিনটাও বিশেষ কারণ ছাড়া সত্যিকারের ছুটির দিন হিসেবেই ধরা দেয়। ফলে অধ্যয়নের সুযোগ তৈরি ও লেখালেখির জন্য প্রকৃতই কিছুটা সময় ব্যয় করা সম্ভব হওয়ায় তথ্য-প্রযুক্তির ঘোড়ায় নিজেকে ইচ্ছেখুশি ছড়িয়ে দেয়ায় আর বাধা রইলো না। হলোও তাই। আগের কুড়ি বছরে যতটা না লেখালেখি করেছি, পরবর্তী ঢাকাবাসের পাঁচটি বছরে হয়েছে তার কয়েকগুন। ছিলাম একমাত্রিক, এখন সামর্থে কুলালে বহুমাত্রিক হতেও বাধা নেই। তথ্য-প্রযুক্তি আর অন্তর্জালের কল্যাণে মিডিয়াগুলো এসে গেলো হাতের নাগালের মধ্যেই। কিন্তু এখন আর কেউ না চাইলে কোথাও লেখা পাঠাই না। তবু ঐ যে, লেখা বেঁচে খেতে হয় না এখনো, তাই ভিক্ষুকের মতো পত্রিকায় পত্রিকায় ঘুরে লেখক-সম্মানি আদায়ের উঞ্চবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ায় বাধা হয়ে রইলো সুপ্ত থাকা লেখক-সম্ভ্রমটুকুই। কেননা আমার অভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতা দিয়ে এ যাবৎ এটাই জানতাম যে হাভাতের মতো পত্রিকা অফিসে নক করে করে লেখককে লেখার বিল খুঁজে নিয়ে আসতে হয়। এর বাইরে কিছু হতে পারে, তা ধারণার বাইরে ছিলো। কাউকে কখনো এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করিনি। শুধু মাসিক শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন ‘টইটম্বুর’-এর মানিঅর্ডারের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেয়া লেখার বিলকে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম হিসেবেই ভেবে এসেছি। কিন্তু এ সব অভিজ্ঞতাকে ধাক্কা দিয়ে তালগোল পাকিয়ে দিলো দৈনিক ডেসটিনির (destiny) সাহিত্য-সম্পাদক (যদি নামে ও পদবীতে ভুল না-করে থাকি) শারমিন নাহার (sharmin nahar) তাঁর সম্পাদিত পাতায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের বিল হিসেবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি একাউন্ট পেয়ী চেক কুরিয়ারে পাঠিয়ে দিয়ে।
.
(৩)
লেখার বিল কতো হওয়া উচিত বা উচিত নয়, সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। কেননা লেখার মান বা পরিমাণ নয়, যতটুকু বুঝি, লেখকের বয়স, উচ্চতা (?) ও ক্ষমতার মাত্রাভেদেই লেখক সম্মানী নির্ধারিত হয়। যদি তা না-হয়ে থাকে, তাও আমার সীমাবদ্ধ জানার ত্রুটিই হয়তো। সে বিষয়ে আর না গেলাম। যেখানে মুরগীরই খবর নাই, সেখানে আগে ডিমের খোঁজ নেয়াটা বাতুলতাই। তাই শারমিন নাহারের চেকটি হাতে পেয়ে কতকগুলো জিজ্ঞাসা, যা হয়তো আগেও বোধের ভেতরে ছিলো, এই প্রথম প্রকাশ্যে চুলবুল করে ওঠলো মাথার ভেতরে !
.
একজন শারমিন নাহার যদি একজন লেখককে তাঁর সম্মানির চেক পোস্টাল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়ে নিজের উন্নত বিবেচনাবোধের পরিচয় প্রকাশ করে লেখকের কৃতজ্ঞতাভাজন হতে পারেন, তাহলে অন্যান্য পত্রিকা বা বিভাগীয় সম্পাদকরা কেন তা পারেন না ? মেইল বা পোস্টালে যেভাবেই হোক লেখা প্রেরণকারী লেখকরা নিশ্চয়ই ঠিকানাহারা থাকেন না। পৃথিবীর সব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, বড় বড় ডিডি, এমটি, চেক পোস্টালে বা কুরিয়ারে বহনক্ষম হলে পত্রিকা অফিসের নগন্য অংকের চেক কোন্ বিচারে বহন অক্ষম হয় তার ব্যাখ্যা কী দেবেন ? না কি লেখক নামী দামী ক্ষমতাবান হলেই তাঁকে সম্মানি পৌঁছে দেয়া হয়, নইলে সে লেখকের কোন বেইল নেই ! দেশের প্রান্তসীমার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে লেখকটির লেখা প্রকাশিত হলো, তিনি কিভাবে জানবেন যে কবে তাঁর লেখার বিল অনুমোদন হয়েছে ? এবং তাঁর দ্বারা লেখার বিল পাশের খবর জোগাড় করে অতঃপর বিল তুলতে যথাসময়ে ঢাকায় আসা আদৌ কি সম্ভব ? এ যাবৎ কোন পত্রিকা কি তার লেখকদের বিল অনুমোদনের খবর ও উত্তোলনের আহ্বান জানিয়ে ডেড-লাইন দিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করেছে কখনো ? আর এসব শুভঙ্করে পড়ে যে লেখক তাঁর প্রাপ্য বিলটি নিতে পারেন নি, তাঁর সম্মানিটা শেষপর্যন্ত কী হয়, কোথায় যায়, তা জানার উপায় কী ? সংবাদপত্র (newspaper) হচ্ছে সমাজের দর্পণ। সমাজে ঘটতে থাকা অন্যায়-অবিচার, বঞ্ছনা, অনিয়মের খবর খুঁজে এনে পাঠকের সামনে পরিবেশন করে থাকে। এ থেকে জাতি দেশ ও দশের সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়, প্রতিকার ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু সংবাদপত্র নিজেই যেসব বঞ্ছনার ইতিহাস তৈরি করছে, তার প্রতিকারের উপায় নিয়ে কে কী ভাবছেন জানতে ইচ্ছে করে।
.
ব্যতিক্রম বাদ দিলে লেখকরা স্বভাবতই ভদ্র ও মার্জিত হয়ে থাকেন। কেউ কেউ হন নিরীহ। ব্যবসাবুদ্ধি কম থাকায় তাঁরা হয়ে থাকেন গরীবও। এও জানি যে কোন কোন দূরবর্তী লেখক প্রতিনিধি পাঠিয়ে লেখার বিল তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগেও একজনের বিল যদি অন্যের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়, তাহলে আরেকজনের বিল অন্য কেউ ভূয়া লেখক সেজে তুলে নেয়া তো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ! তাছাড়া একজন লেখক যেমন লেখা পাঠিয়ে দিয়েই খালাশ, তেমনি লেখা প্রকাশিত হলে একজন সম্পাদকেরও অনুমোদনোত্তর লেখক-সম্মানি পাঠিয়ে দেয়াটা মার্জিত রুচিবোধ ও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না কি ? সর্ষের মধ্যে ভুত রেখে অন্যের ভুত তাড়ানোর মন্ত্র আওড়ানোর আগে সমস্ত প্রিন্ট মিডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে ইচ্ছে করে, দয়া করে লেখকদের অবহেলাভরে ঠকানোর ছিদ্রপথগুলো বন্ধ করে অন্তত এদিকে একটু আপ-টু-ডেট হওয়া যায় না কি ? লেখকদেরকে আপনাদের জমিদারীর প্রজা না-ভেবে প্রাপ্য যৎসামান্য সম্মানীটুকু সম্মানের সাথে দেয়া গেলে আপনাদের কী এমন ক্ষতিবৃদ্ধি হয়ে যায় তা জানাবেন কি ? এই যে এখন আপনাদের দিকে আঙুল উঁচিয়ে লেখক-অবহেলার অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা কি অমূলক ? এতেও যদি কারো বোধোদয় না হয়, তাহলে এটা তো নিশ্চয়ই বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় যে প্রযুক্তি এগিয়ে গেছে অনেক। মাথায় ঘিলু থাকলে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন লেখকদের দায় পড়েনি যে যেখানে সেখানে প্রিন্ট মিডিয়ার কাছে ধর্না দিতেই হবে ! কেননা লেখক-সম্ভ্রম বিলুপ্ত হলে কেউ আর সৃজনশীল লেখক থাকতে পারেন না।
.
(৪)
আমি দুঃখিত শারমিন নাহার, লেখায় আপনার নাম উল্লেখ করেছি বলে। আমি ঠিক জানি না, আপনার স্বতঃপ্রণোদিত বিবেচনাবোধের দৃষ্টান্ত টানতে গিয়ে নতুন করে আপনার কোন শত্রু সৃষ্টি করলাম কিনা। কেননা সর্ষেতে ভুতের অস্তিত্ব আদৌ বিলীন হবে কিনা জানি না। অন্তর্জালেই নিজেকে অনেক বেশি ব্যপৃত রাখলেও দেশের অধিকাংশ দৈনিকেই আমি লেখালেখি করেছি, এবং এখনো করি। আপনি এখন যে পাতাটি দেখছেন, আপনার দায়িত্ব গ্রহণের আগেও এ পাতায় এবং একই পত্রিকায় অন্যান্য বিভাগেও আমার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত বিভাগীয় সম্পাদকও রয়েছেন আপনার পত্রিকায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনিই একজন লেখককে কখনো সামনাসামনি না-দেখেও সম্মান ও গুরুত্ব দেয়ার প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ব্যক্তিগতভাবে আমার ক্ষেত্রে। এবং লেখক-সম্মানি, তাও আবার ঘরে বসেই চেক পেয়ে যাওয়ার এ দৃষ্টান্ত আমার লেখক-জীবনেও এই প্রথম। তাই আপনাকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি আপনার কাছ থেকে যদি সংবাদপত্র জগতের অন্যান্য সম্পাদকরা নিজ যোগ্যতায় তাঁদের লেখককে যথাযথ সম্মান দেয়ার ক্ষেত্রে শেখার মতো কিছু খুঁজে পান, সে লক্ষ্যেই এই লেখাটির অবতারণা। অন্তত কালের খাতায় লেখা থাক একটি ছোট্ট অথচ আপাত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কিছু ব্যক্তিগত উপলব্ধি।


(২২-০৮-২০১১)


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সুন্দর একটা লেখা। লেখকদের সম্মানিটুকু নিজ উদ্যোগেই পাঠিয়ে দেয়া উচিত পত্রিকাগুলোর। কিন্তু এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয় না সবক্ষেত্রে। বিখ্যাত লেখকদের ক্ষেত্রে আগেই দিয়ে দেয়া হয় অধিকাংশ সময়ে। ব্যতিক্রম হিসেবে অন্যান্য পাতাতেও এই কাজটি করা উচিত।
মনে হয় সাপ্লাই এবং ডিমান্ডের কোনো বিষয় আছে এখানে। বিশেষ করে সাহিত্য পাতাগুলোকে।
যখন একদল ফালতু লেখক নিজের উদ্যোগে বিভাগীয় সম্পাদককে নানান পদ্ধতিতে তেল দিয়ে নিজের লেখাটি প্রকাশ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন, তখন সেই বিভাগীয় সম্পাদক মহাশয়ও তেল আর জলের পার্থক্য করা বাদ দিয়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে থাকেন।

আমাদের দেশের পত্রিকাগুলো কোনো এক অদ্ভুত কারণে নিজেদেরকে সুপিরিয়র মনে করে, আর একারণেই এখানে সহজবোধ্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়াগুলোকে অনাবশ্যক জটিল করা হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ আরিফ ভাই।
পত্রিকার ভেতরের বিষয়ে আমার কোন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাই নেই। সেটি লেখাতেও উল্লেখ করেছি। তাই আপনার অভিজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্যটিকে আমি প্রণিধানযোগ্য মনে করি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আরিফ ভাইকেও ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি। আমার প্রকাশিত একটা লেখার সম্মানী দেবার ব‌্যাপারে আমার চেয়ে আপনাকে উদ্বিগ্ন হতে দেখেছি বেশী। বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে এটা একেবারেই বিরল।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কিন্তু আপনি এখনও পাওনাদারই রয়ে গেছেন। দেঁতো হাসি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

রিপিট ঘ্যাচাং।

অনিকেত এর ছবি

খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে।
আমার মনে বহুদিন ধরে জমা হয়ে থাকা একটা প্রশ্ন স্মৃতির অতল থেকে তুলে নিয়ে আসলেন।
এই লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক একটা স্মৃতিচারণ করতে চাই আপনার অনুমতি নিয়েঃ
আমি কোন অর্থেই লেখক নই। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে সবার যেমন হয়, আমারও তেমনি লেখার ব্যারাম চেপেছিল। প্রথমে কবিতা লেখার চেষ্টা চলেছিল। সে চেষ্টায় সাফল্যজনক ভাবে ব্যর্থ হওয়ায় অন্য লেখালেখি শুরু হল। জাফর স্যারের সাথে একদিন আড্ডা মারতে গিয়ে প্রথম 'ফাজি' লজিকের (Fuzzy Logic) নাম শুনি। সেইটা নিয়ে উৎসাহ দেখে স্যার আমাকে কিছু কাগজ-পত্র দেন। আমার উৎসাহ বেড়ে গিয়ে মহা-উৎসাহ হয়ে গেল! দিন কতক কলম চিবিয়ে একটা লেখা খাড়া করে ফেললাম। তারপর গুটিগুটি হেঁটে হাজির হয়ে গেলাম ভোরের কাগজ অফিসে। তাদের বিজ্ঞান সাময়িকীর সম্পাদক কী মনে করে জানি আমার লেখাটা ছাপিয়ে দিলেন।
পরে যখন পত্রিকায় নিজের ছাপানো নাম দেখলাম---সে অভিজ্ঞতা বলে বোঝানো সম্ভব নয়! যাই হোক, লেখার ব্যারাম ভাল করেই চেপে বসল। এক সপ্তাহ পরে আরেক লেখা নিয়ে যখন ভোরের কাগজের আপিসে হাজির হয়েছি তখন সেইখানের একজন জিজ্ঞেস করলেন, আপনার গত লেখার টাকা নিয়েছেন? আমি থতমত খেয়ে গেলাম।
টাকা? কিসের টাকা?
বাহ, আপনার লেখা ছাপা হয়েছে, টাকা পাবেন তো আপনি---জানেন না?
আমার চোখ তখন হয়ত আসলেই ছানাবড়া। লেখা ছাপিয়েছে তাতেই গর্বে পা মাটিতে পড়ছিল না। এর উপরে এরা টাকা দিচ্ছে?!! টাকা হাতে নিয়ে গটগট করে যখন হলে ফিরলাম, আমার বন্ধুদের তখন চোখ ছানাবড়া হবার দশা! এক বন্ধু তোতলাতে তোতলাতে বলল, তোর ঐ লেখা ছাপিয়েছে, তার উপর আবার টাকা দিচ্ছে?

তখন বুঝলাম--ব্যাপারটা কেবল আমার কাছে নয়---অনেকের কাছেই বিষয়টা অজানা যে লেখালেখির সাথে এক ধরনের সম্মানীর প্রশ্ন জড়িত থাকে। অনেকে লেখালেখি করে যায়, আপনার মত, শ্রেফ সৃষ্টিশীলতার আনন্দেই। তারা হয়ত সম্মানীর ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামানই না। এবং অনেকে হয়ত জানেনই না এ বিষয়ে।

সমস্যাটা হল, এই জিনিসটা জানিয়ে দেবার দায়িত্ব কিন্তু পত্রিকা কর্তৃপক্ষের। আমি মনে করি এইটাই শোভন এবং এইটুকু সৌজন্যবোধ তাঁদের থাকা উচিত। আমি এমন করে ভাবতে চাইছি না, তবে কেন জানি মনে হয়---লেখকদের unclaimed money অন্য কোন উপায়ে হয়ত নয়-ছয় হয়ে যায়। সে কারণেই হয়ত অনেক সময় পত্রিকা নিজ দায়িত্বে লেখককে জানায় না। যদি নিজে এসে খোঁজ করে টাকা নেয় তো ভাল---নাহলে উড়ো খৈ গোবিন্দায় নমঃ

শারমিন নাহার কে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি একটা ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য!

আশা করি পত্রিকা গোষ্ঠি এই ব্যাপারে সচেতন হবেন--আমাদের 'বদলে' দেবার আগে নিজেদের কিছু জরুরি জিনিস 'বদলে' নেবেন!

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ অনিকেত দা।
আমার অঙ্গুলি নির্দেশ থেকে কিন্তু ভোরের কাগজও বাদ যায় না ! হা হা হা !

যেহেতু আমি শারমিনকে দেখি নি, গলার টোন থেকে ধারণা করি সে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি। আমি বিশ্বাস করি, এরাই বদলে দেবে পুরনো অনিয়মগুলোকে, নতুন বিশ্বাস ও দেশকে ভালোবাসার ঔজ্জ্বল্যে !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখকেরা তো লেখার জন্যেই লেখেন। সম্মানি তাদের প্রাপ্য হলেও তাদের কাছে অতোটা গুরুত্বপূর্ণ নয় বলে মনে করি!

কিন্তু এদেশের পত্রকিগুলোতে স্কুল/কলেজ/ভার্সিটি পড়ুয়া কিছু বাচ্চা ছেলেপেলে কাজ করে। প্রদায়কদের কথা বলছি। এদের উপর পত্রিকাগুলো (বিশেষত ফিচার বিভাগ) দারুণভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু বেশিরভাগ পত্রিকা সবার আগে এইসব বাচ্চা ছেলেপেলেগুলার টাকা মেরে দেয়। খুব নামমাত্র টাকা কিন্তু। টাকার অঙ্ক হাজারের ঘরে কমই ওঠে। তাও এই শুওরেরবাচ্চারা এইসব বাচ্চা ছেলেপেলেগুলার কয়েকটা টাকা মেরে দিতে লজ্জাবোধ করে না!!!

[একদম নাম ধরে ধরে এদের উপর একটা লেখা লিখব ভেবেছি সময় পেলে! তালিকায় আছে রাজনৈতিক নেতা, শিল্পপতি, সাহিত্যিক থেকে সুপারস্টাররা পর্যন্ত!]

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রণদীপম বসু এর ছবি

ঠিকই বলেছেন রতন। সম্মানীটা আসলেই বড় কোন ফ্যাক্টর না। কিন্তু এই ছোট্ট জিনিসটা দিয়ে লেখককে সম্মান দেখানোর বিষয়টাকেই হাইলাইট করতে চেয়েছি।
গত দেড় যুগে কোন লেখারই তো সম্মানী পাই নি, বা এ নিয়ে মাথাও ঘামাই নি। কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক সিস্টেমটা যে নষ্ট হয়ে গেছে ! শারমিন মূলত এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অকেজো সিস্টেমটাকে সচল হবার একটা আশাবাদ দেখিয়েছে। এই বিষয়টাকেই উইশ করছি আমি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

জহির  আহমাদ এর ছবি

লেখেন না একটু সময় বের করে, গরীবের উপকার হইত...

নজমুল আলবাব এর ছবি

যায়যায়দিন ২০ বছর আগেই মানিঅর্ডারে টাকা পাঠাতো। ইচ্ছাটাই আসল

রণদীপম বসু এর ছবি

এই ইচ্ছেটা সবার হয় না কেন অপু ভাই, বলতে পারেন ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সজল এর ছবি

আমিও একটা পত্রিকার কাছে তিন/চারশ টাকা পাই দেঁতো হাসি । বন্ধুর মারফতে জানলেও, নিজে গিয়ে সেটা আনতে হবে এই জন্য আর আনা হয় নাই।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সুন্দর লেখা রণ'দা।

মু. জা. ইকবালের-এর লেখায় পড়েছিলাম ছাত্রাবস্থায় নিজের আঁকা কার্টুনের প্রাপ্য কিছু টাকার জন্যে কত হন্যে হয়ে ঘুরেছেন নামকরা পত্রিকার সম্পাদকের কাছে। আমি কখনো টাকা পাইনি, কিন্তু শুনেছি বাবা-মা পেতেন, প্রায় সময়েই।
আর এখন মনে হয় কাগজ বেশি হয়ে গেছে, লেখকও, তা না হলে আর কী!

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধরেন দশ-পনের বছর আগে তো এতগুলো কাগজ ছিলো না। তার বেলা !?!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

I was being sarcastic. অপু ভাইয়ের কথাটাতেই অ্যাগ্রি করবো, সদিচ্ছার অভাব।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রণদীপম বসু এর ছবি

সহমত।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

goribmanush এর ছবি

পেইড ব্লগারদের কি অবস্থা দাদা? কোন আইডিয়া আছে? হো হো হো মাঝে মাঝে তো এই অপবাদ জুটে যায় অনেকের কপালে? গড়াগড়ি দিয়া হাসি । কেমন আছেন আপনি?

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ।
আপনার কাছেই তো প্রথম এই আইডিয়ার কথা শুনলাম ! এ ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা থাকলে লিখে ফেলুন না কিছু একটা !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মিলু এর ছবি

বিদেশে তো শুনেছি এমন হরহামেশাই ঘটে থাকে। বাংলা ব্লগগুলোতেও কখনো কখনো আঙ্গুল তোলা হয়েছে কারো কারো দিকে। ব্লগগুরুরাই ভালো জানবেন এ ব্যাপারে।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

রণদা, পত্রিকায় শারমীন নাহারের মতো কেউ কেউ থাকেন। আছেন। গেল সপ্তাহে সাপ্তাহিক কাগজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জব্বার ভাই ডেকে নিয়ে লেখক সম্মানী দিলেন। কালের কণ্ঠের রাজকূটে যখন লিখতাম, আরিফ জেবতিক ভাই ফোন করে ডেকে নিয়ে লেখক সম্মানী দিয়েছেন। সমকালের কালস্রোত পাতার আসিফ ভাইও চেক তৈরি হলে খবর দিয়েছেন নিয়ে যেতে। আমার ক্ষেত্রে গিয়ে নিয়ে যেতে বলার কারণ, পত্রিকা পাড়ায় আমার প্রায়ই যাওয়া-আসা হয়। কিন্তু আমার মতো তো আর সবাই পত্রিকা পাড়ার কাছাকাছি অবস্থান করে না। আমার যে লেখক বন্ধু সিরাজগঞ্জ থেকে লিখছেন, তাকে লেখার সম্মানীটুকু ঢাকায় এসে নিতে গেলে খাজনার চেয়ে বাজনা-ই বেশি পড়ে যাবে। সেসব ক্ষেত্রে পত্রিকার বিভাগীয় সম্পাদকরা যদি সম্মানীটুকু নিজ উদ্যোগে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেন, সেটাই সবচেয়ে ভালো হবে।

রণদীপম বসু এর ছবি

ধন্যবাদ পান্থ। শারমিনের মতো আরো কেউ কেউ যে আছেন, আপনার মন্তব্যই তার প্রমান। কিন্তু এ সংখ্যাটা মনে হয় খুবই কম এবং ব্যতিক্রম ! মূল স্রোতটায় আসলে চর পড়ে গেছে !! ড্রেজিং দরকার...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

যতদিন তাদের বোধ জাগ্রত না হচ্ছে ততদিন আমার মনে হয় নিজের প্রাপ্যটুকু বুঝে নেওয়াই ভালো, এতে লজ্জার কিছু নাই। আর ভদ্র মানুষের দাম কজনই বা দেয়!!! তবু নাহার সাহেবা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন!!! সবাই উনার মতো কবে হবে!!!


_____________________
Give Her Freedom!

রণদীপম বসু এর ছবি

সব লেখকরা মনে হয় চাইলেই শোভন পোশাকটা খুলে ফেলতে পারেন না। অনেক লেখকদেরই এই সম্ভ্রমটা বিনিময়যোগ্য হয় না। তাই সাধারণ্যের সম্ভব এমন অনেক কিছুই এরা পারেন না। কেমন হ্যাংলা হ্যাংলা মনে হয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

জ্বি ঠিক বলেছেন। শোভনত্বের পোশাকটা খুলে ফেলা যায় না শেষ পর্যন্ত।


_____________________
Give Her Freedom!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আবার সম্মানী দেয়ার ঝামেলাকে বাদ দিতেই বুঝি কোন কোন পত্রিকা লেখককে জিজ্ঞেস না করে অন্য জায়গা থেকে কপি করে লেখা ছাপিয়ে বসে থাকে চুপচাপ।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রণদীপম বসু এর ছবি

এটাকে সম্মানী দেয়ার ঝামেলা না বলে সরাসরি চুরি বলাটাই সংগত।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সুমন তুরহান এর ছবি

রণ'দা, ধন্যবাদ লেখাটির জন্যে। এই বঞ্চনা চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত পত্রিকাই নিজেদের ব্রাক্ষ্মণ আর লেখকদের শূদ্র বলে চিন্তা করে। মফস্বলের লেখকদের ঢাকায় গিয়ে রীতিমতো দেন-দরবার করে টাকা আদায় করতে হয়। অথচ সেই টাকায় ঢাকা যাওয়া-আসার খরচের অর্ধেকও উঠে আসে না।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিষয়টা ক'জন সম্পাদকের ভাবনাবোধে কাজ করে !

'সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ !'

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অনেকেই ভাবছেন যে পত্রিকাগুলো সম্মানীর চেক পাঠিয়ে দিলেই পারে, খামোখা অফিসে যাওয়ার কথা বলে কেন। একজন মানুষ যিনি মিরপুরে থাকেন, তারপক্ষে মতিঝিলের পত্রিকা অফিসে ৫শ টাকার চেক আনতে যাওয়া বিড়ম্বনাই বটে।
তবে সমস্যা অন্যখানে।
টাকাটা বিভাগীয় সম্পাদক ইস্যু করে না, টাকা দেয় একাউন্ট বিভাগ। ভিন্ননামে লিখে কিংবা অনলাইন থেকে মেরে দিয়ে সেই লেখার বিল তুলে নেয়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাই বিভাগীয় সম্পাদকরা নিজেরা ক্লিয়ার থাকার জন্য বিল নিজে গিয়ে তুলে আনতে বলেন।
আরেকটা জটিলতা হচ্ছে ছদ্মনামের জটিলতা। 'চৈত্র মেহবুব' নামে যিনি লেখা পাঠিয়েছেন, চেক ইস্যু করার পরে দেখা যায় তার নাম আসলে কমরুদ্দিন। এখন সেই চেককে সংশোধন করতে গেলেই আবার নতুন জটিলতা তৈরি হয়, প্রকাশক মহাশয়ের স্বাক্ষর, সম্পাদকের স্বাক্ষর...যত ধরণের জটিলতা তৈরি করা যায়। সব লেখকের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ তো থাকে না যে আসল নামে চেক ইস্যু হবে।
তাছাড়া অনেকে বিদেশ থেকে লেখা পাঠান। তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়।
-

তবে এখন সাহিত্য পাতা, উপসম্পাদকীয় পাতা এসব পাতার জন্য চেক ইস্যু করে সরাসরি বিভাগীয় সম্পাদকের হাতে দিয়ে দেয়ার নিয়ম চালু হয়েছে অনেক পত্রিকায়। বুঝা যাচ্ছে ডেসটিনিও এই পদ্ধতি চালু করেছে। এটা ভালো, এতে করে বিভাগীয় সম্পাদকের ইজ্জত কিছুটা হলেও রক্ষিত হয়।

রণদীপম বসু এর ছবি

আরিফ ভাই, এ বিষয়ে যেহেতু আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জড়িত, তাই এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিতে কার কী করণীয় হতে পারে সেরকম কিছু পরামর্শ দিলে সংশ্লিষ্টরা হয়তো নতুন করে ভাবনার খোরাক পেতে পারেন।

অনুরোধটা আবার খুব বেশি অমার্জনীয় হয়ে যায় নি তো ? যোগ্যতার বিড়ম্বনা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

Kamrul Hasan এর ছবি

লেখা দিয়ে আগুন জ্বালান যায়। আবার আগুনে পানিও ঢালা যায়।

তবে আজকের দুর্মূল্যের বাজারে বাস্তবতা, নৈতিকতা, প্রচলিত আইন, আইনের ফাক, আধুনিক শ্রেনীবৈষম্য ( যেমনঃ হাজার হাজার অশিক্ষিত ড্রাইভার ও তাদের মন্ত্রীর বিপরীতে সংগঠন বিহীন সাধারন মানুষ ), বিদেশী বড়ভাইদের ভূল পরামর্শ, বাড়ির পাশের মূর্খ তথাকথিত ছাত্র - লীগ নেতার মটরসাইকেলের গর্জন আর তারা খাওয়া পলায়নপর এসপি, ডিসি ইত্যাদি সমস্ত কিছু বিবেচনা করে বিশাল কিছু লেখার পিছনে অসংখ্য ঘন্টা সময় দেওয়া সম্ভব নয়। অন্ততঃপক্ষে তার পিছনে যদি কিছু পয়সা না থাকে।

তাই কোনদিন লিখি নাই। অযথা সময় নষ্ট হতো।

শারমিন নাহারদের মতো মানুষদের কথাশুনে আগ্রহ বোধ করছি।

তিনি কোন পত্রিকার লোক জানালে উপকৃত হতাম। দু'একটা লেখা হয়তো পাঠাতাম। চারপাশের ঘোলাপানিতে মৎস্য শিকার করতে না পারলেও অন্ততঃপক্ষে লিখে টুপাইস কামাতে পারতাম ;)।
জানাবেন কি?

রণদীপম বসু এর ছবি

পোস্টের সংশ্লিষ্ট জায়গাটায় আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে হয়তো।
দৈনিক ডেসটিনি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আশালতা এর ছবি

চমৎকার একটা লেখার জন্য বড় মাপের ধন্যবাদ।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রণদীপম বসু এর ছবি

এতো বড় মাপের উপঢৌকন গ্রহণ করার আগে সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, যতক্ষণ না এ পোস্ট কার্যকর কোন পরিবর্তনে সহায়ক হলো। তার আগে ছোট্ট করে নিলাম। হা হা হা !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ইসমাইল হোসেন এর ছবি

লেখক মহোদয় যে পত্রিকাটির নাম উল্লেখ করলেন আমি সেই পত্রিকাটিতে এক সময় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করতাম। গত বছর নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার পর বিস্তর অনুনয় বিনয় করে মারিও ভার্গাস য়োসার একটা সাক্ষাৎকারের অনুবাদ (ব্রড শীটের তিন ভাগের দুইভাগ হয়েছে) আমাকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন পত্রিকাটির সাহিত্য বিভাগ। পরে এই লেখাটির বিল আর কোনোদিন দেননি তারা।

ইতিমধ্যে আমি ডেসটিনি পত্রিকার সহ-সম্পাদকের কাজটি ছেড়ে দিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেছি।

ডেসটিনির তৎকালীন সাহিত্য পাতার দায়িত্ব (আপনার উল্লেখিত শারমিনের ওভারশিয়ারের ভূমিকায়) যিনি ছিলেন- ড. অনু হোসেন- আমার ফেইসবুক বন্ধু। ডেসটিনি ছেড়ে দেয়ার পর একদিন তাকে (ড. অনু) অনলাইনে পেয়ে বললাম--দাদা, আমার সেই লেখাটার কোনো বিল তো আপনারা দিলেন না। তিনি আমার সেই কথার কোনো জবাব দেননি। অফ-লাইন হয়ে গেছেন।

উপরে অনুনয় শব্দটি যোগ করলাম এই কারণে যে-- আমি স্বেচ্ছায় লেখালেখি করি না। এটা আমার কাছে মহাবিরক্তির কাজ। লেখালেখির জায়গায় আমি খুব অলসও। রুটি-রুজির প্রয়োজনেই শুধু লেখি। সেটা পত্রিকার জন্য সংবাদ লেখা অথবা সম্পাদনা করা। সেজন্যই আমাকে দিয়ে লেখাতে তাদের অনেক অনুরোধ করতে হয়েছে।

(প্রসঙ্গ আসলো বলে বললাম)

রণদীপম বসু এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। খুব ভালো করেছেন কথাগুলো বলে। আপনারা তো সহকর্মী সহযোদ্ধা ছিলেন এবং বড় পরিসরে এখনো আছেনও। আমি নাহয় দূরের মানুষ। আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন যে, পোস্টের শেষের দিকে আমি এটাও উল্লেখ করেছি যে, চেক প্রেরক শারমিন নাহারের দায়িত্ব গ্রহণের আগেও আমি যৎসামান্য হলেও এই পত্রিকার বিভিন্ন বিভাগে লিখেছি। (তখন আপনি সেখানে কর্মরত ছিলেন কিনা জানি না।) আমি কিন্তু সেগুলোর কোন সম্মানী পাই নি ! তা চাইতেও যাই নি (কারণটা পোস্টেই বিবৃত হয়েছে)। এই যে এখন না-পাওয়ার কথাটা বললাম, তাতেই জিহ্বায় কেমন যেন আড়ষ্টতা টের পাচ্ছি ! হাভাতে হাভাতে মনে হচ্ছে নিজেকে !

যেহেতু আপনি আরেকটি পত্রিকাতেই কর্মরত আছেন, তাই অন্তত আপনার পত্রিকার কোন লেখকের বুকের মধ্যে যেন এ ধরনের কোন সুপ্ত কষ্ট না-জমে, এ বিষয়টাকে হৃদয় দিয়ে দেখবেন এবং আপনার সহকর্মীদেরকে উদ্বুদ্ধ করবেন এমন আশা কি করতে পারি ?

ভালো থাকবেন। মন্তব্যের জন্যে আবারো ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ধন্যবাদ। ঠিক এই রকম তথ্য সমৃদ্ধ লেখা আমার দরকার ছিল।

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। লেখাটিকে একটি আত্মজৈবনিক অভিজ্ঞতার ছোট্ট উপলব্ধি হিসেবেই ভাবতে পারেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

খুব প্রয়োজনীয় একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন। আমার তো মনে হয়ে লেখক তার প্রাপ্য পাক বা না পাক, প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক রিকনসিলিয়েশনে কিন্তু কোনও চেকই আউটস্ট্যান্ডিং দেখায় না। মফিলের মাল কফিল খেয়ে যায়, এই আর কি। অত্যন্ত ঘৃণীত এই চর্চা। একই ঘটনা ঘটে রেডিও আর টেলিভিশনে অপ্রতিষ্ঠিত শিল্পীদের বেলায়ও। চেক তারা বুঝে নেয় ঠিকই কিন্তু পরক্ষণেই তা চলে যায় অন্য হাতে।

আমি ব্যাক্তিগতভাবে কৈশোরে শিশু এবং সপ্তডিঙায় লিখতাম। সপ্তডিঙা থেকে মাঝে মাঝে একটা নির্দিষ্ট টাকার সমপরিমানের বই দিতো। সাবালকত্বপ্রাপ্তির পর কিছুকাল নিয়মিতভাবে যায়যায়দিন ছাড়া অন্য কোথাও তেমন লিখিনি। ওরা ১৯৯৪ সালে বর্ষসেরা লেখক হিসেবে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটা সাদাকালো টেলিভিশন ধরিয়ে দিয়েছিলো।

তবে লেখালিখি করে কিছু উপার্জন করতে পারলে মন্দ হতো না। কিন্তু লেখালিখিকে তো সেই মানেই নিতে পারছিনা। মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রণদীপম বসু এর ছবি

আপনি আবার শিশুর কথা মনে করিয়ে দিলেন। ওটা তো একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান। মজার ব্যাপার হচ্ছে আগের নির্বাহী সম্পাদক সুজন বড়ুয়া আমার পরিচিত, বর্তমান নির্বাহী সম্পাদক ফারুক নওয়াজও পরিচিত। তারাও আমাকে ভালো করেই চেনেন। কিন্তু ? হা হা হা !
ওখানে আমার যাওয়ার কোন সুযোগই হয় না। চাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

অনেক সময় মিডিয়ার প্রতিযোগিতাও অনেক কাজে দেয়, তা সে নতুন পত্রিকার বাজার দখলই হোক আর পুরাতনের বাজার ধরে রাখাই হোক। যখন ডেইলি সান যাত্রা করলো আর ইনডিপেন্ডেন্টের মালিকানা বদল হলো, তখন পুরোনো দুটো পত্রিকা থেকে লেখকদের তাগাদা দেয়া হয়েছিল টাকা নেবার জন্য। নতুন পত্রিকাটি লেখাপ্রতি সম্মানীর হারও বাড়িয়ে দিয়েছিল… আর একটা অনলাইন ম্যাগাজিন তো তার লেখকদের তিন মাসের মধ্যে চার বার ইমেইল করে তাগাদা দিয়েছিল টাকা নেবার জন্য!

ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় সুস্থ প্রতিযোগিতা দরকার।

-----------
চর্যাপদ

রণদীপম বসু এর ছবি

এটাও মনে হয় শেষপর্যন্ত লেখককে সম্মান দেখানোর বিষয় ছিলো না। মূলত বাজার দখলের ব্যবসায়িক স্টান্টবাজিই হয়তো।
এখন কী অবস্থা ওগুলোর ? কোন আপডেট ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

সম্ভবত। যতদূর জানি, সান ঠিকমত উদিত হতে পারেনি… ইন্ডিপেন্ডেন্টও বাণিজ্যের কাছে পরাধীন মন খারাপ

-----------
চর্যাপদ

মিলু এর ছবি

বরাবরই অনুচ্চারিত, কিন্তু খুবই কমন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন; হোক সেটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার ছোট্ট উপলব্ধি।

রণদীপম বসু এর ছবি

লজ্জা-শরমের বালাই খেয়ে এবার নাহয় উচ্চারণ করেই ফেললাম ! তবে এতে আমার একটুও দোষ নেই কিন্তু ! যত অনষ্টের মূল হচ্ছে ওই শারমিন নামের মেয়েটা ! হা হা হা !!

আসলে আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলো যোগ করেই তো আমাদের সামষ্টিক চালচিত্র। যেখানে অনেক ত্রুটি রয়ে গেছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মিলু এর ছবি

বরাবরই অনুচ্চারিত, কিন্তু খুবই কমন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন; হোক সেটা ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার ছোট্ট উপলব্ধি।

আয়নামতি এর ছবি

খুব ভালো করেছেন এভাবে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। সংশ্লিষ্ট গন্তব্যের কোথাও গিয়ে বাজুক এপোষ্টে উচ্চারিত প্রশ্নগুলো। তাতে হয়ত কিছু মানুষের উপকার হলেও হতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া হাসি

রণদীপম বসু এর ছবি

একদম সহমত !
ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কৌস্তুভ এর ছবি

আপনি তো অদ্ভুত লোক মশাই! লেখা প্রকাশিত হবে, সেই সুযোগ পাবেন, নাম-যশ পাবেন, তারপর কোথায় নিজেই গিয়ে প্রকাশক মশাইকে দুটো লাড্ডু-দরবেশ দিয়ে আসবেন, তা না, আবার টাকাও চান! অ্যাঁ শয়তানী হাসি

(আলোচনা চলুক )

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার কী দোষ রে ভাই ! ওই শারমিন নাহারই তো প্যাঁচটা লাগালো !! ইয়ে, মানে...

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নীলকান্ত এর ছবি

সমস্যাটা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বলে আমি মনে করি। অপু ভাইয়ের সাথে একমত, ইচ্ছাটাই আসল।


অলস সময়

রণদীপম বসু এর ছবি

এই নির্ধারকদের নীতিটা কী, তা-ই তো জান্তে মঞ্চায় !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তারাপ কোয়াস এর ছবি

লেখায় এবং মন্তব্যে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ রণদা ব্যতিক্রমী ধারার এই পোষ্টটির জন্য।


love the life you live. live the life you love.

রণদীপম বসু এর ছবি

আর বইলেন না ভাই ! এখন তো দেখি লোকজনের চোখে দিকে তাকালেই মনে হয় আমাকেই বলছে যেন- ছি ছি ! সামান্য ক'টা টাকার জন্য এভাবে হাটের মধ্যে হাঁড়ি নিয়ে আসতে হয় !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৌনকুহর এর ছবি

এদ্দিন পর এ কী শুনলাম! অ্যাঁ
তবে নিয়মটা কি সব ধরণের লেখার জন্যই প্রযোজ্য? মানে ধরেন কোন পত্রিকার 'বিদ্রূপ' ম্যাগাজিনে প্রকাশিত 'নন-সিরিয়াস' লেখার জন্যও??

লেখায় চলুক

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

রণদীপম বসু এর ছবি

কেন নয় !?!
পত্রিকার চাহিদা বাড়াতে ওগুলো কি সৃজনশীল কাচামাল নয় ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মৌনকুহর এর ছবি

তাই তো! চিন্তিত

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

তানিম এহসান এর ছবি

খুব ভালো লাগলো থিমটা। কিন্তু কেন জানিনা, ’ডেসটিনি’ গ্রুপের নাম শুনলেই কোন ভালো লাগা অনুভূতি আসেনা, এটা পুরোই আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। ছুটিতে ঢাকায় আসছি, আরেকদিন আড্ডা হবেকি?

রণদীপম বসু এর ছবি

অবশ্যই !
চলে আসেন। আর সেদিনের প্রোগ্রামটা হয়েছিলো পরের সপ্তায়। তার নমুনা এখানে দেখতে পারেন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

তারেক অণু এর ছবি

পড়তে পড়তে নিজের দুয়েকটা কথা মনে পড়ল। এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা আরো চাই-

রণদীপম বসু এর ছবি

সেই অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে একটা পোস্ট দিয়ে দেন, আমরাও শেয়ার হই !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

নিজের প্রাপ্য বুঝে নেয়া উচিত। কিন্তু অনেকসময় সেটা করা হয়ে ওঠে না।
------
এই পোস্টের জন্য ধন্যবাদ

রণদীপম বসু এর ছবি

ঘাপলাটা তো ওখানেই !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।