ক্লাস এইটের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট পেয়ে একদম বোকা হয়ে গেলাম। অঙ্কে পেয়েছি চৌত্রিশ। রেজাল্ট কার্ড হাতে পেয়ে মনে হল, 'এই অমূল্য রতন লইয়া আমি কি করিব ?' সবাই এমন ভাব করতে লাগলো যেন পৃথিবীতে এই প্রথম অঙ্কে কেউ এই নাম্বার পেয়েছে। এক বান্ধবী আত্মহত্যা করার দারুন একটা আইডিয়া দিয়ে দিল। বলল, "বেশি করে বেগুন খা। বেগুনের পাতলা চোকাগুলো পেটের নালিগুলোর গায়ে আটকে যায় মাঝে মাঝে। সেই থেকে ঘা হয়ে পেট ফেটে মানুষ মরে যায় !" দু একবার ভেবে 'পেট ফেটে মরে যাওয়া' জিনিষটা ঠিক পছন্দ হলনা। এদিকে বাসায় যে-ই বেড়াতে আসে তাকেই মা হাসতে হাসতে বলে, "জানেন না তো, আমার মেয়েটা এবার অঙ্কে ফেল করেছে, অঙ্কে পেয়েছে চৌত্রিশ !" রাগে দুঃখে বিবাগি হয়ে যেতে মন চাইলেও ভেবে দেখলাম আমি আসলে বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটা ছাড়া আর রাস্তা চিনিই না। হারিয়ে যেতে হয় কিভাবে তখনও শেখা হয়নি আমার। কোন উপায় না পেয়ে শেষটায় তাই আমাদের হেরো ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেনের মত শুকনো মুখে ঘুরতে লাগলাম।
শেষমেশ শাস্তি নির্ধারিত হল, টি রহমান স্যারের কাছে শিক্ষা লাভ করতে হবে। ইনি আবার দুর্বল ছাত্রদের যম বিশেষ। কেউ অঙ্ক না পারলে পিটিয়ে সেটা 'সুন্দরমত' বুঝিয়ে দেন। এই বুড়োকে নাকি আজতক কেউ হাসতে দেখেনি। কি আর করা, নিঃশব্দে 'কারে দেখাব মনের দুঃখ গোওও' গাইতে গাইতে মনের দুঃখ মনে চেপে পড়তে গেলাম। উনার বাসায় গিয়ে দেখি আরও চার পাঁচটা আমার মত গাধা উনার কাছে পিট্টা খেয়ে ঘোড়া হতে এসেছে। মা-র মুখে আমার করুণ ইতিহাস শুনে ভারী চশমার ভেতর দিয়ে কিছুক্ষন দেখে নিয়ে বললেন, "তুই আমার পাশে বস, দেখি কেমন করে অঙ্ক না বুঝিস ! না বুঝবি তো মাথায় বাঁশের বাড়ি দিয়ে বুঝাব"। তারপর ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস করে একটা অঙ্ক অর্ধেক করে বললেন, "বাকিটা কর"। আমি অনেক ভাবলাম, অনেক চিন্তা করলাম, অনেক ঘামলাম। শেষে ঘেমে ঘেমে কেঁপে টেপে সজল চোখে বললাম, "পারিনা"।
তারপর একটা অদ্ভুত ব্যাপার হল। উনার সাদা সাদা দাড়ি গোঁফের ভেতর থেকে সাদা সাদা দাঁতের মতন কি যেন দেখা যেতে লাগল। দু সেকেন্ড পর বুঝতে পারলাম, দৈত্য বুড়ো হাসছে ! কি অবাক কাণ্ড। এই বুড়ো নাকি আবার হাসতেও পারে। যাক বাবা ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল। আমার সব টিচারই আমায় ভীষণ আদর করেন- এই রেকর্ডটা অক্ষুণ্ণ রইল তাহলে। দুবছর এই রাগি বুড়োটা আমাকে একবারও না পিটেই অঙ্ক শেখালেন ভীষণ যত্ন নিয়ে। তাইতে এস এস সি তে জীবনে প্রথম বারের মত অঙ্কে পেলাম একশতে একশ ! এখন পর্যন্ত যে হিসেব টিসেবের দু তিন আনা পারি তা ওই বুড়োর শেখানোর জোরেই। অবশ্য খুব বেশি যে লাভ হয়েছে এমন বলা যাবেনা। এখনও দোকানিরা খুচরো টাকা দিলে খুব গম্ভীরভাবে, যেন তাকিয়ে দেখেই বুঝে নিয়েছি হিসেবটা এমন ভাব করে মাথা ঝাঁকিয়ে ব্যাগে ভরে ফেলি, না গুনেই। গুনতে গিয়ে হিসেব মেলাতে না পেরে ধরা খাব অত বোকা আমি নই।
মাঝে মাঝে মনে হয়, ওই অঙ্ক শেখানোর মত করে যদি বুদ্ধি সুদ্ধি বাড়ানোর কোন টিচার পেতাম তো বেশ হত। একখানা কোর্স টোর্স সেরে অন্যদের মত বেশ চটপটে স্মার্ট হয়ে ঘুরে বেড়ান যেত। কিন্তু বিধি বড় বাম। এমন তো হয়না। তাই অন্যরা সুপার কম্পিউটারের মত ব্রেন নিয়ে ঘোরে আমার আশেপাশে আর আমি কম্পিউটার তো ছার, ক্যালকুলেটর অব্দিও যেতে পারিনা। মগজে প্রাগৈতিহাসিক অ্যাবাকাস নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
কদিন আগে মাথায় ঢুকল ইংরেজি ভুলে গেছি একদম। এইবেলা একটু ঝালাই করা দরকার। লাফ দিয়ে চলে গেলাম ব্রিটিশ কাউন্সিলে। ডেস্কের সুন্দরিটি হেসে হেসে মিষ্টি ইংরেজিতে বলল, ভর্তির আগে নাকি পরীক্ষা দিতে হবে। যে লেভেল আসবে সেই লেভেলে ভর্তি। কতটা পানিতে আছি আগে তার মাপ নেবে আরকি। প্রথমেই মনে হল, দরকার নাই ইংরেজি শিখে, এইবেলা পালিয়ে যাই। পড়াশোনা আমি বেজায় ভালবাসি বটে কিন্তু ওই পরীক্ষার কথা শুনলেই ভয়ানক বুক কাঁপে। এদিকে টাকা পয়সা জমা দিয়ে দিয়েছি বলে পালানোরও উপায় নেই। কি আর করা। গেলাম পরীক্ষা দিতে। নিজেকে জোর দিয়ে বললাম, এ আর এমন কি জিনিষ; উবু দশ বিশ করে করে গোল্লা পুরণ করলেই হবে। হলও তাই। কয়েক মিনিটে পরীক্ষা শেষ। এগজামিনার মহিলা একটু তব্দা খেয়ে বলল, "তুমি দশ মিনিট বস, আমি খাতাটা চেক করে রেজাল্ট দিচ্ছি"।
পরীক্ষার ঝামেলা শেষ করে ফুরফুরে মেজাজে বাইরের ঘরে দিব্যি বসে বসে পা দোলাচ্ছি, এমন সময় এক সুদর্শন তরুণ ঘরে ঢুকে একগাল হেসে 'হাই' বলতে আমিও হাসিমুখে হ্যালো বললাম। আমার মত 'বিশিষ্ট সুন্দরী'র সাথে একজন নীল চোখের বিদেশী তরুণের কথা বলতে ইচ্ছে হতেই পারে কিন্তু দেখি এই ছেলের সব কিছুতে বাড়াবাড়ি আগ্রহ। খালি খালি কোথায় থাকি, কেমন করে থাকি, কিসে করে যাই, জায়গাটা কোথায়, কেমন করে যেতে হয় এইসব আউল ফাউল প্রশ্ন করে অস্থির করে দিল। এইসব বোকা বোকা প্রশ্ন শুনে দুই মিনিটের মাথায় বুঝে গেলাম এই ব্যাটা বিদেশী দুনিয়ার বোকা। দিন দুনিয়া সম্পর্কে কিছুই জানেনা। তারপর যখন জিজ্ঞেস করল কক্সবাজার আসলে কি জিনিষ তখন তো এর আই কিউ এবং জেনারেল নলেজ সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হয়ে গেলাম। ভাবলাম এই বিদেশী বেকুবের সামনে দেশের সুনাম করে পাণ্ডিত্য ফলাবার এমন সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবেনা। নড়ে চড়ে বসে বিশাল আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে 'ইংরেজিতে' গভীর জ্ঞান দেয়া শুরু করলাম। জ্ঞান বিতরণ পর্ব শেষ হলে আরও নানা বিষয়ে আমার 'গুরুত্বপূর্ণ' মতামত দিতেও ছাড়লাম না। এর মাঝে আমার পরীক্ষার মার্কস চলে আসায় আর গল্প এগোল না। উঠে যেতে যেতে হাসিমুখে বলল, "তোমার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো অ্যাশালোটা। আমাদের এখানে এত হাসিখুসি ভাবে ভাইভা দিতে আমি আর কাউকে দেখিনি"।
ভাইভা !!! ভাইভা কে দিল ??? অ্যাঁ !!!
নীল চোখে হাসি ছড়িয়ে সুদর্শন বলল, "তুমি স্পোকেন ইংলিশ কতটা পার সেটা দেখার জন্য আমাদের এখানে রিটেনের সাথে ভাইভাও নেয়া হয়। আমি এতক্ষন সেটাই নিলাম। তোমার মার্কস কিন্তু চমৎকার এসেছে"। এইনা বলে চোখ টিপে কেমন একটা হাসির সাথে থাম্বস আপ দেখিয়ে চলে গেল। আশ্চর্য, তখন কিন্তু ওকে একদম বোকা বোকা লাগল না ।
আর আমি পুরো ব্যাপারটা এতক্ষন পর বুঝে নিজের বুদ্ধির নমুনায় চমৎকৃত হয়ে একা একা হাসতে থাকলাম।
মন্তব্য
আহারে, বেচারী আপু
সেইই তো, বেচারী আমি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চমৎকার ঝরঝরে হিউমার সমৃদ্ধ লেখা ! অজান্তে একনিমিষে পড়ে শেষ করার পর বুঝলাম যে লেখাটা শেষ !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রণদীপম বসু
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দারুণ হয়েছে...দেখা যাচ্ছে আপনার ব্রেইন মোটেও অ্যাবাকাস নয়। বেশ বুদ্ধিদীপ্ত।
ক্লাস ফাইভে অঙ্কে ১৯ আর এইটের হাফ ইয়ার্লিতে ৩০ পেয়েছিলাম। যাতে ক্লাস নাইনে সায়েন্স বিভাগে টিকতে পারি সেই জন্য প্রাণপন অঙ্ক করিয়েছিলেন আম্মা। ষাট দরকার ছিল ফাইন্যালে - আমি একদম বুল'স আই - মানে ঠিক ষাটই তুলেছিলাম। সেইখান থেকে সায়েন্স তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং...তারপর আম্রিকা গমন...জীবনের সবগুলো খারাপ ব্যাপার-স্যাপার।
যদি এইটের হাফ ইয়ার্লিতে পাশ করতাম, তাহলে হয়ত আম্মার মাথায় থাকতো না ব্যাপারটা - আমাকেও আর সায়েন্স পড়তে হতো না...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি আবার অংকে, বিশেষ করে উপপাদ্য প্রমানে সেইরকম ছিলাম। কিন্তু ধাক্কা খাইলাম নবম শ্রেণীতে কলেজিয়েট স্কুলে গিয়ে। সব থেকে প্রিয় বিষয় উচ্চতর গণিতে পাইলাম ছেচল্লিশ। সাধারণ গণিতে ষাইটের ঘরে কিছু এট্টা। দুঃখে...
এই লাইনটা সেইরকম হয়েছে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ তাসনীম। কিন্তু... এইরকম উদাহরণ দেয়ার পরও 'বুদ্ধিদীপ্ত' মনে হল !
ভাগ্যিস আপনি অঙ্কে ওই নাম্বার পেয়েছিলেন, নইলে সায়েন্স পড়তেণ না, তারপর আম্রিকা গমন...জীবনের সবগুলো খারাপ ব্যাপার-স্যাপারগুলো ঘটত না, আমরাও আপনার দারুন অনুভবের লেখাগুলো পেতাম না ! এই জন্যেই বলে, যা হয় ভালর জন্যই হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অঙ্কে আমি নিয়মিত উত্তর করতাম ৬৭/৬৮, মিলত ৬২/৬৩/৬৪। প্রাইমারি পেরিয়ে জীবনে একবারই পঁচাত্তোরর্ধ্ব উত্তর করলাম এস এস সি তে, আশি না আসুক আটাত্তর ঊনাশি পাওয়া নিশ্চিত, পাওয়া হল না- নম্বর বন্ধ করে বর্ণমালা প্রদান সেবারই শুরু হল!
অষ্টম শ্রেণী বলতে মনে পড়ল, কোন এক আজব কারণে ক্লাশের অংক পরীক্ষায় তিনবারের তিনবারই গুনে গুনে তেত্রিশ পেলাম, বেশি ও না কমও না ঠিক তেত্রিশ (আপনার চেয়েও এক কম )! মজার ব্যাপার হল, ঐ একই শিক্ষক আমাদের আঁক কষাতেন ক্লাশ সিক্স এ, সেবারও তিন দফা মিলিয়ে আবার তেত্রিশের হ্যাট্রিক, সাকুল্যে নিরানব্বই! এর আগেও এমন হয় নি কখনো, পরেও না। তেত্রিশায়নের সেখানেই সমাপ্তি।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আহারে, অঙ্ক পরীক্ষায় সংখ্যায় নাম্বার পাওয়ার সুখ থেকে বঞ্চিত হতে হল, কি অন্যায়! তবে তেত্রিশায়নের গল্পে শীর্ষেন্দুর সেই গল্পটার করালীবাবুর 'বুরুন তুমি অঙ্কে তের' মনে পড়ে গেল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওহ, আশালতা, কী দারুণ লেখাটা!
চুরমুর খাও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আর আমাদের জন্য ঢুঁঢুঁ?
থেঙ্কু তুলিরেখা। শুধু চুরমুর নয়, ঘরে গরম জিলিপি ভেজেছি, এসো একসাথে খাই। আর ছোঁড়াটা কেঁদে ককিয়ে মরছে, ওকেও সাথে হাত ধুইয়ে বসিয়ে দিইগে। কি বল ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
খালি ঐ একটা ছোঁড়াকেই হাত ধুয়ে বসিয়ে দেবেন?
পৃথিবীটা খুব খারাপ বেহায়ার মত মুখ ফুটে না চাইলে কেউ কিচ্ছু দেয় না
আহা, তোমার না দাঁতে ব্যাথা ! এইরকম খাই খাই করেই না দাঁতগুলো ইন্তেকাল করল। তুমি বাপু ম্যাগি স্যুপ গুলিয়ে খাও। আর কটা দিন সাবধানে থাক, নইলে শেষে গরম পানি ছাড়া আর কিছু গিলতে পাবেনা বলে দিচ্ছি ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দাঁতও তুলবে, ব্যাঙ্কও খালি করবে, আবার খেতেও পাবো না - এটা কেমন অবিচার?
রয়ে সয়ে বাপু, কটা দিন একটু রয়ে সয়ে। আর এতই যদি রাগ উঠছে তো দাঁতের ব্যাথা ভালো হলে পর একদিন গিয়ে ওই ডাক্তার ব্যাটাকে আচ্ছা করে কামড়ে দিয়ে এসো, হিসাব বরাবর না হলেও মনের ঝালটা তো মিটবে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার খুব প্রিয় সাবজেক্ট ছিলো অঙ্ক - এটাকে মানুষ ভয় পায় কেন?
এইচ এস সি-তে ম্যাথ সেকেন্ড পেপারে একটা পাঁচ নম্বরের অঙ্ক খেয়াল করিনি - ৯৫ এর উত্তর দিয়ে পেলাম ৯৫। আর ফার্স্ট পেপারে পুরো একশ' ঠিকঠাকমত উত্তর দিয়ে পেলাম ৬৯, ক্যাম্নে কী? খাতা চ্যালেঞ্জ করার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটা ইঁট চিনে আসা সোজা তাই আর কিছুই হলো না। খবরের কাগজে পড়েছিলাম ঐ সময়ে কিছু খাতাটাতা নাকি ধানক্ষেতে, রাস্তার পাশে, মানুষের চুলায় আর বাজারের ঠোঙা পাওয়া গেছিলো - আমারটাও হয়তো সেখানেই ছিলো।
আর ইউনিভার্সিটিতে পড়েছিলাম এক মহা শিক্ষকের পাল্লায়! ব্যাটা পার্শিয়াল ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন নিচ্ছিলো। পুরো পরীক্ষা দিয়ে ফেল মেরেছিলাম - এটা একটা রেকর্ড কারণ পুরো পরীক্ষা দিয়ে সাধারণত কেউ ফেল করে না, F গ্রেড আসে শুধুমাত্র যদি কেউ পরীক্ষা না দেয় অথবা খাতাটার উপর থেকে নিচে টান মেরে কেটে দিয়ে আসে ... এই রেকর্ড এখনো শুনেছি অক্ষুণ্ণ আছে
আজিব
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একই অভিজ্ঞতা । আজও জানি না কেন এমন হল। আপনি তো তাও ৬৯, আমি ১৭ পেয়েছিলাম।
আর ইয়ে, খুচরা পয়সা কাহাকে বলে, উহা কত প্রকার ও কী কী সেটা জানতে হলে এখানে চলে আসুন। হতচ্ছাড়াদের জ্বালায় শেষটা একটা কাপড়ের থলি জোগাড় করে সেটাতে পয়সা ভরে ঘুরে বেড়াই। অবশ্য বাঁদরামোর শখ চেপেছিলো একবার, বাসার পাশের ডলার স্টোর অতিরিক্ত খুচরা পয়সা দেয় - পঁচিশ সেন্ট দিতে হলেও পাঁচটা পাঁচ সেন্টের কয়েন দিয়ে দেয় - সেখানে গিয়ে দুই ডলার (প্লাস কুড়ি সেন্ট ট্যাক্স) এর একটা জিনিস কিনে গুণে গুণে দুইশ' কুড়িটা এক সেন্টের কয়েন দিয়ে এসেছিলাম, এরপর থেকে আর কোন ঝামেলা করে না, বেশ বুঝদারের মত সর্বনিম্ন সংখ্যক কয়েন দিয়ে দেয় এখন
@ অপছন্দনীয়
অঙ্ক আমার দুই চউক্ষের বিষ, বুঝে পাইনা কিছু মানুষ এটাকে ভয় পায়না কেন? তবে ব্রেনে ফুল পাওয়ার চালিয়ে ভেবে বের করলাম, আপনার ফেলের রহস্য। আমার ধারণা খাতা দেখার সময় উনার শিশুপুত্রটি কলম টেনে খাতা কেটে দিয়েছিল। এছাড়া তো সম্ভব না। দেখলেন, আসলে আমার কত বুদ্ধি ??
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উঁহুঁ, ভুল হলো ঠাম্মি... ওটা আমারই দোষ...
আর ইয়ে, নাতিপুতিদের আপনি করে বললে তাদের সম্মানহানি হয়...
সুপ্রিম কোর্টের ইট চেনার কাজটাই করেছিলাম এস.এস.সি'র পর। উচ্চতর গণিতে পেলাম একশ কিন্তু সাধারন গণিতে চুরাশি!! খাতা চ্যালেঞ্জ করার ছয় মাস পর সংশোধনী এলো যে, তাদের নাকি যোগে ভুল হয়েছে! আমি পাবো চুরানব্বই! আমি যদিও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত যে আমার একশই পাওয়ার কথা, তবে এরপর আর কিছু করার উৎসাহ পাইনি। চুরানব্বই নিয়েই খুশি থাকলাম। অফিশিয়ালি আরো নয় ধাপ সামনে যেয়ে দাঁড়ানোর সার্টিফিকেটও পাইনি
রীতিমত অধ্যবসায়ী মানুষ আপনি। যাহোক, পড়ার জন্য ধন্যবাদ। [দেরিতে রিপ্লাই দেয়ার জন্যে লজ্জিত।]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এখনো হেসে চলেছি, বেশ ভালো বেশ ভালো| আপনার স্মৃতি পরে আমার স্কুলের সিরাজুল হোক স্যার এর কথা মনে পরে গেলো, প্রচন্ড রাগী হিসেবে খ্যাতি ছিলো তার আর আমি তার পরীক্ষাতেই অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছিলাম, ফেল করিনি ঠিকই কিন্তু পাসও যে খুব ভালো ভাবে করেছিলাম বলা যায় না একদমই| আর সেই স্যার এর ভয়ে শেষ পর্যন্ত তার খাতাতেই তিন সেকশন মিলিয়ে ২য় সর্বচ্চো নাম্বার পেয়ে শেষ পরীক্ষায় পাস করেছিলাম, স্যার এর হাসি মুখ এখনো মনে আছে... হে হে হে কিন্তু খুচরো টাকার হিসেব করতে গেলে আমি কিন্তু আপনার পথেই চলি ...
ঘ্যাচাং।----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ অর্ফিয়াস। কিন্তু সাবধান...কিছু কিছু বদ দোকানদার কিন্তু ধরে ফেলে ব্যাপারটা !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার একবার অঙ্কে ১০০ তেয় ২.৫ দিসিল। পরে স্যার কইল তুই ২.৫ দিয়া কি করবি, তোরে শুণ্য বানায় দেই। এবং দিয়েছিল।
এরপর থেকে আমার নাম হয়ে গেল আড়াই রাসেল।
মাইর খাইয়াও এত কষ্ট পাইনাই।
আড়াই রাসেল!!!
...বহুদিন এরকম হাসি নাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দারুন! ভাইভর অংশে মজারু
-স্বপ্নাদিষ্ট
=================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
ধন্যবাদ স্বপ্নাদিষ্ট।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই তো এবার বুঝতে পারছি, আশালতা কী সুন্দর করে সবার হাঁড়ির খবর বের করে নিচ্ছে একে একে...!! হা হা হা !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সবার আর কই পারলাম রে ভাই ! এই যে আপনার হাঁড়িটা কোথায় যে কলাপাতায় ঢেকেচেপে লুকিয়ে রেখেছেন কই এখনও তো বেরোল না !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বাহ ...
ধন্যবাদ চরম উদাস।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
স্কুলে থাকতে অঙ্কে বেশ ভালই ছিলাম............তবে কলেজের ১ম বর্ষে পেলাম মাত্র ২৬............এইচ এস সিতে যদিও লেটার এসেছিল। ভার্সিটিতেও যা একটু ভাল করতাম তাও এই অঙ্ক পারার গুনে। তবে চরম ধরা খেলাম চাকরির ভাইবা দিতে গিয়ে...... নিয়োগকর্তা যখন জিজ্ঞেস করলেন ৫ এর ৭৫% কত? উত্তরে বলেছিলাম ৩।
ইজ্জতের ফালুদা আর কাকে বলে
তারপরেও কেমনে জানি চাকরিটা পেয়ে গেছি। সব শুনে আমার বালিকা বন্ধুর সেকি হাসি।কারণ এই সব ছোট খাট হিসেব মুখে মুখে করার জন্য আমি সবসমসময় তাকে ঝাড়তাম।এবার সে এইটার চরম প্রতিশোধ নিল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে " ৫ এর ৭৫% আর ২৫% কত এটা যে জানেনা তারও এখন ব্যাংকে চাকরি হয়........."
এইবার তো আমার ইজ্জতরে সে একেবারে আবুলের মহাসড়ক বানায় দিল...............
নির্ঝরা শ্রাবণ
দীপাবলি।
ইয়ে... আপনার ব্যাঙ্ক যেন কোনটা ? [ কোনটা থেকে দূরে থাকা উচিত এইবেলা জেনে রাখাই ভালো ]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আশাপু, তিথীপু,
এইটা কি হইতাছে...............এম্নিতে একজনের অপমানের জ্বালায় বাঁচিনা তার উপর আপনারা ও .........
আমি কিন্তু মানহানির মামলা করব
আসলেই দুনিয়া থেকে ভাল মানুষ(মেয়ে) সব কমে যাচ্ছে
নির্ঝরা শ্রাবণ
আমিও যোগ দিলাম, ব্যাঙ্কের নামটা একটু বলবেন?
এই এই বাচ্চালোগ, ব্যাঙ্কের আপুকে একদম জ্বালাবে না বলে দিচ্ছি। শেষে রাগের চোটে ভুলভাল পারসেন্টেজ বের করে দিলে সবাই বেকায়দায় পড়বে। তা ভাই নির্ঝরা শ্রাবন, এত ক্ষেপ ক্যান ? আমরা গরিব মানুষ ভাই, ব্যাঙ্ক্রাপ্ট হওয়া সইবেনা, নেহাত তাই প্রাণের দায়েই না জিজ্ঞেস করা। এই নাও রুহ আফজার বোতল, শরবত করে খেও, অতি উপকারি, শুনেছি নাকি বুদ্ধিও বাড়ায় !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভাগ্যিস কম্পু তে ক্যালকুলেটর রয়েছে, তাই তে আমি হিসাব কষে দেখতে পেলুম আসলে কত হওয়ার কথা
আশালতা আপু, অংকে আমার ব্রেনও আপনার মত আ্যবাকাস।
ক্লাস নাইন এবং টেনে প্রি-টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত সবগুলতে পেয়েছি ৩৩। ফাইনালে পাশ করব কিনা সেটা নিয়ে বিশাল সংশয়। ওই যাত্রা অবশ্য বেঁচে গেছি। সিধান্ত নিলাম আর অংক নয়। বিভাগ পালটে এলাম মানবিকে।
কিন্তু ভগ্যের নির্মম পরিহাস স্নাতক আর স্নাতকোত্তর করলাম অর্থনীতিতে। অংক ছাড়া যেখানে একটি লাইনও পড়া যায় না।
আর এখন প্রস্তুতি নিচ্ছি ব্যাংকের পরীক্ষার। একমাত্র বিধাতাই জানেন আর কত অংকের মহাসমুদ্র(!!!!!!!!!!!!!!!) পাড়ি দিতে হবে?
দীপাবলি।
আহা, আয় বইন কোলাকুলি করি। তবে ব্যাঙ্কে চাকরি পাইলে নামটা জানাইতে যেন ভুল না হয়, সাবধানের মাইর নাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ভুলবো না, আপু। তবে দোয়া করবেন যেন খুব দ্রুত আপনাদেরকে দুঃসংবাদটা(!!!!!!!!!!!!!) দিতে পারি।
হি...হি......হি.........
দীপাবলি।
আমার ইংরেজি জ্ঞানের অবস্থা ভয়ংকর
আর এসএসসির প্রিটেস্টে পরীক্ষা দিয়ে আসার পর নিশ্চিত আমি অংকে লেটার পাব, পরে খাতা দেওয়ার পর দেখি গুলি পুরা কানের পাশ দিয়ে গেছে। একটুর জন্য পাশ করে গেছি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আল্লা মেহেরবান। জান বাঁচিয়েছেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি সাধারনত খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েও বেশ খারাপ নম্বর পেতাম। অঙ্ক যে বুঝতাম না বা ভয় পেতাম তা না। এমনকি ক্লাশের অনেককে অঙ্ক বুঝায় নিজে পরীক্ষাতে ক্যাল্কুলেশনে ভুল করে বাজে নম্বর পেতাম। পরে পরীক্ষার খাতা পেয়ে ভাবতাম ৫ এর স্কয়ারের সাথে সাত যোগ দিয়ে আমি ৫৯ পেলাম কীভাবে (ক্লাস এইটের একটা স্মৃতি)। ইউনিভার্সিটিতে উঠে বুঝেছি আমার ডিস্লেক্সিক সমস্যা আছে। যেকোনো নম্বরকে উলটায় ফেলি (২৫ কে লেখি ৫২, তারপর এক হাজারবার পড়লেও আমি সেই ২৫-ই পড়ি, বুঝতে পারিনা কোথায় ভুল করেছি); ডান-বাম, নর্থ-সাউথ যেটা বলি না কেন আমার ফ্যামিলি মেম্বাররা বাইডিফল্ট উল্টায় ধরে। মাঝেমধ্যে আফসোস হয় ছোটবেলায় কেউ যদি 'মনোযোগ নাই" না বলে একটু বুঝায় দিত কোনখানে মনোযোগ দিতে হবে, তাহলে অন্তত পরীক্ষাগুলো ভালো হত।
উলটোপালটা দেখার রোগ আমারও আছে। কিছু কিছু বাংলা শব্দও আমি অন্য শব্দ হিসেবে দেখতে পাই প্রায়শই। রাস্তার সাইন বোর্ডে 'মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ' কে আগে নিয়মিত 'মোহাম্মাদপুর কেন্দ্রীয় কারাগার' পড়তাম। পচানি খেয়ে এখন ঠিক হয়েছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি, আপনার সব গল্পগুলোই আমর খুব আপন মনে হয়, খুব্বই ভাল লাগে।
আপনার লিখা পড়ে মনে পরলো আমাদের আনিন্দিতা মিস এর কথা।
লাবন্যপ্রভা
অনেক অনেক ধন্যবাদ লাবন্যপ্রভা। আপনার আনিন্দিতা মিস এর কথা লিখে ফেলুন না, আমরাও পড়ি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবাই এত ভাল লিখলে আমরা কি করে খাব!!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সাহিত্যমন্ত্রী হয়ে যান
ধন্যবাদ ত্রিমাত্রিক কবি। আমাকে নিয়ে কারোই কোনই ভয় নাই রে ভাই। আমি হলাম চরম মুডনির্ভর মানুষ, কাজেই ভয়ানক ইঙ্কন্সিস্টেন্ট। দেখবেন কালই এমন একখানা ফালতু পোস্ট দিয়েছি যে ছ্যা ছ্যা করে কুল পাবেন না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দারুন লেখা---
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
"" অ্যাশালোটা "?
শ্ শ্ শ্... চুপ চুপ চুপ
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবার মেমরি ধরে টান মারলেন দেখছি।লেখা লা-জওয়াব।
তাইতো দেখছি যুমার। কল্পনাও করিনি যে আমার এত এত সমব্যাথি থাকতে পারে। আমার ধারণা ছিল দুনিয়াতে আমি একাই খালি অঙ্কে ফেল করি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
স্কুল-কলেজে অঙ্কে ভালোভাবেই উতরে গেছি। কিন্তু ভার্সিটিতে উঠেই পড়ে গেছি ফেলের চক্করে...
ভাগ্যিস টেনের পর আর অঙ্কের সামনে পড়তে হয়নি। তাইলে মানসম্মান আর অবশিষ্ট থাকত না এদ্দিনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চমৎকার লেখা আশালতা। পড়ে দারুন মজা পেলাম।
একসময় আমার জীবনের একমাত্র ব্রত ছিলো অংকে ৩৩ মার্ক পাওয়া। শেষমেষ ম্যাট্রিক পরীক্ষার আগে স্যার অংক মুখস্থ করার পরামর্শ দিলেন। তারপরও টার্গেট বাড়াইনি ৩৩ থেকে। পেলাম ৫০। সবাই লাগাও।
আর আংরেজির কথা কিইবা কই! বড়োই শরমিন্দার কথা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বলেন কি! ৩৩ থেকে এক লাফে ৫০ ! আপনি তো এলেমদার লোক মশাই ! হাততালি মানে ?! কুর্নিশ করা দরকার
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখায় ছিলে কোথায় এতদিন?
আপনেই বা এদ্দিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন?
আরে এ প্রশ্নটা কেউ করবে বলেই না আশাদি'কে জিজ্ঞেস করা সচলে এলে আমার ঠ্যাং ভাঙ্গা হবে এই মর্মে পত্র পাইয়া ভয়ে একার্থে লুকিয়েই ছিলেম দাদা
ইশ, একেবারে দাদা বলে ফেললেন!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কৌস্তভ দিদি নাকি আয়হায়! এতদিন ভুল ঝান্তাম দেখি
এই ছেলেটার মনে কেবল জিলিপি'র প্যাঁচ!
ছেলেটিকে দিয়ে বাধ্যতা মূলকভাবে জিলাপীর রেসিপি লেখিয়ে নেয়া হোক
জিলাপীর রেসিপি সহজঃ
উপকরণঃ টাকা, পরিমাণ মত।
পদ্ধতিঃ পাড়ার সবচেয়ে ভালো দোকানে গিয়ে কিনে আনুন। গরম গরম পরিবেশন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নাআআআআআ এই ভুয়া রেসিপি প্রত্যাখান করা হলু
রেসিপি অতি উপাদেয় হইসে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনার ঠ্যাং-এর সাথে আবার কার কী শত্রুতা? হাত ভাঙলেও নাহয় বুঝতাম
থ্যেঙ্কুস রে বইন। আমি ছিলাম মায়ের বাড়ি, কিন্তু তুমি কই উধাও হও দুই দিন পর পর ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নাইওর যায় মনে হয়...
বুইরা বয়েসে নাইওর !! লজ্জা রাখার জায়গা পাইনা ! ফচকে ছোঁড়াকে নিয়ে আর পারিনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনারে কোথা, ওটা তো বায়নামতি'রে কইলাম!
এহ হে, কমেন্ট তো ঠিক জায়গামত পড়ে না তাই বুঝি নাই রে ভাই। এই নাও লজেঞ্চুস।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি কি আসলেই অনেক সিনিয়ার?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
একদম পদিপিসির মত সিনিয়ার। দেখেন না খালি আদ্যিকালের গপ্প করি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মন উদাস হলে ডুব দিতে ভালু লাগে রে দিদি
@পছন্দনীয় বালাই ষাট্! হাত কেন ভাঙ্গতে যাবে রে? আমার হাত ভাঙ্গুক আর এদিকে আপনারা সবাই লিখে লিখে ছোটোখাটো রবীন্দ্রনাথ বনে যান না
@কৌস্ত্তভ, দিদি খেয়াল করেছো? এই ছেলের মাথায় বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া আর কিছুই খেলে না! কষে এর মাথায় গাট্টা দাও দেখি গোটা দু'য়েক
আরে ওই জন্যই তো ভাবছিলাম কেউ হাত ভেঙে দিতে চাইতে পারে... ঠ্যাং ভাঙবে কেন?
আর কৌস্তুভ... মোটে দু'চারটে গাঁট্টায় কিচ্ছু হবে না - কষে দু'চার ডজন দিলে যদি মাথা থেকে ভূত নামে... দুইজনই দিয়ে দিন, দুইদিক থেকে (গাঁট্টা মারায় সাহায্য লাগলে বলতে লজ্জা করবেন না যেন)
বলছেন? উৎসাহ পেলে এমন গাট্টা দিয়ে বেশ মজা পাই কিন্তু! তা আর বলতে, এসবে লজ্জা কিংবা ভয় কোনোটাই নয় আপনিও আমন্ত্রিত
এই না না, খামখা মারামারি একদম বরদাস্ত করা হবেনা। এই বয়েসে বিয়ের কথা বলবে না তো কোন বয়েসে বলবে। শেষে পছন্দের মেয়েদের বাচ্চারা মামা মামা করে হাত টানাটানি করলে মান ইজ্জত আর থাকবেনা।
বলি বাপু পছন্দনীয় তোমারও তো মেঘে মেঘে বেলা পার হল বলে। এই বেলা তুমিও সুন্দর করে 'পাখির নীড়ের মত/ এতদিন কোথায় ছিলেন?' ইত্যাদি লাইন মুখস্ত করে ফেল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখাটা দেখছি সবার মনের গহীন বেদনায় গিয়ে টান দিয়েছে
বুঝলাম, দিনকাল খুবই খারাপ। ঠাম্মি এখন সেয়ানা হয়ে গিয়েছেন, কেবল এই ছক করে লেখা দেন যে সেগুলো মানুষদের মনের ব্যাথায় সুড়সুড়ি দেবে, সবাই সমব্যথী হয়ে এসে উহু আহা উত্তম জাঝা দিয়ে যাবে। পঞ্চাশটা পাঁচতারা, একশটা শেয়ার, আর হাজারটা রিডিং হবে। এদিকে আমাদের পোস্ট পড়ার বিনিময়ে ঝালমুড়ি চানাচুর দরবেশ পাওয়ার দিন ফুরলো।
হুম 'ঠাম্মি এখন সেয়ানা'!! কিন্তু উপায় না আপনিই বাতলে দিলেন ? এখন দুক্ষু করলে হবে ?
ভাইরে, ছক কেটে হিসেব কষেই যদি চলতে পারতাম তাহলে আর বসে বসে ব্লগাতাম না। এতদিনে ক্যামেরার সামনে গিয়ে টিভির নিউজে হাসিমুখে বানী দিতাম আর তাই নিয়ে আপনারা ফুঁসে ফুঁসে ব্লগাতেন।
ইশ
পেতে না জানি কেমুন লাগে !! মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। আর হ্যাঁ, ওইসব পরিসংখ্যান বাদ দিয়ে আসুন গাছপাকা তালের বড়া ভেজেছি, চেখে দেখুন তো কেমন হয়েছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই তো একশখানা মন্তব্য হয়ে গেছে, এবার? তবে ফুলচন্দনের বদলে কুমড়োফুল-বেসন দিয়ে বড়া ভেজে দিলে বড়ই উপাদেয় হত...
একবার অংক পরীক্ষা ভয়াবহ খারাপ হইছিলো, সেই পরীক্ষায় বিরাশি না তিরাশি জানি পাইছিলাম
গণিতকে ভালোবাসতে হবে হে, ব্লাহ ব্লাহ...
হিউমার সমৃদ্ধ লেখা, লাইক্স ইট।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
তবেরে পাষণ্ড, খালি বড়াই!
সবাই অংক নিয়ে দুঃখ করতেছে, তাই আমি আর ওই পথে গেলাম না আর কি। এমনিতে আমি কিন্তু অনেক বিনয়ী
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হুম, বিনয়ী সজলকে কি আর বলব! যার জ্বালা সেই বোঝে অন্য লোকের মাদল বাজে আর কি। দীর্ঘশ্বাস !!!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আগে অঙ্ক ডরাইতাম ... এখন কেন জানি ভয় লাগে না, বরং মজা পাই ।
চমৎকার লেখা
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবাই কি ক্লাস এইটে অংকে লাইন ধরে খারাপ করে নাকি ? আমি ফার্স্ট টার্মে ৪৮ পেয়েছিলাম !
পড়াচোর।
তাইই তো দেখছি। সবারই রেজাল্টের এক দশা। তাহলে ফার্স্ট হত কোনগুলো বলেন তো ? নাকি সব ফেল্টুগুলো এসে সচলে জড় হয়েছে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কেন, ওই যে সজল নামের ছেলেটা!
আরেকটার নাম বোধহয় কৌস্তুভ !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আগে যাই ছিলাম, আমি এখন ভালো হয়ে গেছি। এখন আর ডিস্ট্রিবিউশনের টেইলের দিকে না থেকে, মিডিয়ানের দিকে থাকার চেষ্টা করি (দেখলেন, কিরাম স্ট্যাটিসটিকসের জ্ঞান ঝাড়লাম!)
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আগে যাই ছিলাম, আমি এখন ভালো হয়ে গেছি। এখন আর ডিস্ট্রিবিউশনের টেইলের দিকে না থেকে, মিডিয়ানের দিকে থাকার চেষ্টা করি (দেখলেন, কিরাম স্ট্যাটিসটিকসের জ্ঞান ঝাড়লাম!)
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আঁয় !!!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আগে অংক ভালোই লাগতো।
এমন এক জায়গায় এখন পড়ি, অংক মুখস্থ করা লাগে। মাথার তার সব আস্তে আস্তে ঢিলা হয়ে যাইতেছে। অংক আর ভালো লাগে না।
অলস সময়
পড়ার জন্য ধন্যবাদ পলাশ রঞ্জন সান্যাল। মাথার তার ঢিলা হবার পর এতদিনে অঙ্ক খারাপ লাগে ! আমার তো প্রথম দর্শনেই অপ্রেম হয়েছিল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আগে অংক ভালোই লাগতো।
এমন এক জায়গায় এখন পড়ি, অংক মুখস্থ করা লাগে। মাথার তার সব আস্তে আস্তে ঢিলা হয়ে যাইতেছে। অংক আর ভালো লাগে না।
লেখা ঝরঝরে, চমৎকার। এক নিঃস্বাসে শেষ।
অলস সময়
আপনে তো তাও এইটে উঠে চৌত্রিশ হাঁকাইছেন। আমি আবার খানিক তাসনীম ভাই কেস। ফাইভেই হাঁকায়ে ফেলছিলাম প্রায় সেঞ্চুরি, তবে নিচের দিক থেকে। সর্ব সাকুল্যে পেয়েছিলাম মোটে 'আট'। প্রথম সাময়িকীতে এই রেকর্ড সাফল্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সাহসে কুলালো না দ্বিতীয় সাময়িকীতে বসার। মারলাম বাং। এদিকে বাপের হাসি থামে না। আমাকে পঁচানোও কমে না। উঠতে বসতে খালি পঁচায়! আমি আশরাফুলের মতো অতো করে বলি, আমি কিন্তু বিগ ম্যাচে ভালোই খেলি। কিন্তু আমার বাপ ঠিকই কেমনে কেমনে জেনে যায়, অংকের সাথে আমার ভালোবাসা ঠিক জমছে না! ফাইনালেও বাং মারতে চাইছিলাম, কিন্তু বাপের কারণে হলো না। গরু পিটায়ে গাধা না হোক, আমার অংকরে পিটায়া আট-এর ঘর থেকে বায়ান্ন'র ঘর পর্যন্ত তোলা গেলো! তারপর কয়েক বছর অংকের সাথে অনেক ভালোবাসাবাসির চেষ্টা করলাম, সেইরকম জমলো না সম্পর্কটা।
নাইনে উঠে ফাইনালে উচ্চতর গণিতে মারলাম কোয়ার্টার সেঞ্চুরি। এইবার বাপের সাথে যোগ হলো সাথের বুক-কিপিং নেয়া পুলাপান। কই যাই! শেষমেশ রাগের চোটে ঠাডা মুখস্ত শুরু করলাম অংক বই। ভালোবাসা না থাকলেও ঘরসংসারে পরে আর সমস্যা হয় নাই। বরং এসএসসিতে আরেকটু হলেই উপর থেকে সেঞ্চুরি হাঁকায়ে দিছিলাম, দুইটাতেই।
এই রসকষহীন জিনিসটার সাথে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক না গড়তে পারলেও এই শ্যালকদৌহিত্র আজোবধি আমার পিছু ছাড়ে নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শ্যালকদৌহিত্রই হোক আর যাই হোক এতদিন টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছেন এইই তো মেলা। আমার জ্ঞান ওই টেনের বাঁশের অঙ্ক পর্যন্তই। অনার্সে ইকনমিক্স নিয়েছিলাম সাবসিডিয়ারি হিসেবে। প্রথম দিন ক্লাসে যেতে একটু দেরী হয়ে গেস্ল। ক্লাসে পৌঁছে দেখি বোর্ড ভর্তি কিসব অঙ্ক কষছেন স্যার। আর ক্লাসেই ঢুকিনি। সাথে সাথে নিচে নেমে এসে এপ্লিকেশন করলাম সাবজেক্ট চেঞ্জের। বদলে নিলাম ইসলামের ইতিহাস !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমাদের ঠাম্মি সব কিছুতে সেরা, জয় ঠাম্মির জয়।
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
অ্যাঁ !! এত জয় জয় কেন ভাই ? বেশি উঁচুতে ওঠালে শেষে পড়ে গিয়ে বুড়ো হাড়গোড় ভেঙ্গে মরব যে !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
গণিত ভালু পাই
পোষ্টে
love the life you live. live the life you love.
গণিত মোটে ভালু পাইনা।
মন্তব্যে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে তাইতো দেখি। এতদিনতো আমার গোপন বেদনা ছিল। বাহ খুব ভাল লাগল শুনে। ক্লাস এইটের অংকে অনেকেরই দেখি আমার কাছাকাছি। আমি পেয়েছিলাম ৩২। আর ক্লাস সিক্সে ইসলামিয়াতে পেয়েছিলাম ৩০।
আপনার লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। ইংলিশ টেষ্টটে কত পেয়েছেন জানতে ইচ্ছা করছে।
থ্যেঙ্কিউ রুমঝুমা। ইয়ে ইংলিশ টেষ্ট ? হে হে হে... থাক ভাই এইটুকু মান সম্মান আর না যাক !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ক্লাস ফাইভে অঙ্কে পাইলাম ১৫। তার পরের বছর শুরুতে আমার খালতো বইন আইলো চাঁটগা থেইকা । যেই বছর আমি যথাযথ বিনয় দেখায়া ১৫ পাইলাম, সেই বছরে সে মেট্রিকে স্ট্যান্ড করল ফাল পাইড়া। আমার আম্মারে আর পায় কেডা। আম্মা আমার লগে যা করলো, সেই অত্যাচার দেখলে হিটলার ও বুক ফাডাইয়া কানতো। উদাহরন দেই - আমার খালতো বইন আমার আম্মারে কয়, খালা স্পঞ্জের স্যান্ডেলটা কই, আমি একটু টয়লেট যামু। আম্মা কয়, দেখছ দেখছ, আমাগো অমুক কত ভালো মাইয়া, স্যন্ডেল পায়ে দিয়া টয়লেট যায়। আর আমার পোলা, সে অন্কে পায় ১৫। কিয়ের লগে কি! খাইতে বইসা আমি কই আম্মা, আমারে একটু মাংস দিবা? আম্মা কয় তুই মাংস খাবি ক্যা? অঙ্কে ১৫ পাইসস - তুই সালাদ খা।
-মেফিস্টো
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দুর্দান্ত !!! আমিও যেন এইরকম একটা ভাইভা দিতে পারি ।
বলেন কি ! মাথামুথা ঠিক আছে তো ? এইরকম একটা ভাইভা দিলে ভবিষ্যৎ ঝরঝরে হয়ে যাবে বলে রাখলাম। তখন হেমন্তের ঘ্রাণ আর থাকবে না, শীতল বাতাস হয়ে যাবে কিন্তু
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আহা
(অংক নাজানি গনিত, কোনটাতে যেন একবার পাশ করছিলাম )
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চমৎকার লেখা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ দিহান। আপনার নামটার মানে কি ? খুব সুন্দর লাগে শব্দটা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ক্লাস ওয়ানের পর থেকে আমার অংকবিদ্যায় ভয়াবহ রকমের ধ্বস নেমেছিল। ওয়ানে পেয়েছিলাম ৯০ এরপর থেকে প্রতি বছর এক দশক করে কমতে থাকে এবং শূণ্যের দিকে যেতে থাকে স্কোর। ভাগ্যিস ক্লাস টেনের পর আর স্কুল ছিল না, নইলে কি দশা হতো ভাবতেই শিউরে উঠি।
মেট্রিকে ইলেকটিভ ম্যাথ বলে একটা ভয়ংকর বই ছিল। ওটাতে গোল্লা পাওয়া খুব বেশী অস্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু ক্লাস টেনের শেষে যখন টেষ্ট পরীক্ষায় হঠাৎ করে আমাকে ৯০তে চড়িয়ে দিল, তখন সবাই এমনভাবে তাকাতে লাগলো যেন আমি একটা প্রশ্নচোর পাপী। কী যে মনোকষ্ট ছিল কদিন। মেট্রিক পরীক্ষায় ওই বিষয়ে আরো দুই নম্বর যোগ করার আগ পর্যন্ত ভ্রু কুচকানি দেখতেই হয়েছিল। ৯২ উত্তর করে ৯২, বাকী ৮ নম্বরবাদ গেছে বেখেয়ালে, নইলে সেঞ্চুরী হতে পারতো। তবে এর পরে ইতিহাস কিন্তু অংক লাঞ্ছনার, সেটা আরেকদিন বলা যাবে।
দুই বন্ধু ইন্টারের পর ইংরেজীর কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম YMCAতে। মি. ম্যাথিউ বলে এক শিক্ষক আমাদের শেখাতেন। তিনি বলতেন তোমরা রিকশায় আসা যাওয়া করার সময় ভুলভাল ইংরেজীতে কথা বলবা, তারপর একদিন শুদ্ধ হয়ে যাবা। লজ্জা ভাঙানোই ইংরেজী শেখার প্রথম পদক্ষেপ। লজ্জা ভাঙাতে একদিন ভুলভাল ইংরেজী চর্চা করছি রিকশায় বসে। কিছুদুর গিয়ে রিকশাওয়ালা দুম করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে। বলে, ভাইজানরা কুন দেশী মানুষ, বেট বেট করে এসব কি কথা কন!!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হা হা হা
আমাদের টিচার একদিন বললেন তোমরা নিজেদের মধ্যে ইংলিশ প্র্যাকটিস করবে রোজ। তাই একদিন আমি আরেকজনের সাথে মিলে ক্লাস শেষে ঘন্টা খানেক আড্ডা দিলাম, পুরো সময়টা একটাও বাংলা কথা না বলে। তারপর দুজনেই বাসায় ফিরলাম ভয়াবহ মাথা এবং চোয়াল ব্যাথা নিয়ে ! অন্য ভাষায় কথা বলা যে শারীরিক ভাবেও এতোটা কষ্টকর হতে পারে সেদিনই বুঝেছিলাম। দেশের বাইরে যারা থাকেন বাংলা ছাড়া তাঁদের কথা ভেবে সেদিন সত্যি মায়া লেগেছিল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবার জীবনে দেখছি "বরুন তুমি অংকে ১৩" ঘটনা আছে, আর আশাদি তা সুড়সুড়ি দিয়ে বের করে নিলেন।
আমারটাও বলে ফেলি, গাট্টা খেয়েছিলাম ফাইভে ২৯ পেয়ে, কিন্ত আত্মহত্যা তো দূরে থাক, নিজেকে মহীয়সী নিউটন মনে হয়েছিল।
মহীয়সী নিউটনকে ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মানুষ প্রথম ছ্যাঁকা দেওয়া প্রেমিকার কথা যেমন করে মনে রাখে,
আমি 'গণিত' বিষয়টাকেও তেমনিভাবেই স্মরণ করি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
আহারে ! অঙ্ক আমার দুই চউক্ষের বিষ
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি একবার ছয় পাইলাম। আব্বা বল্লেন ঠিকাছে। ছয়ই পাবার কথা। তার ভাগে দশ আছে। আমি সারা জীবন ৯০ এর ঘরে পেয়েছি। ছেলের জন্যতো ১০ এর বেশি রাখিনি।
পড়ালেখা অতিবদ জিনিস। এটা এই বয়েসে এসেও আমি মানি। এই বদ জিনিসটা হয়তো একটু ভালো থাকতো অংক না থাকলে। খাইস্টা জিনিস।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ছয় !!! নিজেকে যে নিউটন মনে হচ্ছে ভাই ! হা হা হা পড়ালেখা যে অতিবদ জিনিস এই বিষয়ে তো কোন সন্দেহই নাই।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অংকে আমি বরাবরই কাঁচা। তাই ক্লাস নাইন এ মানবিক বিভাগ এ গেলাম।বুয়েট এর একটা ভাইয়ার অংক পড়তাম। সে বহু কষ্টে আমাকে SSC তে অংকে A গ্রেড পাওয়াল। এখন অনার্স করছি অর্থনীতিতে। সেখানে ও অংক!!!! এবং যথারীতি অংক করাচ্ছে সেই ভাইয়া অর্থাৎ আমার বর
হা হা হা
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অঙ্কে আমার এখনো সমস্যা আছে। কোন যুক্তি ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ আমার অঙ্ক মেলে না। তবে সবচেয়ে সমস্যা হত ধর্ম ও কৃষিবিজ্ঞান পরীক্ষায়। সৌভাগ্যক্রমে আমি পড়াশোনা করেছি ঢাকার বেশ ভাল একটা স্কুলে। সেই স্কুলের কৃষিবিজ্ঞান শিক্ষকের প্রশ্নের নমুনা -
নাইলোটিকা মাছ চাষের উপকারিতাগুলোর ৯ নম্বর পয়েন্টটি লিখ।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের ছবি আঁক
এক ছেলে কৃষিবিজ্ঞান ক্লাসের ক্লাস টেস্টে দশে এক পেয়ে কেঁদে ফেলেছিল। তার কী দোষ, সে তো জীবনে নাইলোটিক মাছ বা ব্ল্যাক বেঙ্গলের ত্রিসীমানাতেও আসে নাই। এখন এসব চিন্তা করলে মাঝে মাঝে অসহ্য রাগ হয়।
----
আপনার এই লেখার সাবলীল ভঙ্গী, গতি, যতি, হিউমার - সব মিলিয়ে অনবদ্য!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হাহাহাহা, মহাপুরুষ তো!
আর এ তো স্কুল, ইউনিভার্সিটিতে একবার একগাদা প্রশ্ন পেয়েছিলাম "Intel 8255 কন্ট্রোলারের এর অত অত আর অত নম্বর পিনের সিগন্যাল/ইনপুট বর্ণনা কর!" গোছের। ইন্টারফেসিং ল্যাবের পারফর্ম্যান্সে আমার ধারে কাছেও ছিলো না কেউ, অথচ থিওরীতে আমার গ্রেড ছিলো সর্বনিম্নের কাছাকাছি
সে আর বলতে! যে কোর্সগুলোয় এইরকম প্রশ্ন করা হত সেগুলোয় বরাবর ধ্যাড়াতাম, আর মনে মনে সেসব প্রফেসরদের অনন্তকাল কুম্ভীপাক নরকে পাঠাতাম...
কুম্ভীপাক নরকে গিয়ে যদি দেখি ওগুলো বসে আছে, তাহলে সৃষ্টিকর্তাকে অনুরোধ করবো আমার জন্য আরো খারাপ একটা নরক বানিয়ে সেখানে আমাকে রাখতে... তা-ও ওগুলোর সাথে থাকবো না...
আপনার জন্য থাকবে কুম্ভীরপাক নরক, যেখানে কুমিরের মাংস পাক অর্থাৎ রন্ধন হবে ইস্পেশাল আপনার জন্য... ফ্লোরিডায় অ্যালিগেটর মীট খুব জনপ্রিয়, জানেন তো?
ধন্যবাদ ফাহিম। ছাগলের ছবি আঁকে কেমন করে মানুষ ? আমি তো জীবনেও পাঁচ পাপড়ি ফুল ছাড়া আর কিছু আঁকতে পারি নাই। তবে আমরা পড়তাম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান। সেখানে পড়ার নমুনাও বেশ সরেস-
-সাবানের কাজ এবং উপকারিতা বর্ণনা কর
-মাটিতে এবং টেবিলে বসে খাবার সুবিধা অসুবিধার তুলনা কর
-কাপড় ধোয়ার নিয়ম কি কি ?
-জরদা সেমাই রান্নার পদ্ধতি বর্ণনা কর
আরেকটা ক্লাস ছিল, সেলাই শিক্ষা ক্লাস। তাতে ফি হপ্তা একঘণ্টা সেলাই করতে হত। গরররর...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অংক ভালা পাই
লেখা অতি উপাদেয় হইছে।
অঙ্ক ভালা পাইনা, অঙ্ক পচা।
মন্তব্যে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অংক ভালা পাই
লেখা অতি উপাদেয় হইছে।
ক্লাস এইটে থাকতে আমিও একবার ফেইল করেছিলাম ইংরেজীতে। তারপরে কলজের সেকেন্ড ইয়ারে উঠে কেমিস্ট্রি সেকেন্ড পেপারে। ৭৫ এ ৬।
হা হা হা হা... তবে আরও এক নাম্বার কম পেলে ভালো হত, বলার সুবিধা হত
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অঙ্ক নিয়ে আমার ভয়াবহ সব কাহিনি আছে!
একবার কিভাবে কিভাবে যেন ১০০ তে ১০০ পেয়ে গিয়েছিলাম!
বড়মামা অতি আনন্দিত হয়ে একটা বই-ই গিফট করে বসেছিলেন। বুঝুন তাহলে!
স্রেফ গণিত দুর্বলতার কারণে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সাহস পাই নি।
ইংরেজি নিয়ে আর কিছু না বলি।
সবাই মজা পাচ্ছে কিন্তু আমার তো লেখা পড়ে উল্টো মন খারাপ হয়ে গেল ..
'হায়, পুরানো সেই দিনের কথা।' ♫
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন খারাপ হয়ে গেল ! এই যাহ্
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনিই তো কামেল মানুষ, আসল সময়ে সব উত্তমভাবে সফল হন!!! আর এদিকে আমার হল অধনমন সমস্যা। স্কুলে ক্লাশ এইট পর্যন্ত মোটামুটি পেতাম গণিতে(পাটিগণিতের কারণে)। নবম-দশম শ্রেণিতে আবার ম্যাথ খুবই ভালো লাগত, এই দুই বছর প্রতি গণিত পরীক্ষায় সর্ব্বোচ্চ মার্ক পেতাম, গল্যাহাসের বাচ্চা আমি, জানেনইতো স্যারদের কাছে না পড়লে আবার মার্ক সমানে কেটে থাকে, তারপরও এক স্যার আমাকে দমাতে পারেন নি- উনি খাতা দেখাতেও ৮৭ পেয়েছিলাম মনে আসে, আরেকবার পুরো স্কুলে প্রিটেস্টে কেউ ফুল এন্সারই করতে পারে নি, শুধু আমি আর বনি দুজন পেরেছিলাম, সেবার অন্যদের বিধ্বস্ত অবস্থা!! তবে কখনই আপনার মতো ১০০ পাই নাই, হায়ার ম্যাথে বেশ কয়েকবার ৯৯ পেয়েছি!! কলেজেও মোটামুটি ধারা অব্যাহত ছিল, তবে নটর ডেম তো, মাঝে মাঝৈ দু একটা কুইজ ভালোই নাকাল করতো!!! সেই সোনালী দিন শেষ হয়ে গেছে এখন। পড়াশোনাই করি না, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ধারা নাই, ব্যাপক উত্থান আছে পতন আছে। আজকাল সোনালী দিন মনে করলে আফসোস হয়- কেন পড়ি না!!!
গণিত অবশ্য সবসময়ই আমার প্রিয় বিষয়, অবশ্য এছাড়া উপায়ও নাই, গণকযন্ত্র যেহেতু পড়ি!!! আর ইংরেজিতে সে গড় অবস্থা। চলে আর কী। আরেকটা ভাষায় দক্ষ হওয়ার কী দরকার, শুধু বইয়ের লেখা পড়তে আর বুঝতে পারলেই হল, এত দক্ষ হয়ে কী হবে; এইটা ভেবে ফাঁকি দেই!!!
অটঃ পিতাজানকে লোকে 'অংকের জাহাজ' বলে, হাতে খড়ি উনিই দিয়েছিলেন, তাই ডর কেটে গিয়েছিল বোধ হয়!!!
(অনেক বকবক করলাম। অফ যাই...........)
_____________________
Give Her Freedom!
আমার পিতা ভ্রাতা মামা চাচা সবাইই অঙ্কের জাহাজ মহাজাহাজ ছিলেন, খালি আমিই হলাম কালো ভেড়া। কিন্তু তোমার কি হল বল তো ? এইখানে এত বকবক অথচ লেখা টেখায় সাহারা মরু কেন ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
একদমি নয়, শেষ পর্যন্ত তো আপনিও জাহাজই!!!
কি যে হল!!! ( আস্তে করি বলিঃ আসলে লিখতে টিখতে একেবারেই পারি না লতাপু। একটা একাউন্ট পাওয়ার জন্য হাচল হবার আগে ঘন ঘন অ-লেখা লিখতাম। স্বার্থস্বিদ্ধি হয়ে গেছে, এখন কী আর আমি সেই অপচেষ্টার মধ্যে যাই!! আমি একজন পূর্ণ মন্তব্যকারী। এটা করতেই সময় শেষ!!! আর তাছাড়া সচলও কিন্তু মিথষ্ক্রিয়াকে বেশ গুরুত্ব দেয়!! )
তবে কীভাবে প্রতি লেখায় ১৫০ টি মন্তব্য আপনারা পান, লেখায় সেই মান কীভাবে আনয়ন করেন তা যদি বলে দ্যান তবে আবার অপচেষ্টায় শামিল হতেও পারি!!!!
অটঃ একদিন ঠিকি লিখে ফেলবো...............কিন্তু আপনার লেখা কিন্তু নিয়মিত চাই, হুমম......ডুব দেওয়া যাবে না বলে দিলাম!!!
_____________________
Give Her Freedom!
মিথষ্ক্রিয়া ! হুম, তারও দরকার আছে। নইলে আব্জাব যা-ই লিখি, তা পড়ার লোকও চাই যে ! তবে একজন কবি নিঃশব্দ হলে আমাদেরও ক্ষতি বৈকি।
কমেন্ট আনয়ন তো লেখার গুণে না, সবার প্রশ্রয়ের দোষে। সচলকে যতটা ভালবেসেছি, সচল তা দশ গুন করে ফেরত দিয়েছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
_____________________
Give Her Freedom!
যতই পড়িবে ৩৩ই পাইবে...
থুক্কু...যতই পড়িবে ততই পাইবে...
আপনি পাইয়াছিলেন বোধ হইতেছে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হা হা হা --মজারু লেখা! খুব ভাল লাগল!!
অঙ্ক যারা ভাল পারে তাদের আমি দুই চোখে দেখতে পারি না।
অঙ্কে একবার ফেল কর্সিলাম--হাই ইস্কুলে।
তারপর ঠিক কর্সিলাম এমন অংক শেখা শিখব যে---
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে অংক ভাল করে শেখা তো হলই না--মোটের উপর জিনিস্টাকে আরো গুরুতর করতে এমন একটা বিষয়ে পি এইচ ডি করতে হয়েছে যেখানে অংকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি---পদার্থ বিজ্ঞান!!
আমার আর বুদ্ধিশুদ্ধি কবে হবে?
ধন্যবাদ অনিকেত। পদার্থ বিজ্ঞানে পি এইচ ডি করেও "অঙ্ক যারা ভাল পারে তাদের আমি দুই চোখে দেখতে পারি না" !! বেশ বেশ! বিনয়ের অবতার কথাটা এদ্দিন শুধু বইতেই পড়েছি আজ চোখেও দেখা হয়ে গেল।
তবে কি জানেন, পদার্থ বিজ্ঞান আমার খুব পছন্দের জিনিষ। খুবই হাস্যকর শোনায় যদিও, কিন্তু আমি অঙ্ক পারলে অতি অবশ্যই এটা নিয়েই পড়তাম। বুঝিনা বলেই বোধ হয় বুঝে নেবার জেদ হয়।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশাদি দুঃখের কথা আর কি বলবো ! সারা জীবন অংক আমার যম হয়েই থাকলো। আর আমি ছোটবেলা থেকেই বকা দিলে যা পারি তাও ভুলে যাই টাইপের। মনে আছে আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি আব্বু একদিন অংক করাতে বসিয়েছে। আব্বুকে খুব ভয় পেতাম। আমাকে জিজ্ঞেস করেছে ৫ থেকে ৫ বাদ দিলে কত থাকে? আমি বললাম ৫ । আবার জিজ্ঞেস করলো, কত? আমি অনেক ভেবে বললাম ৫ । তারপর আব্বু যেই মাইরটা দিলো ।
আম্মুর কাছে লেখা পড়া শিখেছি তাই খুব ভালো করে অংকটা শিখতে পারি নি। আমি অংকে ভয়াবহ কাঁচা। স্কুলটা যে কিভাবে শেষ হয়েছে আল্লাহ জানে। স্কুলের পর কানে ধরলাম আর সাইন্স পড়বো না। গেলাম কমার্সে। সেখানে করতে হয় একাউন্টিং ! তারপর পড়লাম বি বি এ। সেখানেও ভিন্ন ধরনের ম্যাথ। শান্তি আর হবে না মনে হয় এই মহাপাপী হিসাবের হাত থেকে । তবে ইংলিশটা ভালো পারতাম শুরু থেকেই।
-মেঘা
এই শাস্তি টাস্তি গুলোর ভয়েই বোধ হয় পড়াশোনার বেহাল দশা হয়। সেরকম সহজ করে বোঝানোর কেউ থাকলে নিশ্চয় জিনিষটা এত বিভীষিকাময় হয়ে যায় না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ মেঘা। আপনার নিকটা ভারী মিষ্টি তো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এমন প্রাণবন্ত শব্দের ফোয়ারা মনকে তাজা করে দেয় নিবিড় প্রফুল্লতায়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বাহ, কতদিন পর ছান্দসিক কমেন্ট। ধন্যবাদ কবি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার বিদ্যার দৌড় অল্প বিস্তর, তাই ভয়ঙ্কর...
নেন, একটুখানি নমুনা দেখে আসেন আগে
মেট্রিক পরীক্ষার আগে আমি সবচেয়ে বেশি নিশ্চিত ছিলাম যেই বিষয়টা নিয়া, সেইটা অঙ্ক, আমি নিশ্চিত ৯০'র মতো পামু। এতোটাই নিশ্চিত যে শেষদিকে আমি এই বস্তুর ধারে কাছে ঘেঁষতাম না। ইংরেজি নিয়ে মেতেছিলাম। অঙ্ক পরীক্ষার আগে ছিলো ভূগোল পরীক্ষা, তারপর দুদিন ছুটি, তারপর অঙ্ক পরীক্ষা। এমনটাই নিশ্চিত ছিলাম যে ভূগোল পরীক্ষা দিয়ে সোজা এক বন্ধুর বাড়ি চলে গেলাম, যে জীবনেও পাশ করে না। দুইদিন টানা বানড়ামি, আম চুরি করে খাওয়া, রাত বিরেতে পড়ুয়া বন্ধুদের টিনের চালে ভূত চালান দিয়ে পরীক্ষা দিতে গেলাম।
প্রশ্ন দেখে মুগ্ধ... যে অঙ্কগুলো আসছে, সেগুলো প্রায় মুখস্তর মতো পারি আমি। বিপুল বিক্রমে অঙ্ক কষতে গিয়ে দেখি গত কয়েকমাসের অচর্চায় সব ভুলে বসে আছি। কিছুতেই কিছু মিলাতে পারছি না
পরীক্ষা শেষে বের হলে সবাই জিগায় কতো পাবি? আমি কইলাম অঙ্কে যদি পাশ করি তাইলে স্টার মার্কস পামু।
শেষ পর্যন্ত আমার মেট্রিকের রেজাল্ট হইলো ভয়াবহ... ১৩ নম্বরের জন্য স্টার পাইলাম না, বাংলার দুই পত্র মিলে পাইলাম ১৫৯, আর ভূগোলে ৮৯... [দুইটাতেই ১ নম্বরের জন্য লেটার মার্কস ছুটলো] অঙ্কে যেখানে ৯০+ পাওয়ার কথা, সেখানে পাইলাম মাত্র ৪০
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এইটা কি পড়াইলেন নজরুল ভাই ?! বড়ই মন উদাস হইল। এখন তো মেন্টরের হাজার গালাগালিতেও আর পড়তে মন চাইবে না। খালি মনে হবে দূরো, দুই পয়সার দুনিয়ায় পড়াশুনা না করলে কি হয় !!
ইয়ে... ওই আপনার পোস্টে কমেন্ট করে সচল হওয়ার সুযোগ অফারটা কি এখনও চালু আছে ? থাকলে একটা ট্রাই মারা যেত !!! হে হে হে...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এখন আর সেই অফার চালু থাকবে কীভাবে? এখন তো পোস্টই দেই না
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অঙ্ক নিয়ে অভিজ্ঞতাগুলো তারিয়ে তারিয়ে পড়লাম। আমরা হলাম গিয়ে জিপিএ সিস্টেমের গিনিপিগ, তাই এসএসসি এইচএসসিতে অঙ্কের নম্বর জানার সৌভাগ্য(?) আমাদের হয়নি। তবে স্কুল কলেজে মনে হত, অঙ্কটা মনে হয় আধ একটু পারতাম। কিন্তু ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে বুঝলাম, সেই জানাটা কত বড় ভুল ছিল। সে যাকগে, দুঃখের কথা বাড়িয়ে আর লাভ কী?
লেখা
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ধন্যবাদ অদ্রোহ। সচলে আমি লিখিই শুধু এই আড্ডা মারার লোভে। কিছু একটা লিখে গছিয়ে দিলে কপালগুণেই হোক বা আপনাদের প্রশ্রয়ের গুণে, দারুন একটা আড্ডা জমে ওঠে আর সবার গল্পগুলো শুনতে কি মজাই যে লাগে। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
সবার উপরে আড্ডা সত্য তাহার উপরে নাই
(c) পছন্দনীয়
একদম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা-মন্তব্য সব মিলিয়ে এই পোস্ট'টা পড়ে অনেক মজা পেলাম।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মাধ্যমিকে উঠে (নবম শ্রেণীতে) অ-সাধারণ গণিত নিয়ে পেলাম ১০। ইন ফ্যাক্ট ৮ পেয়েছিলাম, কিন্তু স্যার দয়াপরবশ হয়ে দুটো নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর প্রাইভেট পড়ে ৫৫ উঠলো, কিন্তু আর তো বাড়ে না! প্রিটেস্টের পর এবিকে (একাউন্টিং এন্ড বুক-কিপিং) নিলাম, ওটাতেই শুধু লেটার!
এরপর অংক ছাড়ানোর জন্যে এমন একটা বিষয়ে গেলাম, যেখানে ভেবেছিলাম অংক থাকবে না। কিন্তু, ওখানেও অংক ছিলো! একজন পছন্দের স্যারকে একদিন দুঃখের কথা বললাম। তিনি বললেন, তাঁরও একই অবস্থা ছিলো এবং তিনি তাই চলে গেছেন জুওলজিতে। কিন্তু, পিএইচডি করতে গিয়ে তাঁকেও আবার ক্যালকুলাস শিখতে হয়েছে, প্রথমেই!
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
হায়রে কপাল ! নাহ্, এই দুইন্নায় বাঁইচ্যা সুখ নাই। [চরম উদাস ইমো]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
মন্তব্য করতে যেয়ে কতটা নিচে নামতে হলো ভাবতেও পারবেননা মন্তব্যের বন্যা বয়ে গেছে আপনার লেখাতে! প্রশ্ন হচ্ছে আপনি নিজের লেখা আবার পড়ে কতটা খুশী হন দুইদিন পর! ভালো থাকবেন ”আ্যাশালোটা” আপা
নিজের লেখায় ঘুরে বেড়াতে আমার ভীষণ ভালো লাগে তানিম। সেটা লেখাটা পড়ার জন্যে নয়, প্রিয় হয়ে ওঠা অদেখা মানুষেরা সেখানে কথা বলে, হাসায়, ভাবায়, বিষণ্ণ করে- অনেক পরেও এদের মাঝে নিঃশব্দে ঘুরে বেড়াতে তাই ভীষণ ভীষণ ভালো লাগে।
আর মন্তব্যের অর্ধেকের বেশি তো আমারি রিপ্লাই, বাকি অর্ধেকের অর্ধেক তো আড্ডাবাজি। কিন্তু তা হলেও আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আমাকে তো আপনার থেকে আরও একধাপ নিচে নামতে হল ! তবেই ভাবুন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উপরে উঠার চাইতে নিচে নামা খুব সহজ, এইযে আমি একধাপ নামলাম এবং চাইলাম আপনি আর নিচে নেমে আমাকে কিছু বলবেননা ভালো থাকবেন আপু, শুভেচ্ছা একটা চলমান উর্ধ্বগামীী শব্দ!!
কি জনপ্রিয়তা ঠাম্মি!!! লিখতে না লিখতে মন্তব্য দু'শোর কাছাকাছি চলে যায়!
হে হে হে...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অংক নিয়ে ভয়ডর ছিল না কোনকালেই। ছোটবেলায় ভাইয়া আমারে অংকের মজাটা দেখায়ে দিসিল বলেই হয়ত। স্কুললাইফের এই একটা পরীক্ষা, ড্রয়িং ছাড়া, যেটার আগের দিন পড়াশোনা না কইরা আম্মার মেজাজ খারাপ করায় ড্যাংড্যাং কইরা ঘুরসি। পরীক্ষায় ১০০ পাওয়া ব্যাপারই না! ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আইসা যদিও ছবি পাইল্টা গেসে
পঁচানি খাইতাম বাংলা, সমাজ টাইপের বিশাল লেখালেখির পরীক্ষায়। পরীক্ষায় কেন জানি নিজের খাতায় লেখা বাদ দিয়া অন্যরা কে কি করতেসে এইটা দেখতে বেশি মজা লাগে। টানা ৩ ঘন্টা এমনি খাতাকলম নিয়ে বসে থাকা যায়? টয়লেটেও একবারের বেশি যাইতে দেয়না, ৫ মিনিটের বেশি থাকাও যায় না বাংলা পরীক্ষায় গদ্যের বড় প্রশ্ন লিখতাম প্রথম এক ঘন্টা ধরে, মনের মাধুরী মিশায়ে। তারপরের ঘন্টায় একটা ছোটপ্রশ্ন, একটা ব্যাখ্যা। পরের ঘন্টায় বাকি সব লেখার চেষ্টায় শেষে ১০০র মধ্যে ৫০ নম্বর ছেড়ে দিয়ে বের হয়ে যাওয়া। আরে, এত লিখে কী হবে?! গল্প পড়তে দিসে, পড়সি, মজা পাইসি। এখন "মহেশ" গল্পে মহেশের চরিত্র বিশ্লেষণ করতে দিলেও লেখতে পারি, "মহেশ খুব প্রভুভক্ত গরু ছিল, গফুর তারে মাইর দিলেও উলটা কামড়ায়ে দেয়নাই।" গফুরের চরিত্র দিলে আর কী লিখব?!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ভাই, একটু পায়ের ধুলা দেয়া যায়না ?! পাঁচশ টাকার ভাংতি দিলেই আমার মুখ শুকিয়ে যায়, পঁয়ষট্টি টাকা পেয়ারার কেজি হলে সাড়ে সাতশ গ্রামের দাম বের করতে কালঘাম ছুটে যায়। আপনারা যে কি খেয়ে অঙ্ক পারেন আমার মাথায় ঢুকেনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওটা কিছু না, স্রেফ অঙ্ককে ভয় না পেলেই হয়... তবে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষক নামক ঈশ্বর আসলে অঙ্কভীতি তৈরী করার জন্য প্রধান কারণ - এটা এমনই এক জিনিস যেখানে মুখস্থ ভরতে গেলেই ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি হবে।
এমনিতে সমাজবিজ্ঞান মুখস্থের জ্বালায় পছন্দ না করলেও ইউনিভার্সিটিতে একটা কোর্স ছিলো সোশিওলোজির - সেটা ভয়ঙ্কর পছন্দ হয়েছিলো।
অঙ্কভীতি তৈরী হয়েই গেছে যখন তখন সেটাকে সারাবার মত ওঝা পাই কোথায় ? কেবল অঙ্ক আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বাদে এমনিতে জ্ঞানের যেকোনো শাখাই আমার পছন্দের। একবার কলাভবনের চারতলায় একজন প্রফেসরকে জেন্ডার স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টটা কোথায় জিজ্ঞেস করতে যেয়ে উনি বসিয়ে টানা দেড় ঘণ্টা লেকচার দিলেন। বেরিয়ে এসে আমার ফ্রেন্ড তো আমাকে এই মারে তো সেই মারে অবস্থা। আমার কিন্তু ওরকম জ্ঞানগর্ভ কথা শুনতে বেশ লাগে। যার যেটার অভাব আরকি !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আর ১৮টা মন্তব্য হলেই ২০০
হুঁ, তাইতো দেখছি। এইবেলা পুরস্কার ঘোষণা করে দেই 'যে ব্যক্তি ২০০ তম মন্তব্য করিবেন, তাহার জন্য হাঁড়িভরা রসমালাই এর বন্দোবস্ত করা হইবে' কি বলেন ?!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়, বোকারাই বেশি ভাল থাকে। যদিও বাস্তব তা বোধহয় একটু অন্ন্ররকমই।
বোকারাই বেশি ভাল থাকলে বলতেই হয় আমিই বোধ হয় পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো থাকা মানুষ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার কিন্তু মাঝে মাঝে মনে হয়, বোকারাই বেশি ভাল থাকে। যদিও বাস্তব তা বোধহয় একটু অন্ন্ররকমই।
ওহহহহ...কি চমৎকার লেখা, আপনার লেখা পড়তে পড়তে মাঝে মাঝেই লীলা মজুমদারের লেখার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। সেই রকম চকচকে সাবলীল। । এখানে আপনারা অনেকেই এত দারুন লেখেন যে ভয়ে আমি আর কিছু লিখে উঠতে পারি না। আমার কপালে খালি মন্তব্য করে কেটে পড়া পর্যন্তই। তবে আপনার লেখা পড়ে একটা খুব ভাল জিনিশ হল, এত মানুষ যে অংকে গোল্লা পেয়েছে সেটাও বের হল আর এতে আমার পুরোন দঃখ অনেক কমল বলাই বাহুল্য। আর বেশি বলা যাবে না, না হলে বিপদ হতে পারে, আমার খালামনি সচলায়তন নিয়মিত পড়ে আর আমার অংকের কাহিনি এখনো জানে না। বাপ, তাড়াতাড়ি ভাগি।
লীলা মজুমদার ! বলেন কি ! এযে লোকমান আলি আর জুতার কালি হয়ে গেল রে ভাই। সচলে নমস্য অনেক লেখক আছেন অবশ্যই কিন্তু আমাকেও ওনাদের কাতারে ফেলে দিলে আমিও যে আপনার মত ভয়েই কাঁটা হয়ে কেটে পড়তেই চাইব।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তেলানোর জন্যে বলিনি, আপনার লেখা পড়তে পড়তে মনে হল তাই লিখে ফেলেছি, যেটা মনে হয় সোজাসুজি বলে ফেলি আর সেজন্য বেশুমার হাবুডুবু খাই। দয়া করে পালাবেন না, তাহলে এখানে আমাকে সবাই মিলে বলী টলী দিয়ে ফেলতে পারে।
আপু, আপনার লেখাগুলো আমি আগেই পড়েছি। কিন্তু কমেন্ট করিনি কেন জানেন? হিংসায়। একে তো আমি তখন সচলে লিখতে পারতাম না। তার উপর এর সুন্দর করেও আমি লিখতে পারি না। তাই কেন জানি অন্যান্য ব্লগারদের মত আপনাকেও
হিসেবে দেখতাম। সচলে এখন অতিথি লেখক হিসেবে, লিখতে শুরু করেছি, কিন্তু তাই বলে আমার হিংসা কমে যাবে সেটা ভাববেন না।
আহা, এইরকম হিংসে পেয়েও কী আনন্দ হয় ! রাজকন্যের জয় হোক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
দুইশো কমেন্ট পূরণের জন্য সবাই মুক্ত কীবোর্ডে এগিয়ে আসুন।
হুঁ, আপনারা এইরকম ঢাক ঢোল পেটান আর লোকে বলুক 'সচলে সবাই এর ওর পোস্টে গিয়ে তেলাতেলি পিঠ চাপড়া চাপড়ি করে' আর সন্দেশ এসে ক্যাঁক করে আমার কল্লা চেপে ধরুক।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এক কালে গণিত ভালবাসতাম বলেই তো মনে পড়ে, কিন্তু বুয়েট এ ঢোকার পর ওই ভালোবাসা কই যে গেলো...... মুখে মুখে যোগ-গুণ-ভাগের ব্যাপারে অবশ্য আমি সেইরকম, দোকানদার যা দেয় তাই চুপচাপ নিয়ে নেই। মোবাইলে গণকযন্ত্র দেওয়া টা তো হয়েছে আমারি সুপারিশে
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওহহ, ভালো কথা বলেছেন, এই দোকানের হিসাবে তো রিতিমত শহীদ হয়ে আছি
হা হা হা ... আপনিও !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে আরে, যান কই, ঘোষণা অনুযায়ী দুশোতম মন্তব্যকারি হিসেবে আপনার জন্য প্রাইজ রইল গরম গরম সরভাজা আর মুচমুচে নিমকি। চটপট খেয়ে নিন, নইলে আমার নাতিপুতিরা টেরটি পেলে পাতে কিছুই আর রইবে না কিন্তু।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আছি আছি। যদিও আমি এখন ২০১ এ, কিন্তু আমিই আদত ২০০কারী। প্রাইজের সব কিছু হজম করা সারা, আরো কিছু দিন আশা'দি ।
facebook
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নতুন মন্তব্য করুন