সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে মানুয়েরা হঠাৎ জেগে উঠেছে। মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন এর মত আরব্য রজনির দেশগেুলোতে মানুষের এই আত্কা জেগে উঠার নেপথ্য কারন কি? কেউ বলেছেন, প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেট নামের খোলা জানালায় দেখা বিশ্বের সাথে ফেইসবুক – টুইটার ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ গড়ে উঠার কথা; কেউ কেউ একে দেখেছেন গনতন্ত্রকামী মানুষের দীর্ঘ দিনের ধারবাহিক সংগ্রামের চূড়ান্ত পর্ব হিসেবে। আর সব কিছুতেই যারা পশ্চিমা বিশ্ব – সি আই এ ইত্যিাদির গন্ধ খুঁজে বেড়ান তাদের বিশ্বাসে ঘৃতাগ্নির রসদও ছিল দেদার। তা সেই রেসিপি যাই হোক না কেন, মধ্যপ্রাচ্যের মানুষেরা তা পাত পেড়ে খেয়েছেন এবং তাতে কাজ হয়েছে সাংঘাতিক। ফলাফল – ত্রিশ/চল্লিশ বছর ধরে ক্রিজে টিকে থাকা মুবারক – গাদ্দাফিরা কুপোকাত!
এ যেন গনজাগরণের সুনামি! মিশরে যার শুরু, সেই ঢেউ যেন এসে লেগেছে আমাদের পাশের বাড়িতে। তবে এতদূর পথ পাড়ি দিয়ে সুনামির সেই তেজ যেন একটু ম্লান। আন্না হাজারে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, দেখা যাক কি হয়। আমার এই লম্বা ভূমিকার উদ্দেশ্য কিন্তু বিশ্ব সংবাদ পরিবেশন নয় বরং উল্টো এবং প্রাসঙ্গিক। সেটিই বরং এককথায় সারি। শরীরে ক্যানসার হলে তা কেটে ফেলতে হয়, নয়ত তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীরটির মৃত্যু হয়। আমি বাংলাদেশের কথাই বলছি।
সমন্বয়হীনতা; ডিম আগে না মুরগী আগে, বাঙ্গালী না বাংলাদেশী - এইসব করতে করতে বাংলাদেশ আজ ৪০ বছরের এক বিব্রত তরুণ! পর্যাপ্ত শিক্ষা তার জোটেনি। সারা শরীরে (পড়ুন সড়ক/মহাসড়ক) অপুষ্টির চিহ্ন পরিষ্কার,অগনন ক্ষত। এই যার দৈহিক অবস্থা তার মানসিক অবস্থা সহজেই অনুমেয়। সে খেলতে গেলে দম হারিয়ে ফেলে, হারিয়ে ফেলে আত্মবিশস্বাস। একমাত্র টনিক - এতিহ্যও অতি ব্যবহারে বিতর্কিত! বাংলাদেশের তাই দরকার শারিরীক ও মানসিক পুষ্টি - যত্ন। আমাদের বর্তমান(সরকার/বিরোধী) নেতৃত্বের (পড়ুন সিন্দাবাদের ভূত) ভেতর তেমন মমতা আর প্রজ্ঞা কোথায়???
-নন্দী-ভিড়িঙ্গি
মন্তব্য
অল্প কথায় অনেক কথাই বলা হয়ে গেলো, আসলে এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো, ওই যে "দিনে দিনে শুধু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ", পরিবর্তন তো আসবেই, আসতে হবেই, গণতন্ত্রের নামে যে পরিবারতন্ত্র, রাজতন্ত্র, একক দলতন্ত্র আর যাই যাই চলছে তার বিরুদ্ধস্রোত জাগতে শুরু হয়েছে ...
হুম… সমন্বয়হীনতা; ডিম আগে না মুরগী আগে… শুধু অভিযোগ করা নাকি সমাধানের পথও খোজা- এইসব করতে করতে অনেক লেখকও আজকাল দেশের কথা ভাবতে গেলে দম হারিয়ে ফেলেন, হারিয়ে ফেলেন আত্মবিশ্বাস। আসলেই তো… তেমন মমতা আর প্রজ্ঞা কোথায়???
-----------
চর্যাপদ
ভাই, এইযে লেখাটা দিছেন আপনার বাড়িতে কি কোন সেনাবাহিনীর লোক গেছে তুলে আনতে?
ভাইরে, ঐসব জায়গায় গণতন্ত্র নাই। ওরা গণতন্ত্রের জন্য হাহাকার করে। আমাদের সাথে ওদের গোড়াতেই তফাত। আলোচনা তাই এখানেই শেষ।
অলস সময়
লেখার মূল বক্তব্যের সাথে সহমত। জনগণ যদি পরিবর্তন না চায় তবে সেই পরিবর্তন কখনো হবে না। আবার অন্যভাবে যদি দেখেন - জনগণ যদি পরিবর্তন চায় তবে সেটা হতে বাধ্য। যেটা আমরা দেখেছি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে, স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে, যা এখন দেখছি আরব বিশ্বে। তাই আমারো প্রশ্ন বর্তমান প্রজন্মের কাছে - তারা কি এই দু'দলের কাছেই জিম্মি হয়ে থাকতে চায়, নাকি আসলেই তারা পরিবর্তন চায়? তবে মানুষের রাজনীতিতে অনাগ্রহ দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় জনগণ পরিবর্তনে ইচ্ছুক নয়। তারা সুখে না থাকলেও খুব বেশি অখুশীও নয়। অখুশী হলে তো পরিবর্তনের জন্যে সচেষ্ট হতো
মনের কথা লিখেছেন। ভাল লাগলো।
যে দেশে পাঁচ/ছয় বছর পর পর নির্বাচন হয় সেখানে যতই দূর্নীতি হোক বিপ্লব হবার সম্ভাবনা কম।
আপনার নিকটা কি "নন্দী-ভৃঙ্গী" দিতে চেয়েছিলেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
নতুন মন্তব্য করুন