আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি ‘নেশাগ্রস্ত’ নন?
কিছু টেস্ট করে দেখে নিতে পারেন:
১। স্মোকারদের যেমন একটু পরপর সিগারেটের তৃষ্ণা তৈরী হয়, আপনারও কি একটু পরপর ফেসবুক তৃষ্ণা তৈরী হয়, লগ-ইন করার জন্য অস্থির অস্থির লাগে?
২। ফেসবুকে লগ-ইন করে উপরের বামদিকে লাল রঙ এবং কিছু সংখ্যা (নটিফিকেশন) না দেখলে কি আপনার মনে রাজ্যের হতাশা ভিড় করে? আর লালের মধ্যে বড় বড় সংখ্যা দেখলেই কি আনন্দে মন ভরে উঠে?
৩। প্রচুর লাইক এবং কমেন্ট পড়বে এমন স্ট্যাটাস দিতে পারাটাকেই কি জীবনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য মনে হয়?
৪। কয়েক ঘন্টার মধ্যে কোন স্ট্যাটাসে লাইক না পড়লেই কি সকল পরিচিতদের প্রতি এক অজানা ক্ষোভ জেগে উঠে, নিজেকে খুব একা একা মনে হতে থাকে? তখন কি মনে হয় যে, “সবাই কি এত ভেরেন্ডা ভাজে যে একটা লাইক দেয়ার সময় পায় না?”
৫। আপনি কি স্টুডেন্ট? ক্লাসে পড়ানো নতুন টপিক সম্পর্কে জ্ঞান নেয়ার চেয়ে ফেসবুকের লেটেষ্ট নিউজ ফিড সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে নিয়ে অসংখ্য রাত ব্যয় করে ফিউচার নিলামে তুলে ফেললেও কোন অসুবিধা টের পান না?
৬। কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে কি থাকা-খাওয়ার সমস্যার চেয়ে ফেসবুক একসেস করার সুবিধার অভাবটাই প্রধান সমস্যা মনে হতে থাকে?
৭। রোজা রেখে একটানা ১৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে পারলেও একটানা ১৪ ঘন্টা ফেসবুকে লগ-ইন না করে কি থাকতে পারেন না, ‘Crazy Feeling’ তৈরী হয়?
উপরের কোনটার সাথে যদি নিজের মিল খুঁজে পান, এখনি সতর্ক হয়ে যান।
সুমন_সাস্ট
মন্তব্য
এটা কি কইলেন ভাই।আমি তো তাহলে পুরাই গেছি
হা হা হা।
সতর্ক হওয়াটাই আসল ব্যাপার। জেনেশুনে এরপরেও যদি নেশা করতে চান তাহলে কোন অসুবিধা নাই।
সুমন_সাস্ট
ভাই পুরাই মিল দেখতেছি...।
আমি বর্তমানে নেশাগ্রস্ত তবে ফেসবুকে না সচলে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লেখাটা যদিও ফান মুডে শুধু ফেসবুক নিয়ে লিখা, সিরিয়াসলি বললে আসলে এটা আমাদের দেশে ইন্টারনেটের সার্বিক বাধভাঙ্গা নেশাকে পয়েন্ট করে প্রতীকী একটা লেখা।
সুমন_সাস্ট
১। উঁহুঁ।
২। প্রশ্নই আসে না। বর্তমানে জীবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় লক্ষ্য খাওয়া আর ঘুমানো।
৩। গতকাল আমার দাঁত ব্যথার কমেন্টে দুইজন লাইক মেরেছে - ইচ্ছে করছিলো ধরে ব্যাটাদের দাঁত তুলে দেই, অবশ্যই এই ধরনের কমেন্ট দেয়া আমার পছন্দের তালিকায় পড়ে না।
৪। কক্ষণোই না। আমি কি ভ্যারেন্ডা ভাজি যে কে কোথায় লাইক মারলো না মারলো খুঁজে বেড়াবো?
৫। আমি স্টুডেন্ট - তবে দুনিয়ার কোন কিছু নিয়েই কোন মাথাব্যথা নেই যখন ফেসবুক ছিলোনা তখনও রেজাল্ট লবডঙ্কা, এখনো তাই
৬। আমি ল্যাপটপ রেখে বেড়াতে যাই অফিসে নিয়ম ছিলো নরকে গেলেও ল্যাপটপ আর মোবাইল ফোন সাথে থাকতে হবে, রাঙামাটি বেড়াতে গিয়ে মনে হচ্ছিলো এই দুই জিনিস ছুটিটা মাটি করে দিচ্ছে।
৭। এক ঘন্টাও না খেয়ে থাকলে Crazy Feeling তৈরী হয়, তবে কারো সাথে কথা না বললে হয় না।
এবার আমি আপনার প্রশ্নগুলোকে রিফ্রেজ করিঃ
১। আপনার কি কিছুক্ষণ পরপর কথা বলতে না পারলে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে?
২। বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী বা কলিগদের আজকের খবর না জানলে কি মনে হয় কিছু একটা বাকি আছে? আর সেগুলো জানতে পারলেই কি অনাবিল আনন্দে মন ভরে ওঠে? ক্রিকেট খেলা চললে কি আপনি অফিসে নিজের ডেস্কে না থেকে কলিগের ডেস্কে জড় হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা খেলা বিশ্লেষণ করেন?
৩। লোকজন হাততালি দেয় অথবা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে, "অমুক না, কথা একখানা বলেছে" এটা দেখাটা - অথবা রসিক আড্ডাবাজ হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটাই কি জীবনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য মনে হয়?
৪। কখনো কাউকে গোল হয়ে বসে গল্প করতে না দেখলে কি অস্বস্তি হয়?
৫। (এড়িয়ে গেলাম)
৬। কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে কি থাকা খাওয়ার সমস্যার চেয়ে "ফ্রেন্ড সার্কেল" অথবা "গোল হয়ে বসে গল্প করার" লোকজনের অভাব বেশি বোধ করেন?
৭। রোজা রেখে একটানা ১৪ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে পারলেও, একটানা চোদ্দ মিনিট কথা না বলে থাকলেই কি আপনার মনে Crazy Feeling তৈরী হয়?
যদি উত্তরগুলো হ্যাঁ হয়, তাহলে আপনি ফেসবুক ব্যবহার করেন আর না-ই করেন, বাঙালীর চিরপরিচিত "সবার উপরে আড্ডা সত্য কাজ চুলোয় যাক" বৈশিষ্ট্য আপনার মধ্যে আছে। সেটা নিয়ে যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলতে পারে, তাহলে ফেসবুক নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কিছু নেই
ভালো থাকুন
এত দ্রুত এত চমৎকার কমেন্ট তৈরী করার দক্ষতায় মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না।
আমার ও সবার উপর আড্ডা সত্য
-স্বপ্নাদিষ্ট
=================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।
এত দ্রুত এত চমৎকার কমেন্ট তৈরী করার দক্ষতায় মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না।
সুমন_সাস্ট
আড্ডা খারাপ কি? গোল হয়া বইসা আড্ডা মাইরাও এখন অবধি কম বাংগালি তো নোবেল পাইলো না (ওই বাংলাতেও তো আড্ডা ফেভারিট বস্তু) । আড্ডার লগে ফেইসবুক মিলাইলে তো এখন সচলায়তনের লগেও মিলাইতে হয়।
-মেফিস্টো
খারাপ কই বললাম?
আর ইয়ে, আড্ডাবাজি করে যখন নোবেল ইত্যাদি পেয়েই গেছে, ফেসবুকিং করেই বা নোবেল পাবে না কেন? দেখবেন ঠিক পেয়ে যাবে...
আইচ্ছা স্বপ্ন দেখতে দোষ কই। ঠিকই কইছেন।
-মেফিস্টো
মন্তব্যে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরেকটা আছে আরেকটা আছে - কারো ফেইসবুক আ্যকাউন্ট নাই শুনলেই বেটারে পাগল ঠাউরানো বা মনে করা যে শালায় বিরাট বাটপারি বা লুলামি কইরা বা ছ্যাঁকা খাইয়া ফেসবুক ছাইড়া পলাইছে।
সুমন_সাস্ট
আমি ফেসবুক ব্যবহার করছি ২০০৭ থেকে। কিন্তু আপনার লেখা বিষয়গুলো কখোনো ভেবে দেখা হয়নি। আমি ফেসবুককে ব্যবহার করি সম্পূর্ণ প্রয়োজনে। হ্যাঁ, প্রয়োজনটা অবশ্য আপেক্ষিক, একেক জনের কাছে একরকম। আমি এর যে ফিচারগুলো আমার কাজে লাগে সেগুলোতেই বিচরণ করি। অসুবিধা হয় না। আর আমি যে ধরণের ফ্যাসিলিটির মধ্যে থাকি তাতে যখন যেখানেই থাকি না কেনো, অন্তর্জাল থেকে বিচ্ছিন্ন তেমন একটা হইনা। সব নোটিফিকেশনই আমার আইফোনে চলে আসে। কিন্তু কতগুলো খুলে দেখবো তা আমিই ঠিক করি।
আসলে পরিমিতি বোধ মানুষের জীবনের সবক্ষেত্রে একটা বিরাট ব্যাপার।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার ফান পোস্টটার পরিবর্তে যদি একটা বাক্য লিখতাম তাহলে হয়ত এই বাক্যটাই লিখতাম।
আমি নিজেও পরিমিত। ইচ্ছা অথবা প্রয়োজন হলে কিছুদিন ব্যবহার করি। মাঝখানে ২ বছর ইচ্ছা এবং প্রয়োজন কিছুই হয়নি, নিজে ব্যাবহার করিনি। ওই সময়টাতে অন্য অনেকের অস্থিরতা চোখে লেগেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহার করতে গিয়ে ভেতরের ব্যপারটা কিছুটা আঁচ করতে পেরেই আসলে লিখা।
সুমন_সাস্ট
আসলে ব্যবহারকারী যদি নেশাগ্রস্থের মতো না হয়ে বিবেচনার সাথে ফেসবুকটা ব্যবহার করে তবে কিন্তু তা মন্দ কিছু নয়। এখানে অনেক জানার বিষয় আছে, বোঝার বিষয় আছে এবং বিশ্বকে জানার জন্য উন্মুক্ত দ্বার। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে চারদিকে যা দেখছি তা খুবই হতাশাব্যাঞ্জক। বেশ বড়ো একটা অংশের ইউজারই ফাউল কাজকামে নিমগ্ন, বন্ধু বাড়াতে বাড়াতে পল্লীবন্ধু থেকে বঙ্গবন্ধু, তার থেকে বিশ্ববন্ধু এবং তার থেকে ব্রক্ষ্মাণ্ডবন্ধু হওয়ার প্রবনতা দেখাচ্ছে। আমার পরিচিত এক ছোট ভাইয়ের স্ত্রী, তার বর্তমানে বন্ধুর সংখ্যা বিশ হাজার ছুঁই ছুঁই। গোটা চারেক এ্যাকটিভ প্রোফাইল মেইনটেন করতে হচ্ছে তাকে। সে অবশ্য সাংস্কৃতিক জগতের মানুষ। কিন্তু আমার অন্য দুই বন্ধু সম্প্রতি ডাবল এ্যাকাউন্ট হোল্ডার হয়েছিলো। আমি জানতে চাইলে বলে যে একটা এ্যাকাউন্ট সবার জন্যে আর অন্যটা শুধু আপনজনদের জন্যে। আমি নরম ভাষায় তাদের বলে দিয়েছি যে যদি তারা সিঙ্গল এ্যাকাউন্ট না রাখে, সেক্ষেত্রে আমি তাদের ডিলিট করতে বাধ্য হবো।
আর ফেক প্রোফাইলের কথা কি বলবো। আজব আজব সব নাম। সার্চ দিয়ে দেখেন 'নুনু মিয়া' নামে অন্তত ৫০টা প্রোফাইল পাবেন ফেসবুকে। তবে হ্যাঁ, মানুষ যখন করার মতো উৎপাদনশীল বা সৃষ্টিশীল বিশেষ কিছু না পায়, তখন তারা ট্রেনের চাকাতে হাওয়া দেওয়াতেই বেশি মনযোগি হয়। যেমন কোনও এক অলস সময়ে আমি কিছু করেছিলাম।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সেটাই। হাওয়া দেয়ার মত প্রচুর ট্রেনের চাকা ফেসবুকে আছে। যেখানে হাওয়া দিয়ে সময় যাচ্ছে সেটা ট্রেনের চাকা কিনা একটু খেয়াল করতে পারলেই আর সমস্যা থাকে না ।
সুমন_সাস্ট
ট্রেনের চাকায় হাওয়া দেওয়া!!! উপমাটা নোট করলাম, কাজে দেবে
আসল কথা এটাই...
+
আমার খালি লগাউট দিতে মঞ্চায়, এর কারণ কী?
আমি দুঃখেষুঅনুদ্বিগ্নমনা স্থিতধী মুনিপ্রবর, আমার ধ্যানের বলয়ের কাছে এসব তুচ্ছ
??? খাইছে রে। আপনের ধ্যানবলয় মনে হইতাছে সেইরকম সম্পুর্ন বঙ্কিমীয় প্রযুক্তি দিয়া রি-ইনফোর্সড। কিন্তু বেশিরভাগ লোকের বলয়ই ঢিলাঢালা, লতরপতর করে। ষান্ডার ত্যাল মাখাইয়াও লাভ হইবো বইলা মনে হয় না - খালি ফেইসবুক এর কাছে দৌড়ায়া দৌড়ায়া গিয়া পিছল খাইতে চায়। আমি নিজেও তিন বছর হইলো ফেইসবুক ইউস করি না। আমার মতে "আমি ফেইসবুক ইউজ করি না" এটা একটা নেক্সট জেনারেশন ফ্যাশনেবল কমেন্ট হওয়া উচিত। অবশ্যই তার আগে ফেইসবুক ইউজ করা ছাড়তে হবে। এটা একান্তই আমার নিজস্ব চিন্তা - বিশ্বাস করেন ভাই। লাস্ট টাইম বাংলাদেশে ফেইসবুক অ্যাক্সেস যে বন্ধ হইলো সেটা আমি করি নাই।
-মেফিস্টো
না রে ভাই, এইটা বঙ্কিমী না, 'দেশে বিদেশে' থেকে আলিসাহেবের কথা...
না মানে, শব্দটা খুব কঠিন দিছেন তো - এর লাইগা কইলাম আর কি।
-মেফিস্টো
'আলিসাহেব' বিভিন্ন অকেশন এ আপনের দা্বরা সাইটেড হয় দেখন যাইতাছে - আলিসাহেব আপনের প্রিয় নাকি?
-মেফিস্টো
বলেন কী! পৃথিবীর কোন কোনায় কোন বাংলা জানা পেটুক আছে যার আলিসাহেব পছন্দের না?
আবার জিগায়। খেক্স।
-মেফিস্টো
৭।আপনি কি ফেসবুক বন্ধুদের “হাই উঠছে”, “অফিস ডেস্ক এ বসে তেপ্পান্নটা মশা মারলাম”,”ভাতের চাল ঠিকমতো সেদ্ধ হয়নি”, “আছাড় খেয়ে মাজা ভেঙ্গে ফেলেছি”, “আধা বেলা ধরে জ্বর” এই ধরনের স্ট্যাটাস গুলো তে হামলে পরে লাইক দেন আর কমেন্ট করে ভাসিয়ে দেন? কিংবা কয়েক ঘন্টা পর পর মোবাইল সেট এর ক্যামেরায় তোলা দাঁত মাজার, ভাত খাওয়ার, কাঁথামুড়ি ঘুম, গলাগলি বন্ধুত্ব এই সব এর ছবি তুলে আপলোড করেন অথবা অন্যদের গুলোয় মুখ দেখা যায় না পিঠ দেখা যায়- না দেখেই কমেন্ট করেন “OMG!! You look stunning!!!” অথবা “Jotilz Mama!!”?
অসাধারণ এই পয়েন্টগুলো মিস করে গিয়েছি লেখায়
সুমন_সাস্ট
ব্যাপার গুলো সত্য ,তবে কিছু ত্যাক্ত অভিজ্ঞতা হলেই নেশা কেটে যাবার কথা
আড্ডার মাঝে খোচা বা ছোট-খাটো ২-৪ টা ঘুসি না চললে আড্ডার কোনো মজাই নাই। কোনো ব্লগ/ফোরামে আমার প্রথম লেখাই ফেসবুকনিয়ে। ফেসবুকের অপব্যাবহার নিয়ে বেশি কিছু বলতে গেলে ভয় লাগে। বন্ধুরা ইতি মধ্যে কয়েকবার ঝাড়ি মেরেছে।
পছ্ন্দ্নীয়্দা'র পোস্ট টা বোধ হ্য় অনেক কে নেশাগ্রস্থ হ্বার হ্তাশা থেকে মুক্তি দিয়েছে। ব্ছর খানেক আগে হলে
আমাকে অন্তত দিত, কিন্তু এখন সচলে লগ ইন করার জন্য অস্থির লাগে।
হা হা হা... চরম সুপার লাইক
সহমত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
এই প্রশ্নগুলো মাইনাস ৩০ এর জন্য ঠিক আছে। কিন্তু ৪০+ এর জন্য নাই।
তবে ফেসবুক ব্যাপার না, যে যেটাতে মজে আছে সেখানে ঘাটতি হলেই উপরের লক্ষণগুলো মিলে যাবে।
লোকে বলে, ফেসবুকের নেশা পরিবারের প্রতি অবহেলা তৈরী করে। কিন্তু সেটা কেবল ফেসবুক কেন, যে কোন নেশাই হতে পারে। আমার ফেসবুক আছে কিন্তু নেশা নেই, তবে ইন্টারনেট কানেকশান না থাকলে মনে হয় কোথাও দম আটকে গেছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সহমত।
সুমন_সাস্ট
হুম।
নেশাগ্রস্ত।
তবে ঠিক ফেসবুক নয়, হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধুর প্রতি... যাদের খবর জানতে মাউস চাপতে হাত নিশপিশ করে...
সেটাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই কথাটাই পোলাপানরে বুঝইতে পারলামনা আমার কিছু বন্ধুর স্ট্যাটাস দেখলে রাগে "আনফ্রেন্ড" করতে মন চায়! যদিও ব্যক্তিগত রুচি তবুও এই ধরনের স্ট্যাটাস দেখলে মেজাজ ধরে - "friendzz... my dad admitted in hospital...donno wht wl happen"
আর আমার তারচেয়ে বেশি মেজাজ খারাপ হয় যখন এই ধরনের একখানা স্ট্যাটাসে কেউ "লাইক" মারে...
ফেসবুকের প্রভাবে আর কিছু না হলেও বাংলাদেশী তরুনদের পর্ণো সাইটে গমনের মাত্রা কমেছে
আমার মতে ফেসবুক জিনিসটা অবশ্যই চমৎকার এক ব্যবহার-বান্ধব মাধ্যম। এখন আমরা যদি তা অবান্ধব বানিয়ে ফেলি, সেটার দায়-দায়িত্ব তো আমাদেরই !
জমিতে ফসল করবো, আগাছা বেশি হলে নিড়ানি দেবো ! অবশ্যই ভালো ফসল আসবে !! নইলে আমি তো চাষাই নই ! সেক্ষেত্রে জমিতে আমার অধিকারই থাকা উচিত নয় !! আর যার সখ হয়েছে পুকুর না কেটে জমিতেই মাছ চাষ করবে, সেটা তার তার ব্যাপার ! আমার কিছু যায়-আসে না তাতে !!
ফেসবুক আমাকে অনেকগুলো ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার সামর্থ ও সীমাবদ্ধতায় হয়তো আমি তার সব করতে পারি না। কিন্তু সুযোগ তো রয়েছে !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত।
ফেসবুক জিনিসটা খারাপ এইটা বলার সুযোগ নেই। এইটা আমরা কিভাবে ব্যবহার করছি সেটা নিয়েই আসল কথা। অনেক ভাল ইউজ দেখছি-করছি, কিন্তু অহেতুক ব্যপারই বেশী চোখে পড়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসুস্থ মনমানসিকতার কর্মকান্ডও দেখা যায়।
কারও কাজকেই খারাপ বলা আমার লেখার উদ্দেশ্য না। কেউ এটার ব্যবহার কি খেয়াল করে করছেন, নাকি নেশার বশে করছেন সেই ব্যাপারে হালকা দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য। আর একটু ফান করার সুযোগ কাজে লাগানো তো আছেই ।
সুমন_সাস্ট
vai ki ei khane FARMVILLE er kotha chupi sharey bole gelen ?
দুনিয়ায় ফেসবুক ছাড়া আর কী আছে? সব কাঁথা আর বালিশ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নতুন মন্তব্য করুন