নগর দর্শনঃ টয়লেট সমাচার

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১২:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে রাস্তায় বেগ চেপে ধরলে মাথার হুস পায়ে এসে ঠেকে। দিগবিদিগ ছুটোছুটি করে যখন অবশেষে কাংখিত জায়গায় পেীঁছোতে পারি, তখন শুরু হয় অপেক্ষার পালা। সেই সময় প্রতিটি সেকেন্ডকে মনে হয় এক একটি দিন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যখন আমার সিরিয়ালটা আসে ততক্ষনে চেপে রাখার আর যাতাযাতির পরিনতিতে তলপেটে তীব্র ব্যাথা সম্পন্ন কোঁতাকুতি শুরু হয়। শরীরের অন্তর্নিহিত কসরতে একসময় ঘর্মাক্ত হই। তারপর নেমে আসে জগতের এক মোহময় শান্তি। তখন মনে হয় যেন কখনও স্বর্গে গেলে তেনার কাছে এই আরামটাই চেয়ে নেব।

রাস্তাঘাটে বেগ চেপে ধরার প্রব্লেমটা শুরু হয় যখন থেকে ভবঘুরেমির স্বভাবটা পেয়ে বসে তখন খেকে। মানে ইউনিভার্সিটি লাইফ থেকে। সে হিসেবে আমার এই সমস্যাটার বয়স ১৫ বছর হতে চলল। এখনো চলছে কেননা আমি ১৫ বছর ধরেই রাস্তায় কাটাচ্ছি, তেমন কোন উন্নতি নাই জীবনে। সুতরাং, এই ভবঘুরে জীবনের সাথে যিনি পরিচিত হতে পারেনি কোনদিন তিনি এই পোষ্টটির মর্মার্থ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হবেন নিশ্চিতভাবে।

আড্ডাটা ছিল মধুর কেন্টিন, কলাভবন, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী আর টিএস সি কেন্দ্রীক। চা দোকানে বা তার আশপাশে আড্ডা দেয়ার সময় হুদাই পানির পিপাসা কিছুক্ষন পরপর বুকের ছাতিটাকে শুকিয়ে দেয়। প্রতি এক ঘন্টায় ৩/৪ গ্লাস পানিতো হয়ই। ফলশ্রুতীতে প্রতি ঘন্টায় ছোট চাপটা তৈরী হবেই (এইটা কিন্তু কেবল আড্ডা দেয়ার ক্ষেত্রেই ঘটে)। রাতে হলে তেমন সমস্যা নাই, লাইব্রেরীর পেছনের দিকে জুটিটুটি তেমন বসতনা, ওখানেই সেরে নেয়া যেত, অথবা আই বি এ’র গেরেজটার আশপাশে অথবা এদিক সেদিক দেখে মধুর কেন্টিনের পাশেই ছেড়ে দেয়া হত। কিন্তু বিপত্তিটা হতো দিনের বেলায়। রাত কি দিন সেন্ট্রাল লাইব্রেরীর টয়লেটে সিরিয়াল হবেই। মাঝে মাঝে তো দশ পনের জনের সিরিয়াল থাকত। যাক কম সিরিয়াল থাকলে তো ৮-১০ মিনিট সময় খিঁচে থেকে একটা যুগের বেশী সময় কাটাতে হত। পাশেই ছিল মসজিদ। অনেকেই যায়। কিন্তু সমস্যা হলো সবসময় সেটা খোলা পাওয়া যায় না। তাছাড়া নামাজের সময় সবাই যায় নামাজে আর আমি যাই বেগ সামলাতে। মনের মধ্যে খচখচ করত এই মনে হয় কোন এক পাক্কা মুসুল্লি এসে জিজ্ঞেস করবে, এইটা কি ভাই হাগা মুতার জায়গা? সে ভয়ে মসজিদটা এভোয়েডই করতাম। মধুর কেন্টিনের টয়লেটের আবার সিটকিনি ছিলো না। ওখানে যদিও সিরিয়াল পেতাম মাঝে মাঝে , পশ্চাতদেশ দিয়ে দরজাটা ঠেক দিয়েই দাঁড়াতে হত। একদিনতো বিপত্তিই ঘটে গেল। এক সুন্দরী এসে এমন জোরে দরজাটায় ধাক্কা দিলো যে আমি কোনমতে কমডে পতন থেকে নিজেকে ঠেকালাম আর রমনী দৌড়ে পালালেন উল্টা দিকে।নিশ্চিতভাবেই তিনি জানতেননা এর সিটকিনি নাই, নাহলে এমুখো হতেন না। মাঝে মাঝে লাইব্রেরীতে গিয়ে দেখা যেত ওখানে ওভার ফ্লো চলছে। মানে পাইপ জ্যাম হয়ে টয়লেট বন্যা কবলিত। সে সিন দেখে বেগ নিবৃত্ত হত সাময়িকভাবে কিন্তু পরে আবার উদয় হতো বিপুল বিক্রমে, তখনতো দিশা হারাতাম কোথায় যাব এই চিন্তায়। সবখানেইতো সিরিয়াল আর যেখানে সিরিয়াল নাই ওইখানে সিটকিনি ভাঙ্গা অথবা ওভার ফ্লো। টি এস সিতে ছিল কয়েকটা জায়গা। জনতা ব্যাংকের উপরে সাংবাদিক সমিতিরটা মোটামুটি সবসময়ই ছিল বন্যা কবলিত। বিভিন্ন সাংস্কিৃতিক সংগঠনের অফিসগুলোর পাশে ছিল একটা। ওইটাতে গেলেই দেখা যেত রমনীকুল জায়গাটা দখল করে আছে, একে অন্যকে পাহারা দিচ্ছেন। আর ছিলো টি এস সির ভেতরে। ওখানে রমনীকুল ও পুরুষকুলের আলাদা ব্যবস্থা থাকলেও সিরিয়াল পাওয়া যেত না আর যখন সিরিয়াল থাকতনা তখন সেটা থাকতো মূত্রবন্যা কবলিত। একদিন দিকে দিকে ঘুরে আর খিঁচে না রাখতে পেরে সুযোগ বুঝে চলে গেলাম নারীদের টয়লেটে, এক মিনিটও অতিক্রন্ত হয় নাই। দরজায় টোকা পড়ল। আমিতো ভয়ে অন্থির। সমস্ত বেগ নিমিষে উবে গেল। আবার টোকা পড়ল। এক সময় টোকা পরিনত হল ধাক্কায় আর সাথে নারীকুলের অশ্রাব্য কথামালা। সেগুলো অবশ্যই ছিল কোন নারীকে কেন্দ্র করে। কারন তেনারা বুঝতেই পারেননি ভেতরে কে? এক সময় অস্থির নারীকুল অনত্র নিজ ব্যবস্থা করতে তৎপর হলো ভেতরে থাকা নারীটিকে অভিসম্পাত করতে করতে। সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলাম। যেমন সুযোগ বুঝে ঢুকেছিলাম তেমনি বের হয়ে এসেছি। প্রায় চোখ বন্ধ করে ছুটে বের হয়ে যাবার সময় শুধু দেখেছিলাম কয়েকটি বিস্মিত নারী-পুরুষ চোখে প্রশ্ন নিয়ে আমাকে দেখছে। ক্যাম্পাস জীবনে সবচেয়ে বিখ্যাত টয়লেট দেখেছি চারুকলার নিচতলার টয়লেটটা। যতবারই গেছি শিল্পিদের টয়লেট বিষয়ক রুচিবোধ আমাকে সেখান থেকে দ্রুত ধাওয়া করেছে। তাও কাজ সেরেছি কখনও কখনও , ছোট কাজটা হাফ ডান রেখে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি বেশ কয়েকবার। মুত্রসাগর পাড়ি দিয়ে সেখানে গিয়ে বেগটা বেশীরভাগ সময়ই আর থাকেনা। যাক একবার একান্ত বাধ্য হয়ে বড় কাজে যেতে হয়েছিল ওখানে। আহ্! কিযে আনন্দদায়ক সব দেয়াল চিত্র একে রেখেছিলেন শিল্পিরা। আমার বড় কাজের বেগটাকে ত্রমশ অন্যকাজের দিকে ধাবিত করছিল। পরে বিচি, পাচরা আর চুলকানির ভয়ে নিজেকে নিবৃত্ত করেছিলাম।

ক্যাম্পাস জীবনের শেষে শুরু হলো নতুন বিপত্তি। আগে তো ক্যাম্পাস পরিব্রাজক ছিলাম তাই বেশী দরকার হলে ছোট কাজটা গাছ-গাছালীর ফাঁকেও মাঝে মাঝে সেরে নেয়া যেত একটু এদিক ওদিক দেখে নিয়ে। ভয় আর কিছুইনা। কোন পরিচিত রমনীর দেখে ফেলার ভয়। চাকরীর খোঁজে সারা ঢাকা শহরেই পরিব্রজক হতে হলাম পরবর্তী সময়ে। লোকাল বাসে চড়ি। টাকা না থাকলে হন্টনও দেই মাঝে মাঝে। বাসে করে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছার চেয়ে একটা সিগারেট টানতে টানতে দুই কিলো হাঁটা তখন ছিল অধিক শ্রেয়তর। সুখে-দুখে বেশ চলত জব সার্চিং শুধু যেদিন ছোট বেগের বিপত্তিটা না থাকত। রাস্তায় এতো হাজার হাজার মানুষ। এখানে সবার সামনে কি আর কাজ সারা যায়! তাছাড়া যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলেতো ইজ্জত তালগাছে উঠবে। একদিন ফার্মগেটে গিয়ে লাগল শুরু হলো চাপ। আমি বেশ কনফিইজড সামনে আগাবো নাকি জায়গা খুঁজবো। যতই চেষ্টা করি ভুলে থাকতে ততই ফিলিংসটা চাউর হয়। এক সময় আর স্থির থাকতে পারলাম না। ছুটে গেলাম হলিক্রস কলেজের রাস্তাটায় । বেশ কিছুদুর হাঁটার পরও মনুষ্যবিহীন কোন স্থানের দেখা না পেয়ে আবার উল্টা ছুটলাম। ব্রিজটা পার হয়ে গেলাম আনন্দ সিনেমা হলের দিকে। কোথায়ও পেলামনা খালি। সিনেমা হলেও গেটটাও বন্ধ। খোলা থাকলেও একটা কথা ছিল। দারোয়ানকে এমনই উদাস ভঙ্গিমায় পেলাম যে তারে বলব বলব করেও বলার সাহস হলোনা। দিলাম ছুট ফার্মগেটের পার্কটার দিকে। যে সময়ে পার্কটার গেট দিয়ে ভেতবে গেলাম তাতে আমার তলপেটা ফেটে যাবার উপক্রম। দৌড়ে একটা পামগাছের গোড়ায় গিয়ে শুরু করতেই, গাছের উল্টো পাশ থেকে উঠে এসে এক ছেলে আমাকে মারে আর কি! রক্ষা পেলাম তার সঙ্গিনীর কারনে। ছেলেটাকে টেনে নিয়ে গেল মেয়েটা। যেতে যেতে মেয়েটা বেশ শাষাল ছেলেটাকে, ‘এইসব রাস্তা লোকের সাখে কেন লাগতে যাও তুমি সবসময়!

অনেক পরে অবশ্য এবিষয়ক সমাধান পেয়েছিলাম। ক্যাম্পাসের ছোট ভাই ফরহাদের পরামর্শক্রমে নগরের ঝলমলে মার্কেটগুলো হয়ে উঠল আমার ত্যাগেই সুখ দর্শনের প্রায়েগিক স্থান। কিন্তু আবার বিপত্তি বাধল একদিন আজিজ সুপার মার্কেটে গিয়ে। গেলাম। বেশ আয়েশ করেই বড় কাজটা সারলাম। ওমা! এক ব্যাটা শৌচাগারের গেটে দাঁড়িয়ে বলে ৫ টাকা দিতে হবে। মাথায় বাজ পড়ল। এমনিতে বেকার মানুষ। তার উপর সেদিন পকেটে চারআনা পয়সাও ছিলনা। দিলাম ধমক ব্যাটারে। পয়সা লাগবে ক্যান? ব্যাটা যন্ত্রেও মত বলে, পস্রাব ২ টাকা আর পায়খানা ৫ টাকা। সেদিন পার পেলাম ব্যাটাকে সত্য কথাটা বলে যে পকেটে টাকা নাই। পেছন থেকে বিড়বিড় করে লোকটা বলে উঠেছিল, ‘পকেটে টাকা নাই, হাগবার আইছে’।

জীবনের নদী গড়ায় কিন্তু আমার এই নাগরিক সমস্যা দিন দিন আরো প্রকট আকার ধারন করে। আমার আয় রোজগার হয় কিন্তু ভবঘুরেমী যায়না, তাই রাস্তা-ঘাটে বেগ ধরার ঘটনাও ঘটতে থাকে অহরহ। এই সেদিন এক আকামে গেলাম পুরান ঢাকায়, আনন্দ বেকারীর গলিতে। এক হালার লাইগা, খাড়ায়া আছি তো আছি, হালার কুন খবরই নাই। মুবাইলটাও ভি ধরে না। কি আর করা। করতে লাগলাম অপেক্ষা। এক সময় নিন্মাঞ্চলে চাপ বোধ করতে শুরু করলাম। যথারীতি ভুলে থাকার চেষ্টা করলাম। যা হয় আরকি, একবার চাপ শুরু হলে মাথায় শুধু চাপটাই ঘোরে। ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে চাপ। মনে মনে প্রার্থনা করি, চাইপা থাক কিছুক্ষন। একটু পর কাছাকাছি মসজিদটা খোঁজার চেষ্টা করি। বেশ কিছুদুর এগিয়ে পেলাম মসজিদ কিন্তু টয়লেট ঠিকই তালা মারা। হুজুররাও বুইজা গেছে, নামাজ না পড়লেও অন্যকামে কিছু মানুষ ঠিকই মসজিদে যায়। মনে মনে কিছুক্ষন অভিসম্পাত করলাম হুজুরদের। কাউকে ত্যাগের সুযোগ করে দেওয়াওতো ধর্মের কাজ। ইসলামতো ত্যাগেরই ধর্ম। পুরান ঢাকার এই গলি ঘুপচিতে পাইপ লাইন খুলে দেয়ার রিক্স নিব বলে একবার ভাবলাম। তারপরেই মনে হলো একবার যদি এইখানে কেউ মাইন্ড করে আমার উপর তাহলে শরীরের একটা হাড্ডিও থাকবেনা। অগত্যা কি আর করা অপেক্ষা করার প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে দিয়ে রিকসা ঠিক করে ছুটলাম কার্জন হল এলাকার দিকে। এই ঘিঞ্জি শহরে একমাত্র আড়ালে কাজটা করার কাছাকাছি জায়গা মনে হলো ওটাই। যা বাবা! চানখারপুল এসে দেখি চরম জ্যাম। রিক্সাওয়ালাকে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে দিলাম ভোঁ দৌড়। এমনই বেগ ছিল যে দু-এক ফোঁটা সামলে রাখতে পারিনি। সে অবস্থাতেই কার্জন হলের পুকুর পারে যাবার গেটটা দিয়ে ঢুকে একটা গাছের আড়ালে কিছুটা জায়গা বন্যা প্লাবিত করলাম। ভাগ্যিস জায়গাটা চেনা ছিল। এ জায়গাটা আগেও একই কাজে ব্যবহৃত হয়েছে বেশ কয়েকবার।

এই শহরে সবাই যে আমার মত তা কিন্তু না, চাইলেই এখানে রাস্তার পাশে অনায়াসে ছেড়ে দেয়া যায়। কেউ কিছু বলেও না। কে বলবে। সবাই ভাবে এইটা হলো একজনের একান্ত সাবজেবটিভ ব্যাপার। আমার লজ্জা শরমটা আবার একটু বেশী তাই আমি পারিনা। আমার মত অনেকেই পারেনা। কেউ যদি কিছু বলে ফেলে? কেউ যদি দেখে ফেলে এইসব ভয়ে পারিনা আরকি। এগুলো অহেতুক ভয়। দেখেননা রাস্তা ঘাট সব জায়গায় মূত্রবন্যায় সয়লাব। একবার এক বিদেশীনিকে নিয়ে যাচ্ছিলাম বইমেলায়। পথে দেখি জনতা রাস্তাকে প্লাবিত করে যাচ্ছে। ভদ্রমহিলা লাফ দিয়ে ছিটকে একপাশ থেকে অন্য পাশে চলে আসলেন। মুখটাকে কেমন পেঁচার মত করে নাকে টিস্যু চাপলেন। ভীষম লজ্জা পেলাম। সেমি পৌঢ় রমনী হলে কি হবে, বিদেশীনিতো! পরে একদিন বুঝতে পারলাম মওকা পেলে তোমরাও কম যাওনা। যত দোষ নন্দ ঘোষ। একদিন দেখলাম আমার বন্ধু মর্টেন কোচ এন্ডারসন দিব্বি ছাড়ছেন এক সন্ধ্যায় নির্জনে একই জায়গায়। মানেটা বুঝলাম, মাইনকা চিপায় পড়লে কারোই হুস থাকেনা।

কিছুদিন আগে হাতে একটা স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা বিষয়ক হ্যান্ডবুক পেয়েছিলাম। সেখান থেকে জানতে পারলাম পায়খানা কত রকম হতে পারে। একেবারে ওপেন ডেফিকেশন খেকে শুরু করে আধুনিক চকচকে হাইকমোড পর্যন্ত সব রকম ষ্টাইলই ছবি সহকারে বর্ননা করা। আমাদের এই শহরে আমরা ডেফিকেশনের সব রকম পদ্ধতিই দেখতে পাই। রাস্তার ফুটপাত দিয়ে হাটলে মাঝে মাঝেই গু মারিয়ে যাই। এটা ওপেন ডেফিকেশনের ফলাফল। বস্তিতে গেলে পিট , ঝুলন্ত সব লেট্রিনই পাওয়া যায়। পিট লেট্রিন হলো এর স্লাব আছে এবং মলমূত্র একটা গর্তে যায় সব। আর ঝুলন্ত লেট্রিন হলো খালের উপর যে বাঁশ নির্মিত লেট্রিন ঝুলে থাকে। শুনেছি, মাঝে মাঝে নাকি এই ঝুলন্ত লেট্রিন পেসেঞ্জার সহ খালে ভেঙ্গে পড়ে। যা হোক, এই সমস্ত কিছেমের ল্যট্রিনের প্রসঙ্গ আনার কারন হলো সরকারকে আর এনজিওদেরকে ম্যাসেজ দেয়া যে ১০০% সেনিটেশন এখনও হয় নাই, আনেক দেরী আছে। খোদ ঢাকা শহরেই এখনও প্রবলভাবে ওপেন ডেফিকেশন আর অস্বাস্থ্যকর ডেফিকেশন হচ্ছে। আপনারা হুদাই এইটা দাবী করলে চলবেনা। আর একটা কনসেপট শেয়ার করতে চাই পাঠকের সাথে। একটা মোবাইল টয়লেট সার্ভিস চালু করলে কেমন হয়? এই ধরেন আপনি রমনা পার্কে বসে প্রেমিকার সাথে বাদাম চিবানোরত অবস্থায় আপনার চাপ তৈরী হলো এবং এক সময় তা এমন প্রবল আকার ধারন করল যে তার সামনে ইজ্জত যায় যায় পরিস্থিতি তৈরী হলো। তারও হতে পারে এমন পরিস্থিতি। তখন মোবাইলটা বের করে যদি চামে চিকনে একটা হট নাম্বারে শুধু একটা টিপ দিলেই ২ মিনিটের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট মোবাইল ভ্যান এম্বুলেন্সের মত সাইরেন দিতে দিতে ইমাজেন্সী আপনার সামনে এসে হাজির হবে। এর জন্য গ্রাহককে কল চার্জ দিতে হবে অপারেটরের কাছে ১০ টাকা। এই দশটাকার মধ্যে টয়লেট কম্পানী পাবে ৫ টাকা আর মোবাইল কম্পানী পাবে ৫ টাকা। এই সার্ভিস কিন্তু ওপেন ডেফিকেশন বন্ধ করার প্রয়াস না। এটা হবে আমাদের মত যে সমস্ত পোশাক আশাকে ভদ্রলোক চাপে কাপড় চোপড় নষ্ট হয়ে ইজ্জত হারাবার ভয় আছে যাদের শুধুমাত্র তাদের জন্য। সবাই ভাববে টয়লেট কম্পানী কত মহান বিনা পয়সায় সার্ভিস দেয় শুধু মোবাইলে দশ টাকা খরচ করলেই হয়। সমস্ত শহর জুড়ে থাকবে মোবাইল টয়লেটে সয়লাব আর হবে লাভজনক ব্যবসা। এর জন্য কোন ইনভেষ্ট লাগবেনা। শুধু ওর্য়াল্ড ব্যাংককে বুঝিয়ে বললেই হবে প্রত্যেকদিন লাখ লাখ লোকজন এখানে প্রস্রাব পায়খানা করে কোটি কোটি টাকা মোবাইল বিল দিবে আর এর অর্ধেক আমরা পাব। যদি তোমরা লোন দাও তাহলে মোটা অংকের সুদ পাবে। দেখবেন লোভে কতজোরে দৌড় দেয় ওর্য়াল্ড ব্যাংক। ওর্য়াল্ড ব্যাংকের কাছে না যেয়ে মোবাইল কম্পানীর কাছেও যেতে পারেন, ওরা ইনভেষ্ট করলে লাভটা একটু কম হবে আরকি। এদেশে কত জনেইতো কত ব্যবসা করল সমাজসেবার নাম দিয়ে। সামাজিক ব্যবসার কনসেপট দিয়ে তো ইউনুস সাহেব একটা রগরগা নোবেইল নিয়ে আসলেন। সুদ খাওয়ার যে একটা আর্ট আছে এই দেখিয়ে যদি একজন শান্তিতে বেইল পাইতে পারেন বিশ্বে। তাহলে প্রকৃত শান্তি স্থাপন করে আপনি কেন আশা করবেননা শান্তিতে নোবেইল। নিবিঘ্নে হাগা-মুতার চেয়ে শান্তি আর কিসে আছে বলেন! শান্তিতে থাকুন।

সাইফ জুয়েল


মন্তব্য

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ফকিরাপুল বাজারের মসজিদের হুজুর একবার আমারে টাট্টি করতে দ্যায় নাই।

আচ্ছা বলেন তো, হাগু আর পিসু, কাজ তো একটা করেই। কিন্তু হাগুর রেট পিসুর থেকে বেশি কেনো?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মিলু এর ছবি

বড়টায় সময় বেশী লাগে। বেশী সময় নিলে রেটতো বেশীই হওয়ার কথা।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

এই হুজুররা বড়ই ভদ্দরনোক! এদের কাম শুধু বয়ান দেয়া, খাওয়া আর হাগু-পিসু। এরা মসজিদের পাশের ঘরে বিবি আর পরিবার লইয়া থাকে আর সারাদিন মানুষের হাগু-পিসু লইয়া বা এ জাতীয় কাজে টানাটানিতে লিপ্ত থাকে।

মোবাইল পাবলিক টয়লেট প্রকল্প চালু হলে সেখানে কলচার্জ ছাড়া কোন বিল লাগবেনা।

নিবিড় এর ছবি

হাহাহা... মজা লাগল লেখাটা পড়ে। ১৫ বছর আগে যে অবস্থা ছিল টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন আর সেন্ট্রালের অবস্থা তার থেকে আর বেশি উন্নত হয় নি। আমার এক বন্ধু ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে হিসেব করে বের করছিল পুরা কলা ভবনে নাকি চারটা টয়লেটের অবস্থা ঠিক আছে বাকি গুলো হয় সব ওভার ফ্লো নাহয় নষ্ট।

আর বলা যায় না মোবাইল কোম্পানী গুলা হয়ত একদিন আপনার প্রস্তাবিত ভ্যান সিস্টেম চালু করে বসবে খাইছে

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ইউনিভার্সিটি এলাকাতে আরো একশটা টয়লেট বসালেও চিপায় চুপায় মূত্র বিসর্জন চলতেই থাকবে। এখানে দরকার একশত মোবাইল টয়লেট আর ছাত্রদের জন্য জন্য কলচার্জটাও মওকুফ। আড্ডার ঠেলায় ছাত্ররা চাপের সর্বশেষ পর্যায় ছাড়া খালি করতে যায়না। তাই এখানে ইমাজেন্সী সার্ভিস চালু করতে হবে আগে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমার পরিচিত এক ছেলে ছিলো। ঢাকা শহরের এমন কোনো পয়েন্ট নাই যেখানে সে মিনিমাম একবার কাজ সারে নাই! কখনো বেগে পড়ে বেগতিক হয়ে গেলে তারে একটা ফোন করলেই হতো, 'আমি এখন অমুক রোডের তমুক চিপা গল্লিতে আছি। আশেপাশে কোথায় শান্তিমতো শান্তির কাজটা করা যায় বলো দেকিনি!' জবাবে ও একেবারে গুগল ম্যাপের বাপের মতো বুঝিয়ে দিতো সব। তো ওরে একবার বলছিলাম, তোমার তো জায়গায় বেজায়গায় চাপাচপি শুরু হয়ে যায়, তুমি একটা মন্ত্র শিখে রাখো, কাজে দিবে। যখন চাপের কারণে চিপায় পড়ে যাবা, তখন আমার নাম নিয়ে মন্ত্রটা সশব্দে কয়েকবার জপবা। চাপটাপ সব চেপে যাবে। আপনাকেও শিখায়ে দেই মন্ত্রটা। 'হাগাবাগা গু যাগা'। মন্ত্রের 'গু' অংশটা চাপানুযায়ী বদলে নিতে পারেন। সাফল‌্য শতভাগ।

মিলু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ধন্যবাদ ধুসর গোধূলি। মন্ত্রটা শিখে নিলাম। সফল হলে অন্যদেরও এই মন্ত্রটা শিখিয়ে দেব। কৃতজ্ঞতা স্বীকারে অবশ্যই আপনার নামটা থাকবে।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

ফার্মগেইটের তেঁজগা কলেজের বিপরীতে অবস্থিত 'মুতিনা পার্ক' নামটা এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এর আসল নাম আর মনে কর্তে পারি না!
মাঝে মাঝে মনে হয় পুরো ঢাকা শহরটাকেই জলবিয়োগের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে সরকার। পুরনো ঢাকা থেকে শুরু করে উত্তরা পর্যন্ত সমস্ত দেওয়ালই পাবলিকের 'জলচিত্রে'র শোভা বহন করে চলেছে। অসাবধানে চললে কিছু ভাস্কর্য মাড়িয়ে যেতে পারেন!


love the life you live. live the life you love.

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ভাই মুতার জন্য পার্কের চেয়ে উত্তম জায়গা আর কোধায় আছে? পার্কে জামাতে মুতে সবচেয়ে মজা।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

যতদূর জানি ঐটার নাম আনোয়ারা পার্ক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারাপ কোয়াস এর ছবি

চলুক


love the life you live. live the life you love.

মিলু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাইফ জুয়েল এর ছবি

চিন্তিত

golammostofa এর ছবি

মজা পাইলাম পড়ে!

সাইফ জুয়েল এর ছবি

গোলাম মোস্তফা ভাইকে আনেক ধন্যবাদ।

জহির  আহমাদ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি লেখা -গুড়- হয়েছে উত্তম জাঝা!

কোট করলাম না, তাহলে পুরোটাই তুলে দিতে হবে !
আগামী দিনেও এ ভাষায় এভাবেই লেখালেখি চালিয়ে যাবেন আশা করি !
আজ সকালে আন্না হাজারের আন্দোলন- অরুন্ধতী রায় এর মন্তব্য পড়ে আফসোস হচ্ছিল !! পর পর সচলায়তনের কিছু নতুন লেখা পড়ার পর আপনার এ লেখা পড়ে, আজকের মত পড়া ক্ষান্ত দিচ্ছি !!! একদিনে এত মজা সইবে না মনে হচ্ছে !

আমাদের অরুন্ধতী নাই তো কী হইছে, আমাদের একজন সাইফ জুয়েল তৈরী হইতেছেন, ইতিমধ্যেই বিখ্যাত একাধিক ব্লগার আছেন, জনগুরুত্বপূর্ন বিষয়ে তারা আমাদের সচেতন করতেছেন.....কীপিটাপ....

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাইফ জুয়েল এর ছবি

জহির আহমাদ ভাই, পরি নাই অরুন্ধতীর লেখাটা। খুইজা পড়ুনে। আপনেতো আমারে লজ্জায় কুঁতড়ায়া দিলেন ভাই অরুন্ধতীর লগে তুলনা কইরা। কোথায় আগরতলা আর কোথায় জুতার তলা!

জহির  আহমাদ এর ছবি

জুতার তলারও দাম আছে রে ভাই, কয়দিন আগে এক জোড়া জুতা বানাইছি, তলার সোলেই গেছে ১০০০ ! মন খারাপ ওপরের খরচা অবশ্য শর্টকাটে সারছি হাসি আর আগরতলাও কোনও দামী জায়গা না, আপনার কথামত যদি সত্যি ঢাকা শহরে এরকম কিছু “ন্যাচারাল কল সেন্টার”--স্থাপিত হয়, আর ঢাকা শহরে বসবাস/কাজকর্মে ভিসা সিস্টেম চালু করন যায় তাইলে ন্যুইয়র্ক/লন্ডন/প্যারীস/দুবাই/ব্যাংকক ঢাকার কাছে কিছুই না !!! কয়দিন পরেই তো ঈদের বন্ধ, তখন ঢাকারে পুরাই বধূ রূপ কুমারী নারীর মত লাগবে দেঁতো হাসি তুলনাটা কী অশ্লীল হয়া গেল ? যাই হোক, আগরতলা ভারতে সুতরাং কথাটা মনে হয় হবে এরকম করে বললে ভাল লাগত : “কোথায় হাগা’রতলা আর কোথায় জুতার তলা” !!!

ইয়ে, ইউনুস সাবেরে নিয়া বলা কথাগুলো পুরা ই প্রাসঙ্গিক এবং দরকারী ! দেশটা ভাবমূর্তির ভক্তিবাদে পুরাই মৌলবাদী লোকজনে ভরে আছে !! ইউনুস, জাফর, কামাল, আবুল-আবাল, সাইদি-সায়দাবাদি, ফায়দাবাদি, ওমুক-সমুক-তমুক, হ্যান-ত্যান-ফ্যান, মডেল-আইডিয়েল-পরিমল, মাল-ছাল-বালে ভরপুর ! এখন এদের একটু মনে হয় ধৌতকরন দরকার আছে !

আন্না হাজারী সাবের ব্যাপারে অরু মাসির লেখা আর তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দেইখ্যা এ সমস্ত ধোয়াধুয়িরে ফরজ শরিয়ত মনে করি ! আপনারা যারা এভাবে লেখালেখির মাধ্যমে ধোয়াধুয়ির তরিকত ভালমত হাসেল করেছেন, তারা কারুর চেয়ে কম কী ??

সাইফ জুয়েল এর ছবি

চলুক

পাঠক এর ছবি

লেখাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। পাবলিক টয়লেটের অবস্থা আসলেই বেশ খারাপ। ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, ব্যাপারটা যাতনাদা‌য়ক। কিছু বিজ্ঞাপনের বিনিময়ে পোর্টেবল টয়লেটের কথাও ভাবা যেতে পারে।

লেখার শেষে ইউনুসকে নিয়ে অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসংগিক মন্তব্য দৃষ্টিকটু লেগেছে!

সাইফ জুয়েল এর ছবি

লেখা ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ। ইউনুস স্যারের মত একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যেই কারনে বেইল পাইলেন, টয়লেট প্রকল্প চালু করলে কেউ একজন শান্তিতে আবদান রাখার জন্য ইউনুস স্যারের চেয়ে বেশী বেইল পাইতে পারেন। অপ্রাসংগিক কথা কোথায় বললাম ভাই। আমাদেরকে তো মহান ব্যক্তিদেরই ফলো করতে হবে।

শাব্দিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
সুগার লেভেল টা টেস্ট করিয়ে নিবেন।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

দুই বছর আগে একবার চিন্তা করছিলাম। তারপর ভাবলাম আরো দেখি। না ভাই হয় নাই ডায়বেটিস। হইলে তো এতদিনে হুগায়া কাঠ হয়া যাইতাম। কইলাম না ১৫ বছরের প্রব্লেম।

শাব্দিক এর ছবি

দেঁতো হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

সরস্বতী পূজার সময় মেয়েরা ছেলেদের আর ছেলেরা মেয়েদের হলে প্রবেশ করার একটা সুযোগ পায়। বছরে একবার পাওয়া যায় এমন সুযোগ সাধারণত মিস করতে চায় না কেউই। আমিও চাইতাম না। বান্ধবীদের সাথে দল বেঁধে এক বন্ধুর হলে চলে যেতাম প্রতি বছর। একবার ঐ হলের কড়িডোর দিয়ে হেঁটে যাবার সময় চোখ পড়ে গেল ছেলেদের টয়লেটের ভেতরটায়। দেখি কতগুলো অদ্ভুত বেসিন ঝুলানো। ঐ বেসিন কী কাজে লাগে তখন বুঝতে পারি নি।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

রাজকন্যা, মেয়েদের টয়লেটে ওই অদ্ভূত বেসিনগুলো থাকে না? ও থাক্কু থাকবে কেমনে? এটাকে ধরে নিতে হবে সেক্স এর ভিন্নতার কারনে টয়লেট নির্মানে জেণ্ডার পার্থক্য করা হয়েছে।

মাহবুব এর ছবি

মোবাইল টয়লেট সার্ভিস দেশে একটা চালু হয়েছিল সিটি করপেরশেন অথবা তাদের অনুোদনে কারা চালু করেছিল বলতে পারব না চেহারাটা কিছুটা ভ্যানেরউপর বসাো ফ্রিজের বাকস এর মত
তবে যে স্থানে এগু লা থাকত সেটা জটিল । আমি একটাকে প্রায়ই দেখতাম গুলিস্থান মাজারের থেকে একটু সামনে রাস্তার মাঝখানের ফুটপাতে
তবে অনেক দিন খেয়াল করেও ব্যবহার কারীর দেখা পাইনি ।আমাদের দেশে জনগণের যেমন ধরন রাস্তার পাশে ত্যাগ কারীকে নিয়ে কা রো মাথাব্যাথা নেই কিন্তু মোবাইল টয়লেট সার্ভিস ব্যবহার কারী কে প্রশ্ন করে মাথা ব্যাথা ধরিয়ে দেবার সম্ভাবনার কথা মনে করে কেউ বোধহয় ও মু খ ও হয় নি ।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ওগো মার্কেটিং স্ট্রাটেজিতে একটু ভুল ছিল। যদি টিভিতে একখান এড দিতে পারত তাইলে সফল হইতো। ধরেন একজন সুন্দরী হেব্বি ইস্টাইল কইরা মোবাইল টয়লেটে ঢুকতাছেন গান গাইতে গাইতে এই ধরনের এড। হুজুগে বাঙালী দেখবেন এইটা ব্যবহাররেই ফ্যাশন বানায়া ফেলবে। এরা অনুকরন প্রিয় এইটা মাথায় রাইখা মার্কেটিং স্ট্যারটেজি নিতে হইবো। ভুংভাং করতে হইবো একটু এই আরকি।

যাক ভাই ইনফরমেশনটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন মাহবুব ভাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

একদিন টের পাইলাম শেরাটনের টয়লেটে ঢুকে ত্যাগ করলে কেউ ঠেকায় না। তারপর থেকে রেগুলার রুটিন ছিলো বাসে করে শেরাটন মোড়ে নেমে পুরা ফাইভ স্টার কায়দায় ত্যাগ করে হেঁটে হেঁটে বেইলী রোডে গিয়ে আড্ডা মারা হাসি

আজকে প্রেসক্লাব থেকে কার্জন হল পর্যন্ত ফুটপাত ধরে হেঁটে আসছিলাম... ডাইনে বাঁয়ে শুধুই গুধু

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফ জুয়েল এর ছবি

ধন্যবাদ নজরুল ভাই, নতুন একখান স্পটের সন্ধান দেওনের জন্য। আপনার চিঠিটা মাথায় লেইখা নিলাম।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

হো হো হো


love the life you live. live the life you love.

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

জটিল একটা আইডিয়া দিলেন বস! গুল্লি

-স্বপ্নাদিষ্ট
_________________________
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

পাপী [এখনও অতিথি আছি] এর ছবি

এর চেয়ে ফানি পোস্ট এই জীবনে আর পাই নাই। পেটের সব খাবার হজম হইয়া গেলো হাসতে হাসতে ...... দেঁতো হাসি

ফেবু'তে শেয়ারড। অন্যরাও একটু হাসুক।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

হাসি

মাহবুব  এর ছবি

মোবাইল ফোন এর জন্য একটা অ্যাপ্লিকেশন বানান জেতে পারে ফ্রি টয়লেট ফাইন্ডার যাতে মার্কেট এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ অন্যান্য বিনামুল্যে ব্যবহার যোগ্য টয়লেটের হদিস থাকবে ।

কিংবা নিদেন পক্ষে গুগল ম্যাপ এ বিনামুল্যে ব্যবহার যোগ্য টাট্রি খানা গু লা রে মার্ক করে কাজ চালান যায় ।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

হা হা। বেশ বলেছেন মাহবুব ভাই। চলুক

হরেকৃ্ষ্ণ এর ছবি

ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পাবলিক টয়লেটের সমস্যাটি খুব ভালভাবে তুলে ধরেছেন। সমস্যাটি অতি পুরনো, তবে ব্যাবসায়িক দিকটা তুলে ধরে ভাল করেছেন; হয়তো কেউ আগিয়েও আসতে পারে। আর আপনার স্বাস্থ্যটিও ভালভাবে পরীক্ষা করিয়ে নিলে ভাল হতে পারে, আমাদের সবারই সময়ে সময়ে তা করানো উচিত।

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

হাতিমার্কা পোষ্টে ব্যাপক বিনোদন পেলাম। অন্যগুলোতে না গেলেও চারুকলার টাতে যাবার সৌভাগ্য (!) হয়েছিল। আপনার মত আমারও একই সমস্যা! লেখায় উত্তম জাঝা!

--স্বপ্নাদিষ্ট
________________________
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

Ahmed Sami-Al-Hasan Emon এর ছবি

Diagnostic centres are good spots , no hazard.....you can try...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।