চিত্ত যেথা ভয়শূন্য। খুব লোভ হল কথাটা পরে। ভেবে ঠিক বের করতে পারলাম না জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে কোন দিনটা নির্ভয়ে কাটিয়েছি। নাহ, আসলেই পারলাম না। মাতৃগর্ভের টান ছেড়ে ভূগর্ভের টানে যখন ঘুম ভাঙল তখন হয়ত খুব অচেনা লেগেছিল পূবের আলোটা, নিজের অস্তিত্ব নিয়ে নিজেই হয়ত দ্বিধায় পরে গিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই ভয় হচ্ছিল এই ভেবে যে এখানে আমার কাজ কি, এত বড় ধরণীতে আমার সৃষ্টির রহস্যটাই বা কি। কিন্তু আমি ঠিকই বুঝে নিলাম আমার জন্য একটা গণ্ডি করা আছে। গণ্ডির বাইরে যাওয়া পাপ আর গণ্ডির ভেতরে থাকা অন্যায়।
বড় হচ্ছি আর অংক বইটা তার বিশাল বিশাল কালো দাঁত দেখিয়ে আমাকে বলছে, ‘তরে আমি খাইসি।’ আমার হাইেটর চেয়ে বড় বড় অঙ্ক গুলোর ভয়ে আমার রাতের ঘুম হারাম। আম্মুর চর থাপ্পর তো রাতের খাবারের পরে DESERT এর মত ছিল। আরও বড় হচ্ছি। মাথায় একটাই চিন্তা যে করেই হোক বিকেলের আগেই প্রাইভেটটা শেষ করে বাসায় আসতে হবে। ঐ সময়টাতেই অসভ্য ছেলেগুলো রাস্তার ধাঁরে আড্ডা বসায়।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবো। সুযোগ পেলাম স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আব্বুর কড়া নির্দেশ, মাথা নিচু করে ক্লাসে যাবা মাথা নিচু করে বাইর হবা; বন্ধু বান্ধবের দরকার নাই পড়তে গেসো পড়ালেখা করবা। ভয় হয়। মফস্বলের মেয়ে আমি। পারবো তো ইট কাঠের জঙ্গলে নিজেকে মানিয়ে নিতে। স্বপ্নগুলো অভিশাপ লাগে।
পড়ছি Women And Gender Studies এ। খুব চ্যালেঞ্জিং বিষয়। সমাজকে বদলে ফেলাটা এর motto. শিখছি আমার ভয়টাকে কি করে স্বপ্ন দেখানো যায়। জানছি ধুলো কণায় কী করে লুকিয়ে থাকে অমূল্য স্বর্ণ পাথর। অংক বইটা বাক্স বন্দি করে আমি কবিতা লিখি। আকাশ দেখি দুচোখ ভরে। আধো আলো আধো ছায়ার ঐ ঘুপচি গলিগুলো আমার ফোটোগ্রাফীর লোকেশন। ছেলেগুলো এখনো আছে। ওরা আমার সাইজ নিয়ে কথা বলতে বলতে বিরক্ত হয়ে এখন আমার ক্যামেরার মডেল নিয়ে কথা বলে।
প্রথম লিখছি ব্লগে। জানি অনেক অনেক অনেক ভুল। তাও লোভ সামলাতে পারলাম না। ভয়শূন্য চিত্তের দলে আমিও জায়গা করে নিতে চাই।
হিয়া তাহনী
মন্তব্য
সচলায়তনে আমিও নতুন। আপনাকে স্বাগতম।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
সু-স্বাগতম!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
ভালো লাগলো
লিখতে থাকুন
তবে বানান একটু খেয়াল করে...
আর লেখার আগে পরে নাম/নিকটা দিবেন দয়া করে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই তো চাই! লিখে যান মন খুলে। শুভকামনা
যা বলার নজুভাই বলে দিয়েছেন। লিখতে থাকুন। সচলায়তনে স্বাগতম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
কিউতে জমা দেয়া আপনার পোস্টটার কনটেন্ট এখানে বদলে দেয়া হলো।
লেখা ভালো লেগেছে। আপনার বিষয়টা নিয়ে পারলে লিখুন।
অসুবিধা নাই, আমিও এইখানে নতুন। আপনি বিনা টেনশনে কোবাইতে থাকুন ওরফে লিখতে থাকুন হাত-পাও-ঠ্যাঙ খুলে রেখে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বস্, আপনে নতুন হইলে আমি এখনও শুরু করি নাই
ধুগো নতুন হলে আমি তো এখনও ডিম ফুটেই বেরোইনি।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এই পোস্টের লেখকের অবস্থান তাইলে কোথায় হইতে পারে.........
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
চিন্তার কিছু নাই...আগামী সপ্তাহখানেক এর মধ্যেই পোস্টের লেখকের সর্বমোট পোস্ট সংখ্যা ধূগোদা কে ছাড়িয়ে যাবে আশা করছি......
স্বাগতম
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
লিখুন। স্বাগতম...
(সচলে লিখতে আমি ডরাই )
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো আরও ভালো লিখতে।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আরও ভালো লিখার চেষ্টা করবো।
সচলে স্বাগতম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
চমত্কার চমত্কার \m/
আমি এখন ও চিত্ত কে ভ্য় শুন্য করতে পারলাম না, বাংলা টাইপিং আর বানানের ভয়ে।
রেজিস্ত্রেশান করার পর কমেন্ট লিখতে ও পারছি না সেই নামে।
যাই হোক আপনাকে অভিন্নদন, লেখা ভাল লেগেছে,
সচলে স্বাগতম
স্বাগতম। কীবোর্ড চালায়ে যান।
আমার মনে হয় Gender Studies বিষয়টা সোশাল সায়েন্সের সব সাবজেক্টে পড়ানো উচিত। আপনাকে স্বাগতম।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ভয় নিয়েই নির্ভয়ে লিখুন। সচল পরিবারে স্বাগতম!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাহ! স্বাগতম! আরও লিখুন। লিখতে লিখতেই লেখক!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
স্বাগতম। লিখতে থাকুন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ...... অনেক বেশি inspired হলাম।
দিহান আপু- হুম একদম ঠিক বলেছেন। এখন তো অনেক SUBJECT এই জেন্ডার ইস্যু ADD করা হচ্ছে। এমনকি আমাদের MOTTO হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষাতেও ব্যাপারটা তুলে ধরা। প্রাথমিক শিক্ষা নীতিমালাতেও এটা আবশ্যিক করার কথা বলা আছে কিন্তু বলা বাহুল্য তা শুধু নীতিমালাতেই সীমাবদ্ধ। আমরা জনৈক মন্ত্রীর কাছেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি একটি সেমিনারে। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন যে ব্যাপারটা দেখবেন।
হিয়া ভালো লাগছে লেখা পড়ে...তবে প্যারাতে আরেকটা স্পেস দেবেন...
nawarid nur saba
ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন