ওষুধের কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৮/২০১১ - ১০:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় সাত-আট মাস আগের কথা, তখন আমি একটা থানা হেলথ কমপ্লেক্সে কাজ করি । একিদন সকালবেলা আউটডোরে বসে রোগী দেখছি, এমন সময় সামনে এসে দাঁড়ালেন আমাদের সিস্টার-ইন-চার্জ, অঞ্জু দিদি । হাতে একটা ওষুধের ভায়াল ।
—দাদা, দেখেন তো, এইটা কি ইনজেকশন অ্যামক্সিসিলিন?

একই ওষুধ বাজারে বিভিন্ন নামে পাওয়া যায় । তো সিস্টাররা মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়েন, কোন্‌টা কোন্ ওষুধ বুঝতে পারেন না; যদিও আসলে বোঝা উচিত, কারণ ওষুধের ভায়াল বা পাতার গায়ে ওষুধের মূল উপাদানটির নাম লেখা থাকে ।

ভায়ালটা হাতে নিয়ে আমি আঁতকে উঠলাম । ওটার গায়ে মূল উপাদান লেখা ছিলো ইনজেকশন ভিকুরোনিয়াম(Vecuronium) । স্টোর-কিপার বাবু ইনজেকশন অ্যামক্সিসিলিন ভেবে ওটা সিস্টারের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে ।

* * *

ষোল শতকের কথা । কিছু স্প্যানিশ অভিযাত্রী গিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন নদীতীরে । ঘুরতে ঘুরতে অভিযাত্রীদের একজন হঠাৎ মাটিতে ঢলে পড়লো, তার হাতে একটা তীর এসে বিঁধেছে । বিষমাখা তীর ।

অ্যামাজন নদীর অববাহিকার রেইন ফরেস্টে কিছু কিছু গাছ-পালা জন্মায় যেগুলো থেকে এমন প্রাণঘাতী বিষ তৈরি হয় । কনড্রোডেনড্রন টোমেন্টোসাম(Chondrodendron tomentosum), স্ট্রিকনোস গিয়ানেনসিস(Strychnos guianensis), স্ট্রিকনোস টক্সিফেরা(Strychnos toxifera) এরকমই কিছু গাছের নাম । এর মধ্যে কনড্রোডেনড্রন শক্ত লতা জাতীয় গাছ, অন্য গাছের গা বেয়ে বেড়ে ওঠে । আ্যামাজন অববাহিকার স্থানীয় ইন্ডিয়ানরা এসব গাছের শেকড়, বাকল বা কাণ্ডের রস থেকে এক ধরনের বিষ তৈরি করতো যার নাম দেওয়া হয়েছিলো কুরারে(Curare) । এই বিষ তীরের মাথায় মেখে ইন্ডিয়ানরা শিকার করতো । গায়ে তীর বিদ্ধ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিকার নড়াচড়া করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলত । একটা বানর তীরবিদ্ধ হওয়ার পর কয়টা গাছে লাফ দিয়ে যেতে পারবে এর উপর ভিত্তি করে বিষের ক্ষমতা মাপার একটা প্রথাও তাদের ছিলো । বিষটা যদি একটু দুর্বল হয় তাহলে হতে পারে তিন গাছ । এভাবে হত্যা করা শিকারের মাংস খেতে সমস্যা হতো না কারণ এই বিষ মানুষের খাদ্যনালী থেকে রক্তের মধ্যে যেতে পারে না ।

১৫৯৬ সালে স্যার ওয়াল্টার রালি(Sir Walter Raleigh) তাঁর লেখায় এরকম একটা বিষের উল্লেখ করেন । কিন্তু কুরারে আসলেই কী কী দিয়ে কীভাবে তৈরি হয় অনেকদিন পর্যন্ত পশ্চিমা জগতের কাছে ছিলো অজানা । ইন্ডিয়ানরা এই বিষ প্রস্তুত করতো গোপনীয়তার সঙ্গে । অনেকদিন পরে ১৮০০ সালে আলেক্সান্দার ভন হামবোল্ট(Alexander von Humboldt) এই বিষের প্রস্তুত-প্রণালী স্বচক্ষে দেখে ইউরোপে এর বিবরণ প্রদান করেন । ১৯৩৫ সালে কনড্রোডেনড্রন টোমেন্টোসাম গাছের মূল বিষাক্ত উপাদান টিউবোকুরারিন(Tubocurarine) পৃথক করা হয় । ১৯৪০ সালের দিকে জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ার কাজে টিউবোকুরারিন-এর ব্যবহার শুরু হয় । ওষুধ তৈরির ইতিহাসে এটা ছিলো একটা মাইলস্টোন ।

* * *

জেনারেল অ্যানেসথেসিয়ায় প্রথমেই রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করা হয় । সাধারণত যে ইনজেকশনটা দিয়ে অজ্ঞান করা হয় ওটা দিয়ে অজ্ঞান হতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড । রোগীকে নাম জিজ্ঞাসা করলে ওই নাম বলতে বলতেই রোগী অজ্ঞান—অর্জন করার মতো একটা অভিজ্ঞতা । অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর শরীরের সব মাংসপেশী প্যারালাইজড করার জন্য আরো দুইটা ইনজেকশন দেওয়া হয় যাদের একটা হলো ভিকুরোনিয়াম । শরীরের সব মাংসপেশী প্যারালাইজড মানে হলো হাত পা বুকের মাংস মুখের মাংস সব । জিভ নড়তে পারবে না, এমন কী চোখের পাতাও নড়তে পারবে না কারণ ওগুলো নড়তে হলেও মাংসপেশীকে কাজ করতে হবে । শ্বাস নিতে পারবে না কারণ শ্বাস নিতে গেলেও বুকের মাংস এবং বুকের নিচের দিকে মাংস দিয়ে তৈরি ডায়াফ্রাম নামে একটা পর্দা নড়তে হবে । ইনজেকশন ভিকুরোনিয়াম দেওয়ার পর মাংসপেশীগুলোর প্যারালাইসিস হতে সময় লাগে দেড় থেকে দুই মিনিট । রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস কৃত্রিমভাবে চালানোর জন্য শ্বাসনালীর ভেতরে একটা নল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজনীয় বাতাস ওই নল দিয়ে রোগীর ফুসফুসে ঢোকে এবং ফুসফুসের ভেতরের বাতাস বেরিয়ে আসে । রোগী প্যারালাইজড হওয়ার দেড় দুই মিনিটের মধ্যেই নল ঢুকানোর কাজটি সেরে ফেলতে হয় । রোগীকে প্যারালাইজড করা হয় অপারেশনের সুবিধার জন্য, যাতে কোনো নড়াচড়া না হয় বা মাংসপেশীগুলো যেন শক্ত হয়ে না থাকে(অজ্ঞান মানুষেরও হাত পা কিন্তু নড়তে পারে!) ।

কোনো সজ্ঞান মানুষকে যদি ইনজেকশন ভিকুরোনিয়াম দেওয়া হয়? দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে; নড়াচড়া করার ক্ষমতা, কথা বলার ক্ষমতা এমন কী চোখের পাতা নড়ানোর ক্ষমতাও থাকবে না; অথচ সে ভেতরে থাকবে সম্পূর্ণ সজ্ঞান! এই ওষুধের কার্যকাল বিশ মিনিটের মতো ।

এই ভিকুরোনিয়াম নামের ওষুধটা তৈরি হয়েছে টিউবোকুরারিন থেকে, যে টিউবোকুরারিন ছিলো কনড্রোডেনড্রন টোমেন্টোসাম নামক গাছটির মূল উপাদান ।

* * *

আট-নয় বছর আগের কথা, স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজের এক ছাত্র ভিকুরোনিয়াম দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো । করেছিলো অজ্ঞান না হয়েই ।

* * *

আমি একটা মৃত্যুর ঘটনা জানি, যেখানে রোগীর মৃত্যু হয়েছিলো—আমাদের সন্দেহমূলক ধারণা এই-ই ছিলো—ভুলক্রমে ভিকুরোনিয়াম দিয়ে ফেলার কারণে ।

* * *

কেন এসব ওষুধ থানা হেলথ কমপ্লেক্সগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছিলো, যেখানে এর ব্যবহার পর্যন্ত নেই? ওষুধটার দামও তো খুব একটা কম নয় । জিজ্ঞাসা করে জানলাম সদর হাসপাতালে এটা অতিরিক্ত জমে গেছে এজন্য থানা হেলথ কমপ্লেক্সে দেওয়া হয়েছে ।
—তো ফেরত দেন ।
—ওরা ফেরত নেবে না । কারণ ওদেরকে খরচ দেখাতে হবে...
—তাহলে ভাঙেন । এই বিপদ রাখার দরকার নাই ।

এই অদ্ভুত ব্যাপারগুলোর কী মানে ।

জলধি রায়
সিলেট ।

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03am
24/08/2007 - 2:03am
24/08/2007 - 2:03am

মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

অ্যাঁ

সজল এর ছবি

সাসপেন্সে ভরা একটা লেখা। দুর্দান্ত।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নজমুল আলবাব এর ছবি

ভয়ংকর

পাঠক এর ছবি

আমি একটি থানা হেলথকমপ্লেক্স এ কাজ করি। ওষুধ নিয়ে এরকম কিছু অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছে। রোগীদের দেবার মত প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যায় না। অথচ অপ্রয়োজনীয় অনেক ওষুধ স্টোরে জমে থাকে।
" এই অদ্ভুত ব্যাপারগুলির কি মানে " - জানি না।

দিহান এর ছবি

দুর্দান্ত। ইদানীং অনেক নতুন বিষয় নিয়ে লেখা আসছে দেখে খুব ভালো লাগে।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

সুরঞ্জনা এর ছবি

আসলেই ভয় পেয়ে গিয়েছি পড়ে, সত্যজিৎ রায়ের যত কান্ড কাঠমান্ডুতে'র কথা মনে পড়লো। মগনলালের ব্যাবসা ছিলো ভেজাল ওষুধ সাপ্লাই দেয়া...

আমি সবসময় আশা করি ডাক্তার রা তাদের কাজের নানা রকম অভিজ্ঞতা লিখবে, রহস্য গল্পের চেয়ে এগুলো কোন অংশে কম চমকপ্রদ হবে বোলে আমি মনে করি না, বিশেষ করে আমাদের দেশের মতো দেশে যেখানে অধিকাংশ রোগীই কম শিক্ষিত, সেখানে ডাক্তার রা কি গোয়েন্দাদের চেয়ে কম কিছু?

আপনি যে লিখলেন, তাতে আমি যে কী পরিমাণে খুশি হয়েছি, কি বলবো। আপনি আরো অনেক লিখবেন আশা করি। অনেক অনেক। ডাক্তারির অভিজ্ঞতা যদি বর্ণনা করতে ইচ্ছে না করে, তাহলে আপনি সেসব থেকে মাল মশলা নিয়ে রহস্য গল্প লিখতে পারেন! আর আপনার বর্ণনাভঙ্গীও সুন্দর। হাসি

সচলে স্বাগতম। হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

লেখাটা খুব ভাল লাগল। খুব দরকারি একটা বিষয়। আমি ৩টা অ্যাঙ্গেল পাইলাম:

১. নার্সরা সবসময় ওষুধের জেনেরিক নাম জানেন না।

২. সরকারি পর্যায়ে অসংখ্য 'অপ্রয়োজনীয়' ওষুধ কেনা হয়। অথবা সমস্যাটা হয়ত ক্রয়ের না, বণ্টনের। অ্যানেসথেসিয়ার ইনজেকশন নিশ্চই সরকারি হাসপাতালে দরকার হয়। দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, দুইটাই দেখতে পাই এই ক্ষেত্রে।

৩. ভুল ব্যবহারে বিপজ্জনক/প্রাণঘাতী, এইরকম ওষুধ আলাদাভাবে ট্যাগ করার কোনো উপায় নাই।

ফেইসবুকে শেয়ার করলাম। আপনি আরও লিখবেন আশা করি। ওষুধ বিষয়ে তো বটেই।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

হায়রে চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল।

আমার এক সদ্যসরকারি চাকুরে ডাক্তার বন্ধুর কাছ থেকে গল্প শুনতাম: ওষুধপত্র তেমন কিছুই নেই। গ্রামের লোকেরা এসে অকারণেই এটা-সেটা লিখিয়ে নিয়ে যায়। মানে, অন্তত প্যারাপাইরল বা কাশির সিরাপ বা ভিটামিনজাতীয় ওষুধ। কী হাস্যকর এবং হতাশাব্যঞ্জক!

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এইবার বুঝলাম অনেক সরকারী হাসপাতাল বা প্রাইভেট ক্লিনিকে জ্বরের রোগী নিয়ে যাবার পর লাশ নিয়ে ফিরে আসতে হয় কেন। আমার ঘনিষ্ঠজনের মধ্যে অন্ততঃ দুজনের মৃত্যু ঘটেছে ভুল ওষুধ প্রয়োগের কারণে। রোগীর আত্মীয়রা উপস্থিত ডাক্তার নার্সকে খুন করে ফেললেও অস্বাভাবিক না। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রে 'ভাগ্যের দোষ' বলে লাশ কাঁধে ফিরে আসে রোগীর স্বজনরা। নার্সিং যে ডাক্তারীর মতো একটা পেশাদার শিক্ষায় শিক্ষিত হবার মতো বস্তু, সেটা বেশীরভাগ ক্লিনিক হাসপাতাল মানে না।

আপনার লেখাটা অতীব প্রয়োজনীয়। আশা করছি এরকম অভিজ্ঞতার বর্ননা আরো আসবে সামনে। সচলে স্বাগতম আপনাকে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খাইসে আমারে! এই রকম বিষয়গুলো ফোকাসে আসা জরুরী। লেখা চালিয়ে যান! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

যুমার এর ছবি

সচেতনতামূলক এরকম লেখা আরো দরকার।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

খুব সমস্যার কথা!!! সচেতনতার অভাবে অভাবে দেশটা মৃত্যুপুরী হয়ে গেছে!!!!!!!!


_____________________
Give Her Freedom!

pathok(sam) এর ছবি

সুন্দর, প্রয়োজনিয়, সাবলীল লেখা - চলুক

শাব্দিক এর ছবি

লেখার স্টাইলটা ভাল লেগেছে।
ঘটনা টা সাংঘাতিক। মন খারাপ

রু (অতিথি) এর ছবি

যিনি ভুল লেবেল লাগালেন তার জন্য কি কোন শাস্তির বিধান নেই? আরো লিখুন। সচলে স্বাগতম।

guest_writer এর ছবি

সম্ভবত সচলায়তনে একটি নতুন ধারা যুক্ত হল। অনেক অজানা বিষয় জানার সুযোগ হল। এধরনের সচেতনতামূলক লেখা আরও বেশী বেশী আসুক। ধন্যবাদ।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

ভালো মানুষ এর ছবি

ভালো লাগলো

obak pathok এর ছবি

আজব! তো আমাদের কাজ এর ক্ষেত্র টা কোথায় আমি বুঝি না। সব কাজ ই করে দুর্নীতিগ্রস্তরা তাও করে তো! বিদেশ থেকে টাকা আসুক আর যেখান থেকেই, কাজে তো সব ওরাই আগ্রহী। আমার কাছে তো অলসতা আর বড় পাপ!

obak pathok এর ছবি

আজব! তো আমাদের কাজ এর ক্ষেত্র টা কোথায় আমি বুঝি না। সব কাজ ই করে দুর্নীতিগ্রস্তরা তাও করে তো! বিদেশ থেকে টাকা আসুক আর যেখান থেকেই, কাজে তো সব ওরাই আগ্রহী। আমার কাছে তো অলসতা আর বড় পাপ!

নিটোল(অতিথি) এর ছবি

এ আর নতুন কী? এই ত চলছে সারা দেশে। সব সম্ভবের এই দেশে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভয়াবহ অবস্থা দেখি
লিখুন নিয়মিত

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

চৌরঙ্গী এর ছবি

চমৎকার হয়েছে। আপনি নিয়মিত লিখুন এটাই চাই।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

ইস! কী ভয়ংকর!!! কিন্তু ঐ ওষুধ দিয়ে কেন প্যারালাইজড করা হয়?

তাসনীম এর ছবি

ভয়ংকর।

সচলে স্বাগতম। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে লিখতে থাকুন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাত্যকি. এর ছবি

অবশ্যই আরো লিখবেন। দারুণ হাত!
কনড্রোডেনড্রন টোমেন্টোসাম। টিউবোকুরারিন। ভিকুরোনিয়াম। মনে মনে জপে যাচ্ছি। এন্ড তৎক্ষণাৎ ভুলে যাচ্ছি।
অসুবিধা নাই। দরকারমতো যা মুখে আসে বলে দিব। এলাহি জাকের্নায়েক ভরসা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

খুবই প্রয়োজনীয় এই ধরনের লেখাগুলো। চালিয়ে যান দাদা। চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

দেখার কেউ নেই!! ভয়াবহ হয়ে গেছে এই দেশের সবকিছু!

রণদীপম বসু এর ছবি

বাহ্ বাহ্ ! চমৎকার !
প্রথমেই সচলে স্বাগত জানাই।
আপনার টপিকটা খুব ইন্টারেস্টিং এবং সচলের জন্য নতুনও বটে। এই বিষয়টা নিয়েই আপনার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করতে থাকুন। আপনার অজান্তেই অনেক ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে লেখাগুলো।
ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রুমঝুমা এর ছবি

ভয় পেলাম এবং সাবধান হলাম।

পল্লব এর ছবি

ভয় পেয়ে গেছি লেখাটা পড়ে। কী কী হয় এসব এখন দেশে! পদে পদে মরণফাঁদ!

আপনার লেখার স্টাইলটা দারুণ। প্রথমভাগে বুঝতেসিলাম খারাপ কিছু হবে। কিন্তু ব্যাপারটা এত ভয়ংকর হবে বুঝিনাই। সাস্পেন্স কঠিন বানাইসেন। আপনে রহস্যগল্প লেখা শুরু করেন। দারুণ হবে!

সচলে স্বাগতম!

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

লালকমল এর ছবি

চলুক

আয়নামতি এর ছবি

...................................সচলে স্বাগতম! আরো লেখুন চলুক

অপছন্দনীয় এর ছবি

ইয়ে, মানে...

তারাপ কোয়াস এর ছবি

চলুক


love the life you live. live the life you love.

নীরব পাঠক এর ছবি

রোগে ভুগে মরার চেয়ে ভুল "অ-সুধ" প্রয়োগে মরার চান্স বেশি ঠেকছে ইয়ে, মানে...

গেল বছর চোখে একটা অপারেশন হল আমার...তো চলছে অপারেশন...আমার পয়লা থেকেই কেমন যেন লাগছিল যেন বুঝতে পারছি সবটা...আমার সারা শরীর ঢাকা ছিল শুধু এক চোখ খোলা... কিছু বলা কওয়ার তো সুযোগ নেই একটা ঝাকি দিলাম কারন চোখে প্রচুর টান লাগল...তখন সার্জন বলল, " আপনি শেষমুহূর্তে নড়ছেন কেন? আপনাকে চোখের সাইড এন্স্‌থেসিয়া করা হয়েছে...আর নড়বেন না।" আমি সাথে সাথে নেচারাল অবশ হয়ে গেলাম...ঠিক এমন হয়েছে আমার ফুপুর সিজারের সময়..ও চিৎকার করে বলছে যে এনেস্থসিয়া হয়নি... কে শোনে কার কথা।

অপছন্দনীয় এর ছবি

শুনবে কেন? আমনে ওনাত্তে বেশি বুজেন?

নীরব পাঠক এর ছবি

আবার জিজ্ঞেস!!!

একটা মজার কথা মনে পড়ল। আমাদের আগের বছরটাতে নাকি মেডিকেল কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ব্যাপক প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল...কোচিং ক্লাসের ভাইয়া বলল, "শোনো তোমাদের আগের ব্যাচে তো এই কেস...তাই ভবিষ্যতে তোমাদের বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে যখন ডাক্তারের কাছে যাবে মনে করে ব্যাচ কোনটা জিজ্ঞেস করো।"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ লেখা। নিয়মিত লিখুন। চলুক

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কামরুল হাসান রাঙা এর ছবি

সরকারী স্বাস্থ্যসেবার অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু কেউই এর সমাধান চায় না। কারন, যাদের চাওয়ার কথা সেই নেতা-আমলারা তো সামান্য সর্দি-কাশি হলেই সিংগাপুর-ব্যাংকক ছুটেন। আমার দুই বছরেরও বেশী সময় গ্রামে সরকারি ডাক্তারের চাকুরি করার অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। মানুষের জন্য কিছু করতে চাইলেও কিছু করার সুযোগ নেই।

সচলায়তন এ একটা সিরিজ লিখব ভাবছি।

কী বলেন সবাই?
..............................
কামরুল হাসান রাঙা

সুমন তুরহান এর ছবি

ভয়াবহ তথ্য দিলেন! এ বিষয়ে আরো লিখুন।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

খাইছে। ভয়ংকর ব্যাপার।

সচলে স্বাগতম।

জলধি রায় এর ছবি

লেখাটা যারা পছন্দ করেছেন, সকলকে ধন্যবাদ । একজন প্রশ্ন করছিলেন, অপারেশনের সময় রোগীকে প্যারালাইজড করা হয় কেন । উত্তরটা কিন্তু সংক্ষেপে লেখাটির মধ্যেই আছে । আরেকটা কথা, guest_writer হিসাবে লগ ইন করার পর ব্লগ লিখতে পারছি কিন্তু কমেন্ট করার কোনো অপশন পাচ্ছি না । এখন কমেন্ট করছি guest_writer হিসাবে লগ আউট হওয়ার পর ।

সিস্টেমটোটা কী?

Riyad  এর ছবি

এই গাছটির নাম কি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।