সাধু গ্রেগরীর বকুলতলা

অরফিয়াস২ এর ছবি
লিখেছেন অরফিয়াস২ (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৮/২০১১ - ৮:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দিনটা ছিলো বুধবার| ব্রাদার হোবার্ট সকাল থেকেই চিন্তিত, একটু পর পরই ব্যালকনিতে যাচ্ছেন আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন| দেশের অবস্থা ভালো না, কখন কি ঘটে যায় কিছুই বলা যাচ্ছেনা| আবার এদিকে সকাল থেকেই মিলিটারির জীপ এদিক ওদিকে ঘুরছে, মাত্র ৬ দিন আগেই পাশের শাঁখারী বাজারে ওরা যে বিভৎস হত্যাকান্ড চালিয়েছে, তিনি সেটা জানেন| কিন্তু তার চিন্তা অন্যখানে, স্কুলের কম্পাউন্ডের ভেতরে বেশ কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে, তার উপরে তিনি নিজে স্কুলের তিনজন শিক্ষক আর তাদের পরিবারকে লুকিয়ে রেখেছেন উপরের ঘরে| কি যে হয় কিছুই বলা যাচ্ছেনা|

ব্রাদার রবার্ট এলেন, তাকে দেখেই ব্রাদার হোবার্ট বাইরের খবর জিজ্ঞেস করলেন| ব্রাদার রবার্ট মাথা নেড়ে বললেন, "নাহ তেমন কিছু জানা যায়নি| তবে মেইন গেট টা খোলা যাবেনা, যেভাবেই হোক স্কুলের ভেতরে কাওকে আসতে দাওয়া যাবেনা|" হোবার্ট চিন্তা মগ্ন হয়ে বললেন, "কেও কি শুনবে এই কথা?" ব্রাদার রবার্ট এর কপালেও চিন্তার ভাঁজ, তিনিও জানেন গেট বন্ধ করে কি আর এদের আটকে রাখা যাবে? তাও বললেন," কেন নয়, এটা মিশনারি প্রপার্টি, এটাতে নিশ্চয় ওরা আসার সাহস পাবেনা|" ব্রাদার রবার্ট মাথা নাড়লেন, ব্যালকনি থেকে ফিরে আসতে গিয়ে চমকে উঠলেন, দূর থেকে গুলির আওয়াজ ভেসে আসছে, ভারী আওয়াজ তুলে সামনের রাস্তা দিয়ে একটা বড় মিলিটারি ট্রাক চলে গেলো, ট্রাকের উপরে মেশিনগান এর নলটাতে সূর্যের আলোটাও যেনো ভয় পেয়ে চমকে উঠছে|

মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে ব্রাদার রবার্ট কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না| এতগুলো পরিবার, সহায় সম্বল ছেড়ে শুধু প্রাণ বাঁচাতে এখানে চলে এসেছে| স্কুলের দার্জিলিং বিল্ডিংটার নিচে ভিত সন্ত্রস্ত পরিবারের মানুষগুলো দিশে হারা| গুলির শব্দ এরাও শুনেছে, তাদের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়লেন তিনি| অভয় দিতে চেষ্টা করলেন, নিজেও জানেন যেই দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে এরা যাচ্ছে তা স্বয়ং ঈশ্বর ছাড়া আর কেও দূর করতে পারবেনা| বুকের সামনে ঝোলানো বড় ক্রসটা মুঠোতে আঁকড়ে ধরলেন তিনি|

ব্রাদার হোবার্ট কথা বলছিলেন সূত্রধর স্যার আর পল স্যারের সাথে, যে করেই হোক সুযোগ পেলেই সবাইকে অন্য কথাও সরিয়ে ফেলতে হবে| এখানে আর মোটেও ভালো ঠেকছেনা, সকাল থেকেই কয়েকবার মিলিটারি জীপ ঘুরে গেছে| বলা যায়না ওদের কাছে খবর থাকতেও পারে| সূত্রধর স্যার বললেন, "মনে হয়না ওরা এতটা সাহস করবে, মিশনারি স্কুল এটা, এটাতে হামলা চালানো মানে তো অনেক বড় একটা ঘটনা|" পল স্যার শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন বল খেলার বড় মাঠটার দিকে, কি শুনশান জায়গাটা| অথচ দুপুরের এই সময়টাতে ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে থাকতো, সাধু গ্রেগরীর ডানপিটে ছেলেগুলো দৌড়াতেও পারে, বড় হলের অজস্ত্র চ্যাম্পিয়নস কাপ আর শীল্ড গুলোর দিকে তার চোখ আটকে যায়| নিজের অজান্তেই কেন জানি তার সবকিছু খাপ ছাড়া, ফাঁকা-ফাঁকা লাগে| পালমা স্যার শান্ত শিষ্ট মানুষ, পিছনে হাত রেখে একটু ঝুঁকে হাটেন| তিনিও উপর থেকে নিচে নেমে এলেন, কারো মুখে কথা নেই, শূন্য দৃষ্টির বিভিন্ন বয়সের মানুষ গুলো যারা অজস্ত্র ছেলেকে জীবনের পথ নির্দেশনা দিয়েছেন, তারাই আজ পথ খুঁজতে হিম-শিম খাচ্ছেন|

ব্রাদার রবার্ট বাস্কেটবল কোর্টটা হয়ে হল রুমের দিকে ফিরছিলেন, যান্ত্রিক শব্দে থমকে দাড়ালেন| মনে হলো গাড়িটা স্কুলের গেটটার সামনে দাড়ালো, ক্রসটা মনের অজান্তেই হাতের মুঠোয় চলে এলো তার| বিড় বিড় করছেন,"গড, স্যেভ আস"| যেমন থেমেছিলো তেমনি গাড়িটা আবার চলতে লাগলো, রবার্ট হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, কপালের ঘামটা মুছে এগিয়ে চলা শুরু করেছেন হল রুমের দিকে| বকুল তলাটা পাড় হয়েছেন, তখনি আবার ভারী যান্ত্রিক শব্দটা ঠিক গেটের সামনে থামলো| মাথা তুলে গেট এর দিকে তাকালেন, জলপাই রঙের ট্রাক আর তার উপরে কুচ কুচে কালো রঙের নলটা চিনতে তার দেরি হলোনা| মন্ত্র মুগ্ধের মতো তিনি গেটের দিকে এগিয়ে চললেন, ইউনিফর্ম পরা একজন চেঁচিয়ে উঠলো, "দরওয়াজা খোলো, হুকুম হেয়, আন্দর আনে দো"| ফেস ফেসে আওয়াজে রবার্ট কোনমতে বললেন, "দিস ইজ আ মিশনারী প্রপার্টি, উই হেভ নো রিলেশন উইদ এনি পলিটিকাল ইন্সিদেন্তস, হয়ার ইজ ইউর সিনিয়র?" এবার গেটের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলেন পেছনের জীপ থেকে নেমে এলো একজন, গেটের সামনে এসে বললো, "ব্রাদার, ডোন্ট ওরি, জাস্ট আ রুটিন চ্যেক, উই উইল নট ডু এনিথিং রং"| কোনো উপায় নেই, বুঝতে পারলেন| এদিকে জিপের শব্দে বাকি সবাইকে উপরে যেতে বলে বাইরে এসে দাড়িয়েছেন ব্রাদার হোবার্টও, আস্তে আস্তে তিনিও গেটের দিকে এগিয়ে গেলেন, ততক্ষণে ভিতরে ঢুকে জনা দশেক মিলিটারি স্কুলের জলের কলটার সামনে পজিশন নিয়েছে, দেখলেন ব্রাদার রবার্ট এর সামনে দাড়িয়ে হাসতে হাসতে কথা বলছে অফিসার| অবাক হলেন, এত দশাসই চেহারার ব্রাদার রবার্টকে কেন জানি আর্মি অফিসারটার সামনে অনেক জরসর লাগছে| তাকে এগিয়ে যেতে দেখে অফিসারটা নিজেই এগিয়ে এলো, হাসি মুখে বললো, "ব্রাদার, দিজ প্লেস ইজ নাইস, বাট উই গট ইনফরমেশন, সাম পিপল আর হাইডিং ইনসাইড ইউর স্কুল", হোবার্ট কিছু বলার আগেই অফিসার হুকুম দিলো," সার্চ ইনসাইড"|

মিনিট দশেক পরে বকুল তলায় দাড়িয়ে আছে জনা বিশেক মানুষ, সবার সামনে দাড়িয়ে আছেন সৌম্য ভদ্র চেহারার তিনজন গম্ভীর মানুষ, সাথেই ভিত চেহারার দুজন তরুণ, অফিসার ব্রাদারের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে গিয়েও বললোনা, জোরে হুকুম দিলো, "টেইক দেম অল"| ব্রাদার হোবার্ট হাতজোড় করে অনুরোধ করলেন, এরা নিরীহ মানুষ, এদেরকে গ্রেফতার করার কোনো কারণ নেই| ব্রাদার কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে এগিয়ে গেলো অফিসার| রবার্ট একবার হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন, "ইউ কান্ট ডু দিস, হয়ার উইল ইউ টেইক দেম"| কর্কশ গলায় মাথা না ঘুরিয়েই অফিসার জবাব দিলো," দিস ইজ নান অফ ইউর বিজনেস"| ততক্ষণে পিঠমোড়া বেঁধে ট্রাকে তোলা হচ্ছে সবাইকে, সূত্রধর স্যার যাওয়ার আগে ব্রাদারকে তার হাতের ঘড়িটা খুলে দিলেন কি মনে করে যেনো, পিঠে ধাক্কা মেরে তোলা হলো তাদেরও, খুব শান্ত চোখে ব্রাদার হোবার্ট এর দিকে তাকালেন পালমা স্যার| গাড়ি চলতে শুরু করেছে, ব্রাদার দুজনেই দৌড়ে গাড়ির পেছন পেছন অনেকটা গেলেন| তারপর একরাশ কালো ধুয়া আর সব কিছুই আগের মতো শুনশান|

দিনটা ছিলো বুধবার, ৩১ শে মার্চ, ১৯৭১| খ্যাতনামা সেইন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল থেকে ওই দিন দুপুরে অনেকের সাথে, স্যার এন.সি.সূত্রধর, স্যার পল পালমা, স্যার ডি.এন.পাল চৌধুরী এবং তার দুই ছেলে শৈবাল ও উত্পল কে তুলে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী তত্কালীন জগন্নাথ কলেজ ক্যাম্পে| ব্রাদার হোবার্ট ও ব্রাদার রবার্ট এর অনেক চেষ্টা সত্তেও ঐদিন রাতেই সবার সাথে এই তিন শিক্ষক ও ছেলে দুজনকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্থানি মিলিটারি| স্বাধীনতার পরে এই স্কুলের ছাত্র তাজউদ্দিন আহমেদ হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী| এখন বদলে গেছে অনেক কিছুই, দার্জিলিং বিল্ডিংটা এখন আর ব্যাবহার করা হয়না, নতুন বিল্ডিং হয়েছে, খেলার মাঠটাও বদলেছে, তবে মাঠে এখনো ধুলো উড়ে, সাধু গ্রেগরীর ছেলেরা এখনো ডানপিটে, আছে সেই অতি প্রাচীন হলরুম আর সেই জলের কল| নুনে ধরা দেয়ালে পুরনো পুরনো গন্ধ| আর আছে সেই বকুল গাছ, তার নিচে কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা রক্তলাল শহীদ মিনার|

ছবি: 
02/06/2007 - 3:11pm

মন্তব্য

আয়নামতি এর ছবি

কত কত মানুষের কাছে আমাদের ঋণ রয়ে গেছে! মুক্তিযুদ্ধে জীবন দেয়া সেইসব লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা।
আপনি কী কোনোভাবে এঁদের কারো স্বজন হন? অনিন্দ্য ভাইয়ার পোষ্টে আপনার করা মন্তব্যে জেনেছি আপনি কলকাতার বাসিন্দা। তাই কৌতুহল হলো..এতে যদি বিব্রত করে ফেলি ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের সেই সময়কে এভাবে তুলে আনার জন্য। শুভকামনা।

আয়নামতি এর ছবি

খুব দুঃখিত! কলকাতা লেখেছি, আপনি এলাহাবাদের বাসিন্দা। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।

অরফিয়াস এর ছবি

লেখাটা সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ| এন.সি.সূত্রধর স্যার এর ছেলে স্কুলে আমার সরাসরি শিক্ষক ছিলেন, পারিবারিক ভাবে খুব কাছের একজন মানুষ এবং আমার প্রিয় শিক্ষক, স্যার এর কাছ থেকে ঘটনা শুনেছিলাম, আর এছাড়া স্কুলের ইতিহাস তো আছেই, না বিব্রত বোধ করছিনা, প্রশ্নের জন্য আরেকটা ধন্যবাদ, স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে লেখাটা দায়িত্ব মনে হলো, সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আয়নামতি এর ছবি

সেন্ট গ্রেগরী স্কুলের এই অজানা ইতিহাসটা লেখার পেছনে ঠিক কোন ধরনের আবেগটা কাজ করেছে সেটাই জানতে চেয়েছিলাম। আপনি মন্তব্যে উল্লেখ করেছেন। সে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা। হাসি

পাগল মন এর ছবি

বেশ ভালো লাগল পড়ে। এত কাছে দশটা বছর পড়েও এটা জানতে পারিনি। মন খারাপ

আরো কতদিন যে লাগবে মুক্তিযুদ্ধের সব ইতিহাস এক জায়গায় জড়ো করতে যেন নতুন প্রজন্ম আমাদের সঠিক আর পরিপূর্ণ ইতিহাসটা জানতে পারে কে জানে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অরফিয়াস এর ছবি

আমাদের চারপাশে অসংখ্য পরিবার আছেন মুক্তিযুদ্ধে যারা স্বজন হারিয়েছেন, আমাদের দায়িত্ব তাদের অতীত, কষ্ট, ত্যাগ সবার সামনে তুলে আনা, ধন্যবাদ আপনাকে...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কাজি মামুন এর ছবি

আমি স্তব্ধ। অবেক্ষণ শুধু নির্বাক চেয়ে ছিলাম মনিটরের দিকে। মুক্তিযুদ্ধের টুকটাক অনেক নৃশংসতা জানা থাকলেও আমাদের চোখের সামনের পরিচিত স্কুলটিতে যে এমন নারকীয় ঘটনা ঘটেছে, তা জানা ছিল না। লেখকের বর্ণনাভঙ্গি অসাধারণ। শোকের আবহ পুরো লেখাটি জুড়েই। শেষের লাইনগুলি মর্মস্পর্শী। ''খেলার মাঠটাও বদলেছে, তবে মাঠে এখনও ধুলো উড়ে''-এমন বর্ণনা মনের ভিতর কেমন এক হাহাকার তৈরি করে! জন্ম দেয় সীমাহীন আক্ষেপ আর ক্ষোভের!

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ, আপনার কোন স্কুল ছিলো জানালে খুশি হবো, জাতি হিসেবে আমাদের আক্ষেপ হওয়া উচিত, স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও আমরা একটি সঠিক ও নিরপেক্ষ ইতিহাস লিখতে পারিনি, আর তারই সাথে উপেক্ষা করেছি অসংখ্য নাম না জানা শহীদের আত্মত্যাগ কে....

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কাজি মামুন এর ছবি

অরফিয়াস,
আমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র ছিলাম। তবে সেইন্ট গ্রেগরি স্কুলে ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। ৪ জন ছাত্র নেয়ার কথা, আর আমি হয়েছিলাম ৫ম। তাই অমর্ত্য সেনের স্কুলের ছাত্র হওয়ার সুযোগ অল্পের জন্য ফসকে যায়। যাইহোক আবারো বলছি, আপনার নাটকীয় আর বিষাদ-মাখা ভাষা তৈরির অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে।

অরফিয়াস এর ছবি

আবারও ধন্যবাদ, আরও ভালো লেখার চেষ্টা করে যাবো, জানানোর চেষ্টা করবো অজানা ইতিহাস.. হাসি সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ..

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাত্যকি. এর ছবি

চোখের সামনে যেন ইতিহাস মূর্ত হয়ে উঠল।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লাগলো লেখা। সেইণ্ট গ্রেগরি'জ স্কুলের এই ইতিহাস জানা ছিলো না।

অপছন্দনীয় এর ছবি

মন খারাপ

তানিম এহসান এর ছবি

এই বিদ্যালয় আমাকে অসাধারণ কিছু বন্ধু উপহার দিয়েছে, আসাধারণ দিয়েছে এখানে বসে এখানকার ছাত্র না হয়েও কাটানো মুহূর্ত! গ্রেগরিয়ানসের হয়ে বাসকেটবল মাঠে দিয়েছে অবিনাশী কিছু চিৎকার আর শ্লোগান। পিকলু ভাই, খালেদ ভাই, এমি ভাই, সুবির, মোর্শেদ, লিপু, জামি, হাসিব, টাম্পি, রিংকু, জেম - আরো অনেক্কেই মনে পড়ে গেলো! গ্রেগরিয়ান্সদের জয় হোক তার সবটুকু ইতিহাস নিয়ে!

অরফিয়াস এর ছবি

গ্রেগরিয়ানরা শুধু ইতিহাস বহনই করেনা, ইতিহাস তৈরিও করে.. তাজউদ্দিন আহমেদ, কামাল হোসেন, শাহরিয়ার কবির, অমর্ত্য সেন এমন অজস্ত্র গ্রেগরিয়ান তৈরী করেছেন ইতিহাস, ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় থাকবে বলে আশা রাখি...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সেন্ট গ্রেগরি স্কুলে অনেক আগে গেছিলাম একটা কাজে। স্কুলটার ভিতর অদ্ভুত প্রশান্তি আছে। আপনার লিখাটা ভাল লাগল।

অট: গণহত্যার অপরাধী পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নাম দীর্ঘদিন অঘোষিত ট্যাবু ছিল। তাই টেক্সটবুকে হানাদার শব্দের আধিপত্য। আমরা ব্যবহারও করি। আমি কিন্তু কোনো লেখায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীই বলার পক্ষে।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অরফিয়াস এর ছবি

আসলে পাকিস্থানি বাহিনী লিখাটা আমিও সমর্থন করি, কিন্তু ওই যে পুরনো অভ্যেস, ধন্যবাদ ধরিয়ে দেওয়ার জন্য, স্কুলের ভালোলাগা স্মৃতি গুলো আজও মনে পড়ে, ৭ বছর হলো তারপরও ঠিক কালকের কথা মনে হয়...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটার মূল্যায়ন করার জন্য, স্কুলের সাথে জীবনের মূল্যবান ১১ টি বছর জড়িয়ে আছে, যেদিন প্রথম শিশু শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলাম সেদিন থেকেই জানি, এই গর্বিত ইতিহাসের অংশীদার আমিও, তাই ইতিহাসটা তুলে ধরা দায়িত্ব মনে করেছি..

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাইফ জুয়েল এর ছবি

বিষাদময় এ কাহিনী জানা ছিল না। সব শহিদদের আবারো শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্বরন করছি।

খেকশিয়াল এর ছবি

ভাল লিখেছেন অরফিয়াস। এই ঘটনাগুলো অনেকেই জানে না। আমি বাবার কাছে শুনেছিলাম। আর শুনতাম প্রতি বছর স্কুলের ৩১ মার্চের শহীদ দিবসের প্যারেডে। আপনি কোন ব্যাচ? আমি ৯৭ এর।

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ, আমি ২০০৪ এর ব্যাচ, এখানে এসে একজন গ্রেগরিয়ানকে পেয়ে ভালো লাগলো... হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

লালকমল এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অরফিয়াস এর ছবি

হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু

...দারুণ লেখা। সেন্ট গ্রেগরীর এই ইতিহাস জানতাম না কোনকালেই।

বর্তমানে যে বইটা পড়ছি, তার নাম বাংলাদেশ জেনোসাইড এন্ড ওয়ার্ল্ড প্রেস। এইরকম নৃশংস কিছু লেখার বর্ণনা আছে সেখানে, গা শিউরে ওঠে পড়লে।

হাচলত্বে অভিনন্দন হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

হাসি

হমম বইটার নাম শুনেছি. কিন্তু পড়ার এখনো সৌভাগ্য হয়নি, ভবিষ্যতের জন্য তলা রইলো ...

সচল তো তোদের দেখেই আসা, চালিয়ে যাবো .. চোখ টিপি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

জরি এর ছবি

আপনি কি ভাগ্যবান, এমন একটা স্কুলের ছাত্র ছিলেন ! আমি এই নিয়ে ৩ বার পড়লাম ! শ্রদ্ধা

অরফিয়াস এর ছবি

একই সাথে গৌরব ও আত্মত্যাগের ইতিহাসের অংশীদার হয়ে যেমন গর্ব বোধ করি, তেমনি এটা অনেক বড় দায়িত্বও বটে ... লেখাটা ভালো লেগেছে শুনে ভালো বোধ করছি ... হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সুমন তুরহান এর ছবি

শাহরিয়ার কবিরের 'সাধু গ্রেগরির দিনগুলি' পড়েছিলাম সেই ছোটবেলায়। তারপর থেকেই এই স্কুলটার নাম শুনলে নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে। আপনাদের স্কুল দেখার সুযোগ হয়নি কখনো, কিন্তু কী গর্বিত ইতিহাসের উত্তরাধিকার আপনি অর্ফিয়াস!

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

অরফিয়াস এর ছবি

শাহারিয়ার কবির, আমাদের স্কুলের বড় ভাই, তার উপরে আমার অন্যতম পছন্দের লেখক, "সাধু গ্রেগরীর দিনগুলি" তো আমাদের স্মৃতির রেপ্লিকার মতো বলতে পারেন, স্কুলে আসার আমন্ত্রণ রইলো, দেশে থাকলে আপনার গাইড হতে পারতাম, ইতিহাসের অংশীদার হিসেবে গর্বিত.. হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই ইতিহাস জানা ছিলনা। আমাদের ইতিহাসের পরতে পরতে কতো বেদনা লুকোনো। মন খারাপ

সচলত্বের অভিনন্দন আপনাকে! চলুক

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অরফিয়াস এর ছবি

বেদনার ইতিহাসকেই শক্তিতে পরিণত করতে হবে, ধ্বংসস্তুপ এর ছাই থেকেই তৈরী হয় নতুন সভ্যতা...

ধন্যবাদ আপনাকেও..

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

মন খারাপ হয়ে গেল ।
শহীদের আত্মাগুলো যেন আমাদের ক্ষমা করে, আমদের অক্ষমতা শ্রদ্ধা

আরিফিন সন্ধি

দ্রোহী এর ছবি

নপুংসক জাতি আমরা। চল্লিশ বছর হয়ে গেল, স্বজন হত্যার বিচারটুকু পর্যন্ত করতে পারলাম না।

অরফিয়াস এর ছবি

নপুংসক জাতি নই, মেরুদন্ডহীন... বিচার হবে, সত্তি সামনে আসবেই, আসতে হবেই..এত রক্তের দাগ এত সহজে মিটবেনা..

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ.. আত্মত্যাগের কথা মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ুক জলন্ত স্লোগানের মতো...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

যুমার এর ছবি

কিছু আজন্ম ঋণ আমাদের গৌরবান্বিত করে,দেখায় পথ-দেয় সামনে চলার পাথেয়।এ দেশের ধুলো-মাটি, নাম জানা- অজানা মানুষের কাছে আমাদের কত ঋণ তার কতটুকুই বা আমরা জানি?
শহীদদের আত্মা আমাদের ধিক্কার দিচ্ছে-আর কবে?
আমাদের এখন লজ্জিত হবার সময় এসেছে,আমরা কোন ঋণই মিটাই নি।

চরম উদাস এর ছবি

খুব ভালো অরফিয়াস। লিখতে থাকুন অনবরত। এগুলো আমাদের জানা দরকার, বার বার করে মনে করা দরকার।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ, চেষ্টা করবো সত্তি অজানা ঘটনাগুলো সবার সামনে তুলে আনার জন্য...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

................

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দেখা গেলো "অরফিয়াস" এই ইউজার নামের সামান্য তারতম্যে দুজন আছেন। একজন "অরফিয়াস", আরেকজন অন্তস্থ্য য এবং নুক্তা যোগে "অরফিয়াস"। পার্থক্য বুঝতে দ্বিতীয় নামটি নোটপ্যাডে কপি করে ব্যাকস্পেস ব্যবহার করে একটি করে অক্ষর মুছতে থাকুন।

নুক্তা বিহীন অরফিয়াসকে হাচল করা হলেও, লগইন করার পর কোনোভাবে নুক্তা যুক্ত অরফিয়াসের একাউন্টে ঢুকে পড়েছেন। সম্ভবত পিএইচপির স্ট্রিং কম্প্যারিজন ফাংশন দুটো শব্দকে একই ধরেছে এবং ভুল করে নুক্তা যুক্ত অরফিয়াসের একাউন্টে এসাইন করেছে।

নুক্তাযুক্ত অরফিয়াস, অর্থাৎ যাকে হাচল করা হয়নি তার একাউন্ট নাম বদলে অরফিয়াস২ করা হয়েছে। তাই এই লেখার লেখকে এখন অরফিয়াস২ হিসেবে দেখাচ্ছে। আসল অরফিয়াস, অর্থাৎ যাকে হাচল করা হয়েছে, তিনি এরপর থেকে লগইন করলে ঠিকঠাক নিজের একাউন্টে যাবেন বলে আশা করছি।

এই লেখাটাকে হাচল অরফিয়াসের একাউন্টে এনে দেয়া হবে। কিন্তু তার আগে নিশ্চিত হওয়া দরকার এই অবজারভেশন এবং পরিবর্তনগুলি হাচল অরফিয়াস ঠিক বলেন কিনা।

চরম উদাস এর ছবি

অ্যাঁ ... কিসব বললেন কিছুই তো বুঝলাম না। কার যে নুক্তা আছে, কার নাই, আবার কার যে হাচলত্ত আছে আবার কার যে নাই সবই তো গোল পাকায়ে গেলো। এক কাজ করেন। আমাকে যেরকম উদাস থেকে চরম উদাস করে দিয়েছেন, এদের একজনকে এরকম চরম অরফিয়াস বানায়ে দেন ... দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আপনার 'সিরাম উদাস' মনে হচ্ছে। খাইছে

নুক্তা বিহীন অরফিয়াস - হাচল এবং সচলে লেখা দিয়েছেন।

নুক্তা যুক্ত অরফিয়াস - হাচল নন। পরে জানা গ্যালো দুজনেই একই ব্যক্তি। এনাকে অরফিয়াস২ করা হয়েছে। তবে 'চরম অরফিয়াস' এর বুদ্ধিটা খারাপ না।

ফাহিম হাসান এর ছবি

চরম উদাস ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে - গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অরফিয়াস এর ছবি

মনে হয় এটা আমারই সমস্যা.. সচলে নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রথম দিকে, এর নিয়ম গুলো বুঝতে সমস্যা হচ্ছিলো তাই ভুলে ২ টা মেইল এড্রেস থেকে একই নিক ব্যাবহার করে নাম দিয়েছিলাম, পরে

এই ঠিকানায় লেখা দিলেও

এই ঠিকানাটি আর ব্যাবহার করিনি, তবে নিক "অর্ফিয়াস" এটা আমারই, আমি সাধারণত "অর্ফিয়াস" এই ভাবে লিখি, অরফিয়াস এই বানানটাও চলবে, আপনার সমস্যার জন্য দুক্ষিত, আসলে শুরুতে সচল কে বুঝতে অনেকটাই সময় লেগেছে, ঘটে খুব বেশি বুদ্ধি আমার নেই তাই হে হে হে, তাই অরফিয়াস/অর্ফিয়াস এই নামে লেখাগুলো আমারই, আমি লিঙ্কগুলোও পোস্ট করে দিয়েছিলাম, তবে এখনো আমার প্রোফাইলে লেখাগুলো আপডেট হয়নি, ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টির জন্য আবারও দুক্ষিত....

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুঃখিত হবার কিছু নেই। জাস্ট কি ঘটেছে সেটা জানবার চেষ্টা করছিলাম।

http://www.sachalayatan.com/user/arfias এই একাউন্ট রেখে http://www.sachalayatan.com/user/mindmaker একাউন্টটা মুছে দিলাম তাহলে।

অরফিয়াস এর ছবি

ঠিক আছে , হাসি নাহলে দৈতসত্তা তৈরী হয়ে যাচ্ছিলো.. চোখ টিপি তবে ব্লগ গুলোর লিঙ্ক কি আবার দিতে হবে? নাকি ধীরে ধীরে আপডেট হচ্ছে? এখনো কোনো লেখাই নেই দেখলাম, এর আগের দিনের টা বা আজকের টাও নেই দেখলাম এন্ট্রিতে...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হাচল হবার পর একটা ইমেইল পাবার কথা। সেখানে ইনস্ট্রাকশন আছে। নইলে স্প্যাম বক্স চেক করুন।

অর্ফিয়াস এর ছবি

হা সেটা পেয়েছি, তারপরেই প্রোফাইল একটিভ করেছি, দেখেছি ব্লগ গুলো একসাথে করাটা সময়সাধ্য, তাই লিঙ্কগুলো দিয়ে দিলাম সেদিনের পোস্টে, লেখাগুলো আপডেট হবার অপেক্ষায় রইলাম... হাসি আবারও ধন্যবাদ..

তাসনীম এর ছবি

এই ইতিহাসটা জানতাম না। অনেক ধন্যবাদ।

কত যে বিষাদমাখা ইতিহাস আছে ১৯৭১ এ নিয়ে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অরফিয়াস এর ছবি

১৯৭১ এর অনেক কিছুই জানিনা আমরা, জাতি হিসেবে ব্যার্থতা, তবু চেষ্টা চলবে..

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রু (অতিথি) এর ছবি

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ভালো লিখেছেন। হাচলত্বের অভিনন্দন।

অরফিয়াস এর ছবি

ধন্যবাদ.... হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ডানপিটে এর ছবি

আমি ভাগ্যবান দীর্ঘ ১১ট বছর সেন্ট গ্রেগরীর কোলে লালিত হয়েছি। আর ব্রাদার রবার্ট ও কাচা পাকা ফ্রেন্চ কাট দাড়িওয়ালা ব্রাদার হোবার্ট এর সান্নিধ্য পেয়েছি। ১৯৮৫ সালে শিশূশ্রণীতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার পর আমি ভীড়ের মধ্যে আব্বুকে দেখতে না পেয়ে কাঁদতে থাকি তখন ব্রাদার রবার্ট আমাকে কাঁধে তুলে নিয়ে অভিভাবকদের ভীড়ের মধ্যে জিজ্ঞেস করতে থাকে " এই Young Man এর বাবা কে" তখন আব্বু এসে আমাকে কোলে নেয় আর ব্রাদার রবার্ট তখন তার পকেট থেকে মিমি চকলেট বের আমাকে দেয়। এমনি আরও অনেক স্মৃতি রয়েছে তাদের নিয়ে। আজ তারা আমাদের মাঝে নেই তবুও তাদের দেওয়া ভালবাসা আজও আমার পাথেয় হয়ে আছে। সৃষ্টিকর্তা তাদের এবং আমাদের শহীদ তিন স্যার ও দুই ভাই এর আত্মার শান্তি প্রদান করুন .......

অরফিয়াস এর ছবি

আমি ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৯২ তে, আমরাই শেষ শিশুশ্রেণী পেয়েছিলাম, ব্রাদার মার্সেল ছিলেন তখন, অসাধারণ মানুষ, অনেক আদর করতেন, স্কুলে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গুলোতে থাকতাম তাই দেখলেই ডাক দিতেন, আর আপনাদের সময় ব্রাদার হোবার্ট আর রবার্ট ছিলেন, তাহলে আপনি ভালই বলতে পারবেন আমার দৃষ্টি ভঙ্গিতে তাদের অংশ গুলো ঠিক আছে কিনা? .. ধন্যবাদ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অরফিয়াস এর ছবি

আমি ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৯২ তে, আমরাই শেষ শিশুশ্রেণী পেয়েছিলাম, ব্রাদার মার্সেল ছিলেন তখন, অসাধারণ মানুষ, অনেক আদর করতেন, স্কুলে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গুলোতে থাকতাম তাই দেখলেই ডাক দিতেন, আর আপনাদের সময় ব্রাদার হোবার্ট আর রবার্ট ছিলেন, তাহলে আপনি ভালই বলতে পারবেন আমার দৃষ্টি ভঙ্গিতে তাদের অংশ গুলো ঠিক আছে কিনা? .. ধন্যবাদ

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ফাহিম হাসান এর ছবি

দারুণ লেখা গুরু গুরু

নিবিড় এর ছবি

আমাদের এখনো কত না বলা ইতিহাস রয়ে গেল। ধন্যবাদ লেখাটার জন্য

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

জানতাম না...

দারুণ লেখা।

Md Mofazzal Hossain এর ছবি

ইতিহাসটা জানা ছিল। তারপরেও অনেক ভাল লাগলো আবার নতুন করে পড়আর পর। ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ধন্য এই স্কুলের ছাত্র হতে পেরে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

লেখাটা পড়েছি আগে, তারাও দিয়েছি আগেই। কিন্তু মন্তব্য করতে পারছিলাম না! মন খারাপ এতোটাই অপদার্থ জাতি আমরা, শহীদদের সঠিক মূল্যায়ন করাতো দূরে থাক, চিহ্নিত অপরাধীগুলারও বিচার করে উঠতে পারলাম না স্বাধীনতার পরের এই এতোগুলো বছরে! মন খারাপ

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অর্ফিয়াস এর ছবি

বিচারের আগে জাতি হিসেবে আমাদের মূল্যবোধটা একটু ঠিক করা দরকার, মেরুদন্ডটা নাহলে একটু নড়বড়ে থেকে যায়... কিন্তু ওই যে "একদিন ভোর হবেই" ..

মাহে আলম খান এর ছবি

লক্ষ্মীবাজার এর বাসিন্দা হয়েও, এই স্কুলে পড়তে না পারার কারণে, দুঃখীর তালিকায় আমিও আছি। স্যারদের ইতিহাস জেনেছি, লাল শহীদ মিনার অতিক্রম করে, প্রতিদিন বিকেলে স্কুলের মাঠে অযাচিত ভীড় বাড়ানো নন-গ্রেগরিয়ান হিসেবে। আপনাদের স্কুলের তুষার স্যারের নিকট হাতে-খড়ি হয়েছিলো আমার, তিনিও বলেছিলেন খানিকটা। তবে আপনার লেখায় সম্পূর্ণটা পেলাম।

লেখার ছবিটি রনদীপম দাদা'র তোলা।

অরফিয়াস এর ছবি

ছবিটা অনেক খুঁজে তারপর পেলাম, ভালো রেজুলেশনের পাচ্ছিলামনা, রণদীপম দা কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, সেইসাথে আপনাকেও.. হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শ্রদ্ধা

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তিথীডোর এর ছবি

হাচলত্বের অভিনন্দন। হাততালি

লেখায় উত্তম জাঝা!
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা....

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অরফিয়াস এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

খেকশিয়াল এর ছবি

ব্রাদার হোবার্টকে পেয়েছিলাম আমরা। ব্রাদার আমাদের অনেক আদর করতেন। সবসময় মুখে একটা সিগার কামড়ে ধরে কাজ করতেন, হয় মুখে নয় আঙ্গুলের ফাঁকে থাকতো। ব্রাদারের কাছে অনেক স্ট্যাম্প, চকলেট পাওয়া যেত। ঢাকাইয়া বাংলা বলতেন ব্রাদার। আমরা খালি তাঁর বিশাল সাদা জোব্বার পকেটে হাত দিতাম, মজা করে ব্রাদারের সিগার নেবার জন্য। আর ব্রাদার ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় বলতেন, ""এহ হে এই-গু-লা নিস না! তোর আম-মায়(আম্মায়) আ-মা-রে মাই-রা ফা-লাই-বো!! দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

johny mazumder এর ছবি

ইতিহাসটা জানা ছিল। তারপরেও অনেক ভাল লাগলো আবার নতুন করে পড়আর পর। ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ধন্য এই স্কুলের ছাত্র হতে পেরে। আমি ২০০১।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

অসাধারণ!!! চলুক

মুক্তিযুদ্ধের কথা পড়লে আমি অশ্রুসিক্ত হই,
এই অশ্রু আমার খুব প্রিয়!


_____________________
Give Her Freedom!

নজমুল আলবাব এর ছবি

ইতিহাস চাপা থাকে না। ফুটে ফুটে বেরুবে, বেরুবেই নিশ্চিত।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

লেখাটা অসাধারণ হয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।