জেলে যাবার পর ভেবেছিলাম তুমি একবার হলেও দেখতে আসবে। তোমাকে দেখতে পেলে জেল জীবনের সমস্ত কষ্ট একাকীত্ব এক লহমায় কেটে যেতো। প্রতিদিন বিকেল হলে অপেক্ষায় থাকতাম ভিজিটর রুমে ডাক আসবে। জেল জীবনের কষ্ট সয়ে নিচ্ছিলাম অপেক্ষায় অপেক্ষায়। পুলিশ যেদিন ধরে নিয়ে এলো তুমি তখন ঘরেই ছিলে। জানালায় পর্দার গিট দেয়া চিহ্নটা তাই বলে। তোমাদের সবুজ গেটটা পেরিয়ে আসার সময় প্রিজন ভ্যান থেকে বহুকষ্টে তাকিয়ে ছিলাম যদি জানালায় একটা মুখ দেখা যায়। কিন্তু তুমি হয়তো সেই ভর দুপুরে ভাতঘুমে কাতর।
হয়তো বিকেলে জেগে উঠে শুনেছো আমাকে পুলিশ নিয়ে গেছে। শুনে তুমি হয়তো ঘরে দোর দিয়ে একা একা কেঁদেছিলে গোপনে। তুমি আমার জন্য কেন কাঁদবে এটা একটা রহস্য। তবু আমি নিশ্চিত জানি তুমি কাঁদতে কাঁদতে চোখ ফুলিয়ে ফেলবে। ফুটবল খেলতে গিয়ে যেদিন পেরেক ফুটলো পায়ে, সেদিন তুমি কেমন কেঁদেছিলে পাগলের মতো, অপু হাসতে হাসতে বলছিল। তোমার মেজদা অপু, এখন লন্ডনে সংসারী হয়েছে।
তুমি আমার জন্য কাঁদবে এই আনন্দে জেলে যেতেও কষ্ট হলো না। কেউ একজন আমার জন্য প্রবল ভালোবাসা নিয়ে ফুলে ফুলে কাঁদছে এটা ভেবেও স্বর্গসুখ।
জেলের প্রাথমিক ধাক্কাটা কেটে গেল সেই ঘোরে। কিন্তু এক মাস যাবার পরও যখন ভিজিটর রুমে আমার ডাক এলো না, তখন বিষণ্ণতা আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে। একটা শূন্যটা আমাকে ক্রমশ চাপ দিতে দিতে কোণঠাসা করে ফেলতে থাকে। তুমি কি আমার খবর পাওনি?
সমস্ত পাড়া দেখছিল পুলিশ ঘরে ঢুকে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় লোকজন জড়ো হয়ে দেখছে রাজনীতির কূটকৌশলের কাছে পরাজিত আমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এই গ্রেফতারে আমার কোন অপমান ছিল না। আমি একদিন গৌরবের সাথে ফিরে আসবো সেই বিশ্বাসের সাথে তোমার কান্নাদৃশ্যটা যুক্ত হয়ে জেলজীবনের প্রতি আকর্ষণই বোধ করেছি।
কোনদিন ছাড়া পেলে তুমি আমার জন্য কিভাবে কাতর হয়ে ছুটে আসবে, আগের মতো লুকিয়ে দেখা না করে, প্রকাশ্যে রিকশায় চড়বে, সেই সাহসের আনন্দটাও জন্ম নিতে থাকে ভেতরে ভেতরে। আসলে ওই সব কাল্পনিক আনন্দেই জেল-জীবনটা সহনীয় হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু একমাস দুমাস চারমাস ছমাস গেল। কোন খবর নেই।
নিশ্চয়ই তোমাকে বাড়িতে আটকে রেখেছে। তাই আমাকে দেখতে আসতে পারছো না। একবার তোমার খুব জ্বর হলো, মারাত্মক উথালপাতাল জ্বর, বাসা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলো তোমাকে। তুমি এক সপ্তাহ ক্লিনিকে মৃত্যুর সাথে ধুঁকছো, আমি কিছুই জানি না! এক সপ্তাহ পর আমি জানলাম তুমি ক্লিনিকে। তুমি তখন সেরে উঠেছো প্রায়। আমি খবর পেয়ে ছুটে গেলাম। আমাকে দেখে তোমার দুই চোখে যে আলোর দ্যুতি ছড়িয়েছিল আমি কখনোই ভুলবো না। কেমন বনলতা সেনের মতো ভেজা কন্ঠে বলে উঠেছিলে, 'এতদিন পরে এলেন!'
জেল জীবনে ছমাস পার হবার পর থেকে এই বিশ্বাসটা দাঁড় করালাম, তারপর একটু ভালো লাগলো-
আসতে না পারলেও নিশ্চয়ই তুমি এখন আমার কথা ভাবছো। ভোরে জেগে উঠে ভাবি, তুমি ঘুমোচ্ছে এখন। শেষরাতের ঘুমে আমাকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখছো কি? কে জানে? আমি কখনো তোমাকে স্বপ্নে দেখিনি।
জেলখানার ফ্লোরে বসে দুপুরে খেতে খেতে ভাবি তুমি এখন ভিজে চুলে চুপ করে খাবার টেবিলে বসে আছো। মাসী তোমাকে বলছে, মাছের টুকরোটা নিয়ে খেতে, পুকুরের তাজা মাছ। কিন্তু তুমি আনমনা হয়ে ভাবছো আরেকজনের কথা, জেলখানায় গারদের ভেতর যে চালকুমড়ার পাতলা ঝোল দিয়ে কাঁকর মেশানো মোটা চালের ভাত খাচ্ছে। কতো কষ্ট তার। খাওয়া লাটে উঠলো তোমার। মাছটা ছুঁতেই পারলে না।
এই ভাবনাটুকু আমাকে খুব শক্তি দেয়। সেই জঘন্য পচা গন্ধওয়ালা চালের ভাতও অবলীলায় খেয়ে নেই। তুমি আমার কথা ভাবছো - এটা কতোবড় শক্তি! ভালোবাসার এত প্রভাব। কতোদূর থেকেও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে।
কেমন আছো তুমি? মনে মনে তোমাকে কতোবার জিজ্ঞাসা করেছি। তুমি কি শুনতে পেতে? এরকম ডাক কেউ শোনে না। তবু তুমি আমার বুকের ভেতরে শক্তি যুগিয়ে যাও আরো ছমাস। এভাবে একটা বছর পার হয়ে দশ দিনের দিন আমার মুক্তির কাগজ আসে।
জেল থেকে বেরিয়ে একটা রিকশা নিয়ে পরিচিত রাস্তা বেয়ে আমি সোজা তোমাদের বাসার সামনে হাজির হলাম। নিজের বাড়িতে যাবার আগে তোমাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত করে যাই, ভাবলাম আমি। তোমার বিষণ্ণ মুখটা, চোখের নীচে জমে থাকা কালিটা দেখতে ভীষণ ইচ্ছে হলো আমার। আমার জন্য দুশ্চিন্তায় অনিয়মিত আহারে মুখটা শুকিয়ে গেছে নিশ্চয়ই।
কিন্তু রিকশা তোমাদের বাসার সামনে থামার সাথে সাথে পেছনে আরেকটা রিকশা এসে দাঁড়ালো। আবছা অন্ধকারে বুকের ভেতর ছ্যাঁত করে উঠলো যখন খেয়াল করি রিকশা থেকে নামলে তুমি। সাথে এক তরুণ। ছেলেটা প্রদীপ না? আমার পুরনো বন্ধু। দুজনে কি দারুণ আনন্দে আছো! খুব হাসছিলে দুজনেই কিছু একটা নিয়ে। মুখে তোমার কোন মলিনতা নেই। আমার গত এক বছরের সব কল্পনা মুহূর্তেই ভেসে গেল।
তোমাদের পোশাক চেহারা হাসি সবকিছু এত বেশী উজ্জ্বল যে আমাকে ওখানে নিতান্ত বেমানান লাগলো। চট করে রিকশায় উঠে আমি হুড ফেলে মুখ লুকোলাম। রিকশাওয়ালাকে ইশারা করি আরেকটু এগিয়ে যেতে। তুমি দেখার আগেই পালাই।
বাসায় গিয়ে শুনলাম সব ঘটনা। প্রদীপের সাথে তোমার বাগদান হয়ে গেছে গত সপ্তাহে। আমার তখন ইচ্ছে হলো আবার একটা খুন করে জেলখানায় ফেরত যেতে। তোলপাড় যন্ত্রণায় মাথা ছিঁড়ে যায়, রাত কাটে নির্ঘুম।
কদিন বাদে র্যাব এসে আমাকে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়। হাসপাতালে দাদুকে দেখে মাঝরাতে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঠ্যাং ভেঙে জেলখানায় ফেরত দেয়। আমার পকেটে নাকি গুলিভরা রিভলভার পাওয়া গেছে। ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম ঈদের খরচ তুলতে। আমার সঙ্গী সাথীদের খোঁজ দিতে পারিনি বলে আমার গিরাগুলো আস্ত রাখেনি। মারের চোটে অজ্ঞান আমি জেগে উঠে দেখি সত্যি আমার পকেটে মরচে ধরা একনলা একটা লোহার পিস্তল। এত বড় কেরামতি আমি জীবনে আর একটিও দেখিনি।
আমার জেল জীবনে আরো পাঁচ বছর যুক্ত হলো। রাজবন্দী থেকে ছিঁচকে ডাকুতে অবনতি হয়েও এবার আমি আরো ভালো থাকবো, কারণ আমি নিশ্চিত জানি আমাকে দেখতে আসবে না কেউ। দ্বিতীয় জেলজীবনে প্রত্যাশার কোন বাতিঘর নেই আমার। আর জানোই তো প্রত্যাশার মতো ফ্যাসাদ আর কিছুই হয় না।
প্রিয় মনীষা, এই চিঠি তোমাকে পাঠানোর কোন মানে হয় না। ছিঁড়ে ফেলবো জেনেও একরোখা ক্ষেদগুলো উড়িয়ে দেয়ার জন্যই লেখা।
ইতি-
অবনীশ
মন্তব্য
অসাধারণ বর্ণনা, একটানে পড়ে ফেললাম। মানসম্পন্ন এই গল্পটিকে আবুল খায়ের মুসলেহউদ্দিনের 'কাপালিক' গল্পটির সাথে তুলনা করা যায়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
কাপালিক পড়িনি, তবে আপনার তুলনা শুনে লজ্জিত হলাম
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একনি:শ্বাসে পড়লাম। তারপর দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। নীড়সন্ধানী ভাই, লেখা চমৎকার হয়েছে - তবে মনটা বিষাদে ভরিয়ে দিলেন।
(অ.ট. - এরকম কাছাকাছি একটা প্লট নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প লিখতে পারেন। এই ধরুন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে জেলে বন্দী, ইত্যাদি)
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
আপনার উৎসাহ পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর গল্প লিখতে ইচ্ছে করছে সত্যি। ভাল থাকুন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কিছু মনে করবেননা, আপনি এই পথেই হেটে হেটে লিখুন প্লিজ! এ পথ সবাই বেছে নিতে পারেনা, সবার সক্ষমতা থাকেনা, আপনার আছে দেখতে পাচ্ছি - প্রত্যাশা বেড়ে গেলো আপনার কাছ থেকে!!
তানিম ভাই, আপনার প্রত্যাশার কথা শুনে তো ভয়ই পেলাম।
প্রত্যাশার মতো ফ্যাসাদ আর নাই
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পড়বার সময় একবারও কিন্তু মনে হয়নি এটা একটা গল্প। মনে হচ্ছিল আপনি নির্দ্বিধায় আপনার জেলজীবনের ভাবনাগুলো বর্নণা করছেন। আপনার অনুভুতি প্রকাশ করছেন। ভাল লেগেছে। তবে নারীসমাজ মাইন্ড করতে পারেন। সে কারনে এর আরেকটি ধারাবাহিক লিখতে হবে, যেখানে 'তুমি'র চরিত্রে আপনাকে বসিয়ে দেবেন।
ম্নতব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
নারীসমাজ মাইন্ড করবে কেন? ঘটনা উল্টোও তো ঘটতে পারতো সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই, হরদম ঘটছে। অবস্থার পরিবর্তনে ছেলেটা মেয়েকে ভুলে নতুন কাউকে বিয়ে করছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অসাধারণ লিখেছেন। গল্প বলে একটাবারও মনে হয়নি।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শুনে খুব ভালো লাগলো। তবে একশোভাগ গল্পও না।
ধন্যবাদ আপনাকে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
রাজবন্দীদের কষ্ট অবর্ণনীয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কি বলেন, জেলখানায় তো রাজবন্দীদেরই রাজত্ব। যত কষ্ট সশ্রম কারাদণ্ডীদের।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পুরো একমত আপনার সাথে!
জেলখানার জীবন যে জেনেছে, দেখেছে শুধু সে জানে ১ কেজি চালে কি করে দেড়কেজি খিচুড়ী বানিয়ে সোয়াসের খাওয়া যায়!!!
শেষটা কেনো জানি গতানুগতিক লাগলো।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
গল্পটা গতানুগতিকই কিন্তু
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পছন্দ ভায়া, কদিন ধরেই আপনি কনফিউজড হয়ে আছেন, ঘটনা কি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বেশি বেশি খাওয়ায় পেট কামড়াচ্ছে বোধহয়।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
প্রত্যাশার মতো ফ্যাসাদ আর কিছুই হয় না!
দারুণ লাগলো।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ আপনাকে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
১. আজকাল রাজবন্দী বলে কিছু নেই। আছে ভিআইপি বন্দী আর সাধারণ বন্দী।
২. শেষের প্যারাগ্রাফটা বাদ দেয়া যায় কিনা একটু ভেবে দেখবেন।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
এটা চিঠি আকারে রাখার ইচ্ছে তো, তাই শেষ প্যারাটা দিতে হলো।
রাজবন্দীর ব্যাপারটায় আপনার সাথে একমত। তবু সাধারণ কয়েদী আর রাজনৈতিক বন্দীদের সুযোগ সুবিধা এখনো আলাদা।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বেণীমাধব গানটা মনে পড়ে গেলো ঐ রিকশা চড়ে ফেরার বর্ণনায়...
গল্পটা ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ সুহান। বেনীমাধব গানটা ইদানীং বেশী শোনা হয়, কিন্তু গল্প লেখার সময় মাথায় আসেনি ওটা
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্পে
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ তিথী
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চমৎকার চমৎকার...
ধন্য ধন্যবাদ দি রিডার
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বরাবরের মতই চমৎকার।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আশাদি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কীভাবে মানুষের জীবন পাল্টে যায়! গল্প দারুণ লাগলো
বেচানক পাল্টে যায় মানুষের জীবন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ আয়নাপু
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম ... চমৎকার
পড়ার জন্য অসীম কৃতজ্ঞতা ত্রিমাত্রিক কবি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখা ভালো লাগল নীড় দা। আমাকে চিনেছেন? আমি চতুরের আরিশ
আপনাকে অবশ্যই চিনেছি। আপনার গল্পগুলো বেশ অনন্য মাত্রার হয়ে উঠছে।
হাত খুলে লিখতে থাকুন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গল্প পড়লে জানান দিয়েন। সচলে নিয়মিত হবার ইচ্ছে রাখি
নতুন মন্তব্য করুন