[justify]
'বেলজিয়াম গ্লাস'
মেহগনি রঙ ফ্রেমের বাঁ ধারে খোদাই করে লেখা। আয়নাটা ঝুলছে পশ্চিমের দেয়ালে, অনেকগুলো বছর ধরে.. শাহানা এ বাড়িতে আসা অবধিই তো দেখছেন। দিন গড়িয়ে দেয়ালের রঙ বদলেছে, বদল এসেছে বাসিন্দাদের অবয়বে, আচরণে। নিরেট পাথরের মতো একই রকম রয়ে গেছে ঐ আয়না কেবল।
দাদিশ্বাশুড়ি রাবেয়া খাতুন ছিলেন জাঁদরেল মহিলা। তাঁর ইশারাতেই চলতো পুরো সংসার। নাতবউয়ের মুখ দেখেছিলেন ভারি সীতাহার দিয়ে। কদমবুসি করেছিলেন শাহানা। বৃদ্ধার অসংখ্য রেখাঙ্কিত মুখে স্নেহের হাসির ছটা ঐ সাবেকী দর্পণে দেখেছিলেন আড়চোখে। রায়হান তখন বিছানার অন্যপাশে বসে। রাবেয়া খাতুনের সামনে মুখ ফুটে কিছু বলার সাহস শেষদিন পর্যন্তও হয়নি কারোরই…
মেয়ের শখ ছিল তাঁর, হলোও তাই। একটি নয়, তিনটে। বড় দুজন দেশের বাইরে আজ বছর তিন। ছোটটাও ক্যানাডা পাড়ি দিল গতকাল। নিজের পছন্দের বিয়ে, আপত্তি করার মতো ছেলে নয়, করেনও নি।
এ মেয়েটা বড্ড আহলাদি ছিল, কোলপোঁছা বলেই হয়তো। বাড়িতে যতক্ষণ, ঝড়ের মতো বয়ে যেতো যেনো এ ঘর-ও ঘর। কাছেপিঠে কোথাও যাওয়ার আগেও ঘন্টা পেরিয়ে সাজগোজ। সরাসরি তাকাতেন না শাহানা, মায়ের নাকি নজর লাগে সহজে। পুরু কাঁচের আভায় দেখতেন আত্মজার মায়াবি মুখ। কখনোসখনো অনার্স ক্লাসে পড়া দুএকটা কবিতার লাইন অজান্তেই চলকে উঠতো মনে…
শূন্য ঘরে শাহানা কেবল নিজেকেই দেখেন এখন। ঝাঁ ঝাঁ দুপুরে পর্দা টেনে দিয়ে বসেন টুলটা বাড়িয়ে। সেই সতেরোর শাহানা, চাচিমা টানটান আঁচড়ে বেণিজোড়া ছিমছাম যতনে দিয়েছেন কাঁধে ঝুলিয়ে… চব্বিশের শাহানা, অভ্যাস হয় নি বলে তখনো বড্ড সময় লাগতো শাড়ির কুঁচি গুছিয়ে নিতে। আটাশের শাহানা, কোলে-কাঁখে মেয়েদের নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলেছেন তৃতীয়জনের হাল পুঁছতে..
আজকের মধ্যপঞ্চাশের শাহানার সঙ্গে মিল কোথায় ওই মুখগুলোর?
বয়স, সময়, জরা— ঘুরেফিরে ওই এক গণ্ডিতেই আছে হাহাকার বাঁধা।
অন্ধ হ’লে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?
শাহানা তবু আঙুল বাড়িয়ে খোঁজেন নিজেকে। কাঁচের ওপরে ভারি নিঃশ্বাস ঘোলাটে ছায়া আঁকে। দামি সেকেলে আয়না নিঃসঙ্গ প্রৌঢ়াকে তার অতীত ফিরিয়ে দিতে কি পারে?
নাকি ধ্বনি -প্রতিধ্বনির ভীড়ে সমস্ত পায়ে-হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল, বুকের ভেতরকার কিছু পাথর মাড়িয়ে আদৌ দেখা যায় বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটে নক্ষত্র-দরোজার পথ..?
[/justfy]
মন্তব্য
চমৎকার।
দিনের শেষে সব্বাই একা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ফের সেই আবুল হাসান...
'মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা।'
ভাইয়া।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সব আবুলদের মধ্যে সেই আবুলই সেরা
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঠিক ঠিক।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
না থাকাই সত্য আজ, সত্য শুধু একে একে অনুপস্থিতি...
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
'এখন আমার ক্লান্তি বড়, শরীর ভরা জড়োসড়ো...
এখন আমার অন্তঃপুরে ঘুণের ভীড়ে ভুলমানুষের জীবনযাপন।'
#আবুল হাসান।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সরল, সাধারণ, সুন্দর অভিব্যক্তি।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হারানো পথে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা আমাদের যতটা ক্লান্ত করে আর কোন অন্য কিছুতে মনে হয় ওতটা নয়।
'পেছনে তাকালে কেন নিরবতা আসে চোখে!
মা যাকে শোনাতো সেই তুষারদেশের কথা.. তার চোখে আজ এতো রাতজাগা ক্লান্তির শোক?'
#রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ
মন্তব্যের জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যথারীতি তিথি তিথি গল্প!
রাবেয়া খাতুন কেন জানি আচম্বিতে রমাপদ চৌধুরীর 'বনবাতাস'-এর আরতি দেবীর কথা মনে করিয়ে দিলেন। যদিও চরিত্র দু'টির মাঝে মিল আছে সামান্যই। মনে হয় রাবেয়া ও শাহানাকে যোগ করে আরতি দেবীর একটা আবছা ছায়া পাওয়া যাবে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রমাপদ চৌধুরী পছন্দের ঔপন্যাসিকদের মধ্যে একজন। 'বনবাতাস' পড়েছিলাম কি?
কৃতজ্ঞতা ভাইয়া।
আর তুমি করে বললে খুশি হবো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ওটা ওঁর গল্প।
'তুমি ও আপনি' দুটোতেই আমি যুগপৎ স্নেহ ও শ্রদ্ধার সংশ্লেষ খুঁজে পাই। এ দুটো স্থানেই তুমি স্বমহিমায় সমাসীন, বোন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
মন খারাপ হয়ে গেলো...
nawarid nur saba
মন খারাপ করাতেই যে আমি ওস্তাদ..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধুর, শেষে কোনো ক্লাইম্যাক্স নেই, পচা গল্প! 'বেলজিয়ান গ্লাস' থীমটাও তো রোমেল ভাইয়ের মন্তব্য থেকে চোথা মারা
দরোজা হবে নাকি দরজা?
এরকম চাঁছাছোলা মন্তব্যই তো চাই।
শেষ লাইনটাও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কোবতে থেকে চোথা মারা। তিনি 'দরোজা' লিখিয়াছেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"আসবার কালে আসলাম একা......"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
'...আমরা জটিল ঢের হয়ে গেছি — বহুদিন পুরাতন গ্রহে বেঁচে থেকে..।'
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভীষন ভীষনরকম সৎ একটা গল্প!
কিছু কিছু একপ্রেশান দুর্দান্ত লাগলঃ
তোর গল্পের বিষয়বস্তুতে, বর্ণনায় ভাল রকমের ম্যাচ্যুরিটি আসছে রে!
শুভেচ্ছা অহর্নিশ
ম্যাচ্যুরিটি!
ইয়েএএএ... তার মানে খুকি বলে খোঁচাখুঁচির দিন শেষ, আমি সত্যি সত্যি বড় হয়ে যাচ্ছি!
কৃতজ্ঞতা অহর্নিশ, অনিদা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখো খুকি... তবে বড় হওয়া তোমাকে দিয়ে এত তাড়াতাড়ি হচ্ছে না...
মানব জীবনচক্রে জন্ম > শৈশব > কৈশোর > যৌবন > প্রৌঢ়ত্ব > বার্ধক্য > মৃত্যু, এটাই স্বাস্বত সত্য। মন না চাইলেও মানতেই হবে। তাই মনটাকে সময়মত প্রস্তুত করে নেওটাই বাঞ্চনীয়। আমি যেমন টিকিট কেটে ষ্টেশনে বসে আছি ট্রেনের অপেক্ষায় । হাতে একখানা ম্যাগাজিন, নাম সচলায়তন। দোয়া করি ভাল থাকবেন, আনন্দে থাকবেন যতদিন বাঁচবেন।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
'দ্যাখো তো আমাকে খুব শিশু শিশু লাগে কিনা?
বোকা বোকা লাগে কি না?
লাগলেই ভালো....
আমি যেনো এরকমই থাকি.. এরকমই শিশু শিশু, এরকমই বোকা।'
#আবুল হাসান
অসংখ্য ধন্যবাদ! ভাল থাকুন আপনিও।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি পড়িমরি করে ছুটে এলাম আমাকে নিয়েই তিথী গল্প লেখেছে ভেবে ধুরো! আমি নেই কোথাও এমন গল্পকে অতি চমৎকার, খুব সুন্দর এগুলো বলা কী ঠিক হবে? ভাবতে হচ্ছে যে....... হিহিহিহি.....তিথীর লেখা তিথীর মতই........
একদিন ছুটি হবে.. অনেক দূরে যাব.. আর বায়নামতিদিকে নিয়ে একটা 'হাসিহাসি' গপ্পো লিখব। প্রমিস!
ঠিকাসে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কী দিন পড়লো রে তিথী! কোথায় ছোটু ছোটু খোকা-খুকিরা বুড়ো/বুড়িদের কাছে বায়না করে এটা সেটা বাগিয়ে নিবে
এখন যে উল্টো হতে দেখচ্ছি! ঘোরকলি! ঘোরকলি ....তবে তোমার পমিজের কথা শুনে চিত্ত বড়ই প্রসন্ন হলো হে আর্শিবাদ করি এভাবে তুমি সবার কাছে আনন্দময়ী দেখা দাও( ইয়েএকটুহরপ্রসাদশাস্ত্রীকেস্মরণকরলুম ) বায়নামতি থুরি আয়নামতি খুশ হুয়া
হুঁ
হ তে শুধু হুঁ নয়... হাতিমি হয়, হয় হিজিবিজবিজ আর হ য ব র ল।
বুঝিয়াছেন?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কথা সত্য খুকি - তবে কথা হচ্ছে কোবতে যেমন বুঝিনা, কবিদের লেখা গপ্পও তো সেমি-কবিতা
সচলে এ পর্যন্ত নিজের লেখা একটা কবিতাও পোস্টাইনি কিন্তু!
তাহলে আমি কবি হলুম কী করে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
@পছন্দনীয়, ভাগেন আপনি! খালি হুমান
ক্ষেপছেন কেন?
সুন্দর!
__________♣♣♣_________
না-দেখা দৃশ্যের ভেতর সবই সুন্দর!
ধন্যবাদ কবি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কল্পিত আত্মজীবনী? আর, প্রৌঢ়া হলেই নিঃসঙ্গ থাকতে হবে নাকি, আরেকটা বিয়ে করে ফেললেই তো হয়!
অ্যাপার্ট ফ্রম ফান, গল্প ভালো লেগেছে। একাকিত্বকে সবচেয়ে বেশী ভয় পাই।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আত্মজীবনী! পাগল না পেট খারাপ?
বিয়ে, আবার তিনখানা ছানাপোনা! কদ্যপি নহে!
গল্প ভালো লেগেছে জানিয়া দেখাইলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বুড়োবয়স নিয়ে আমিও মাঝে মাঝে কল্পিত উদ্বেগ করি। কিন্তু আবার যখন আবুলদের কথা মনে পড়ে, তখন বুঝি বুড়ো হবার আশংকা বহুত দুর অস্ত! তার আগেই ব্যবস্থা হয়ে যাবে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
♫♪'আমার বয়স হলো সাতাশ..'
আমার আর [টেনেটুনে] বছরদুয়েক [ওই সাতাশ অবধি আর কী] বাঁচার শখ।
তেত্রিশ বছর কাটলেও কেউ তো আর কথা রাখবে না, হুদাই আমছালা দুটোতেই লস!
মন্তব্যের জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখায় সেই পুরনো তিথীকে পেলাম না যেন মনে হল। তবে লেখা ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
থ্যাঙ্কু আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বয়স যত ই হোক লেখা চলুক।
সাঁকো নাড়ানোর জন্য ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সব গল্পেরই ক্লাইম্যাক্স থাকবে এমন তো নয়... দিন শেষে প্রতিটা একই ঘটনাও আসলে ভিন্ন ভিন্ন আবার প্রতিটা ভিন্ন ভিন্ন ঘটনাও একই হতে পারে... যেভাবে দেখতে চাই সেটা সেভাবেই দেখা যায়...
এতকিছুর পরেও মায়েরা মেয়েদেরকে বিদায় জানাতে এখনো তীব্র আগ্রহী...
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এ নামটাও ধার নেওয়া, বুদ্ধদেব বসুর.. আর অনেকটা ওই শিরোনামের লোভেই গল্প বানিয়ে লেখা।
ধন্যবাদ আপু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
খুব সুন্দর লাগলো আপু!!!
_____________________
Give Her Freedom!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"এ মেয়েটা বড্ড আহলাদি ছিল,কোলপোঁছা বলেই হয়ত"
'কোলপোঁছা' শব্দটাতে আপত্তি জানালেন কি?
শেষ বয়সের আদুরে সন্তানের ক্ষেত্রে এটা ব্যবহার করতে শুনেছি। ঠিকাছে, পরবর্তীতে অপ্রচলিত শব্দ এড়িয়ে চলব নাহয়..
মন্তব্যের জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মুন্ডু
বলে কি! আপত্তি ??? নাহ্
ঐ টা শুনতে শুনতেই এদ্দুর...
আর "অপ্রচলিত শব্দ এড়িয়ে " চললে "ক্যামনে কী"? আমি ও্ তো নয়া নয়া শব্দ ইনভেন্টাইতে পছন্দ করি।
এইবার বাগে পেয়েছি। মুন্ডু নয়, মুণ্ডু।
ধন্যবাদ আবারো।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
( )
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সোনালি সোনালি চিল- শিশির শিকার করে নিয়ে গেছে তারে
কুড়ি বছরের পরে সেই কুয়াশায় পাই যদি হঠাৎ তোমারে!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'শেষবার তার সাথে যখন হয়েছে দেখা মাঠের উপরে,
বলিলাম: ‘একদিন এমন সময়, আবার আসিয়ো তুমি….
আসিবার ইচ্ছা যদি হয়--
পঁচিশ বছর পরে!'
আর পাঁচ বছর বাড়িয়ে দিলাম...
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভিন্ন রকম ভালো লাগা,অন্য রকম কষ্ট লাগা।আমাদের চারপাশে কত্ত শাহানা রয়েছেন। তাঁরা হয়তো আমার মা বা মাতৃসম অন্য কেউ। কাছে থেকেও দেখা হয় না কত প্রিয়জনদের।আমরাও কি ক্রমে অনেক মানুষের ভিড়ে আলাদা হয়ে যাচ্ছি না?
আরো লিখুন।ভালো থাকবেন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য
আপনিও ভালো থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যেখানে শুরু, সেখানেই শেষ। দারুণ লাগে আমার এই স্টাইল। অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
একা হলেই নিজের কাছে নতজানু মানুষ ---
একা মানুষের সব গল্পই বুঝি এমন ফাঁকা ফাঁকা হয়!
------------------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ ---
পড়ার জন্য
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
যে জীবন ফড়িঙের,দোয়েলের-মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা
[ কিসের ছবি ছিল? দেখা যাচ্ছে না তো! ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
[ঠিক করে দিয়েছি]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
[ ]
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন