আমি ভালোবাসি মেঘ. . .চলিষ্ণু মেঘ...ওই উঁচুতে...ওই উঁচুতে
আমি ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল !
(অচেনা মানুষ/শার্ল বোদলেয়ার/অনুবাদ বুদ্ধদেব বসু)
২.
আজ থেকে ১৩ বছর আগে আমি মার্কিন দেশের মিডওয়েস্টে প্রথম চাকরি শুরু করি। আমার জন্য ভালো চাকরি বলে কিছু নেই – আমি জমিদারতনয় হতে চাই। এই চাকরিটা আজকাল আর প্রায় নেই বললেই চলে। আমি চাকরির উপর বিরক্ত হয়ে ঠিক করেছিলাম ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে পিএইচডি করব। জমিদারপুত্রদের সবাইকে যে মূর্খ হতে হবে সেরকম কোনো কথা নেই। ভ্যাঙ্কুভার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের অন্যতম প্রধান শহর। বিশ্ববিদ্যালয়টা ওই শহরেই।
সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন চাহিবামাত্র ক্যানাডা অভিবাসন দিতো, আমিও নিয়েছিলাম সেই কাগজ। এরপর একটা শুভদিন খুঁজছিলাম, চাট্টিবাট্টি গোল করে জটায়ুর বর্ণিত ভয়ঙ্কর ভ্যাঙ্কুভার শহরে চলে যাব। কিন্তু শুভদিন আর এলো না। এর বদলে চলে মিডওয়েস্ট থেকে চলে এলাম টেক্সাস। এর থেকেই আমার ভাগ্য সম্বন্ধে কিছু আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে।
আমি যেই শহরে যেতে চাই সেখানে কোনোদিনও আর যাওয়া হয়ে উঠে না। ভ্যাঙ্কুভারগমনের পরিকল্পনা করার পর যেতে সময় লাগলো তের বছর, তাও আবার মাত্র ৪ দিনের জন্য।
৩.
টেক্সাস থেকে সব কিছুই দূরে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই দূরত্ব শুধু গজ ফিতার দূরত্ব নয়, মানসিক দূরত্বও বটে। জুলাই মাসের এক সন্ধ্যায় আমরা সেই দূরত্ব অতিক্রম করলাম, সাহস করে সপরিবারে চেপে বসলাম ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইন্সের বিমানে। গন্তব্য আমেরিকার উত্তর পশ্চিমের অরিগন রাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহর। এই শহরে গত বছরও গিয়েছলাম। কিন্তু এইবার এই শহর থেকে সড়কপথে আমি এবং আমার আবাল্য সুহৃদ বন্ধু এহসান নাজিম যাবো ভ্যাঙ্কুভার। সেখানে আমাদের আরেকবন্ধু জয়দীপ থাকে। এই তিনমূর্তির সাথে যোগ দেবে আমাদের আরেক বান্ধবী নিমাত। বহু বহু বছর আগে আমরা সব্বাই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও ছাত্রী ছিলাম, একদম একই ক্লাসে পড়তাম। নিয়মিত ক্লাস করলে বন্ধুত্ব করা বেশ কঠিন – তাই ক্লাস-টাস বাদ দিয়ে আমরা ক্যাফেতে নিয়মিত আড্ডা দিতাম। সেই কারণেই টানটা আজও অমলিন আছে। পরবর্তী প্রজন্মকে আমি এই জন্যই যথাসম্ভব ক্লাস ফাঁকি মারার উপদেশ দেই। জীবনটা ছোট – সেটার যথাসাধ্য সদ্বব্যবহার করা উচিত সবারই।
৪.
এটা ভ্রমণকাহিনি হলে আমি আপনাদের জানিয়ে দিতাম কোথায় সস্তায় থাকতে পারবেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটা গল্প আর ছবি। তাই ভ্যাঙ্কুভার শহরে মাঝরাতে জয়দীপের বাসায় একটা কাঁঠাল নিয়ে গ্রামের আত্মীয়ের মত উপস্থিত হওয়া ছাড়া আমি আর কোনো বুদ্ধি দিতে পারছি না। ভ্যাঙ্কুভার শহরে হোটেলের দাম প্রচুর, এর চেয়ে কাঁঠালই ভালো। তবে জয়দীপ ক্যানাডার এপার্টমেন্টগুলো সম্বন্ধে সতর্কবাণী দিয়েছিল –
এই শহরে দোস্ত বাসায় একটা করে বাথরুম।
মার্কিনিদের তুলনায় ক্যানাডা অনেক সুশীল দেশ – সেই কারণেই হয়ত ওরা বাথরুম টাথরুমে যায় কম। রোমে গেলে যেমন রোমান হতে হয় তেমনি ক্যানাডাতেও আমরা হয়ত বেগ চেপে রাখতে সক্ষম হব। যেই দেশে যেই আচার।
ব্লগে লিখে-টিখে আমি মার্কিন দেশের অনেক বদনাম করেছি। কিন্তু এই দেশে বাথরুমের ব্যবস্থা অনন্য। এখান থেকে হয়ত ধারণা করা যেতে পারে যে এই মুল্লুকের মানুষ সর্বদাই ডায়রিয়াতে আক্রান্ত। সে যে কারণেই হোক না কেন – আমি মার্কিন দেশকে বাথরুমের দিক দিয়ে সম্পূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা দেশ মনে করি। হার্ট সার্জারি করতে অনেক টাকা লাগলেও প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পারবেন পুরো মাগনায়। আরে ভাই – হার্টের অপারেশন তো আর রোজ রোজ লাগছে না , আপনারাই বলুন কোনটা বেশি দরকার?
৫.
সীমান্তের প্রহরীদের আমি সদাই ভয় পাই। ছোটবেলাতে থেকে আজ অব্দি পড়ে আসছি পত্রিকাতে - বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি অপহৃত, নিহত, গরু লুন্ঠিত – ইত্যাদি ইত্যাদি। আমাদের মুল্লুকে বর্ডার মানেই গোলাগুলি, মারামারি আর গরু এবং ফেন্সিডিল পাচার। মার্কিন দেশ আর ক্যানাডার বর্ডার যতোই কাছে আসছিলো ততই হাত-পা কাঁপছিল। বর্ডারের লাইনের উপরে একটা ডিসপ্লে বোর্ড, সেখানে লেখা - ওয়েটিং টাইম পাঁচ মিনিট। গাড়িগুলো দ্রুতই পার হয়ে যাচ্ছে - পুলসিরাতের মতো নয় মোটেই।
আমরা জনসংখ্যার চাপ সামাল দিতে বিরাট একটা গাড়ি ভাড়া করেছিলাম। গোটা নয়েক পাসপোর্ট চালকের আসন থেকে আমি প্রহরীকে এগিয়ে দিলাম । উনি কাউকে আর কিছু বললেন না - শুধু আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন। চেহারাতে চোর চোর ভাব থাকার অনেক অসুবিধা আছে।
ক্যানাডাতে ঢোকার পরে আমরা রাস্তা-ঘাট দেখতে লাগলাম। ক্যানাডা বিদেশ হলেও প্রায় আমেরিকার কাজিনই বলা যায়। বর্ডার থেকে হাইওয়ে ৯৯ চলে গেছে শহরের ভেতরে, বড়জোর ত্রিশ মাইল দূরেই ভ্যাঙ্কুভার শহর। হাইওয়ে ৯৯ নিয়ে আমরা শহরে ঢুকতেই রাস্তাটা ঝপাৎ করে ছোট একটা রাস্তা হয়ে গেল। ভ্যাঙ্কুভার শহরে রাস্তার পরিমান বেশ অপ্রতুল মনে হয়েছে আমার। জয়দীপ জানালো যে পরিবেশবাদীরা অনেক সক্রিয় এখানে, রাস্তা বানানোর অনেক হ্যাপা এই রাজ্যে। টেক্সাসে পরিবেশ নিয়ে যারা হৈ-চৈ করে তাদেরকে স্থানীয় লাল-ঘাড় জনগোষ্ঠি "ট্রি হাগার" বলে থাকেন। এদের পরিমাণ নগন্য আমাদের রাজ্যে। তাই টেক্সাসের রাস্তা-ঘাট দর্শনীয়।
দেখা গেল দীর্ঘদিনের টেক্সাস বাসের কারণে আমিও বদলে গেছি বেশ – ট্র্যাফিক জ্যামে বসে ভ্যাঙ্কুভার শহরবাসিকে অনেকবার ট্রি-হাগার বলে গালি দিয়েছি, পঞ্চাশটা গাছ কাটলেই ভালো একটা রাস্তা বানানো যেত – এটাও মনে হয়েছে। এতো গাছপ্রীতি থাকলে গাছে উঠে থাকে না কেন এই শালারা...
৬.
আমরা সবাই মিলে ঘুরতে বের হলাম। আমি অনেক বছর আগে একবার ক্যানাডার টরেন্টো শহরে গিয়েছিলাম। তখন মার্কিন ডলারের দাম ক্যানাডার ডলারের দামের বিপরীতে মূল্যবান ছিল, কিন্তু মন্দার কবলে পড়ে মার্কিন ডলার আজ শয্যাশায়ী। বিভিন্ন স্থানে পার্কি আর এন্ট্রি ফি পুরো ট্রিপ জুড়েই তাই মর্মমূলে বিঁধে রইল আমাদের।
চারদিনে আমরা ঘুরেছি স্ট্যানলি পার্কে (ডাউনটাউনের মাঝে বিশাল সবুজভূমি), ক্যাপালিনো সাসপেনশন ব্রিজ, ডাউনটাউন, শহর থেকে দূরের পাহাড়ি শহর হুইসলার – যেখানে শীতকালীন অলিম্পিক হয়েছিল আর ভিক্টোরিয়া আইল্যান্ড।
পুরো ব্রিটিশ কলাম্বিয়াটাই আমার কাছে মেঘের আর ফুলের দেশ বলে মনে হয়েছে। গ্রীষ্মের নরম উষ্ণতার মাঝে চারিদিক সবুজ চাদরে মোড়া। চারিদিকে পাহাড় আর তাতে আটকে আছে মেঘ – সেই মেঘ যেন একটু হাত বাড়ালেই ধরা যাবে। মেঘ নিয়ে আমার অনেক প্রেম থাকলেও ভ্যাঙ্কুভার শহরের মানুষজন বেশ নির্বিকার। রোজ রোজ মেঘ দেখলে মনে হয় কালিদাস হওয়া যায় না।
দেখলাম বেশ বিনা আয়াসেই ফুল ফোটে এই দেশে - অথচ টেক্সাসে আমাদের আক্ষরিক অর্থেই একটি ফুলকে বাঁচাতে প্রায় যুদ্ধ করতে হয়। তবে ভ্যাঙ্কুভারে গ্রীষ্মের অল্পকয়েকটা দিন বাদ দিলে আকাশের মুখ প্রায়ই গোমড়া থাকে। দীর্ঘদিনব্যাপি মেঘলা আকাশ একসময় আর মাথার উপরে সীমাবদ্ধ থাকে না, ওটা বুকের উপর চেপে বসতে পারে। প্যাসিফিকের পাশের এই উত্তর পশ্চিম উপকূলের দেশগুলোতে বিষণ্ণতা নাকি বেশ সাধারণ ব্যাপার।
৭.
স্ট্যানলি পার্কটা শহরের মাঝখানের একটা সবুজ ভূমি। শহরের মাঝে বিরাট সাইজের পার্ক থাকলে শহরটা একটু নিঃশ্বাস ফেলতে পারে। আমাদের ঢাকা শহরেও রমনা পার্ক আছে। যদিও এরপরও ঢাকার দম প্রায় বন্ধ হয় হয় অবস্থা। স্ট্যানলি পার্কের ভেতরে একটা ছোট কিন্তু বেশ সুন্দর অ্যাকিউরিয়ামও আছে। তাতে দিনভর অনেকগুলো শো হয়। আমাদের দলের প্রায় অর্ধেক সদস্যদের বয়েস আটের নিচে, তাই সময়টা বেশ ভালোই কাটলো। তবে পরবর্তীতে আমার কন্যা অ্যাকিউরিয়ামকে বেশ কম নম্বর দিয়েছে - ওখানে মৎস্যকন্যা নেই যে!
স্ট্যানলি পার্ক সহ যে কোন পার্কেই স্বাস্থ্যপ্রেমিদের দৌড়ঝাঁপ দেখা যায় কিন্তু আমি বাংলাদেশ ছাড়া আর অন্য কোথাও প্রেমিক-প্রেমিকাদের পার্কে বসে প্রেম করতে দেখিনি। গেলবার দেশে গিয়ে বোরখা পরা প্রেমিকা আর জোব্বা পরিহিত প্রেমিকপ্রবরও দেখেছি ধানমন্ডি লেকের পাশে। আমাদের দেশে পার্ক তৈরি করা হয় যুগলদের জন্য। কিন্তু পশ্চিমে পার্কে বসে প্রেম করাটা মনে হয় অন্যায়।
[স্ট্যানলি পার্কের ছবি]
৮.
স্ট্যানলি পার্কের কাছেই আছে ক্যাপিলানো সাসপেনশন ব্রিজ। সেতু দেখার জন্য এতো মানুষ আসে কেন? সেটা বুঝতে হলেও যেতে হবে সেতুর কাছে। আমার ধারণা ছিল জায়গাটা বোরিং হবে - কিন্তু আসলে ঠিক তার উলটো। ব্রিজটা ৪৫০ ফিট লম্বা আর ২৫০ ফুট উঁচু আর নিচে হা হা করছে ক্যাপালিনো নদী। হেঁটে পার হওয়ার সময় ব্রিজটা ক্রমাগত দুলতে থাকে। আর আমরা যেদিনটাতে গিয়েছিলাম ওখানে - সেদিনটা ছিল মেঘলা, সেই মেঘ হাত বাড়ালেই ধরা যায় আর হাঁ করলেই কপ করে গিলে ফেলা যায় – এই অবস্থা!
কাঁপাকাপির ভয়ে কিছু লোক সেতুতে চড়েনি। আমি নিজেও এটা নিয়ে প্রথমে অস্বস্তিতে ছিলাম। পরে হাজার হাজার মানুষ দেখে ভয়টা দূর হয়। বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে বেশ কয়েকবার সেতু পারাপার করেছি। সেতুর দুই ধারে আছে বেশ আকর্ষণীয় কিছু জিনিস, যেমন বিশাল একটা ট্রি-হাউজ।
প্রথমবার পার হওয়ার পরেই বুঝতে পারলাম ব্যাপার আসলে মোটেও ভয়ের নয় – বরং বেশ মজাদার। সেতু ছাড়াও গিরিখাদের ওপর দিয়ে হাঁটার ব্যবস্থা আছে। সেটাও দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। এরপর থেকে আমি পাগলদের সাঁকো নাড়ানোর পক্ষেই ভোট দেব।
সেতু পারাপার করে যখন আমি ক্লান্ত তখন হঠাৎই শুনলাম বাংলা ভাষা -
“পুরো ৩২ ডলারই জলে গেল – এতে তো আমি উঠতে পারবো না বাপু "
আমারই বয়েসি এক ভদ্রলোক বলছেন এই কথা। উচ্চারণ আর "পানি" আর "জলের" এসিড টেস্ট দিয়ে বুঝলাম উনি পশ্চিমবঙ্গের লোক। বাঙালিকে বাঙালি না দেখিলে আর কে দেখিবে? আমি এগিয়ে ভদ্রলোককে অভয় দিলাম, আমার নিজেরও মাথাঘোরা রোগ আছে তারপরও কয়েকবার পার হয়েছি এই কম্পমান সেতু। কিন্তু উনি অনড়, ওনার বন্ধুদের অনুরোধ বা আমার অভয় কোনোটাই কানে তুললেন না - দুই বাংলার সম্মিলিত প্রয়াস ব্যর্থ করে উনি পুরো ৩২ ডলার (এর উপরের শতকরা ১২ ভাগ কর উনি ভুলে গিয়েছিলেন) একদম পানিতেই ফেলে দিলেন।
[ক্যাপিলানো সেতুর ছবি]
৯.
ভ্যাঙ্কুভার শহর থেকে মাত্র ৭৫ মাইল দূরেই আছে হুইসলার। ২০১০ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের শহর। মাত্র দুই ঘন্টাতে পৌঁছানো সম্ভব সেখানে। পথের দৃশ্যটাও অত্যন্ত মনোরম। পাহাড়, জঙ্গল আর উপসাগর সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ্য একটা ভ্রমণ। হুইসলারে আছে স্কি করার সুব্যবস্থা। আমরা কেউই স্কি করতে পারি না - সত্য বলতে কি স্কি করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমি সহ আমার বন্ধু-বান্ধব কারোর আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু পাহাড় ভালো লাগে, মেঘ ভালো লাগে আর সেই পাহাড়ে স্তুপ স্তুপ বরফ থাকলে সেটাকে একদম উপরি মনে হয়। ক্যানাডাতে এসে যদি বরফ না ঘাটালাম, তাহলে কেমন ভ্রমণ হবে সেটা? হুইসলারে পাহাড়, মেঘ আর বরফ সবই আছে।
পাহাড়ের পাদদেশে আছে সুন্দর ছিমছাম হুইসলার ভিলেজ, সেখান থেকে কেবল কারে করে ৬০০০ ফুট উচ্চতায় হুইসলার পর্বতে চড়া যায়। বেশ নিরীহ ভাবেই সবুজ অরণ্যের সামান্য উপর দিয়ে উঠতে থাকে কেবল কার দেখতে দেখতে সেটা মেঘ আর তুষারের দেশে গিয়ে পৌঁছে। এরপর আরও একটা কেবল কার হুইসলার পাহাড়ের চূড়া থেকে নিয়ে গেল পাশের পাহাড় ব্ল্যাককম্বের চূড়ায়। মোটামুটি মেঘের মধ্যে দিয়েই ভ্রমণ। মেঘের দেশে একবার গেলে আর নামতে মন চায় না। আমরা বেলা শেষে গিয়েছিলাম তাই বেশিক্ষণ থাকা গেল না, নেমে আসতে হলো দ্রুতই।
ফের কবে যাব পাহাড়ে?
[হুইসলার এর ছবি]
১০.
আমাদের সফরের শেষদিন আমরা ঠিক করলাম ভ্যাঙ্কুভার থেকে ভিক্টোরিয়া আইল্যান্ডে যাব। যেতে হবে ফেরিতে করে। প্ল্যান হলো যে ভিক্টোরিয়া থেকে আর ভ্যাঙ্কুভার ফিরবো না, সেখান থেকে আরেকটা ফেরি ধরে আমেরিকাতে ফিরে যাব, ভিক্টোরিয়া থেকে ওয়াশিংটন রাজ্যের পোর্ট এঞ্জেলেস শহরে ফেরি যাতায়াত করে। অর্থাৎ চাট্টিবাট্টি গোল।
ক্যানাডাতে আমাদের সফরসঙ্গী ছিল ছয়জন শিশু। এরা হচ্ছে রৌদ্র, দৃপ্ত, উৎস, আনুশা, সামারা এবং সর্বকনিষ্ঠ আত্মজা। এতোগুলো বাচ্চা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করা এবং পাহাড়ে পর্বতে ওঠা চাট্টিখানি কথা নয়। আমি সবাইকেই জিপিএ ফাইভ দেব – ওদের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আত্মজা ভ্যাঙ্কুভারেই থাকে, ওকে বিদায় দিতে হচ্ছে বাকি পাঁচজনের। আমি জীবনভর মানুষকে বিদায় জানিয়ে এসেছি, তাও আত্মজাকে ছেড়ে আসতে বেশ মনোবেদনা হলো।
বেদনাঘন বিদায় শেষে আমরা ফিরতি যাত্রায় বেরোলাম। শহর থেকে দক্ষিণ পশ্চিমে ফেরিঘাট। আমি এর আগের কখনো মার্কিন দেশে ফেরিতে চড়িনি। আগে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় যেতে দুটো ফেরি লাগতো, আমার ফেরি ভ্রমণ ওই পর্যন্তই। ফেরিতে উঠলে সেদ্ধ ডিম আর লবণ দিয়ে শসা খেতাম আমরা। ফেরি সম্বন্ধে আমার ধারণা এখনো কুমিল্লার সেই ফেরি পর্যন্ত। ভ্যাঙ্কুভার থেকে ভিক্টোরিয়া দ্বীপের ফেরি আমার যাবতীয় প্রাচীন ধারণা ভেঙে দিলো। এই ফেরিগুলো প্রায় প্রমোদতরীর মতোই। ফেরির একদম নিচে গাড়ি পার্ক করে উপরে চলে যাবেন। একটা তলা পুরোটাই রেঁস্তোরা, ওখানে কেউই সেদ্ধ ডিম বেচছে না যদিও। ওপরের একটা অথবা দুটো তলা অবজার্ভেশন ডেক। ছাদটা খোলা।
ভিক্টোরিয়া দ্বীপটাকে তেমন আকর্ষণীয় মনে হয় নি। শহরটা ছিমছাম ইউরোপিয় ধাঁচের কিন্তু সৌন্দর্যের মাপদণ্ডে ভ্যাঙ্কুভার শহরের পাশে অন্য অনেক সুন্দর শহরেরও অবস্থা টাইট হয়ে যাবে। তবে বেশিদিন ধরে সুন্দর জিনিস দেখতে দেখতে এক সময় ক্লান্তি লাগে, মনে হয় ধুর শালা...
[ভিক্টোরিয়া দ্বীপের ছবি]
১১.
ভ্যাঙ্কুভার শহর নিয়ে একটা কথা না বললেই নয়। এই শহরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেশ বেশি। মার্কিন দেশের তুলনায় ক্যানাডাতে এমনিতে দাম একটু বেশি কিন্তু তারপরেও খরচ এখানে অতিরিক্ত মনে হয়েছে। শহরটা যেহেতু ভ্রমণবিলাসীদের জনপ্রিয় গন্তব্য সেহেতু সবকিছুরই উচ্চমূল্য। এই শহর অলিম্পিকের আয়োজনও করেছে।
গত এক দশকে অনেক বাংলাদেশি ক্যানাডাতে পাড়ি জমিয়েছেন, তাঁদের মূল অংশ ক্যানাডার পূর্ব উপকূলে গেলেও অনেকেই নিশ্চয় ভ্যাঙ্কুভার শহরে আছেন। এই শহরে বাংলাদেশি রেঁস্তোরাতেও গিয়েছি আমরা - সব মিলিয়ে বুঝতে পারি যে বাংলাদেশিসহ অনেক দেশের অভিবাসীই এই শহরে বাস করেন। জিনিসপত্রের বেশি দাম দেখে আমার মনে হলো যে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন নিশ্চয় বেশ কঠিন। মেঘ আর ফুল খেয়ে তো আর জীবন চলে না। আশা করব তাঁরা সবাই ভালো আছেন।
শিশুদের সংসর্গ আমার দারুণ লাগে। গাড়িভর্তি ছয়জন বাচ্চা থাকাতে এবারের সফরটা তাই দারুণ হয়েছে। বাচ্চা মোটেই ভয়ঙ্কর নয় – বরং বড়দের মতো বিরক্তিকর আলোচনা তারা করে না । যেমন ধরুন রৌদ্র আর উৎস – যমজ দুই ভাই পানির বোতল খুলে পানি পান করে না। বরং ওরা বোতলের পেছনে দাঁত দিয়ে কামড়ে ফুটো করে পানি পান করে - আমরা ছোটবেলাতে যেভাবে আম সাবাড় করতাম। বিনা খরচে এই বিনোদন আপনাকে বয়স্ক কেউ দেবে না। ওরা আলোচনা করবে দেশের পচনশীলতা নিয়ে, উর্ধ্বগামী ঋণ নিয়ে, তাই নিয়ম করে প্রতিদিন কিছুটা সময় শিশুদের সাথে কাটান। একদিন দেখবেন আপনার ভেতরের শিশুটাও পুনর্জন্ম নিয়ে ফেলেছে।
লেখাটা শেষ করছি সফরসঙ্গী সেই ছয় শিশুর ছবি দিয়ে।
মন্তব্য
লেখা তো আগেই পড়েছি..
বাড়তি পাওনা চমৎকার [বিশেষ করে মেঘের] ছবিগুলো।
'আমি ভালোবাসি মেঘ।
যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে....সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল!'
পরীর ছানা আনুশা আর সামারাকে আদর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মন্তব্যে ফার্স্ট হওয়ার পুরস্কার...ফ্রেশ ধনেপাতা...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি তো ভেবেছিলাম বোদলেয়ার নিয়ে জম্পেশ আলোচনা হবে।
যাক তবু তো ম্যাপল লীফের দেশে নিখরচায় একটা ভ্রমণ সারা গেল।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
সর্বনাশ ওই বিদ্যা নাইরে ভাই...বসে আছি আপনি আবার কবে কবিতার ক্লাস চালু করবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখালেখির জন্য আপনাকে ডাউনলোডেবল পদক দিতে হবে।
২০ ডলারের নিচে হলে আমিও আগ্রহী...দলছুট সাহিত্যপদক হলে ভাল হয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ডাউনলোডেবল পদক' ইমো চাই।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখা আর ছবি নিয়ে বলার কিছু নাই। মারাত্মক রকমের ভালো হয়েছে। ছয় শিশুর মধ্যে কোন দুইটা আপনার?
ধন্যবাদ। কাছাকাছি সাইজের মেয়ে দুটো আমার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা কোথায় সেই সোনার দিন? জন্ম নিতে গুণে গুণে এক যুগ দেরী হয়ে গেলো
জ্যাম পছন্দ না তো এদিকে এসে একটু ঘুরে যেতেন। গ্রাম একখানা - কোন জ্যামই নেই, রাস্তাঘাটও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি - বেশ কিছু চৌমাথা আছে ট্র্যাফিক সিগন্যাল ছাড়া (কয়েকখানা স্ট্রীট/অ্যাভিনিউ ইন্টারসেকশনও আছে তার মধ্যে)।
আর লেখা নিয়ে কিছু বলতে চাই না, এককথা বারবার বলতে ভালো লাগে না।
এখন অনেক সময় লাগে অভিবাসন হতে...যায় দিন ভালো আসে দিন...
গ্রাম-গঞ্জে থাকার অভিজ্ঞতা আমারও আছে...মিডওয়েস্টে এক শহরে থাকতাম, জনসংখ্যা ছিল ৯০০০ হাজার। একই লোকজনের সাথে বিভিন্ন জায়গায় দেখা হতো।
বেঁচে থাকলে ক্যানাডায় আবার যাব...সেই ইচ্ছে আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
'মেঘের দেশে ফুলে দেশে' ভালোই ভ্রমণ হলো কিছু ছবি অসহ্য রকমের জীবন্ত আর সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। শেষের ছবির পোজটা দারুণ লাগলো ..ওদের সবার জন্য আদর।
" পুরো ৩২ ডলার জলে গেল- এতে তো আমি উঠতে পারবো(না) বাপু" না শব্দটা মিসিং হলো নাকি ভাইয়া? নাকি আমারই ভুল
গুড ক্যাচ - "না" বাদ পড়েছে। বোঝা যাচ্ছে আপনি মনযোগ দিয়ে পড়েন ভুলটা ঠিক করেছি।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছবিগুলো ভালৈসে। লেখাও।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার সামনের ফ্ল্যাটের আংকেল ইউ.এস গ্রীন কার্ড হোল্ডার। প্রায়ই বিদেশে যায়। আমাকে একবার বলছিল এই দেশের কবি সাহিত্যিকরা আসলে পৃথিবীর বেশী দেশে ঘুরে নাই। নইলে এই দেশের এত প্রশংসা করত না। আমি অবশ্য তেমন কোন দেশেই যাইনি। আপনাদের মতামত কি এই ব্যাপারে?
কেউ একজন, আপনার সামনের ফ্লাটের আঙ্কেল মনে হয় বাংলাদেশ ভাল করে দেখেননি। তাই বলেছেন এই কথা। বাংলাদেশের মত দেশ আর একটাও নেই।
শুধু ক্যালেন্ডারের পাতার মত হলেই যে সুন্দর হবে এটা ঠিক নয়। সৌন্দর্যের অনেক রকমফের আছে - প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের জমজমাট ক্যাম্পাস আমার কাছে আমেরিকার অনেক সাজানো কিন্তু প্রাণহীন ক্যাম্পাসের চেয়ে সুন্দর লাগে।
রবি ঠাকুর বহু দেশ ঘুরেছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কবিতায় বাংলাদেশের বর্ষার যে রূপ ফুটে ওঠে সেটা অনির্বচনীয় - ঠাণ্ডা মাথা ভাবলে এটা তো আকাশ থেকে পড়া জলবিন্দু - এই নিয়ে এতো মাতামাতির কি আছে? সৌন্দর্য শেখারও একটা ব্যাপার আছে। সেইটা গ্রিনকার্ড হোল্ডার আংকেলকে একটু বুঝতে হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি কয়েকটা দেশ ঘুরেছি... এবং আপনার আঙ্কেলের জন্য বলতে পারি ওনার উচিত হবে বাংলাদেশটা একবার ঘুরে দেখা। দেখেও যদি ধারণা একই থাকে তাহলে উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব গ্রীন কার্ডটাকে সিটিজেনশিপে রূপান্তরিত করে বাংলাদেশী নাগরিকত্বটা ছেড়ে দেয়া। হাতের কাছে স্বর্গ থাকতে উনি কেন যে নরকে পড়ে আছেন কে জানে!
আপনাদের জবাব পেয়ে ভাল লাগল। এরপরও তাহলে সবাই বিদেশ বিদেশ করে কেন বুঝি না। সবাইতো দেখি বলতে গেলে পালাচ্ছে। আমার অবশ্য ভূমিকম্পের ভয়ে ঢাকা থেকে পালাতে ইচ্ছা করে।
অসাধারণ সুন্দর ছবি আর লেখা। মনে হল ভ্যঙ্কুবার ঘুরে এলাম।
ধন্যবাদ রুমঝুমা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি নিয়ম করে সব ভালো ভালো লেখাগুলো লিখে ফেলতেছেন। আপনার মঙ্গল হোক।
আমিও ভ্যাঙ্কুভারে বেড়াইতে যাবো ভাবছি। কিন্তু আপনার মতো আমার স্ত্রী কন্যা কিছুই নাই তাই যাওয়া হচ্ছে না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ ভাই। তোমার চাপে পড়েই দ্রুত শেষ করেছিলাম। আলসেমি করে আর ছবি জুড়ে দেওয়া হচ্ছিল না।
যাই হোক স্ত্রী-যোগ হওয়ার পরে ভ্যাঙ্কুভার যাওয়াই বেটার হবে বলে আমি মনে করি...নইলে তাকে আবার পরে নিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু বিয়ের আগেই সবকিছু প্ল্যান করে রাখা ভালো - যেমন কোথায় বিয়ে হবে, কতো জন গেস্ট, হানিমুন কই হবে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ! আপনাকে এখন থেকে নিয়ম করে চাপে রাখা হবে। কত প্যাসকেলে সবচে দ্রুত লেখেন বলেন তো!?
বিয়ের তো সব ঠিকঠাক ভাই। খালি পাত্রী নাই আপনি সেই কবে একবার 'পাত্রী লাগবে?' টাইপ আশা দেখিয়ে আর উচ্চবাচ্য করলেন না! লাজলজ্জার মাথা খেয়ে তাই আমাকেই উচ্চবাচ্য করতে হল!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আরে তোমার আগে লাইনে ধূগো আছেনা? ওর একটা গতি না হলে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাও তো! শবে কদরে ধুগো'দার জন্য মিলাদ দিয়া কইষা দোয়া করমু ভাবতেছি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ভ্যাংকুভার আমার খুব প্রিয় শহর...কিন্তু ভিক্টোরিয়া আমার কাছে খুব ভাল লেগেছিল। ভিক্টোরিয়ার সুবিধা সেটা ভ্যাংকুভারের মত অতটা গ্লুমি না! হয়তো সময়াভাবে ভিক্টোরিয়া দেখতে পারেন নি বলে এমন মনে হয়েছে...বিশেষত ডাউন্টাউন, ওয়াটার স্পোর্টস, হোয়েল ওয়াচিং, প্রজাপতি গার্ডেন, মিনিয়েচার ওয়ার্ল্ড, আর সবার উপরে বুচার্ট গার্ডেন। আমি স্বর্গ বলতে বুচার্ট গার্ডেনকে বুঝি...ইডেনও অত সুন্দর হওয়া সম্ভব না...
হুইসলারে যাইনি...ইচ্ছা আছে যাব। তবে কখনো পারলে ভ্যাংকুভার থেকে ক্যাল্গেরি ড্রাইভ করে আসবেন...এত সুন্দর জার্নি সারা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে কিনা জানিনা...
আলবার্টা থেকে যখন ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে যাই, বুকের মধ্যে "ট্যাক্স" জিনিসটা কামানের গোলার মত ধাক্কা দেয়...ক্যালগেরি যদিও অনেক এক্সপেন্সিভ (কিছু কিছু ক্ষেত্রে বি,সি'র চেয়ে বেশি!) কিন্তু ট্যাক্স কম...পিএসটি নাই...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
পিএসটি নাই
এ এক অবিচারের দেশ! কারো জন্য সব আছে কারো জন্য কিচ্ছু নেই
আমারো নাই। শুধু ৫% ফ্ল্যাট জিএসটি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অপছন্দনীয়, আয়া পড়েন...ক্যাল্গেরি। অবশ্য সাস্কে আমার খুব প্রিয় কিছু মানুষ আছে...আর একজন খুব প্রিয় ভাইয়া-ভাবী ছিলেন
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আরে ফাহিম ভাই, আপ্নে দেখি আমগো রাজধানীতে...৫% খালি আলবার্টাতেই মনে হয়...তয় ভাই ইস্ট কোস্টের তুলনায় জিনিসপত্রের যা দাম... আর বাসা ভাড়া!!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
এটা ঠিক আমরা ভিক্টোরিয়াতে বেশিক্ষণ ছিলাম না। যেটুকু সময় ছিলাম শুধু ডাউনটাউনে। মোটামুটি দৌড়ের ওপরে।
ভ্যাঙ্কুভার থেকে ক্যাল্গেরির পথের অনেক সুনাম শুনেছি। লম্বা পথ --- ট্রেন রাইডও আছে শুনেছি। নেক্সট টাইম।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দারুণ!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তার আগে বলেন এই লেখা আপনি কতদিন ধরে লিখেছেন। পড়তে তো আমার কমপক্ষে দুই দিন লাগবে
আমেরিকার বাথরুমই শুধু না, আরেকটা জিনিস আমার ভালো লেগেছে-- ফ্রিওয়েতে ঘনঘন সাইন। তবে আপনাদের টেক্সাসের সবকিছুই দূরে দূরে, আর অসহ্য গরম!
লিখেছি প্রায় এক বৈঠকেই
টেক্সাসের রাস্তাগুলো আমেরিকার অন্য জায়গার চেয়ে ভালো (আমার মতে)। দূরত্বের ব্যাপারটা এই লেখাতেও বলেছি, ধারে কাছের বন্ধুর বাসাও বিশ মাইল দূরে।
গরমটা এইবার অসহনীয় পড়েছে...গত ৮৬ বছরের গরমের রেকর্ড ব্রেক হলো। ভয়ঙ্কর অবস্থা, অন্যান্য বছর এতো খারাপ হয় না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ওহ...এইটা ঠিক কইছেন। ক্যানাডিয়ান গো বিশাল বিশাল বাসায়ও টাট্টিঘর একটা...রাস্তায় কোন টাট্টিঘর নাই...হাইওয়েতে ১০০-২০০ কিমি পর কিছুর দেখা মেলে...ট্রেন-বাস স্টেশনে থাকেনা...থাকলে টাট্টিঘরের অবস্থাও বাংলাদেশের চেয়ে খারাপ। বেশিরভাগ কানাডিয়ান আমার ধারণা টাট্টিঘর ব্যবহার করতে শেখে না...আমার ইউ,এস এইজন্য খুব ভাল লাগছে! আমি বাথরুম-টয়লেট শৌখিন মানুষ...ব্যাপক মেজাজ খারাপ হয়।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ইউকেতেও অনেক বাসায় একটা করে টাট্টিখানা দেখেছি...আমেরিকাতে বাথরুম ব্যবস্থা অনন্য। এই নিয়ে মার্কিন মুল্লুকের একটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখা তো লেখাই---সেই সাথে ছবি দিয়ে একেবারে জমিয়ে দিয়েছেন তাসনীম ভাই।
আমার সবচাইতে ভাল লাগল ভিক্টোরিয়া দ্বীপের ছবিটা আর ছয় রত্নের ছবিটা।
শুভেচ্ছা নিরন্তর
অনেক ধন্যবাদ অনিকেত।
ছয় রত্নের ছবিটা আমারও বিশেষ প্রিয়
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
কেবল কারের উচ্চতা দেখে আরেকটু হলেই হার্টফেল করতাম! এতো উপরে উঠলে তো আমি কইলজা ফেটে মরেই যামু। আপনের ম্যালা সাহস গো ভাই।
তবে আপনার 'চেহারায় চোর চোর ভাব' এর কথা শুনে মনে প্রশান্তি পাইছি। এতোদিনে প্রমাণিত হইছে আমরা সবাই একলগে বের হইলেই ক্যান ঠোলায় ধরে। কারো নাম নিমু না, কিন্তু জনৈক দুইজন, নিদেনপক্ষে একজন সাথে থাকলেই ঠোলার চেকিং মাস্ট! আর ঐ দুইজন একসঙ্গে থাকলে তো কথাই নাই। দাঙ্গাপুলিশ এসে হাজির হয়ে যায়! কবে জানি আর্মিরা ট্যাংক নিয়ে রাস্তায় নেমে যায়, আল্লা আল্লা করি খালি!
তাহলে ভেবে দেখ আমরা চারজন যদি একসাথে ঘুরতে বের হই - নির্ঘাত হাজতে নিয়ে ডিম অর্ডার দিবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মিয়া ভাই, দৌড় বানানে মাননীয় চন্দ্রবিন্দু নাই, ঐটা এট্টু এডিট কইরা নিয়েন পরেরবার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবিগুলো দারুণ সুন্দর! আর লেখা বরবরের মতই সাবলীল।
একটা বিষয় খেয়াল করলাম সচলায়তনের ছবি পোস্টগুলো দারুণ। গত এক মাসের ছবি পোস্টগুলো দেখলে টের পাওয়া যায় ছবির মান ও উপস্থাপনা, প্রাসঙ্গিক লেখা সব মিলিয়ে দুর্দান্ত! ব্লগ বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সাধারণভাবে মানুষ খুব দ্রুত ছবি শেয়ার করে, অনেক সময় এক ঘেঁয়ে বিষয়ে একই রকমের ছবি তাড়াহুড়ো করে আপলোড দেওয়া হয়, কোন ক্যাপশান থাকে না (ব্যক্তিগত সাইটে বা ফেইসবুকের ব্যাপারে আপত্তি নাই)। কিন্তু সচলে বিষয়বস্তু ও ক্যামেরার মুন্সিয়ানা, সম্পাদনা ও লেখা - সবক্ষেত্রেই যত্নের ছাপ - এই ব্যাপারটা খুব ভাল লাগছে। ফটোগ্রাফি এমনিতেই আমার প্রিয় বিষয়। যে আগ্রহ নিয়ে আমি ফ্লিকারে ঢুঁ মারি, একই রকম আগ্রহ নিয়ে আমি ছবি পোস্টগুলো দেখি।
সচলের ফটুগফুর, এক হও এক হও!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম।
তবে শুধু ছবি নয়, সচলে ইদানিং প্রচুর ইন্টারেস্টিং লেখা আসছে - অনেক অতিথিদের কাছ থেকে। এক বছর আগেও এমনটি ছিল না। শুধু সচলরাই দেখি একটু জ্যাড্যহত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
খুব সুন্দর লাগল
ছবি গুলো অসাধারন, শেষেরটা বেশি
ধন্যবাদ নীরব পাঠক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
দুর্দান্ত ছবি ও লেখা - গতো কয়েকদিনে তাসনীম ভাইয়ের বেশ কয়েকটি চমৎকার লেখা পড়লাম। এবারের ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।
#ভালোবাসি আশ্চর্য মেঘদল ...
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
অনেক ধন্যবাদ সুমন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইএমই বিল্ডিং থেকে সেন্ট্রাল ক্যাফেতে যাবার রাস্তাটার দৈর্ঘ্য এখন টেক্সাস থেকে ভ্যাঙ্কুভারের সমান লম্বা হয়ে গেছে!
এককালে জয়দীপদা'কে একটা গোল্ড লীফ সিগারেট খাইয়েই অনেক কাজ করানো যেতো। আর আপনি বলছেন এখন তিনি একটা আস্ত কাঁঠাল দাবী করেন! তাহলে তো মুশকিল। আমার আবার কাঁঠালের গন্ধ সহ্য হয় না। নাহ! আমার আর ভ্যাঙ্কুভার যাওয়া হবে না। আর ঐ ব্রীজে ওঠার চেষ্টা করলে আমারও ৩২ ডলার জলে যেতো।
আগন্তুকেরা চেহারা দেখে পার্থক্য করতে পারেননা বলে রৌদ্র আর উৎস নাকি প্রায়ই একজন দুষ্টুমী করে আরেকজনের নামে দোষ দেয়? আপনি কি ওদের পার্থক্য করতে পারেন?
লেখার ব্যাপারে বিস্তারিত মন্তব্য করার চেষ্টা অর্থহীন। আপনার লেখার স্টাইল, কনটেন্ট, রস সব মিলিয়ে অসাধারণ। ছবিও চমৎকার হয়েছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
রৌদ্র আর উৎসকে গতবার আলাদা করতে পারিনি। এইবার পেরেছি। দুটো উপায় আছে...
১/ উৎসের গালে একটা ছোট তিল আছে।
২/ নাজিমের মতে, যে দুষ্টামি বেশি করছে সেটাই হবে উৎস। আমি দেখেছি এটা ১০০ ভাগ রাইট
একজন দুষ্টামি করে অন্যজনের নামে দোষ দেয় - ঠিক...তবে এই ক্ষেত্রে উপরে #২ প্রয়োগ করলেই বের হয়ে আসে কে রৌদ্র আর কে উৎস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, আমার মনে হয় আপনার এই জাতীয় লেখাগুলো নিয়েই আস্ত একটা ই-বুক করে ফেলা যায়। দীর্ঘ লেখা আমি সাধারণত এড়িয়ে চলি, কিন্তু আপনার গুলো যত দীর্ঘ হয় ততই আনন্দ পেতে থাকি। পরতে পরতে সরস বর্ননার ছড়াছড়ি।
ঝুলন্ত ব্রীজের ছবিটা দেখে লোভ হচ্ছে দুলতে দুলতে পার হতে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী। এইবারের লেখাটার কলেবর দেখে আমিও ভড়কে গেছি - ছোট লেখা লিখতেই আরাম বেশি আর পাঠকের মনযোগ ধরে রাখা যায়। এটাতে পেরেছি দেখে ভালো লেগেছে।
ঝুলন্ত ব্রীজটা আসলেই খুব মজার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
১। যথারীতি দারুন লেখা। অন্যরা সব বলে দিয়েছে তাই আমি আর সেগুলি রিপিট করলাম না।
২। এক বাথরুমের কাহিনি শুনে মজা পেলাম। কায়রোতে আমি যে এ্যাপার্টমেন্টে ছিলাম সেখানে একটা এ্যাপার্টমেন্টেই ৮-টা টাট্টিঘর ছিল ! বেশি বেশি করে বাথরুম থাকাটাই ওখানে সাধারন নিয়ম কিনা আমি জানি না, কিন্তু ৮-বাথরুমওয়ালা এ্যাপার্টমেন্ট আমি জীবনে আগে দেখিনি। তার ওপর আবার ওটা মরুভূমির দেশ !
৩। বুদ্ধদেবের অনুবাদের উদ্ধৃতি দেখে আমার হঠাৎ মনে হল, বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাসগুলিও আপনার ভাল লাগতে পারে খুব। পড়ে দেখতে পারেন। কোথায় যেন একটা মিল পাচ্ছি - ঠিক ধরতে পারছি না।
****************************************
অনেক ধন্যবাদ।
এক এপার্টমেন্টে ৮ টা টাট্টিঘর? আর রুম কয়টা?
বুদ্ধদেব বসুর গদ্য পড়েছি, বাসায় দেব সাহিত্য কুটিরের পূজাসংখ্যা ছিল অনেক। ওখানে দুর্দান্ত একটা গল্প পড়েছিলাম - নাম ছিল - কবি হওয়া সোজা। এর বাইরে "রাত ভ'রে বৃষ্টি" পড়েছি। ওটা বেশি ভালো লাগেনি। আমি আরও পড়ার ইচ্ছে রাখি...সচলের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ও ভগিনীদের কল্যাণে এখন বই জোগাড় অনেক সহজ হয়ে গেছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো লাগল।ছবিগুলোও।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঝুলন্ত ব্রীজের ছবিটার পর যে সবজেটে ছলছলে জলের ডোবাটা আছে, ওটায় ঝপাং করে ঝাঁপ দেয়া যায় ? বড় ইচ্ছে হল...
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওটা খাদের নিচে, ঝাঁপ দিলে ওটাই হবে শেষ লম্ফ। তবে ওটার কাছে যাওয়ার হয়ত কোনো পথ আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ঝরঝরে বর্ণনা আর চমৎকার সব ছবি!! আর সর্বশেষের দেবশিশুদের ছবিটাতো অনন্য। প্রত্যেককে অনেক অনেক স্নেহাদর।
_____________________
Give Her Freedom!
অনেক ধন্যবাদ। আপনার স্নেহাদর পৌঁছে দেব সবার কাছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বরাবরের মতই সুস্বাদু লেখা... এইরকম ভাবে কী করে লিখতে হয় শেখার একটা চোথা দেবেন তাসনীম ভাই?
ট্যাক্সবুথের বিষয়টা শিওর ব্রিটিশদের থেকে এসছে, এই ব্যাটাদের একটা তিনতলা বাড়িতেও পিচ্চি সাইজের মাত্র একটা ট্যাক্সবুথ থাকে। এরা ট্যাক্স দিতে খুবই অপছন্দ করে যে এইটা তার প্রমাণ। ছোট চাচা তার জীবনের পরথম বিলাত ভ্রমণের পরে এই নিয়ে একটা বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, যেইটা হোমভিডিওতে ধারণ করা ছিল...
কিন্তু ভ্যাঙ্কুভার চরম সুন্দর আমার বন্ধুদের ছবিতে যা দেখেছি... ইউবিসির আরেকটা ক্যাম্পাস আছে Okanagan -এ। ছবিগুলো অসাধারণ আসছে। আর দ্বীপের ছবিটা দেখে রূপকথার গল্পের কোন রাজপ্রাসাদ মনে হলো!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর।
চোথা বানাতে পারলে পাঠিয়ে দেব
পুরো বাসায় একটা বাথরুম বৃটিশ আইডিয়া এটা আমারও মনে হয়েছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, ভ্যাঙ্কুভারে কবে আসছিলেন? আগে জানলেতো দেখা করা যেত।
ভ্যাঙ্কুভারের রাস্তাঘাট অপ্রতুল এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই কিন্তু একই সাথে অনন্য সুন্দর। বেশি রাস্তা হয়ে গেলে মনে হয় এত সৌন্দর্য থাকবে না। আর ভ্যাঙ্কুভারতো সবুজতম নগরীর জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করছে তাই এত গাছের সমারোহ। আরও অনেক হ্যাপা আছে, যেমন পার্কিং ফি মনে হয় পুরো নর্থ আমেরিকার মধ্যে ভ্যাঙ্কুভারে বেশি, তেলের দাম বেশি, রাস্তা চিপা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার অবশ্য টয়লেট নিয়ে কোন সমস্যা নেই, যা আছে তাতেই চলে যায়। ট্রিপে গেলে ম্যাকডোনাল্ড/স্টার বাকস তো আছেই এজন্য।
আপনার ছবিগুলো বেশ ভালো লাগল। ক্যাপিলানোতে এখনো যাওয়া হয়নি, যাবো কোন এক সময় হয়ত।
খরচের কথা আর বলবেন না, এটাই ভ্যাঙ্কুভারের সবচেয়ে খারাপ দিক। এই একটা কারণেই হয়ত ভ্যাঙ্কুভার ছাড়তে হবে। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় স্বর্গে থাকার জন্য এটুকু কষ্টতো করাই যায় নাকি?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আমাদের শহরে "হেভেন" নামে একটা রেঁস্তোরা আছে...ওটার সামনে লেখা...হেভেন পার্কিং ইজ এক্রস দ্য স্ট্রিট। ওটা দেখলেই মনে হয় স্বর্গের পার্কিং বেশ সমস্যা। স্বর্গসম শহরে ভ্যাঙ্কুভারেও একই সমস্যা মনে হয়েছে। খরচটাও স্বর্গের তুলনায় বেশ বেশি
যাহোক আপনি ভ্যাঙ্কুভারে থাকেন আগে জানলে হতো...আমি জানতাম শুধু সুজনদা ওখানে থাকেন। উনি দেশে ছিলেন ওই সময়ে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
উহুঁ! পার্কিং নাকি সবচেয়ে বেশি নিউইয়র্কে...দ্বিতীয় ক্যালগেরি। ক্যাল্গেরি ডাউনটাউনে ঘন্টায় ১০ ডলার...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
রোদ্র আর উৎস যে জমজ তা ফেসবুকে ছবি দেখে বুঝিনাই, তবে আমার স্ত্রী ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো। আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। সাথের ছবিগুলাও ভালো তুলেছে্ন।
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাবির নজর তীক্ষ্ম ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো সপ্তাহ খানেক পরেই আসছেন...খুবই ভালো লাগবে ভ্যাঙ্কুভার শহর। নর্থ আমেরিকার সেরা শহরগুলোর একটা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ছবি আর অসাধারন বর্ননায় আমাদেরকে ভ্যাঙ্কুভার ঘুরিয়ে আনার জন্য ধন্যবাদ। এক কথায় দারুন। রোপওয়ে বোধহয় মালোয়েশিয়ার লাংকাউয়ি দ্বীপের টা সবচেয়ে ভয়ংকর। আবার ও বলি চমৎকার আপনার লেখার হাত . . .
ধন্যবাদ অচিন পাখি।
হুইসলারেরটা মোটেও ভয়ংকর নয়, বরং বেশ মজাদার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
টেক্সাসের মতো রাস্তা আসলে কোথাও নাই।
আসলেই নাই...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আজকেই ঘরদোর ভাসতেছে, কালকে আইরিন আইলে কিচ্ছু বিশ্বেস নেই কী হয়ে পড়ে... যাওনের আগে তাই আপনারে absolve করে দিয়া গেলাম...
নিরাপদ ও সুস্থ থাকুন এই কামনা রইল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এহ ছবি দেইক্ষা তো অহনই তল্পি তল্পা লয়া দৌড়ায়বার মন চায়...
সকাল সকাল ভালো ভ্রমণ হয়ে গেলো একটা, শেষের ছবিটার পিচ্চিগুলোকে আসলেই জিপিএ ৫ না ১০ দিলাম...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভ্যাঙ্কুভার আসলেই দারুণ সুন্দর।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অরফিয়াস।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ভালো
জল আর পানির তফাত আছে ঠিক, কিন্তু বাঙালি মুসলমানরা প্রবাদ ভার্সনে জল ব্যবহার করে প্রায়শই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পিচ্চিদের পানি খাওয়ার পদ্ধতি খুবই ঠিকাছে। দাঁত থাকলে বিচ্ছিরি প্যাচ খুলে বোতল খোলার ঝামেলায় কে যায়।
লেকাহ ছবি সবই মারাত্মক রকমের হয়েছে। এইবার গল্প আর ছবি নামের একটা ই-বই এর আশায় থাকলাম
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
যথারীতি জটিল পোস্ট তাসনিম ভাই, ছবিগুলো খুবই সুন্দর
কোথাই যেন পড়েছিলাম ভ্যান্কুভার ওয়ার্ডের "নাম্বার ওয়ান মোস্ট লিভবেল সিটি" হয়েছিল টানা কয়েক বছর
১টা টয়লেটের সমস্যা অস্ট্রেলিয়াতেও প্রকট - এত্তো বড় বড় বাড়ি বানায় - কিন্তু টাট্টুঘর মাত্র একটা!
ভাল থাকবেন
ভ্যাঙ্কুভার প্রতি বছরই টপ চার্টে থাকে। ওই চার্টে ওঠার জন্য বাথরুম কোনো বিবেচ্য বিষয় নয় মনে হয়।
আপনিও ভালো থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার লেখা নিয়ে মন্তব্য করবোনা আর!
শেষ ছবিটা সবচাইতে পছন্দ হলো! বামদিক থেকে দ্বিতীয় যিনি হুডে মুখ ঢেকে বসে আছেন তিনি মনে হয় খুবই মুডি!!
ধন্যবাদ আপনাকে। হুডে মুখ ঢেকে আছেন দৃপ্ত...অন্যান্য সময়ে বেশ দৃপ্তই তার পদচারণা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক ভাল লাগ্ল... চমৎকার!
এটা অসাধারণ।অসাধারণ এ কারনে যে, এটা পড়ে আমিও সাধ মত মনে মনে বেড়িয়ে নিয়েছি।
বাচ্চাদের সাথে দৈনিক সময় কাটানোর ব্যাপারে সহমত। শিশুমন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারাটা তো ভাগ্যের ব্যাপার।
চমত্কার লেখার জন্য
নতুন মন্তব্য করুন