জীবনের ছয় ছয়টা বছর যেখানে কাটালাম, তা নিজের বাড়ির মতই হয়ে গেছে। তাই রেনেসাঁর এই গানটাই মনে পড়ে গেল ছবিগুলো কম্পাইল করার সময়।
সচলায়তনের অনেকেই হয়তো চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে যাননি। আইয়ূন আঁরার লয় চিটাগং ইউনিভার্সিটি গান এককানা ঘুড়ি জন……………।
যদি বাস বা গাড়িতে যান তা হলে প্রথমে এই প্রবেশপথটি আপনাকে রিসিভ করবে। চিটাগং ইউনিভার্সিটির মূল প্রবেশপথ এইটিই। এটি এক নং গেইট। এই রাস্তা ধরে সোজা গেলেই আপনি পৌছে যাবেন চিটাগং ইউনিভার্সিটিতে।
[img=240x416][/img]
http://www.google.com/imgres?q=university+of+chittagong&um
এটি হচ্ছে শাটল ট্রেন। এই ট্রেনে না চড়লে বোঝা যাবেনা এত কষ্ট করে ছেলেপিলেরা কেন এই ট্রেনে চড়ে।তবে যাদের বয়স ৩০ এর উপর তারা না চড়াই ভাল এই ট্রেন। আপনি যদি ট্রেনে যান, তাহলে একেবারে চট্রগ্রাম শহর থেকে সরাসরি ক্যাম্পাসে পৌঁছে যাবেন।
[img=370x500][/img]
http://www.google.com/imgres?q=university+of+chittagong
ইউনিভার্সিটি ট্রেন ষ্টেশন এটি।
[img=375x500][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
ট্রেন থেকে নেমে একটু এগিয়ে গেইট পেরুলেই এই স্তম্ভ। মহান মুক্তি সংগ্রামের শহীদের স্মরনে বানানো। ওইতো রিক্সা দেখা যায়। চাইলে রিক্সা নিতে পারেন। অথবা কাটা পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যান মূল ভবন গুলোতে।
[img=375x500][/img][img=375x500][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
এই হচ্ছে কাটাপাহাড়ের রাস্তা। আমাদের সময় এত গাছ ছিলনা। কেমন ন্যাড়া ন্যাড়া ছিল। আপনি হাঁটতে হাঁটতে উপভোগ করতে পারেন দুপাশের এই রূপ।
[img=375x500][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
কাটা পাহাড়ের রাস্তা দিয়ে সোজা আসলে পৌঁছে যাবেন শহীদ মিনার চত্তরে। একটুখন দাঁড়িয়ে যেতে পারেন ভাষা আন্দোলনের শহীদেরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে।
[img=375x500][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
এবার সোজা এগিয়ে যান। এসে গেলেন আইটি বিল্ডিং আর লাইব্রেরির সামনে। প্রথম ছবিটা লাইব্রেরির আর পরেরটি আইটি বিল্ডং এর।এখানে যে গাছগুলো দেখছেন তার কিছু জারুল আর কিছু কৃষ্ণচূড়ার। এই দুই ফুলের সিজনে কিরক্ম হয় একটু চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন তো!!!
[img=334x500][/img] [img=214x320][/img]
http://www.google.com/imgres?q=commerce+faculty+building+of+chittagong+university&hl=en&sa=G&gbv=2&tbm=isch&tbn
লাইব্রেরি আর আইটিতো হাতের বামদিকে। ডানে তাকান, দেখবেন কলা ভবন। সবচাইতে পুরোনো ভবন এটি।কলা ভবনের এই সিঁড়ির মাথায় টাংগানো হয়েছিল প্রজেক্টর আর ঐ জায়গা থেকে লাইব্রেরী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীরা বসে দেখেছিল মুক্তির গান খোলা আকাশের নীচে।
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
কলা ভবন আর লাইব্রেরির মাঝখানে আছে এই শান্তি স্তম্ভ।চারুকলার অবদান এই ভাষ্কর্য।
[img=235x314][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
নিশ্চয় অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছেন। একটু চা/পানিও খাওয়া দরকার। সোজা চলে যান ঝুপড়িতে। রাজনীতি, প্রেম, পড়ালেখা, সংস্কৃতি চর্চা কি হয়না এই ঝুপড়িতে? সেই জাহাংগীরের দোকানের খিচুড়ীর মজা আর কোথাও পেলাম না।
[img=235x314][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
ঝুপড়ি পছন্দ হলোনা? চাকসুতে চলে যেতে পারেন। তবে বেশী দেরী হয়ে গেলে কিন্তু কিছুই পাবেননা। আবার ডানদিকে হেঁটে ঝুপড়িতেই যেতে হবে।
[img=211x314][/img]
ছবিঃ গুগল ইমেজ।
চাকসুর সামনে দিয়ে চলে যেতে পারেন সাইন্স ফ্যাকাল্টির দিকে। চাকসুর উল্টোপাশে যে লেকটা আছে তার ধার দিয়ে হাঁটতে পারেন।লেকটার ছবি কোথাও পেলামনা। এই হচ্ছে সাইন্স ফ্যাকাল্টি।
[img=235x314][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
সাইন্স আর মেরিন সাইন্স ফ্যাকাল্টি দেখা হলে যে রাস্তায় এসেছেন তা ধরে ফিরে চলেন। ঝুপড়ির কাছাকাছি এসে বামদিকে হেঁটে ঘুরে আসতে পারেন চারুকলা। ঢালী আল মামুন স্যার কিন্তু এখানেই পড়ান।
[img=235x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
চারুকলার পেছনে আছে একটা ছড়া (চিটাগাং এর ভাষায় ঝরণাকে ছড়া বলে।)তবে ঝরণার পানির চাইতেও বেশী মুগ্ধ করবে এইখানকার সবুজ পাহাড় আর গাছ পালা।
[img=235x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
এবার যেতে হবে অন্যদিকে। তাই চারুকলার সামনে থেকে রিকশা নিয়ে নিন। কোথায় যেতে চান প্রথমে? দূরের দিক থেকেই শুরু করুন। চলুন দুই নং এর দিকে। বুঝলেন না? আমাদের ল’ফ্যাকাল্টি দুই নং গেইটের কাছে। তাই ল’ফ্যাকাল্টিকে দুই নং বলে সবাই(আইন বিভাগটাই কেন দুই নং এ কে জানে????যেতে যেতে হাতের ডানে শহীদ মিনার আর কাটা পাহাড়ের মাঝখানে দেখবেন বিজনেস ফ্যাকাল্টি।ভার্সিটির নতুন বিল্ডিংগুলার মধ্যে এটি একটি।
[img=229x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
একটু এগিয়ে বামে তাকালে দেখবেন সোস্যাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টি। এটি ভার্সিটির সবচাইতে নতুন স্থাপনা। এই ফ্যাকাল্টির ক্যফেটেরিয়ায় দারুন লাঞ্চ পাওয়া যায়।
[img=375x500][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
এরপর রিক্সা বেশ কিছুখন চলবে পাহাড়ী রাস্তা ধরে। তারপর বাঁক নিয়ে পরিবহনের অফিস পেরুলেই হাতের ডানে পরবে খেলার মাঠ। এই খেলার মাঠ অবশ্য বেশীরভাগ সময় আশেপাশের গ্রামের লোকজনের গবাদি পশুচারণভূমি।
ফটোঃ গুগল ইমেজ
এরপর উঠে যেতে হবে পাহাড়ী সিড়ি বেয়ে ল’ফ্যাকাল্টির মূল ভবনে। ভাগ্যভাল থাকলে দেখবেন শত শত সোনালু ফুল থোকায় থোকায় ঝুলছে। এটি যে কি পরিমান অপূরূপ দেখতে, তা না দেখলে বুঝবেন না।তারপরই পৌঁছে যাবেন ল’ফ্যাকাল্টিতে।
[img=336x448][/img]
ফটো ক্রেডিটঃ ফেসবুক বন্ধু
ল’ফ্যাকাল্টি দেখা হলে কাছেই প্যাগোডাটা দেখে নিতে পারেন।ফ্যাকাল্টির মূল রাস্তার পাশের পায়ে চলা পথটা ধরে এগিয়ে যেতে হবে এই অপূর্ব নিদর্শনটি দেখতে।
[img=207x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
ল’ফ্যকাল্টি দেখা শেষে আবার রিক্সায় উঠেন। এইবার যাবেন অন্যদিক দিয়ে। মানে ল’ফ্যাকাল্টিতে আসার সময় যেদিক দিয়ে এসেছিলেন, তার উল্টা পাশদিয়ে বেরুবেন। যাবেন ফরেস্টি ইন্সিটিটিউটে। হাতের ডানদিকে একে একে দেখতে থাকবেন ছাত্র হল গুলো। ছবিতে দেখছেন সবচাইতে পুরানো হল আলাওল হল।
[img=235x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
বেশ কিছুক্ষণ ‘এ জার্নি বাই রিক্সা’ করার পর পৌঁছে যাবেন ফরেস্ট্রি ইন্সটিটিউটে। পথে দু’চোখ ভরে দেখতে পাবেন প্রকৃতির অপার মহিমা। তবে মূল ভবনে পৌঁছাতে হলে আপনাকে কিছুটা পায়েও হাঁটতে হবে।এই রাস্তাটা ধরে হাঁটতে নিশ্চয় কষ্ট হবেনা।
[img=194x259][/img] [img=213x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
এবার আবার ফিরে যাওয়ার পালা। চলে আসুন দোলা সরণীতে। ছোট্ট দোলা গাড়ি চাপা পরে মারা গিয়েছিল বলে এই জায়গার নাম ওর নামে হয়েছে।দোলা সরনীর কাছের পুকুরটা পেরিয়ে এগিয়ে গেলে যে দুই রাস্তার মুখে পৌঁছাবেন তার বাম দিকে বোটানিকেল গার্ডেন।
[img=166x304][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
বামদিকে গেলে একে একে পেরুবেন লেডিস হলগুলো। ছবিটি প্রীতিলতা হলের।
[img=235x314][/img]
ফটোঃ গুগল ইমেজ
এবার সোজা গেলেই পৌঁছে যাবেন শহীদ মিনার প্রাংগনে। আপনার এবার ফেরার পালা। আর আমার স্মৃতির ঝাঁপিও আপাতত বন্ধ করি।
এই লেখাটা পড়ে বা ছবিগুলো দেখে পাঠকরা কতটুকু উপভোগ করেছেন জানিনা। কিন্তু আমার নিজের জন্য এই পোস্টটার মুল্য অনেক। যে কোনদিন আমি ঘুরে আসবো আমার ভার্সিটিতে এই ছবিগুলো দেখতে দেখতে।
---রুমঝুম-------
ছবি এমবেড করার সাজেশন দিয়ে সহায়তা করার জন্য পছন্দনীয়, আরেফিন আর সচলায়তন টিমকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য
অসাধারন..................
তবে শামসুন্নাহার হলের ছবি না দেবার জন্য আপনাকে মাইনাস
যাই হোক....ক্যাম্পাস ছেড়েছি মাত্র ১ মাস..........আজ আপনার পোস্ট দেখে ভীষন নস্টালজিক হয়ে গেলাম...কত স্মৃতি আমার ওই পথে পথে.....আমার কাটা পাহাড়, ঝুপড়ি, আমার সোসাল সায়েন্স ফ্যাকাল্টি.........যার প্রতিটা কোণায় আমার স্মৃতি আছে....আমার দুষ্টুমী...আমার অভিমান.....আমার বন্ধুদিন....সব ভীষন মনে পড়ছে.........মনটা খুব খারাপ লাগছে......
ভালো থাকবেন..........
ভীষন ভালো................................
মাইনাস দিলে সেমসাইড হয়ে যাবে । আমিও শামসুন্নাহার হলের। তবে রাস্তায় যেতে আসতে পরেনা বলে বাদ পড়ে গেছে।
অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকবেন। কর্মজীবনে প্রবেশে শুভেচ্ছা।
কত নম্বরে ছিলেন আপু???
আমি ছিলাম ২০৬ এ। গতবছর কিচেন রুম করার জন্য ৬ নম্বর রুমগুলো রিকুইজিশন করে নিল...তার পর থেকে ছিলাম ৪২১ এ.....
ভালো থাকবেন আপু......
নীরা
আরে নিরা, আমি থাকতাম ২০৭ এ। তবে বেশিরভাগ সময়ই হলে থাকা হতনা। কিচেন রুম মানে? হলের অবস্থা কি আগের মতই আছে নাকি? বাহ খুব বাল লাগলো তোমাকে পেয়ে...
ভাল থেক।
তাই...........ওয়াও........ওই রুমে সুমি আপা ছিল ইংরেজির.........জানি না চিনতেন কিনা......২০৬ এ জেমী আপা ছিল...পলিটিক্স করতো......চিনতেন???
হল আগের মতোই আছে শুধু যেটা ক্যানটির ছিল ওইটা এখন টিভি রুম....খালেদা জিয়া হলের বাউন্ডারির দিকে নতুন ক্যান্টিন হয়েছে...মাসী মেসো আছে আগের মতোই...সামনের ব্লকের ৬ সম্বর রুমগুলোতে গ্যাসের লাইন দিয়ে চুলা বসিয়েছে....রুম থেকে হিটার উঠিয়ে নিয়েছে। আর দক্ষিণ ব্লকে ১৯ নম্বর রুমগুলোতে কিচেন হয়েছে। ইয়াসিন ভাই এর দোকান আগের মতোই আছে......হলের ঝুপড়ীও আছে আগের মতোই.....
ভালো থাকবেন আপু.......
না আপু, সুমি মনে হয় আমাদের জুনিয়র। আসলে আমি মাস্টার্স পাশ করেছি ২০০৫এ। আর তখন চাকরি করতাম বলে ক্লাস ও তেমন একটা করতাম না তাই হলের সাথে আমার যোগাযোগ কমে গেছে ২০০৩/২০০৪ এর দিকে।
ক্যন্টিন ত আমাদের সময় ও টিভি রুম ছিল। ইয়াসিন ভাই দ্য গ্রেট তা হলে এখনো আছেন। গ্যাসের চূলার আইডিয়াটা ভাল হয়েছে।
তুমিও ভাল থেক।
বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছি ষোল বছর আগে। অনেক কিছু বদলে গেছে। নতুন রাস্তা হয়েছে, নতুন ফ্যাকাল্টি, নতুন দালান। আপনার ছবি আর বর্ননায় রীতিমত মুগ্ধ। তবে প্রথমদিককার ছবিগুলো যেমন সুন্দর ঝকঝকে এসেছে শেষদিকের ছবিগুলো যদি সেরকম আসতো তাহলে ষোলকলা পূর্ন হতো।
কাটাপাহাড়ের এই চেহারা আমার কাছে নতুন। আমাদের সময় ওদিকে কোন রাস্তা ছিল না। কেবল এবড়ো থেবড়ো পাহাড়কাটা লালচে বাদামী বালিময় পথে হেটে ক্যাম্পাসে যেতাম যদি কখনো বাসের সমস্যা হতো। ওই দৃশ্যটা অপার্থিব সুন্দর ছিল। পাহাড়ের গর্তে গর্তে কি এক জাতের পাখি বাস করতো। তাদের কিচির মিচির শব্দে পুরো পাহাড়জুড়ে অসাধারণ এক আবহ তৈরী হতো।
ঝুপড়িগুলো দেখি আগের চেহারায়ই আছে। আমাদের আমলে জাহাঙ্গীরের খিচুড়ি ছিল না। আমরা চনা পেয়াজু মুড়ি কলা পাউরুটি চা, এই দিয়ে কাটিয়ে এসেছি।
গোল পুকুরের কোন ছবি পাননি? ওই জায়গাটা ভার্সিটি ক্যাম্পাসের সবচেয়ে সুন্দর। আমার কাছে কিছু ছবি আছে, তবে হাতের কাছে নেই বলে দিতে পারছি না।
ট্রেন স্টেশানটাই কেবল সেই আদিরূপে আছে। কতো স্মৃতি.........................। দারুণ একটা ভালো লাগানিয়া পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী।
কাটা পাহাড় রেনোভেট করা শুরু হয় আমাদের সময় মানে ১৯৯৮/৯৯ এর দিকে। তখনো ন্যাড়া ন্যাড়া ছিল। আমার বর (তখনো অবশ্য বর হয়নি) আর ওর বন্ধুরা কিছু গাছ লাগিয়ে ছিল। জানিনা ঐগুলিই কি বড় হয়েছে কিনা। নীল রংএর ডানার ওই ছোট ছোট পাখিগুলো আমরাও দেখেছি। খুব ব্যস্ত পাখি।
গোল পুকুর আর জারুল তলার ছবি যোগাড় করতে পারিনি। বাকি ছবিগুলো কিছু আমার ফেসবুক বন্ধুদের এলব্যাম থেকে নেয়া আর কিছু গুগ্ল থেকে। গুগ্ল থেকে নেয়া ছবিগুলো তেমন ভাল আসেনি। আর এখনো ফরমেটিংটা ভাল করে রপ্ত হয়নি বলে বেশ কিছু অনাকাংখিত লিংক আর শব্দ এসে গেছে। তার জন্য দুঃখিত।
ভাল থাকবেন আর শুভ কামনা রইল।
লেহা বালা অইয়্যে। অঁনে ভার্সিটিত ফইজ্যুন, অঁনত্তে গুগল ইমেইজ আর ফেইসবুক'র বন্দুত্তুন সবি কিল্লাই ল'ন লাগের? অঁনর নিজত্তে এ্যাঁনা সবি থ'নর হতা । সিটাং ভার্সিটিত আঁই আইজু ন যাই, আঁর চাচা উগ্যে এ্যাঁন্ডে সঁরি গরে, এদ্দিন সম' গরিয়েনে ইবের হোঁয়ারে যাইয়্যুম।
গম তাইক্কুন। নিয়মিত সচলত লিখিত থ'ন।
(উপরের অংশটুকু হার্ডকোর চিটগনিয়ান অ্যাকসেন্টে ফোনেটিক্যাল্লি লেখা, না বুঝলে বাংলায় তর্জমা করে দেয়া হলো।)
লেখা ভালো হয়েছে। আপনি চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে পড়েছেন, আপনার গুগল ইমেজ আর ফেসবুক বন্ধুর থেকে ছবি কীজন্য নেয়া লাগছে? আপনার নিজের কাছেই তো থাকার কথা । চিটাগং ভার্সিটিতে আমি এখনও যাইনি, আমার এক চাচা ওখানে চাকরি করেন, একদিন সময় করে ওনার সাথে যাব।
ভালো থাকুন। নিয়মিত সচলে লিখতে থাকুন।
বদ্দা, তর্জমাগান ভালা হইয়্যে। আঁরতুন যে কতেকিন ছবি আসে বেকগুনত খালি মানুষ আর মানুষ। ইতার লাই ন দি।
লেখা বালা কওনর লাই দন্যবাত।
তর্জমাঃ
ভাই, আপনার তর্জমাটা ভাল হয়েছে। আমার কাছে যে কয়েকটা ছবি আছে, তাতে শুধু মানুষ আর মানুষ। তাই দেইনি। লেখা ভাল বালার জন্য ধন্যবাদ।
ফোয়া ইবা তো খাঁডি চাঁটগাঁইয়্যা এনা দেহি!!!
ফোয়া ইবা তো খাঁডি চাঁটগাঁইয়্যা এনা দেহি!!!
জন্ম থেকে জ্বলছি.. মানে চট্টগ্রামে আছি তবু চাঁটগাঁইয়্যা বলতে পারি না। [ছিক, কী নজ্জা!]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
@Tanjim, ফোয়া ইবাও ত বালা চাঁটগাঁইয়া কইত্তে তারে।
@তিথীডোর, আমার বাড়ির লোকজন, শুনলে খুব আবাক হবে আমি এতগুলো চাটগাঁইয়া কথা বলেছি। আমি ভাল বলতে পারিনা। বিরাট লজ্জা এটি আমার জন্য।
চিটাগং ভার্সিটিতে গেছি মোট দুবার, বন্ধুদের সঙ্গে..
ফরেস্ট্রির ওদিকটায়, ওই যে ঝর্ণা আর প্যাগোডা আছে, ওই জায়গাটা অদ্ভুত সুন্দর!
চাঁটগাঁইয়াদের বড় ভালু পাই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনি সবচাইতে সুন্দর জায়গাগুলোতেই গেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আর চাঁটগাইয়ারা আসলেই ভাল মানুষ......ভাল ত লাগবেই... ।
তবে কি জানেন? বিদেশে এসে টের পাচ্ছি, বাংলাদেশের সব অঞ্চলের মানুষই আসলে অসাধারণ।
শাটল ট্রেনভিত্তিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কথা একটু বলতে পারতেন। ছবিগুলো আমাকেও স্মৃতিকাতর করল। একদা আমিও পড়তাম এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। মৌলবাদের করাল ছোবল কিভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মুক্তবুদ্ধির চর্চকে রুদ্ধ করেছিল তা দেখেছি। কিভাবে সাধারন শিক্ষার্থীরা মৌলবাদের মূল উৎপাটনের সংগ্রাম করেছিল তা দেখেছি। কত স্মৃতি। শাটল ট্রেনের একটা গান খুব মনে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দিনগুলো যায় যায়
হারিয়ে যায়
উচ্ছল বর্নালী দিনগুলো হায়
মিলিয়ে যায় হাওয়ায়।
করিডোরে কথা শেষে ক্লাসে ঢোকা
নীরবে একমনে লেকচার শোনা
ক্যান্টিনে তর্কের ঝড় তোলা
রাজনীতি, প্রেম নিয়ে কত কথা বলা
এরই মাঝে কেউ করে মন দেয়া নেয়া
চোখের ইশারায়।
আর কটা দিন পরে ভাসিয়ে ভেলা
জীবনের তরি বেয়ে উজানে চলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিগুলো তাই রেখো ধরে
মনেরই খাতায়।
মাঝখানে একটা প্যরা ভূলে গেছি। কেউ কি পারবেন পুরো গানটা দিতে?
আমার সাথে আসলে শাটল ট্রেনের সম্পর্ক চুকে গেছে ফার্স্ট ইয়ারের পর পরই। তাই খুব বেশি কিছু জানিনা। তবে আমাদের সময় কিন্ত একটা জোয়ার এসেছিল সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার। মৌলবাদের কুতসিত রূপটা ততটা দেখা হয়নি আমাদের। যদিও ভেতরে ভেতরে ছিল।
অসাধারণ এই গানটা শোনা হয়নি ত। আমিও শুনতে চাই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বাহ। খুব ভালো লেখা।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ অনার্য সঙ্গীত।
বিশ্ব্ববিদ্যালয় জীবন ঢাকায় কেটেছে, কিন্তু সেই কলেজ লাইফ থেকেই মওকা পেলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে আসা এক বিষম বদভ্যাস হয়ে গেছে। আমার বেশিরভাগ ঘোরাঘুরি অবশ্য সাউথ ক্যাপমাসে ফরেস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের ওদিকে, আর আমার ক্যামেরার প্রথম হাতেখড়িও এখানে ছবি তুলতে গিয়ে। আরও কত শত স্মৃতি...
আর শিরোনামের গানটা আমার অসম্ভব প্রিয়, ইনফ্যাক্ট গানের মূল গায়কের পাশাপাশি বসে গানটা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল কিনা!
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অদ্রোহ, কিছু ছবি সময় পেলে আমদের সাথে শেয়ার করলে ভাল লাগবে।
গানটার লিংক পেলামনা কোথাও।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আহা বিশ্ববিদ্যালয়! ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ অব্দি এখানেই কেটেছে আমার জীবনের দশটা বছর। আমার যৌবনের সবচেয়ে ঘটনাবহুল দশটা বছর। ভাবছেন, এ কোন আদু ভাই এল রে আবার, না? আসলে যত দোষ সব ঐ ইংরেজী বিভাগের। আমার পাঁচ বছরের কোর্সটাকে দীর্ঘায়িত করে আমাকে বাজে মাল বলে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। তবুও, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার স্বপ্নের শুরু। কত স্মৃতি। কত ঘটনা। ফুল ফোটার মৌসুম ও দেখেছি। আবার রক্ত ঝরার মুহুর্তও।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
সেশন জটটা যে কি পরিমান ফ্রাস্ট্রেটিং হতে পারে তা আমি জানি। চার বছরের কোর্স আমি শেষ করেছি সাত বছরে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আগে দেখা হয়নি। ঘুরিয়ে দেখানর জন্য ধন্যবাদ।
"ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম" এর ভাল বাংলা কি হতে পারে?
আসলে খুবি সুন্দর এই ক্যাম্পাসটি। শুধু অবহেলিত।
ছবি পোস্ট সবসময়ই ভালো লাগে , আমি ২ বার চট্টগ্রাম গেলেও কখনো চবি তে যাওয়া হয়নি।
ধন্যবাদ, আর আমার নামটা আরিফিন, আরেফিন নয়
আরিফিন সন্ধি
আরিফিন সন্ধি, আর ভূল হবে না। এরপর চট্টগ্রামে গেলে ঘুরে আসুন না আমাদের ভার্সিটিটা। সবচাইতে ভাল হয় মে-জুনের দিকে গেলে। ওই সময় নানা রঙ্গের ফুলের মেলা বসে আমাদের ভার্সিটিতে।
পোস্ট ভাল লেগেছে শুনে খুব খুশি লাগছে।
ধন্যবাদ ছবি গুলো শেয়ার করার জন্য। ২০০২ সালে অনার্স শেষ করার পর মাত্র দু বার যাওয়া হয়েছে সবুজে ছাওয়া প্রিয় ক্যাম্পাসে। আমি ফরেস্ট্রির ছাত্র। শিবির সংক্রান্ত উৎপাতে বিরক্ত হয়ে থিসিস করা অবস্থায় ছেড়ে দিয়ে ভর্তি হই আইবিএ তে। প্রকৃতিবিদ হওয়ার স্বপ্নের সেখানেই ইতি। তারপর থেকে কর্পোরেট জীবনের ইদুর দৌড় চলছেই। কিন্ত জীবনের স্বর্নালী সময় টুকু কেটেছে চবি ক্যাম্পাসে। রাতের বেলায় ফরেস্ট্রির পাহাড় চুড়ায় হেলিপেডে বন ফায়ার আর গিটার বাজিয়ে সুরে বেসুরে দল সংগীত, হাইকিং করে চবি থেকে সীতাকুন্ড পর্যন্ত যাওয়া, গভীর রাতে সাউথ ক্যাম্পাসে কাঠাল চুরি করতে গিয়ে প্রক্টরের কাছে ধরা খাওয়া, রাতের বেলায় ফরেস্ট্রি হোস্টেলের বারান্দায় তুমুল ক্রিকেট খেলা, রাত জেগে তিন পাত্তি . . . আহ্ কি চমৎকার ছিল সেই সব দিনগুলো . . অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন!
ধন্যবাদ অচিন পাখি।
আমারো একি অবস্থা। চাকরি সুত্রে ঢাকায় থাকার কারণে মাস্টার্সের পর আর যাওয়া হয়নি ক্যাম্পাসে। সত্যি কথা বলতে কি চবি ক্যাম্পাসের প্রকৃতি ছাড়া আমার ট্রেজার করার মত আর কোন ভাল কিছু নেই। তারপরও জীবনের ছয়টা বছরের কিছু কিছু মুহুর্তকে এক করলে অনেক বড় কিছু হয়ে যায় নিশ্চয়।
রাজীব মামা রে, তুইও ঢুঁ মারিস এখানে?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
ভালো লাগলো... আমার কখনো যাওয়া হয়নি
প্যাগোডার ছবি দেননি
চিটাগং ইউনিভার্সিটির চেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়টাই বেশি শ্রুতিমধুর হতো বলে ধারণা করি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ।
প্যাগোডার একটি 'বার্ড আই ভিউ' ছবি পেলাম গুগলে। ওটাই দিলাম। আর কোন ছবি পাইনি। আসলে যখন ছাত্রী ছিলাম তখন বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো ক্যামেরা বন্দি করতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু বন্ধুদের সাথে সাথে চারপাশের প্রকৃতিকেও যে মিস করবো তা তখন বুঝিনি।
যুক্তাক্ষর টাইপ করাটা এখনো ভাল ভাবে রপ্ত হয়নি। তাই চিটাগং ইউনিভার্সিটি লিখেছি।
চট্রগ্রামে কয়েকবার যাওয়া হলেও যাওয়া হয়নি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। লেখাটি পড়ার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি সামনে চট্রগ্রামে গেলে অবশ্যই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে আসব। তাছাড়া একটি বিষয়ে আমি এখন নিশ্চিত হয়েছি, আমার নিজের বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ করে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাকৃতিক উদারতায় (যা উচ্চ শিক্ষার একটি অপরিহার্য উপাদান) অনেক পিছিয়ে।
খুব খুশি হলাম আপনার সংকল্প শুনে। চেষ্টা করবেন মে-জুনের দিকে যেতে। জারুল, কৃষন চূড়া আর সোনালু ফুলে ছেয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস।
প্রাকৃতিক উদারতাকে শিক্ষার উপাদান হিসেবে শুধু চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীরাই পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করে আমাদের ক্যাম্পাসে। অথচ এই অসাধারণ প্রকৃতি কিন্তু সব শিক্ষার মাধ্যম, বাহন ও উপাদান হতে পারত।
ভাল থাকবেন আর তাড়াতাড়ি চবিতে গিয়ে ছবি তুলে একটা পোস্ট দেন।
গানের লিংকঃ
http://www.esnips.com/doc/fb04b232-9036-4b7e-a588-6f34b0676a1e/Aro-Deshot
তানভীর ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ গানের লিঙ্কটা দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ গানের লিংকটার জন্য।
চট্টগ্রাম ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম একবার। ক্যাম্পাসটা সুন্দর, বিশেষত প্রবেশপথটা দারুণ লেগেছিলো। আপনাদের টিএসসি(ঝুপড়ি) দেখে মজা পেয়েছিলাম, শহীদ মিনারেই মনে হয় একটা মূকাভিনয়ও দেখেছিলাম।
প্রতিটা ছবির নীচে ফটো কৃতজ্ঞতা না দিয়ে, একেবারে শেষে দিলে ভালো লাগত।
লিখুন নিয়মিত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কদিন আগে ঘুরে এলাম শাবিপ্রবি। ওখান থেকে আসবার পথে মনে হলো, ঢাবি বাদে বাংলাদেশের বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে ভ্রমণ করেনি, তাদের ধারণাই হতে পারেনা যে একটা ক্যাম্পাস কত সুন্দর হতে পারে। একেকটা ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য একেক রকম লাগলো আমার কাছে।
বাপ্রবি এর ছাত্র হিসেবে দুঃখ এই একটাই- পাঁচটা মিনিট একলা চুপচাপ বসবার জায়গাটা নেই এখানে।
সামনের বার চট্টগ্রাম গেলে ইচ্ছে আছে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার।
আসলে শহরের মাঝখানে বলে ঢাবি বা বাপ্রবি একটু ক্রাউডেট মনে হয়। তারপরও প্রত্যকটা ইউনিভার্সিটির আলাদা সৌন্দর্য আছে। আমার দেখা এপর্যন্ত সবচাইতে সুন্দর ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিআইটির।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। চবি গেলে ছবি দিয়েন।
হুমম......ঠিক বলেছেন। ছবির কৃতজ্ঞতার ব্যাপারটা শেষে দেয়া যেত। আসলে এখনো শিখছি।
সাহস দেবার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের টিএসসি বলে কিছু নেই। একবার প্রস্তাব শুনেছিলাম শহরে টিএসসি জাতীয় কিছু হবে। কি হাস্যকর চিন্তা করেন। হাজার হাজার ছেলেমেয়ে পড়বে ১৩ মেইল দূরে আবার তাদের টিএসসি হবে ১৩ মেইল উজানে।
খুব ভাল লাগল ৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ৷
সুর, আপনাকেও ধন্যবাদ সদয় মন্তব্যের জন্য। "kind words" এর বাংলা করলাম আরকি।
নতুন মন্তব্য করুন