এক.
তারপর আর কোন কথা বাকি থাকবেনা কোনদিন, তারপর নীরবতা থেকে গেছে পনেরো-আনা --
এক আনা মানুষ বুঝেছো - যতখানি অনুবাদ করেছো- তার বেশী প্রশ্রয় দেবোনা!!
(২৭.০৮.২০১১)
দুই.
ধরে রাখতে শিখিনি, নাকি জোর করলেই হতো?
নাকি অধিকার আদায় করে নিতে হয় নিজের মত---
এই “নিজের মত” বলেই বলে দিতে পারি এখনি-
এ-জীবন ধরে রাখতেই হবে বলে ধরে রাখতে শেখেনি;
অথচ ভীষণ শিখেছে নিতে সুদূর দুঃখ ইশারা,
যতদূর দেখা গেছে তার বেশী আবেগে-আত্মহারা
হয়ে এ জীবন আবেগের তীর্থভূমি হয়ে গেছে; -
কে বলে আবেগের সাথে মানুষ জিতেছে?
ধরে থাকে যা-কিছু প্রলেপের মতো আছে জড়িয়ে-
যাকিছু আগাছা পরজীবী ছেঁটে, যতদূর ছাড়িয়ে-
দেখে ফেলা এ-জীবন, হে-জীবন তুমি সময়ে যতি; -
এ-জীবন সরলে সহজে নৈবদ্য, এ-জীবন একাকী আরতি!!
(২৫.০৮.২০১১)
-----তানিম এহসান, বরিশাল
মন্তব্য
প্রথমটা ভালই লাগল। পরেরটা কিচ্ছু হয় নাই বলে মনে হইল। আপনি কী যত কবিতা লিখেন, সবই পাঠকের কাছে তুলে দেন? নাকি কিছু রেখে দেন, কিছু হারায়া ফেলেন?
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অদ্ভুত প্রশ্নকরলেন অনিন্দ্য ভাই! আসলেই আমার লেখা বহুকিছু মানুষের কাছে, আমার কাছে নেই, তাদেরকে দেব বলে লেখা অথবা লেখার পরে মনে হয়েছে দিয়ে দেই। নিজের কাছে থাকলেও একসময় আর খুঁজে পাইনা, মাঝে মাঝে ছিড়ে ফেলি, ডায়রী ডাস্টবিনে ফেলেছিলাম একবার ;-)। হারাইতো অবশ্যই, মনের সুখে লেখি, লেখার জন্য লেখিনা - আমার খুব করে মনে হয় এইগুলা কোনকিছুই হয়না কিন্তু ছোটবেলা থেকেই নানান সময়ে লিখে না ফেললে দেখেছি আমার খুব খারাপ সময় কাটে! আমি কিন্তু প্রচুর লেখি, আমার বন্ধুরা জানে আর জানে খুব কাছের কিছু মানুষ
সচলে এসে ঝামেলা হয়ে গেলো, লেখা দিতে ইচ্ছে করে, দেয়ার পর মনে হয় কিছুই হয়নি, আর দেবনা, আবার দেখা যায় দেই - বিরাট যন্ত্রনায় আছি - এই যন্ত্রনার সাথে আমার কোনদিনও পরিচয় ছিলোনা। যতনা লেখা তার চাইতেও বেশী নিজের সাথে কথা বলা ভাই - কবিতা হিসেবে ট্যাগ করি কিন্ত নিজের কাছে লজ্জা লাগে, কিছুদিন দিনলিপি হিসেবে দিয়েছি! কি করবো!
খুবই চমৎকৃত হলাম আপনার প্রশ্নে, আপনি সবসময় সমালোচনা করেন, সমালোচনাই আমার পছন্দ!
জীবনবোধগুলো ভালো লাগলো কবি।
সুন্দর।
অটঃ মাঝে মাঝে একটু অন্য বিষয় নিয়ে লিখলেও বোধ করি ভালো হয়।
_____________________
Give Her Freedom!
যখন যে আবেগে থাকি, ভর-বেগে থাকি তখন সেরকম লেখা আসে। এর বেশী বলবোনা, তবে এখন সময়টা নিজের কাছেই খুব প্রশ্নবিদ্ধ যাচ্ছে বুঝলে প্রিয় ভবিষ্যত প্রজন্ম!!
এ যে আপনারই কবিতা, এই লাইনটি পড়েই বলে দিতে পারলাম। পড়ার পর মনে হলো একটা অভিমানী সুর বাজছে যেনো কোথায়।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
কোন প্রতিমন্তব্য করবোনা সুমন ভাই, “শুভেচ্ছা”
তানিম ভাই, নি:সংকোচে লিখতে থাকুন। চর্চা চালিয়ে যান, ব্লগ হলো চর্চার জায়গা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
আধুনিক কবিতা বিশেষ বুঝিনা... তবে আট্টু ভালো হইতে পারত বোধয়...
হ্যা, লেখার পর মনে হয় সব ঠিক আছে, ছাপার পর মনে হয় ’ঘন্টা’! ছাপার তাড়নায়ও লেখা হয় বলে নিজের কাছে ছোট হয়ে যাচ্ছি! সচল আমাকে কেমন একটা অচলায়তনের ভেতর দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেরে ভাই - আমি বিপন্ন বোধ করছি।
আমি নিজে আরো একটু ভালো থাকলেই দেখবেন নিজেকে আরো ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারবো। জোয়ার-ভাটায় শুধু সাথে থেকেন আর সমালোচনা করে যাবেন, কনস্ট্রাকটিভ ক্রিটিসিজম দারুন পছন্দ, নিতেও পারি। বহুদিন পর আমার লেখায় মন্তব্য করলেন, ধন্যবাদ আপনাকে!
নিজ প্রতিভার প্রতি বিশ্বস্ত থেকো, অটল থেকো মজ্জার ভেতরে সততায় বেড়ে ওঠা বোধের ভেতরে। তুমি কতটুকু জনপ্রিয় কিম্বা অজনপ্রিয়, কাব্যসিদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সেটি কোন বিষয়ই নয়। কবি হৃদকলমের টানে, মনের আবেগেই সৌন্দর্য রচনা করেন। হাতুড়ি বাটালি নিয়ে সৃজনের এই ধুসর সৌন্দর্যকে যিনি আঘাত করতে আসেন- তিনি তাঁর নাগাল পান কিনা সে বিষয়ে আমার যথেষ্টই সন্দেহ আছে। সৌন্দর্য বিকাশে সমালোচনা কাম্য, ধ্বংসে নয়, কারণ সৌন্দর্যের বিনাশ নেই। যারা সেটি করতে চান তাঁদের উদ্দেশ্যে জীবনানন্দের এই কবিতাটি অকপটে পড়তে চাই,
'বরং নিজেই তুমি লিখোনাকো একটি কবিতা-'
বলিলাম ম্লান হেসে; ছায়াপিণ্ড দিলো না উত্তর;
বুঝিলাম সে তো কবি নয়- সে যে আরূঢ় ভণিতা
পাণ্ডুলিপি, ভাষ্য, টীকা, কালি আর কলমের পর
ব'সে আছে সিংহাসনে-কবি নয়- অজর অক্ষর
অধ্যাপক, দাঁত নেই- চোখে তার অক্ষম পিঁচুটি;
বেতন হাজার টাকা মাসে- আর হাজার দেড়েক
পাওয়া যায় মৃত সব কবিদের মাংস কৃমি খুঁটি
যদিও সে সব কবি ক্ষুধা প্রেম আগুনের সেঁক
চেয়েছিলো-হাঙরের ঢেউয়ে খেয়েছিলো লুটোপুটি
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, এই অচলায়তন হচ্ছে লেখার তাগিদ, মনে হচ্ছে লেখতেই থাকি। আমি ছোটবেলা থেকেই পেন্সিল, কলম এমনকি মাটিতে বসে বসে কাঠি দিয়ে ছাইপাশ লেখতাম যা মনে আসে, শুধু দেয়ালে পোস্টার সাটানো ছাড়া কোনদিন লেখিনি .... অচলায়তন মানে হচ্ছে যে আামার মনে হচ্ছে আমি ছাপানোর জন্য লেখছি, নিজের জন্য লেখছিনা! এটা খুব খারাপ লাগছে।
আর সমালোচনা করাটাই প্রত্যাশা করি আমি, যত সমালোচনা হবে তত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু সমালোচনার কারনে সমস্যা হচ্ছেনা, সমস্যা হচ্ছে নিজের ভেতর, একটা কিছু বেরিয়ে আসবে আসবে করছে, পুরোটা আসছেনা - দায় মিটিয়ে নিতে চাইছে পুরাতন সবটুকু জীবনের। অবিশ্বাস্য ”দোয়েল-ফড়িঙের” একটা জীবন কাটিয়ে এসে একদম ঘোলাজলে পড়ে নিজের সাথেই কথা বলছি এখন পুরোপুরি! আমি সচলের কাছে কৃতজ্ঞ - এই কৃতজ্ঞতা বলে বোঝানো যাবেনা।
পরবর্তি পোস্টে আরো অনেককিছু পস্ট হয়ে যাবে |
সবাইকে শুভেচ্ছা, আমরা সবাই ভালো থাকি ইচ্ছেমতন!
কবিতা বুঝি কম
তবে ভালো লাগলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
কোনবারই ’মৌনকুহর’কে মৌন পাইনি, সরব পেয়েছি আমার প্রতিটি পোস্টে। নিরন্তর শুভেচ্ছা,
আধুনিক কবিতা বুঝিনা ঠিকই, তবে পড়তেও ছাড়িনা। আমার মনে হয় দুটো কবিতায় আলাদা টাইটেল দিলেই হতো।
ওভারঅল যেটুকু বুঝলাম তাতে ভালোই লেগেছে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এইগুলারে ’আধুনিক’, ’উত্তর-আধুনিক’ কোন ধরনের ট্যাগ দিয়েননা প্লিজ - এইগুলারে একটু শান্তিতে থাকতে দেন - ট্যাগ দিলেই অনেকরকম ঝামেলার তৈরী হবে। নিজের কথা বলছি, কোন ট্যাগ নিতে চাইনা।
আপনি বুঝবেন বলেই আমার মনে হয়। প্রতিবার মন্তব্য পাই, আপনার কাছে এতোটুকু আব্দার করতেই পারি হে রাত§রণীয় রাতের সহযাত্রী!! ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা,
ট্যাগে কবিতা, অকবিতা দুই-ই দাগানো কেন?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এই ব্যাপারে আমি নিজের কাছে খুব কনভিন্সড রোমেল ভাই! ট্যাগে কবিতা ছাড়া অপশন আরেকটা যেটা নিতে পারি সেটা হচ্ছে দিনপঞ্জি, কয়েকবার ব্যবহার করেছিও। আর বাকি সব আমার কাছে থাক!
আমার কোনদিন কোথাও আটকে থাকা হয়নি, আমি সবসময়ই ব্লেসড, নিজেকে নিয়ে টানাহ্যাচড়ায় বরাবরই নতুন পথ মিলে গেছে! এটা আমার স্বভাব, নষ্টস্বভাব কিন্তু এটাই আমার বিলাস, এতেই আমার বিরাট আনন্দ
কি অদ্ভুত, এখানে এসেও সমানুভূতিসম্পন্ন প্রাণ পেয়ে গেছি!
”মানুষের মনে যে সৌন্দর্যের জন্ম লয়,
শুকনো পাতার মত ঝরেনাকো বনে,
ঝরেনাকো বনে!”
তানিম ভাই, ভাল লেগেছে
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন