অসন্তোষ
স্যাম সিলভা
আম্মা কিসব চকলেট বিস্কুট কিনে এনে বাক্সটা র্যাপিং করে। বাক্সটা কিনে এনেছে কোন এক অনাথাশ্রমে দেবে বলে। সাঈফ নিচে নেমে খাবার ঘরের প্যাসেজে দাঁড়িয়ে। আম্মা তখনো ব্যস্ত র্যাপিং নিয়ে।
গতকাল একটা পাতলা রশি দিয়ে সাঈফ নিজেকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চেয়েছে। কাজটা করার সময় বেশ সিরিয়াসই ছিল। এটাও ভেবেছে- এই কাজ করার জন্য তাকে নরকে যেতে হবে কিনা। আম্মার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে গতকালের কথা ভাবে।
তারপর আম্মা কোথা থেকে একটা পাকানো দড়ি নিয়ে আসে। বলে-“দেখ সাঈফ, এটাকে বলে ফাঁসুড়ে গিট্টু। ওরা এমনভাবে এটা করে যাতে করে ঘাড়টা ভেঙে যায়, আস্তে আস্তে শ্বাস কষ্টে ভুগে যাতে মরতে না হয়। পরেরবার থেকে দড়ি নিয়ে খেলা করার সময় এটা মনে রাখবে”।
এরপর অনেক বছর চলে গেছে। সাঈফ এখনো বোঝে না, দড়ি নিয়ে খেলা বলতে আম্মা কি বুঝিয়েছে।
--
Comments
আমিওতো বুঝলাম না। মা কি চায় ছেলে এইভাবে এক্সিস ভেঙ্গে স্নায়ু রজ্জু ছিঁড়ে নরকে চলে যাক।
উচ্চারণ সায়িফ হলেও সাইফ, সাঈফ এর বাইরে আর কোনো বানান কখনো চোখে পড়ে নি। পড়তে গিয়ে তাই ছোট্ট একটা আনন্দবাজারীয় হোঁচট খেলাম
আনন্দবাজার তো লেখে, 'সেফ(সাইফ) আলি খান'
ইংরেজি বানানটা Sef; নামটার একটু বাংলায়ন কর্লাম। সাইফ নামের সচল আছেন তাই বানানের ভিন্নতা।
নামের বানান বদলিয়ে সাঈফ দিলাম।
অট: বিডিনিউজে দেখলাম- গাদ্দাফির ষষ্ঠ সন্তানের নাম সায়িফ আল আরব আল গাদ্দাফি।
অটঃ গাদ্দাফির বাচ্চা নিশ্চয়ই তার মাকে আম্মা ডাকে না
বুঝি নাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কুণ্ঠার সাথে বলি, গল্পটা বুঝি নাই
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেকদিন পর লেখলেন ভাইয়া। আমি কিন্তু বুঝেছি গল্পটা
গল্পটা বুঝেছি নাকি বুঝিনি সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না!
আমিও! দুইরকম অর্থ বাইর করছিলাম...কমেন্ট পইড়া বুঝলাম একটা কানের পাশ দিয়া গেসে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
দড়ি নিয়ে খেলা বলতে কি বুঝিয়েছে -বুঝি নি।
কিরকম ঘেঁটে গেলাম!
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আসল দড়ি চিনতে হয়
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এইটা রূপকথার (সিন্ডারেলা, ইত্যাদি দ্রঃ) সৎমার মত লাগতেসে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মন্তব্যগুলো মজা পেলাম! আর টুকুন গল্পে ’খেলা’ অনেক বড় আকারে কথা বলে গেলো!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
'জানি তবু জানি', লেখা বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব লেখকের না। কিন্তু......এইটা......জাথির উপ্কারে যদি
গল্পটা মনে হয় নগরে বিচ্ছিন্নতা ও ভালোবাসাহীনতা প্রবেশের গল্প। ছেলে মৃত হবার খেলায় নামে। আর মা দেখিয়ে দেয় ঠিকঠাক অসন্তুষ্টিবিহীন মৃত হবার পথ।
এইবার বুঝলাম!
Post new comment