অনুবাদ: টুকুন গল্প ।১৬।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: রবি, ২৮/০৮/২০১১ - ১:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসন্তোষ
স্যাম সিলভা

আম্মা কিসব চকলেট বিস্কুট কিনে এনে বাক্সটা র‍্যাপিং করে। বাক্সটা কিনে এনেছে কোন এক অনাথাশ্রমে দেবে বলে। সাঈফ নিচে নেমে খাবার ঘরের প্যাসেজে দাঁড়িয়ে। আম্মা তখনো ব্যস্ত র‍্যাপিং নিয়ে।

গতকাল একটা পাতলা রশি দিয়ে সাঈফ নিজেকে ফাঁসিতে ঝুলাতে চেয়েছে। কাজটা করার সময় বেশ সিরিয়াসই ছিল। এটাও ভেবেছে- এই কাজ করার জন্য তাকে নরকে যেতে হবে কিনা। আম্মার পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে গতকালের কথা ভাবে।

তারপর আম্মা কোথা থেকে একটা পাকানো দড়ি নিয়ে আসে। বলে-“দেখ সাঈফ, এটাকে বলে ফাঁসুড়ে গিট্টু। ওরা এমনভাবে এটা করে যাতে করে ঘাড়টা ভেঙে যায়, আস্তে আস্তে শ্বাস কষ্টে ভুগে যাতে মরতে না হয়। পরেরবার থেকে দড়ি নিয়ে খেলা করার সময় এটা মনে রাখবে”।

এরপর অনেক বছর চলে গেছে। সাঈফ এখনো বোঝে না, দড়ি নিয়ে খেলা বলতে আম্মা কি বুঝিয়েছে।

--

অনুবাদ: টুকুন গল্প ।১৫।


মন্তব্য

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

আমিওতো বুঝলাম না। মা কি চায় ছেলে এইভাবে এক্সিস ভেঙ্গে স্নায়ু রজ্জু ছিঁড়ে নরকে চলে যাক।

তানভীর এর ছবি

উচ্চারণ সায়িফ হলেও সাইফ, সাঈফ এর বাইরে আর কোনো বানান কখনো চোখে পড়ে নি। পড়তে গিয়ে তাই ছোট্ট একটা আনন্দবাজারীয় হোঁচট খেলাম হাসি

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

আনন্দবাজার তো লেখে, 'সেফ(সাইফ) আলি খান'

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

ইংরেজি বানানটা Sef; নামটার একটু বাংলায়ন কর্লাম। সাইফ নামের সচল আছেন তাই বানানের ভিন্নতা।

নামের বানান বদলিয়ে সাঈফ দিলাম। হাসি

অট: বিডিনিউজে দেখলাম- গাদ্দাফির ষষ্ঠ সন্তানের নাম সায়িফ আল আরব আল গাদ্দাফি।

তানভীর এর ছবি

হাসি

অটঃ গাদ্দাফির বাচ্চা নিশ্চয়ই তার মাকে আম্মা ডাকে না চোখ টিপি দেঁতো হাসি

শাব্দিক এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

বুঝি নাই ইয়ে, মানে...

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সজল এর ছবি

কুণ্ঠার সাথে বলি, গল্পটা বুঝি নাই মন খারাপ

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

আয়নামতি এর ছবি

অনেকদিন পর লেখলেন ভাইয়া। আমি কিন্তু বুঝেছি গল্পটা দেঁতো হাসি

দ্রোহী এর ছবি

গল্পটা বুঝেছি নাকি বুঝিনি সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না! ইয়ে, মানে...

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমিও! দুইরকম অর্থ বাইর করছিলাম...কমেন্ট পইড়া বুঝলাম একটা কানের পাশ দিয়া গেসে...হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

যুমার এর ছবি

দড়ি নিয়ে খেলা বলতে কি বুঝিয়েছে -বুঝি নি।

দময়ন্তী এর ছবি

কিরকম ঘেঁটে গেলাম! মন খারাপ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আসল দড়ি চিনতে হয় চাল্লু


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মন_মাঝি এর ছবি

এইটা রূপকথার (সিন্ডারেলা, ইত্যাদি দ্রঃ) সৎমার মত লাগতেসে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চিন্তিত

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

মন্তব্যগুলো মজা পেলাম! আর টুকুন গল্পে ’খেলা’ অনেক বড় আকারে কথা বলে গেলো!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দিগন্ত বাহার * এর ছবি

'জানি তবু জানি', লেখা বুঝিয়ে দেয়ার দায়িত্ব লেখকের না। কিন্তু......এইটা......জাথির উপ্‌কারে যদি চিন্তিত

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গল্পটা মনে হয় নগরে বিচ্ছিন্নতা ও ভালোবাসাহীনতা প্রবেশের গল্প। ছেলে মৃত হবার খেলায় নামে। আর মা দেখিয়ে দেয় ঠিকঠাক অসন্তুষ্টিবিহীন মৃত হবার পথ।

যুমার এর ছবি

এইবার বুঝলাম!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।