আমার মামাবাড়ি ছিল রামপুরহাট, লালমাটির দেশ বীরভূমের সদর'শহর। সেখানে দাদু'রা ভাড়া থাকত এক পুরোনো বাড়ীর একতলায়। বাড়ির পাশেই জলাজমি, সাঁওতালদের বস্তি, শুয়োর চরার জায়গা। আর পাশ দিয়ে একটা এঁদো নালা। তাই রোজ রাত্রে ভারি ইঁদুরের উপদ্রব হত।
শুতে যাওয়ার আগে আধঘন্টা ধরে তাই দিদা'কে সব জানলা-দরজা বন্ধ করে ফাটা কাঠের ফাঁকে ফাঁকে কাপড়ের গুটলি গুঁজতে হত। কোথায় কী গোঁজা হবে সেইমত কাপড়গুলো কালার-কোডেড ছিল মনে পড়ে, যতই রঙ চটে যাক।
ওই কাজটা তখন ছিল আমার কাছে খেলা'র মত, করতে ভারি মজা পেতাম। দিদার থেকে চেয়েচিন্তে আমিও এক খাবলা কাপড় নিয়ে গুঁজতে শুরু করতাম। কিন্তু একটু পরেই হাঁপিয়ে যেতাম, দিদা তখন সেগুলো আবার ফেরত নিয়ে যেত। কাজটায় এতই মজা পেতাম, যে নিজেদের বাড়িতেও কেন অমন কাপড় গোঁজার চল হবে না, ফিরে এসে তাই আবদার করতাম।
*********************
আজ পনেরো বছর পর সেই কাজটা নিজেকে করতে হচ্ছে। এখন আর সেটা মোটেই ভালো লাগছে না, চৈনিক ল্যান্ডলেডি'কে অকাতরে খিস্তি করছি মনে মনে। তবে এবার সেটার কারণ ইঁদুর না, শ্রীমতি আইরিন।
আমাদের ভাড়াবাড়িখানা ১০৫ বছরের পুরোনো, কাঠের বাড়ি। ফি-বছরই বৃষ্টিতে টুপটাপ জল পড়ে। মালকিনকে বলি, এসে খুচখাচ তাপ্পি দিয়ে যায়, আবারও কদিন পর টসটস। এবার পরশু নিচতলার বাড়িওয়ালা এসে বলল, আরে তোমাদের জানলাগুলোর সিলিং-এর এই হাল, উইকেন্ডে আইরিন এলে তো বিগলিত করুণা জাহ্নবী যমুনা বয়ে যাবে। চটপট ল্যান্ডলেডিকে ফোন করলাম, সে বেটি বলল, এখন আর কী করা যাবে এই দুদিনে, হারিকেন'টা কোনোমতে কাটিয়ে নাও, তাপ্পিতুপ্পি দিয়ে, কাপড়-টাপড় গুঁজে, বালতি-টালতি পেতে...
*********************
আইরিন আজ সকালে নর্থ ক্যারোলিনায় ঢুকে পড়েছে, শুনলাম বর্ষা বন্যা ঝড় গাছ-উপড়ানো পাওয়ার-কাট সব মিলিয়ে নরক গুলজার অবস্থা। এক মিলিয়ন লোকের কারেন্ট গেছে, একাধিক মিলিয়ন লোককে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। চলতে-ফিরতে ছানাপোনা টর্নেডোও কিছু প্রসব করেছে সে।
এরপর আইরিন আসছে নিউ ইয়র্কের দিকে। আমাদের পরিচিত এক ফ্যামিলি সেখানে থাকে, শুনলাম বাধ্যতামূলক ইভ্যাকুয়েশনের অর্ডার এসেছে। যদিও হারিকেনের শক্তি কমে গ্রেড ১ হয়ে গেছে, এটা নিউ ইয়র্কে ঢুকলে কী অবস্থা হতে পারে তার প্রেডিকশন বেশ চিন্তাজনক। ম্যানহাটানের সঙ্গে বাকি অংশের যোগাযোগের টানেলগুলো জল ঢুকে বন্ধ হয়ে যাবে, দক্ষিণ অংশের সাবওয়ে'তে জল ঢুকবে, জেএফকে এয়ারপোর্ট জলে ডুবে যেতে পারে। আগাম সতর্কতা হিসাবে এর মধ্যেই নিই ইয়র্ক, নিউ জার্সির এয়ারপোর্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
*********************
ম্যাপ দেখলে খেয়াল করবেন, ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের দক্ষিণে একটা বড় হুক-এর মত আছে। সেই হুক-এর কোলে বস্টন। কিন্তু হুক-এর নিচে যেহেতু অনেকটা সমুদ্র, তাই নিউ ইয়র্ক ছেড়ে উপরে উত্তর-পূর্বদিকে আসার সময় আইরিন আবার সমুদ্রে কাটাতে পারবে খানিকক্ষণ। বলা যায় না, তখন তার শক্তি বেড়েও যেতে পারে।
আইরিন বস্টনে এসে পৌঁছবে কাল। আজ থেকেই তার ফোরপ্লে হিসাবে বৃষ্টির ঠেলায় ঘরদোর ভাসছে। কালকে হয়ত কাঠের বাড়ির ছাদ-টাদের দিকেও তার নজর পড়তে পারে। আমাদের বাড়িটা খানিক ঢালু'র উপর বলে বন্যা ততটা হয় না, কিন্তু বেসমেন্টে জল জমে কারেন্ট, জলের পাম্প ইত্যাদি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
শহর থেকে সবাইকে কয়েকদিনের খাবার জল ওষুধ এসব জমিয়ে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। টর্চ ক্রেডিটকার্ড ইত্যাদিও একত্র রাখতে বলা হয়েছে, যাতে দরকার হলে তাড়াতাড়ি পুঁটুলি বেঁধে শেল্টারে গিয়ে ঢোকা যায়। আমাদের হয়ত সেসব দরকার হবে না, যারা নদী বা সমুদ্রের ধারে আরেকটু নিচু জায়গায় থাকে তাদের সমস্যা বেশি। কালকে তাই খাবারদাবার কিনতে গেছিলাম সুপারমার্কেটে। দেখলাম জলের বোতলের লম্বা আইল'এ ধূ-ধূ শূন্যতা। দোকান লেখা টাঙিয়ে দিয়েছে, সব জল শেষ হয়ে গিয়েছে বলে। আইরিন যদি কিছুও না করে, লম্বা খালি আইলগুলোর উপর বড় বড় হরফে লেখা ওই পোস্টারের দৃশ্যটা মনে থেকে যাবে অনেকদিন।
মন্তব্য
বেশ খারাপ অবস্থা, খবরে দেখেছি। সুপারমার্কেটে জল শেষ হয়ে যাওয়ার কথাটা ভয়াবহ লাগলো। তবে, আশা করি ক্যাটরিনার মতো খারাপ হবে না। আপনি নিজে গোছানো মানুষ, সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আমার বিশ্বাস। সাবধানে থাকুন, শুভ কামনা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
আমরা গরীব মানুষ, কলের জলই খাই। আমেরিকায় ট্যাপওয়াটার এমনিতে নিরাপদ। অতএব অনেকগুলো বোতল ভরে রেখে দিলেই আমার চলে যাবে। আমেরিকানদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাই বা ভয় যাই বলুন, একটু বেশি কিনা, তাই তারা বিশেষ করে এই সময়ে ফ্যাক্টরির জলই খাবে।
আহ, এরকম শুনতেও কত ভাল লাগে! ধন্যবাদ ভাই।
কঠিন অবস্থাতো!!
Hydrologic/Flood মোডেলারদের ফোরকাস্ট কত দূর সত্যি হয় সেটার একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে।
সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সকল আপদ থেকে দূরে রাখুন
মাহমুদ
ভূমিতে ঢোকার সময় আইরিনের শক্তি ক্যাটেগরি ৩ হওয়ার কথা ছিল। তার বদলে ক্যাটেগরি ১ হয়ে ঢুকছে। অতএব ঝড়ের জোর বা ক্ষয়ক্ষতি হয়ত কিছুটা কম হবে। ওরা ওদের ফোরকাস্টও সেই অনুসারে আপডেট করেছে। এখন দেখা যাক।
এইটা নিয়ে এখানে আর কিছু কমু না। কইলেই অনেক কথা হবে, আলোচনা অন্যদিকে ঘুরে যাবে, লোকে বিরক্ত হবে...
সৃষ্টিকর্তা নিয়ে আপনি কি কইবেন আমি কিছুটা জানি, আপনের মত আমিও সৃষ্টিকর্তাকে কর্নেল গাদ্দাফির সাথে পাঠাইয়া দিছি
মাহমুদ.জেনেভা
গাদ্দাফি'র (বেটি'র বোধহয়) বিলাসবহুল প্রাসাদখানা দেখেছেন? জানলার নিচে বালতি বদলাই, আর ভাবি, ওইরকম (সৃষ্টি)কর্তা হইতাম যদি...
কৌস্তুভ ভাই,
আপনার শেষ লাইনের আক্ষেপোক্তিটা এই নিয়ে মনে হয় একাধিকবার দেখলাম একাধিক পোস্টে। আপনার মধ্যে হঠাৎ করে জেগে ওঠা এই ভীতি-সংকোচ-দ্বিধা যাই বলুন না কেন, তার পেছনে আমার একটা ভূমিকা থাকতে পারে মনে করে খুবই লজ্জিত ও দুঃখিত বোধ করছি। যদি আপনার এই ভীতি-দ্বিধা-সংকোচের জন্য আমি কোনভাবে দায়ী হয়ে থাকি, তাহলে এই বেচারীকে এবারের মত ক্ষমা করে দেয়া যায় না ?
একজন সচল সচলের ব্যানারে লেখা ঐ স্লোগানটার ('চিত্ত...') আশ্রয় পাবেন না, এটাতো কাঙ্খিত হতে পারে না !
****************************************
ভাই, এটা ভীতি বা সঙ্কোচ না। আর কোনো 'ভীতি'র পেছনে আপনাকেও দায়ী করছি না। এটা যথাস্থানের বাইরে বিতর্ক এড়ানো, এইটুকুই।
সেন্ট্রাল নর্থ ক্যারোলাইনায় বসে আইরিনের ব্যাপার স্যাপার দেখতে খারাপ লাগছে না, সারাদিন ধরেই জোর বাতাস, মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি, রোদ উধাও। তবে কোস্টাল এরিয়ায় ভয়াবহ অবস্থা বন্যাটন্যা হয়ে। পাওয়ার আউটেজ আছে অনেকটা জায়গা জুড়ে, কোস্টাল এরিয়ার দুইটা ক্যাম্পাস সহ অনেক জায়গা ইভাকুয়েট করতে হইছে। আপনাদের ওইখানে যেতে যেতে অনেক দুর্বল হয়ে যাবে আশা করা যায়।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হ, আপনেরা তো আরামেই আছেন
কী যে কয়। আজকে দশ বছর পর অবসর ভাইঙ্গা ক্রিকেট খেলতে নামছিলাম। কিন্তু বৃষ্টির জ্বালায় বেশিক্ষণ খেলতেই পারলাম না, চিন্তা করেন আমার ক্ষতিটা!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কী আছে, আবার দশ বছর পরে মার্টিন ক্রো'র মত আবারো অবসর ভাঙবেন...
তবুও সাবধানে থাকবেন।
১৯৯১এর ঘূণিঝড়টা গেছে আমার ফুপুর পরিবারের উপর দিয়ে। এখনো পতেংগায় উনাদের জমিতে তেমন কোন ফসল হয়না
ধন্যবাদ রুমঝুমা।
আহ, বিবি আইরিনে সওয়ার হয়ে কৌস্তুভদার শূন্যে ভেসে বেড়ানোর দৃশ্যটা যদি ভিডু করতে পারতুম, এক পৈশাচিক মজা লুটতে পারতুম ।
ব্যাপার্না, দোয়া-দরুদ-মন্ত্র-যন্ত্র সব জপতে থাকুন। নইলে ঝড়ের দেবতা আদাদ-এর সাথে আঁতাত করতে পূজো দিন। সব মুশকিল আসান হয়ে যাবে। রাগিব ভাই যে ঝড়টার কথা বলেছেন, সেটা আমার শরীরের উপর দিয়েও বয়ে গেছিল, তিন বছর বয়সে, অথচ এখনও খাবলা খাবলা দৃশ্য মনে আছে। আমাদের ঘরটা ছিল সুরকি আর টিনের- ব্রিটিশ আমলে গড়া। এরপর সেটাতে মাটি এঁটে মেরামত করতে হয়েছিল। গাছের ডগায় ছাগল লটকে ছিল। আইরিন আপুতো আমাদের কাছে নস্যি।
তখন তিন বছর বয়স, আপনে তো দেখি এক্কেবারে ছুডু পোলা!
এখানে বৃষ্টি হচ্ছে। খুব একটা জোরে না, আবার একেবারে টিপটিপও বলা যায় না। চানাচুর, মুড়ির জন্য একদম পারফেক্ট।
কুথা, ঢাকায়?
উঁহু। ওয়াশিংটন ডিসি মেট্রো এরিয়া।
@ রাগিব, আইরিন ঠিক শিশু ঝড় না, আকারে বিশাল তবে শক্তিমত্তায় কম। এখানে অবশ্য অনেক শক্তিশালী ঝড়েও বাংলাদেশের মতো বেশি হতাহতের সম্ভাবনা অনেক কম। কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কম ঘনবসতি, প্রস্তুতি, জীবনযাত্রা ইত্যাদি। তাই 'ভয়াবহতম' ব্যাপারটা বেশ আপেক্ষিক। আইরিন নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার মূল কারণ হলো অর্থনৈতিক ক্ষতি। আইরিন কম শক্তিমাত্রার হলেও নর্থ ক্যারোলিনা থেকে নিউ হ্যাম্পশায়ার পর্যন্ত বিশাল উপকূল কাভার করার কথা এবং তাতে বিশাল এলাকার জীবনযাত্রা অন্তত বেশ কিছুদিনের জন্য হলেও বিপর্যস্ত হবে। এছাড়া এসব এলাকায় প্রপার্টি ভ্যালু দক্ষিণের চেয়ে বেশি। তাই অর্থনীতিতে একটা বিশাল ধাক্কা আসলেও আসতে পারে। উল্লেখ্য, হারিকেন আইক ক্যাটাগরি ২ ছিলো এবং শুধু টেক্সাসেই আঘাত হেনেছিলো। তাতেই এটা আমেরিকার ইতিহাসে ৩য় সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল হারিকেন (এন্ড্রু ও ক্যাটরিনার পরে)। আইরিনের অর্থনৈতিক ক্ষতি কেমন হয় এটাই এখন দেখার বিষয়।
আর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্ভোগের কথা বলতে গেলে বলতে হয় আমেরিকায় দুর্গতদের দুর্ভোগ হয় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। চট্টগ্রামের ওই অত বড় ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর দিব্যি আরামেই ছিলাম; বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, পানি ছাড়াও ভালোভাবে বেঁচে থাকা যায় (খোলামেলা ঘর-বাড়ি, টিউবওয়েলের পানি, মুদির দোকান) কিন্তু আমেরিকায় বিদ্যুৎ, পানি ছাড়া একদিন থাকা মানেই কেয়ামত। আইকের সময় সেটা ভালোভাবেই টের পেয়েছি। বিদ্যুৎ নাই মানে খাবার নাই, গ্যাস নাই গ্রোসারি স্টোর, গ্যাস স্টেশন সব বন্ধ। এই সামারে অসহনীয় তাপমাত্রা, শৌচকর্ম, বাথরুমের অবস্থা ইত্যাদির কথা না হয় বাদই দিলাম
ক্যাটরিনা ও আইরিনের তুলনামূলক ছবিঃ
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10150289152899041&set=a.207878764040.128709.206848514040&type=1&theater
ঠিক বলেছেন। কমেন্টের আলোচনায় এইসব নানা দিক উঠে আসবে, এই আশা করেই তাড়াতাড়ি পোস্টটা দিয়েছি। ধন্যবাদ।
ছবিটা এমবেড করার চেষ্টা করছি...
হারিকেন রিটার সময়ে মিডিয়াতে অনেক ভয়-টয় দেখানো হয়েছিল। দোকান থেকে পানি উধাও - এটা আমিও দেখেছলাম। যাই হোক নিরাপদ থাকুন।
৯১ এর ঝড়ের দুই/তিন দিন আগে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। আমার এক বন্ধু তখন চট্টগ্রামে থাকতো। পথে চট্টগ্রামেও ছিলাম। কোথাও কোন প্রকার ইভ্যাকুয়েশন বা অন্য কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়েনি। এর ফলশ্রুতিতে প্রচুর প্রাণহানি। আমি মনে করি একটু প্যানিক সৃষ্টি হলেও হারিকেনের জন্য অনেক প্রস্তুতি দরকার আছে। এত ক্ষয়ক্ষতি, বিশেষ করে প্রাণহানি ঠেকানো যায়।
সেই ৯১ এর ঝড়ে যেই বন্ধু চট্টগ্রামে থাকতো, সে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আবাস গেড়েছি নিউইয়র্কে। প্রায়ই কথা হয় - সপ্তাহের শুরুতে ভূমিকম্প আর শেষে ঘূর্ণিঝড়, সব মিলিয়ে বড় বিরক্ত সে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হুমম, বস্টনে ভূমিকম্পের ধাক্কাটাও তেমন জোরে আসেনি, আর আইরিনেরও আসতে আসতে জোশ কমে যাওয়ার কথা...
বড়ই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম!!! খুব খুব সাবধানে থেকো আর চোখ কান খোলা রেখো, দাদা।
অটঃ এই বিপদসংকুল বাড়িখানা ছেড়ে অন্যথা যাওয়া যায় না?
এখানে দুশ্চিন্তা তত না, ইস্ট কোস্টের মাঝামাঝির দিকেই ঝামেলা বেশি হবে...
এই অ্যাপার্টমেন্টটা এমনিতে মন্দ না, সস্তার উপর নানা সুবিধা আছে, ইউনি'রও খুব কাছাকাছি। তা কিছু পেতে গেলে কিছু তো দিতেই হবে।
ঝামেলা-বিপদ খানা সবখানেই কম হোক, সবাই তাই চাই।
ও এই কথা! তা তো ঠিকি, বেশি পেলে কিছু তো যাবেই..............
_____________________
Give Her Freedom!
হায় আল্লাহ !! আমেরিকায়ও এইরকম বাড়ি আছে যেখানে জল ঠেকাবার জন্য বালতি পাততে হয় ?? আমি তো ভাবতাম খালি আমরাই এই কাজ করি !! (
হাহাহা... তা আছে বৈকি ভাই!
আহারে আইরিন ভাবী!
চুপ চুপ... এখুনি তিথী ছুটে আসবে, আইরিন কোনো বালিকার নাম মনে করে...
বটে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে বিচার করতে গেলে বাংলাদেশের সাইক্লোনের তুলনায় এসব হারিকেন হাঁচির মত! সুতারাং, ঘাবড়ানোর কোনই কারণ নাই। ন্যান, বসে বসে গান শোনেন।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন থেকে তোলা এই ছবিটা দুর্ধর্ষ:
সে আর বলতে। তবে দেশে থাকতে রোজ দিনে দুইবার লোডশেডিং হত, আমেরিকানদের তো আর তা অভ্যেস নাই... এক মিলিয়ন লোকের কারেন্ট চলে গেলে তারা তো ঘাবড়াবেই
ঢাকা শহরে তিরিশ মিলিয়ন লোক দিনের অর্ধেক সময় ধরে বিদ্যুৎবিহীন থাকে।
আম্রিকানরা সব ডরপুক! মহাকবি দলছুট বলেছিলেন, "ডরাইলেই ডর! হান্দায়া দিলে কীয়ের ডর?" দলছুটের কথার পর আর কোন কথা থাকে? ধরে হান্দায়া দিতে পারলেই হইলো। এইটা বুঝতে হবে, বুঝে ইজি থাকতে হবে।
ওহ!! ভার্সিটির একটা সেমিষ্টারে রুমে সারাদিন এই গানটাই সশব্দে চালাইছি। পুরাই উথাল্পাতাল গান। ফেভ্রিট গানের লিঙ্ক দেওনের লাইগা দ্রোহীদারে থ্যঙ্কু।
ফাঁকা আইলের উপরে সাইনের ছবি তুলো নাই?? সেটা একটা দারুণ ছবি হতে পারে ...
আমিও দ্রোহীদার শেয়ার করা স্পেস স্টেশনের ছবিটা দেখছিলাম কেবলই...
এনিওয়ে, এটিবি, আর আইরিন মোবারক!
হ্যাঁ, সে তো হতই... কিন্তু সুপারমার্কেটে কে আর এমনি এমনি ক্যামেরা ঘাড়ে করে নিয়ে যায়?
আপনি ঠিক আছেন জেনে ভাল্লাগলো। দৌড়ে গিয়ে আত্মীয়দের ফোন করে জানলাম তারাও ভালো আছেন। অবস্থা আসলেই বেশ খারাপ মনে হচ্ছে।
আঁয়, 'আপনি'?
যাহোক, থ্যাঙ্কু সবাই ভাল থাকলেই ভাল।
বালিকা শেষটা আপনার এই অবস্থা করে ছেড়েছে?
ছোটবেলা থেকেই তো ঝড় আসলে কী কী হাতের কাছে তৈরী রাখতে হবে সেটা শুনতে শুনতে আর টেলিভিশনে বিজ্ঞপ্তি দেখতে দেখতে বড় হলাম - কিন্তু ক্রেডিট কার্ডটা এই প্রথম শুনলাম (গাড়ির ছবি তুলে রাখতে বলেনি? যদি একান্তই ভেসে যায় তাহলে স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে?)
আমেরিকার ভিসা নেই বলে দুঃখ হচ্ছে থাকলে আজকেই হাজির হতাম বস্টনে। বাইরে ঝড় বইছে আর কৌস্তুভ বিড়বিড় করে গাল বকতে বকতে বেডরুমের ভেতরে বালতি বসাচ্ছে, এর চেয়ে উপভোগ্য ছবি আর কী হতে পারে?
(আর ইয়ে, ভালো থাকুন )
ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডগুলো দরকার হতে পারে বইকি - মনে করুন বন্যা হল, দুদিন শেল্টারে কাটিয়ে তারপর আপনি কিছুদিনের জন্য কোনো নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে গেলেন... তা সেখানে চালাতে গেলে তো টাকা চাই? ডেবিট কার্ড ছাড়া এটিএম থেকে টাকা তুলবেন কী করে?
ঘোর কলি! দুনিয়াটা স্যাডিস্ট পাপীতাপীতে ভরে গেল! কল্কি অবতারের আসার আর বিলম্ব নেই মনে হচ্ছে।
অটোমেটিক ডিলেড শাটারে দিয়ে আপনি নিজেই দু'চারখানা ছবি তুলে দিন না
আমার তো আর আপনার মত অত্যাধুনিক ক্যামেরা নেইকো!
...বেয়াদবি মাফ করবেন, একটা কুমিল্লার একটা কথা মনে পড়ে গেলো..."আঁর ...ন্দে দি বাঁশ ঢুঁকের, হেতে বঁই বঁই গিরা গুনের"
ঠিকই আছে! ঈশ্বর বলেছেন কেয়ামত শুরু হবে নিউইয়র্ক দিয়া! এইটা দ্যাখেন
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হাহা... ওই বেটারা তো খালি কেয়ামত আনার সুযোগ খুঁজে বেড়ায়...
ইন্টারেস্টিং স্ট্যাট (ওরাও দেখি কম যায় না):
ফেসবুক লাইক: ৫ হাজার
ফেসবুক শেয়ার: ৪৬১৪
এই জিনিস আবার কই খুঁজে পেলেন? মনে হচ্ছে এদের সোল এনিমি...
রঙ- পেনসিল নিয়ে দৃশ্যখানা আঁকিতে মঞ্চায়।
জোকস অ্যাপার্ট, ভাল থাকুন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
হায় রে, ওই ব্যাটার দলে তিথীও গিয়ে ভিড়ল? তা এঁকেই ফেল বাপু, দেখি নিজের দুরাবস্থার চেহারাখানা... তবে সোনামণি, ভুঁড়িটা একটু ছোট রেখ কিন্তু...
আপনার ওদিকে আসতে আসতে আইরিনের রাগ পানি পানি হয়ে যাবে। ওটা অবশ্য যন্ত্রণার বটে, পানি ওঠে খাটুনি বাড়িয়ে দেয়, সাথে যদি পাওয়াট কাট্ হয় তো গেলো! চিন্তা করবেন না তেমন কিছু হবে না। একটু কেবল বালতি নিয়ে ছুটাছুটি করতে হচ্ছে এটাই বিরক্তিকর(ওয়েট ভ্যাক থাকলে পানি সাচা অনেক সহজ হতো)। ভেবে নেন ওটা ওর্য়াকাউট হচ্ছে শুভকামনা থাকলো খোকাবাবুটি যেন নিরাপদে থাকেন।
যেখানে বাড়িরই এই অবস্থা, সেখানে কী আর বাড়িউলি ওয়েট ভ্যাক দেয়?
কোন খোকাবাবু? কার খোকাবাবু? না না, আমি ব্যাচেলর মানুষ...
ব্যাচেলর মানুষ হলে যে তার খোকাবাবু থাকতে পারেনা, এ তত্ত্ব পাইছেন কোই?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার ভাই-ভাবি নিউইয়র্কে। টেনশানে আছি।
আহা এই রোব্বারের সকালটায় হিঙের কচুরি আর মাশরুম-ক্যাপসিকামের একটা ঝাল ঝাল তরকারি নিয়ে বসে আপনার ব্লগটা পড়ে আপনার জন্যে ভারী সহানুভুতি হল৷ বেচ্চারি ঘুরে ঘুরে বালতি, গামলা পাততে থাকেন৷ এদিকে কলকাতায় আজ এক্কেবারে শরতের আকাশ৷ ভাবলাম কুমোরটুলিতে ছবি তুলতে যাব, কিন্তু ল্যাদ লাগছে বিস্তর৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হিঙের কচুরি (, খাস্তা কচুরি, নিমকি আর জিবেগজা) এসব মনে পড়ান কেন দিদি? খাচ্ছেন খান, তাই বলে বলতে হবে? এমনিতেই দুঃখে বাঁচি না তার উপরে আবার এইসবের নাম নেওয়া
খান, কী আর বলব... আমি নিজেও চিকেন ফাহিতা রান্না করে খাইচি...
অত্র এলাকার সব বাঙ্গালিরা নিরাপদ থাকুন।
শুধু বাঙালিরা কেন, সবাই নিরাপদে থাকাই কি ভাল হবে না?
আশাকরি সবাই নিরাপদে আছেন। যে কোনও দূর্যোগে মাথা ঠাণ্ডা রাখাটা খুবই প্রয়োজনীয়।
উপরে দেখলাম কৌস্তুভ ইভাকুয়েশন নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু এটাই আমাদের বাস্তবতা। প্রথমত, বিশেষ করে নারীরা আপদকালে ঘর ছেড়ে যেতে চায় না। আর দ্বিতীয়ত, ইভাকুয়েশন রুটগুলোর অব্যবস্থা। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বড়ো ডিজাস্টারগুলোর মধ্যে ২০০৪ সালের ভয়াবহ সুনামী ইমার্জেন্সিতে ইন্দোনেশিয়ায়, ২০০৭ এর সাইক্লোন সিডরে, ২০১০ এর পাকিস্তান ফ্লাড ইমার্জেন্সিতে কাজ করেছি। সব জায়গাগুলোতেই ইভাকুয়েশন একটা ইস্যু। একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাচ্ছি-
২০০৮ সালে আমি সিডর ইমার্জেন্সি রেসপন্সে কাজ করার সময় দূর্গত এলাকায় গিয়ে দেখতে পেলাম যে সাইক্লোন শেল্টারে আসার সময় অনেক মানুষ মারা গেছে। গ্রাম থেকে তারা সাইক্লোন শেল্টারে আসছিলো বেড়িবাঁধের উপর থেকে। তখন তারা বিশাল পানির তোড়ে ভেসে যায়। ভাটার সময়েও সে পানির উচ্চতা ছিলো কমবেশি ২০ ফিট এবং স্থায়ী হয়েছিলো প্রায় ১৫ মিনিট। আঘাতটা জোয়ারের সময় হলে না জানি কি হতো। আমার মনে তখন প্রশ্ন যে সাইক্লোন শেল্টারে তো বেড়িবাঁধ ধরে আসার কথা না। কারণ সাইক্লোনের সময় বেড়িবাঁধ অন্যতম বিপদজনক রুট। তাহলে ইভাকুয়েশন রুটগুলো গেলো কোথায়???
২-৩ জন বুদ্ধিমান স্টাফকে বললাম চামে এই রুটগুলোর অবস্থা খুজে বের করতে কিন্তু পাবলিক যেনো টের না পায় আমাদের উদ্দেশ্য। গুরুত্বপূর্ণ একটা রুট খুজে পেলাম। সেটা সেই হারিয়ে যাওয়া রাস্তার পাশের দুই পরিবার মিলে হজম করে ফেলেছে। অথচ রাস্তাটা চালু থাকলে কমপক্ষে ৩০০ জন মানুষের জীবনরক্ষা হতো। বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে আসার সময় ইউপি চেয়ারম্যানের পরিবারের ২১ জন মানুষ একসাথে মারা গেছে। আমি সেই দখলদার দুই পরিবারের সাথে জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতেই তারা ক্ষেপে উঠলো। আমি তাদের মাত্র কয়েক ঘন্টা সময় দিলাম রাস্তা খালি করে দিতে। যদি তারা রাস্তা না ছাড়ে, পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করবো এটাও বললাম। আমি তখন এক ক্ষিপ্ত মানুষ। প্রভাবশালী এই দুটো পরিবারের জন্যে অকারনে এতগুলো মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলাম না। আমার স্টাফরা মাত্র আধা ঘন্টা সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে, স্কীমের মাপঝোক করে ফেললো। এরপর মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে কয়েকশো ক্যাশ-ফর-ওয়ার্কের বেনিফিশিয়ারীকে কাজে লাগিয়ে গিয়ে রাস্তা পূননির্মান করে ফেললাম। হাজার হাজার গ্রামবাসী শতস্ফুর্তভাবে কাজে হাত লাগালো। অভাবনীয় এক দৃশ্য। ওই দুই দখলদার পরিবারের কর্তারা কেবল তাকিয়ে দেখছিলো।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ঐ দুই দখলদারের জন্য ইভ্যাকুয়েশন রুটটা বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিলো। পরের সাইক্লোনে অন্য সবাই যাবে ইভ্যাকুয়েশন রুট দিয়ে খালি ওরা যাবে বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে। তাহলে ঠিক হতো।
আপনার অভিজ্ঞতাগুলো খুব বিচিত্র আর ইন্টারেস্টিং। নিয়মিত শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
সাইক্লোন-তুফান-টর্নেডো এইসবের নামকরণটা আমাকে খুব ভাবায় মাঝে মাঝে, আইরিন, ক্যাথরিন, আইলা, রেশমি, নার্গিস --- কেন এগুলো পুরুষ নামাঙ্কিত হয়না বলুনতো!
আইলার সময় কোসটাল বেল্টে থেকে দেখেছি তান্ডব, সিডরেরটা দেখেছি পরে - শুধু আপনাকে একটা কথা বলি -এদের মতিগতির কোন ঠিক নেই - কখনো এফেক্ট হয় সাথে সাথে, কখনো আফটার এফেক্ট থাকে, সেটাই বেশী ভোগায় - আপনি আপনার মত করে প্রিপারেশন নিয়ে রাখবেন ভালো-মন্দ দুটোরই। আশা করি আফটার এফেক্ট আপনাদের খুব বেশী কষ্ট দেবেনা। বাকি সব তল্পি-তল্পা-তহবিলে
অত্যন্ত দামী একটা কথা বলেছেন তানিম। আমরা বাংলাদেশে প্রিপেয়ার্ডনেস এবং পোষ্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে অনেক দেশের থেকে শক্তিশালী। যেমন ধরেন একটা উদাহরণ দেই, মিয়ানমারে সাইক্লোন নার্গিসের সময় ওটা আঘাতে প্রায় ১০ হাজারের মতো মানুষ মারা যায় আর তারপর রেসকিউর অভাবে এবং পুওর ম্যানেজমেন্টের কারনে মারা যায় আরও প্রায় দশগুণ মানুষ। ওইসময় যদি ওদের সামরিক জান্তা অভিজ্ঞ রিলিফ এবং রেসকিউ কর্মীদের ঢুকতে দিতো, তবে উদ্ধার এবং জীবনরক্ষার কাজগুলো ভালোভাবে করা যেতো। আমিও এক হতভাগা, নার্গিসের পরদিন ১৫০ জন কর্মীর একটা লিষ্ট দেওয়া হয়েছিলো ইমিডিয়েট ডিপ্লয়মেন্টের জন্যে কিন্তু জান্তা একজনও অনুমতি দেয়নি। সাইক্লোন সিডর নার্গিস থেকে শক্তিশালী হলেও বাংলাদেশে ৪ হাজারের মতো প্রাণহানী ঘটেছে। এজন্যেই, আর্লি ওয়ার্নিং অনুসরণ করা, দূর্যোগকালে করণীয়গুলো জান এবং দূর্যোগপরবর্তী করণীয়গুলো জানাও অত্যন্ত জরুরী।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হে রাত§রনীয় রাতের রসিক-
দূর্যোগ পরবর্তীকাজের সাথে এখনও অনেকটাই যুক্ত, ঘর-বাড়ী ছেড়ে পড়ে আছি এই কোস্টাল বেল্টে। আমি মানি আমাদের ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট নিয়ে তাবৎ দুনিয়ায় বিরাট নামডাক, আমি সমালোচনা করবোনা কারন সমালোচনা করলে নিজের সমালোচন া দিয়ে শুরু করতে হবে সবার আগে। কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝিনা সেটা হচ্ছে - আমাদের ’কমপ্লাসেন্স’ কি আমাদের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর হয়ে দাড়াচ্ছেনা? আইলা কি সেই ইশারা দিয়ে যায়নি?
কোস্টাল বেল্টের মানুসের সাহস আমাকে মুগ্ধ করে, কি অদ্ভুত সাহসের সাথে এরা প্রতিদিন মোকাবেলা করে প্রকৃতিকে! কিন্তুআমার মনে হয় এই ”রি-একটিভ” দেশে ”প্রো-একটিভ” ম্যাকানিজম এর এত অভাব যে আমরা খুব দ্রুত নিজেদের নিয়ে মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে আর দূর্বলতাগুলো নিয়ে ভাবিনা।
আমাদের যে আড্ডা হবার কথা, সেখানে এগুলো নিয়ে আপনাকে জ্বালাবো - বড়দের জ্বালাতন করতে ভালো লাগে - কথা মিছে কচ্ছিনে কলাম
আইলা নিয়ে কি আর বলবো। রাজ্জাক সাহেব একজন ক্যারিয়ার পলিটিশিয়ান হয়েও যেভাবে বাচালের মতো কথাবার্তা বলেছেন আইলার পরে, (আমাদের পর্যাপ্ত ত্রান মজুদ আছে, বাল আছে, ছাল আছে, আমাদের কোনও সাহায্যের প্রয়োজন নেই, ইত্যাদি) তা নিতান্তই অনাকাঙ্খিত। হাত শেষমেষ তো পাততেই হয়েছিলো নির্লজ্জের মতো কিন্তু কটা দিন আগে যখন দাতারা সাহায্যের আহবান নিয়ে সেধে এসে বসে ছিলো, তখন তিনি সাহায্যের আহবান দম্ভভরে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের বাল আছে, ছাল আছে, এটা সেটা বলে। অনাহারে রাজ্জাক সাহেব থাকেননি, বেড়িবাঁধের উপর রাজ্জাক সাহেব থাকেননি, থেকেছে আইলাদূর্গত মানুষজন। ক্ষুধার্থ শিশুর চিৎকার রাজ্জাক সাহেবের কানে না পৌঁছালেও তানিম এহসান বা রাতঃস্মরণীয়র কানে এসেছে প্রতি মুহুর্তে। কিসের কমপ্লায়েন্সের কথা বলছেন তানিম?! যে আসে সে'ই নতুন কম্প্লায়েন্স সেট করে। সিডরের সময় থেকে কম্প্লায়েন্সের ঠেলায় পাগল হতে হয়েছে। মাঠের জ্ঞ্যানবিবর্জিত একদল বোকা*ো*দা আমলার হাতে এই সেক্টর জিম্মি। কি আমরা আশা করতে পারি?
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
’কমপ্লায়েন্স’ না আমি বলছিলাম অল্পেই আমাদের খুশী হয়ে যাবার কথা। কমপ্লায়েন্সতো আমরাও ঠিক করি। সব আমলা কি খারাপ, আমার কাছে মনে হয়েছে ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের ভুতের পিঠে সওয়ার হয়ে আমাদের যে ”সিস্টেম” তার মাঝে সত্যিকারের ’প্রো-একটিভ’ আমলা হওয়াটা খুবই বিপদজনক আমলাদের জন্য। আমলাতন্ত্র নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের রাতভোর হয়ে যাবে। সমস্যা আসলে আমাদের সবার মিলিতভাবে তৈরী - একপক্ষকে দোষী করতে গেলে অপরপক্ষেরও কোন না কোন অজুহাত থেকে যাবে। ”অজুহাত” নামক হাত এখন বাংলাদেশের সবচাইতে সক্ষম হাত। আমরা বরং নিজেদের কাজটুকু ঠিকমত করে যাই নিজেকে ছাড়িয়ে গিয়ে!
তবে, আমাদের আমলাতন্ত্র কিন্তু যতটানা ’তন্ত্র- মন্ত্র’ তারচাইতেও বেশী ’যন্ত্রে’ পরিণত হয়েছে!’
হাহা... উপরে তানভীর ভাই যে বলেছেন, হারিকেন অ্যান্ড্রু, হারিকেন আইক... সেগুলো তো সব পুরুষ-নাম
সে তো বটেই, এদেরকে কিচ্ছু বিশ্বেস নেই। মনে হচ্ছে প্রিপারেশন হিসাবে আরও খানকতক বালতি গামলা আর ন্যাকড়া কিনে রাখলে ঠিক হত
আফটার এফেক্ট কী হবে কে জানে... সোমবার সকালেই আবার আমাকে পড়াতে যেতে হবে... ছাত্রদের ছাত্রশিক্ষাদানের রীতিনীতি সম্বন্ধে জ্ঞানদান করতে... রাস্তাঘাট পুকুর না হয়ে থাকলে বাঁচি...
তানিম ভাই, সব দোষ মহিলাদের উপর দেয়া ঠিক না। এইখানের আটলান্টিক হারিকেনের নাম গুলো পুরুষ-মহিলা পরিবর্তিত ক্রমানুসারে হয়। বছরের প্রথম হারিকেনের নাম হয় A দিয়ে (Andrew, for example) তার পর B,C,D এভাবে চলতে থাকে। প্রথমটা পুরুষ হলে পরেরটা হয় নারী। যেমন এই বছরের নাম গুলা ঠিক হয়েছে এইভাবেঃ
Arlene, Bret,Cindy, Don, Emily, Franklin, Gert, Harvey, Irene, Jose, Katia, Lee, Maria, Nate,
Ophelia, Philippe, Rina, Sean, Tammy, Vince, Whitney। সুতরাং আইরিন আপার আগে হারভি ভাই সহ আরও ৮ টা হারিকেন এই বছর হয়ে গেছে, খুব একটা জোর ছিলোনা বলে এদের নাম শোনা যাই নাই। এদেরকে ঠিক হারিকেন সমাজে গ্রহন ও করা হয় না, বরং ট্রপিক্যাল ঝড় বলে বেইজ্জত করা হরা হয়। যাই হোক আইরিন আপার পর নেক্সট যেই ভাই আসবেন তার নাম Jose। যাই হোক অনেক জ্ঞান দিলাম। বক্তব্যের মূল অর্থ হচ্ছে, ঠিক যেমন সকল মহিলারা খারাপ হলেও সকল খারাপরাই মহিলা না। ঠিক তেমনি সকল হারিকেন খারাপ হলেও সকল হারিকেন মহিলা না।
৯১ এর ঘূর্ণিঝড়ের সময় ভালই টের পেয়েছি...এগুলান বহুত খতরনাক জিনিষ। সাবধানে থাকবেন...ঝড়ের কারণে যদি আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেই হয় রাস্তায় যাওয়ার সময় খুব সাবধান উড়ন্ত বস্তু থেকে...৯১ এ অনেকেই বিশেষ করে বাড়ির উড়ন্ত টিনের আঘাতে হতাহত হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন। সিএনএন-এর সাংবাদিক আজকেই টিভিতে দেখাচ্ছিল, তাদের দিকে ভাঙা কাঠের ধারালো টুকরো ইত্যাদি নানা জিনিস ঝড়ে উড়ে আসছে। তবে ঘরে বালতি ধরে বসে থাকলে ওই নিয়ে সমস্যা নেই
সাবধানে থাকুন।
বৌদি আর বাচ্চাদের নিয়ে নিরাদে থাকুন।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আঁয়! মিয়া গাঞ্জা-টাঞ্জা খাইছেননি?
বাইদাওয়ে, আমার বালিকা-পোস্টেই আপনারে কমেন্টাইতে দেখলুম না, ব্যাপারখানা কী? সন্ন্যাস নিচ্ছেন নাকি? তাই কি গাঞ্জা টানা পেরাকটিশ করতেছেন?
ইস! পাবলিক ফোরামে বলে ফেললাম নাকি! ঝড়ের চিন্তায় চিন্তিত হয়ে আপনি যে ব্যপারটা পাঁচকান করতে চান না তা তো ভুলে গেছিলাম। এখন প্রতিমন্তব্য করেছেন, আর সম্পাদনাও করতে পারছি না! দুঃখিত
বালিকা পোস্ট নজর এড়িয়ে গেল কীভাবে! গত সপ্তাহটা অবশ্য লেজে আগুন লেগে ছিল! হবে হবে, পোস্ট তো আর পালাচ্ছে না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
এই দুর্যোগগুলোর নাম কে দেয় ? কিভাবে দেয় জানতে ইচ্ছ করছে।
ভালো থাকুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ডুপ্লি ঘ্যাচাং------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এখানে কিছু তথ্য পেতে পারেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ক্যাটরিনার সময় একটা সাইট পেয়েছিলাম, যেখানে দেখেছিলাম ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম ধাম। এমনকী অনাগত ঝড়গুলোর নামও ঠিক করে রাখা ছিলো... এখন লিঙ্ক জানা নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কে কিভাবে দেয় তা জানি না। তবে "Traffic" নামে একটা সিনেমায় একটা কৌতুক আছে এই নাম দেয়া নিয়ে -
"Do you know why hurricanes have female names?"
"No,why?"
"It's because when they come, they are wet and wild; but when they leave, they take your
house and car away."
-মেফিস্টো
অসাম। তবে নারীবাদীরা ধরলে আমি নাই।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
থ্যাঙ্কু ঠাম্মি
আমার মা ভাই ভাবী ভাগ্নি ভাস্তি মিলায়ে পরিবারের অর্ধেক লোক থাকে নিউইয়র্কে... চিন্তা চিন্তা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আইরিন খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিউইয়র্কের উপর দিয়ে চলে গেছে। জল জমা - গাছ পড়া - কারেন্ট যাওয়া এসবের চেয়ে বেশি ভয়াবহ কিছু তেমন হয়নি। ওনাদের ভালই থাকার কথা।
"So, Americans, when was the last time you had live coverage of the typhoons that regularly smash entire villages in the Phillipines and Bangladesh, and agonised about what those people would do without electricity for a couple of days? Oh but they don't have electricity anyway? I get that Irene is a threat, but already she seems no big deal in the scale of world disasters or even Katrina. The endless tiresome self-obsessed hysteria will kill more people, already has, than Irene. Calm down..." -- Priyamvada Gopal (Faculty of English, University of Cambridge)
আমার ফেসবুকের এক "বন্ধু" জানাচ্ছেন, প্রিয়ম্বদা গোপাল নাম্নী কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সোশাল অ্যাক্টিভিস্টের মন্তব্য এটি (ইন্টারনেট রেফারেন্স খুজে পেলাম না)। সবাই আবার এটা পড়ে অনেক খুশি হচ্ছে, লাইক মেরে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে আইরিন থেকে বহুমাত্রায় মারাত্মক / শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় হয়েছে। সিডর কিংবা আইলাতে এর চেয়ে হাজারগুণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিডর এর সময়েই বোধহয় ঢাকা শহর প্রায় ১ দিন (বা তার চেয়েও বেশি) বিদ্যুৎ-বিহীন ছিল। বাসায় খাওয়ার পানি নিয়ে টানাটানি পড়ে গেছিলো মনে আছে। উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে মানুষের দূর্ভোগ নতুন করে বলবার কিছু নাই। সেই হিসেবে আইরিন কিছুই না (এই মাত্র টিভি জানাচ্ছে, আইরিন লেভেল ১ হারিকেন থেকে ট্রপিকাল ঝড়ে পরিনত হয়েছে)।
কিন্তু তারপরেও, দূর্যোগ মোকাবেলা করবার প্রস্তুতি নিতে আমি ক্ষতির কিছু দেখি না। বিভিন্ন অঞ্চল ফাঁকা (evacuate) করবার নির্দেশ কিন্তু সরকারী পক্ষ থেকেই এসেছে, মিডিয়া থেকে নয়। হারিকেন, বন্যা, টর্নেডো ওয়ার্নিং গুলো ন্যাশনাল ওয়েদার সেন্টার জারি করেছে, মিডিয়া না। শুক্রবার বিকালে সুপারমার্কেটে গিয়ে ঈদের বাজারের ভীড় দেখেছি। পানির বোতলের আইল ফাঁকা না পেলেও সামনে লাইন ছিলো। আমি থাকি ফিলাডেলফিয়ায়, আইরিনের সরাসরি পথে না পড়লেও ক্ষয়-ক্ষতি কম হয় নাই। মানুষের কষ্ট সব স্থানেই কষ্ট, বাংলাদেশে হোক, ফিলিপিনে হোক কি আমেরিকায় হোক। আর এই জাতীয় দূর্যোগে সব সময়ে গরিব মানুষরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়। এখন আমেরিকায় গরিব লোক নাই এই দাবি করলে বলার কিছু নাই।
ঠিক, ঠিক।
বাপরে, এতক্ষণে ঢুকতে পারলাম। সব ভালোয় ভালোয় কেটে যাক।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আইরিনের চোখ বস্টনের উপর দিয়ে চলে গেছে। ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে, গাছ পড়েছে, তবে শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে উড়ে চলে যে যাইনি তা তো দেখতেই পাচ্ছেন।
হ, মনে হইলো ফোরপ্লে বেশি করতেছে...যাউজ্ঞা, খুব বেশি ঝামেলা হয় নাই আশা করি।
অফটপিকঃ গতকালের ফেসবুকের স্ট্যাটাস দিছিলামঃ অনিন্দ্য সুন্দরী আবেগময়ী সেই "পবিত্র"তার দেবীর ভালবাসার উন্মাদনার চিহ্ণ এখনো মুছে যায় নাই, এখন আবার অনেক ঢাকঢোল বাজিয়ে আরেক সুন্দরী-তন্বী "শান্তি"র দেবী আসছেন...ইনার দেহবল্লরী অনেক আকর্ষনীয় হলেও ভালবাসার জোর অনেক কম, কিন্তু ইনিও কিছু চিহ্ণ রেখে যাবেন...সেই চিহ্ণ মুছতে গৃহকর্তা আবার অন্যর ঘরে হানা দিতে পারেন...আর অন্যদিকে আমাদের "চক্ষুময়ী"র উন্মত্ত ভালবাসার কোন তুলনাই ছিলনা...তার মত করে আর কেউ ভালবাসতে পারে না! সেই ভালবাসার দায় মেটাতে আজও আমরা নিঃস্ব-ভিখারী...(Katrina: Pure, Irene: Peace, Sidr: Eye)
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
আপনার লেখা পড়ে যা কইতে চাইছিলাম সবাই দেখি আগেই কয়া ফেলছে, ভাল থাকবেন কৌস্তভদা।
ধন্যবাদ কল্যাণF। আইরিন চলেই গেছে মোটামুটি।
কি খবর কৌস্তুভ'দা? আশাকরি ভাল আছেন।
শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আপনি টিকে আছেন, নিরাপদে আছেন দেখে স্বস্তি পেলাম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বোস্টনে যাইতে যাইতে আইরিন দুর্বল হয়ে গেছে। হবে না আবার, কৌস্তুভের মত গ্ল্যামারাস একটা পোলারে দেখলে কোন মেয়েই না দুর্বল হয়ে পরে!
না রে ভাই, আইরিন নির্ধারিত সময়ের আগেই বস্টন পেরিয়া কানাডা ঢুকে পড়েছে, নির্ঘাত ফাহিম বা পছন্দনীয়ের সন্ধানে!
খালি নিজের দায় মানুষের ঘাড়ে চাপানো! কী করেছেন কে জানে যে বেচারী মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে ইউ এস তল্লাট ছেড়েই ক্যানাডায় চলে গেছে আর এখন কিনা দোষ দিচ্ছেন আমাদের ঘাড়ে, যে ফাহিম বা আমি কেউই ইস্ট কোস্টের ত্রিসীমানায় থাকি না!
আইরিন'রে বেচারী কন? খাড়ান, নর্থক্যারোলিনা-ভার্জিনিয়া-মেরিল্যান্ড-নিউইয়র্ক-ভারমন্টের সব লোক মুগুর লয়া আসতেছে...
আলাবামার কোস্ট এরিয়াতে দুই বছর থাকায়, শ্রীমান আইভান এবং শ্রীমতী ক্যাটরিনার (কাইফ না) দেখা পেয়েছিলাম। লোকজন এবং মিডিয়ার হাউকাউ মাঝে মাঝে একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে, কিন্তু পরে আমারও মনে হয়েছে একটু বেশী ভয় পেয়ে যদি কিছু জান রক্ষা হয় মন্দ কি। ক্যাটরিনা যখন একেবারে তুঙ্গে উঠে নৃত্য করছে তখন আমরা তিন বন্ধু শেলটার ছেড়ে বাইরে বেরিয়েছিলাম তামসা দেখতে। একটু ঘুরাঘুরির পর বেরসিক পুলিশ এসে থ্রেট দিলো, এক মিনিটের ভেতরে যদি ঘরের ভেতরে না যাই তাইলে হাতকড়া পরায়ে মামাবাড়ি নিয়ে যাবে। আইভানকে আমার ক্যাটরিনার চেয়ে বেশী ভয়াবহ মনে হয়েছে। প্রথম কারন সেটা হিট করেছিলো রাতের বেলা। আর দ্বিতীয় কারন ওইটা ক্যাটরিনার মতো অতো ছড়ানো ছিলোনা, মূল আঘাতটা আমাদের শহরের উপর দিয়েই গিয়েছে। তবে ঝড়ের সময়ের চেয়ে ঝড় চলে যাওার পরের সময়টাই বেশী ঝামেলার। দুইবার ই কারেন্ট ছিলোনা ৩ দিনের জন্য। আম্রিকাতে কারেন্ট চলে যাওয়া ভয়াবহ জিনিস, সবকিছুই অচল। তার মধ্যে আবার আমার এক খালা ফোন দিয়ে বলে, সাবধানে থাইকো, এখানের কালোরা একটু ইয়ে আরকি, সুযোগ পেলেই ইয়ে করতে পারে। আমি তো ইজ্জতের চিন্তায় ...
১৯৯১ সনের ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে পড়লো। সেসময় আমার পরীক্ষা। রাতে বাসায় ঢুকলো জল। হাঁটুপানি, ভাগ্যিস কোন জলদস্যুও ঢুকে পড়ে নি। কী যে ভয়াবহ অবস্থা! জল নামার পরও প্রায় ইঞ্চিদুয়েক কাদামাটি ঘরের ভেতরে। কত জিনিস যে নষ্ট হলো! মাছটাছ খাওয়া যেতো না অনেকদিন ধরেই। ওরা প্রচুর মহামাংসপুষ্ট হয়েছে। বিজলি ছিলো না প্রায় হপ্তাখানেক। টিভি চলে নি মাসের ওপর প্রায়। আশেপাশের পাহাড়গুলো সব ছিলো ন্যাড়া। শুনতাম, দূরের দ্বীপগুলোর পাহাড়ে আলো জ্বাললে এখানকার উঁচু জায়গা থেকে চোখে পড়ে।
এখন মনে হয়, হায়, তখন যদি মারাই যেতাম, কী যে ভালো হতো! কী আছে এই জীবনে শুধু তেতো তীব্র দুঃখ আর বেদনা ছাড়া?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
আপনি পরলোকপ্রাপ্ত হলে ভালো হত কী করে, আমরা একজন বন্ধু পেতাম না যে...
এত কথার মাঝে আমি গুব্লেট , অতএব চুপ থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ !!!
ভালো থাকবেন কোস্তভ ভাই
শুভকামনা
এন্ড
পোস্টাইতে থাকেন। আপনার সব পোস্টই দূরন্ত। নিয়মিত ঢুঁ মারতে পারিনা সময়ের কু- ব্যবহারের ফলে। তাই শেষ রাতের বাতি হইয়্যা ঢুইকা পড়ি সচলাতে । এই আর কি
ধন্যবাদ ভাই। সময়সুবিধামত পড়বেন আর কি...
নতুন মন্তব্য করুন