সাদামাটা

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি
লিখেছেন ত্রিমাত্রিক কবি (তারিখ: রবি, ২৮/০৮/২০১১ - ১১:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকালের শুরুটা খুব সাদামাটা। পূবদিকের জানালা দিয়ে নির্লজ্জের মত সূর্যের আলো চোখের উপর এসে পড়ে। নির্লজ্জের সাথে নির্লজ্জের মত ব্যাবহারই মানানসই। উল্টাদিকে ঘুরে সূর্যের বাপ মা তুলে গালি দিয়ে লুঙ্গি দিয়ে চোখের উপরটা ঢেকে নেয়, পাশে রাখা কোলবালিশের উপর বামপাটা তুলে দেয়। বিছানার পাশে কাউকে চোখে পরে না।

- সকাল হইতেই ভাগছে মাগী। টাকা ছাড়া এগুলি কিচ্ছু চিনে না!

মনে মনে আরওকিছু খিস্তিকেউড় করে আরেকবার ঘুমানোর চেষ্টা করে। কিন্তু চটে যাওয়া ঘুম চটে যাওয়া রাগের মত। একবার হুট করে চটে গেলে মাথায় উঠে বসে। কিছুক্ষণ গড়াগড়ি দিয়ে উঠে পড়ে।

একটা সিগারেট ধরায়। আয়েশ করে দেয় সুখটান। বিছানার পাশে আধখোলা ল্যাপ্টপটা অন করে। ডেস্কটপে রাখা ফোল্ডারগুলো একটু গুছিয়ে ফেলে। ফেসবুকে অভ্যাসবশত একটু ঢু মারে। শেষটানটা দিয়ে রাতের আধখাওয়া চায়ের কাপে সিগারেটের বাটটা গুঁজে রাখে। ঘড়িতে সময়টা দেখে নেয়। নাহ এবার উঠতে হবে।

জীবনটা কেবল উপভোগ করতে শুরু করেছে। মনে পড়ে মাঝে মাঝে বোকাচোদা বাপটার কথা। 'লেখাপড়া করে যে, গাড়িঘোরা চড়ে সে', আরো কত ন্যাকামি শিখাইছে। পড়াশোনা করে যে কেউ বালটাও ছিড়তে পারে না, এটা সে খুব ভালোই বুঝতে পেরেছে এই ক'বছরে। শুধু দুঃখ লাগে তিরিশ বছর এভাবে পার করে দিল! নিজেকেও মনে মনে বোকাচোদা বলে গালি দেয়। একটু চোখ-কান খোলা রাখলে, আর জায়াগামত কিছু ডোজ দিতে পারলে, গাড়িঘোড়ায় চড়তে যে তার বেশী সময় লাগবে না এটা বুঝতে শুরু করেছে। মানুষ সে ভালোই চেনে, আর কাকে কি খাওয়াতে হবে সেটাও এই কয়দিনে তার ভালো জানা হয়ে গেছে। নিজের ফকফকা ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিজের অজান্তেই হলদে দাঁতগুলো বের হয়ে আসে।

নাহ আর দেরি করা যাবে না। পার্টির সাথে কথা হয়েছে। সকাল দশটার মধ্যে টাকা রেডি রাখার কথা। আশার কথা হল এসব কেসে পার্টি সাধারণত কোনরকম ভেজালে যায় না। তারপরও টেনশানের ব্যাপার বটে। নিজেকে সাহস দেয়ার চেষ্টা করে।

- হাহ! এইসব কেসে কোন শালা টাল্টিবাল্টি করার সাহস পাইব না।

টাকাটা পেলেই হল। ফিফটি-ফিফটি ভাগ হবে। একদিনে পাঁচলাখ চলে যাবে অ্যাকাউন্টে, ভাবতেই স্বর্গসুখ অনুভব করে। বড়লোক হওয়া তাহলে এত্ত সোজা!

ফোন দেয়। ম্যাডামকে গাড়ি পাঠাতে বলে। আর ভাল লাগে না আর এরকম ফোন করে গাড়ি চাইতে। কিছুদিন ধরে নিজের একটা পার্সোনাল গাড়ির অভাব বোধ করতে শুরু করছে। আবার নিজেকে বড়লোক ভাবতে ভাবতে কল্পনার জগতে ডুবে যায়। ম্যাডামকেও আর সহ্য হচ্ছে না ইদানিং। সব পরিশ্রম, পরিকল্পনা, রিস্ক সব তার, আর মাঝখান থেকে ওই মাগী এসে ফিফটি মেরে দিবে এটা কিছুতেই মানতে পারে না। আর কয়েকটা কেস, এরকম ভাবে চলতে থাকলে আর দুই-তিন বছর পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। তারপর তাকে আর পায় কে! এই জোচ্চরের দেশে আর থাকবেই না, সব জায়গায় দুর্নীতি, মনে মনে খিস্তিখেউড় করে।

ম্যাডাম নিজেই এসেছেন ড্রাইভ করে। বয়স পঁইয়তাল্লিশের কাছাকাছি হবে। কিন্তু কালো কুচকুচে চুল আর রুচিশীল প্রসাধনী বয়সকে অনেকটাই লুকিয়ে রাখে। এখনও অনেকটা সতেজ। রাস্তা দিয়ে হেটে গেলে পুরুষের চোখ এখনও যে ছুঁয়ে যায় সেটা টের পান। গড়পড়তা বাঙ্গালীর মত বুড়িয়ে যাননি। নিয়মিত জিম করে বলেও শুনেছে। আর অর মত যারা ম্যাডামকে কাছে থেকে দেখেছে তারাই জানে, ম্যাডামের যেটুকু বার্ধক্য তা কেবল ওই চেহারায়ই, শরীরের কর্মক্ষমতায় ম্যাডাম এখনও যেকোন মধ্য বিশের ইউরোপীও তরূণীর সাথে পাল্লা দিতে পারেন। কল্পনার রাজ্যে ডুবে যায়। একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। বরাবরের মতই সপ্রতিভ, ম্যাডাম, কণ্ঠে মৃদু ভর্ৎসনার সুর,

- এভাবে তাকাতে হবে না, আজ রাতে বাসায় চলে এস।

বলে একটু হাসেন। খুব বেশী না। উনি জানেন কোথায় কতটুকু হাসতে হয়, কতটুকু হাসলে কর্তৃত্ত্বটা বজায় থাকে।

- এসব কাজ ঠান্ডা মাথার কাজ। একটু গড়বড় হলে কিন্তু খবর হয়ে যাবে। এটা মনে রাখবা সবসময়।

মাগী চুপ থাক, মনে মনে বলতে একমূহুর্ত দেরি হয় না, খবরদারি একেবারে সহ্য হয়না ওর।

নামিয়ে দিয়ে হুস করে বেরিয়ে যায় ঝা-চকচকে টয়োটা প্রেমিও। যাহ শালা বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাটা শুরু করে। এখনো খানিকটা পথ বাকি। ম্যাডাম সবসময়ই সতর্ক, একটু আগে নামিয়ে দেয়া এজন্যেই। আবারো মনে মনে হিসেব কষে, আর দুই-তিন বছর, আর চার-পাঁচটা কেস, গাড়ি বাড়ি তো সময়ের ব্যাপার।

কাঁধে ঝোলানো ব্যাগ। সব ঠিকঠাক থাকলে দশলাখ থাকার কথা। গুনে দেখার কিছু নাই। এসব কেসে কেউ গ্যাঞ্জাম করে না। গ্যাঞ্জাম করলে ডাবল লস। এইটা বাংলাদেশ, এখানে সবকিছু বুঝে চলতে হয়। রাস্তা ধরে হাটতে থাকে। নিজের অজান্তেই হলদে দাত বেরিয়ে আসে। একটা সিগারেট বের করে ধরায়। পকেটে মোবাইল বাজতে থাকে। নাম্বারটা দেখে, খাঙ্কি মাগী, বলে পাওয়ার বাটনটা অফ করে দেয়। নিজেকে রাজা মনে হতে থাকে।

একটা রিক্সা নেয়। বাসায় পৌছাতে হবে। একটা থেকে আজকে নতুন এক ব্যাচ শুরু হবে। ছাত্রীদের এতক্ষণে চলে আসার কথা। বাসার সামনে নেমেই মন ভাল হয়ে যায়। কচি কচি সব মেয়েরা, স্রষ্টার অপূর্ব সৃষ্টি মনে হয় তার কাছে। স্কুলের জনপ্রিয় শিক্ষক সে, ঝোলানো ব্যাগে দশলাখ টাকা। নিজেকে আবারো রাজা মনে হতে থাকে। অভিজ্ঞ নেকড়ের চোখে পরবর্তী শিকার খুঁজতে থাকে। বুঝতে পারে আরও কয়েকদিন ধৈর্য ধরতে হবে।

-আজকের দিনটা বোধহয় সাদামাটাই যাবে।

মনের অজান্তেই একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে।


মন্তব্য

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এই হচ্ছে শিক্ষকতা! আমি মনে হচ্ছে ৫ লাখের রহস্যটুকুও কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি। আপনার এই লেখাটার সাথে আমার কিছুদিন আগের একটা লেখার প্লটের কিছুটা মিল খুজে পাচ্ছি। ওটা ছিলো সমঝোতা-সঙ্গম

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ রাতঃদা, আপনি ধরতে পেরেছেন। গল্প প্রচেষ্টা, আগে গল্প লিখিনি, তাই একটু চেষ্টা করে দেখলাম আরকি, খুব যে সফল হইনি সেটা বুঝতে পারছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা থাকবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

খুব যে সফল হইনি সেটা বুঝতে পারছি।

দ্যাহো কয় কি!!! চোখ টিপি আপনি খুব যে বিফল হননি সেটা আমরা বুঝতে পারছি। তবে হ্যাঁ, উৎকর্ষের জন্যে তো চর্চার কোনও বিকল্প নেই। চর্চা চালিয়ে যান যাতে লেখার ইমপ্রুভমেন্ট ঘটে। ত্রিমাত্রিক থেকে চতুর্মাত্রিক এবং চতুর্মাত্রিক থেক বহুমাত্রিক, জাস্ট সময়ের ব্যাপার। লেগে থাকেন ................

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

অনেক ধইন্যবাদ রাতঃদা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নজমুল আলবাব এর ছবি

অস্পষ্ট

guest_writer এর ছবি

মানে কি? এটা কি কোন সাম্প্রতিক খবরের ছায়াবলম্বনে? এটা কি একটা অংশ, পুরা গল্পের? নাকি মাঝখানে বাদ পড়ছে কিছু অংশ?

-মেফিস্টো

তানিম এহসান এর ছবি

কি ব্যাপার, আপনার লেখাতো সবসময়ই ঝা-চকচকে, আজকে এমন আধাআধি মনে হলো কেন? আমার কাছেও পষ্ট হলোনা। নাকি পষ্ট না করেই আলোচনার জায়গা খোলা রাখলেন, আপনাকে যতদূর দেখেছি তাতেতো পষ্টতা আশা করতেই পারি প্রিয় ত্রিমাত্রিক কবি!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কিছু বুঝি নাই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

পাণ্ডবদা, আমার ব্যার্থতা, আসলে বেশ কিছুদিন আগে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের এক পশুক্ষকের মাধ্যমে ঘটে যাওয়া ঘটনাটির প্লটে একটা ব্যার্থ গল্প প্রচেষ্টা।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আশফাক আহমেদ এর ছবি

বুঝলাম না মন খারাপ

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

@রাতঃদা ধরতে পেরেছেন।
বোঝাতে পারিনি, এটা আমার ব্যার্থতা
এটা আসলে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা মাথায় রেখে লেখা, সমসাময়িক সময়ে পোস্টটা করলে হয়ত ঘটনাটা সবার মাথায় থাকত। গল্পটা লেখার সময় কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ভিকারুন্নিসা নূন স্কুলের শিক্ষক নামের পশুর অপকীর্তিটা মাথায় ছিল। এর পরে অনেক ঘটনা ঘটে গেছে।

গল্প প্রচেষ্টা ব্যার্থ হয়েছে বুঝতে পারছি মন খারাপ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নজু ভাই, আমার কমেন্টটা পরলে আশা করি কিছুটা পরিষ্কার হবে। না বোঝাতে পারার ব্যার্থতা নিজের কাঁধে নিচ্ছি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনি মন্তব্যে যতটুকু লিখেছেন ততটুকু গল্প পড়েই বুঝেছি।
কিন্তু এরকম একটা সত্য এবং স্পর্ষকাতর ঘটনা নিয়ে, যার বিচারকাজ এখনো চলছে এবং বিতর্কিত... তা নিয়ে এরকম একটা গল্প কেন লিখলেন তাই জানতে চেয়েছিলাম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

নজু ভাই, অন্য সব গল্পের মতই, হাইপোথিঠিক্যালি ধরে নিন, এই গল্পের সমস্ত চরিত্র ও ঘটনা কাল্পনিক। কিন্তু আমি যেহেতু কোন ফিকশান লিখতে চাইনি, তাই বাস্তবের ঘটনার সাথে এর মিল থাকবে, কিন্তু এর ঘটনা কোন বাস্তব ঘটনা নয়। সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া খুবই দুঃখজনক এবং নাক্কারজঙ্ক একটি ঘটনা আমার গল্প প্রচেষ্টার প্লট, কিন্তু সেই ঘটনাকে আমি হুবহু তুলে আনতে চাইনি, একটু অন্যভাবে দেখাতে চেয়েছি। যে এরকমও কি হতে পারে? আর যেহেতু প্লটটা স্পর্শকাতর এজন্যে চেষ্টা করেছি খুব বেশী ডিটেইলে না যেতে। যার যেভাবে বোঝার বুঝবেন।

আর গল্পের সাথে বিচার কাজের বিরোধটা ঠিক বুঝিনি নজু ভাই। বাস্তব ঘটনা থেকে গল্পের প্লট তো আসতেই পারে, সেই গল্পের গল্প বাস্তব থেকে কিছুটা ভিন্নও হতে পারে, শেষ পর্যন্ত তো সেটা একটা গল্পই। গল্পের সব ইংগিত যে সত্যি, লেখক তো সেরকম দাবী করছেন না।

এগুলো সবই হচ্ছে লেখক হিসেবে আমার চিন্তা। আপনি অন্যাভাবে ভাবতেই পারেন, সেই ভাবনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা। তবে পাঠক প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারছি, লেখাটা ঠিক জাতে ওঠেনি :(। ভবিষ্যতে চেষ্টা থাকবে হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তানিম এহসান এর ছবি

হঠাৎ করে এই এখন মনে হলো গল্পটা আগের চাইতে আরো বেশী করে বুঝতে পারলাম। বাহ, অদ্ভুততো, চমৎকৃত হলাম! ত্রিমাত্রিক থেকে চতুর্মাত্রিক হয়ে গেলো নাকি ব্যাপারটা! ভালো থাকবেন কবি!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই, প্রথম প্রচেষ্টা তো ... একটু রহস্য রেখে লিখতে চেয়েছিলাম ... কিন্তু সেটা বোধহয় ঠিক হয়ে ওঠেনি।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তানিম এহসান এর ছবি

ঠিক হয়েছে! যেভাবে নিজের কাছে ভালো লাগে সেভাবেই ঠিক, সময়ে সবাই বুঝে নেবে, এই যেমন আমি গল্প পড়ে মন্তব্য করে কাজে মনোযোগী হয়ে গেলাম, তারপর হঠাৎ করেই কাজের ফাকে মনে হলো - উহুু, সাদামাটা গল্পটা সাদামাটা না! রহস্যটা অসাধারণ লেগেছে, রহস্যই চলুক, আমরা সবাই সাদামাটা ভাবে বলি, আপনি রহস্য করতে যখন পেরেছেন তখন আরো পারবেন। বাংলাদেশে রহস্য করে লেখার মত মানুষের অভাব, আপনি এগিয়ে আসুন!

যা করবেন বেশ করবেন, ঠিক করবেন! অগ্রীম সাধুবাদ রইলো ভাই ত্রিমাত্রিক কবি হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চমৎকার মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ফ্রেশ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মিলু এর ছবি

পুরোপুরি ধরতে পেরেছি, টাকার ব্যাপারটা সহ। ভালো লিখেছেন।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনাকে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নিটোল. এর ছবি

একটু অদ্ভুত লাগল।

অতিথি অন্যকেউ এর ছবি

চমৎকার টার্নিং। অসাধারণ একটা ছোটগল্প। যদিও পড়ার পর মনটা খারাপ হয়া গেলো। এইসব পশুদের অস্তিত্ব আছে এইটা জোর কৈরা ভুইলা থাকি। নয়তো একটা অক্ষম ক্রোধ ভেতরটা পুড়ায়া দেয়।

আপনার গল্পে উত্তম জাঝা!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

চিন্তিত

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সবাই যখন চিন্তিত হলেন, আপনার একটু হতে দোষ কি? চিন্তা করলে নাকি বুদ্ধি বাড়ে, তেলা মাথায় তেল দিতে যেমন দোষ নেই, আপনার বুদ্ধি আরেকটু বাড়লেও ক্ষতি নেই দেঁতো হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সুমন_তুরহান এর ছবি

বুঝতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি। দেঁতো হাসি

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কল্যাণF এর ছবি

ইয়ে, মানে... চিন্তিত

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কনফিউজড করার দায়ভার আগেই নিজের কাঁধে নিয়েছি মন খারাপ । তারপরও অনুরোধ করছি, আগের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যগুলো পড়ে আসুন, হয়ত কিছুটা পরিষ্কার হবে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।