ওহে সচলায়তন, আমার বদ্ধ ঘরে তুমিই আমার একমাত্র বাতায়ন যেখান থেকে আমি আকাশের জোছনা ছুঁতে পারি। পারি ভোরের স্নিগ্ধ শীতল বাতাশ শরীরে মেখে মনপ্রাণ জুড়িয়ে নিতে।
বদ্ধ ঘরে যখন দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় তখন বাতায়নপাশে প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে যন্ত্রনাটা লাঘব করতে পারি। যখন অন্তরমাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়, তখন পারি সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে মনটাকে হালকা করে নিতে।
ওহে সচলায়তন, আমার অফুরন্ত অবশরের বেশ কিছুটা সময় তোমার সাথে কাটাতে পারি। তোমার মাঝে আমি আমার কৈশোর ও যৌবনের ছায়া দেখতে পারি।
তোমার মাধ্যমে আমি বিদেশ ভ্রমণের স্বাদও নিতে পারি। কত কত সুন্দর জায়গা, অনুষ্ঠান ইত্যাদির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারি।
সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষন পেতে পারি। নিজের মতামতও জানাতে পারি।
নিজের মনের মধ্যে জমে থাকা অনেক নাবলা কথা যা শোনার কেউ নেই তা অকপটে তোমাকে বলতে পারি।
আরও কত কতকি!
হে সচলায়তন, স্বার্থপরের মত দুহাত ভরে তোমার কাছ থেকে শুধু নিয়েই যাচ্ছি। আমি এতই অপদার্থ যে তোমাকে দেবার মত কোন সঞ্চয়ই আমার ভান্ডারে নেই। আমায় ক্ষমা করো।
আশীর্বাদ করি, সদা আনন্দদায়ক হও। তুমি চিরজীবী হও।
লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা
মন্তব্য
মানপত্র নাকি!!!!
প্রেমপত্র হবে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মান-প্রেমপত্র!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
প্রেম করলে মানসন্মান থাকে!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা। কিন্তু দিতে পারেন না এটা আপনাকে কে বললো?! এই যে পড়ছেন, মন্তব্য করছেন, এগুলো কি কম দেওয়া? যারা শুধু পড়েন, মন্তব্য করেন না, তাদের প্রতিজনের পড়াটাওতো পঠনসংখ্যাকে বর্ধিত করছে যা লেখকের জন্যে পরম এক অনুপ্রেরণা। আজ যেমন লিখলেন, এমনি একটা কথা, দুটো কথা করে লিখুন না। এখানে অন্তত পাঠকের গঠনমূলক সমালোচনা পাবেন, এটা নিশ্চিত। আর আপনি হয়তো যে কোনও ভাবনা থেকে প্রভাবিত হয়ে "প্রৌঢ়ভাবনা" নিক নিয়েছেন। কিন্তু আপনাকে আমার মনে হচ্ছে আপনি আদৌ প্রৌঢ়ভাবনা নন, বরঞ্চ তরুনভাবনা। তাইতো সচলের তারুন্যের আড্ডায় ঢুঁ মারছেন।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বলার মতন অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আছে। সেইগুলা লিখেন না। পড়ি।
এই লেখাটা আসলে কোথাও গেল না।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সহমত।
বিরক্তিকর বন্দনা।
এই লেখাটা দ্রুত নীড়পাতা থেকে সরিয়ে দেয়া প্রয়োজন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মানপত্র হিসেবে যুতসই । বন্দনা ও ভাল ...
লেখাটার মধ্যে একজন একনিষ্ঠ পাঠকের মর্মপীড়া দারুণভাবে ফুটে উঠেছে যিনি হয়তো লেখালেখিতে তেমন পোক্ত নন। কিংবা নিজের লেখার মান নিয়ে সন্দিহান।
আমার ধারণা, শখ থাকলেও অনেকেই সচলায়তনে লেখালেখি করতে সংকোচ বোধ করেন। এর কারণ হতে পারে সচলের লেখার সার্বিক মান। কেবল নীরব পাঠকই নন, সচল হিসেবে আমি নিজেও মাঝে মাঝে নিজের লেখার মান নিয়ে সংকোচ বোধ করি।
তবে লিখতে থাকলে কিন্তু লেখা ভালো হতে থাকে।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
মন্তব্যে
সহমত।
মন্তব্যে সহমত।
সচলে স্বাগতম।
লিখতে থাকুন - নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা, অভিমত এইসব নিয়ে। লিখতে লিখতে দেখবেন লেখার মতো অনেক অনেক বিষয় আছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সমালোচনায় দমে যাবেন না, লিখুন নানা বিষয়ে।
সচলায়তনে সুস্বাগতম। আপনার লেখায় ফুটে উঠা আকুতিটুকু মন ছুঁয়ে গেল। আর ভালো লাগলো সরল অভিব্যক্তি, ভালোবাসার কুণ্ঠাহীন সোজা-সাপ্টা প্রকাশ, বিনয়ের মোহনীয়তা। লিখতে থাকুন মন খুলে, চিত্ত হেথা ভয়শূন্য।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
লেখাটি নীড় পাতায় দেখলামনা। সরিয়ে ফেলা হলো নাকি? অনেকের মন্তব্যে মর্মাহত হলাম। একজন নবাগতকে স্বাগত জানানোর বদলে তাকে দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হল। এমন আচরনে নতুন লেখকরা নিরুৎসাহিত হন।
সচলে অতিথি একাউন্টে প্রতি দিন অসংখ্য নবাগতের লেখা জমা পড়ে, কিছু প্রকাশিত হয়, অনেক গুলো ঘ্যাচাং হয়! যে নবাগতের লেখা বাদ গেল তিনি নিরুৎসাহিত হন কী না? এই বিষয়ে আপনার মতামত কী? নবাগতকে তো তাহলে কোন মডারেশনের ভিতর দিয়ে নেওয়া উচিৎ নয়, তাই কি?
যাই হোক আমার তা মনে হয় না। গঠনমূলক সমালোচনা সব সময়ই ভালো। দেখুন উপরে অনেকেই প্রচণ্ড উৎসাহিত করেছেন লেখককে, অনেকে সমালোচনা করেছেন তবে আমি সেখানে কোন নেতিবাচক কিছু দেখলাম না, সবি গঠনমূলক। এরকম বিভিন্ন মন্তব্য আসাটাই স্বাভাবিকতা, কাম্য।
আমার পোস্ট যখন ঘ্যাচাং খায়/সমালোচিত হয়, আমার যে অভিমান হয় না তা কিন্তু না। কিন্তু এই ঘ্যাচাং/সমালোচনা কার্যকরী, কারণ অভিমান কাটিয়ে পরবর্তী লেখায় আমি আরো সচেতন হই, আরো ভালো লেখার চেষ্টা করি।
সচল আসলে এ ভাবেই তার উন্নত মান বজায় রেখেছে, সে এত সমৃদ্ধ।
ধন্যবাদ।
মৃত্যুময় ইষৎ, আপনার সাথে আমিও একমত যে লেখা মডারেশনের ভেতর দিয়েই আসা উচিৎ এবং সব লেখারই গঠনমূলক সমালোচনা হওয়া উচিত। কিন্তু উপরের সবগুলো মন্তব্যই আমার কাছে গঠনমূলক মনে হলনা।একটি মন্তব্য দেখলাম, বিরক্তিকর বন্দনা। হ্যা, এটা উনি বলতেই পারেন। কিন্তু তারপর বললেন লেখাটাকে নীড় পাতা থেকে সরিয়ে দিতে। এই মন্তব্য আমার অবশ্যই গঠনমূলক মনে হলনা। এতে একজনের লেখালেখি ছেড়ে পালাবার সম্ভবনা আছে বলে আমার মনে হয়। আবার দেখা গেল মডুরা সিলেক্ট করেছিল দেখেই লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশিত হয়ে যাবার পর একটি লেখা নীড় পাতা থেকে তুলে নেয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত? হ্যাঁ, অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হত যদিনা লেখাটা কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা সসম্প্রদায়ের জন্য হানিকর, ক্ষতিকর বা অমর্যাদাকর হত। লেখাটা কাউকে আঘাত করেও লেখা হয়নি। সচলের নীতিমালা পড়ে যা বুঝেছি, লেখাটা নীড় পাতা থেকে মুছে দেবার মত কোন ঘটনাও ঘটেনি। যদি মান নিয়ে প্রশ্ন থাকে। তাহলে বলব মড়ুরাতো মান নির্নয় করেই রেখাটা প্রকাশ করেছিলেন।
তাই বলতে চেয়ছিলাম এ বিষয়গুলো নবাগতদের হতাশ করতে পারে।
লেখাটা বিরক্তিকর বলেই এটাকে বিরক্তিকর বলা হয়েছে। সচলকে মানপত্র প্রদান কিংবা এর মডারেশন প্রক্রিয়াকে মহান হিসাবে উল্লেখ করাকে সবসময় নিরুৎসাহিত করা হয়। এই লেখাটিতে খোলামেলাভাবে সচলের যে রকম প্রশংসা করা হয়েছে এটি শিশুসুলভ। সচল একটি পরিণত চরিত্র নিয়ে চলছে। প্রথম পাতায় নিজের বন্দনা প্রকাশ করাটা সেই সচলের জন্য মানানসই নয়।
মডারেশন সমালোচনার বাইরে নয়। সচলে সবসময় নিয়মতান্ত্রিক সমালোচনা গ্রহন করা হয়। এ ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে।
সমালোচনা এবং গঠনমূলক আলোচনাকে যারা সহ্য করতে পারেন না, হতাশ হয়ে যান, তাদেরকে সচল হবার জন্য আরেকটু অপেক্ষা করা প্রয়োজন। পরিণত মনস্ক না হলে শেষকালে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
শুভকামনা
সচল থাকুন, সচল রাখুন
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ঠিক, ঠিক, ঠিক।
আমার কৈফিয়ত,
লেখাটা অনেকেরই বিরক্তির কারন ঘটিয়েছে সে জন্যে আমি লজ্জিত, দুঃখিত, ক্ষমাপ্রার্থী। লেখাটা কিন্তু সচলায়তনের গুনগানের জন্য লিখিনি। বা আমার জানা ছিলনা যে এধরনের লেখা সচলায়তনে প্রচারযোগ্য নয়। আমি সত্যিকার অর্থেই আমার অনুভুতির কথাই প্রকাশ করতে চেয়েছি। আপনাদের মধ্যে অনেকেই খুব খুব ভাল লেখেন অন্তত আমার তাই মনে হয়। অখন্ড অবসর কাটাবার জন্য আমি প্রায় সব লেখাই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি। এমনকি মন্তব্যগুলোও। যে কোন কারনে বা অকারনে যখন আমি বিমর্ষ হয়ে পড়ি তখন সচলায়তনের পুরোনো পছন্দের লেখাগুলো পড়তে পড়তে আমার বিমর্ষভাবটা কিছুটা হলেও দূরিভুত হয়। যেমন ক্যাফিনযুক্ত কফি পানের পর মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে নিজের ভাবনাগুলো প্রকাশের ইচ্ছা হয়। লেখালেখির অভ্যাস বা হাত আমার কোন কালেই ছিলনা। লেখার সাহিত্যমূল্যও আশা করিনে, শুধু নিজের ভাবনাগুলো প্রকাশ করাটাই মূখ্য। তারপরও কখনও সখনও কুঁজোরওতো চিৎ হয়ে শুতে ইচ্ছা হয় বৈকি।
লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা
লিখতে থাকুন। আপনার গদ্যে সাবলীলতা আছে।
পাঠক প্রস্তুত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার মূল লেখা আর এই মন্তব্যটা তুলনা করে দেখুন। মূল লেখাটা প্রকাশের পর কয়ডা আলোচনা-সমালোচনার পরেই লক্ষণীয় উন্নতি। ভাল লিখতে হইলে ঘিলুর পাশাপাশি ধৈর্য থাকাটা খুব দরকার বইলা আমার মনে হইতাছে। আফসুস আমার দুইটারি ঘাটতি। তাই পেট ভরা আগ্রহ আর কিছু হিংসা (ভাল ভাল লেখার প্রশংসা করার অর্থে কইছি, কার ক্ষতি করার অর্থে কই নাই) নিয়া সচলে ঘুরাঘুরি করি টাইম পাইলেই, আলোচনায় অংশ নিয়া লেখা ঠিকঠাক করা যাইতে পারে মনে হয়।
লেখা হিসেবে আপনার লেখাটা ভালো লাগে নি। কিন্তু আপনার প্রকাশভঙ্গী এবং বক্তব্যের সারল্য মুগ্ধ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, আপনার কাছ থেকে অনেকগুলো ভালো লেখা পাওয়া সম্ভব।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নতুন মন্তব্য করুন