বায়ুপ্রবাহের প্রকৃতি অনুযায়ী সব ঝড়কেই মূলতঃ দুই ভাগে ভাগ করে ফেলা যায়। সরলরৈখিক- যেখানে বাতাস সোজাসুজি প্রবাহিত হয় (straight-line winds) যেমন- আমাদের কালবৈশাখী; এবং ঘূর্ণনগতিসম্পন্ন ঝড় (rotating winds) বা ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড় আবার নানা রকম হয় যার মধ্যে স্থলভাগের ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডো এবং ক্রান্তীয় অঞ্চলের মহাসাগরগুলোতে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড়গুলো আমাদের কাছে বেশি পরিচিত যেগুলোকে সাধারণভাবে ট্রপিক্যাল সাইক্লোন বলা হয়। এ লেখাটি শুধু ক্রান্তীয় এলাকার সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে।
নামকরণের হেতু
ক্রান্তীয় অঞ্চলের (নিরক্ষরেখার দুই পাশে কর্কট ও মকর ক্রান্তি পর্যন্ত অঞ্চল- ছবিতে গোলাপী রঙ চিহ্নিত এলাকা) ঘূর্ণিঝড়গুলোকে স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। কোথাও সাইক্লোন, কোথাও হারিকেন আবার কোথাও টাইফুন। আদতে সবগুলো ঝড়ই এক। সাধারণভাবে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয় তাদেরকে বলা হয় সাইক্লোন। ইংরেজ সাহেব প্রাক্তন জাহাজী হেনরি পিডিংটন কলকাতায় চাকরি করার সময় এ অঞ্চলের ঝড়গুলোর দানবাকৃতি দেখে গ্রীক শব্দ ‘kyklos’ থেকে (যার একটা অর্থ সাপের কুণ্ডলী) সাইক্লোন নাম প্রস্তাব করেন- ১৮৪৮ সালে নাবিকদের জন্য তার লেখা ‘সেইলার্স হর্ন বুক ফর দ্য ল অফ স্টর্মস’ এ যা প্রকাশিত হয়।
চিত্রঃ ক্রান্তীয় অঞ্চল
আটলান্টিক মহাসাগরীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড়গুলোকে বলা হয় হারিকেন। সাধারণত একটু শক্তিশালী ঝড়গুলোকেই (বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মাইলের বেশি) হারিকেন ডাকা হয়, যার নামকরণ করা হয়েছে মায়ান ঝড়-বিষ্টির দেবতা ‘হুরাকানের’ নামে। আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম ‘টাইফুন’। চিনাভাষায় এর কাছাকাছি শব্দ (taaifung/tai feng) যার অর্থ ‘শক্তিশালী বায়ু’। আবার আরবরা গ্রিক শব্দ tuphon থেকে ঝড়ের নামকরণ করেছে ‘তুফান’ যা আমরা অনেক সময় বাংলাতেও (উপমহাদেশীয় অন্যান্য কিছু ভাষাতেও) ব্যবহার করি। আরবদের কাছ থেকে এ শব্দ ইংরেজদের কাছে যায় এবং শেলির ‘প্রমিথিউস আনবাউন্ড’ বইয়ে ১৮১৯ সালে প্রথম ‘typhoon’ বানানটি ব্যবহৃত হয়।
আগে নির্দিষ্ট কোনো ঝড়ের নামকরণ করা না হলেও বেশ কিছুদিন ধরে ঝড়গুলোকে চিহ্নিত করতে আইরিন, ক্যাটরিনা, নারগিস, সিডর ইত্যাদি নামকরণ করা হয়। ঝড়ের উৎপত্তিস্থল অনুযায়ী পৃথিবীর ক্রান্তীয় অঞ্চলকে সাতটি বেসিন বা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ বেসিনগুলোতে ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়ার জন্য নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারাই ঝড়ের এ নামগুলো দেয়।
চিত্রঃ সাতটি বেসিন এবং এর কর্তৃপক্ষের অবস্থান
যেমন উত্তর আটলান্টিক বেসিনে পূর্বাভাসের দায়িত্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অবস্থিত ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার। এখানে উৎপন্ন হারিকেনগুলোর নাম তারাই দিয়ে থাকে। কাজের সুবিধার জন্য তারা নামকরণের একটি তালিকা আগেই বানিয়ে নিয়েছে যেটা এলফাবেটিকালি বা বর্ণানুক্রমিকভাবে অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ বছরের প্রথম হারিকেনটির নাম হবে ‘A’ দিয়ে। হারিকেন আইরিনের নাম যেহেতু শুরু হয়েছে ‘I’ দিয়ে, কাজেই এটি আসলে এই বেসিনে উৎপন্ন এ বছরের নবম হারিকেন। আগের আটটি যেহেতু উপকূলের কাছাকাছি আসে নি, তাই আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় নি। এরকম ছয় বছরের জন্য তালিকা আগেই ঠিক করা থাকে। নামকরণের তালিকাটি এখানে পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, কোনো একটা হারিকেন যদি মারাত্মক ক্ষতিসাধনে সক্ষম হয় তবে সেটা তালিকা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। যেমন- হারিকেন ক্যাটরিনা- যে নামটি আর কখনো নতুন কোনো ঝড়ের নামকরণে ব্যবহৃত হবে না, ২০০৫ সালের সেই বিধ্বংসী হারিকেনকেই শুধু বোঝাবে। আগে শুধু মহিলাদের নামে হারিকেনের নামকরণ করা হলেও ১৯৭৯ সাল থেকে পুরুষ নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং বর্তমান তালিকাগুলোতে পর্যায়ক্রমে মহিলা ও পুরুষের নাম রয়েছে।
আমাদের এ অঞ্চলে অর্থাৎ উত্তর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় পূর্বাভাসের দায়িত্বে আছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ এ অঞ্চলের আরো কিছু দেশ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার একটি প্যানেলের (WMO/ESCAP) সদস্য। ২০০০ সালে এই প্যানেল প্রস্তাব করে এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করার জন্য। এজন্য প্রতিটি দেশ থেকে ১০ টি করে নাম জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যেহেতু বিভিন্ন দেশ তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নাম দিয়েছে তাই এখানকার ঝড়গুলোর নামে কোনো বর্ণানুক্রম বা সামঞ্জস্য নেই। একটা অগ্নি তো আরেকটা নারগিস। ২০০৪ সালে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ প্রথম যে ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করে তার নাম অনিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন হয়?
ক্রান্তীয় অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলো আসলে এ অঞ্চলের আবহাওয়ার একটা প্রক্রিয়া (low pressure system) যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে সৃষ্ট প্রচণ্ড তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে পৃথিবীতে তাপের সামঞ্জস্য রক্ষা করে। যদি উপকূলীয় জনবসতিতে মাঝে মাঝে আঘাত হেনে আতংক সৃষ্টি না করত, তবে আমরা এদের বেশ উপকারীই বলতাম।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি একটি জটিল প্রক্রিয়া। সমুদ্রে মূলত চারটি প্রভাবকের উপস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। প্রথমত, সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকতে হয় এবং তার প্রভাব ন্যূনতম ৫০ মিটার গভীর হতে হয়। উল্লেখ্য, পানি থেকে নির্গত তাপ হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের মূল শক্তির উৎস। এ কারণে ডাঙায় হাজির হলে পানির অভাবে ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি কমতে থাকে এবং কিছু সময় পর দুর্বল হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
দ্বিতীয়ত, নিরক্ষরেখা থেকে দূরত্ব। সাধারণত নিরক্ষরেখা উভয়পার্শ্বে ১০ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ক্রান্তীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। কারণ পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সৃষ্ট কোরিওলিস শক্তির প্রভাবে এ অঞ্চলে বায়ু সোজাসুজি প্রবাহিত না হয়ে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে যায় যার ফলে ঘূর্ণনগতিসম্পন্ন ঝড়ের সৃষ্টি হয়। উত্তর গোলার্ধের ঘূর্ণিঝড়গুলো (টর্নেডোসহ) ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে (counter clockwise) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে ঘোরার এটাই কারণ। কোরিওলিস শক্তি ন্যূনতম থাকায় নিরক্ষরেখার ০ ডিগ্রি থেকে ৫ ডিগ্রির মধ্যে এ ঝড়গুলো সৃষ্টি হতে পারে না।
তৃতীয়ত, বায়ুমণ্ডলের নিম্ন ও মধ্যস্তরের অধিক আর্দ্রতা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং চতুর্থত, ঘূর্ণিঝড় স্বতস্ফুর্তভাবে সৃষ্টি হতে পারে না, তাই সমুদ্রে আগে থেকে বিরাজমান বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি থাকলে ঘূর্ণিঝড় সেটাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনও আরো প্রভাবক খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করছেন। তবে এ চারটি প্রভাবক একসাথে, একই সময়ে থাকাও বেশ সহজ কথা নয়। তাই, বলা যায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি মোটামুটি একটি জটিল ব্যাপার।
ঘূর্ণিঝড়ের ‘চোখ’
চিত্রঃ স্যাটেলাইট ছবিতে হারিকেনের বিভিন্ন অংশ
আমরা ঘূর্ণিঝড়ের যে কোনো স্যাটেলাইট ছবিতে কেন্দ্রে যে বৃত্তাকার ছোটো অংশটি দেখি সেটিকে হারিকেনের আই বা চোখ বলা হয়। এর চারপাশে যে বলয়টি রয়েছে তাকে বলা হয় ‘আই-ওয়াল’। মজার ব্যাপার হলো হারিকেনের চোখ বা আই হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে শান্ত অংশ, এখানে কোনো ঝড়-ঝঞ্ঝার চিহ্ন থাকে না, কিন্তু এই চোখ প্রথমবার উপকূলের যে অংশ দিয়ে অতিক্রম করে (যাকে বলা হয় Hurricane Landfall) তাদেরকেই বেশি হ্যাপা পোহাতে হয়। কারণ, সে অংশটিকে দুইবার আইওয়ালের মুখোমুখি হতে হয়। সাধারণত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর চোখ সুগঠিত থাকে। হারিকেন আইরিন আকারে বিশাল হলেও এর শক্তিমত্তা যে কম তা এর চোখ দেখেই বলে দেয়া যায়, কারণ এর কেন্দ্রটি সুগঠিত নয় (দ্রষ্টব্য ক্যাটরিনা ও আইরিনের তুলনামূলক স্যাটেলাইট ছবি)। আইওয়াল বলয়ের পাশে সর্পিলাকার যে কুণ্ডলীগুলো থাকে সেগুলো হলো রেইনব্যান্ডস বা বৃষ্টির কুণ্ডলী। আকারে বিশাল হলেও আইওয়ালের বাইরের অংশ যত বড়ই হোক না কেন, সে অংশে বৃষ্টি ছাড়া কিছু হয় না, বাতাসের গতিবেগও কম থাকে (যেটাকে অনেককে দেখলাম বলতে হারিকেনের ফোরপ্লে )। অনেক সময় কিছু টর্নেডো হবার সম্ভাবনা থাকে।
চিত্রঃ ক্যাটরিনা ও আইরিনের তুলনামূলক ছবি
ঘূর্নিঝড় মৌসুম
যেহেতু ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে একসাথে কিছু প্রভাবক থাকা লাগে, সুতরাং ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির বেসিনগুলোতে নির্দিষ্ট মৌসুমও আছে যেখানে তখন এ প্রভাবকগুলোর উপস্থিতির সম্ভাবনা বেশি থাকে। উত্তর আটলান্টিকে এ সময়কাল হচ্ছে জুন ১ – নভেম্বর ৩০ যা যুক্তরাষ্ট্রে ‘হারিকেন মৌসুম’ হিসেবে পরিচিত। মূলত এ সময়ে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে।
আমাদের দেশে বর্ষাকাল এসে বাগড়া দেয়ায় ঘূর্ণিঝড় মৌসুম দুই ভাগে বিভক্ত- বর্ষা-পূর্ব ও বর্ষা-উত্তর। বর্ষার উপস্থিতিতে ইন্টার ট্রপিকাল কনভার্জেন্স জোনের (ITCZ) প্রভাবে এ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের কাজকর্ম বন্ধ থাকে। বাংলাদেশে এপ্রিল ২৯, ১৯৯১ এবং নভেম্বর ১৩, ১৯৭০ যথাক্রমে বর্ষা-পূর্ব ও বর্ষা-উত্তরকালীন দুটো ভয়ংকরতম ঘূর্ণিঝড়ের উদাহরণ। শীতকালে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি-ফ্রেব্রুয়ারি-মার্চ) অর্থাৎ যখন সমুদ্রের পানি ঠাণ্ডা থাকে তখনও এদেশে ঘূর্ণিঝড় হয় না। তবে সেটা পুরোপুরিই নির্ভর করে পানির তাপমাত্রার ওপর।
ঘূর্ণিঝড় ও গ্লোবাল ওয়ার্মিং
এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার একটি চক্র (Cycle) রয়েছে। আমরা ইদানিং একটু বেশি সংখ্যায় ঘূর্ণিঝড় দেখছি, কারণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চক্রটি এসময় বাড়ার কথা যা আটলান্টিকে মোটামুটি ১৯৯৫ সালের দিক থেকে শুরু হয়েছে। কয় বছর পরে আমরা হয়ত অনেকদিন পরপর ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনব, কারণ চক্র অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা তখন কমে আসবে। যারা গ্লোবাল ওয়ার্মিং ব্যাপারটি স্বীকার করতে চান না, তারা ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে এ চক্রের কথাই বারবার বলেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, অতীতের চক্রগুলোর তুলনায় বর্তমান চক্রে ঘূর্ণিঝড়গুলোর সংখ্যা এবং শক্তিমত্তা অনেক বেশি যার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ভূমিকা থাকতে পারে। এছাড়া গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কারণে বর্তমান বর্ধিষ্ণু চক্রের সময়কালও বৃদ্ধি পেতে পারে।
মন্তব্য
প্রথম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ
অনেক কিছু জানলাম
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
দারুণ লেখা। তবে ছবি আরেকটু বেশি ব্যবহার করলে আরও অনেক কিছু সহজে বুঝিয়ে দেয়া যেত। যেমন সাতটা বেসিনের মানচিত্রগত অবস্থান দিয়ে একটা ছবি দেয়া যেত।
ধন্যবাদ। বেসিনের মানচিত্র পোস্টে দেয়া বেসিনের লিংকে আছে, তাই আর আলাদা করে দেই নি। পোস্টে যুক্ত করলাম:
গুড জব।
(গুড়)
আশা করি শ্রীমতি আইরিন বেশি ত্যক্ত করে নি
ভাই অনেক কিছূ জাইন্না ফেললাম মনে লয়। ধন্যবাদ তথ্যবহুল লিখার জন্যে!
ধন্যবাদ
দক্ষিণ আটলান্টিক অর্থাৎ ব্রাজিল/আর্জেন্টিনার উপকূলের জন্য কোন সংস্থা নেই?
লেখার জন্য
দক্ষিণ আটলান্টিকে কদাচিৎ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপাত হয়। তাই এ অঞ্চলটিকে কোনো বেসিনে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি (বেসিনের মানচিত্র দেখুন)। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে নিজ নিজ দেশের আবহাওয়া বিভাগ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার এবং ইউ এস নেভির জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার পূর্বাভাসে সহায়তা করে।
চমৎকার কাজ!
একটা বেকুবের মত প্রশ্ন করি, কোথায়-কোনমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে হাতের ডানদিক আর বামদিক হিসাব করা হয়? স্কুল জীবন থেকে ভূগোল পড়ার সময় থেকে দুই গোলার্ধের বায়ুপ্রবাহের, সমূদ্রস্রোতের এমনকি বেসিনের পানির অভিমুখের এই হেরফের হবার কথা শুনছি। কিন্তু কারণটা আজো স্পষ্ট হলো না। কোরিওলিস এফেক্ট বোঝার চেষ্টা করে কিছুদূর গিয়ে ক্ষান্ত দিলাম। কেউ কি সহজ কথায় বোঝাতে পারেন?
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দারুণ প্রশ্ন! মোটেও বেকুবের মতো নয়। আমারই আসলে আরও ব্যাখা করা উচিত ছিলো।
যাই হোক, নিচের ছবিটা খেয়াল করুন-
আমরা ছোটোবেলায় পড়েছিলাম নিরক্ষীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র হয়ে হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়। তখন এ শূন্যস্থান পূরণের জন্য মেরু অঞ্চল (উত্তর ও দক্ষিণ মেরু) থেকে বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। যদি পৃথিবীর ঘূর্ণন তথা কোরিওলিস এফেক্ট না থাকত তবে এ বায়ু সোজাসুজিই প্রবাহিত হত। কিন্তু কোরিওলিসের কারণে এই বায়ুপ্রবাহ উত্তর গোলার্ধে হাতের ডান দিকে (এক্ষেত্রে আপনাকে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর মেরু বরাবর তাকাতে হবে) এবং দক্ষিণ গোলার্ধে হাতের বাম দিকে (নিরক্ষরেখা থেকে দক্ষিণ মেরুমুখী হলে) বেঁকে যায়। যার ফলে উত্তর গোলার্ধে counterclockwise ঘূর্ণন এবং দক্ষিণ গোলার্ধে clockwise ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয়।
সহজভাবে কি বোঝাতে পারলাম?
একখানা ছবিই এঁকে ফেললাম-
অনেকদিন পর পছন্দের পোস্টে নেবার মতন লেখা পেলাম। এই লেখাটা বেশ কাজের।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমার যদি নাম দেবার ক্ষমতা থাকতো তাইলে নাম দিতাম, গোলাম আযম, নিযামী, মেহেরজান...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কিংবা আবুল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
অসাধারণ পোস্ট, অত্যন্ত সুলিখিতও বটে। অনেক তথ্য জানলাম। সময়োপযোগী পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ, তানভীর ভাই!!
_____________________
Give Her Freedom!
পড়ার জন্য
ভালো লেগেছে। লেখায় পাঁচতারা।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
কয়েক দিন ধরেই আমার এই কথাটা মনে হচ্ছিল যে শুধু মহিলাদের নামে ঘূর্ণিঝড়ের নাম হয়। এইটা সহ আরো অনেক তথ্য জানলাম। সহজ করে বোঝানো খুব কঠিন , আপনি খুব সহজ করে বুঝিয়েছেন।
ধন্যবাদ।
কত কিছু জানিনা !!! বেসিন ভিত্তিক এলাকাগুলো একেবারে ঠিকঠাক মতো মনে থাকছেনা।
বেসিন তো আমারও মনে থাকে না। উত্তর আটলান্টিক আর উত্তর ভারত মহাসাগর ছাড়া বাকিগুলোর তেমন খোঁজও রাখি না।
চমৎকার একটা লেখা! নতুন কিছু জিনিস জানতে পারলাম!
সুন্দর লেখা। যথেষ্ঠ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
দারুণ লেখা। আগেই পেড়েছি। মনে মনে মন্তব্য করেছিলাম বলে সেটা দেখা যায়নি আগে
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
নতুন মন্তব্য করুন