বাসা নিয়েছিলাম বড়ই শখে সিদ্ধেশ্বরী। ছিমছাম মিন্টোরোড, ওল্ড এলিফেন্ট রোড, ওল্ড বেইলী রোড এইসব জায়গা আমার বড়ই পেয়ারের ছিল ছাত্রজীবনে। কিন্তু এইসব জায়গায় থাকতে হলে হতে হয় এমপি মন্ত্রী অথবা নিদেনপক্ষে বিচারপতি বা হেডমওয়ালা আমলা। শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলাম আমার পক্ষে এই দেশে এগুলোর কোনটাই হওয়া সম্ভবনা। তাই শখ শখই থেকে গেল। কিছুটা সামর্থ হবার পর বাসাটা নিলাম এসব এলাকার কাছাকাছি সিদ্ধেশ্বরীতে যাতে আসা যাবার পথে হলেও ছিমছাম জায়গাগুলো দেখতে পারি। সিদ্ধেশ্বরী হল দেশের নব্য উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষের একটা এলাকা। এখানকার বেশীরভাগ অধিবাসি আমার মত পায়ে হেটে বা রিক্সায় চড়ে চলেননা তাই রাস্তার একটু ঝাক্কি ঝুক্কি ওনাদের গাড়ীর শক এবজরভারের উপর দিয়েই চলে যায়। আমি নাদান একজন ব্যাচেলর। থাকি এক বাড়ীর চিলেকোঠায়, হাটি রাস্তায়, তাই অসংগাতিগুলো আমারেই বেশী কামড়ায়। এখানে রাস্তাগুলো দেখি শীতকালেও প্যাক কাদায় পরিপূন্য। ভিকারুন্নেসা স্কুলের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা ঢুকেছে সেটাতে রিক্সায় চলতে গেলেতো রিক্সার উত্থান পতনে নারিভুঁরি বের হয়ে আসার উপক্রম হয়। যদিও বড় বড় খানখন্দগুলোর সাথেই একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আছে, কিন্তু সম্ভবত এখানকার মোটামোটা ছেলেমেয়েদের এসব বিষয়ক সংবেদনশীলতা খুব একটা নেই। এদের নিয়ে ভেবে লাভ নাই। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি সেদিই বিশ্ববিদ্যালয় বলব যেদিন তেলাপোকা পাখি হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। যাহোক, এইসব খানাখন্দ অতিক্রম করে হেটে যাবার সময় মাঝে মাঝেই বড়লোকের গাড়ী আমার শরীরটায় প্যাক কাদা ফিকে দিয়ে যায়। এই কাজটা করতে পারলে গাড়িগুলো যেন ব্যাপক পিনিক পায়। যদি কোনদিন রিক্সা পাই তাহলে এই ভাঙ্গাচোরার বিড়ম্বনা থেকে কিছুটা বাঁচলেও ভিকারুন্নিসা স্কুলের সামনের যে জ্যাম তাতে মোটামুটি রমনা থানা পার হতে ঘন্টা খানেক সময় লাগে। একবার তিন বছর আগে এই স্কুলটার প্রিন্সিপালের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ লাভ করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন এই স্কুলে সতের হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন তিন শাখা মিলিয়ে, আর মধ্যে সবচেয়ে বেশী মেয়ে পড়ে এই প্রধান শাখাটায়। শুনেছি বাবা-মায়ের চেহারা আর পারিবারিক অর্থনৈতিক ভাল অবস্থা স্কুলটিতে ভর্তি হবার অন্যতম অলিখিত শর্ত। গরিবের মেধাবী মেয়েদের এখানে পড়ার সাধ্য নেই বলেই জানি। গরিবের পেলাপানতো মাষ্টরগো কাছে এতো টাকা দিয়া পেরাইভেট পড়তে পারেনা। স্কুলের গাড়ীর চাপে জ্যাম এই রাস্তায় থাকবেনা তো কোথায় থাকবে? শত শত গাড়ী যেভাব রাস্তায় এলোমেলোভাবে যাতাযাতি করে রাখা হয়, তাতে মনে হয় রাস্তাগুলো হিরক রাজার দেশেরই রাস্তা। শুধুকি এই একটা রাস্তা? বড়লোকের ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে আসা প্রাইভেট কারের চাপে আসলেই এই নগরের জনপথগুলো নাকাল থাকে সকাল বিকাল। কবে যে এদেশে স্কুলবাস চালু হবে? যা হোক, আমি আদার ব্যাপারি, জাহাজের খবর নিয়া কি লাভ। রাস্তায় কাদা ছোঁড়াছুড়ির এই বিষয়টি থেকে নিস্কৃতি পেতে একসময় ব্যবহার শুরু করলাম রমনা কালি মন্দিরের সামনের রাস্তাটা। এখান দিয়ে যেতে গিয়ে দেখি আরো বিপদ। মৌচাক মার্কেটে আসছে সারি সারি গাড়ী আর রিক্স্রায় হাজার হাজার নারী। আমি আবার অতটা রমনী মোহন নই। তাই বেশ সংকুচিত হয়েই সেটুকু রাস্তা একদমে পার হয়ে যেতে চাই। চাইলেই কি আর হয়? সেখানে থাকে ভয়াবহ মাইকাচিপা। চিপায় পড়ে আমিও হয়ে যাই একটা যানবহন অন্য শত নারী ও পুরুষের সাথে। থেমে থাকি আমরাও ঘন্টার পর ঘন্টা যানবহনের আগে পিছে। রিকসা আর প্রইভেট কারগুলো আগায় আমরাও আগাই। সেগুলো থেমে থাকলে মানুষ থেমে থাকে। রিকসা, গাড়ী আর মানুষের জ্যামে পারফিইম আর ঘামের গন্ধের সাথে নর্দমার সেন্টের মিশ্রনে একাকার জনপথে আকাশের দিকে চাতকের মত হা করে নিঃশ্বাস না নিয়ে কোন উপায়ই থাকেনা। একসময় দারুন শ্বাসকষ্টের মাঝেও ধৈর্য্যওে বাঁধ ভেঙ্গে হনুমানের মত লাফতে লাফাতে রিকসা আর গাড়ীর ফাঁকে আমি আর অন্য পথচারীরা মারাথন দৌড় প্রতিযোগীতায় মেতে উঠি। এ নগরে চিপাগলির কত লোকের যে গাড়ী আছে! মনে হচ্ছে গাড়ীর চাপাচাপিতে রিক্সা চিপাগলি থেকেও উঠে যাবে অচিরেই কোন একদিন। এই সব চিপাগলির গাড়ীর চাপাচাপিতে আমার মত হাভাতে চিপাগলির বাসিন্দাদের গলির চিপায় চাপা পরে মরার দশ হয়েছে এখন।
চাপায় পিষ্ট হতে হতে যখন খাট্টা মেজাজটা নিয়ে বড় রাস্তায় আসি তখন দেখি সেখানে জ্যাম চলছে গত শতাব্দী থেকে। শুরু হয় রাস্তায় বান্দর নাচন। একবার আগাই তো দুবার পিছাই। জ্যামটার ফাঁকে যেই একটু চান্স লই রাস্তাটা পার হব বলে, অমনি দানবের মত ভেটকি মারে শহরের বাসগুলো। এই যেন চাপা পড়লাম। জানটা হতে নিয়ে একটা লম্ফ দিতেই হিট খাই রিক্সার বাম্পারে। এমন সময় পেছন খেইকা হোন্ডা মারে পশ্চাদদেশে ধাক্কা। লাত্থি উস্টা খাইতে খাইতে যখন রাস্তটা পার হই, ওপারে গিয়ে দেখি আরো বড় বিপত্তি। বাস কাউন্টারে দেখি শতশত পানি প্রত্যাশী একঘন্টা যাবৎ বাসের জন্য চাতক পাখি হয়ে আছেন। আমিও সামিল হই। একসময় বাসটা রাস্তার নানা চড়াই উৎরাই পার হয়ে অবশেষে যখন কাউন্টারে এসে পৌঁছে, আবার বান্দর দৌড়ে সামিল হই। প্রায়শই দেখি লোকজন চিপা দরজাটা দিয়ে একসাথে পাঁচ ছয় জন প্রবেশ করতে গিয়ে একজনের গায়ের সাথে অন্যজন লেগে একটা মানব দেয়া তৈরী হয়ে দরজাটায় আটকে যাচ্ছে। একজন অন্যজনের সাথে সেটে থাকেন, কিন্তু কেই কাউরে আগে উঠতে দিবেনা। আর দিবেই বা কেন? সিটের প্রশ্ন। আগে গেলে সিট পাবেন পিছে গেলে খাড়াইয়া থাকবেন। পেছন থেকে অপরাপর যাত্রীদের খিস্তিখেউর আর জোর ধাক্কায় একপর্যায়ে অচলায়তনটা ভাঙ্গে। সেদিন গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মাঝে দৌড় দিতেই কাউন্টারের লাইনে দন্ডায়মান ছাতায়ালী এক সুন্দরীর কুনুয়ের সাথে খেলাম বেদম ধাক্কা। নারীকুল যে হাজার বছরের পরাধিনতা থেকে নিজেদের উত্তরন ঘটাচ্ছেন প্রমান পাইলাম। সুন্দরী তার আসল রুপ প্রকাশ করল। দাঁতগুলো বের করে ভেটকি দিয়ে বলল, ‘পাগল হয়ে যেতে হয় নাকি?’ লোহার মত শক্ত কুনুয়ের আঘাতে প্রথমে ক্যাঁৎ করে উঠলেও ভড়কে গেলাম তেনার ভেটকি দেখে। ব্যথায় কুঁচকানো মুখটা যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে লজ্জিতভাবে বললাম সরি। তিনি এইবার একটা হাসি দিয়ে বললেন, যান। বহুদিন এমন হাসি কেউ আমার দিকে তাকিয়ে দেয় নাই। সব ব্যথা ভুলে গেলাম।
এ পর্যায়ে বড় রাস্তার জ্যাম নিয়ে আর তেমন কিছু বলবনা। এই নগরে যে দুই কিলোমিটার রাস্তা পার হতে দুই ঘন্টা লাগে সে অভিজ্ঞতা কমবেশী সবারই আছে। কিন্তু জ্যামের মধ্যে আবার যখন বাসের ভেতর ভীড়ের চাপে সেই পারফিউম আর ঘামের গন্ধের মিশ্রনে তৈরী আঁশতে গন্ধটা প্রকট হয় তখনই শুরু হয় বাসের ভেতর আসল সংগ্রাম। দরদর করে পরা ঘাম, স্নো, পাউডার, বডি স্প্রে আর সেন্টের দ্রবন যে সুবাস তৈরী করে তা থেকে জন্ম দেয় এমন এক মাথা ধরা, মনে হয় যেন মাথাটা কেটেই এ মাথা ধরার প্রতিকার সম্ভব। এই পরিস্থিতিতে যদি কেউ সুগন্ধিযুক্ত বায়ু নির্গত করেন তাহলে কি পরিস্থিতি হয় একবার ভেবে দেখার অনুরোধ করছি পাঠককে। তখন পাঁচ মনে হয় অন্তকাল আমি হাঁটবো। আর পাবলিক বাসে উঠবনা।
আমি আবার একটু আরাম প্রিয় মানুষ। বাসে উঠি ঠেকায়। আজকাল এই নগরে রিক্সার যা ভাড়া তাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই বাসে উঠি। রিক্সাওযালাদের দোষটাই বা কি? এই দেশে মোটা চালের কেজি ৪৫ টাকা মাত্র! মালিককে জমা দিতে হয় ৭০-৮০টাকা। আর দৈনিক পকেট খরচ যদি হয় ৫০-৬০ টাকা। বাকী ১৫০-২০০ টাকা প্রতিদিন এখন একটা পরিবারের শুধু ডাল ভাত খাইলেও লাগে। তার উপর আছে ঘর ভাড়া আর বেচারাদের ছেলেমেয়ের লেখাপড়া। তাই পকেটে যতক্ষন টাকা আছে রিকসাতেই চড়ার চেষ্টা করি স্বল্প দুরত্বে। কিন্তু রিক্সাটাও যে আজকাল কপাল থেকে উঠে যাচ্ছে রিক্সাওয়ালা আর আমার মত ছাপোষা মানুষদের। প্রায় বড় সব রাস্তাতেই যে রিক্সা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অবস্থা যা দাঁড়াচ্ছে তাতে আর পাঁচ বছর পর এই নগরে রিক্সা দেখতে পাওয়া যায় কিনা সন্দেহ। যত ঠাডা সব আইসা পড়ে গরিবের উপরে।
এইবার আসি সিএজি আটো আর ট্যাক্সি ক্যাবওয়ালাদের প্রসঙ্গে। যে যাই বলেন ভাই আমি কিন্তু এনাদের উপর বেজায় নারাজ হয়ে আছি। এনারা হইলেন আমার দৃষ্টিতে রাস্তার অন্যতম খবিশ প্রানী। এনাদের মধ্যে সংবেদনশীলতা আছে বলে আমার মনে হয়না। দু’চার জন হয়ত ভাল মানুষ থাকতেও পারে, তবে আজ অব্দি আমার চেখে পড়ে নাই। আমার পরিচিত সাবার কাছেই জিজ্ঞেস করেছি। জীবনে খুব কমবারই তাদের সবার সুযোগ হয়েছে গাড়ী ভাড়া নেবার ক্ষেত্রে হ্যাঁ উত্তর পাবার। জরুরী প্রয়োজনে ঠেকায় না পড়লে যতদুর যানি মানুষ এনাদের ধারেকাছে মাড়ান না। তো বছর তিনেক আগে এমনই এক জরুরি প্রয়োজনে এক ট্রাফিক সার্জেন্টের সহায়তায় এনাদের একজনের সিএনজি অটো আসাদ গেট থেকে বিশ্ববিদ্যলয় পর্যন্ত ঠিক করেছিলাম। আমার ছিল পপুলেশন সায়েন্সেস প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সের সেমিষ্টার ফাইনাল পরিক্ষা। রাস্তার জ্যাম ঠেলে এম্নিতে ২০ মিনিট লেট ছিল, তারপর পড়লাম আচমকা কেরফায়। জোর করে উঠার খেসারত আরকি। শেরাটনের সিগনালটার আগে সিএনজি নিয়ে ব্যাটা দিল মোচড় মগবাজারের দিকে। আমি ক্ষিপ্ত হয়ে বললাম, তোমারে তো ঠিক করলাম ভার্সিটি ওইদিক যাও কই। ব্যাটা উত্তর দেয় তোরে মজা দেখাইতে। এরপরই বলতে থাকলো তুই ছিনতাইকারী আমার গাড়ী ছিনতাই করতে উঠছস। তারপর দেয় আরো জোরে টান। গনপিটুনি আর সাম্ভাব্য মৃত্যুর কথা স্মরন হলো সাথে সাথে। যখনই ভাবলাম মগবাজার গেলেই এখন পাবলিক গজারি চালান দিবে আমার উপর ছিনতাইকারী ভেবে, তখনই রাস্তায় লম্ফ দিয়ে সিনেমার হিরোর মত দুই তিনটা ডিগবাজি খেলাম। বেঁচে গিয়েছিলাম সেদিনের মত। কিন্তু সেই পরিক্ষাটায় ফেল করে পরের বছর নতুন করে আমারে ভর্তি হতে হয়েছিল। সুতরাং, সাধু সাবধান। এনাদের কখনও চটাবেন না, জোর করে উঠতে যাবেন না। দেশের মানুষ এমনিতে ক্রেজি হয়ে আছে। গনপিটুনিতে বেঘোরে প্রানটা যাবে। ভদ্রলোক আর অভদ্রলোকের খোমা আজকাল একই ধরনের হয়ে গেছে। তাই পাবলিকেরও বাছবিচারও কমে গেছে।
এইসব নানাবিধ কেরফা থেকে রক্ষা পাবার জন্য আজকাল স্বল্প বা মাঝারি দুরত্বে হন্টনই একমাত্র উপায় বলে নির্ধারন করেছি। কিন্তু আমারে কুফায় ছাড়েনা। তাই এটাতেও ডিস্টার্ব। সেদিন ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের উল্টা দিক দিয়ে রমনা পার্ক ঘেষে যাচ্ছিলাম হেঁটে। হঠাৎ ফুটপাথের সাথে হেলে থাকা গাছের সাথে খাইলাম এমন এক ঠুসা যে মনে হচ্ছিল এই বুঝি ব্রেইন হেমারেজ হয়ে পগারপার চলে যাচ্ছি। মাথায় পানি ডেলে সেদিন সেবাটা করেছিলেন ফুটপাথে রান্না করে ভাত খাচ্ছিলেন এমন এক নারী। আবার প্রমানিত হল আমার কাছে, দরিদ্রেদেরই সত্যিকারের মানবিকবোধ টিকে আছে।
সেই তখন থেকে বগর বগর করেই যাচিচ্ছ। আমারে মাফ করবেন। আজকাল কথা বেশী বলি। যাহোক, একটা পরামর্শ দিব। বৃষ্টির মধ্যে কখনও ওভার ব্রিজের নীচে দাঁড়াবেন না। একদিন আমি দাঁড়িয়ে খেসারত দিয়েছি। ওভারব্রিজ চুয়ে কিছু পানি পড়েছিল গায়ে। একটু পর দেখি সারা গায়ে হাগু আর পিসুর গন্ধ।
সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ, তারচেয়ে বিচিত্র এই দেশের মানুষ। এরা ফটপাথ থুইয়া রান্তায় হাটে। ফুটপাথে চলে মটর সাইকল আর রাস্তায় মানুষ।
ভাল থাকবেন। রাস্তায় সাবধানে চলা ফেরা করবেন।
সাইফ জুয়েল
মন্তব্য
পড়তে মজা লেগেছে আপনার লেখার গুনে, যদিও বিষয়টা মজার বা হাসির নয় বরং মর্মান্তিক।
ধন্যবাদ কল্যান। পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল। বিষয়গুলো খবই জনগুরুত্বপূর্ন বলে মনে করি তাই লিখি। মজার মধ্য দিয়ে সত্যটা তুলে ধরার চেষ্টা করি। ভাল থাকেবন।
লেখা বেশ ভাল লাগল । রাস্তায় মানুষের ভোগান্তি দিনে দিনে মাত্রা ছাড়িয়ে চলেছে । বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার অবজ্ঞা ভাল লাগল না । যাই হোক , এটাকে আপনার বেক্তিগত মতামত হিসেবে বিবেচনা করছি । ভাল থাকুন
ভাল লাগার জন্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ, বেসরকারী বিশ্বিবদ্যালয় নিয়ে এটা আমার একান্ত নিজস্ব মতামত। তবে এটা আমার চেনা বেশীরভাগ বোধসম্পন্ন মানুষের মতামত। জ্ঞান পন্য নয় যে এটা কিনতে পাওয়া যাবে। জ্ঞান অর্জন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধুমাত্র পাঠদান নয়। বিশ্ববিদ্যালয় হল সর্বোচ্চ জ্ঞান কেন্দ্র।
ভাল থাকবেন।
লেখা জনসাধারণের ভোগান্তি ও ব্যাক্তিগত ভোগান্তিতে পরিপূর্ণ হলেও হাস্যরস উপচে পড়ছে। বেশ মজা পেলাম। তবে প্রচুর বানান ভুল দেখে চোখ টাটালো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মিলু ভাই। আসলেই অনেক বানান ভুল রয়ে গেছে। লেখার পর ভালভাবে রিভিউ করা উচিৎ ছিল আমার। ভাল থাকবেন।
আপনার এই ভোগান্তি ও পর্যবেক্ষণ পথ চলতি প্রায় সব মানুষের সাথেই মিলে যাবে।আপনার পরামর্শটা মাথায় রইল। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো যদিও তিক্ততায় ঠাসা লেখাটা কিন্তু চমৎকার হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ যুমার। আসলেই নগরজীবনে আমরা সাধারন মানুষরা সবাই প্রতিদিনই একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। লেখার প্রশংসা শুনে ভাল লাগল।
নতুন মন্তব্য করুন