বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে শুরু করে ৭৫ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত প্রায় পুরো সময়টাতে আমার পিতাকে হয় জেলখানায়, নয়তো রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে, নয়তো পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। ১৯৭২ সালে আমাদের একটা মরিস মাইনরের ফ্যামিলি কার ছিলো। পরে কারটা দুর্দিনে মাত্র ৫,০০০ টাকায় বিক্রি করে দিতে হয় যদিও সেই সেলস প্রসিড থেকে এককালীন ৫০০ টাকার বেশি কখোনোই পাওয়া যায়নি। অতো শৈশবের ঈদের স্মৃতিগুলো তাই মনে পড়েনা, শুধু যেটুকু আম্মার কাছ থেকে শুনেছি।
আমার পিতার অনেক খারাপ দিকের বাইরেও দুয়েকটা ভালো দিকের মধ্যে একটা ছিলো শিক্ষানুরাগ। তিনি তার বাবার জমিদারী ধ্বংস করে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, মসজিদ-মন্দির বানিয়ে বেড়িয়েছে এক জীবনে। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ স্থাপনের ফলে সেই এলাকার গরীবের ছেলেমেয়েদের কলেজ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করেছিলো। এই কলেজ স্থাপনের আগে এই এলাকার থেকে সবচেয়ে কাছের কলেজ ছিলো হয় বাগেরহাটে নয়তো পিরোজপুরে। গরীব দিনমজুর বা কৃষকের সন্তানরা অতদুরে গিয়ে পড়তে পারতোনা বিধায় তাদের শিক্ষাজীবন স্কুলের শেষেই ইতি হয়ে যেতো। এটাই বাংলাদেশে প্রথম স্বনির্ভর কলেজ। বিশাল জমি, চারদিক জুড়ে মাছে ভরা লেক এবং বিঘার পর বিঘা ধান এবং সব্জীক্ষেত। এগুলোতে কলেজের খরচের অধিকাংশই উঠে আসতো। যাইহোক, এই কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাই তার জন্যে কাল হয়ে দাড়ালো।
এরশাদ ক্ষমতা দখলের কিছুদিন পর পিতা এ্যারেস্ট হয়ে যায়। এলাকার এক মেজর জেনারেলের পরিবারের সাথে গ্রাম্য সংঘাতের কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার নামে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয় যার মধ্যে তাকে বেশি ভুগিয়েছে সুন্দরবন থেকে গোলপাতা এবং কাঠ চুরির মামলা। যদিও তিনি তার বৈধ লাইসেন্সের মাধ্যমে সুন্দরবন থেকে কাঠ ও গোলপাতা আহরণ করতো এবং ব্যবসার পাশাপাশি প্রয়োজনমতো তার প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তিনি সেই কাঠ ও গোলপাতা ব্যবহার করতো। সামরিক আদালতে একের পর এক এইসব কাঠ-গোলপাতা চুরির মামলার শুনানী শুনানীতে বিচারাধীন চার বছর কেটে যায় কোন শাস্তিপ্রদান ছাড়াই।
এই সময়কালের ঈদগুলোর স্মৃতি খুবই মনে আছে। আম্মার চাকরি দিয়ে কোনওরকমে তিনবেলা খাবার জুটতো। স্কুলের বেতন বাকী পড়তো প্রায়ই, মাসের পর মাস বাসাভাড়া বাকী পড়তে লাগলো। নানু মাঝে মাঝেই এটা ওটা পাঠাতো। একমাত্র বড়মামা তখন চাকরী করতো। তারও তেমন এমন অবস্থা ছিলোনা যে আমাদের সাহায্য করবে। চাচারা ফিরেও দেখতো না। উপরন্তু মাঝে মাঝেই এসে জুটতো গ্রামের লোকজন। এসময় জেলখানায় বসে পিতা এমন এক অপকর্ম করে বসলো যার ফলে তার সাথে আমাদের যোগাযোগ প্রায় শুন্যে নেমে আসলো। এভাবেই ঈদগুলো কোনওরকমে কেটে যেতো। আম্মা যৎসামান্য যা পারতো, তাই করতো। নিজে একটা শাড়ি না কিনে আমাদের জন্যে যা পারতো তাই কিনতো ঈদের সময়। আনন্দে চোখদুটো চিকচিক করে উঠতো সেই নতুন পোষাক পেয়ে। সেই আনন্দ আজও ভুলতে পারিনা।
একবার ঈদের সময় আসলো। আমাদের তখন খুবই অসুবিধা। আম্মা বুঝতে পারছে না কি করতে কি করবে। কোনওভাবেই টাকার কোনও সংস্থান হচ্ছেনা। শেষমেষ ঈদের দুইদিন বাকী থাকতে আম্মা তার প্রিয় শাড়িগুলোর থেকে একটা বের করে দিয়ে আমাকে পাঠালো পাড়ার দর্জীর কাছে। ওটা কেটে তিন ভাইয়ের জন্যে তিনটে ঈদের জামা বানানো হলো। কি যে আনন্দ সেদিন হয়েছিলো সেই জামা পেয়ে তা বলে বোঝানোর মতো না।
ছয় ডিজিটের বেতন পাই অনেক বছর হয়ে গেলো, দেশে ও বিদেশে। এখনও বাড়ি-গাড়ি করতে না পারলেও মোটামুটি চালিয়ে নেওয়ার মতো স্বচ্ছল এখন আমি। মার্কস এন্ড স্পেনসার সহ বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের কাপড়চোপড়, জুতো পরি মাঝেমধ্যেই। রাফিন তো জানেই না যে জীবন এমন হতে পারে। ওর এখন অনেক চাহিদা, পায় ও বটে। সুপারম্যান থেকে স্পাইডার ম্যানের লোগোওয়ালা জিনিসপত্রে ওর খুবই পছন্দ। আর এখন তো বেনটেনের পাগল। ওকে সবই দেই। কিন্তু ভূলতে পারিনা সেই এরশাদের আমলের দিনগুলো। ঈদ আসলেই সবার চাপাচাপিতে কিছু কিনতে হয়। আম্মা কিনে দেয়, স্ত্রীও কিছু কিনে দেয়। কিন্তু ঈদের নতুন পোষাক আমি আজও পরিনা। একটু বোধ হওয়ার পর থেকে ঈদের দিনে নতুন কেনা পোষাক পরিনা। এগুলো আমাকে আনন্দ দেয় না যতোটা আনন্দ আমি পেয়েছিলাম সেই আম্মার শাড়ি কেটে বানানো জামা পরে। ওটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ ঈদ উপহার। ওই উপহারকে আমি অন্য কোনও উপহারের সাথে তুলনাই করতে পারিনা। আজও ঈদের দিন আসলে মনে হয় আমি সেই জামাটা পরে আছি।
সবার জন্যে রইলো ঈদের অনেক শুভেচ্ছা। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ সবার আনন্দে কাটুক এই কামনা করছি। ঈদ মোবারক।
মন্তব্য
আপনার মা-বাবাকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
ঈদ মোবারক স্মরণীয় দা ...
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো, ভাইয়া।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগল।
আপনার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা রইলো ।
চোখটা ভিজে উঠল। আমারও আপনার কাছাকাছি অবস্থা।
আপনাকে ও আপনার পরিবারের সবাই যাদের আপনি ভালবাসেন ও যারা আপনাকে ভালবাসে তাদের সবার জন্য ঈদের শুভেচ্ছা।
শ্রেষ্ঠ লাইন!!! আপনার আবেগ-অনুভূতিকে শ্রদ্ধা!!!
জীবন আসলেই উত্থান পতনের খেলা, শুধু দাঁড়টা শক্ত করে ধরে রাখতে হবে- দাঁড়িয়ে থাকতে হবে!!! জীবনের প্রথম দিকের দারিদ্র্য হিরণ্ময়!!!
অটঃ ঈদের অনাবিল শুভেচ্ছা, বদ্দা; ভাবি সাহেবা, বাচ্চাদের তথা পরিবারের সবাইকে মোবারকবাদ পৌছে দিয়েন!!!
সালামি দিবেন সেটাতো জানিই, খালি ক্যাম্নে পাঠাইবেন আর কয় ডিজিটের সেটা যদি আম্রে এখনি বলে দিতেন, বড় আনইন্দ হৈতাম!!!
ওহ্
_____________________
Give Her Freedom!
হ্যাটস অফ টু খালাম্মা।
নতুন দিনের নতুন ঈদ পরিবারের সাথে অতি আনন্দে কাটুক- এই কামনা রইল।
ছুঁয়ে গেলো।
ছোটবেলায় আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকলেও ঈদগুলো অনেক অনেক আনন্দময় ছিল এখনকার থেকে। আমার অবস্থাও আপনার মতই ছিল ছোটবেলায়।
রাতঃস্মরনীয় ভাই, আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। সবাইকে নিয়ে আপনার ঈদ খুবই আনন্দে কাটুক এই কামনা করি।
অ.ট. আপনার নামটা অনেক বড়, ছোট করে কী বলে ডাকা যায় বলেনতো?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ঈদ মোবারক....!!!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
কী চমৎকার একটা লেখা! আপনার আত্মকথনে অদ্ভুত সরলতা আছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অনেকদিন পর সচলে ঢুকলাম, আপনার লেখা দেখে পড়তে এসে বার বার ঠেলা গুঁতা খাইয়া খ্যামা নিলাম আইজকা। আপনার লেখার মধ্যে এত ইংরেজি শব্দ কেন? আমার কাছে এরকম বাংরেজি খুব বিরক্তিকর লাগে, সহজ বাংলায়ও কথা গুলা বলা যাইত, আশাকরি ভবিষ্যতে সেটা খেয়াল করবেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আপনি যা বলেছেন তেমন ভূল কিছু বলেন নাই। বাংলা লেখায় ইংরেজীর ব্যবহার পরিহার করাই শ্রেয়।
কিন্তু লেখকের একেবারেই ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণমূলক লেখায় এরকম একটা মন্তব্য করাটাও ঠিক ভালো মানসিকতার পরিচয় বহন করে বলে আমার মনে হয় নাই। আশা করি আপনিও ভবিষ্যতে সেটা খেয়াল করবেন।
হা হা হা! খুব হাসাইলেন, রাইটার্স ফোরামে আইসা ব্যক্তিগত লেখা আর ব্যক্তিগত থাকল কিভাবে? ভাল মানসিকতা ধুইয়া বাংলা বেইচা খাওনের জোগাড় হইতেছে, এইদিকে আপনারা মত পাঠক/পাঠিকারা বইসা আংগুল চুষতেছেন, আমার ভাল মানসিকতা তো ছিলই না, আমি বরারই তিতা সঠিক কথা বলার পক্ষে। আমার লেখা আগের মন্তব্যগুলান পইড়া আসেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যুগে যুগে মা...দের এমন আত্মত্যাগের জন্যই বোধহয় আমরা আজ সমাজে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি।যাইহোক, খালাম্মার প্রতি শ্রদ্ধা রইল। আপনি ও ভাল থাকবেন স্মরণীয় ভাইয়া............
দীপাবলি।
আপনার পিতার এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত একটা পোস্ট দেন... এসব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তথ্য বিভ্রান্তি তৈরি করে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সহমত
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার আম্মার জন্য শ্রদ্ধা ও সালাম
রাফিন আর সবার জন্যে ঈদের শুভেচ্ছা
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
যে দিনগুলো চোখের জলে ভেসে যায় সে দিনগুলোই জানান দেয় একদিন আমি সত্যি মানুষ ছিলাম।
মায়েরা এমনই হয়।
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল যৎসামান্য আয়ের ছাপোষা লোক। অফিস আর বাড়ি ছাড়া কিছুই বুঝতেন না। মা স্কুল শিক্ষক, অত্যন্ত আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মহিলা। কখনো নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেন নি। অভাব আমাদের সংসারে লেগেই ছিল সবসময়। একাত্তরে আমার নানাভাইকে পাকিস্তানী সেনারা আমাদের চোখের সামনে গুলি করে হত্যা করে। তারপর থেকে তাঁর সব ছেলেমেয়েদের মানুষ করবার দায়িত্বের জোয়াল আমার মা কাঁধে তুলে নেন।
স্বাধীনতার অব্যবহিত পর দেশ জুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ নেমে আসে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় উত্তরের জনপদ। চারিদিকে শুধুই ক্ষুধা ও মৃত্যু বিশাল হা। দিনের পর দিন আমাদের কাটাতে হয়েছে মাত্র একবেলা সামান্যটুক কাউনের ভাত কিম্বা নুনমাখা ফেন খেয়ে। সে সময় আমার একমাত্র ছোটভাই মাত্র সাত মাস বয়সে অপুষ্টিতে মারা যায়।
ঈদের আনন্দ কাকে বলে তা আমাদের জানা ছিল হয়তো, তবে সে আনন্দে মন ডুবানোর সাধ ছিল, সামর্থ্য ছিল না। বিয়ের সময় নানাভাই মাকে একটি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছিলেন। মনে আছে, স্কুলে পাঠদানের কাজ শেষ হবার পর তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতেন মা, ফিরেই অপেক্ষাকৃত অবস্থাসম্পন্ন আত্মীয়দের কাছ থেকে ফরমাশ নেয়া জামা-কাপড় সেলাইয়ের কাজে লেগে পড়তেন। আমাকে পাশে বসিয়ে রেখে একটি ঘর্মাক্ত রক্তমাংশের যন্ত্রের বিরামহীন জীবন সংগ্রামের চাকা ঘুরিয়ে নিতো সেলাই কল নামক আরেকটি যন্ত্রের হাতচাকাকে। চারিদিকে শুধু ঘড় ঘড় ঘড় ঘড় শব্দ, একঘেয়ে ক্লান্তিকর।
জীবন আমাদের বাঁচার ছন্দে দোলা শিখিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সে দোলায় আনন্দের শিহরণ ছিল অল্পই, পতনের শঙ্কাই ছিল বেশীটুকু ঘিরে।
একদিনের কথা মনে পড়ে। মা একনাগাড়ে সেলাইয়ের পর সেলাই করেই যাচ্ছেন। তৈরি হচ্ছে কারুর আদরের মেয়ের জন্য টুকটুকে রঙিন ফ্রক, কারুর ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী, কারুর শেষ মুহূর্তের ফরমাশে ম্যাচিং করা ব্লাউজ। আমি বসে আছি অপেক্ষায়, কখন মায়ের হাতের কাজ শেষ হবে, কখন আমাকে কোলে নেবেন একটুখানি, অনেক আদরে আদরে ভরে দেবেন ছোট্ট বুকটাকে। তারপর সবটুকু আবেগ ঢেলে আবৃত্তি করবেন রবি ঠাকুরের 'বীরপুরুষ'। ওই 'বীরপুরুষ'-এর মাঝেই যেন আমাকে নিয়ে তাঁর সবটুকু স্বপ্ন জমা হয়ে আছে। আমার চোখে এক আকাশ তারার আলো। কিন্তু মায়ের যে আজ হাতে অনেক কাজ। অপেক্ষা করে করে ক্লান্ত হয়ে একসময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম ভাঙে মায়ের ডাকে। চোখ কচলে দেখি বেঁচে যাওয়া নানা রঙের ছুট কাপড় জোড়া লাগিয়ে মা আমার জন্য তৈরি করেছেন একটি বহুবর্ণের কুর্তা।
আমার চোখে আনন্দ ধরে না, আমার মায়ের চোখ বিষণ্ন হয়ে আসে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
অসাধারন
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
প্রিয় রোমেল ভাই, আপনার মহীয়সী মা কে শ্রদ্ধা জানানোর উপযুক্ত পন্থা খুঁজে পেলাম না!!! ঐ বহুবর্ণের কুর্তার চেয়ে কোন মূল্যবান পোশাক আমাকে এত আকর্ষণ করে নি, অশ্রুল করে নি!!!
অশ্রুও কখনো প্রচণ্ড শক্তি দেয়!!! দারিদ্র্য হিরণ্ময়!!!
_____________________
Give Her Freedom!
হ্যাঁ ভাই,
'মা' শব্দটির মধ্য দিয়েই বোধকরি পৃথিবীর সকল নারীর উত্তরণ ঘটে 'মহীয়সী নারী'-তে।
রাতঃস্মরণীয়, তোমার আমার ও এই পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা!
হ্যাঁ,
এক ফোঁটা অশ্রুর তপ্ততা, ভেঙে ফেলে নিত্য কারাগার, ভেঙে ফেলে ক্ষমাহীন জীবনের স্তব্ধতা, এক ফোঁটা অশ্রুর তপ্ততা!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার মায়ের জন্য শ্রদ্ধা - সেই সময়টা নিয়েও লিখুন - এই অনুরোধটা করে যাচ্ছি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার মন্তব্য যেন বন্ধুর পিঠে রাখা বান্ধব হাতের মতো!
লিখবো, তাসনীম ভাই। ডিটেল নিয়ে কিছুটা কাজ হয়েছে, একটা খসড়ামত দাঁড় করিয়েছি। আনুমানিক দুইশ' পৃষ্ঠার সাত পর্বের একটা উপন্যাস লেখা সম্ভব। প্রয়োজন একটা ছুটির।
আপনাকে ধন্যবাদ।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খবরটা শুনে খুব আনন্দিত এবং উৎসাহিত হলাম রোমেল ভাই। কামনা রইলো অতিশীঘ্র প্রয়োজনীয় ছুটিটা পেয়ে যান, আমরা উপন্যাসটা পড়তে চাই।
_____________________
Give Her Freedom!
রোমেল ভাই: ছুটি পান আর না পান, শেষ আপনাকে করতেই হবে। তাড়া দিতে চাই না, তবে অপেক্ষায় থাকলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যতটুকু লিখলেন তার চেয়ে অনেক অনেক গুণ বেশি বললেন। অসাধারণ বললেও হয়ত ছোটই করা হয়, মায়েরা তো এমনই হন, তাই না? ওনার জন্য সালাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মর্ম,
বড়ই মর্মস্পর্শী আপনার মন্তব্য, এমন উপলব্ধি পাথরেও ফুল ফোটাতে পারে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুবই ভালো লাগলো । স্মৃতির ক্যানভাস থেকে তুলে আনা জিবন্ত ছবি ।
ঈদ এর শুভেচ্ছা রইলো দাদা। পবিত্র ঈদ । খুশির ঈদ ।
[u][u][u][u][u][u][u][u][u][/u][/u][/u][/u][/u][/u][/u][/u][/u]
আমার
“সব অভিমান আকাশের চেনা চেনা
সবার জন্য সুদিন কি আসবেনা
উত্তর চেয়ে আকাশ পেতেছে কান
আমিও বেধেছি আমার প্রেমের গান।”
ঈদ মোবারক
...........................
Every Picture Tells a Story
বাস্তব অভিজ্ঞতা সবসময়ই অন্যরকম। ঈদ মোবারক!!!!!
রাতঃস্মরণীয়দা, কি ব্যাপার ঈদের দিন এত মন খারাপ করেন কেন, আপনার মায়ের মতন এমন একজন মা পেয়েছেন, আপনি অনেক ভাগ্যবান মানুষ। আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
জীবন্ত একটা অতীত তুলে ধরলেন পাঠকের কাছে। খুব ভাল লাগল আপনার লেখা। ভাল থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন