[ডিসক্লেইমারঃ
মিঁয়াও-কাহিনী মোটেও কল্পকাহিনী নয়, বরং সত্যমিশ্রিত কল্প-গল্প বলা যেতে পারে একে!
মিঁয়াও-এর পর্ব আরো থাকলেও এক এক পর্বে গল্প একটাই, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই- তবে পড়লে মিঁয়াও-কে আরেকটু চেনা যায়, এই যা লাভ!
সবার মিঁয়াও-পরিক্রমা আনন্দময় হোক,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
আর হ্যাঁ, ঈদ মোবারক!!! ]
“মিঁ-ই-ই-ই-ই-ইয়া-ও!”
হালকা মোলায়েম সুরে ছোট্ট করে নিজের কথা জানান দেয় মিঁয়াও। সামনের থাবাদুটোয় মুখ গুঁজে এতোক্ষণ শরীর এলিয়ে মেঝেতে শুয়েই ছিলো ও, খান কয়েক গড়াগড়ি দিয়ে হঠাৎ-মনে-পড়েছে ভঙ্গিতে সদ্য উঠে বসেছে, ঘাড় উঁচিয়ে তাকিয়েছে উপরের দিকে- টেবিলের নীচে সবার পা দেখা যাচ্ছে কেবল- ছ’খানা পা সব মিলিয়ে- যে দু’টো সবচেয়ে ছোট ওগুলোই নড়ছে সবচেয়ে বেশি, একেবারে ওর মুখ বরাবর, এই একবার চেয়ারের উপর উঠছে তো একটু পরেই নেমে আসছে, আবার উঠছে- মাঝে মাঝে মেঝের কাছাকাছি আসছে বটে তবে মেঝেতে পা পড়ে না, এখনো ছোট।
মিঁয়াও-এর একবার ইচ্ছা হয় ঝুলে থাকা পা-এর চারপাশে শরীরটা একটু ছুঁয়ে ছুঁয়ে আসতে- অথবা গলা আর ঘাড়ের পাশে আলতো করে একটু আরাম নিয়ে আসতে, লেজটা উঁচু করে একবার ওরকম করলে নির্ঘাৎ নিতুন টেবিলের নীচে নেমে আসবে নিতুন, কোলে তুলে চেয়ারে ওর পাশটায় বসাবে!
“ওরকম করা চলবে না মোটেই!”- মিঁয়াও নিজেকে নিজে সাবধান করে দেয়। নিতুনের পাশে যে বসেছে তাকেই ভয় ওর, “হতচ্ছাড়া কোথাকার!”- মিঁয়াও আনমনে বলে ওঠে। মিঁয়াও জানে, এখন নিতুনের কোলে দেখলে ঐ কুমড়োপটাশ নিশ্চিত ওর ঘাড় ধরে তুলে আবার মেঝেতে আছড়ে ফেলবে- ভাবতেই শিউরে ওঠে মিঁয়াও- লোকটার মনে কোন দয়ামায়া নাই! “এরচে বাবা! শান্তিমত আছি, তুমি তোমার মত থাক, আমি আমার মত!"- মিঁয়াও ভেবে নেয়। নিতুন ওকে কোলে নিতে পারলো না বলে নিতুনের জন্য একটু দুঃখও হয়। “কী আর করা, জীবন এমনই!”- সুযোগমত একটু বড়দের মত চিন্তাও করে নেয় ও।
কিসের জন্য কে জানে, মিঁয়াও-কে ঐ হতভাগা সহ্য করতে পারে না- অন্য কেউ হলে আঁচড়ে কামড়ে এদ্দিনে একটা শিক্ষা দিয়ে দেয়া যেত- নিতুনবাবুর বাবা বলেই মিঁয়াও ওকে এতোদিন করে হজম করে যাচ্ছে।
উল্টোদিকে বসেছে নিতুনের আম্মু- কী সাংঘাতিক ভাল একটা মানুষ! দেখলেই-মনে-হয়-এক-লাফে-কোলে-উঠে-যাই টাইপ ভাল, খাওয়ার সময়টায় নিতুন ওকে নিয়ে আদর করলে কেবল হাসি দিয়ে বলবেন, “বাবা! হাত ধুয়ে এসো!” আর ওকে আস্তে করে সরিয়ে নিয়ে বসিয়ে দেবেন টেবিলের নীচে ওর জায়গাটায়, আর ওর প্লেটে খাবার তুলে দেবেন খানিকটা।
আর ও যদি বসে থাকে পা ঘেঁষে কি হঠাৎ কোলে ওঠে হাতে মাথা ঘষতে থাকে আলতো করে- তাতেও রাগ করবেন না, মোটেও ওই কুমড়োপটাশের মত পা দিয়ে ঠেলে দিয়ে “এহ! খিঁতখিঁত করছে পা-টা, কেমন করে তোমরা এটাকে সহ্য কর!” বলবেন না, বরং বাঁ হাতে রগড়ে দেবেন গলা, ঘাড় আর কানের পাশটা। ভাবতেই আরামে শিরশির করে ওঠে ওর শরীর। অবশ্য ওকে কোলে নেয়ার সাথে হাত ধুয়ে আসার সম্পর্কটা কী তা মিঁয়াও অনেক ভেবেও বের করতে পারে নি এখনো। “মানুষগুলো সব আজব!”-মা কি আর এমনি এমনি বলত নাকি?!
“মিঁ-ই-ই-ই-ই-ই-ইয়া-য়া-য়া-য়া-ও!”
এবারের ডাকটা আরেকটু দীর্ঘ করে ও, একটু বিরক্তও হয়- “শোনে না নাকি কিছু!” এমনিতেই শক্তি বলতে নেই শরীরে, নাড়াচাড়া করতেই ভাল লাগে না- তার উপর ডাক দিয়ে সাড়া না পেলে কেমন করে চলে!
“মিঁ-ই-ই-য়া-য়া-য়া-য়া-য়া-য়াও!”
আবার ডাকে ও। আর বসে না থেকে একলাফে নিতুনের আম্মুর পাশের ফাঁকা চেয়ারটায় উঠে পড়ে, ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় তাঁর দিকে।
“আরে! আরে! আরে! তোকে কিছু দিইনি বুঝি- ইস, মনেই ছিলো না একদম!”
খসখস শব্দে পাশে তাকিয়ে ওকে এতক্ষণে দেখেন নিতুনের আম্মু, টেবিল থেকে কি জানি নিয়ে হাত বাড়িয়ে কিছু একটা নিয়ে রেখে দেন টেবিলের নীচে মিঁয়াও-এর প্লেটে।
“তা মনে থাকবে কেন! কেবল খাওয়া আর খাওয়া!”
গজগজ করতে করতেই আবার নীচে নামে মিঁয়াও, কী দিয়েছে কে জানে, খাওয়ার যোগ্য হলেই হয়!
গেলো কিছুদিন ধরেই মিঁয়াও-এর দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে, সব উল্টে পাল্টে গেছে কেমন। যখন গুঁটুলী পাকিয়ে সোফায় ঘুমানোর কথা তখন মুখ ভোঁতা করে টেবিলের নীচে ওর খাওয়ার জায়গায় বসতে হচ্ছে, যখন খুশিতে চোখ বন্ধ করে মুরগীর হাড় চিবুনোর কথা তখন বারান্দার রোদে শুয়ে শুকনো মুখে গড়াগড়ি করতে হচ্ছে, আর যখন পুরো বাসা জুড়ে হেঁটে বেড়ানোর কথা তখন অন্ধকার খুঁজে ঘুমানোর চেষ্টা করতে হচ্ছে, আবার যখন দুপুরের আয়েশী খাওয়ার পর বারান্দায় গড়াগড়ি দেওয়ার কথা তখন কিচেনের দরোজায় বসে নানান রকম খাবারের গন্ধ শুঁকে পাগল হতে হচ্ছে।
উপায় থাকলে যেমন চলছিল সব তেমনি চালাত মিঁয়াও, উপায় কই?! রাত-দুপুরে ঘুম থেকে উঠে নিতুনের আম্মু বেশির ভাগ রুমের লাইট ধরিয়ে দেন, আর ঘুমানোর সাধ্যি থাকে তখন? ঘুম ঘুম চোখে সবাই খেতে বসে, ইচ্ছে থাকুক আর না থাকুক মিঁয়াও-কেও আসতে হয়- পুরো দিনে ওর পছন্দের খাবারগুলো এই রাতেই খায় ওরা।
আবার সকালবেলায় কুমড়োপটাশ ছাড়া কারো ঘুম ভাঙ্গার নাম নেই, বরাবরের মত পায়ের কাছে বা মুখে লেজ আলতো করে বুলিয়ে দিলেও ঘুম ভাঙ্গার নাম তো নেই-ই বরং “আয় তুই-ও ঘুমো!” ভঙ্গিতে টেনে নিয়ে আরো আরাম করে শুয়ে পড়ে, ওকে বুকে টেনে- “কী বিপদ! কী বিপদ!” বললেও নিস্তার নাই; ও নিজেও কখন ঘুমিয়ে পড়ে টের পায় না।
দুপুর হলেই খাবার টেবিলে ও যায় ঠিকই, আর কেউ যায় না। নিতুনের জন্য রান্না হয়, ওকে চটপট খাইয়ে দিয়ে নিতুনের আম্মু কিচেনে ঢোকেন, বিকেল পর্যন্ত এটা কাটেন, ওটা ভাজেন- খাওয়ার নামটি নেই। আবার সন্ধে হতেই সবাই বসেন টেবিলে, এবার খাওয়ার সময় সবার।
হঠাৎ সব এমন পাল্টে গেল কেন মিঁয়াও বুঝতে পারে না, কাউকে যে জিজ্ঞেস করবে সে উপায়ও নেই- “বেকুবের দল! এত এত বুঝিস, খালি আমার কথাটাই বুঝিস না!” “মিয়াঁও!”- শুনলেই হল, মনে করে বসে ক্ষিদে পেয়েছে, তাই চেঁচাচ্ছে ও- “আরে! দুনিয়ায় কি ক্ষুধা ছাড়া আর কিছু নাই!?”- আক্ষেপ নিয়েই মিঁয়াও ভাবে মাঝে মাঝে।
প্লেটে দেয়া টুকরো টুকরো খাবারগুলি প্রথমে সাবধানে একটু শুঁকে নেয় ও- সাবধানের মার নেই! কী খেতে কী খেয়ে পরে বিপদে পড়তে রাজি নয় ও। কমলাটে যে চ্যাপ্টা বস্তুটা আছে ওর গন্ধটা বেশ, ভাজার সময় ওর নাক এড়ায়নি, ভেতরে হলদে- খেতে ভাল, গত কিছুদিন ধরে এই খেয়ে খেয়ে স্বাদ মুখস্ত হয়ে গেছে একদম।
আরেকটা বস্তু- সেটার উপরটাও কমলাটে, এর গন্ধটাও বেশ, ভেতরটা নরম, সে নরম অংশের ভেতরে আবার পরিচিত স্বাদ- গোশত, এই একটা বস্তু ও গন্ধ শুঁকে দিব্যি বলে দিতে পারে, ওর মন চট করে ভাল হয়ে যায় এবার- “এই না বলে মানুষ! এমন কয়জন আছে আর!” অন্য টুকরোটা ও সাবধানে রাখে, ওটা পরে খাওয়া যাবে- ও জানে ওটা গোশত ভাজা- ওটাই সবচেয়ে ভাল হবে খেতে- আবার হাড়ও আছে দেখা যাচ্ছে- অতি কষ্টে জিভের জল সামলায় ও।
“এই! টিভিটা দেখো না! চাঁদ কি উঠলো না কি?”
নিতুনের আম্মুর গলা কানে আসে ওর- চাঁদ ওঠা আবার কি জিনিস, ও তো আকাশে থাকে, মিঁয়াও বিলক্ষণ জানে- তার চেয়ে বসে বসে এগুলো চিবুনোই ঢের ভাল মনে হয় ওর কাছে।
“আরে! উঠেছে! উঠেছে! তাড়াতাড়ি আসো! গানটাও দিচ্ছে-“
কুমড়োপটাশের খুশি খুশি গলা ভেসে আসে। নিতুনের আম্মু তাড়াতাড়ি উঠে যায়, নিতুনও দৌড়ে যায় পেছন পেছন- কাজেই মিঁয়াও-ও না ঊঠে পারে না। একটু বিরস বদনে ও গিয়ে টিভি রুমে হাজির হয়। টিভিতে গান চলছে তখন-
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ...”
নিতুনের আম্মুর মুখেও হাসি। ফোনটা কানে নিয়ে কার সাথে কথা বলছে যেন- নিতুনের দিকে ফোনটা এগিয়ে দিলেন হঠাৎ- “নাও বাবা! খালামনিকে ‘ঈদ মোবারক’ বল!”
মিঁয়াও অবাক হয় একটু- এ ঈদ জিনিসটা আবার কী! এর নাম কখনো শুনেছে বলে তো মনে পড়ছে না! কিন্তু সবাই যে খুব খুশি এটা টের পেলো। ঐ যে কুমড়োপটাশ, মুখে হাসি আনার নামটি নেয় না যে, সে পর্যন্ত একটু পর পর ফোন ধরছে আর “হে হে ঈদ মোবারক!” বলছে।
মিঁয়াও-এরও ভাল লাগে- “ঈদ মোবারক!”- ও বলে আস্তে করে! এরপরই মেজাজ খারাপ হয়- মনে পরে ওরা নির্ঘাত শুনেছে- “মিঁয়াও!”
দেখতে দেখতে নিতুনের আম্মু এসে কোলে তুলে নেন ওকে- “দিলাম তো সব! খাসনি বুঝি! কী দেই তোকে? আয় দেখি কী আছে আর?” “মানুষ!”- এইবারে হাল ছাড়ে মিঁয়াও- “এদের দিয়ে কিছুই হবার নয়!” তবে খুশিও হয় আবার- চোখ চকচক করে ওঠে ওর- গোশত ভাজা আরেকবার পাবার সম্ভাবনা দেখে।
খুশিতে লেজ নাড়াতে থাকে মিঁয়াও, আগ্রহী চোখে সামনে তাকায়, ঠোঁটের কোনে হাসি ফোটে ওর- মানে জানুক আর না জানুক, ওর মনে হয়- এরই নাম ঈদ!
[আইডিয়া কৃতজ্ঞতাঃ বিষণ্ণ বাউন্ডুলে; বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃ মিঁয়াও-ভক্ত ক'জন যাঁরা এতদিন পরেও মিঁয়াও-কে মনে রেখেছেন ]
মন্তব্য
পড়লাম, কিন্তু বাকি গুলা কই?
গত পর্বের লিংক একদম শুরুতেই দেয়া। ঐ পর্বে আবার তার আগের পর্বের লিংক আছে।
মিঁয়াও তো! তাই এ লেজ ধরে ধরে এগুনোর ব্যবস্থা আর কি! আর আপনি চাইলে 'মিঁয়াও' লিখে গুগল করেও পুরোন লেখা খুঁজে নিতে পারেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ আর ঈদ মোবারক!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
পেয়ে গেছি সব, টিপস এর জন্য ধন্যবাদ, এত সহজ গুগল বাদ দিয়ে এদিক ওদিক ঢুঁ মেরে বেড়াচ্ছিলাম! অথচ সকাল সন্ধ্যা সুঁচ থেকে রকেট পর্যন্ত গুগলে খুঁজে বেড়াচ্ছি। আপনার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগছে। এখানে আপনারা কয়েকজন এত চমৎকার লেখেন যে আমি মন্তব্য করেই মনে করি যে যাক বাবা অনেক লেখা হল।
খুঁজে খুঁজে পুরোন লেখাগুলিও পড়ছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা। আর কিছু না হোক, এমন মন্তব্যে লেখার উত্সাহ যে বাড়ে তা অস্বীকার করার নয়!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আর মন্তব্যের উত্তর পেয়ে আমারো মন্তব্যের উতসাহ বেড়ে যাচ্ছে। আমি এখন পার্মানেন্ট ফুলটাইম মন্তব্যকারী হয়ে যাচ্ছি। তবে ঘটনা হল যে আগে পড়ে নিতে হচ্ছে আর অফিসের কাজ কাম বাদ দিয়ে কর্মকান্ড ও মন্তব্য চালাচ্ছি হেহ হেহ হে
পড়তেছেন এটা খুব ভাল, দুইদিন পরেই দেখবেন একটার পর একটা লেখা দিচ্ছেন, আয় এক সপ্তাশেষে দেখা যাবে সচল হয়ে শীতনিদ্রায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন!
অফিসের দিক থেকেই দেখেন, ওরা কিন্তু চায় না যে আমরা অচল হয়ে বসে থাকি, তার মানে ওরা নিশ্চয়ই চায় যে আমরা সচল থাকি! না কি?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমিও তো মিয়াঁও ভক্ত হয়ে গেলাম।
মিয়াঁওকে (আর আপনাকেও) ঈদ মোবারক।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ঈদ মোবারক!
আমারটুকু আমি বুঝে নিচ্ছি, মিঁয়াও-এর শুভেচ্ছা ও নিজে এসে বুঝে নিয়ে যাক, আমি বাবা এর মধ্যে নাই!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আহা, এতদিন পরে আবার কমলা লেজের সুপারস্টারকে দেখা গেলো
(আমারগুলোর জন্য অবশ্য আলাদা রান্না করা হতো। তাঁরা মানুষের মশলা দেয়া অস্বাস্থ্যকর ঝালযুক্ত মাছ মাংস খেতে পছন্দ করতেন না তো, তাই! বাজার থেকে আলাদা ছোট মাছ কিনে, সেই মাছকে শুধুমাত্র লবণ আর হলুদ দিয়ে রান্না করা হতো, পেঁয়াজ বা রসুন থাকলে তাঁরা মুখ ভার করতেন বলে সেগুলো দেয়া হতো না - তেনারা ব্যাপারটা বুঝে যাওয়ার পরে নিজেদের জন্য রান্না করা মাছ কখনো দিলেও শুঁকেটুঁকে রেখে দিতেন। কাজেই রোজা হোক আর যা-ই হোক তাঁদের খাওয়ার রুটিনে কোন ছেদ পড়েনি।)
বাসায় ওরা হেন জিনিস নেই যে খায়নি। মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্য কথা, বাকি সময় আমরা যা খেয়েছি ওরাও তাই, সমতা আর সমঝোতা আর কি!
আপনারগুলোকে নিয়েও লিখুন না, অন্তত লেখার স্বাদ বদলে দিলেন একটু! প্রতিদিন কি আর পোলাও কোর্মা সহ্য হয়!?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আমার মাকেও পড়তে দিয়েছিলাম আপনার মিঁয়াও কাহিনীর সবক'টা ...
মিঁয়াও ফ্যানক্লাবের সদস্য আরেকজন বাড়লো আর কি
বলেন কি?!
আসলেই ভাল লাগল জেনে। কী বললেন উনি? ভাল লেগেছে তো?
বাসায় মা/খালা/মামা বা ভাই বোন গোষ্ঠী যাদেরই পড়তে দেই ওরা কেবল পড়ে আর মুচকি হাসে, কিছু বলে না আর- সব কিছুই বড় পরিচিত কিনা!
কোন পিচ্চি-পাচ্চা এ লেখা পড়ছে কি না জানার খুব ইচ্ছা, পড়লে কেমন লাগছে ওদের তা-ও। বাসায় পিচ্চিগুলো সব বড় হয়ে গেছে, কাজেই এদিকটায় তেমন সুবিধা পাইনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
ইয়েয়েয়েয়ে..
মিঁয়াও ইজ ব্যাক!
এত্তদিন পরে লেইখাও যে মিঁয়াও বদলায় নাই, এইটাই সবচে বড় ব্যাপার।তবে, নেক্সট টাইম যদি এমন দেরী কর -
তোমার নিদ্রাকালীন জালাতন ডাবল করা হইবেক!
রোযার সময় বিড়ালদের মনস্তত্য এভাবে ফুটিয়ে তোলা কঠিনই বটে।
অবশ্য, তোমার আর কী!
আজকাল তো মনে হয়,
স্বপ্নে তোমার ক্বা মিঁয়াও হইয়া ঘুরঘুর করে! আর নাইলে ক্যাম্নে কী!
মিঁয়াও দীর্ঘজীবি হোক!
ঈদ মোবারক,বা'য়া! :)নই বটে।
অবশ্য, তোমর আর কী!
আজকল তো মনে হয়,
স্বপ্নে তোমর ক্ব মিঁয়ও হইয় ঘুরঘুর করে! আর নইলে ক্যম্নে কী!
মিঁয়ও দীর্ঘজীবি হোক!
ঈদ মোবরক,ব'য়!
সহমত।
মিঁয়াও দীর্ঘজীবী হোক
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
বাহ, দারুণ তো!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ, রোমেল ভাই
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
আরে, দারুণ ছিল তো এই পর্বটা। মিস করে গিয়েছিলাম কেন?
আমি একেবারেই পশুপ্রেমী নই.. বেড়াল, কুকুর দুটোই ডরাই। এমনকি ছোট ভাইয়ের পোষা পায়রা দুটোকেও কখনো হাতে তুলে নিতে হলে শিউরে উঠি।
কিন্তু মিঁয়াও বাবাজির কাণ্ডকারখানা এত মজা লাগে পড়তে!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আরে কমেন্ট করেছিলে নাকি! চোখেই পড়েনি এদ্দিন!
বেড়াল ক্যামনে ভয় পায় মানুষ বুঝি না! আমার চেনা একজ আছেন বেড়াল দেখলে চেঁচিয়ে লাফ দেন, সব ভুলে! জগৎ বড়ই রহস্যময়!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
মিঁয়াও পড়ে মিঁয়াওকে দেখতে ইচ্ছে করছে খুব। মিঁয়াওর জন্য অনেক অনেক আদর আর হাড়ওওয়ালা গোশত ভাজা।
না দেখার মজা আছে কিন্তু একটা, নিজের মত করে ভেবে নেয়া যায়!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
নতুন মন্তব্য করুন