শূন্যতার ঈদ যাপন

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: শুক্র, ০২/০৯/২০১১ - ৪:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চাঁদের খবর নিতে হয় না। চাঁদ এসে নিজেই ঢুকে পড়ে মোবাইলে, ফেসবুকে, ই-মেইলে। ঈদ আসছে টের পাই তাই চাঁদ ওঠার অনেক আগে। তখনও রাস্তায়। আকাশটা যথেষ্ট ফরসা, তবু আজান শোনা যায়। ফোনে মেসেজ টোন শুনি, রিং টোন নেই। এই যে ইফতার হলো, রাস্তায় পড়ে আছি, তবু ফোনটা বাজে না। বাজবে না। আর বাজবে না। কখনই বাজবে না। সে তুমি রাত তিনটাতেই বাড়ি আসো, ইফতার পেরিয়ে যাক, তবু ফোন বাজবে না সেই পুরনো নাম্বার থেকে। এই হলো নিয়ম, এভাবেই সব পাল্টে যায়।

কনফু একটা এস এম এস দিলো। ইংরেজী দুইটা অক্ষর সেখানে। ই এবং এম। ইহজনমে এমন কিপ্টামি সমৃদ্ধ শুভেচ্ছা আমি পাইনি। এটা শুভ বার্তার মাঝ প্রহরের কথা। তার আগে প্রথম এস এম এস টা আসলো রুমনের কাছ থেকে। আমরা এক সাথে এক অফিসে কাজ করতাম। আমাদের চে অনেক নিচের সারিতে ছিলো তার অবস্থান। সেই অফিসে আমার খুব কাছের লোকজন ছিলো। তারা আর এখন খোঁজ নেয় না। আমিও নেই না। শুধু রুমন নিয়ম করে আমাকে দেখতে আসে খুপড়িতে। এস এম এস পাঠায়। ভালোবাসা বড় বিচিত্র জিনিস।

সিলেট শহরটা অলস। সন্ধ্যাতেই ঘুম জড়ো করে চোখে আর এগারোটা বাজার আগেই সব সুনশান করে দেয়। ব্যতিক্রম শুধু ঈদের সময়। রোজার শেষ দশটা রাত সে ঘুমায় না। আমরা বড় হয়েছি জিন্দাবাজারকে ঘিরে। ঈদের আগের রাতে মাঝরাত না হলে বাড়ি ফেরা হতো না। বাড়ি থেকেও কিছু বলা হতো না। সবাই সবাইক চিনি, সবাই সবার পরিচিত এমন একটা ভাব ছিলো। স্কুলের বড় ক্লাসে পড়ার সময় জিন্দাবাজারে একটা নিয়মের মতো ছিলো মারামারি। আমাদের পাড়ার ছেলেরা গিয়ে একেবারে শহরের মাঝখানটাতে ধাম ধুম করে এই সেই ফুটিয়ে ভু ভু করে ফিরে আসতো। এখন সেসব হয় না। জিন্দাবাজার পয়েন্টে দাড়িয়ে দল বাধারও কোন সম্ভাবিলিটি নেই এখন। ঈদের বাজার ছড়িয়ে পড়েছে। কুমারপাড়া আর নয়াসড়কের নিস্তরঙ্গতা ভেদ করে জেগে উঠেছে শপিং মল। মির্জাজাঙ্গালের অপ্রশস্থ সড়কেও এখন কাপড়ের বিকিকিনি। তবু জিন্দাবাজার তার কৌলিন্য হারায়নি। এখনও সেখানে রাজ্যের ভিড়, হট্টগোল। রাত দুটোয় যখন জিন্দাবাজর পয়েন্ট পাড়ি দিচ্ছি, বিস্তর ভিড় সেখানে। তবু কি এক শূন্যতায় হাহাকার করে উঠে বুকের ভেতরটা। এ শহরে আমার আর কোন বন্ধু নেই। আমি আর দল বেঁধে এ শহরে ঈদের বাজার করি না। আমাদের সঙ্ঘ ভেঙে গেছে, এখন আমরা নিতান্তই কাটা ঘুড়ি একেকজন। কেউ উড়ি ওয়াশিংটনে কেউ লন্ডনের স্যাতস্যেতে বাংলা টাউনে, ঢাকা কিংবা চট্টলার ভিড়ে মিশে আছে কেউ কেউ। আর কেউ আরো দুরের স্কটল্যান্ডে। এই-ই নিয়ম। আমরা নিয়মকে মেনে নিই নিয়তি বলে।

সড়কবাতিগুলো ঠিকমতো জ্বলে না। খানাখন্দকে ভর্তি রাস্তা। আমাদের গ্রামে বিচ্ছিন্ন বাড়িগুলোতে টিম টিম করে জ্বলে কম ভোল্ডেজের বাতি। বাকিটা ভরে থাকে নিকষ অন্ধকার। বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা হয়ে গেছে পুরোটা গ্রাম। পকেটে রাখা চাবিটা ঘুরিয়ে গেট খোলার সময় এ বাড়িটাও ঘুমিয়ে আছে। ঘুম… ঘুম… ঘুম… রাত তিনটায় গভীর ঘুম...

তিনি কখন ঘুমাতেন আর কখন জেগে থাকতেন তার কোন হিসাব আমি পাইনি। একসময় যখন আরো বেশি মফস্বলে ছিলাম, যখন বাড়িতে কিংবা বাড়ির পাশেই একটা পুকুর থাকতো, নয়তো নদী। তখন অন্ধকার মিলিয়ে যাবার আগে উঠতে হতো। সেই ঘুম ভাঙানোর মজাটা মিইয়ে গিয়ে বিরক্তি ভর করেছে কতবার। এবার সেখানে শুধুই শূন্যতা। কেউ ডাকেনি, কেউ ডাকবে না। কেউ বলেনি গরম পানি আছে, কেউ আর বলবে না, কোনদিন না। আমি শাওয়ার ছেড়ে ভিজতে থাকি, ভিজতেই থাকি। তারপর, যখন সফেদ হবে হবে করছে আকাশ, স্টোভে পানি গরম করতে দিয়ে ডাকি, বাবাই ওঠো, গরম পানি আছে…

দুনিয়াটা নাকি ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে। মানুষের মাঝে নাকি দুরত্ব কমছে দ্রুত। কে বলে এ কথা? যত্তসব ফাইজলামি। আমরা ভাই-বোনরা একসাথে বেড়ে উঠেছি যারা, তারা কেউ আর দেশে থাকে না। দুনিয়ার এ মাথা ও মাথায় ছড়িয়ে গেছে। এবার তাদের একজন এসেছে বিয়ে করবে বলে। আমেরিকায় থাকতে ওর সাথে প্রায় রোজই কথা হতো ফেইসবুকে। দেশে আসার পর সেটাও আর নেই। ঈদের সকালে সে ফেইসবুকে আমারে ঈদ মোবারক বলে, আমি বলি তুই কই? আসলি না যে? আমি না দেখেও দেখতে পাই, আড়মোড় ভাংতে ভাংতে সে বলছে, ভাই সন্ধ্যার পরে আসি… এখন শহরে বন্ধু বলতে কাছের জন হলো শাওন। পাশাপাশি বিল্ডিং এ আমরা বসি। পুরা রোজার মাস গেলো, ওর সাথে আমার মাত্র একদিন দেখা হলো। বাদ বাকি সবদিন ফেসবুকে। পাশাপাশি রুমে বসি আমি আর মনির ভাই। ষাটোর্ধ যুবক। মুক্তিযোদ্ধা। ফেসবুকে ঈদ শুভেচ্ছা দিলেন। দুনিয়া আসলে কাছে আসছে না বা ছোটও হচ্ছে না। সে ভার্চুয়াল হচ্ছে আর আদতে আমরা দুরেই সরে যাচ্ছি পরস্পরের, দুরে, দুরে এবং দুরে…

ঈদে বেড়ানো হলো না। সকাল থেকে পিচ্চিরা আসছেতো আসছেই। প্রথমদিকে তুলি গুনতে চেষ্টা করতো। এখন আর করে না। আমাদের গ্রামটা ছোট। কয়েকটা মাত্র বাড়ি। কিন্তু এ গ্রামের মেয়েদের রি-প্রোডাক্টিভ হেলথ্ ইর্ষা করার মতো। একেকটা ঘর থেকে ৪ জন ৫ জন করে আসছে! কেউ কেউ সালামী নেবার সময় বলছে, তার আরেকটা পিচ্চি ভাই আছে বাড়িতে, তার জন্য সালামী দিতে হবে! এবার তাদের সালামী কমে গেছে। এ বাড়ি থেকে আগে আরেকজন সালামী দিতেন, এবার সেটা নেই।

ঈদের আগের রাতে অরূপের সাথে কথা হলো, অনেকক্ষণ। ঈদের রাতে আবার। দেশে থাকলে ফোনে কথা বলাটা অন্তত হয়। যেমন ঈদের আগের রাতে, মাঝরাত তখন, বুড়াভাইকে ফোন দিতে পারলাম। প্লেনের অপেক্ষায় তখন। কি করছেন জিজ্ঞেস করতেই বল্লেন, ওরা কান্নাকাটি করে এখন শান্ত… তিনি কি করছেন সেটা বল্লেন না, বলার প্রয়োজন নেই। ঢাকা আমার জন্য অনাত্মীয় একটা শহর। মুস্তাফিজ ভাই সে শহরটাকে আরেকটু বেশি অনাত্মীয় করে চলে গেলেন।

এক বন্ধু ঈদের বিকেলে এস এম এস পাঠালো। বাবা ছাড়া প্রথম ঈদটা যেনো অন্যদের নিয়ে ভালোভাবে কাটানোর চেষ্টা করি। একটা জীবন কাটিয়ে দিলাম বাবাকে ঘিরে, আরেকটা জীবন কেমন করে কাটবে জানি না। মানুষ মূলত একা এই সত্য জানি, তবু কেন যে এইসব সঙ্ঘপ্রীতি আসে, কেন যে নিজের ভেতর গড়ে উঠে ভালোবাসা, নির্ভরতা। কেন বিচ্ছেদে বিষণ্ণতা ভর করে জীবনে, কেন উৎসবের রং বারবার ফিঁকে হয়ে যায়। জানি না, কিচ্ছু জানি না। প্রকৃতি আমাদের সবকিছু জানতে দেয় না।


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

প্লাসে মাইনাসে মাইনাস


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নজমুল আলবাব এর ছবি

হু, মাইনাসের লাইফ

sumima yasmin এর ছবি

দিলি তো মনটাই খারাপ করে!

সুমিমা ইয়াসমিন

নজমুল আলবাব এর ছবি

নিউজ দেখতে থাক। মন ভালো না হোক, ভুলে যাবি।

জহিরুল ইসলাম নাদিম এর ছবি

ভা লা!*

*[ভাল লাগলো]

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ জইনা

মাহবুব লীলেন এর ছবি

হ মনু
সবচে কঠিন হচ্ছে আড্ডার জায়গাগুলোকে বেদখল হয়ে যেতে দেখা আর আড্ডারুদের মুখে তেলনুনপিঁয়াজ কিংবা ডাক্তারের গপ্প শোনা

এই বন্ধের পুরা ৫ দিন ঢাকার খুপরিতে বসে কাটিয়ে দিলাম
কারণ কোথাও যাবার নেই
যেখানে কেউ যেতে বলে সেখানে যেতে ভাল্লাগে না আর যেখানে যেতে ভাল্লাগে সেখানে মানুষ নাই

নজমুল আলবাব এর ছবি

এবার তুমিও এলে না, আরিফ ভাইও না। অবশ্য এলেও যে দেখা হতোই সেটাই বা বলি কেমন করে।

তাসনীম এর ছবি

সবার গল্পগুলো প্রায় একই রকম। ভার্চুয়াল দুনিয়া ছোট হয়ে গেলেও সত্যিকারের দুনিয়াতে দূরত্ব বেড়েই চলছে।

খুব ভালো লাগলো এই লেখাটি।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।

দুরত্ব বাড়ছে, বাড়ছে শূন্যতা

অকুতোভয় বিপ্লবী এর ছবি

ধেত্তেরি এইসব কী লেখেন !

একজনকে ছাড়া ঈদ করাতে প্রায় ধাতস্থ হয়ে গিয়েছিলাম, সকালে ঈদের নামাজের পর কারো সাথেই কোলাকুলি না করাটাও প্রায় অভ্যেস হয়ে গিয়েছিল, নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে একা একা ফেরাটাও সয়ে গিয়েছিল, কিন্তু আপনি এসব কেন লেখেন ভাই!

------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।

নজমুল আলবাব এর ছবি

চাইলেই সব করা সম্ভব? ভুলে যাওটা কি খুব সহজ?

অ.ট. এই বিপ্লব টিপ্লব করে লাভ নাই ইঞ্জিনিয়ার, নিজের নামেই লেখা শুরু করেন।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মানুষের মাঝে দূরত্ব বাড়ছেই, আশঙ্কার কথা!

শক্তির 'হেমন্তের অরণ্যে আমি পোষ্টম্যান' কবিতাটির ক'টি চরণ মনে পড়ে গেল,

আমরা ক্রমশই চিঠি পাবার লোভে সরে যাচ্ছি দূরে
একটি চিঠি হতে অন্য চিঠির দূরত্ব বেড়েছে কেবল
একটি গাছ হতে অন্য গাছের দূরত্ব-বাড়তে দেখিনি আমি।

লেখাটি থেকে ভেসে আসা একটি বিষণ্ন সুরের কারনে মন কেমন করে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

মানুষতো বুঝতেই পারে না কখন দুরত্ব তৈরি হয়ে যায়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

মন খারাপ
অতল শূন্যতার আর হারিয়ে ফেলার জীবন!!!


_____________________
Give Her Freedom!

নজমুল আলবাব এর ছবি

হু, বাকসো বাকসো স্মৃতি জমে থাকে শুধু

শাহীন হাসান এর ছবি

পথের পুষ্পকল্প ভুলে গেছে পথ
হেটে যাও সয়ে যাও চুপচাপ চোখের জল

আমরা পেছনে আছি
বেরিয়ে আসবে পথে সময় সুন্দর
কারাগার থেকে মুক্ত হবে ভুল কয়েদি

ভাল থাকবেন ....।

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

নজমুল আলবাব এর ছবি

বাহ, কি চমৎকার কবিতা।

নীরব পাঠক এর ছবি

চলুক

রু (অতিথি) এর ছবি

লেখাটা পড়ে মন খুব বেশি খারাপ হয়ে গেলো। আজকাল সব পরিবারেরই মনে হয় একই রকম চিত্র।

নজমুল আলবাব এর ছবি

একটা সময় সব পরিবারকেই বদলে যেতে হয়।

মিলু এর ছবি

সবার গল্পগুলোই এক...

নজমুল আলবাব এর ছবি

হু, শুধু চরিত্র ভিন্ন

তিথীডোর এর ছবি

'মনে মনে বহুদূর চলে গেছি – যেখান থেকে ফিরতে হলে আরো একবার জন্মাতে হয়,
জন্মেই হাঁটতে হয়....
পথ তো একটা নয়--
তবু, সবগুলোই ঘুরে ফিরে ঘুরে ফিরে শুরু আর শেষের কাছে বাঁধা...'

শেষ গন্তব্য ওই শূন্যতাই... মন খারাপ

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নজমুল আলবাব এর ছবি

উপচে পড়ে হয়তো অনেক কিছু, কিন্তু মনে থাকে না। শূন্যতাটা শুধু লটকে থাকে

নজমুল আলবাব এর ছবি

মন্তব্য লাফায় ক্যান??!! মন খারাপ

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আপনার বাড়ি সিলেটের কোথায়, জানতে পারি?
আমার নানাবাড়ি-দাদাবাড়ি দুটোই ব্‌হত্তর সিলেটে

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

নজমুল আলবাব এর ছবি

শহরতলীতে।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আমার ছোটমামা শাপলাবাগে এক মেসে থাকেন। শাপলাবাগকে মনে হয় শহরতলী বলা যায়। শেষবার যখন ওখানে গিয়েছি, তার একদিকে ছিল শহর, আরেকদিকে পরিপূর্ণ গ্রাম

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

নজমুল আলবাব এর ছবি

শাপলাবাগতো শহর। আমরা পশ্চিমের মানুষ। ইউনিভার্সিটির পাশে। খুব দ্রুত আমরাও জঞ্জাল হয়ে যাবো। বাড়িঘর উঠছেতো উঠছেই, খাম্বা লাগছে, টিমটিমে বাতির রোশনাই বাড়বে এবার।

নীরব পাঠক এর ছবি

একদম ঠিক মন খারাপ

নজমুল আলবাব এর ছবি
রায়হান আবীর এর ছবি

- মন খারাপ

নজমুল আলবাব এর ছবি
কল্যাণF এর ছবি

ভা লা
(কপিরাইটঃ জহিরুল ইসলাম নাদিম)

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

guest_writer এর ছবি

মনে পড়ে গেল চৌহাট্টার কথা। আমরা থাকতাম গৌরগোবিন্দের টিলায়। সেই ১৯৬৯ সালে। তখন মিছিলে মিছিলে উন্মাতাল সিলেট শহর। জিন্দাবাজার ছিল শহরের কেন্দ্রবিন্দু।
সত্যিই আমরা একে অপরের থেকে দুরে আরও দুরে সরে যাচ্ছি। ফেসবুকের হাই-হ্যালোতে আবেগ কতখানি থাকে জানিনা। তবে নিজেকে প্রকাশের এক অন্তর্নিহিত তাড়না যে থাকে সেটা বুঝি।
আপনার জীবনের এই শুন্যতার অনুভুতি আমি উপলব্ধি করতে পারি। এটা আমি পার করে এসেছি অনেকদিন। স্মরন করিয়ে দিলেন, কাল কবরস্থানে যাব।
আপনার অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ভাল থাকবেন।
মন্তব্য : পৌঢ়ভাবনা

নজমুল আলবাব এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সেই সময়টা নিয়ে লিখছেন না কেনো? শহরটা কেমন ছিলো জানা হবে তাতে।

তারেক অণু এর ছবি
নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ

ধুগো কহিতেছি, আছি আরকি দৌঁড়ের উপর! এর ছবি

আমি এগুলা পড়ি না!

নজমুল আলবাব এর ছবি

তোর সমস্যা কি? এত্তো দৌড় কে দেয়? আর এসব তোর না পড়লেও চলবে। তুই আনন্দে থাক।

মডুদের কিন্তু খবর করে দেবো আমি। সচল, হাচলদের অফলাইনে করা মন্তব্য তারা কেনো ছাড়ছে এর একটা জুতসই জবাব তাদের তৈরি করতে বলে দে। রেগে টং

সাত্যকি. এর ছবি

অদ্ভুত বিষন্নতায় মেদুর!

নজমুল আলবাব এর ছবি

বিষণ্ণতায় লটকে থাকি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ইচ্ছে করে এই পোস্ট পড়া থেকে দূরে ছিলাম...
এখন পড়লাম
কিছু বলার নাই মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নজমুল আলবাব এর ছবি

আর পইড়েন না।

উজানগাঁ এর ছবি

যাক, বাউলকে আবার সেই পুরানো রূপে ফিরে পাওয়া গেল লেখায়।

স্টোভে পানি গরম করতে দিয়ে ডাকি, বাবাই ওঠো গরম পানি আছে...

এরকমই হয়। পালাবদল গুলো এরকমই ঘটতে থাকে। আপনি তাও নিজের বাবাকে নিয়ে দু-এক কলম লিখতে পারেন। আজ পর্যন্ত বাবাকে নিয়ে একটা শব্দও আমি লিখে উঠতে পারিনি। আপনিতো জানেনই বাবা আমার কতটা কাছের লোক ছিলেন।

প্রচণ্ড ভালোবাসাকে শব্দে-বাক্যে বন্দী করা প্রায় অসম্ভব। সেই অসম্ভব কাজটি কেউ-কেউ খুব সহজে করে ফেলতে পারেন। আপনি তাদের একজন।

লেখাটা নিয়মিত চালিয়ে যান, থেমে থাকবেন না।

নজমুল আলবাব এর ছবি

ধন্যবাদ শাওন

ঠক-খাওয়া পাঠক এর ছবি

কেন যে মানুষ এইসব মন-খারাপ-করা লেখা লেখে। আর কেমনেই বা লেখে এমন সুন্দর করে, বুঝি না। মন খারাপ

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমি এটা পড়িনাই

...........................
Every Picture Tells a Story

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।