আপাতদৃষ্টিতে এই বন্টন চুক্তি নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত মত ছিল যে, এই ৪৬০ কিউসেক পানি যদি ভারতে 'সঞ্চয়' হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা আছে কারন তিস্তায় শুষ্ক মৌসুমে ন্যুনতম প্রবাহ ৪৬০ থেকে অনেক কম। আর যদি তা নদীখাত সংরক্ষণের ( মূলত জলজ বাস্তুসংস্তান) জন্য হয় তবে তা ইতিবাচক কারন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তিস্তা চুক্তির আলোচনায় সবসময়ই শতকরা ২০ ভাগ বা ন্যুনতম শতকরা ১০ ভাগ পানি নদীখাতের জন্য বরাদ্দ রাখার দাবী ছিল সবসময়।
বিষ্মিত হই আজ সকালের সর্বশেষ খবর দেখে ( প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪, The Daily Star)। এই সর্বশেষ খবরে উল্লেখ করা হয় যে, তিস্তায় পানি বন্টন ২৫:৭৫ অনুপাতে হবে, অর্থাৎ মোট পানির ২৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ আর ৭৫ শতাংশ পাবে ভারত। এই খবরের উৎস অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মালদহের কংগ্রেস নেতা লোকসভার সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরীর বরাত দিয়ে। খবরে প্রকাশিত তথ্যমতে তিনি বৃহস্পতিবার বিবিসিকে বলেছেন,
"আজ (বৃহস্পতিবার) আমাদের বৈঠক হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন আমাকে বলেছেন, (তিস্তায়) যে পরিমাণ পানি থাকবে, তার ৭৫ শতাংশ ভারত নেবে এবং ২৫ শতাংশ বাংলাদেশ পাবে।"
এই সংবাদ যদি ভিত্তিপূর্ণ হয় তবে আসন্ন তিস্তা চুক্তি বাংলাদেশের জন্য আত্মহত্যা সমতুল্য হবে। কারন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে ১৯৮৩ সালে যৌথ নদী কমিশনের ২৫ তম বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত তিস্তার পানি বন্টনের জন্য একটি এডহক চুক্তি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল বলে জানা যায়। সেসময় তিস্তার মোট প্রবাহের ২৫% কে অবন্টনকৃত রেখে বাকী ৭৫% শতাংশ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্টন করার প্রস্তাব করা হয়েছিল যেখানে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৩৬% আর ভারতের ছিল ৩৯%। বর্তমানে যদি সেটি ২৫% আর ৭৫% এ দাঁড়ায় তবে তা বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ পরিচালনা একরকম অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
আসলে চুক্তি কি হবে সেটি হয়ত সেপ্টেম্বর ৬ এ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের পর জানা যাবে তবে সংবাদ মাধ্যমে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে এই দুই ধরনের সংবাদ আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করছে। আশা করি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশিত হবে।
বিঃদ্রঃ
১) তিস্তা চুক্তির ইতিহাস নিয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য পাঠক এই লেখাটি পড়তে পারেন।
২) এই লেখাটি খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা। এই সম্পর্কিত যেকোন খবর দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। পাঠকদের কাছ থেকে এই বিষয়ে যেকোন হালনাগাদ আশা করছি মন্তব্যে।
যদিও লেখাতে লিঙ্কগুলি দিয়েছি তার পরেও আলাদা করে শিরোনাম সহ নিচে দিলামঃ
[১] 'রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করেই চুক্তি, তিস্তার জলবণ্টনে সায় মমতার', আনন্দবাজার পত্রিকা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১১
[২] 'তিস্তা চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত, সম্মত মমতা', বিডিনিউজ২৪, সেপ্টেম্বর ১, ২০১১
[৩] 'তিস্তা চুক্তিতে ২৫ শতাংশ পানি পাবে বাংলাদেশ', বিডিনিউজ২৪, সেপ্টেম্বর ২, ২০১১
[৪] 'তিস্তার পানিচুক্তিতে মমতার সম্মতি', বাংলানিউজ২৪, সেপ্টেম্বর ১, ২০১১
[৫] 'তিস্তার পানি হিস্যা চুড়ান্ত প্রায়', ইত্তেফাক, আগষ্ট ৩০, ২০১১
[৬] 'তিস্তার পানি ২৫ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ', প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২, ২০১১ (অনলাইন সংস্করণ)
পাঠকদের অনুরোধ করছি এই সম্পর্কিত অন্যান্ন খবরের লিঙ্ক মন্তব্যে উল্লেখ করতে।
মন্তব্য
আপনার টিপাইমুখ সিরিজটি পড়ছি। এই দারুন সিরিজটি কেন গরম গরম পড়লাম না, আফসোস হচ্ছে
টিপাইমুখ খতম দিই। তারপর এই লেখাটা পড়বো
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ আশফাক। টিপাইমুখ সিরিজটি নিয়ে একটি ইবুক সচলায়তন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সিরিজটি না পড়ে সরাসরি বইটি পড়তে পারেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কে কি বললো তার উপর নির্ভর না করে চুক্তিতে বন্টন বিষয়ে কি বলা হবে তা জানা প্রয়োজন।
গ্যালারিতে বসলাম।
অলস সময়
এই লেখাটা ছড়িয়ে দিন সবাই।
এই লেখাটার জন্য ধন্যবাদ জাহিদ ভাই। ইদানিং বেশ গায়েব থাকলেও, প্রয়োজনের সময় আপনি ঠিকই হাজির হয়ে যান
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
শেয়ার দিলাম
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ অনার্য। আসলে গায়েব কি সাধে হই, বেশ চাপের মধ্যে আছি কাজ নিয়ে। একটু গুছিয়ে আবার শুরু করব।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দেশে ভারতবিরোধী রাজনীতি দীর্ঘজীবি হবে একথা চোখ বুজে বলে দেয়া যায় এখন।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ভারত-প্রেমী আর ভারত-বিদ্বেষী দুটোই সমস্যার সৃষ্টি করে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই চুক্তিগুলো জনগণের জন্যে উম্মুক্ত করা প্রয়োজন যেন সবাই পরিষ্কার ভাবে দেখতে পারে আসলে কি লেখা আছে। ২৫ ভাগ পানি কোন ভাবেই মানা সম্ভব নয়। আমি আশা করবো কোথাও কিছু ভুল হচ্ছে। হয়তো প্রথমটাই ঠিক। দেখা যাক সরকার কি বলে।
সরকারের উচিৎ অন্ততপক্ষে খসড়া চুক্তি নিয়ে জনমত, তর্ক-বিতর্ক সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। সেক্ষেত্রে চুক্তির দায়বদ্ধতা কিছুটা জনগনের উপরেও পড়ে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লেখা - এই বিষয়ে স্বচ্ছতা চাই।
আশা করব সরকারের তরফ থেকে বিষয়টা পরিস্কার করা হবে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার দাবী আমাদের সবারই।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।
আমাদের কেউ পাকিস্তানী আর কেউ ভারতীয়। বাংলাদেশি কই রে ভাই বাংলাদেশি কই?
আপনার মন্তব্য ঠিক বুঝলামনা। পরিষ্কার করবেন আশা করি। ব্লগ আলোচনার জায়গা, এক লাইনের মন্তব্যে কোন সিদ্ধান্তে আসবেননা।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেইরকম একটা সময়উপযোগী লেখা, আর সেইরকম একটা মন্তব্য...
দেখা যাক কী চুক্তি হয়!
মনে হচ্ছে আরেকটি আত্মঘাতী চুক্তির দিকে যাচ্ছে দেশ।
দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দেখি।
অন ট. শিরোনামের 'কি'-টা কি 'কী' হবে, জাহিদ ভাই?
ধন্যবাদ ভাইয়া। ঠিক করে দিলাম।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সরকারী চুক্তিগুলো প্রকাশ করার ব্যাপারে আইন টাইন কী আছে?
রাষ্ট্রীয় চুক্তির হিসাব নিকাশ সরকার জনগনের কাছে প্রকাশ করতে বাধ্য না কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বর্তমানে কোন চুক্তি সম্পাদিত হবার পর তা কোন কোন ক্ষেত্রে উন্মুক্ত করা হয় কোন কোন ক্ষেত্রে হয়না। যেমন ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল নৌপথের কিছু কিছু ক্লজ সরকারী ওয়েবসাইটে পাওয়া গেলেও মূল চুক্তিটি আমি অন্তত খুঁজে পাইনি। অন্যদিকে গঙ্গা চুক্তি বেশ কয়েকটি সুত্র থেকেই পেয়েছি।
স্বাধীন ভাইয়ের মন্তব্যে উল্লেখ করেছি যে আসলে খসড়া চুক্তি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা উচিৎ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
১. যে অনুপাতেই চুক্তি হোক না কেন, শুষ্ক আর বন্যা মৌসুমের জন্য আলাদা আলাদা ক্লজ থাকা উচিত। কারন বন্যা মৌসুমে কোনো চুক্তি না থাকলে ভারত গজলডোবা ব্যারাজ পুরোপুরি খুলে দিবে আর বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় বসবাসরত মানুষকে বরাবরের মত বন্যা আর নদীভাংনের সম্মুখীন হতে হবে।
২. শুষ্ক আর বর্ষা মৌসুমের সংঙ্গা সঠিকভাবে নিরুপন করা উচিত।
৩. ৪৬০ কিউসেক পানি ধরে রাখার ব্যপারটা আসলেই ক্লিয়ার না। ভারত আর বাংলাদেশ আর ব্যারেজ এমনভাবে খোলা রাখতে হবে যেন শুষ্ক মৌসুমে সর্বদাই এই পরিমান পানি প্রবাহ থাকে??ধরা যাক কোনো এক সময়ে তিস্তায় ভারত অংশে পানির পরিমান ৫০০ কিউসেক, তাহলে ৫২:৪৮ আর ৪৬০ কিউসেক আইন অনুযায়ী ভারত পানি ছাড় দিবে ৪৭৯.২ কিউসেক আর বাংলাদেশ উজানে ব্যবহার করতে পারবে ১৯.২ কিউসেক।এটুকু বাস্তবায়নের জন্য ভারতের অংশে যৌথ জরিপের ক্লজ রাখা দরকার।
ধন্যবাদ ইশতিয়াক।
১. ভারত বাংলাদেশ পানিবন্টন চুক্তি আসলে শুষ্ক মৌসুমের জন্যই হয়। যেমন গঙ্গা চুক্তি বলবৎ থাকে শুধু শুষ্ক মৌসুমে, পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত, বছরের বাকি সময়ের জন্য অর্থাৎ আর্দ্র মৌসুমে কোনো চুক্তি থাকে না। আবার ১৯৮৩ সালে প্রস্তাবিত তিস্তা চুক্তিও প্রতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে পরের বছর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব ছিল। বর্ষা মৌসুমে যেহেতু সংকট নেই তাই চুক্তি করার প্রয়োজনীয়তা থাকেনা।
২. আশা করি তোমার ১ নং পয়েন্টের উত্তরে এই পয়েন্টেরও জবাব পেয়েছ।
৩. এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে এই ৪৬০ কিউসেক পানি নদীখাত সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ থাকছে। সেক্ষেত্রে সেটি মুলত বাংলাদেশেই আসার কথা। এখন সেখান থেকে বাংলাদেশ এই পানি অন্য কোন উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করতে পারবে কিনা সেটা অবশ্য চুক্তির ক্লজের উপরে নির্ভর করে। এইসব চুক্তির ক্ষেত্রে সাধারনত যৌথ নদী কমিশন উভয় দেশেরই উপাত্ত বিশ্লেষণ করে থাকে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার দেয়া লিংকের লেখাটি (বিস্তারিত) পড়লাম। চমৎকার লেখা, অনেক কিছু জানা গেলো, ধন্যবাদ।
কয়েকটা পয়েন্ট:
১) বর্তমানে হিস্যার ব্যাপারে ২৫% - ৭৫% এর যে কানাঘুষা, সেটার একটা হিসেব মেলে। ভারত হয়তো বাংলাদেশের প্রস্তাবের একটি অংশ, মানে নদীখাত সংরক্ষণে ১০% পানি দেয়ার দাবীটি মেনে, বাকী ৯০% এর ব্যাপারে তাদের ৫:১ অনুপাতে হিস্যার (বাস্তাবায়িত সেচ অঞ্চলের পরিমাণ অনুপাতে) প্রস্তাবটি পাস করিয়ে নেবে। এতে, বাংলাদেশ হিস্যা হিসেবে পাবে ১৫%, এবং তার সাথে নদীখাত সংরক্ষণের ১০%ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয় বলে গোঁজামিল দেখিয়ে বাংলাদেশের প্রাপ্তি হিসেবে ২৫% দেখাবে। আফটার অল ৭৫ বনাম ১৫ এর চেয়ে ৭৫ বনাম ২৫ কে কিছুটা হলেও "প্রতিবেশীবান্ধব" দেখায়।
এখানে কয়েকটা প্রশ্ন ও পয়েন্ট আছে:
১) নদীখাত সংরক্ষণে যে পানিটা বরাদ্দ থাকবে, সেটার ব্যবহার দুই দেশই সেচ ছাড়া অন্যান্য খাতে (যেমন জল পরিবহন, জলজ প্রাণীবৈচিত্র্য, ব্লা ব্লা ) করার সুযোগ পাবে। তাই এই পানিটা ভাটিতে থাকা বাংলাদেশে আসবে বলে এটাকে বাংলাদেশ "সেচের পানির হিস্যা" হিসেবে গণ্য করাটা ঠিক হবেনা। এটা বাংলাদেশের বা ভারতে হিস্যা না, এটাকে পুরোপুরিই "হিস্যা সংক্রান্ত" হিসাবের বাইরে রাখা দরকার বলে মনে করি। এই চিন্তাটা ঠিক আছে কিনা, আপনার মতামত জানতে চাই।
২) দুই দেশের বাস্তাবায়িত সেচ এলাকার অনুপাতে পানির হিস্যা বন্টন হলে তা আয়তনে বড় দেশ ম্যানিপুলেট করতে পারে। নদীর গতিপথের সাথে লম্বালম্বি দিকে যত ইচ্ছা সেচ এলাকার ব্যাপ্তি বাড়িয়ে বেশী পানির হিস্যা তারা নিতে পারে। এক্ষেত্রে নদীর দৈর্ঘ্যের বা আয়তনের অনুপাতে হিস্যার বন্টন কি করা যায়?
(ধরুন, তিস্তার ব্যাপ্তি ভারতে ৫০ মাইল, বাংলাদেশে ৪০ মাইল। তাহলে দৈর্ঘ্য অনুপাতে ৫:৪ এ ভাগ হবে। অথবা ধরা যাক, ভারতীয় অংশে গড় প্রস্থ ১ মাইল, বাংলাদেশ অঞ্চলে ২ মাইল, তাহলে ৫*১:৪*২=৫:৮ অনুপাতে বন্টন হবে)
৩) এবার একটা প্র্যাকটিকাল সমস্যার কথা বলি (যেটা মাথায় ঢুকছেনা)। ধরা যাক চুক্তি হলো। নদীখাত সংরক্ষণে ১০% পানি বরাদ্দ রেখে বাকী পানি ৫০:৫০ অনুপাতে ভাগ হলো। ফেয়ার এনাফ!! আরো ধরা যাক, ২০১২ এর শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি প্রবাহ হচ্ছে ৪০০ কিউসেক। ভারতের মিনিমাম দরকার ২৫০ কিউসেক। এখন ভারত যদি নদীতে পানির প্রবাহকে কম দেখিয়ে নিজেদের প্রয়োজনের কাছাকাছি পানি রেখে বাকীটা বাংলাদেশকে দেয়ার ফন্দি করে তবে কি হবে? যেমন, মোট প্রবাহকে ৪০০ এর বদলে ৩০০ কিউসেক দেখালে ভারত হিস্যা হিসেবে রাখতে পারবে প্রায় ২৩৫ কিউসেক।
ভাটির দেশের পক্ষে কি উজানের দেশের এরকম সম্ভাব্য অসাধুতা বোঝার কোনো উপায় আছে? নাকি ট্রাস্ট করা ছাড়া কিছু করার নেই?
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধন্যবাদ মতামত ও জিজ্ঞাসার জন্য। নিচে আপনার প্রশ্ন ও মতামতগুলোর সম্পর্কিত আমার চিন্তাভাবনা প্রকাশ করছিঃ
আসলে এখানে আমাদের বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যারা আপোস আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন তাদের যে বিষয়টি গুরুত্ত্ব আরোপ করা উচিৎ তা হচ্ছে ভারত ৫:১ অনুপাতে হিস্যার যে প্রস্তাব করেছে তা আদৌ বাস্তব সম্মত নয়। কারন তিস্তার ভারতীয় অংশে ব্যরেজ ভারতে এই নদীর একদম ভাটিতে অবস্থিত, অর্থাৎ এর পরে তিস্তার পানি ব্যব্যহার করার সুযোগ ভারতে আর নেই। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে প্রবেশের পর তিস্তার পানির প্রথম ব্যবহার তিস্তা সেচ প্রকল্পের জন্য। এর পরে তিস্তা নদীকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিয়ে তিস্তামুখ ঘাট নামক স্থানে ব্রহ্মপুত্রে মিলিত হতে হবে। সুতরাং বাংলাদেশে তিস্তার পানির ব্যবহার শুধুমাত্র সেচ কাজের জন্যই বরাদ্ধ নয় বরং নৌচলাচল, মৎস্য, গৃহস্থালী ও শিল্পকারখানার জন্যও পানির চাহিদা রয়েছে। আর যদি একান্তই সেচ প্রকল্পের আঙ্গিকে এই বন্টন করতে হয় সেটা করা উচিৎ পরিকল্পিত কমান্ড এরিয়ার অনুপাতে (১৭:১০) কারন তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের জন্য নির্মিত ব্যারেজ, সংযোগ খাল কিংবা অন্যান্ন স্থাপনাগুলির নকশা করা হয়েছে পরিকল্পিত কমান্ড এরিয়ার জন্য তাই বাস্তবায়িত কমান্ড এরিয়ার ভিত্তিতে পানিবন্টন না করে বরং পরিকল্পিত কমান্ড এরিয়ার ভিত্তিতে বন্টন করলে তা অধিক যৌক্তিকতার দাবী রাখে।
আপনার চিন্তা একদম সঠিক। বাস্তবিক ভাবে এই পানি নদীতে না রাখলে বাংলাদেশে তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাবে যা নদীর মরফোলজিকাল বৈশিষ্ট্যও বিনষ্ট করবে।
আসলে আগেও বলেছি প্রকল্পের এলাকা অনুপাতে পানিবন্টন ঠিক বাস্তবসম্মত নয়। আসলে সমস্যা হচ্ছে পানিবন্টন ঠিক কিভাবে হবে সেটার কোন দিক নির্দেশনা কোথাও নেই। তবে সাধারণ চিন্তাভাবনা হচ্ছে সাম্যতাম অর্থাৎ ৫০:৫০। তবে একই সাথে কোন পক্ষের ক্ষতি না করে বিষয়টা মাথায় রাখা হয় যা সম্ভব না হয়ে শেয়ার্ড স্যাক্রিফাইস পদ্ধতিতে বন্টন করা হয়। যেমনটা করা হয়েছে গঙ্গার ক্ষেত্রে। গঙ্গার ক্ষেত্রে দেখুনঃ
এখানে একই সাথে সাম্যতা ও শেয়ার্ড স্যাক্রিফাইস মাথায় রাখা হয়েছিল। শেয়ার্ড স্যাক্রিফাইস এর বিষয়টা নিচের অনুচ্ছেদের ব্যাখ্যা করছিঃ
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে মার্চ থেকে মের মাঝামাঝি পর্যন্ত গঙ্গার প্রবাহ ৭০ হাজারের কম থাকে এবং এই সময় পানির বণ্টন প্রায় ৫০-৫০ অনুপাতে হবে। তবে তা ১০ দিন পর পর পরিবর্তিত হবে, যা একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়। ধরা যাক মার্চের ১১-২০ এই ১০ দিনের গড় প্রবাহ ৬৭ হাজার তাহলে বাংলাদেশ পাবে ৩৫ হাজার এবং ভারত পাবে ৩২ হাজার কিউসেক। এরপর মার্চের ২১-৩১-এর ১০ দিনের প্রবাহ ধরা যাক ৬৬ হাজার কিউসেক, তাহলে এই সময়ে ভারত পাবে ৩৫ হাজার এবং বাদবাকি ৩১ হাজার কিউসেক পাবে বাংলাদেশ। এ ভাবে প্রবাহ ৭০ হাজারের কম হলে প্রতি ১০ দিন পর ভারত ও বাংলাদেশ পালা করে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি পাবে এবং বাদবাকি পানি সেই অনুযায়ী বণ্টন করা হবে।
চমৎকার প্রশ্ন। পানিবন্টন চুক্তির মূল অংশ দুইটি, এক পানিবন্টন কোন জায়গার প্রবাহের ভিত্তিতে হবে আর কি অনুপাতে হবে। তিস্তার ক্ষেত্রে পানিবন্টন হবে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের উজানে প্রবাহের ভিত্তিতে, যেমন্টা গঙ্গার ক্ষেত্রে ফারাক্কায় ব্যারেজের উজানে। এছাড়াও রয়েছ ভাটির দেশ ঠিক কোন জায়গার তাদের হিস্যা বুঝে নেবে। গঙ্গার ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচের প্রবাহ, তস্তার ক্ষেত্রে হয়ত দোয়ানীতে ব্যারেজের উজানে হবে।
এক্ষেত্রে ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন এই দুই জায়গাতের প্রবাহ পরিমাপের কাজ করে থাকে। যৌথ নদী কমিশনে যেহেতু দুই দেশেরই প্রতিনিধি থাকে তারা প্রতি দশ দিনের গড় প্রবাহের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় যে চুক্তি লঙ্ঘিত হচ্ছে কিনা।
আবারো ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সময়োপযোগী লেখা।খসড়া চুক্তি জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করা অবশ্যই উচিৎ।
জাহিদ,
আপনার লেখাগুলি আমি সবসময় মনযোগ দিয়ে পড়ি এবং নিজেকে আরো শিক্ষিত করে তোলার সুযোগ পাই। আপনার লেখা 'টিপাইমুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট' আমি অনেকবার পড়েছি।
হাইড্রোপলিটিক্সের উপর আমার উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছিল Leif Ohlsson এর সম্পাদনায় ইউপিএল প্রকাশিত 'Hydropolitics : Conflicts over water as a development constraint' বইটি পড়ে। কিন্তু সেই উৎসাহ জানার আগ্রহ ছাপিয়ে চিন্তার খোরাক যোগাতে পারে নি। কারণ সেখানে বাংলাদেশকে প্রেক্ষাপটে রেখে শুধুমাত্র গঙ্গার পানিবণ্টনের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। আপনার লেখা 'টিপাইমুখ বাঁধ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট' সে তুলনায় অনেক গভীরতর বিশ্লেষণে ঋদ্ধ ও দেশপ্রেমের মহান ব্রতে প্রোজ্জ্বল।
আকাট মূর্খ বলেই হয়তো এবারে একটি মূর্খের মতো প্রশ্ন করছি। প্রশ্নটি হচ্ছে পানি বন্টনের বিষয়টি কি শুধুই নদীখাত সংরক্ষণ ও সেচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়ে সুপেয় পানির যে আক্রা দেখা দিয়েছে, তাতে করে পানযোগ্য পানির হিস্যার ব্যাপারটি কি এর সাথে জুড়ে দেবার ক্ষেত্রে কোনরূপ জটিলতা আছে? যদিও পানযোগ্য জলের বেশীরভাগই আসে ভূগর্ভস্থ পানির আধার থেকে, তথাপি গ্রামীণ জনপদের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাবার ক্ষেত্রে বিকল্প আধার হিসেবে নিঃসন্দেহে নদীর পরিশোধনকৃত জল ব্যবহৃত হওয়া যৌক্তিক হতে পারে। বাংলাদেশ ভারতের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। সেক্ষেত্রে সুপেয় পানি প্রাপ্তি যদি দেশ নির্বিশেষে আমজনতার মৌলিক অধিকার হিসেবে পরিগণিত হয় তবে বাংলাদেশ হয়ত আনুপাতিক হারে অধিক হিস্যা দাবী করতেই পারে।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
প্রথমেই পাঠকদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ব্যাস্ততার কারনে অনেক মন্তব্যেরই প্রতিমন্তব্য/উত্তর দিয়ে দেরি হচ্ছে।
ধন্যবাদ রোমেল, আপনার মন্তব্য ও হাইড্রোপলিটিকসে আগ্রহের জন্য। হাইড্রোপলিটিকস এই শতকের জন্য কতটা গুরুত্ত্বপূর্ন তা বিশ্বব্যাঙ্কের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল সেরাগেলডিন (Ismail Serageldin) এর উক্তিই প্রমান করেঃ ‘পরবর্তী বিশ্বযুদ্ধ হবে পানির জন্য’।হয়ত পানিসম্পদ কৌশল আমার পড়াশুনার বিষয় বলেই এই সম্পর্কিত ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করি। পাঠকের ভাল লাগলে উৎসাহ বেড়ে যায় অনেক গুন।
মোটেই মূর্খের মত নয় বরং একটি চমৎকার প্রশ্নের অবতারণা করেছেন। আমি কিছুটা ব্যখ্যা করার চেষ্টা করছি।
আসলে চুক্তি বা সমঝোতার প্রশ্ন তখনই আসে যখন কোন সংকট আমাদের সামনে উপস্থিত হয় বা নিকট ভবিষ্যৎ এ উপস্থিত হবার সম্ভাবনা থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে গঙ্গা চুক্তির কথা। ১৯৫১ সালে ভারত যখন গঙ্গাতে ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মানের পরিকল্পনা করল তখন থেকেই কিন্তু এই ভবিষ্যৎ প্রভাব নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা শুরু হয়েছিল। তার পূর্বে গঙ্গার পানি নিয়ে কোন সংকট ছিলনা। অবশেষে ৭৪/৭৫ সালে ফারাক্কা ব্যারেজ যখন শুরু হলো এবং ভারত একচেটিয়া পানি প্রত্যাহার শুরু করল তখন সেটা বাংলাদেশে পানিসংকট হিসেবে দেখা দিল যার সমাধান মিলল ( তাত্ত্বিক ভাবে) ১৯৯৬ সালে এসে। কিন্তু এই ২২ বছরে যে ক্ষতি বাংলাদেশের হয়েছে সেটা অপূরনীয়। অথচ ৭৪/৭৫ সালে ব্যারেজ শুরু সময় থেকেই যদি এই চুক্তি হতো তাহলে বাংলাদেশকে এই মূল্য দিতে হতোনা।
যে কারনে এই আলোচনা করলাম সেটা হচ্ছে, আজ বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৫৪ টি অভিন্ন নদী নিয়ে সংকট চলছে ( কম বা বেশী) এবং সেটা উন্নয়ন কার্যক্রম ( যেমন ব্যারেজ, বাঁধ), নদীর নাব্যতা, নৌচলাচল, নদীর বাস্তুসংস্তান এই সব নিয়ে। এখনো আমাদের খাবার পানির সংকট আসেনি আর তাই এই নিয়ে চিন্তাভাবনাও নেই। কিন্তু সেইদিন খুব বেশি দূরে নয় যখন ভূগর্ভস্থ পানির উপর আমাদের নির্ভরতা কমাতে হবে। ঢাকা ইতিমধ্যেই তার ব্রেক ইভেন্ট পয়েন্টে চলে গিয়েছে, হয়ত আস্তে আস্তে অন্যান্ন বিভাগীয় শহর বা ক্রমান্বয়ে জেলা শহর গুলোও একই অবস্থানে আসবে।
সমস্যা হচ্ছে এইসব নিয়ে আন্তর্জাতিক কোন নীতিমালা বা আইন নেই। যেটা আছে সেটা হচ্ছে 'জাতিসঙ্ঘের কনভেনশন' যা আইনে রূপ নিতে এখনো ১৫ টি দেশের অনুমোদন লাগবে। এর থেকে বড় কথা এই কনভেনশন মতে দ্বিপাক্ষিক সংকট নিরসনে আপস আলোচনার কোন বিকল্প নেই।
সর্বোপরি দেশ ভিত্তিক না বরং অববাহিকা ভিত্তিক নদী ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্ত্ব আরোপ করা এই শতকের দাবী হওয়া উচিৎ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
২৫% না ৪৮% এই ব্যাপারটি কি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে? আসিফ নজরুলের একটি লেখা এসেছে দেখলাম এই বিষয়ে।
(আপনার মন্তব্য পড়ার আগেই প্রআ তে) শিরোনাম পড়ে মনে হয়েছিল জাহিদ ভাইয়ের লেখা হয়তো।
জাহিদ,
ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনার পোষ্টে ফিরে এলাম। ঝাপসা চোখে পোষ্টের শিরোনাম দেখছি, "তিস্তা পানিবন্টন চুক্তি আসলে কী হচ্ছে?" 'কী' ও 'হচ্ছে' শব্দদুটো যেন জায়গাবদল করে নিয়েছে।
মমতাহীন উত্তরও আমরা ইতিমধ্যে পেয়েও গেছি। আমাদের নদীর মৃত্যু, প্রকৃতির মৃত্যু, জীববৈচিত্র্যের মৃত্যু, কৌম্য সমাজের মৃত্যু, ভাটিয়ালির মৃত্যুতে কার কি আসে যায়?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
টিপাইমুখ সিরিজটা পড়ে শেষ করলাম। ই-বুকের চেয়ে কেনো জানি সিরিজ পড়তেই বেশি ভালো লাগে। পাঠকদের মিথস্ক্রিয়ার একটা অন্য রকম আনন্দ আছে।
এই লেখাটা পড়লাম মাত্র। লিঙ্কগুলোও। মনমোহন তো এসেই পড়লেন প্রায়। দেখা যাক কী হয়। এখন আবার সবাই বলছে, চুক্তি নাকি হচ্ছেনা। বাংলাদেশের মানুষের কপালে কী আছে কে জানে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হতাশ, কিংবা তার থেকেও বেশি এই মূহুর্তে [১, ২]। একটি পোষ্ট লিখতে যাচ্ছিলাম, ভাবলাম অপেক্ষা করিই আর একদিন [৩] !!!
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাইয়া, অফ টপিক, তবুও আপনাকেই প্রশ্নটা করছি। বাংলাদেশের মাটিতে ভারতের ট্রানজিট নিয়ে বিস্তারিত ও বিশ্লেষণধর্মী কোন সিরিজ/লেখা আছে সচল বা অন্য কোথাও? উইকিতে তো মন ভরে না
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
স্থল ট্রানজিট ( রেল ও সড়ক) নিয়ে সার্বিক বিশ্লেষণধর্মী লেখা আমার চোখে পড়েনি। নৌ-ট্রানজিট নিয়ে আমি দুই পর্বের একটি লেখা দিয়েছিলাম। এখানে একসাথে পাবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আজও শেষ হাসিটা মমতা ব্যানার্জীই হাসলেন। ঠিক যেমন হেসেছিলেন ১৯৮১ সালের ৩০শে মার্চে ২৪টা লাশ পড়ার পরে যখন তিনি ভারতীয় যুব কংগ্রেসের সভাপতি।
লাশের রাজনীতি হয়তো তিনি আজ আর করেন না। কিন্তু অযথা অপরের অনিষ্ট করার সেই পুরোনো অভ্যেসটা আজও তার চরিত্র থেকে গেলোনা। পশ্চিমবাংলা তলিয়ে যায় যাক, কিন্তু বাংলাদেশকে পানি নয়।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
নতুন মন্তব্য করুন