১##
মুসলিম সমাজে ইব্রাহীম নাম খুব পরিচিত নাম হলেও ভূতের গলির ইব্রাহীমকে পাড়ার দু’একজন লোক ছাড়া কেউ চিনত না, জানত না। এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রমূলক অভিপ্রায় কারো ছিল না। বস্তুত, ইব্রাহীম নিজেই ওমন ছিল, সাধারণ, খুব সাধারণ।
সেই ইব্রাহীম যখন মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেল, তখন সবাই তাকে চিনতে শুরু করল, পাগলা কোন বাড়িতে থাকে সেটা নিয়ে মানুষের মাঝে বিস্তর আগ্রহ তৈরী হলো। এই সুযোগে এলাকার কিছু লাফাঙ্গা পোলাপানের কদর কিছুটা বেড়ে গেল, কারণ তারা ইব্রাহীমের সাথে একটু হলেও মেলামেশা করেছে।
ইব্রাহীমের পালাবার, হারিয়ে যাওয়ার, অদৃশ্য হওয়ার কোনো মন্ত্র জানা ছিল না। জানা থাকলেও খুব একটা উপকার হতো না; আসলে তার নিজস্ব গন্ডি ছাড়া আর কোনো জায়গাও নেই—পালিয়ে যাবে কোথায়? হারানোর পথ কোনদিকে?
জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এসে মানুষের মনে হয়, ধুর চলে যাই, যেদিকে দু চোখ যায়; ইব্রাহীম এর ব্যতিক্রম ছিল না। সবার থেকে আলাদা হওয়ার আজন্ম শখ থাকলেও প্রতিভাহীনতার কারণে সে সাধারণ। তাই সে পালাতে, হারাতে কিংবা অদৃশ্য হতে চেয়েছিল, ভবিষ্যতের কথা ইব্রাহীমের জানত না। তবে আমরা এখন জানি ওর ভবিষ্যত কী ছিল; ইব্রাহীম মানসিক রোগী হয়ে গেছে, যদিও অনেকে তাকে আদর করে কিংবা বিদ্রুপ করে ডাকে পাগল, তার অল্পপরিচিত মানুষজন ডাকে পাগলা, তার বাবা-মা কেবল হা-হুতাশ করে বলে, বাবারে তোর কী হইল? ইব্রাহীম--বাবা, পাগল কিংবা পাগলা কোনো সম্বোধনের পার্থক্য বুঝতে পারত না।
তার সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব সেভাবে গড়ে না ওঠার আরেকটা কারণ ছিল, তার রাগ। কথায় কথায় রেগে যেত, তবে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার আগে তার রাগ একদম কমে গিয়েছিল এবং এখন তাকে অবিরামভাবে পাগল কিংবা পাগলা ডাকা স্বত্ত্বেও হাসিমুখে জবাব দিচ্ছে—এরেন্দিরা অনেক কষ্টে আছে। সুতরাং ছেলে বুড়ো নির্বিশেষে সবাই জেনে যায় ইব্রাহীম অসুস্থ হয়েছে এরেন্দিরার জন্য। বুড়ো মানুষ যাদের দাঁত পড়ে গেছে, তারা ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না, বলে এরেদিরা, ছোটরা যাদের দাঁত এখনো আলো দেখেনি তারা বলে, এলেদিলা আর প্রাপ্তবয়স্করা বলে মাগী এরেন্দিরা অথবা শুধু মাগী এবং মাগী শব্দটা ব্যবহার করতে পেরে তাদের চোখে-মুখে এক ধরনের আনন্দ খেলা করে যেত, যদিও তারা এরেন্দিরা কে তারা জানত না।
আপনার ছেলে কি ছোট থেকেই এমন? মানুষ এমন প্রশ্ন করলে ইব্রাহীমের মা’র বিলাপ শুরু হয়ে যায়, কান্নার দমকে আটকে আসে কথা, কেউ কিছু বুঝতে পারে না, দূরে দাঁড়িয়ে ইব্রাহীমের বাবা সাপের মতো ফোঁসফোঁস শব্দে নিঃশ্বাস ফেলে।
ইব্রাহীম ছোট থেকে খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না, তবে এখনকার মতো এত অস্বাভাবিক ছিল না। এই দুই সময়ের পার্থক্য বুঝতে হলে, পেছনের পথ থেকে ঘুরে আসতে হবে।
ইব্রাহীম কারো সঙ্গে মিশত না, চুপচাপ থাকত, সারাদিন ঘরের ভেতর বসে থেকে কি কি যেন ভাবত। এলাকার ওর সমবয়সী ছেলেরা যখন হরতাল হলে রাস্তায় ক্রিকেট খেলার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করত, তখন ইব্রাহীম স্কুল ছুটি পেয়ে বসে বসে ঝিমাতো---যা দেখে পাশের বাড়ির মোহনা তাকে নিয়ে টিপ্পনী কাটত, এটা-ওটা বলে রাগানোর চেষ্টা করত এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইব্রাহীম, মোহনার উপর কখনো রাগ করত না কিংবা করলেও দেখাত না। তো এইভাবে ইব্রাহীম বড় হচ্ছিল। সাংসরিক অবস্থা খুব একটা মন্দ না হলেও মাঝে মাঝে ইব্রাহীমের অনাবশ্যক আবদার তার বাবার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াত।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার আবদারের বিচিত্রতা বাড়তে থাকে আর তার মধ্যবিত্ত বাবার চুল একটা একটা করে পড়তে থাকে, একসময় ছোটখাটো একটি মাঠের রুপ ধারণ করে যদিও সেখানে কাউকে খেলতে দেখা যায় নি।
ইব্রাহীম বড় হতে হতে বদলাতে থাকে। কেউ তাকে বলেনি বদলাতে হবে, সে নিজে নিজেই ঠিক হতে লাগে। ইব্রাহীমের মা’র ধারনা মোহনার এখানে বিশেষ কোন ভূমিকা আছে। অবশ্য এই ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ইব্রাহীমের ক্রমশ বদলে যাওয়া তাদের পরিবারের সুখ ধরে রাখার জন্য সহায়ক হবে বলে মনে হলেও বাস্তবে তা হয় না। বরং ছেলে কেন বদলে যাচ্ছে, বকা দিলেও রাগ করে না, এটা নিয়ে তার বাবা-মা নতুন করে চিন্তায় পড়ে যান---ছেলের সঙ্গে হঠাৎ করে কী হচ্ছে? যা মানুষের ভেতরের অনিশ্চিত প্রবৃত্তিকে তীর ছোঁড়ে। এই প্রবৃত্তি অনুসারে মানুষ চিরকাল অস্থির থেকে শান্তির সন্ধান করে যাবে, সেই শান্তি এলেও তাকে নতুন মোড়কে জড়িয়ে পুনরায় অস্থির হয়ে যাবে এবং কোনো তীর ছুটে এলেও লাভ নেই, কারণ তীরের আগা অতি ব্যবহারে ভোতা হয়ে গেছে, প্রবৃত্তির গায়েও মোটা চামড়া—এত সহজে বদলাবার নয়।
২#
একদিন সাধারণ সকালে---- সূর্য ঠিকমতোই উঠেছে, রাস্তার পাশের হোটেলগুলো খুলেছে সময় মতো, সেখানে এখন রুটি বানানোর তোড়জোড় চলছে, রাস্তায় ঝাড়ু দিচ্ছে সিটি করপোরেশনের এক মহিলা; তখন ইব্রাহীম হাঁটতে বের হলো।
পড়াশোনার খুব একটা ভালো না হলেও দ্বিতীয় বিভাগে ক’দিন আগে এইচএসসি পাশ করেছে। এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে দ্বিতীয় বিভাগ কিংবা প্রথম বিভাগ কথাটা প্রাগৌতিহাসিক কোনো তথ্যের মতো শোনালেও, এটা খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। রেজাল্ট যাই হোক না কেন, ইব্রাহীমের বই পড়াতে ভালো আগ্রহ আছে। সে ঘরকুণো থাকতে পছন্দ করে, তাই প্রচুর বই পড়ার অবসর পায় সে। এই বই পড়ার অভিজ্ঞতা থাকার কারণেও তার জীবনে কিছুক্ষণ পর একটি আনন্দ-দায়ক কিংবা বেদনা-দায়ক একটি ঘটনা ঘটবে, যার কারণে পরবর্তীতে সবাই তাকে পাগল ঠাওরাবে।
রাস্তায় বের হয়ে সে নতুন কিছু দেখল না। সেই একঘেয়ে রাস্তা, একঘেয়ে পরিবেশ, তার মনের অবস্থা একঘেয়ে না বরং নতুন সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে দ্বিধাগ্রস্থ, বাধাগ্রস্থ কিছুটা কৌতূহলী অনেক বেশি এলোমেলো।
ভুতের গলি থেকে বের হয়ে,হাঁটতে হাঁটতে ধানমন্ডি লেকের কাছে চলে এল সে। নিজের জীবনের হিসেবগুলো মেলানো আছে কি’না এটা ভাবতে ভাবতে হোঁচট খেয়ে থেমে গেল। কোনো পাথর কিংবা অমসৃণ পথে না বরং এক তরুণীকে কাঁদতে দেখে থেমে দাঁড়াল।
বয়স বিশ থেকে বাইশের ভেতর হবে। অনুজ্জ্বল চেহারায় মেঘের আড়ালে লাবন্য ঢাকা পড়ে আছে। পোশাক দেখে মনে হচ্ছে দেশি কেউ না। স্কার্টের মতো দেখতে হলেও অদ্ভুত একটা পোশাক পড়েন, চেহারাও ঠিক বাঙ্গালিদের মতো না।
বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে মেয়েটিকে কাঁদতে দেখে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। যে যার মতো করে চলে যাচ্ছে। রাস্তায় মানুষ বেশি নেই, ইব্রাহীম এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, কাঁদছেন কেন? কোনো সমস্যা?
সমস্যা না হলে, কেউ এভাবে কাঁদে?
উচ্চারণ বাঙ্গালিদের মতো নয়। ইব্রাহীম নিশ্চিত হয়ে গেল, তরুণী ভিনদেশি নিতুন বাংলা শিখেছে।
আমাকে বলুন, আমি সাহায্য করতে পারি।
আমি এরেন্দিরা। মার্কেজ আর ইউসিলিসকে খুঁজছি। ল্যাটিনা আমেরিকা থেকে এসেছি।
ইব্রাহীমের চোখ বড় বড় হয়ে যায়। এরা কারা? আর আপনি বাংলা বলছেন কী করে?
আপনি আমাকে আর ইউসিলিস কে চিনতে না পারেন, মার্কেজকে চিনেন না? আমাকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। তাই বাংলা বলতে পারি। মেয়েটির চোখের পানি একেবারে গায়েব এখন। সে উঠে দাঁড়াল।
আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
পাগলের খপ্পরে পড়েছে ভেবে উল্টো দিকে হাঁটা শুরু করতেই মেয়েটির তাকে থামালো।
যাবেন না প্লিজ। সকাল থেকে বসে আছি, কেউ আমাকে পথ দেখাচ্ছে না। আমার বাংলা অনুবাদক আমার সৌন্দর্য্য ঠিকভাবে তুলে ধরতে পারে নি।
আপনি ঠিক কী বলতে চাচ্ছেন? ইব্রাহীম ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করে।
এরপর যা বলে মেয়েটি ইব্রাহীম তা হেসে উড়িয়ে দিতে পারে না, কারণ হেসে উড়িয়ে দেওয়া স্বভাব তার ভেতরে নেই এবং সে অপরের মতামতের প্রতি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাশীল হয়েছে এখন। মেয়েটিকেও এখন আর আগের মতো অসহায় লাগছে না, বরং মনে হচ্ছে ইব্রাহীমকে পেয়ে আশান্বিত হয়েছে; এটা ভিন্ন ব্যাপার যে ইব্রাহিম আশান্বিত কিংবা আশাহত হবার মতো কিছু বলে নি অথবা বলার মতো কোনো জ্ঞান তার নেই।
তাই হঠাৎ করেই সাধারণ সকালটি বদলে গেল এবং এই বদলে যাওয়া সকালে এরেন্দিরার কাহিনী শুনতে শুনতে তার মনে পড়ে যায়, সে আজ সকালে কেন হাঁটতে বের হয়েছিল। মোহনাকে নিয়ে তার মন খারাপ ছিল, বিক্ষিপ্ত ছিল এবং এলোমেলো ছিল। এখন সূদর ল্যাটিন আমেরিকা থেকে আগত এরেন্দিরার সঙ্গে মোহনার জীবনের মিল দেখতে পেয়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল এবং কিছুই বলতে পারল না।
পরবর্তীতে এই কাহিনী যখন ইব্রাহীম বন্ধু ভেবে আবুলের কাছে বলবে, তার পাগল বলে স্বীকৃতি পাবার পথের সূচনা হবে।
সেই রাতে পাড়ার চা এর দোকানে আবুলকে দেখা যায় এরেন্দিরার কাহিনী বলতে।
‘ আর বইলেন না, ইব্রাহীম আছে না, আরে পঁচিশ নাম্বার বাড়ির ইব্রাহীম-হ্যার মাথা তো পুরাই আউট। কোন এক মার্কেজ,চিনলা না? আরে বিশ্বের নামকরা রাইটার, আমগোর হুমায়ূন আহমেদের মতো; তো মার্কেজের বই এর ভেতর থেকে এক চরিত্র বাইর হওয়া বাংলাদেশে আইছে হ্যার প্রেমিক আর লেখককে খুঁজবার লেইগ্যা। আর আইস্যা পড়ছে ইব্রাহীমের হাতে। ইব্রাহীম নাকি হ্যাগো খুঁইজা দিব’
চায়ের দোকানের সামনে অন্য যে কোনো দিনের থেকে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
৩#
এরেন্দিরা ভাগ্যদোষে বন্দিনী এক মেয়ের কাহিনী। যে তার ঠাকুমা’র কাছে ছোট থেকে বড় হচ্ছিল। আসলে এটাকে বড় হওয়া বলে না, তার ঠাকুমা তাকে দিয়ে জোর করে বেশ্যাবৃত্তিতে নিয়ে আসে এবং তাই করতে বাধ্য করে। তার জীবনেও প্রেম আসে, ইউসিলিস। ইউসিলিসের সাহায্য নিয়ে এরেন্দিরা বুড়ি ঠাকুমা মেরে ফেলে এবং ইউসিলিস
কে ফেলেই পালিয়ে আসে। এরপর এই চরিত্রের স্রষ্টা গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ আর কিছু লেখেন নি। কীভাবে জানি এরেন্দিরা বই থেকে বের হয়ে ইএ ভুতের গলিতে এসে ইব্রাহীমের সামনে পড়ে।
সে মার্কেজ কে খুঁজছিল, কারণ এর পরের করণীয় তার জানা নেই। সে ইউসিলিস কে খুঁজছিল কারণ, তার ভালোবাসা পেতে ইচ্ছে করে।
ইব্রাহীম কাহিনী শুনে বাকরুদ্ধ হয়ে যত না অবিশ্বাসে তারচেয়ে বেশি মোহনার সঙ্গে মিল দেখে। মোহনা—যাকে বলা হয় ইব্রাহীমের বদলে যাওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় প্রভাবক, সেই মোহনা এখন ভীষণ কষ্ট আছে। ইব্রাহীম জানত না, মোহনার চাচা, মোহনাকে পতিতার মতো ব্যবহার করে। বিদেশি ক্লায়েন্ট, এখানে-সেখানে পাঠায়। মোহনা বাঁচতে চেয়েছিল, পারে নি, পারছে না।
সুতরাং এরেন্দিরার কাহিনী তার মনে আশার সঞ্চার করে এবং সে দ্রুত ছুটে যায় মোহনার কাছে। গিয়ে বলে—আমি তোমাকে নিয়ে পালায় যাবো। মোহনা তাকিয়ে থাকে এবং হো হো করে হাসতে থাকে। তখন তার চাচা আসে, মোহনাকে ভেতরে যেতে বলে; ইব্রাহীম হাতের কাছে থাকা কলসি ছুড়ে মারে, চাচার মাথা ফেটে যায়।
ইব্রাহীম আবার দৌড়ে গিয়ে এরেন্দিরার খোঁজে বের হয়, কিন্তু তাকে সে কোথাও পায় না। এরপর থেকে সে এরেন্দিরাকে খুঁজতে থাকে, কারণ সে কিভাবে মোহনাকে উদ্ধার করবে এই ব্যাপারে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সে কাজে লাগাতে চায়।
এটা অবশ্য সম্পূর্ণ কাকতালীয় যে, এরেন্দিরা তার সৃষ্টিকর্তা মার্কেজকে এবং মোহনা মানুষের সৃষ্টিকর্তা ইশ্বরকে খুঁজতে থাকে—তাদের এই চাওয়া পূরণ হয় কি’না জানার আগেই ইব্রাহীম পাগল হয়ে যায় এবং মানুষ তাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে আর এই কথা কে না জানে, এই সমাজে পাগলদের কথার কোনো দাম নেই—তারা অনেকটা ঐ নির্বোধ নারীদের মতোই; ব্যবহার করবে, মজা করবে, তারপর ছুঁড়ে ফেলে দেবে, যেন কোনো পোকা, শেষ হয়ে যাওয়া সিগারেট কিংবা বিয়েবাড়ির শেষ খাবার।
------------------
রিশাদ_ময়ূখ
মন্তব্য
ভালো লেগেছে। ২# এর পর থেকে গল্পটা আমাকে আকর্ষন করেছে।
ধন্যবাদ
পাগল হবার মধ্যেও একটা আনন্দ আছে। যা কেবল মাত্র পাগলই অনুভব করতে পারে। আসুন পাগল হই।
আসুন পাগল হই।
ধরে রাখলো, একটানে পড়ে গেলাম!!! দারুণ লিখেছিস দোস্ত!!!
সচলে সুস্বাগতম!!! এইখানে লেখার কথাটা রাখার জন্য ধন্যবাদ, অসাধারণ গল্পকার!!!
ওহ্ আর অবশ্যই নিয়মিত লিখবি!!!
_____________________
Give Her Freedom!
এই গল্পটার পেছনের কৃতিত্ব টা তোর কাছেই যায়।
-----------
একবার যখন এসেছি। লিখব তো বটেই
আরে না, কী বলিস, কোন কৃতিত্বই নাই, শুধু গুতা দিছি, এইডা বলতে পারিস!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ভালো লেগেছে। শুরুটা ধরতে পারছিলাম বলেই বেশি ভালো লেগেছে বোধহয়।
শুরু ধরতে পারলে তো ভালো লাগার কথা না।
-----------
ভালো থাকুন, ধন্যবাদ
facebook
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
দারুন!
চমৎকার
স্রেফ কাহিনী নির্ভর নয়। গঠন শৈলীতেও ভিন্নতা আছে। আমিও বলব, ১ম অংশটা সাদামাটা লেগেছে। ২য়টাই বেশি ভালো। মোহনার সাথে এরেন্দিরাকে মিলাতে আরও ক্লোজ কিছু বিষয় আনা যেত কি না? ভালো লেগেছে।
অবশ্যই আনা যেত। মাঝে কথোপকথনের জায়গাটা ক্লিশে লাগছে এখন
-------
আন্তরিক মন্ত্যবে কৃতজ্ঞতা
..........হইছে
গুল্লি মার্কা ধন্যবাদ আপনাকেও
অন্যরকম লাগল আপনার গল্প বলার ধরনটা।
সচলে স্বাগতম। আরো লেখা পাবার অপেক্ষায় থাকলাম।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
পাবেন আশা করি।ভালো থাকুন
শহিদুল জহিরের এরকম একটা গল্প ছিলো না?
সে যাই হোক, লেখা ভালো লাগলো। কীবোর্ড চলুক
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
শহিদুল জহিরের উপন্যাস আছে আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু। এছাড়া এই গল্পের সঙ্গে সেটার আর কোনো মিল নেই
-------
মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা
মুগ্ধ্তা জানালাম ।
ধন্যবাদ
ব্যাপক
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ
বাহ। পড়ে বেশ ভাল লেগেছে ।
শুরুতে ভাবসিলাম নিখাদ সাইকোলজি, পরে দেখি ফিলোসফি ঢুকে গেলো। তবে একটা অনুরোধ করবো, মনস্তত্ব নিয়ে স্টাডি করো, সকল বয়সের, সব শ্রেনীর মানুষের সাথে কথা বলো- প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে, অবারিতভাবে। বৈজ্ঞানিকভাবে আর পরিসংখ্যানে প্রাপ্ত এইসব তথ্যগুলোকে নিজস্ব স্টাইলে, গল্পাকারে সাজিও নাও। দেখবে, মার্কেজের শরণাপন্ন হতে হচ্ছেনা, ল্যাটিন আমেরিকা থেকে অ্যানালজি টানাও জরুরি মনে হবে না।
লেখার ধরন আর মান নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই, কারণ তোমার লেখাগুলোর সাথে আমি পরিচিত। সচলে স্বাগতম। হাত খুলে টাইপাতে থাকো।
মানুষের সাথে কথা বলাই তো কাজ। তোর আইডিয়া মনে ধরল। ওভাবে স্টাডি বলতে যা বোঝায়, গল্পের উপাদা সংগ্রহ করা ওভাবে হয়ত করা হয়ে ওঠেনি।
------------
আশা করি,সামনে আরো ভালো কিছু উপহার দিতে পারব
বেশ ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ
লেখাটির শিরোনামে বানান ভুল করেছি।
মার্কজের স্থলে মার্কেজ হবে। মডারেটরদের সংশোধন করে দেবার অনুরোধ করছি। প্রথম পোস্টের উত্তেজনাবশত ভুল
জাদু-বাস্তবতা নিয়ে নিরীক্ষা করছেন?
ভালোই তো,চলুক।
অনেকটা সেরকম। নিরীক্ষা নয় ঠিক, তবে এভাবেই লিখতে চাই তবে টাইপড হয়ে নয়। ধন্যবাদ
খুবই দারুণ রিশাদ। পড়ে শেষ করার আগে এতোটা ভালো আশা করিনি।
আর উপরে আশফাক যেমন বলেছে, তেমনটা আমারো মনে হয়েছে, শহীদুল জহিরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল গল্প বলার ভঙ্গি। তাতে দোষ নেই, গল্পের বুনট অনন্য না হতে পারে, অসামান্য অবশ্যই।
আসলে একটা ভুল হয়ে গেছে নাম এবং এলাকা শহিদুল জহির থেকে নেওয়ায়। আমার অন্য একটি পরিকল্পনা ছিল, সেটা করি নাই কিন্তু নামটা রয়ে গেছে।
-------------
আন্তরিক মন্তব্যে ধন্যবাদ
শুধু নাম আর স্থানই নয় ভাষার ব্যবহার ও কাহিনীর গঠন দুটোই পাঠককে শ.জহীরের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।লিখা চালিয়ে যান।শুভকামনা রইলো।
সচেতন ভাবেই এই ভুল হয়ে গেছে!
ধন্যবাদ পড়ার জন্য
বাহ্! চমৎকার লাগলো তো!
বানানের দিকে একটু যত্ন নিয়েন, পাঠকের অনুরোধ রইলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি সব মিলিয়ে পাঁচটি বানান ভুল পেয়েছি। এডিটের অপশন না থাকায় পারছি না ঠিক করতে। অনুরোধ আনন্দের সাথে গৃহিত হলো। ভালো থাকুন
শুধু আপনার লেখায় মন্তব্য করতেই আজ সম্ভবত ২ বছর পর সচলে নিবন্ধন করলাম। অসাধারণ লাগলো।
বলেন কী? আমার থেকে ভালো লেখে এমন অনেকেই আছে সচলে, আর এটা আমার প্রথম পোস্ট। ভালো থাকুন, শুনে ভালো লাগল
আরো লিখুন
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
হুম, লিখব
গল্পের প্লটটা ভালো। তবে রু যেমন বলেছেন, ২# এর পর থেকেই গল্পটা জমেছে। ১# এ অনেক অনাবশ্যক কথাবার্তা ছিল যা পড়তে গিয়ে পাঠক ক্লান্ত হয়ে পড়ে হয়ত ২-এ আর যাবেই না। এই যেমন এই পরিচ্ছেদটা (আমি দু'ভাগ করলাম),
"ইব্রাহীম বড় হতে হতে বদলাতে থাকে। কেউ তাকে বলেনি বদলাতে হবে, সে নিজে নিজেই ঠিক হতে লাগে। ইব্রাহীমের মা’র ধারনা মোহনার এখানে বিশেষ কোন ভূমিকা আছে। অবশ্য এই ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। ইব্রাহীমের ক্রমশ বদলে যাওয়া তাদের পরিবারের সুখ ধরে রাখার জন্য সহায়ক হবে বলে মনে হলেও বাস্তবে তা হয় না। বরং ছেলে কেন বদলে যাচ্ছে, বকা দিলেও রাগ করে না, এটা নিয়ে তার বাবা-মা নতুন করে চিন্তায় পড়ে যান---ছেলের সঙ্গে হঠাৎ করে কী হচ্ছে?
যা মানুষের ভেতরের অনিশ্চিত প্রবৃত্তিকে তীর ছোঁড়ে। এই প্রবৃত্তি অনুসারে মানুষ চিরকাল অস্থির থেকে শান্তির সন্ধান করে যাবে, সেই শান্তি এলেও তাকে নতুন মোড়কে জড়িয়ে পুনরায় অস্থির হয়ে যাবে এবং কোনো তীর ছুটে এলেও লাভ নেই, কারণ তীরের আগা অতি ব্যবহারে ভোতা হয়ে গেছে, প্রবৃত্তির গায়েও মোটা চামড়া—এত সহজে বদলাবার নয়।"
এখানে প্রথম অংশটা ঠিক আছে, কিন্তু দ্বিতীয়টা অনাবশ্যক। ফিলজফিকাল আলোচনাটা বাদ দিয়ে সরাসরি বর্ণনায় চলে গেলেই গল্পটা টানটান থাকবে।
দুবার এন্টার দিয়ে প্যারা-গুলোর মাঝে একটু ফাঁক করে দিলে পড়তে আরাম হয়।
আর কয়েকটা বানান একটু খেয়াল করে।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ। এতদিন নীরব থাকার পর সচলে লিখতে শুরু করেছি, এই ধরনের মন্তব্যের আশাতেই। ভালো থাকুন।
বর্ণনাভঙ্গি ভালো লাগলো, গল্পটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছে। এরেন্দিরা আর মোহনার কাহিনীতে পুরোপুরি মিল নাও থাকতে পারতো। লিখুন নিয়মিত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
লেখা ভালো লাগলো। অল্প একটু স্লিম হলে আরও দুর্দান্ত হত মনে হল। আরও লিখুন, অপেক্ষায় রইলাম।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি নিজে মোটা তো।
লিখব অবশ্যই
ভয়ংকর সুন্দর লেখাটা। জাদু বাস্তবতাই হোক আর বাস্তবতার জাদুই হোক; এমন সাহিত্য আমরা আরো পেতে চাই। রিশাদ ভাইকে অনেক অনেক শুভকামনা।
নতুন মন্তব্য করুন