তিস্তার তীর, পা’দুটি ভেজানো জলে
কার কথা ভেবে দুপুরের রূপা রোদে
চোখে বুনেছিলি পলি মাখা মিহি সুখ!
জলে রেখেছিলি লাজরাঙা ছায়া ফেলে
সেই রেখা ধরে হেঁটেছে কে অবেলায়?
আকাশের নীল নেমে এসে ঘোলা জলে
ঠোঁট পেতেছিলো রোদের চুমুর লোভে
উথাল পাথাল ঢেউ তার বৈভবে
কালের পাঁজরে লিখে গেছে বেখেয়ালি
কত ভাটিয়ালী, কত কৌম্যের গীত!
বালু-কাদা-মাটি মেখে নিয়ে সারা গায়
জোয়ারের জলে সাঁতরানো কতদিন
ছেঁড়া পাল জুড়ে মেঘেদের লুকোচুরি
শুয়ে শুয়ে দেখা অলস গেঁয়োর সুখে
কত শিহরণ ডাহুকের বুকে বুকে!
হাঁসফাঁশ করে শুশুকের ভেসে ওঠা
আরো খানিকটা বাতাসের প্রয়োজনে
বুকে জেগেছিল হাহাকার কতখানি
কেউ কি শুনেছে কান পেতে অবেলায়?
নদী নিরবধি জলে জলে বয়ে যায়।
তোর বুকে কেন জাগে ধু ধু বালিয়াড়ি
ম্লান দুটি চোখ, মলিনতা মাখা মুখ
বেহুলার মতো কাঁদে জলহীন নদী
ভরন্ত দিন যদি ফের ফিরে পায়
শ্রাবণের দিনে ঘন ঘোর বর্ষায়!
মন্তব্য
কেন কেন !
facebook
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আগেই পড়েছিলাম। ভালো লাগল।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ, জামাইবাবু!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আর চিন্তা কইরেন না বস। সর্দারজী আসতেছে। সব পানি কড়ায় গণ্ডায় বুঝায়ে দিয়ে যাবে।
কবিতায়
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
সর্দারজীর মঙ্গল হোক!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বুকে জেগেছিল হাহাকার কতখানি,
কেউ কি শুনেছে কান পেতে অবেলায়?
- ভাল লাগলো কবি
ধন্যবাদ তানভীর ভাই, প্রেরণা পেলাম!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তিস্তারে নিয়া লেখার জন্য প্লাস। রংপুর থেকে ঈদ করে আসলাম। অনেকদিন তিস্তার ধারে যাই না
রিসালাত ভাই, বলেন কি? আপনার বাড়ী রংপুরে? আরে, তাড়াতাড়ি আসেন গ্যারাইবাজী করি!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বেহুলার মত কাঁদে জলহীন নদী-অসাধারণ উপমা!
নদী কাঁদে,ঘুরে ঘুরে কত কথা কয়- সে শুধু মাঝিরা,জেলেরা,শিল্পীরা আর কবিরা শোনেন।অন্য কিছু শেয়াল-শকুন মেতে ওঠে কীর্তিনাশার কীর্তি নাশ করতে।
এইখানে একদিন নদী ছিল।আমরা এখন সেই আগামির দিকেই যাচ্ছি।
ভালো লাগল রোমেল ভাই।
ধন্যবাদ যুমার ভাই,
নদীর কান্নার শব্দ ও কৌম্যদের বিলুপ্তির হাহাকার অসাধারণ দক্ষতায় ও মমত্বে ফুটিয়ে তুলেছিলেন অদ্বৈত মল্ল বর্ন্মন তাঁর 'তিতাস একটি নদীর নাম' উপন্যাসে। পড়েছেন নিশ্চয়।
ভালো থাকবেন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নাস্তার টেবিলে গরম কফির সৌরভে - আপনার কবিতাটি মিশিয়ে ফেলছি
আর শুরু হচ্ছে আমার নতুন দিনটি ..., ভাল লাগছে, ভাল লাগছে।
....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !
ধন্যবাদ কবি,
দেশে ফিরলে একদিন পরস্পরকে স্বাক্ষী রেখে আমরা জলহীন তিস্তার নরম চিকচিকে বালির উপর দিয়ে হেঁটে যাবো। আর যখন এই নদী জলে ভেসে সারা বাংলাদেশ হবে, তখন আমরা কটি যুবক যাবো জলে ভেসে সারা বাংলায়।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
খুব পরিচ্ছন্ন কবিতা। উপমাগুলো অনেক অর্থবহ।
নিবিষ্ট পাঠের জন্যে ধন্যবাদ, দেবানন্দ ভাই। উপমায় ঋদ্ধ থাকার চেষ্টা করি, কিন্তু পারি কই? উপমাই তো কবিত্ব!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
তিস্তার পাড় কবিতাটি পড়ে বহুদিন আগের কতা মনে পড়ে গেল,যখন বাংলাদেশ অংশে ডিমলার কাছে দুআনিতে তিস্তাব্যারেজের কাজ চলছিল্ুদেশ্য বর্ষায তিস্তার ভাংগন তেকে তিস্তা পাড়ের মানুস দের রক্ষা করা এবং বন্যার সময় াতিরিক্ত পানি জলাধারে সংরক্ষন করা। থখন মনে হয়ে ছিল ভারত যদি তার অংমে বাঁধ দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রন করে তখন এই ভ্যারেজ আমাদের কোন কাজে আসবে? ণদীতে বাঁধ দিলে বাঁধের অপর পামে পলি জমে নদীর তলদেশের উচ্চতা বাড়ায়। এক সময় নদী কুল ছাপিয়ে তার পথ করে নেয়। ফারাক্কায় যেমন ইদানিং হচ্ছে,জঙ্গিীপুরে ঘঙ্গা ভাংছে,বন্যা হচ্ছে,সে বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব স্লুইস গেট খুলে দেওয়ায় যশোর অঞ্চলে বন্যা হচ্ছে অকাল্ কিন্তু কতদিন আর এভাবে বাঁচা যাবে? নদীর গতিপথে এই দরনের বাঁধা সৃস্টির অপচেস্টা বন্ধ করা উচিৎ।নয়তো একদিন নদী ঠিকই প্রতিশোধ নিবে।
কথাটিকে খুব সুচিন্তিত বলে মনে হলো।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ছন্দের অনবদ্য কারুকাজ!
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
ছন্দ, কান্না সকলি বিফলে গেল!
আমাদের নদীর মৃত্যু, প্রকৃতির মৃত্যু, জীববৈচিত্র্যের মৃত্যু, কৌম্য সমাজের মৃত্যু, ভাটিয়ালির মৃত্যুতে কার কি এসে যায়?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
শেষের দিকে এসে কবিতার প্রবাহটি অন্যরকম লাগলো..............প্রথম স্তবক দুটি অসাধারণ, কবি!!!!
একদম সঠিক!!!
_____________________
Give Her Freedom!
মন ভালো নেই, ভাই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নদীর সাথে সাথে আমরাও মরে যাচ্ছি ক্রমশ, টের পাই ভেতরে জলের স্রোত বিপন্ন এখন, প্রকৃতির তীব্রতম অংশ হিসেবে প্রাকৃতিক বিপন্নতা আমাদেরও গ্রাস করে!!
নতুন মন্তব্য করুন