রবিবার প্রত্যূষখানি আজ কিছুটা বৃষ্টিস্নাত ছিল, কিন্তু দৈনিক প্রথম আলোতে ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের সাক্ষাৎকারখানি পড়িয়া মনের মেঘ কাটিয়া গেল। সাক্ষাৎকর্তা তারেক মাহমুদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ নমস্কার।
এতদিন ধরিয়া আদমচরিত আর ভোদাইচরিতমানস নামক দুইখানি আবোলতাবোল সিরিজে রম্যস্যাটায়ার মারিবার ব্যর্থ চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলাম। লোক হাসাইবার উদ্দেশ্যেই। লোকে যে হাসিত না, এমনটি নহে। কেহ কেহ হাসিত, কেহ কেহ ব্যাজার হইত, মোটের উপর স্যাটায়ারের কার্য যাহা, তা চরিতার্থ হইত। কিন্তু আজ এই সাক্ষাৎকার পাঠ করিয়া আমি আমার কলম নামাইয়া রাখিতে চাহি দৈনিক প্রথম আলোর ক্রীড়াপৃষ্ঠার বিভাগীয় সম্পাদক, সাংবাদিক তারেক মাহমুদ ও ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনের যৌথ ষড়ভূজের (পদের সংখ্যা কম কিংবা বেশি হইয়া থাকিলে জানাইবেন, তৎক্ষণাৎ ঠিক করিয়া লইব, আপনাদিগকে অপদস্থ করিবার সাহস অধমের নাই) গোড়ায়। তাহাদের চরণকমল হইতে পদরজ ক্ষুর দিয়া চাঁছিয়া (লক্ষ্য করিবেন, ক্ষুররজ পদ দিয়া চাঁছিয়া লিখি নাই কিন্তু) একটি চীনামাটির পাত্রে সংরক্ষণ করিয়া কুলুঙ্গিতে তুলিয়া রাখিব। আবারও কখনও যদি স্যাটায়ার লিখিতে বসি, সেই পদরজপাত্র মস্তকে ঠেকাইয়া লইব ঘনঘন।
সাক্ষাৎকারের শিরোনাম দেখিয়াই চমকিয়া চেয়ার হইতে আছড়াইয়া পড়িয়াছিলাম মাটিতে। খেলোয়াড় কেন শাহরুখ খান হইতে চায়? প্রথমেই মনে হইল, শাহাদাত নিজে আর ক্রিকেট খেলিতে চাহিতেছে না, সে কলিকাতা নিশীথারোহীর ন্যায় বড়সড় ক্রিকেট দলের মালিক বনিতে উদগ্রীব। মনে মনে তাহার বিবেচনাবোধ ও উচ্চাভিলাষের প্রশংসা করিতে করিতে বাকিটুকু পড়িবার উদ্যোগ নিলাম। যখন জাতীয় দলে ঢুকিতে সবাই বিষম লালায়িত, তখন এই যুবক নিজের দল গড়িতে চাহিতেছে। এ যেন সেনাবাহিনীতে ভর্তিপরীক্ষায় ফেল মারিয়া নিজের সেনাবাহিনী গড়িবার মতো, এ যেন মেডিকেল কলেজে পড়িবার সুযোগ বঞ্চিত হইয়া নিজেই হাসপাতাল খুলিয়া বসা, এ যেন ইউনিয়ন পরিষদের ইলেকশনে হারিয়া নিজের ভিটাকেই নতুন ইউনিয়ন বলিয়া ঘোষণা করা। বাহ রে যুবক, এই তো চাই!
কিন্তু বিঘতখান সাক্ষাৎকার পড়িয়াই মূক মারিয়া গেলাম। সাংবাদিক তারেক মাহমুদ সাক্ষাৎকার শুরুই করিয়াছেন ক্রিকেটার শাহাদাতের প্রেমজীবনে নাড়া দিয়া। পড়িয়া যা বুঝিলাম, শাহাদাত আগে প্রেম করিতেন, এখন প্রেম করিতেছেন না। বিবাহেও তাহার সহসা রুচি নাই। পাত্রী কেমন হওয়া উচিত, তাহা সম্পর্কেও তিনি পরিষ্কার ধারণা রাখেন না। তবে তারেক মাহমুদ খেই ধরাইয়া দেওয়ার পর তিনি জানাইলেন, তাহার যোগ্যা পাত্রীকে হইতে হইবে
ক. লম্বা এবং
খ. ফরসা এবং
গ. দেখিতে সুন্দর
তিনি নিজে ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা, কিন্তু এই উচ্চতার সীমা লইয়া নিঃসন্দেহ নন। রূপকথার সীম গাছের মতো তিনি আজও বাড়িতেছেন বলিয়া সন্দেহ পোষণ করেন। এই ক্রমবর্ধমান ক্রিকেটারটি আরো ফুটখানেক বাড়িবার পূর্বেই যে তাহাকে পাত্রীস্থ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব, তাহা বুঝিবার জন্য রকেটবিজ্ঞানী হইতে হয় না। শাহাদাত আরো জানাইয়াছেন, পাত্রীকে তাহার সমান লম্বা না হইলেও চলিবে, দেশের খর্বাকৃতি নারীকূলের কথা বিবেচনা করিয়া তিনি বাসার দেয়ালে পাঁচ ফুট ছয় অথবা সাত ইঞ্চি বরাবর একটি দাগ কাটিয়াছেন। কোনো ফরসা চামড়ার দেখিতে সুন্দর তরুণীর মস্তক সেই দাগ স্পর্শ করিলেই তিনি কবুল উচ্চারণ করিয়া ফেলিবেন। আর হাঁ, বিদেশে তিনি কদাপি সন্বন্ধ স্থাপন করিবেন না।
সাংবাদিক তারেক মাহমুদ প্রেমিকার তথ্য যথেষ্ট পরিমাণ বাগাইতে না পারিয়া নারীভক্তকূলের দিকে অগ্রসর হইলেন। তাহার প্রশ্নের উত্তরে শাহাদাত জানাইলেন, নারীভক্তকূলের সাম্প্রতিক তথ্য তাহার কাছে হালনাগাদ করা নাই, তবে একদা তাহার প্রচুর নারীভক্ত ছিল। যখন তিনি সুদূর অতীতে জাতীয় দলে ছিলেন, তখন নারীভক্তের অভাব ছিল না। তবে সৃষ্টিকর্তার দাক্ষিণ্যে আজও তাহার নারীভক্তের সংখ্যা কম নহে, তাহারা তাকে ফোন করে, টোনও করে। সাংবাদিক তারেক মাহমুদ ব্যাকুল হইয়া জিজ্ঞাসিলেন, শুধু কি ফোন করে, নাকি দেখাসাক্ষাৎও হয়? জবাবে শাহাদাত রহস্য করিয়া কহিলেন, ফোন করে, আর দেখাসাক্ষাতের বিষয়টি বিগব্যাংপূর্ব স্থান ও কালের প্রকৃতির মতোই রহস্যপূর্ণ, ঐ বিষয়ে বলা বারণ। মরিয়া হইয়া সাংবাদিক তারেক মাহমুদ এইবার প্রেমের সংখ্যায় চলিয়া গেলেন। উত্তরে স্মিত হাসিয়া শাহাদাত প্রাণপণে স্মরণের চেষ্টা করিতে লাগিলেন, একের পর সংখ্যাটিকে কী বলিয়া ডাকা হয়। কিয়ৎক্ষণ ভাবিয়া যখন তাহা স্মরণাঙ্গণে আসিয়া দাঁড়াইল, তখন কহিলেন, "উমম...দুইটা দুইটা, হ্যাঁ দুইটা।" সেইসঙ্গে জাতি হাঁপ ছাড়িয়া বাঁচিল, যাক যুবক দুই পর্যন্ত গুণিতে জানে।
এরপর সাংবাদিক তারেক মাহমুদ জিজ্ঞাসিলেন, নারীরা কেন শাহাদাতকে এত পছন্দ করে? শাহাদাতও তাহার ঝুলি খুলিয়া বসিলেন।
আমরা জানিলাম, সর্বাপেক্ষা বড় কথা স্মার্টনেস। ইহা অনেকের মধ্যে না থাকিলেও শাহাদাতের মধ্যে সর্বাংশে আছে। শাহাদাত স্মার্টনেসের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করিলেন অতঃপর, পরিচ্ছদ ও চালচলন। উচ্চতা স্মার্টনেসের একটি বড় উপাদান। শাহাদাত মনে করেন, উচ্চতা ও স্মার্টনেস পরস্পর সমানুপাতিক। তবে যারা শাহাদাতের সমান উচ্চতাবিশিষ্ট, তাহারাও শাহাদাত অপেক্ষা কম স্মার্ট, কারণ তাহারা অনেকেই "গুজা" হইয়া হাঁটেন। ন্যূব্জতার ফ্যাক্টরটি স্মার্টনেসের গণেশ উল্টাইয়া দিতে পারে, যাহা হইতে শাহাদাত মুক্ত। এমনকি তিনি স্মার্ট হইবার জন্য কোনো চেষ্টামাত্র করেন না। প্রকৃতির আপন চক্রে যেমন সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হইয়া পশ্চিম দিকে অস্ত যায়, চন্দ্রের আকর্ষণে যেমন জোয়ার আর ভাটা পর্যায়ক্রমিক আসে যায়, তেমনি শাহাদাতও স্মার্ট। তিনি ভালো পোশাক পরেন, ভালো হাঁটেন, ভালো করিয়া মানুষের সহিত বাক্যালাপ করেন। তবে তিনি এই প্রাকৃতিক চক্রের বাইরেও নিজের ঈশ্বরদত্ত স্মার্টনেস ধরিয়া রাখিতে যথাক্রমে ব্রেট লি ও শোয়েব আখতারের দিকে নজর রাখেন। তাহার মতে, তাহার নজর বরাবর ঊর্ধ্বপানে ছিল, এখনও আছে। ব্রেট লি আর শোয়েব আখতারের হন্টন ও কথনভঙ্গিমা তিনি নিজের মধ্যে পুষ্পরূপে ফুটাইয়া তুলিতে সচেষ্ট। হয়তো ইহাতে তাহার ঈশ্বরদত্ত স্মার্টনেসের এমন কোনো বৃদ্ধি ঘটিবে না, কিন্তু ক্ষয় যাতে না ঘটে, সেই কূল রক্ষা পাইবে।
সাংবাদিক তারেক মাহমুদ প্রেম ও স্মার্টনেসের পর জুতাস্যাণ্ডেলের দিকে অগ্রসর হইতে গিয়াই থামিয়া পড়িলেন। কারণ শাহাদাত পাদুকা হইতে অধিক গুরুত্ব আরোপ করিয়া থাকেন শকটের উপর। পাদুকা নিয়া মাথা ঘামাইয়া থাকে তাহারা, যাহারা অন্তত কিছুদূর হাঁটিয়া অতিক্রমের ধান্ধায় থাকেন। শাহাদাত হাঁটা অপেক্ষা শকটারোহণ পছন্দ করিয়া থাকেন। তাহার বর্তমান শকটটি "ল্যাক্সাস", ইহার পূর্বে আরো কয়েকটি ছিল। তিনি এ যাবত প্রেমিকা মাত্র দুইখানি হাছিল করিলেও শকট বদলাইয়াছেন চারিখানা। ইহা হইতেই অনুমান করা যায়, দেশে যত ল্যাক্সাস আছে, তত ফরসাচামড়া-দেখিতেসুন্দর-পাঁচফিটছয়ইঞ্চির-শাহাদাতানুরাগী নারী নাই। দেশের এই দুর্যোগময় পরিস্থিতি লইয়া বেশি না ঘাঁটাইয়া সাংবাদিক তারেক মাহমুদ অনুসন্ধানে ব্রতী হইলেন, শাহাদাত তার প্রেমিকাদিগকে শকটে চড়াইয়া ঘুরাইয়া থাকেন কি না। শাহাদাত বিষণ্ণ হইয়া জানাইলেন, আগে ঘুরাইতেন। এখন তিনি চন্দ্র সূর্য ও হীরকরাজারবৈজ্ঞানিকের মতোই একা ও একক, তাই নিজেই ঘুরিয়া থাকেন।
এর পর সাংবাদিক তারেক মাহমুদ শাহাদাতের স্মার্টনেসের আধিক্যের সহিত সিনেমার নায়কের ভূমিকার একটি কোরিলেশন উদ্ভাবন করিলেন। শাহাদাত তখন পর্যবেক্ষন জানাইলেন যে এতক্ষণে সাংবাদিক তারেক মাহমুদ সত্য কথা বলিতেছেন (অর্থাৎ এর আগে সকলই গরল ভেল)। তিনি আজ এই দিনেই এই লইয়া চিন্তার মতো দুরূহ কাজে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। জাতীয় দল হইতে খসিয়া পড়িবার পর শাহাদাত অসূর্যম্পশ্য কাল কাটাইতেছেন অন্দরমহলে, যেখানে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ঢুকিবার স্পর্ধা করে না। ফলস্বরূপ তিনি ফরসা হইয়া গিয়াছেন। একে তিনি স্মার্ট, সোজা হইয়া হাঁটিতে পারেন, তাহার উপর ফরসা! কলাবাগান ক্লাবে তাহার এক অগ্রজপ্রতিম তাহাকে উপদেশ দিয়াছেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করিয়া সাকিব খানের অন্নসংস্থান পণ্ড করিতে। আরেক অগ্রজ বলিয়াছেন, তিনি সিনেমায় নামিলে দেশের আবালবৃদ্ধবণিতা একবার হইলেও সেই সিনেমা দেখিতে ছুটিবে। তিনি আবারও ভাবনার মতো শক্ত কাজে কিয়ৎকাল কাটাইয়া সম্মতি দিয়াছেন। তবে নাটক, মডেলিঙে তিনি নামিবেন না। হনন করি তো গণ্ডার, লুণ্ঠন করি তো ভাণ্ডার। তিনি সরাসরি সিনেমাতেই নামিবেন। ইহাতে পরিচালকও লাভ করিতে পারিবে, তাহারও পরিচিতি বাড়িবে। সবাই ছুটিবে শাহাদাত কি সিনেমা করিল তাহা দেখিতে।
ইহার পর পরিষ্কার হইল, তিনি শাহরুখ খানের ন্যায় রোমান্টিক নায়ক হইতে চান। সাক্ষাৎকারের শিরোনাম তখন স্পষ্ট হইল। আজ সালাত আদায় করিয়া খোদার দরবারে দুই হস্ত জুড়িয়া মুনাজাত মারিব, হে পরওয়ারদিগার, এই লম্বা (এখনও বর্ধনশীল), গৃহবন্দিত্বের কারণে ফরসা ও সোজা হইয়া হাঁটিতে সক্ষম যুবকটির প্রতি তুমি করণ জোহরের দৃষ্টি স্থাপন করিয়া দ্যাও। পিলিজ।
নায়িকা হিসাবে শাহাদাত প্রীতি জিনতাকে পছন্দ করিয়াছেন। তবে দেশের নায়িকাদের তিনি পছন্দ করেন না। বিন্দুকে তাহার ভালো লাগে, কিন্তু বিন্দু নায়িকা নহে, মডেলমাত্র। দুয়েকজন পরিচালকের সাথেও তিনি যোগাযোগ করিয়াছেন। মাঝেমধ্যে এফডিসিতেও পদরজ দিয়া থাকেন। আর কদাপি ক্রিকেট ছাড়িবেন না। খেলিয়া খেলিয়া হয়রান হইয়া পড়িলে যখন তিন-চার মাস বিরতি পাইবেন, তখন তিনি সিনেমা করিবেন। আর নায়িকা হিসাবে তিনি বাংলাদেশের পৃথুলা নায়িকাদের তাহার উছিলায় ভাত খাইতে দিবেন না, মডেলদের মধ্য হইতে লম্বা ও সুন্দর কাউকে বাছিয়া লইবেন। আর কদাপি স্ক্যাণ্ডাল ছড়াইতে দিবেন না। স্ক্যাণ্ডাল যাতে না ছড়ায় সেই নিমিত্তে তিনি নিয়মিত সিনেমা না করিয়া হঠাৎ হঠাৎ করিবেন।
সাংবাদিক তারেক মাহমুদ একটি মূল্যবান পর্যবেক্ষণ হাজির করিলেন অতঃপর। সিনেমার নায়কেরা মেকআপ লইয়া তারকা, আর ক্রিকেটাররা মেকআপ না লইয়াই তারকা। ইহাতে শাহাদাত বিলক্ষণ ঐকমত্য পোষণ করিলেন। তিনি জানাইলেন, সিনেমায় একটি কৃষ্ণবর্ণ লোককে পাউডার প্রয়োগ করিয়া ফরসা করিয়া ফেলা হয়, যেখানে তিনি ঘরে বসিয়া থাকিয়া সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে অপক্ককদলী দেখাইয়াই ফরসা বনিতে পারেন। সৃষ্টিকর্তা তাহাকে আপনা হইতেই ফরসা করিয়া গড়িয়াছেন। তিনি খেদের সহিত কহেন, "চামড়া সাদা হলে তো আর সব হয় না।"
নায়ক হিসেবে শাহাদাত নিজের উচ্চতা ও মুখশ্রীর (যাহা আল্লাহর রহমতে ভালো) প্রতি গুরুত্ব দিয়াছেন।
সাংবাদিক তারেক মাহমুদ এরপর শাহাদাতের শরীরের রোমে হাত দিয়াছেন। তিনি জিজ্ঞাসিলেন, কেন শাহাদাত ক্ষৌরকর্ম করেন না? কেন সদ্যোদ্গত শ্মশ্রু লইয়া ঘুরাফিরা করেন? উত্তরে শাহাদাত জানাইয়াছেন, দাড়ির ব্যাপারে তিনি শহীদ আফ্রিদিকেই ধ্রুবতারা জ্ঞান করেন। সদ্য গজানো দাড়িতে আফ্রিদিকে মানায়, তাহাকেও নাকি ঐরকম দাড়িতে আফ্রিদির ন্যায় মনে হইয়া থাকে। প্রবাসে গিয়া যখন তার দাড়ি গজায়, তখন কেহই বিশ্বাস করে না যে তিনি বাংলাদেশ হইতে আগত। সবাই ধরিয়া লয় তিনি পাকিস্তানী। নিজের রূপের এই পাকিস্তানিতা বজায় রাখিতেই তিনি ক্ষৌরকর্মে মাঝেমধ্যে বিরতি দেন। ইহা ছাড়া আর কোনো ইয়ে ইহাতে নাই। নারীরা অবশ্য তাহার দাড়ি লইয়া ভাবিত নহে। কারণ তিনি দাড়ি রাখিলেও তাহারা মুগ্ধ, দাড়ি কামাইলেও তাহারা মুগ্ধ। শুধু ক্ষৌরকর্ম যেদিন সাধিত হয়, সেদিন তাহাকে দেখিয়া কুক্কুট বলিয়া সন্দেহ জাগে। তাই তিনি আফ্রিদির সহিত সাদৃশ্যকে বিসর্জন দিয়া মুরগির সহিত সাদৃশ্যকে বরণ করিতে নারাজ, তাই ক্ষৌরকর্ম জলাঞ্জলি দিয়া দাড়ি রাখিয়া থাকেন।
সাংবাদিক তারেক মাহমুদ সাক্ষাৎকারের মাদুর গুটাইতে গিয়া আবারও শাহাদাতের প্রেমজীবনে ফিরিয়া গেলেন। বান্ধবী নাই, এইরূপে আর কতদিন? শাহাদাত উত্তরে হাসিয়া কহিলেন, সাক্ষাৎকার ছাপা হইলেই নারীমহলে তোলপাড় পড়িবে যে শাহাদাত বর্তমানে নিঃসঙ্গ। সমস্যা তখনই ঘুচিবে।
সাক্ষাৎকার পূর্ণাকারে পাঠ করিয়া মনে যা জাগিলো, তাহার বিশদ বর্ণনা অবান্তর, তবে অবশিষ্ট রহিল শুধু শ্রদ্ধা। বাতিল ক্রিকেটারদিগকে প্রেমিকা ও সিনেমার রোল জুটাইয়া দিতে যখন ক্রীড়াসাংবাদিকরা আগাইয়া আসেন, তখন মনে আশা জাগে, আমাদের আশার ফুল আশরাফুল ভাইয়াও একদিন এমন করিয়া ক্রিকেট ত্যাজিয়া নাটক সিনেমায় পদার্পণ করিয়া আমাদের ক্রীড়া ও বিনোদনজগত, উভয়কে উপকৃত করিবেন।
জীবনে দুঃখ আছে, বেদনা আছে, আছে বিষাদ, অভিমান, গ্লানি, শোক, কষ্টকাতরতা। প্রকৃতি তাই ক্ষতিপূরণ হিসাবে সৃষ্টি করিয়াছে প্রথম আলোর ক্রীড়াপৃষ্ঠা, তাহার বিভাগীয় সম্পাদক, সাংবাদিক তারেক মাহমুদ ও ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেনকে। বিপুলা এ জগত এক হাতে চটকানা মারিয়া যেমন কাঁদাইয়া থাকে, তেমনি অন্য হাতে কাতুকুতু দিয়া হাসাইয়া রাখে। মুখফোড়ের প্রণতি এই ইকুইলিব্রিয়ামের প্রতি। যাই, শেভ করিয়া রোদে রোদে একটু গুজা হইয়া হাঁটিয়া আসি।
মন্তব্য
ব্লগার ফাহিম ভাইয়ের ফেইস বুক লিংক ধরে প্রথম আলোর এই সাক্ষাতকার পড়ে আমি সকাল থেকে হাসি থামাইতে পারতাছিলাম না। ওরে ইচ্ছা করতাছে ৩২ টা থাপ্পর দিয়া একটা দাঁত ফেলাইয়া দিতে, আর আর সাংবাদিকরে দুই গালে দুইটা কশে থাপ্পর
মাহমুদ
ধুর ভাই, মন্তব্য লিখতে লিখতেই পোস্ট করে দিলেন তো আমারে দ্বিতীয় বানায়া
আপনেই তো আমারে মন্তব্য করতে কইছেন । আমি আগে নিরব ভদ্রলোকের মতো খালি পড়তাম কোন আওয়াজ করতাম্ না, এখন কেউ লেখা দেয়ার আগেই আমি মন্তব্য রেডি রাখি, যাতে আমারে আর কেউ মিথক্রিয়া নিয়া অপবাদ দিতে না পারে
মাহমুদ
মজার লেখা। এত রম্য করে লেখেন কিভাবে, মুখা মিয়া?
আশরাফুলের জন্য মায়াই হচ্ছে, ওর তো সাক্ষাতকারদাতার যোগ্যতাগুলোর কোনটাই নাই
স্মার্টনেস বিষয়ক অংশটা আলাদাভাবে উল্লেখের দাবী রাখে। আর এই অংশটা পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা:
পিপিদা, এই রম্য করতে মুখফোড়দা কে তেমন কষ্ট করতে হয়েছে বলে হয়না
অরিজিনাল কপির চেয়ে বেশী রম্য কি সম্ভব?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
শেষ খবর পাওয়া অবধি, আশার ফুল বৌদ্ধমন্দিরের পাশে একটি খাবারের দোকান দিয়ে আপাতত কাজ চালানোর চেষ্টা করিতেছে; নিজে যাই নাই, তবে লোকমুখে শুনলাম যে খাবার নাকি একেবারেই থার্ড কেলাশ...
শাহাদাত হোসেন পুরাই ছাগু এট্টা।
হারামজাদা "শাহাদাত' নামটারে তুলোধুনো করিয়া তোষক বানাইয়া ছাড়িয়া দিয়াছে!
ওরে মুখা, বুখে আয় বাবুল।
আজকের লেখাটা জমিয়া উঠে নাই তেমন। ওই সাক্ষাৎকার পড়িবার পর কি আর অন্য কিছু মুখে রোচে?
এই শালারে খাঁচায় ভইরা সারা দুনিয়া ঘোরানো উচিত। তারপর এর ডিএনএ সিকোয়েন্স মানুষের ডিএনএ সিকোয়েন্সের সঙ্গে মিলায়া দেখা উচিত। আমার বিশ্বাস তাতেই সারা জগতের জীববিজ্ঞানীদের মধ্যে তোলপাড় হয়ে যাবে!
এবং শেষে অবশ্যই এরে যাদুঘরে রাখা উচিত। মরার পরে মমি করে রাখা উচিত!
সাংবাদিক ব্যাটা ছাড়াই থাক। ওইটা গন্ধ শুঁকে শুঁকে আরো কিছু স্বজাতি চিড়িয়া খুঁজে বের করুক!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ইহা কী পড়িলাম! ...
আশরাফুল শুনেছিলাম প্রভার সাথে কোনো একটা নাটকে ছিলো।
শুধু শাহাদাত না, সাক্ষাৎকার গ্রহনকারীর অবদানও এখানে অনস্বীকার্য।
একবার আহমদ ছফার একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। সাক্ষাৎর নিচ্ছে ব্রাত্য রাইসু আর কয়েকজন। রাইসু ঘুরে ফিরে আহমদ ছফাকে জিজ্ঞেস করে,
এইসব!
অনেক সময় বক্তার সারল্যের ফায়দা নেয় এসব ফিচলে সাংবাদিক...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মন্তব্যে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এইটাতে আর আশ্চর্য কী! ভ্যাব্দা রইছু যেমন তার প্রশ্নগুলোও তো তেমনই হবে নাকি!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
শাহাদাতরে নিয়া হাসাহাসি করায় রাইসু আবার মনক্ষুন্ন হইছে....
অর্থাৎ কি না, বিডি মিডুলক্লাশকে আবার ঢ়ৈষূর কথামতো চলতে হবে। বিডি মিডুলক্লাশ হেসে ফেললেই ঢ়ৈষূ এসে ক্যাওম্যাও করে। আহারে বিডি মিডুলক্লাশ, রামগরূঢ়ের লাগছে ব্যথা বুঝছে না কি তারা?
ঢ়ৈষূ কিন্তু পাচ ফুট ছয় ইঞ্চির মত লম্বা, কিছুদিন ঘরে বসায় রাখলে আর লতা হারবাল মাখাইলে সে শাহাদাতের মনমত ফরসাও হয়ে উঠতে পারে। তার দাড়িমোচ ভালোমত কামিয়ে একবার শাহাদাতের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়ে দেখা যাক। শাহাদাত যদি বিডি মিডুলক্লাশসুলভ হোমোফোবিয়া থেকে মুক্ত হয়ে থাকে, তাইলে তো ল্যাঠা চুকেই গ্যালো।
এইটা রাইসুর পুরান টেকনিক হিমু ভাই। সবসময় যেইটা রুচিকর বা সাধারন বিচার বিবেচনা জ্ঞানেও স্বাভাবিক সেইটার উলটা কথা কইতে হইবো আর প্রাণপনে সাপোর্ট করতে হইব। অবশ্য এতে আর অবাক হয়ার কিছু নাই। যেমন কাঁঠালপাতা যে সবার কাছে রুচিকর লাগতে হইবো এমন কোন কথা নাই, আর রুচি জিনিষটাও প্রজাতি নির্ভর। মনে হয় রাইসু'র মূল উদ্দেশ্যগুলা হইলোঃ এতে ভালো একটা তর্কাতর্কী জমবো, পাব্লিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাইবো, আমি কি হনু রে এইটা ভালো মত বুঝাই দেওন যাইবো, আমি এখনো কাঁঠালপাতা ছাড়ি নাই আমার ভুইলো না মনে করাইয়া দেওয়া, ইদানিং কাঁঠালপাতার অভাবে আছি সুতরাং চামে একটু ল্যাঞ্জাটা বাইর করি এই ভাব প্রকাশ করা।
হেহ হেহ...ছোটমুখে মেলা বড় কথা কইয়া ফালাইছি, রাইসু প্রেমিকরা আমার কল্লা চায়া বস্তে পারে।
ষাঁড়হাদত বেটা বুঝে নাই। সাংঘাতিক ব্যাটা কি সাংঘাতিক প্রশ্ন করচে। ব্যাটার পত্থম প্রশ্নের উত্তর আছিল এক চরে গাল হাটাইয়া হালানো।
ষাঁড়হাদত বেটা বুঝে নাই। ব্যাটা বলদ।
বেহুদাই আমরা আশ্রাফিলরে লইয়া মাতামাতি করিয়া থাকি। এমন অকপট স্বীকারোক্তি পড়িলে আশ্রাফিলও বিলক্ষণ "শাহাদাতবরণ" করিতেন। তবে রাজীব সাহেবের বুদ্ধাঙ্ক লইয়া সবাই যতই রগড় করুক, যতই তাহারা এই সাক্ষাতকারকে একজন অকালতত্ত্বজ্ঞানী মানবের ডেঁপোমি বলিয়া মশকরা করুক, আলুপত্রিকার ধুরন্ধর সাম্বাদিক তারেক্মেহ্মুদের কথা ভুলিয়া গেলে অন্যায় হইবে। অতীব কৃতিত্বের সাথে তিনি এই চৌকস বালককে লইয়া একধরনের খেলা খেলিয়াছেন। খোদাই জানেন, এই খেলার শানে নুজুল কী...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
কেয়া বাত কেয়া বাত!
আপনি বরং তাহলে এখন মূল ধারার সাংবাদিকতায় পদধূলি দিন।
স্যাটায়ার এর দিন শেষ, পাশার দান উল্টিয়াছে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
সকাল সকাল আলু পেপার পড়ে এতটা দিলখুশ জীবনেও লাগে নাই।ব্যাপক বিনোদিত হয়েছি।আফসোস এমন সাক্ষাৎকার কেন হররোজ বিনোদন পাড়ায় ছাপে না!
একে কী বলা যায়! লম্বা গাধা একটা! যে নিজেকে পঁচাতে চায়, ওকে পঁচানোই উচিত। He deserve only পঁচানি। এইসব গাধাগুলার পিছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়! এগুলাকে সাপোর্ট করে আমরা গলা ফাটাই, তর্ক করি। অথচ এরা নিজেদের কী ভাবে? পাকিস্তানী??? এগুলাকে ধরে এদের জন্মভূমিতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।
চরম লিখেছেন। সকালে বাসে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা আসার পথে সাক্ষাৎকারটি পড়ি। তখন একদফা হেসেছিলাম। আর আপনার বিশ্লেষন পড়ে স্রেফ হাসতে হাসতে খুন হওয়ার যোগাড়। পরিশেষে বলি সাংবাদিক সাহেবের আরেকটু বিবেচনা বোধ প্রয়োগের দাবী রাখে। একজন জাতীয় ক্রিকেটার কে এভাবে খুলে আম তুলে ধরা ঠিক হয়নি। শাহাদাত বোকাচন্দন বলিয়া সাংবাদিককেও তা হতে হবে? প্রশ্নগুলো করাই হয়েছে রগড় করার জন্য যা আমার মতে ঠিক হয়নি (একান্তই আমার মতামত)।
এই লেখাটা ফেভারিটস্ এ তুলে রাখলাম। মাঝে মাঝে মন খারাপ হলেই পড়বো।
শাহাদাত বাজানের এত রূপ থাকিতে পেয়ারনেস কিরিমের এড তামিম দেয় ক্যামতায় ?
পাক কিরিকেটার দের মত শাহাদাত বাজানরেও হারপিকের এডে অন্তত চান্স দেওয়া উচিত ।
লতা হারবালের স্লট খালি আছে ভাইজানের জন্য।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রসবোধ মাপার একক যেমন রিকশা প্রচলিত আছে (থ্যাংক্স টু উপ্তা জগলুল ভাই) তেমনি আজ থেকে ইশমাটনেস মাপার একক হোক "শাহাদাৎ"।
একটু লম্বা টম্বা পুলা দেখলে আমরা বলবো তোর ইশমাটনেস বেশি না, মোটে আধা শাহাদাৎ। সাথে ভালো জামাটা পরা থাকলে চুলটায় জেলটেল মাখানো থাকলে বলা যাবে, যা বাছা এইবার তুই পৌনে এক শাহাদাৎ পরিমান ইশমাট। তবে যদি খানিকটা গুজা হয়ে হাঁটে তাইলে উঠতে বসতে বলা হবে, হুর হালা। তুই মাইনাস পয়েন্ট ফাইভ শাহাদাৎ ইশমাট!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনে পুরা সাড়ে চার শাহাদাত! বিশ্বাস না হইলে এই যে দেখেন!
হে হে হে, হ। মাইপা দিছেন ভালৈছে। কওন যায় না, কয়দিন পরে হয়তো ভোটার আইডি কার্ডে এই তথ্য না থাকলে নির্বাচন কমিশন ভোটাররে নির্বাসনে পাঠাইবো।
কিন্তু মুখা যে 'শাহাদাত' নামটারে এক্কারে হাইরালচে, সেইটা নিয়া তো কিছু একটা বলা দরকার। না কী কন!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুখা হালায় পুরা ফাউল একটা! শাহাদাতরে চটকায়া শাহাপুটু বানায়া ফেলছে।
রস মাপার মতো, স্মার্টনেস মাপারও একটা একক আছে, "হাপ"। ঘটনার শানে নুযূল বলি, ...
মফস্বল থেকে ভার্সিটিতে সদ্য আগত এক মেয়ে হটাৎ বেশ স্মার্ট হয়ে গেলো। সেই মেয়ে একবার তার ক্লাসমেটদেরকে তার গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে নিয়ে গেলো। বেড়ানোর সময় তারা জংলামতো একটা সাপের আখড়ায় চলে গেলে ওই মেয়ে তাদেরকে শুদ্ধ ভায়ায় সাবধান করতে গিয়ে বলেছিলো, “ওখানে যেয়োনা, ওখানে যেয়োনা, ওখানে হাপ আছে!“। সেই থেকে সেই মেয়ের নাম যে শুধু “হাপ“ হয়ে গেল তাই নয়, স্মার্টনেস পরিমাপের একক হিসেবে “হাপ- স্মার্ট“ বেশ প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল। মানুষজন যেভাবে ওজন হিসেব করে এক কেজি, দুই কেজি হিসেবে আমরা তেমনি স্মর্টনেস মাপতাম একহাপ, দুই হাপ এভাবে। সেই হিসেবে শাহাদাত অবশ্যই পাঁচ হাপ স্মার্ট। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, স্মর্টনেস মাপার একক "হাপ" বদলে "শাহাদাত" করলে আসলেই মন্দ হয় না।
অসুবিধা নাই, 'হাপ'ও থাকলো 'শাহাদাত'এর ও দাঁত থাকলো। ইশমাটনেসের ক্ষুদ্র একক হলো 'হাপ'। আর আড়াই হাপ-এ হলো এক 'শাহাদাত'। মনে থাকবো?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মনে থাকপে
এইরম সাক্ষাৎকার পড়ার সৌভাগ্য যেন আরো হয় হে পরম করুনাময়...
প্রীতি জিনতা কই? ওনাকে নিয়ে এসে পোলাটার ওয়ালের দাগের সাথে উচ্চতা মাপানো হউক! আচ্ছা কী বলি ছাই, পাকিস্থানী নায়িকারা কই? তাঁহাদের উচ্চতা নিশ্চিত ক্রমবর্ধমান পোলাটার উচ্চতার সাথে টাঙ্কি মারার মতন হবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পৃথিবীর প্রথম অস্ট্রালোপিথেকাস সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে দুই কদম হেঁটেও মনে হয় সোজা-হয়ে-হাঁটা নিয়ে এতো গর্বিত ছিলো না। প্ল্যানেট অব দ্য এইপসে সিজার বান্দরটা নায়ক হয়ে গেলো, আর আমাগের সোজা-হয়ে-হাঁটা শাহাদাতরে পরিচালকরা পাত্তাই দেয় না! অচিরেই জলিল ভাইয়ার বদলে শাহাদাতকে অনন্তের রোলে রূপালি পর্দায় দেক্তে চাই। আবুলকন্যা যদি মেহেরজানের সিকোয়েল বানায়, তাহলে কষ্ট করে পাকিস্তান থেকে ওমর রহিমকে আমদানি না করে ঘরের পাকি শাহাদাতকেই ওয়াসিম খান চরিত্রে খালি গায়ে অভিনয়ের সুযোগ দেয়া হৌক। এইগুলিতে চান্স না দিলে প্ল্যানেট অব দ্য এইপসের ঢাকাই ভার্সন বের করে শাহাদাতরে নামানো হৌক। শুটিং শুরুর আগে বুদ্ধি-বাড়ানোর ইনজেকশনটা জায়গামতো দিয়ে নিতে পারলে আরো ভালো।
তোর আইডিয়াগুলি পুরাই গুল্লি। এক কাম করিস তো, দেয়ালে দাগ কাইট্টা শাহাদাতোমিটারে তোর ইশমাটনেস মাইপা রাখিস।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঈদ পরবর্তী কয়েকদিন মনটা বড্ড উদাসীন ছিল ! সাত সকালে লম্বা ও ফরসা শাহাদাতের অমীয় বাণী দিয়ে নাশতা করে নিজ়েকে অনেক চাঙ্গা লাগছে ! দোয়া করি কোন হৃদয়বান পরিচালক অচীরেই যেন 'পেসার নাম্বার ওয়ান' নামক একটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে তাকে স্থান দিয়ে দেশকে ধন্য করেন। সবাই বলেন, ' আমীন'।
এমন আনন্দ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। জবর লিখেছেন ভাই। লাজওয়াব।
দাড়িওয়ালা কোনো পাকিস্তানিকে যদি দেখে পাকিস্তানি মনে না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে সে একটা ছাগল...
সমস্যা সেখানে না..
সমস্যা হলো...
যে সাংবাদিক এই সাক্ষাৎকার নিয়েছে সে একটা গরু (তাও উচ্চমানের হবে বলে মনে হয় না), আর প্রথম লাইনের সূত্রানুসারে শাহাদাত একটা ছাগল। আমি এখন গরু আর ছাগল দুইটাই চিনি। আমাকে কি এখন ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া হবে?
সদ্যই রোড টেস্টে ফেইল মারিয়াছি। ভাবিতেছি দেশে গমনপূর্বক এই গবাদিপশু চেনার ক্ষমতার প্রমাণপ্রদর্শনপূর্বক একটা আন্তর্জাতিক লাইসেন্স লইয়া আসা গেলে মন্দ হয় না।
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি! তবে শাহাদাত ভাই এখনো রম্য রচনায় এক নাম্বার! যদিও উনি জীবনটাকেই রম্যরচনা বানিয়ে ফেলেছেন!
উত্তম ঝাঝা!!!!!!!!!!!!!!
facebook
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এখন থেকে শাহাদাতকে চিনলেই ড্রাইভারদের লাইসেন্স দিয়ে দেয়া হৌক।
গতকালই ফাহিম ভাইয়ের লিংক থেকে এটা পড়েছিলাম। পড়ে শেষের আগে পর্যন্ত নির্মল বিনোদনই পেয়েছিলাম কিন্তু শেষে এসে মেজাজ চরম বিলা হয়ে গেছিল। ফাজিলটারে চড়ায়ে ৩২টা দাঁত ফেলে ফাকিস্তানে পাঠায়ে দেয়া দরকার। আর আলুপেপারের সাম্বাদিকটারেও ধরে থাপড়ানো দরকার এরকম গাধাটাইপ প্রশ্ন করার জন্য।
আপনার লেখাটা সাক্ষাৎকারের বিনোদনের চেয়ে কোন অংশে কম হয়নি। পড়ে জটিল মজা পেলাম।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
অসাধারণ...
এত সোন্দর করে ক্যামনে যে লিখেন...চরম ফানি!!! শেয়ার করলাম ফেইসবুক আর টুইটারে...
----------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
খাসা...! ...ক্রমবর্ধমান প্লেয়ার.....?!! ....epic phrase!
বেপুক বিনুদুন
নিজের ঢোল আর কেউ না পিটাইয়া দিলে তো নিজেক্কেই পিটাইতে হইবে ...
আপনার লেখাটি সংগ্রহে রাখবার মতো।
অনেকদিন পর নির্ভেজাল রম্য উপহার দেবার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
- রণ
হাসি থামানো কষ্টকর হয়ে গেলো।
খাইছে আমারে!
এতো দেখি পুরাই এফ ডি ছিঃ এর ফিচলে প্রডাক্ট ক্রমবর্ধমানশীল এই বস্তুটা!
একখানেই যা একটু বুদ্ধি-সুদ্ধি ছটা দেখলাম, আটার বস্তা কোলে তুলে নিয়ে নর্দন-কুর্দনের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে সিলিম নায়িকা খুঁজাতে।
আস্ত একটা ছাগল।
সাম্বাদিকের উপ্রে চটলো ক্যান কেউ কেউ! তাকে তো বরং এরকম বিরল প্রতিভা অন্বেষণে কাজে লাগানো উচিত।
সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিনুদুন!!! প্রথম আলোর এই ক্রীড়া সাংবাদিকের উচিত রস আলোতে যোগ দেয়া!! আর শাহাদাত খান নাম্বার ওয়ান!!! তার তো নিশ্চই এখন ফোন থামছেইনা!!!
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মন খারাপ করে থাকাটাই আমার ব্যারাম, কিন্তু এই 'শাহাদাত দ্য স্মার্ট গাই' গতকাল থেকে হাসিয়ে মারছে।
অনেক ঘোরাঘুরি আছে আজ, ঘুম থেকে উঠেই আরেকবার এটা পড়ে ফেললাম। নিখাদ বিনোদন!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
( মোরগ মোরগ না??? )
আর দাড়ি রাখলে ছাগল ছাগল লাগে। আর কে না জানে, মুরগির চেয়ে ছাগলের হাইট অনেক বেশি। ছাগল অনেক স্মার্ট!!!!
দেশে এতো সমস্যা! তার উপর নতুন সমস্যা...... অধিক সংখ্যক ‘পাগল’ আর ‘ছাগলের’ উপদ্রপ!!
ছাগলদের নিয়ে টেনশন করছি না...... এখনো কিছু ঘাসের মাঠ, কাঁঠাল পাতা অবশিষ্ট আছে!!
কিন্তু পগলদের নিয়েই যতো ভয়...... হেমায়েতপুরে যথেষ্ট জায়গা আছে তো??
প্রস্তাব ১.
ছাগলটারে খুঁটি দিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের সীমান্তে বেধে রাখা হোক।
সুবিধাঃ
১. নিজেকে পাকিস্তানি মনে হবে।
২. শাহরুখের সিনেমা ও মন ভরে দেখতে পারবে।
৩. কাঁটালপাতা দেয়ার জন্য দু একটা ছাগলবালিকা ও ঝুটে যেতে পারে।
৪. এই দৃশ্য কোন ক্যামেরাম্যান ধারন করতে পারলে ফাটাফাটি একটা সিনেমা ও হয়ে যেতে পারে।
.
.
.
.
শাহাদাত আপনাদেরটা খায় না পরে? কিছু ছাগল আসে যাদের কোন কাজ নাই। কিছু একটা পাইলেই বিরাট বড় কাহিনী লিখবে আর কমেন্ট দিবে। যেন নিজেরা কত্ত ভালো।
শাহাদাত যেসব রেসিস্ট কমেন্ট করছে (ফরসা মেয়ে, লম্বা হলেই স্মার্ট, বাংলাদেশি লাগে না বলে গর্ববোধ করা, অন্যদের উদ্দেশ্য চরম অপমানসূচক মন্তব্য) তারপরে ওর প্রতি অনেক কোমল ব্যবহার করা হচ্ছে। এক শাহাদাতকে নিয়ে কথা বলায় অজস্র মানুষকে ছাগল বলে গালি দিলেন, আপনি আপনার ছোটলোকির লেভেল বুঝতে পারছেন? সত্যি করে বলেন তো শাহাদাত আপনার কী লাগে? অবশ্য এটা বলার সাহস থাকলে তো নিজের নাম দিয়েই কমেন্ট করতেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল তো ফেসবুকে হাপিস হয়ে গিয়ে সচলে দাপাচ্ছেন, লুজ বল পেলেই ছক্কা চালাচ্ছেন, কী ব্যাপার?
ডুব দিলাম, সব জায়গা থেকেই দেয়ার প্ল্যানে আছি, তবে অল্প অল্প করে অভ্যাস করছি আর কি
সবই বুঝলাম, তয় ভাই আপনে আপনার বিজনেস থুইয়া এই খানে মাইন্ড করতে আসছেন কেন?
আপনি কি ভাই আলুপেপারের কোনো কামলা?
ভাইজানের গায়ে কি খুব লাগলো? ওষুধ রেডী আছে।
যদি ছাগুদাত-রে অপমান করায় গায়ে লাগে তাইলে হিমু ভাইএর কাছ থেকে কেপি টেস্টের ইশপিশাল কাঠাল পাতা আনার ব্যাবস্থা করি। পরপর ৩ দিন ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খাবেন। ৪ দিনের দিন আয়নায় দেখবেন শিং গজিয়ে গ্যাছে। কথা ত কথা উটপাখির ডিমও গায়ে লাগবে না।
আর যদি আলুর ছাম্বাদিকরে করা অপমান গায়ে লাগে তাইলে পরপর ৩ দিন সকালে হাললললকা হলুদ ঘাস রাতে পানিতে ভিজানো বিচালি। ইনশাল্লাহ, এর চাইতে বেশি বলদামি আপনি করতে পারবেন। কোন সচল/হাচল/চল-চল আপনার কিচ্ছু করতে পারবে না। শুনেছি গরু নাকি লোহাও হজম করতে পারে। আপ্নিও সব হজম করে ফেল্বেন।
শাহাদাঁত আমাগো খায় না পরে এইটা জানার আগে অরে প্রকাশ্যে লেদাইতে মানা কইরেন। সামনে আইসা লেদাইলে আমরা মাইন্ড করুম কারণ আপনার সম্পত্তি আপ্নে আপনার বাথ্রুমে রাখবেন এইটা আমরা আশা করি। সম্পদ আপনার, গন্ধো আপনার, দয়া কইরা আমাদের সেটার ভাগ দিয়েন না। তাছাড়া এইরাম চাবকানি দিয়া মনে করাইয়া দেওয়া দরকার যে আপনাদের লজ্জা না থাক্লেও যাগো সামনে লেদাইতাছে হেগো আছে। আর এই চাবকানি আলুর সার্কুলেশনের সমানুপাতে হওন দরকার আছে।
Obosshoi shahadat ei desh er kahy n pore.Infact
he represents our country as a Player. You Mind your own Bloo
Business b4 calling others Chagol. U have no Idea what a
What a Big Chagol U r u MORAN.
হাসতে হাসতে কেঁদে দিলুম ভাই
উপরের কয়েকজন কমেনটারঃ
শাহাদাত অবশ্যই আমাদেরটা খায় এবং পড়ে।(মানে পরত)
সে ছিল জাতীয় দলের ক্রিকেটার।(বুজতে পারছেন কিভাবে খেত, পরত)
ক্রিকেটারদের নিয়ে আমাদের অনেক কিছুই আছে(সপ্ন, ভালবাসা, ...)।
কিন্তু সে যদি এই রকম সাক্ষাৎকার দেয়। নিজেকে পাকিস্তানী ভাবতে গর্ববোধ করে তখন আমাদের গাঁয়ে লাগবে না কেন?
আমরা ক্রিকেটারদের নিয়ে গর্ববোধ করি, টাইগার টাইগার করে গলা ফাটিয়ে ফেলি।
ওদের মধ্যে কারো মন-মানসিকতা যদি এমন হয়(সাক্ষাতকার লক্ষ্য করুন) তাহলে?
ছাগল বলব না তো কি?
কথা সত্য।
বাহ! দারুন বলেছেন!
কমেন্টে
ভাই এইগুলা পইড়া খারাপ ই লাগে। মানুষ বিনয়ী না হইলে কোনদিন বড় হইতে পারে না। এইটা আমদের ক্রিকেটার দের কে বুঝাবে?? আমরা ক্রিকেটার দের মাথায় তুলি জন্য কি মাথায় মূত্র ত্যাগ করতে হবে?? দেখলাম তো লম্বা লম্বা কথা বইলা কি সাফল্য পাইল জিম্বাবুয়ে তে।
আমরা কি কোন কিছু মিস করলাম?
[*]শাহাদাত ভাই যে নারীভক্তের সাথে কথা বলেন তিনি কি নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করিয়াছেন
[*]বা শাহাদাত ভাই এর হবু শ্বশুড়বাবা কি পরিচালক নাকি
[*]তিনি আমাদের রগ্ন ছল-চিত্র শিল্পকে ছ্যাংগা করিতে চাইতেছেন।
[/list]
এই বিষয় সমুহ বিবেচনা করা উচিত।
জব্বর!!!!
এই লেখাটা শাহদাত বলদটার পড়ার দরকার! RR
We never knew that height makes a man smart! ken prithibi te ki short chele nai jara smart? Sunil Gavaskar to short but take dekhe ki karor kokhono unsmart legeche? Sachin o to short!! tobuo tara koto modest and down to earth! Ar ini mone koren charta gari bodlaye, dui duita prem kore, forsha hoye smart hoye gelo! Eta ke ki smartness bole?? Ei jodi smartness hoy tahole ami dowa kori ei deshe jeno smart chele kome jak! ei theke bujha jay je tar nimno chinta dhara. e theke proman hoy bishishto prabondhik Promoth Choudhury she line ti... " Shushikkhito lok i matro Shoshikkhito". Jara shushikkhito noy tara hoye porben Shahadat Hossain Rajib!
P.S: amr lekha porte jodi karo koshto hoy then dukkhito..! n jini ei lekha ta likhechen apnar lekha ta shundor hoyeche but ektu porte koshto hoise :">
korra korra.......... khub moja paise........
korra korra.......... khub moja paise........
hi.............hi..............hi.............
অট: সাকিব আল হাসান এবং তানিম ইকবাল যথাক্রমে জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক পদ থেকে বহিস্কার (সুত্র: সময় সংবাদ)
কাকতালীয় ?
প্রথম আলোর সূত্র
এদের জন্য ভালোই হল। তবে নতুন ক্যাপ্টেন খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে।
এইবার একটা ইশ্মার্ট ক্যাপ্টেন চাই!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
kothin hoise!!!!
২/৩ বছর আগে শাহাদাতকে নিয়ে প্রথম আলো র একটা ইন্টারভিউতে পড়েছিলাম যে তিনি ওনেক আগে একটা মেয়েকে ভালোবাসতেন এবং মেয়েটার মা মেয়েটাকে অন্য যায়গায় বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন এজন্য যে শাহাদাত পড়াশোনা বা কোন দিকেই ভালো ছিলেন না...শাহাদাত সেজন্য কোন মেয়েকেই ভালোবাসবেন না এবং বিয়েও করবেন না...তার অনেক মেয়ে ফ্যান কিন্তু কোনো মেয়ের প্রতি তার আগ্রহ নেই এটাও লেখা ছিলো...এত্ত তাড়াতাড়ি এর ভালো পরিবর্তন...
আর লেখাটা পড়ে বুঝতেই পারতেছিলাম না যে ব্যাপার কি...সাংবাদিক ভাই র লগে কোন ঝামেলা করাতে লেখাটা ছাপছে নাকি...আর এমন একটা লেখা কিভাবে ছাপালো...শাহাদাতের অবসরে মাথা খারাপ হইতেই পারে কিন্তু সাংবাদিক টার সমস্যা কি...ওই পাতার এডিটরের সমস্যা কি...
তবে বহুদিন পর প্রান খুলে হাসলাম...একসময় আলপিন পড়ে হাসতাম...বহু বছর পর প্রথম আলো হাসালো...
nawarid nur saba
কিন্তু শাহাদাৎ না কালা ছিল? সাদা হইল ক্যাম্নে! লেজার? নাকি......
এইটা ওই কালা শাহাদাৎই তো, না?
এতোদিনে বুঝিতে পারিলাম শাহরুখ খান এর অনুষ্ঠানের একেবারে সামনে হা করিয়া দাড়াইয়া তিনি কি ভাবিতেছিলেন।
ভাই অসাধারণ লিখেছেন । এমন লেখা সত্যিই কঠিন । আর আবুল শাহাদাত বিন্দু বিসর্গ বুঝিয়াছে কিনা সন্দেহ ।
চরম লেগেছে । কাল রাতে আর কমেন্ট করা হয়নি ।
অ.ট : ভাই, আমি অনেক ব্লগে ব্লগিঙ করি । কিন্তু সচলে আমি অচল । আমার আইডি রেজওয়ান তানিম । এটা কি এ্যাক্টিভেট করা যায় না ।
কবিতাই তো লিখি কেন এখনো অচল বুঝলাম না
bekub ..........sangbadiker fadey porce.
ভাই তারে নিয়া না হাইসা একটা গান শুইনা আসেন, বিশ্বাস করেন চোখে পানি আইসা যাবে
আহা দেবতার মতন চেহারা,দেখে লজ্জ্বায় গুটিয়ে যায় আয়না, সুন্দরীরা মাথা কোটে,আর কন্ডাক্টর বাস ভাড়া চায় না!
এতো ইসস্মার্ট উনি ? আমি তহ বেটারে চিনতামই না । এই সাক্ষাৎকারে আমারে চিনাইলও । হায়রে গাধারে !
বিদেশি বিয়ে করবেন না ? বিদেশি মেয়েদের খেয়ে দেয়ে কাজ নাই যে উনারে বিয়া করবো । বলদ কুনানের ।
বিদেশি বিয়ে করবেন না ? বিদেশি মেয়েদের খেয়ে দেয়ে কাজ নাই যে উনারে বিয়া করবো । বলদ কুনানের ।
মোশাররফ করিমের ন্যায় শাহাদাৎ হইলো "বিশুদ্ধ একা ", অনেকের দন্তিত হাসি দেখিয়া মেজাজ টা বিগড়াইয়া গিয়াছে। এমন "বিশুদ্ধ একা " ব্যক্তির সাক্ষ্যাৎকার পর্বে শিক্ষণীয় অনেক কিছু রহিয়াছে। তোমরা গবেষনা কর ।
" যাই শেভ করে রোদে গুজা হইয়া একটু হাঁটিয়া আসি"-
ইসস আইজকাই বিকালে শেভ করলাম, এখন তো দেখি কাজটা ঠিক হইলোনা, ইস্মার্ট হইতে পারবনা ....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
শাহাদাত "স্মাট হওয়ার উপায়" নামে একটা বই লিখতে পারেন।
ঈদের আনন্দমেলা দেখলামনা। শুধু শুনলাম এইবার...থ্যাঙ্কু "প্রথম আলো", থ্যাঙ্কু শাহ-দাঁত
অনেক সুন্দর।।।।।।।।।।।।।।
চিন্তা করিতেছি, সময় হাতে লইয়া এহদিন ভ্রাতা শাহাদাত এর সহিত সাক্ষাত করিয়া আসিব এবং উক্ত স্থানে ভ্রমন করিয়া তাহার নিকট হইতে নিজেকে প্রদর্শনপূর্বক নিজের "স্মার্টনেস" পরিমাপ করিয়া আসিব।
কিন্তু উহাতে আবার সেই রসিক রিপোর্টার বাগড়া বাধাইবে না তো ?
মানে, সে যদি দাবী করিয়া বসে যে, এহেন স্মার্টনেস বিশেষজ্ঞ-কে সে আবিষ্কার করিয়া জনগনের নিকট তুলিয়া ধরিয়াছে, সুতরাং তাহার দর্শন পাইতে হইলে প্রথমে রিপোর্টার মশাই এর সহিত সাক্ষাত করিয়া "শাহাদাত the smartness specialist" appointment লইতে হইবে !!
এতদিন পড়েছি রম্যগল্প।প্রথম আলোর কৃপায় এখন রম্য সাক্ষাৎকার পড়লাম!!!
চরম।।।।
লেখকের রম্য প্রতিভা দেখিয়া আমি যারপরোনাই মুগ্ধ হইলাম। হাসিতে হাসিতে কেদারা হইতে পড়িবার উপক্রম হইয়াছিল প্রায়। আর বিন্দুমাত্র বিলম্ব নয়া করিয়া মুখবইতে সকলের সাথে এই লিখাটি ভাগ করিয়া লইলাম।
এটা আসলে মুখার সবচেয়ে সহজ লেখা। শাহাদাতের সাক্ষাৎকারে যা আছে, রম্য হিসেবে তা এতো উৎকৃষ্ট মানের যে, তেমন কিছু যোগ না করলেও চলে। লেখার সবচেয়ে কঠিন দিন মনে হয় শাহাদাতের পাকি হিসেবে গর্বিত হওয়ার বিষয়টা বাদ দেয়া।
অনটপিক: শাহাদাত ব্যতিক্রম না, এরকম পুলাপানের সংখ্যা অনেক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কথায় বলে লম্বা মানুষের বুদ্ধি থাকে হাঁটুতে। আমাদের দেশে ৫ ফিট ৮-৯ ইঞ্চি লোকদেরই লম্বা বলা হয় আর ব্যাটা তো ৬ ফিট ৩ ইঞ্চি। তাহলে বেশি লম্বাদের বুদ্ধি থাকে কোথায়? অতি উচ্চতার সাথে সাথে বুদ্ধিও ক্রমশ হাঁটু থেকে উপরের দিকে উঠতে থাকে। হিসেবমতে ৬ ফিট ২-৩ ইঞ্চিদের বুদ্ধি এসে ঠাই নেয় বিচিতে।
যারা বিচিতে বুদ্ধি ঝুলিয়ে ঘোরে, তারা এর থেকে ভালো আর কি বলবে!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হোহোহোহো! ধুর্মিয়া, আপ্নে বাজে লুক!
আর বেশি লম্বা মানুষের বুদ্ধি থাকে গোড়ালিতে।
ভাই আপ্নারা কেউ শচিন টেন্দুল্কার এর কথা কইলেন না, বেচারা তো মাত্র ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। ওনারে স্মার্টনেস লেভেল এ তো মনে হয় খুইজাই পাইবেন না (যদি শাদাদাত রে স্মার্টনেস মাপনের একক ধরেন)।
শচীন টেন্দুল্কার তো শাহরুখ হতে চায় না। বরং, শচীন টেন্দুল্কারকে নিয়ে যদি কোন সিনেমা বানানো হয়, ঐ চরিত্রে শাহরুখ অভিনয় করতে রাজী হয়ে যাবে।
আর আমাদের শাহাদাত শাহরুখ খানের মত হতে চায়। এত দুঃখ রাখারও তো জায়গা নাই।
হাসতে হাসতে অশ্রু সজল হল....! সত্যি তো, আমাদের এমন "নায়ক ক্রিকেটার" যেমন আছে, তেমনি আছে প্রতিবেদক আর মুখফোড়ের মত রম্য লেখক!
ছাগুদাঁত এর সাক্ষাতকারে রিপোর্টার-এর কৃতিত্ত্ব অনেক। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টাতেই এই রিপোর্টে বিনোদনের মাত্রা বেড়ে গেছে।
হাহাহাহাহাহাহাহাআহহাহাহাহাআহহাহা...।
লেখাটি পড়ে হাসতে হাসতে খুন হয়ে গেলাম।
মুখফোড় ভাই, আপনাকে অনেক ধন্নবাদ। আসল interview এর থেকে এটা বেশী হাসাইছে।
হাহাহাহাহাহাহাহাআহহা..
শাহাদাত কে পাকিস্তানে এক্সপোর্ট করে দিলে ভাল হয়। এমন ক্রিকেটার বাংলাদেশের প্রয়োজন নাই।
লিখেছেন খারাপ নয়... তবে, ওই শাহাদাতেরই মত স্মার্টনেস দেখাতে গিয়ে Knight Riders কে লিখলেন নিশীথারোহী... আরে Night আর Knight এর পার্থক্য বুঝেন?
এই লেখা তো ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে ফেললো! এ কদিনেই প্রায় চৌদ্ধহাজার ইউনিক হিট!!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আসলেই........
পাকিমুখো শাহাদাত্রে নিয়া নতুন লেখা চাই।
facebook
ওরে দিয়ে শেষ ওভার কেন করাইল বুঝলাম না?
সে তার বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেছে। আজকের খেলায় সে শূণ্য উইকেটে ৬৩ রান দিয়েছে তার প্রিয় দলকে আর শেষ ওভারে ১৯ ! কাঠালপাতার বস্তা নামে একটা ইমো থাকলে ভাল হত। শুধুমাত্র ওর জন্য
নতুন মন্তব্য করুন