ইদানীং একজন গুরুত্বপূর্ণ যাযাবর ব্যাকপ্যাকার হিসেবে দুদ্দাড় বেড়াবার পোস্ট দেই না। বেড়াই না এইটা বলা ঠিক না, ঐটা টুকটাক হয়েই যায়। ঈদের ছুটিতে অবশ্য দূরে যাবার কথা ছিল, সৈয়দপুর, দিনাজপুর দিয়ে একটা মিনি ট্যুর... বাতিল করতে হলো। ফ্লু-তে না ভুগলে আরেকটু ভালো ঈদ কাটানো যেত, কিন্তু কপালে নাই আরকি। হয়না হয়না করেও আজকে ব্যাপক টো-টো করে ফেললাম।
লাঞ্চিত হবার পরে বাবা বললো, নদীতে কিন্তু পানি আছে, টি-বাঁধ দেখতে যাওয়া উচিত। আগে বলেছি কিনা, সাঁতার যেমন তেমন জানলেও আমাদের একটা পারিবারিক নদী প্রীতি আছে, পারিবারিক নদী ট্র্যাজেডিও আছে, কিন্তু তা প্রীতিটা কমাতে পারেনি খুব একটা। তার উপর পদ্মার ঢেউ বলে কথা! গত বছর মে মাসে বুনোহাঁসদেরকে নিয়ে গিয়ে ধূ-ধূ চর দেখিয়ে এনেছি। এ বছর এপ্রিলের শেষে গিয়ে গরু-মহিষ পার হতে দেখেছি। আর সবসময় অল্প হলেও পানি থাকে যে বড় কুঠির কাছে কালীমন্দিরের ওখানে, আলুপট্টি এলাকায়, সেখানেও রথের মেলার সময়ে ঢাকা থেকে আসা বন্ধুদেরকে ‘নদী’ দেখাতে নিয়ে গিয়ে প্রেস্টিজের তেরবস্থা হয়ে গিয়েছিল এ বছর।
কাজেই হাজার বছরের পুরানো শহর রাজশাহী, প্রমত্তা পদ্মার পাড়ে মুঘল রাজদরবারের খাজনা নিতে আসা বজরা, মা-বাবাদের ছোটবেলার দুই-ফুটি ইলিশের গল্প শোনা আমরা, নদীতে ‘কিছু’ পানি আছে শুনেই হই হই করে রাজি হয়ে গেলাম।
পদ্মা মানেই রাজশাহী, রাজশাহী মানেই পদ্মা। শহরের সমান্তরালে নদী। ৮০-র দশকে বন্যায় শহর-রক্ষাকারী বাঁধ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে সময়ে সম্ভবত টি-বাঁধ তৈরি হচ্ছে, (আজকে দিন-ক্ষণ, ইতিহাস-পাতিহাঁস ঘাঁটতে ইচ্ছা করছে না, টো টো করে ক্লান্ত হয়ে গেছি, শুধু ছবি দেখেই ক্ষান্ত দেন সবাই)। T-শেপের বাঁধটা দিয়ে নদীর গতিপথ শহর থেকে সামান্য দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। আমরা গিয়ে হাজির হলাম যখন তখন দুপুর তিনটা মতন হবে, একটা গরু, তার ফ্রেন্ড এক কাক-কে নিয়ে জাবর কাটছিল, তাদেরকে যতটা পারা যায় বিরক্ত না করে, নৌকার ছবি তুললাম দু’চারটা।
তাড়া ছিল, তাই এবারের মতন নৌকা-ভ্রমণ স্থগিত রাখতে হলো।
শহুরে জীবনে বিনোদনের জন্যে রাজশাহীতে এখনো খোলামেলা উদ্যান কিছু আছে, তবুও নদীর টান অন্যরকম। বিকাল হতে না হতেই ভিড় বাড়বে মুক্ত বায়ুসেবীদের। ফুচকা-চটপটি ওয়ালারা পসরা সাজাচ্ছেন দেখলাম।
আগে ছিল কাঠের ভাঁজ করা চেয়ার, ছোটবেলায় চরম আতঙ্ক লাগতো বসতে, মনে হতো এই গেলাম চিপা খেয়ে, বা পড়লাম উলটে... এখন প্লাস্টিকের চেয়ার আছে, আরাম করে হাত-পা ছড়িয়ে বসতে কষ্ট নাই, (যদি গরমটা হজম করা যায় আরকি)!
ভারতের সীমানা আর বাঁধের মাঝে আছে একটা চর... আমরা ছোট থাকতেও সেখানে শুধু জেলে পরিবার থাকতো কয়েক ঘর, ছন কেটে নিয়ে আসতো শহরে, এখন সেখানে স্কুলও আছে, অনেক মানুষ থাকে। মজার ব্যাপার হলো এই চরে আমার নিজের কখনো যাওয়া হয়নি!
আজকে যে জিনিসটা ব্যাপক ছিল তা হলো শরতের আকাশে বর্ষার মেঘ! নদীতে যেহেতু পানি কম, কাজেই মেঘের ছবি দেখাই কয়েকটা -
আচ্ছা ভ্রমণ-পিপাসু মানুষেরা আসতে শুরু করেছে, ঐ তো একটা পরিবার পুরো নৌকা ভাড়া করে চলেছে ...
মাঝিরা অপেক্ষারত -
আর এই যে, কোন এক সময়ের প্রমত্তা পদ্মা, যখন পদ্মা দিয়ে গরু-মহিষ হেঁটে পার হতো না আরকি (বোনের ক্যামেরায় সেবার কিছু ভালো ছবি তুলেছিলাম, যেগুলো পরে নেয়া হয়নি), সেই সময়ের একটা গান শোনা যাক -
|
এই তো, আপাতত এইই। আজকে অনেক বেশি ঘোরাঘুরি করে ক্লান্ত। একদিনে ওভারডোজ হয়ে গেছে কিছুটা আসলে। কালকে থেকে কামলা খাটা শুরু কিনা, আজকে এইটা না হলে রিচার্জ হতে মুশকিল হতো। তবে একবারেই বেশি ঘোরাঘুরির সমস্যা হলো, দেখা গেল হয়তো আগামি এক মাস আর টো-টো করার কোন সুযোগই পেলাম না। ঠিকাছে, অসুবিধা নাই, ব্যাকপ্যাক থেকে পুরানো গল্প-ছবি বের করে দেবনি!
মন্তব্য
ঈদের সময় ঘোরাঘুরি এক বিষম ঝক্কির ব্যাপার, সবজায়গাতেই কেবল মানুষের উপচে পড়া ভীড়। আর এই সময়টাতে আমি গ্রামের বাড়িতে চলে যাই। এই বাদলার দিনে বাড়িতে বসে টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শোনার চাইতে মজার আর কিছু নেই। আর রাতে জোনাকঘেরা সুনসান পথে হেঁটে যাবার কথা নাই বা বললাম।
ছবিগুলো ভাল হয়েছে, বিশেষ করে পাখিরটা (ওটা ধানশালিক না?)। লেখাও জব্বর। এবার গিয়ে গানটা শুনি।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ঈদের পরদিনই দূরে বেড়াতে বেরিয়ে পড়লে বেশ হয়, সেসময়ে রাস্তা বরং ফাঁকা পাওয়া যায়, আমরা প্রায়ই এইটা করি। গতবছর রাজশাহী থেকে টানা সাতক্ষীরা যাওয়া হয়েছিলো, সুন্দরবনে ঈদ পালন! আবার রোযার মাঝেও ঘুরেছি আগেও। এবার অবশ্য রাস্তার অনেক বেহাল দশা চারিদিকে, যদিও উত্তরবঙ্গের রাস্তা আমার দেখামতে অন্যান্য অঞ্চলের থেকে ভালো। তবুও এবার ট্রেনে যাবার কথা ছিল, ঈদের আগেই... যা হোক, পরে হবে আবার।
তবে অনেকদিন গ্রামে যাই না, মানে থাকার মতন করে যাওয়া হয় নাই... গ্রামের আকাশে তারা দেখার অন্যরকম ব্যাপার আছে!
ওগুলোকে ধানশালিকই বলে মনে হয়। বেশ কিছু ওড়াওড়ি করছিলো এদিকসেদিক।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ইয়া আল্লাহ, সাতক্ষীরায় গিলেন? সাতক্ষীরার নাম শুন্লে বুকে হাল্কা মনোরোম বাতাস ব্য়ে যায়, শান্তি শান্তি লাগে। আমি সাতক্ষীরার ছেলে তো। আপ্নার লিখাটাও ভাললেগলো। (গুড়)
শাফি।
সাতক্ষীরা ভ্রমণ দুর্দান্ত হয়েছিল আসলে। এটা নিয়ে আমার বিস্তারিত লেখা উচিত। শুধু সুন্দরবন না, আমি মানুষের আতিথেয়তায়ও মুগ্ধ! এরকমটা শুধু আমাদের দেশেই সম্ভব! অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবি গুলি অসাধারন, শালিকের ছবি তা বিশেষ করে।
লেখায় ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছবি গুলা
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বাহ্বা বাহ্বা।
'ছন কাটা' কী ব্যাপার?
গানটা কার গাওয়া? শচীনকত্তার ভার্শনটা বারেবারেই শুনি...
ধনেপাতা ধনেপাতা।
'ছন' হলো নদীর পলিমাটিতে হওয়া একরকম বড় ঘাসের মতো, শুকিয়ে খড় হয়, গবাদিপশুকে খেতে দেয়, ঘর ছাওয়ার কাজে লাগে। খুব সম্ভবত 'শন' এর অপভ্রংশ, বা উল্টোটাও হতে পারে, বা হয়তো আঞ্চলিক শব্দ।
গান সম্ভবত ফিরোজা বেগমের গলায়, কনফু ভাইয়ের আপ করা মনে হলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এইটা দ্য রিভার প্যাডমা? এর চেয়ে বন্যার সময়ে ট্রলারে করে গোপালদী বাজারে যাওয়ার আমাদের গ্রামের খালও তো অনেক বড়!
কাঠের ভাজ করা চেয়ারের কথা আর বইলেন না। আগে বিয়ে বাড়িতে বা অন্য কোনো দাওয়াতে গেলে আমি খুব সাবধানে থাকতাম। প্রতিবারই জায়গামতো চিপা খেতাম বলে! এইটা কেনো যে আমার সাথেই হতো বুঝতাম না, এখনও বুঝি না।
লাঞ্চিত এর ওখানে চ'এর জায়গায় 'ছ' হবে। বানান ভুল করা ঠিক না।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর বুলেন্নাখো, তাও তো ধরেন বর্ষার আগের হাঁটুপানির ছবি, ড্রেনের মতন কাদাপানির ছবি আর পানিহীন ছবি আপাইই নাই!
(আমার ফ্লিকারের ফিরি অ্যাকাউটের তেজ শেষ, এখন আর আপ করলে পুরান ছবি আর কেউ দেখতারবেনা, পুরান পোস্টগুলান খালি হয়ে যাবেনি, অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে তারপর বাকি কথা... <কোলন দীইইইর্ঘশ্বাস> )
শুধু আপনার সাথেই সবকিছু হয় তা কেন ভাবেন? এত আত্মকেন্দ্রিকতা ভালো না। এই চেয়ার নিয়ে আমার আতঙ্ক তো আজও আছে! আমি ছোটকালে বিশাল সাবধানতা অবলম্বন করে বসলেও ডিগবাজি খাইতাম... আর একবার নদীর ধারেই বাঁধের উপরে ছোট বোনদেরকে নিয়ে আমরা বেড়াতে গেছি, আমিও ছোটই, মানে নাইন-টেনে পড়ি, কাজেই বেশি ছোটোও না, আমাকে দেখে রাখতে দিয়েছে পিচ্চি দুইটাকে, আরেকটু হলেই একজন এই চেয়ার থেকে পিছলায়ে নদীতে পড়ে যাচ্ছিলো, আল্লাহ বাঁচাইসে!
আর এত জ্ঞান দেন ক্যা? হ্যাঁ? এইটা 'চ'-আলা 'লাঞ্চিত'ই, লাঞ্চন থিকা আসছে, বুজলেন? না বুজলে এলা অফ যান।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হা পদ্মা, হা টি বাঁধ ! জীবনে প্রথম স্কুল পালিয়েছিলাম পদ্মার টানে! সাতারের জন্য! ভাল লাগলো--
facebook
ধন্যবাদ। আর নদী, দেখলে এখন মন খারাপ হয়।
মন্তব্য পোস্ট হতে এত দেরি করছে ইদানীং যে সহজে লগ-ইন করি না, তাই মন্তব্যও করা হয় না। আপনার লেখা আশা করছি নিয়মিত বিরতিতে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সব ছবি ১১ সেপ্টেম্বরে তোলা দেখে ভাবছিলাম ৯/১১ এর সাথে কোন যোগসূত্র আছে কিনা!
শেষের থেকে তিন নম্বর ছবিটা খুব-খুব-খুব সুন্দর।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১১ সেপ্টেম্বর তো আসেই নাই এখনো, আমি নদী দেখে আসলাম কী করে...!!
আমার সিগনেচারে আছে নাম, সেপ্টে'১১, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর বোঝাতে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ইদানীং মন দিয়ে পোকাগ্রাফি করছি, মানে পোকা-মাকড়ের ফটোগ্রাফার হয়েছি আরকি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি একটা গ আ-কারে গা, ধ আ-কারে ধা >> গাধা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হা পদ্মা, হা টি বাঁধ, হা সাহেব বাজার, হা বিআইটি, হা রাবি, হা রাজশাহী... ছবি দেখে মনটা খারাপ , কোতি যে আসনু!!
লেখা+ছবিতে
ছবিগুলো দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো।
মনোমুগ্ধকর।
পয়লা দিকের ছবির ফ্রেমগুলো আরেকটু চিকনচাকন হলে বোধহয় আরো ভাল হতো।
শালিকের ছবিটা বেশ।
পদ্মার চরের প্রচুর ছবি আছে আমার পিসিতে, রাবি পড়ুয়া ভাইয়ের কল্যাণে।
লাঞ্চিত শব্দটায় খুব মজা পেলাম, ধূগোদা যদিও ধরতে পারেন নি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লাঞ্চিত জিনিসটা ধুগো বুঝেনি! আর কেউ এটা বিশ্বাস করলে করুক, আমার বউ করবে না। দেওরার তামশা করার ক্ষেমতার উপর তার বহুত কনফিডেন্ট।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আমার আবার ফ্রেম এইরকমই ভালো লাগলো, (নতুন দিতে শিখছি তো, নতুন ফটুশপার)
শালিকের ছবিটা কিন্তু ক্রপ করে নেয়া। চরে এখন জনবসতি কত, কী কী স্থাপনা আছে তা নিয়ে জানে বুঝি ভাই? আমাকে মেসেজে জানিও তো তথ্য পেলে।
আর লাঞ্চিত বুঝে নাই ধুগো'দা... হা হা হা! আর কেউ না বুঝলেও উনি সবার আগে বুঝেছেন শিওর! আমার লেগ পুলিং না করলে রঙিন ভাইয়ের মন্তব্য মর্মহীন, তারউপ্রে সেদিন দৌড় বানানে চন্দ্রবিন্দু হয়না বলেছিলাম কোন পোস্টের মন্তব্যে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তিথী এখনও ছোট কিনা, তাই বড়দের রসিকতা ধরতে পারে নাই...
দারুণ...
প্রথম ছবিটাতে অবশ্য ব্যাটা গরু সব মাটি করে দিয়েছে আর কয়েকটা ছবি একটু আন্ডারএক্সপোজড মনে হলো - এটা কি ইচ্ছাকৃত?
পছন্দীনয় ভাই, আপনার দাঁতে ব্যাথা দেখে কী এখন আর গরুছাগল ভালো লাগে না? দাঁত ঠিক হলে তো ঠিকই আরাম করে চর্বণ করবেন এদের মাংস।
আরেকটা কথা আপনে গরু চিনতে পারছেন, আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সতো কনফার্ম হয়ে গেল দেশে। শীগ্রই সংগ্রহ করুন স্টকে থাকতে থাকতে (মানে আবুইল্যা মন্ত্রী থাকতে থাকতে)।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ওই জিনিস আছে একটা - তবে সেটা যেহেতু গরু চিনে পাওয়া নয় কাজেই মনে হয় বাতিল হয়ে যেতে পারে... পরামর্শটা কাজে দেবে - ধন্যবাদ। সময় থাকতে থাকতে আরেকটা অ্যাপ্লিকেশন ঝেড়েই দেই
(দাঁতে ব্যথা বলে আমি মাংস চর্বন করা বাদ দিয়েছি এই খবর কই পেলেন?)
একদিন দেখলাম কীসের যেন স্যুপ খাচ্ছেন? ভাবলাম আপনি ভেজিটেরিয়ান হয়ে গেছেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
গরু ছাড়াও প্রথম ছবির একটা ভার্শন আছে, কিন্তু আমার ঐটাই মজা লাগলো।
আন্ডারএক্সপোজ পরে করা ইচ্ছাকৃতভাবে, নদীর পানির থেকে আকাশই বেশি দুর্দান্ত লাগছিলো, তাই কন্ট্রাস্ট অ্যাডজাস্ট করেছি।
ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শালিক পাখির ছবিটা দুর্দান্ত লাগল। মেঘের ছবিগুলো একটু বেশি মেঘলা হয়ে গেছে। ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দেয়া হয়েছে কয়েকবার, নদীর বুকে একটু পর পর চর দেখে দুঃখই লাগছিল।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
এইভাবেতো হবে নাযে, ঈদ আসবে ঈদ যাবে তুমি এইদিকে আসবা নাযে, তাইলে ভবিষ্যত ক্যামনে গঠিত হবেযে
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
তার থেকে আপনারা বেড়ায়ে যান!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
টি-বাঁধটি মনে হয় গ্রোইন (ঠিক নিশ্চিত না)।
ছবিগুলো বেশ সুন্দর। আর পদ্মা নদীর জন্য আসলে দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আমাদের কোন গতি নেই। কিছুদিন পরে হয়ত তিস্তা আর ফেনী নদীতেও তাই হবে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
'গ্রোইন' কী রকম, মানে এমনি বাঁধের সাথে পার্থক্য কী? আমি এগুলো ভালো জানিনা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। আর কয়েক জেনেরাশন পরে নদীর গল্পই শুনবে মনে হয় সবাই, চোখে দেখতে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হবে!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
তিস্তা চুক্তিতে বেশি জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে পশ্চিমবঙ্গ দিল্লির কাছে আপত্তি জানিয়েছে। আবার চীন ব্রহ্মপুত্রের উপর বড়বড় প্রকল্প করে জল টেনে নিতে যাচ্ছে বলে দিল্লীর দুশ্চিন্তা। নীলনদের জল নিয়ে কতগুলো দেশে মারপিট। দুনিয়াজুড়েই জল নিয়ে দুরাবস্থা।
ধন্যবাদ কল্যাণF, মানিক, সজল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
পদ্মার ফটো ব্লগ দেখে দৌড়ে এলাম কাশ ফুলের ছবি দেখব বলে। কিন্তু হা হতোস্মি ! ওগুলো বোধকরি এখনও ফোটেনি ? গত বছর পদ্মায় কাশের পাগলামি দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেছল। যাহোক, ছবি অতি অতি ভালো লেগেছে। মেঘের ছবি দেখলেই আমার মাথায় শর্ট সার্কিট হবার উপক্রম হয়। আন্ডার/ওভার কোন এক্সপোজ আমি বুঝিনাই; আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
কাশফুল ছিল না আসলেই... মনে হয় আর কয়দিন পরে ফুটবে। অনেক ধন্যবাদ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আকাশ-নদী আর পাড়ের ছবিগুলো অসাধারণ লাগলো, যাযাদি!!!
_____________________
Give Her Freedom!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন