প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছে সচলায়তনের ফেইসবুক গ্রুপে। জনৈক সচল জানান:
গতকাল সচলের একজন নীরব পাঠকের সাথে কথা হলো। নীরব পাঠক হচ্ছেন তিনি যিনি নিয়মিত সচল পড়েন কিন্তু কখনো কমেন্ট করেন না বা পোস্ট লেখেন না। আজকাল এদের সংখ্যা বিশাল। উনি বললেন, “একটা পোস্ট পড়ার পর যখন দেখি - খুব ভালো হয়েছে, চমৎকার লিখেছেন ভাই, এক লক্ষ তারা ইত্যাদি কমেন্ট, তখন বিরক্ত লাগে। কমেন্ট করতে চাইলে পোস্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে না কেন”? আমি তার বক্তব্য সমর্থন বা অসমর্থন কোনটাই করছি না। তবে এইসব নীরব পাঠকদের ফিডব্যাক জানার এবং সেগুলো নিয়ে ভাবার ব্যাপারে সিরিয়াস। তাদের নিরব মতামতকে উপেক্ষা করলে সেটা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। কিন্তু এই ফিডব্যাক নেবার উপায় কী?
বলাবাহুল্য সচলায়তনে একাউন্ট না থাকলেও অতিথি লেখক একাউন্ট ব্যবহার করে পোস্ট এবং কোন একাউন্ট ব্যবহার না করেই পোস্ট দেয়া সম্ভব। কিন্তু তারপরেও সচলায়তনের বিরাট পাঠকগোষ্ঠী নীরব। এর পেছনে কারন কি? এ ব্যাপারে সচল, অতিথি সচল, পাঠক সবার মন্তব্য জানতে আগ্রহী আমরা। এই পোস্টে নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে অভিযোগ, আবদার, সমালোচনা এবং সাজেশন জানান আমাদের। সচলায়তন নিজেদের আরো ভালো করার জন্য সব সময়ই বদ্ধ পরিকর। এবং এই পরিবর্তনে আপনার মতামত সাদরে গৃহীত হবে।
মন্তব্য
সচলের বিরুদ্ধে একটি কমন দুর্নাম হচ্ছে এখানে সব এলিট লেখকেরা লেখেন, যারা মন্তব্য করে তারাও এলিট প্রজাতির। আমি যখন প্রথম প্রথম সচলে পোস্ট করতাম, আমার নিজেরও এরকম একটা ধারনা ছিল। আবজাব লিখতে লিখতে কখন যে ভয়টা কাটিয়ে উঠেছি, জানি না। আমি আমার বন্ধুদের বলি, সচলে ল্যাখ ব্যাটা। ওদের মধ্যেও মনে হয় আমার ঐ ধারনাটা কাজ করে।
চমৎকার একটা টপিক উত্থাপন করার জন্য সন্দেশকে ধন্যবাদ
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আশফাক আহমেদের মন্তব্যের সঙ্গে আমি কিছুটা একমত। তবে শুধু এলিটিজম নয় মনে হয়। যেমন, আমি কেন নীরব এখানে? অথচ প্রতিদিন একবার হলেও ঢুঁ মারা হয়। এই মাত্র গতকাল অতিথি হিসেবে একটা পোস্ট দিলাম। খুব সহজে উত্তর পাই। আমি অন্যকে এলিট না ভাবলেও কিছু ক্ষেত্রে হয়ত নিজেকে ইনফিরিয়র ভেবেছি। কোনো সময় পোস্ট সম্পর্কে আইডিয়া না থাকায় মন্তব্য করা হয় না। আবার কোনো সময়, এত ভালো লাগে যে বাকরুদ্ধ হয়ে যাই, মন্তব্য করা হয় না
আমি সচল বলে নই, বাংলা ব্লগের মাপে সচলায়ন গুনগত মান সত্যিই অনেক অনেক ভাল। সচলায়তনে নিয়মিত হওয়ার পরে ২৪ ঘন্টায় একবার ক্লিক করিনি এমনটা শুরু হয়েছে গত দেড় দুই মাস ধরে। সময় পাই না। একেবারেই না। তারপরেও সপ্তাহে দু'তিনদিন একবার ডু মারি। খুব সামান্য ব্লগই পড়া হয়। কিন্তু প্রিয় সচলের জানালায় একবার দেখতে ইচ্ছে করে, কী হচ্ছে!
তবে আমাদের বেশীরভাগ নিরব পাঠক আমার বেগমের মতো। পত্রিকার পাঠক যেমন, কোন লেখাটা কতটুকু ভাল লাগল, কোন লেখায় কার মন্তব্য তারায় তারায় খচিত না হয়ে পোস্টের বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় হলে ভাল হতো, এই সবই ভাল জানেন, কিন্তু কষ্ট করে নিজের মতটুকু জানাতে চান না।
খুব প্যাচ দিয়ে ধরলে, আমাদের হাই কোয়ালিটির প্রতি অতিরিক্ত শ্রদ্ধা, আর সবাই লেখক হলে পাঠক হবে কে! এই সব কারণ দেখিয়ে কেটে পড়েন। কিন্তু এমন অনেক পোস্ট আমার পছন্দের তালিকায় করে রেখেছেন যা আমার নয়।
আমার ধারণা এমন একটা পাঠক শ্রেনী আমাদের থেকেই যাবে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অন্যেরা কী বলবে জানিনা। নিজের মতামত দিচ্ছি।
প্রথমে পোস্টের ব্যাপারে আসি। সচলে অনেকেই লেখা দিতে চান না তার কিছু কারণ উপরে বলা হয়েছে।তবে অন্য কিছু কারণও থাকতে পারে। যেমন অতিথি একাউন্ট থেকে লেখা দিলে তা লেখকের নামে দেখা যায়না।যে ব্লগ গুলোতে সহজে একাউন্ট খুলে পোস্ট দেয়া যায় সেখানে দেবার ঝোঁক দেখা যায়। অনেকেই এমন থাকতে পারেন যারা নিজের লেখা নিয়ে ততোটা কনফিডেন্ট হন না যে সচলে পোস্ট করবেন। একটা ভয় থাকে- যদি সব সচলেরা মিলে তাকে ধুয়ে ফেলে!! আর মডারেশন ব্লগ গুলোতে মন্তব্য করা চরম বিরক্তিকর কাজের একটি। সচলে যদি একটি মন্তব্য করি তাহলে আমি জানিনা এটি কখন দেখা যাবে। আমার মন্তব্যে কেও যদি পালটা মন্তব্য করে তাহলে তা আমার জানার উপায় নেই। এক্ষেত্রে যদি ই-মেলের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে বোধ হয় বেশ ফলপ্রসু হতো।
অতিথি একাউন্ট থেকে লেখা দিলে তা লেখকের নামে দেখা যায়না।যে ব্লগ গুলোতে সহজে একাউন্ট খুলে পোস্ট দেয়া যায় সেখানে দেবার ঝোঁক দেখা যায়।
সচলে যদি একটি মন্তব্য করি তাহলে আমি জানিনা এটি কখন দেখা যাবে। আমার মন্তব্যে কেও যদি পালটা মন্তব্য করে তাহলে তা আমার জানার উপায় নেই। এক্ষেত্রে যদি ই-মেলের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে বোধ হয় বেশ ফলপ্রসু হতো।== একমত।
facebook
সহমত শতভাগ।
একমত, বিশেষ করে এই অংশ টির সাথে "আমার মন্তব্যে কেও যদি পালটা মন্তব্য করে তাহলে তা আমার জানার উপায় নেই। "
সচলে কমেন্টের ক্ষেত্রে নীরব থাকার কারণগুলো আমার মতে বেশ কটি। যেমনঃ
১। কমেন্ট করা সহজসাধ্য নয়,
২। সময়ের অভাব,
৩। বাংলা লেখা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা।
এক এক করে বলি। প্রথমত, কমেন্ট করতে গেলে সচল সদস্য হলে লগিন করো রে, লেখ রে, পোস্ট করো রে, তারপর অনেক অনেকক্ষণ লোড হওয়ার জন্য অপেক্ষা করো রে- মেলাই হ্যাপা। সদস্য না হলেও স্ক্রল করে নিচে নেমে খুঁজে পেতে লিখে লোড হবার জন্য অপেক্ষা করা- এতোটা কাজ সহজ নয়। আমরা অনেকেই বেশির ভাগ সময়েই চূড়ান্ত অলস, এত কাজ করব ভাবতেই ঘাম ছুটে যায়। তারচে চুপ থাকা সহজ। তার ওপর আমি যেটা বলতে চাই সবাই যদি সেটাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে দেয় তাহলে আর কষ্ট করতে ইচ্ছে করবে কেন ? তাই কোন ভাবে এক আধটা পোস্টে কমেন্ট করলেও সবটাতেই করা ভীষণ আলস্যকর ব্যাপার হয়ে ওঠে। সহজতর কোন উপায় থাকলে পাঠক আগ্রহী হবে সন্দেহ নেই।
তারপর সময়ের অভাব তো বোঝাই যায়। আমার এই কমেন্ট লিখতে এসে পেজ লোড হতেই ছ সাত মিনিট লেগে গেল। তারপর লেখা ইত্যাদি তো আছেই। তাড়াহুড়োয় থাকলে টুকি মেরেই বেশির ভাগ সময় চলে যেতে হয়, কমেন্ট করা হয়ে ওঠেনা।
আর বাংলায় লেখা যে এতোটাই সহজ এখনও অনেকেই জানেনা। আমার আশেপাশে অনেক কয়জন মানুষ আছে যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত কিন্তু এখনও অভ্রের নাম জানেনা এবং তারা যে জানেনা এটা জেনে আমার মত চূড়ান্ত নন টেকি মানুষ পর্যন্ত তব্দা খেয়েছে। তাহলে বাকি যারা তাদের অবস্থা ভাবুন। পাঠকেরা অনেকেই কিন্তু এখনও জানেই না বাংলায় কিভাবে লিখতে হয় বা আদৌ সেটা যে সম্ভব। বাংলায় লেখা যে কি দারুন একটা সোজা ব্যাপার এটা যদি আরও বেশি ভাবে প্রচারিত হয় এবং সচলে কমেন্ট করার উপায়টা কম সময়ে আরও সহজে হয় তাহলে নীরব পাঠকেরা সরব হবে শিগগিরই এরকম আশা করা যায়।
সবশেষে চমৎকার একটা টপিক উত্থাপন করার জন্য সন্দেশকে অনেক ধন্যবাদ।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমার স্বল্প অভিজ্ঞতা থেকে চার পয়সা যোগ করি।
১) মন্তব্যের মাধ্যমে অংশগ্রহণ শুরু করুন। ইন জেনারেল, কমিউনিটি বাংলাব্লগে (সচল লেখক সমাবেশ হলেও কাছাকাছি ধরনের চরিত্র ধারণ করে) নিজেকে প্রকাশ করার সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম আপনার মন্তব্য। আপনি লেখা দিবেন, সবাই ধন্য ধন্য করবে, আপনার সব আলোচনা হবে আপনার লেখাকেন্দ্রিক - এরকমটা হলে আপনি অন্যদের ভাবনা ও তার ডাইমেনশন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতে পারবেন না।
২) মন্তব্য করা মানে পিঠ চুলকানি না। আপনি একটা বিষয়ের ওপর যা বুঝেছেন, আপনার কথাটা সৎভাবে বলুন। অন্যে কি ভাববে, তা নিয়ে টেনশন করে লাভ নেই। অন্যের পালটা মন্তব্য মন দিয়ে পড়ুন। আপনার ভাবনায় ভুল থাকলে নিজে চিন্তা করুন। অন্যেরটায় ভুল থাকলে গুছিয়ে বলুন। মনে রাখবেন, আপনার বক্তব্যের ওডিয়েন্স শুধু যার সাথে আলোচনা করছেন, সে না, অন্যেরা যারা পড়ছে, তারাই মূল টার্গেট। সুতরাং অন্য একজনকে আপনার যুক্তি মানাতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই।
৩) সচলে স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষে যায়, এমন কোনো মন্তব্য করতে যাবেন না। কোনো উত্তরাধুনিক বা প্রাগৈতিহাসিক প্যাচট্যাচ দিয়েও লাভ নাই। ভুলক্রমে এই কাজ করে ফেললে সচল আপনার জন্য না। সচলে এই জিনিসটা আমরা মেইনটেইন করি। সুতরাং অন্য যেকোনো আলোচনায় - আস্তিক-নাস্তিক, আমলীগ-বিন্পি-ইউনুস, মুসা-ইব্রাহীমের চন্দ্রাভিযান - মাইরপিট করলেও দিনশেষে সব সচলই একাট্টা।
৪) নিজের লেখার মান নিয়ে চিন্তা করুন, দুশ্চিন্তা না। সচলে যারা লেখেন, তাদের কেউ কেউ আগে থেকেই লিখতে অভ্যস্ত হলেও আমার মতো একটা বিরাট অংশের সাহিত্য প্রতিভা প্রেমের কবিতায়ই সীমাবদ্ধ ছিলো। অন্যের লেখা পড়ে মনে মনে নিজের লেখার মান কি হবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা করে ঘুম নষ্ট করবেন না। যার যার নিজের কথা, নিজের লেখা, নিজের স্টাইলই ফলো করা ভালো। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে আরেকজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দরকার নেই। হিমুর লেখা দেখে নিজের লেখার মানের সাথে তুলনা করতে গেলে আমারও কী-বোর্ড চলতো না।
৫) লেখা কেমন হওয়া উচিত, এটা যার যার নিজের পছন্দের ওপর নির্ভর করে। যেমন, আমার পছন্দ সাবলীল লেখা, যাতে পাঠক হিসেবে আমাকে হোঁচট খেতে না হয়, লেখার বক্তব্যটা পাঠক হিসেবে আমিও শেয়ার করতে পারি, মাথার উপর দিয়ে যাওয়া হাইথটের জিনিসপত্রকে আমি বাই ডিফল্ট শ্রেয় ভাবি না। আপনার লেখা হতে পারে আপনি কোন ধরনের পাঠক চান, তার ওপর ভিত্তি করে; আবার লেখা হতে পারে নিজের কথা গুছিয়ে বলে, পাঠক নির্বাচনের ভার লেখার ওপরেই ছেড়ে দেয়া যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সন্দেশ কে একটা রসগুল্লা দিলাম বিষয়টা উপস্থাপনের জন্য
অতিথি লেখক হিসেবে লেখা দেয়ার পর কোন ভাবে ইমেইলের সাথে লিংক করে দেয়া যায়না? তাহলে আমাকে কে কমেন্ট করলো সাথে সাথে তাকে রিপ্লাই দেয়া যায়, আজ পুরনো লেখা গুলোতে ঢু মারতে গিয়ে দেখি বেশ কটা কমেন্ট আমি রেপ্লাই দেইনি, বেশ অনেক দিন হয়ে গেছে তাই আর দিতে ইচ্ছে হলনা। এমনটা হতো না যদি কমেন্ট গুলার সাথে একটা করে ইমেইল নোটিফিকেশন আসত
মাহমুদ
এই রাজ্যে যারা পূর্ণ সচল নয় , ভুলে থাকা যায় না তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। যা জন্ম দেয় হীনমন্যতার।
আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক কিন্তু ধারণা ভুল। আজকে যাঁদেরকে 'পূর্ণ সচল' হিসেবে দেখছেন, তাঁরা সবাই সচলের জন্ম থেকেই পূর্ণ সচল নন। আপনি যাঁদেরকে 'দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক' বলছেন, তাঁরাও এই পর্যায় অতিক্রম করেই তবে আজ পূর্ণ সচল। এতে হীনমন্যতার কিছু নেই। যদি কেউ মনে করে থাকেন, শুরু থেকেই আপনি একজন পূর্ণ সচল হওয়ার দাবীদার, আপনাকে অতিথি/দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে মন্তব্য/পোস্ট করা মানায় না— তাহলে ব্যাপারটা শুধুই ক্যাচায়ে যায়! একটু ধৈর্য্য ধরে লেখালেখি শুরু করলেই কিন্তু এই তথাকথিত হীনমন্যতা থেকে বেরিয়ে আসা যায়। বিশ্বাস হয় না? চেষ্টা করেই দেখুন একবার!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসংখ্য ধন্যবাদ।
একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, কিছু কিছু নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবার দরুণ; যা উঠে এসেছে অনেক আলোচনায়। এছাড়া তেমন একটা সমস্যা দেখি না তাতে করে। তবে আমার একান্ত ব্যক্তিগত অভিমত, নতুন অবস্থায় মডারেশন এবং পর্যবেক্ষণে বজায় থাক; তবে, সচল হিসেবে সচল করার ব্যবস্থাটা একটু শিথিল করলে সুবিধে হতো নতুনদের অনেক!
জ ই মানিক ভাই,
আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। সচলায়তন ঠিক সে অর্থে কোন রাজ্য নয়, এখানে কোন রাজাও নেই।
অতিথি-হাচল-সচল এর যে ধাপ এইটা একদিকে যেমন একটা দরকারী ইন্সেন্টিভ, তেমনি সচলের মেজাজের সাথে লেখক খাপ খাইয়ে নিতে পারছে কিনা তা যাচাইয়ের মাধ্যম। এই নীতিমালা মেনেই ব্লগাররা প্রথমে অতিথি ও পরে ধাপে ধাপে পূর্ণ সচল হয়েছেন। উদাহরণ: কৌস্তুভ।
অপছন্দনীয় বা নতুন হাচলদের মাঝে দিহান বা চরম উদাসকে দেখুন। কেউ তো পূর্ণ সচল নয়। উৎসাহের তো কমতি দেখি না। তারা যখন অতিথি ছিলেন তাদের লেখাও সমান আগ্রহ নিয়ে পড়া হয়েছে। আমি নিজেও তো পূর্ণ সচল নই। নিজেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক কখনোই মনে হয় নি।
দ্বিধা ঝেড়ে লিখতে শুরু করুন। আলোচনায় অংশ নিন।
শুভেচ্ছা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ, ফাহিম হাসান ভাই। রাজ্য কথাটা শুধুই কথার কথা; কিছু অসুবিধার দিক নির্দেশ করতে উপস্থাপন।
আমি মূলত পাঠক। হাবিজাবি ধরণের দুয়েকটা ছড়া লেখার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে। এই আর কী!
ধূসর গৌধূলী ভাই এবং আপনি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা এবং তা চমত্কারভাবে খোলাসা করে উপস্থাপন করায় মুগ্ধ হলাম অনেক।
এখানে আমার নিজেকে ৩য় শ্রেণীর নাগরিক মনে হয়। আমি শুধু কমেন্ট করতে পারি। পোস্ট দিতে পারি না। কমেন্ট করলেও সেটা কোন যুগে প্রকাশিত হবে, বা হয়েছে তা জানতে পারি না। সবচেয়ে খারাপ লাগে, দল বেঁধে কাউকে আক্রমণাত্নক মন্তব্য করাটাকে। এটা অন্যান্য ব্লগের মত এখানেও হয়!
পোস্ট দিতে পারেন না কেন বুঝলাম না। guest_writer ইউজার নেম আর guest পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগ ইন করুন, দিব্যি পোস্ট দিতে পারবেন...
ঐটাই তো করি ভাই। কিন্তু আমাকে শুধু বলা হয় আমার ইউজার নেম আর পাসওয়ার্ড নাকি ইনভ্যালিড। এডমিনের সাথে যোগাযোগ করার পরে জানানো হলো সে-ই পুরাতন বার্তা... http://www.sachalayatan.com/sachalayatan/16572
অদ্ভুত! আপনাকে মেসেজটা লেখার আগেই আমি একবার ঐ অ্যাকাউন্ট থেকে লগইন করে দেখলাম সেটা তো ঠিকঠাকমত হলো! User name: guest_writer আর Password: guest ইনভ্যালিড হলে কি করে চলবে! মডুরা দেখবেন একটু?
রাজকন্যা, আপনি কি একবার যেটা লিখেছিলেন, ক্লিক করে সেই নামটা এলে সেটা দিয়েই আবার লগিন করার চেষ্টা করেন ? হতে পারে প্রথমবার লেখাটা ঠিকমত লেখা হয়নি। হয়ত শব্দ দুটোর মাঝে একটা স্পেস থেকে গিয়েছে বা লেখার সময় কোনটা ক্যাপিটাল হয়ে গিয়েছে অথবা এরকম কোন বানান ভুল থাকতে পারে। সব কিছু চেক করে লেখাটা নতুন করে টাইপ করে আবার লগিন করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হুম, আমিও দেখলাম আজ ঠিকঠাক মত আমি সচলে লেখার জন্য প্রবেশ করতে পারছি। আশালতা আপুর কথাই হয়ত ঠিক। আমারও ভুল হতে পারে, বানানে, caps lock এ। আমি প্রচুর বানান ভুল করি।
User name: guest_writer আর Password: guest দিয়ে লেখা পোস্ট করা যায় কিন্তু log in করলে comment লেখার ঘর show করে না। আবার যে নামে রেজিস্টার করলাম সে নাম use করে ও কমেন্ট করতে পারি না।
এ মেইল করেও কোন reply পাইনি।
User name: guest_writer আর Password: guest দিয়ে লেখা পোস্ট করা যায় কিন্তু log in করলে comment লেখার ঘর show করে না। আবার যে নামে রেজিস্টার করলাম সে নাম use করে ও কমেন্ট করতে পারি না
- সহমত
সমস্যাটা আমারও "নীতিমালা, সচলায়তন সম্পর্কে , জিজ্ঞাস্য" পড়ে ঝাঝরা করে ফেললাম, পেলামনা কিছু। তাছাড়া আমি এত বেশি প্রযুক্তি ভীত
আমার মনে হয়,একদম শুরু থেকে - নিবন্ধন না লগইন, কোনটা মেইল কোনটা "guesr_writer", মন্তব্য বা পোস্ট কিভাবে দেয়া যায় একটু নির্দেশনা থাকলে নয়াদের জন্য ভাল হত।
সবাই তো সব বলেই ফেলল - অ।ব ছাড়া সবার কথাই আমার কথা - আবার অ।ব এর কথাও আমার কথা। এনিওয়ে - স চ ল থাকুক সবকিছু - আশালতা এর পয়েন্টগুলো ভেবে দেখলেই হয়ে যায় - ধন্যবাদ সন্দেশ
এরকম সন্দেশের স্বাদই আলাদা
এ ব্যাপারে আমার পর্যবেক্ষণ:
সচলে লিখতে আগ্রহী এমন (অন্তত দশ-বারোজন) প্রবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা পেয়েছি। তারা ঘুরে ফিরে যে কথাগুলো বলেন -
নিজেকে ইনফেরিয়র ভেবে লেখা না দেওয়া - এক্ষেত্রে তো কিছু করার নেই। প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। গরু গোশের মত আইডিয়াও ম্যারিনেট করার দরকার আছে। প্রিয় ব্লগারদের লেখা পড়ুন, সচলের পুরানো লেখা পড়ুন। কিছুটা ধারণা পাবেন। তারপর ফেইসবুকে নোট আকারে লেখা দিতে পারেন, বন্ধুদের ফিডব্যাক নিন, রিভাইজ-এডিট করুন। এভাবে আস্তে আস্তে জড়তা কাটিয়ে উঠুন।
সচলায়তনকে এলিটদের আখড়া ভাবার কোন কারণ নেই। যে কোন ব্লগের একটা চরিত্র থাকে। অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি হিসেবে সচলায়তন একটু পরিণত চিন্তা বিকাশের প্ল্যাটফর্ম, "আজকে সকালে ডাইল দিয়া ভাত খাইলাম", "সকালে উঠেই মনটা কেমন কেমন করছে" বা "অনলাইনে আয়ের ১০১ মাধ্যম" এমন লেখা প্রকাশের সুযোগ নেই।
--------------
প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় আরেকটা কথা বলি-
শুধু নীরব পাঠক নয়, অনেক সময় নীরব লেখককেও চোখে পড়ে। পোস্ট দিয়ে তারা উধাও হয়ে যান। পোস্টে কোন ইন্টার্যাকশান নেই, পাঠক মন্তব্য করে, প্রশ্ন রাখে - কোন জবাব মেলে না। এমন পোস্ট বিরক্তির উদ্রেক করে। অন্তত যৌক্তিক, প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলোর উত্তর দিক। মিথষ্ক্রিয়া না থাকলে ব্লগ আর পত্রিকার মধ্যে পার্থক্য খুবই সামান্য।
উদাহরণ: সাইকোহিস্ট্রি নিয়ে এই লেখাটা ও এর আগের লেখাটা চমৎকার। লেখক সম্পর্কেও বন্ধুদের কাছে শুনেছি, সচলে তার লেখা দেখে খুশিও হয়েছি। কিন্তু খারাপ লেগেছে তার নীরবতা দেখে। লেখকের অংশগ্রহণ না থাকলে পোস্ট কিছুটা প্রাণহীন মনে হয়। আর প্রশ্নের উত্তর না দেওয়াটা স্রেফ অবজ্ঞাসূচক।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমি ছিলাম বীরশিশু, নিবন্ধনের দিন থেকেই মন্তব্য করেছি.. এক সপ্তাহের মাথায় আবজাব পোস্ট লিখেছি।
সহমত।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি ত তাহলে মহাবীর শিশু । নিবন্ধনের পরদিন থেকে আজ পর্যন্ত মানে গত একমাসে তিনটা পোস্ট দিলাম প্লাস যত্রতত্র যা মনে আসছে মন্তব্য দিয়ে যাচ্ছি। কোন অসুবিধা হলে ইমেল করছি আর সাথে সাথে জবাব পাচ্ছি সমাধান সহ।
নতুন লেখার ক্ষেত্রে ইমেইল নোটিফিকেশনের অভাব আমার কাছে একটু ব্লগ-ধারণার বিরোধী মনে হয়। লেখক তার লেখা দিয়ে যদি সেই লেখা ছাপা হলো কিনা তার জন্য উন্মুখ না হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে লেখার প্রতি (বা প্ল্যাটফর্মের প্রতি) দরদের কমতি আছে। তারচেয়েও অগ্রহণযোগ্য বিষয় হল লেখা প্রকাশিত হওয়ার পরে নতুন মন্তব্য এলো কিনা তার খোঁজ না নেয়া (ব্যতিক্রম থাকতেই পারে যে কারণে হয়তো খোঁজ নেয়া সম্ভব হয়না, সেগুলো বাদে বলছি)।
প্রায় তিন বছরের উপর সচলে আছি। এখনও লেখা দিলে বারবার রিফ্রেশ করতে থাকি কখন কেউ একজন মন্তব্য করে। আমার বিশ্বাস সাধারণ সচলদের অবস্থা এরকমই।
নোটিফিকেশন ভালো জিনিস, তবে সচল এমনিতেই মনে হয় অনেক ভারী। একে আর ভারী না করে সচলে আরেকটু সময় ব্যয় করলেই এর সমাধান হয়ে যায়।
প্রেমিকভাই, মেইল নোটিফিকেশন না থাকার কিন্তু আরো একটা অসুবিধা আছে। আমি সারাদিনে যদি ১৫টা লেখা পড়ি কম করেও আর মন্তব্য করি, তাহলে কিন্তু আমাকে ১৫টা পেজ/ট্যাব খুলে রাখতে হয় আর ৫/৬ মিনিট পর পর রিফ্রেশ করে দেখতে হয় আপডেট কি হল। এক একটা পেজ রিফ্রেশ হতে ৩~৬ মিনিট লেগে যাচ্ছে, এতেও কিন্তু পাঠক উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে কিছু দিনের ভিতরেই।
আমি কিন্তু নতুন লেখার, বিশেষ করে যিনি লিখেছেন তার লেখায় মন্তব্যের নোটিফিকেশনের কথা বলেছিলাম। এমনিতেই নোটিফিকেশন কাজের জিনিস। কিছুদিন আগেও সেটা ছিল। কিন্তু একটা পোস্ট থেকে যখন মিনিটে মিনিটে ইমেইল নোটিফিকেশন আসতে থাকে তখন সেটা আর ভালো লাগে না। (আমার অন্য সাইটের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কেউ আবার কিছু মনে নিয়েন না)।
নোটিফিকেশন নিয়ে আমার নিজেরও অভিজ্ঞতা ভালো না, এমনকি সচলেও।
আগে মনে হয় ছিল যে আমি কোন পোস্ট পর্যবেক্ষণে নিলে সেখানে নতুন কোন মন্তব্য এলে আমাকে ইমেল করত। আমি সেটা প্রথমে ডিজেবল করে রেখেছিলাম, পরে এনাবল করলাম। কিন্তু দেখি কোটি কোটি ইমেইল। পরে আবার বাদ দিয়েছি সেটা।
আমারো মনে হয় যিনি কষ্ট করে পোস্ট করতে পারবেন তিনি তার পোস্টে নতুন মন্তব্য এসেছে কিনা সেটা একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন এবং তার জবাব (যদি দেয়ার থাকে) দিতে পারবেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ঐ সময়ে একটা সমস্যা হচ্ছিলো - কেউ যদি আমার পোস্টে মন্তব্য করতেন তার নোটিফিকেশন তো আসতোই, তার পরে তিনি আর যেখানে যে মন্তব্য করতেন সবগুলোর নোটিফিকেশন ইমেইলই আমার কাছে হাজির হতো।
লাইকাইলাম।
আমার দু-পয়সাঃ
১. সচলে একটা মিনিমাম কোয়ালিটি রাখার চেষ্টা করা হয়। সেই চেষ্টাটাকে 'এলিট' বলে অপছন্দ করলে কিছু করার নেই। ফাহিম যেমন বললেন, "আজকে সকালে ডাইল দিয়া ভাত খাইলাম" ধরনের পোস্ট সচলে উৎসাহিত করা হয় না। কিন্তু যাঁদের লেখার মত ভালো বিষয় আছে, তাঁরা সঙ্কোচ না করে এই "এলিট" নয় বলা উচিত "ভালো মানের" লেখকদের দলে ঢুকে পড়তে পারেন সহজেই।
২. "মাথার উপর দিয়ে যাওয়া হাইথটের জিনিসপত্রকে আমি বাই ডিফল্ট শ্রেয় ভাবি না।"
বলাইদার এই মন্তব্যটায় পুরোই সহমত। পাঠকেরা এই হীনমন্যতা থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করুন।
৩. “একটা পোস্ট পড়ার পর যখন দেখি - খুব ভালো হয়েছে, চমৎকার লিখেছেন ভাই, এক লক্ষ তারা ইত্যাদি কমেন্ট, তখন বিরক্ত লাগে। কমেন্ট করতে চাইলে পোস্টের বিষয় নিয়ে আলোচনা করে না কেন?”
নীরব পাঠকেরা নিজেরা তো ভালো-মন্দ কিছুই বলেন না, তা নেইমামার চেয়ে তো কানামামা ভালো! "ভালো হয়েছে" এই ছোট্ট লাইনটাও বিশেষ করে নতুন লেখকের পক্ষে খুব উৎসাহব্যঞ্জক। আর লেখা যদি সত্যিই ভালো হয়, তাহলে সংক্ষেপে ভালো হয়েছে বলতে দোষ কী? তার প্রবন্ধের পাশাপাশি কি আমাকে একটা প্যারালাল প্রবন্ধ ফেঁদে বসতেই হবে?
৪. "তাছাড়া বানান ভুল নিয়ে সবাই খুঁতখুঁতে। একটু ভুল হলেই আর রক্ষা নাই।"
এই ধারণাটা পুরোই ভুল। শুরুতে বানান ভুল দেখলে ভালো ভাবেই ধরিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে, তাও কেবল মাঝেসাঝেই। এখন একজনের বারবার বলার পরেও নিয়মিত বানানে অযত্ন দেখতে থাকলে তো বিরক্তি লাগবেই। কেউ যদি চান, তিনি যথেচ্ছ ভুলভাল বানানে ভর্তি মধ্যমানের লেখা পোস্টিয়েই যাবেন আর পাঠকেরা সোনামুখ করে তাই-ই খাবে, তাহলে পাঠকদের আপত্তি থাকবেই। প্রথম পয়েন্টের কারণেই।
৫. "শুধু নীরব পাঠক নয়, অনেক সময় নীরব লেখককেও চোখে পড়ে। পোস্ট দিয়ে তারা উধাও হয়ে যান। পোস্টে কোন ইন্টার্যাকশান নেই, পাঠক মন্তব্য করে, প্রশ্ন রাখে - কোন জবাব মেলে না। এমন পোস্ট বিরক্তির উদ্রেক করে।"
ফাহিম যে উদাহরণ দিলেন, নীরব পাঠকেরা যদি লিখতে গিয়ে শুধু সেইরকম নীরব লেখক বনতে চান, তাহলে পাঠক হিসাবেই আমাদের আপত্তি হবে। তাঁদের খোলা মনে আমাদের সাথে মিথষ্ক্রিয়া করতে অনুরোধ করি।
--------------
এটাও ঠিক, সচলে লেখালিখি করার কিছু অসুবিধা আছে।
১. কম্পু'তে বাংলা লিখতে না পারা। এটা মূলত লেখকদের সমস্যা, সচলের নয়। তাঁরা একটু আগ্রহী হলেই অনেক সমাধান পাবেন।
২. সচলের স্লো স্পিড। এটা একটা বড় সমস্যা, বিশেষ করে স্লো নেটের লোকেদের জন্য। তবে আমাদের সাধ্য সীমিত তো বটেই, তাই স্পিডও। এটাতে কিছু উন্নতি করা হয়েছে, আরো যথাসাধ্য করার চেষ্টা চলছে।
৩. একটা লেখা বা মন্তব্য দিয়ে মডুদের জন্য বহুক্ষণ অপেক্ষা করা। এইটা আসলেই বিরক্তিকর। এটাই মনে হয় অতিথি আর পূর্ণসচলদের স্বাচ্ছন্দের মূল পার্থক্যটা করে দেয়।
আমেরিকান সময়ের হিসাবে রাত্রের লম্বা সময়ই কোনো মডু থাকেন না মনে হয়, সব লেখা-কমেন্ট জমে থাকে। মডুরা নানা কাজে জড়িয়ে পড়ায় কয়েকজনকে অনেকটা চাপ নিতে হচ্ছে। এটার সুরাহা করা গেলে ভালো হয়।
সচলের সব মডু কি আমেরিকাতে? বিপরীত টাইম জোনের মডু কি ম্যানেয করা যায়?
সচলায়তনের মডারেশন প্যানেল সম্পর্কে FAQ-তে বলা আছে। রঙিন মডারেশন প্যানেল থেকে বোঝা সম্ভব নয় কে মডারেটর, বা কোথায় আছেন, সেভাবেই এটা তৈরি। উত্তর আমেরিকায় না দক্ষিণ গোলার্ধের নিউজিল্যান্ডে সব বা একাধিক মডু আছেন এইটা নিয়ে মন্তব্য করাটা পুরাই যুক্তিহীন হবে। আমার বিবেচনা বলে সব টাইমজোনকে মাথায় রেখেই মডুরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন, আর সবসময়েই কেউ না কেউ দায়িত্বে থাকেন, এটাই যুক্তিসংগত।
কিন্তু মডুরা সবাই নিশ্চয়ই আমাদের অতিথি-হাচল-সচলদের মতই বিভিন্ন পারিবারিক ও প্রফেশনাল কাজে জড়িত, তাঁদেরও চাকরি আছে, সুপারভাইজার নাহোক স্বামী-স্ত্রীদের সাথে তর্কাতর্কি করতে হয়, বাচ্চাকাচ্চাকে স্কুলে নিতে হয়, নাতিপুতিদেরকে সময় দিতে হয়, ঈদ-পূজোর ছুটিতে তাঁরাও বেড়াতে যান... এইসবের ফাঁকেও তাঁরা যে এত করেন, সেটাই তো অনেক প্রশংসার দাবি রাখে, তাই না? আমিও আশা করি লেখা-কমেন্ট জমে থাকার ব্যাপারটায় তাঁরা যত্ন নেবেন, আর তাঁদের সবার উপরে চাপটা সমবন্টিত থাকবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আমি মাত্র একটা লেখা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি (দোষ আমার, সময়ের অভাব), ভাগ্যক্রমে সেটা প্রকাশিত হয়েছে। এখন শুধু চোখ কান বন্ধ করে পড়ছি আর মন্তব্য করছি। যেহেতু না পড়ে মন্তব্য করতে গেলে নিজেকে চোর মনে হয়, তাই পড়ে নেই আগে। এই অভিজ্ঞতায় বলতে চাইঃ
১। পেজ লোড হতে খুব দেরি হচ্ছে
২। মন্তব্য করার পর কেউ প্রতি মন্তব্য করলেও বুঝতে পারছি না (নোটিফিকেশন - যেটা আগে অবশ্য বলা হয়ে গেছে)। অনেক সময় দু'এক দিন ফাক পড়ে গেলে তারপর আবার লেখাটা খুঁজে পেতে বেশ ঘোল খেয়ে যাচ্ছি
৩। মন্তব্য প্রকাশ হতে অনেক সময় লাগছে
৪। দুইটা মন্তব্য করার পর সবগুলোয় ক্যাপচা ভেরিফিকেশন পার হতে হচ্ছে (অন্যদের হচ্ছে কিনা যানি না, তবে আমার ক্ষেত্রে এটা সূর্য পূর্ব দিকে ওঠেতে পরিনত হয়েছে), এতে অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে
৫। লেখা দেওয়ার পর কেউ মন্তব্য করলে যদি নটিফিকেশন আসত, তাহলে ওই মেইল থেকে লেখার/মন্তব্যের লিঙ্কে ক্লিক করে উত্তর দেওয়া সহজ হত
৬। পুরোনো লেখা ব্লগার বা কন্টেন্টের ভিত্তিতে সার্চ অপশন থাকলে খুব ভাল হয়
উপরে ৮নম্বরে বলাই দাদার ২ নম্বর পয়েন্টের সাথে যোগ করতে চাই যে আমরা মাঝে মাঝে নতুনদের (আমার মত) খুব শক্ত করে চেপে ধরছি যেমন কিছুদিন আগে প্রৌঢ়ভাবনার সচলায়তন বিষয়ক লেখা, আমি নিজেও ওই পোস্টে যেয়ে হেসেছি, কিন্তু পরে মনে হল অনেকেরই এই চেপে ধরাটা সহজ ভাবে নেওয়ার মানসিকতা বা ক্ষমতা নাও থাকতে পারে আর সেক্ষেত্রে আমরা কিন্তু পাঠক হারাতে পারি, তাই আমাদের মন্তব্যের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন মনে করছি।
সচলায়তন শুধুমাত্র এলিট ও প্রতিভাবান লেখকদের জন্য - এই ধারনা যদি পাঠকদের মাঝে তৈরি হয়ে থাকে তাহলে সেটা এই সচলের পরিবেশ থেকেই কিন্তু তৈরি হয়েছে এবং এটা যদি উদ্দেশ্য না হয়ে থাকে তাহলে এ'নিয়ে সিরিয়াসলি চিন্তা করা উচিত এখুনি। যদি সবার জন্যই লেখা জমা দেওয়া উন্মুক্ত থাকে আর কোন একটা লেখা প্রকাশের যোগ্য না হয় তাহলে সেটা মডারেশনে ঘ্যাচাং করে দিলেই কি যথেষ্ট নয়? সন্দেশ কে
"সচলায়তন শুধুমাত্র ভালো লেখার জন্যে", এমন একটা ধারণা বোধহয় সচলের পাঠকদের মাঝে তৈরি হয়েছে। সেটা তৈরি করাটাই বোধহয় আমাদের সবার কামনা, তাই না? আপনি পাঠক হিসেবে সচলে কেন আসেন? আগ্রহোদ্দীপক কিছু লেখা পড়ার জন্যেই তো, নাকি? সেই লেখা কারা লেখে? আপনার মতোই আরো কয়েজন। আপনি নিজে যখন কলম হাতে নিচ্ছেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে, বাকি সবাই তখন পাঠক। যাদের "এলিট" আর "প্রতিভাবান" বলছেন, তারাও তখন পাঠক। সেই পাঠকগোষ্ঠীর পঠনতৃপ্তি আপনাকে তখন মেটাতে হচ্ছে। আপনি যদি মেটাতে না পারেন, পাঠকের মুখোমুখি হওয়ার মতো জোর আপনার থাকতে হবে। যদি সেই জোর না থাকে, তাহলে পাঠক হিসেবে কোনো লেখককে কিছু বলার অধিকারও আপনার থাকে না। বেলা শেষে আমরা সবাই চাই ভালো কিছু লেখা পড়তে, তাই লিখতে গিয়ে যারা কলম ধরছেন, তাদের ওপর চাপটা বেশি পড়ে। এই চাপটা না থাকলে নিতান্ত পানসে লেখায় সচলায়তন ভরে যাবে। সেটা আমরা কেউই চাই না, তাই না?
হিমু ভাই আপনার সাথে ১০০ভাগ সহমত। এত চমৎকার একটা ব্যাখার জন্য । আসলে উপরে কোন এক জায়গায় এলিট বিষয়ক কমেন্ট পইড়া মনে হইলো অনেকেই এইরাম চিন্তা করতেছে। আর লেখা ভাল না হইলে মডুরাই লেখা ঘ্যাচাং কইরা দিতে পারে। তাইলে কাইস্টা মার্কা লেখা পুষ্টাইয়া মন্তব্যাঘাত সহ্য করা পর্যন্ত যাওয়া লাগে না। তয় আমার মনে হয় গায়ের চামড়া মোটা কইরা খোলা মনে সমলোচনা সহ্য করার মানসিকতা নিয়া সচলায়তনে আসা উচিত।
আপনি যে জিনিসটা ধরতে পারেননি, সেটা হচ্ছে, একজন মডারেটর যখন একটি লেখা প্রকাশ করে, তখন তো তার পক্ষে জানা সম্ভব নয়, সেই লেখাটির পাঠপ্রতিক্রিয়া কীরকম হবে। তাই না? একটা লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা গেলো, সেটাতে অনেক বিরূপ মন্তব্য এসেছে। এই মন্তব্যের দায় তো কোনো একক ব্যক্তির ওপর চাপানো যায় না। অনেক লেখাই একটা ধূসর সীমানার মধ্যে থাকে, তার একটা অংশ নিয়ে হয়তো অনেকে আপত্তি করেন, সেসব প্রতিক্রিয়া আগাম আঁচ করা কোনো মডারেটরের পক্ষে সম্ভব নয়।
আর এলিট ব্যাপারটা পুরোপুরিই নিজের হীনমন্যতা থেকে আসে। কেউ নিজের অবচেতনে যদি অনুভব করেন, তিনি কোনো একটা পরিবেশে বেমানান, তখন তার পক্ষে সবচেয়ে দ্রুত আর সহজ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ঐ পরিবেশটাকে এলিট ট্যাগানো। সচলায়তন যখন বিটা টেস্টে চলছিলো (জুন, ২০০৭), তখনই জনৈক সুফি সাধক সচলায়তনকে অন্যত্র এলিটদের পিঠ চুলকানোর বৈঠকখানা ডেকে কেঁদে জারেজার হয়েছিলেন। আমাদের কিছু যায় আসে না আসলে। যার যা খুশি, সিলছাপ্পড় মারুক। সচলায়তনের চলার পথে আমরা যেমন মানুষদের সাথে চাই, তাঁরা কিন্তু এইসব এলিটপনার ঘোল খাওয়ার মতো বেয়াকুফ নন। তাঁরা ঠিকই বুক ফুলিয়ে লিখতে বসেন, মন্তব্য করেন, সচলায়তনের মেজাজটা ধরে ফেলেন, এবং একসময় সচলায়তনের অংশ হয়ে যান। যারা পারেন না, তারা এইখানে ঐখানে সচলায়তনকে গালি দ্যান, এবং কোনো তর্কাতর্কি গ্যাঞ্জাম লাগলে নিজের পেছনের বিষ্ঠা সাফ না করেই সচলায়তনের পেছনে যে অনেক বিষ্ঠা সেটা আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে দেখানোর চেষ্টা করতে থাকেন। এদের জন্যে নীরব করুণা ছাড়া আমাদের দেয়ার খুব বেশি কিছু নেই (কোনো এলিট উপলব্ধি না, সামর্থ্যগত দারিদ্র্যের কারণে)। এরা অস্ট্রালোপিথেকাসদের আমল থেকেই পৃথিবীতে আছেন, সচলায়তন তো বছর পাঁচেকের ব্যাপার।
আপনার যদি কিছু বলার থাকে, সচলায়তন আপনাকে একটা চমৎকার পরিবেশ দিতে পারে, একটা বড় রিডারশিপ দিতে পারে, যা দিতে পারে না, সেটা হচ্ছে, ফিডব্যাক থেকে মুক্তি। পাঠক আপনাকে তার কথাটা শোনাবে। সেই কথাটা মাঝেমধ্যে একটু রূঢ় হয়ে যেতে পারে, কিন্তু আপনি তাতে টলবেন কেন? আপনি তো লেখক, সারা পৃথিবী মিলিয়ন বিলিয়ন বছর ধরে ঘুরপাক খেয়ে আপনার মুখোমুখি হয়েছে শুধু আপনার একটি লেখা পড়বে বলে। এতো সহজে শুকনায় আছাড় খেয়ে পড়ে গেলে তো চলবে না।
এইটা মনে হয় সেই পোস্ট। আরো, এবং আরো। লক্ষ্যণীয় যে এদের প্রত্যেকেই শেষমেশ সচলে জায়গা পাননি।
In my case the problem is I dont know how to type in Bangla. Otherwise, I could have responded to some posts.
About Sachalaytan my observation is here I find some writers very well read and organized in their writing pieces. However, very few people can give effective feedback for a post. Other than "chomotkar", "khub bhalo", "darun", a writer expects some solid reasons for liking a post and vice versa.
Is it possible to publish any English or other than Bangla comment ( if not the original post) if that bears good feedback, either positive or negative? I know Sachalaytan is promoting Bangla blogging; nevertheless if renowned Bangla writers can receive appreciative or reproachful criticisms for their original Bangla writing, why cant that be followed here?
আপনি যদি উইন্ডোজ বা উবুন্টু ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এখানেই বাংলা লেখার সব নির্দেশনা এবং সফটওয়্যার (অভ্র) পাবেন http://www.omicronlab.com/
আর যদি লিনাক্সের অন্য কোন ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অভ্রের সোর্স কম্পাইল করে চালাতে পারবেন।
I am lost.
ফোনেটিকে লেখেন। সচলে লিখতে কোনোকিছুই ইনস্টল করতে হবে না। সচলের প্রতিপোস্টের নিচে যে মন্তব্যের এডিটর থাকে, ওখানে 'অ' থেকে 'ফোনেটিক' কীবোর্ড সিলেক্ট করে নেন। এটা অনেক সহজ ব্যাপার, যেমন, আমার লিখতে Amar টাইপ করলেই যথেষ্ট। কার গোলু অক্ষরের পরে দিতে হয়, যুক্তাক্ষর লেখা যায় দুই অক্ষরের মাঝখানে + দিয়ে। যেমন, ক = k, ষ =S থেকে ক্ষ = k+S. ফোনেটিকের চার্ট আছে। তবে সাধারণত চার্ট দেখার প্রয়োজন পড়ে না। প্রথমদিকে যুক্তাক্ষরজাতীয় কয়েক জিনিস দেখে নেয়ার দরকার হতে পারে, বাকি সবই ইনটুইটিভ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
@Mekur
ভয় পাবেন না। এটা খুব সোজা একটা ব্যাপার। আমি হলাম এই জগতের সবচাইতে নন টেকি মানুষ। সে পর্যন্ত একা একাই এটা মগজে তুলে ফেলতে পারলে আপনি পারবেন না কেন ? আমি ফোনেটিকে ট্রাই করিনি,তাই বলতে পারছিনা, আমি অভ্র ব্যাবহার করছি। এবং গলা ফাটিয়ে বলি বাংলা লিখে এরকম আনন্দ আর কোনোদিন পাইনি। এর সৃষ্টিকর্তাকে সেলাম। আপনার সাথে নিজের নবলব্ধ জ্ঞান শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারছিনা।
অভ্র খুব ছোট্ট একটা সফটওয়্যার। দু তিন মিনিট লাগে ডাউনলোড হতে। যে সাইটটা দেয়া হয়েছে আপনাকে, সেখান থেকেই চট করে ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। সেটা দিয়ে আপনি নোটপ্যাড, এম এস ওয়ার্ড, জিমেইল, ফেসবুক বা সচল যেকোনো জায়গায় বাংলা লিখতে পারেন। লেখার নিয়মও অচ্ছুত বলাই যেমন বললেন ঠিক তেমনই। 'আমার' লিখতে ইংরেজিতে amar টাইপ করুন, ঠিক ঠিক সেটা 'আমার' লেখা দেখাবে [ আর তখন যে কি খুশি লাগবে! ]। তবে বাংলা লেখা শুরুর আগে f12 বাটন টিপে নিতে ভুলবেন না। ওটা দিয়েই বাংলা নাকি ইংলিশ লিখবেন সেটা ঠিক করে নেবেন। কটা দিন একটু নিজে নিজে প্র্যাকটিস করলেই সড়গড় হয়ে যাবে। ভয় নয়, দরকার বাংলার প্রতি ভীষণ ভালোবাসার। দেখবেন ঠিক পারবেন। আর তখন আমার মতই আপনারও নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াতে ইচ্ছে করবে।
এর পরও সমস্যা থাকলে মন খুলে বলুন, আমরা সব্বাই আছি সাহায্যের জন্যে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
Ekhane vinnomot poshon korar shujog nai. Tel marle oi montobbo chhapa hoy, vinnomot poshon korle shei montobbo chhapa hobar shomvabona khub, khub-e kom. Agey montobbo korechhen ebong shocholer vokto chhilen, emon bondhuder shathe kotha bole dekhechhi-era montobbo kore akromoner oshlilotay ei site e dhokar-e ar shahosh pan nai.
এটা একটা চরম ফালতু অভিযোগ। এর আগেও দুই বার আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছি। কেউ প্রমাণ নিয়ে এগিয়ে আসেনি। আজকেও দিচ্ছি। তেল মারা ছাড়া কিংবা ভিন্নমতের কোন্ মন্তব্য প্রকাশিত হয়নি সেটা আমার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। দেখি কী করা যায়।
উরে পিপিদা, ভদ্রলোক হয়তো ভিন্নমত বলতে ছাগুমত বলতে চেয়েছেন।
bhai-apnar, bishesh kore apnar porer joner jobab porei toh kapte shuru korechi. abar kichhu bole boshle uni hoyto eibar bap-ma tulei kotha bole boshben. ar kichhu lekhar shahosh nai. tobuw apnar challenge nilam.
ba 845-797-1730 te jogajog koren, ami proman apnake diye debo.
মানিক ভাই,
আমার মন্তব্য রুঢ় হয়ে গিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি।
পিপিদার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমি বলতে চেয়েছি সচলায়তনে একমাত্র স্বাধীনতাবিরোধী তথা জামায়াত, শিবির, আলবদর, পাকিতোষণকারীদের মতামতকে [ব্লগীয় পরিভাষায় যাকে ছাগুমত বলা চলে] গলা চিপে মারা হয় এবং সচলায়তন যতদিন থাকবে এই নীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে না বলেই আমি ধারণা করি। এর বাইরে আওয়ামীলীগ-বিএনপি-সরকার-বিরোধীদল-বাংলাদেশ ব্যাংক-ডঃ ইউনূস-আবাহনী-মোহামেডানসহ সব মতের মানুষের জন্যই সচলায়তন উন্মুক্ত।
আপনি বললেন:
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনি পরিসংখ্যান নিয়ে বসে আছেন কে, কবে তেল মেরে লেখা/মন্তব্য ছাপিয়ে বসে আছে। অতিথি লেখা/মন্তব্য ছাপা হওয়ার পুরো দায়িত্ব সচল মডারেশনের উপর বর্তায়। সে ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্যে অর্থ দাঁড়াচ্ছে সচলের মডুদের তেল না মারলে তারা লেখা/মন্তব্য ছাড়ে না।
একজন প্রাগৈতিহাসিক সচল হিসাবে আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে সচলায়তনের মডারেশন প্রচণ্ড পরিমানে "তেলহারামি"। এরা তেলটুকু কোঁৎ করে হজম করে ফেলে। বিশ্বাস না হলে শুধু তেলের উপর ভর করে সচল হবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন কত বছর লাগে।
আর ভিন্নমতের কথা যে বললেন, আমাদের প্রত্যেকের মতামতই এক অর্থে ভিন্নমত। তবে কেউ যদি আশা করে ভিন্নমতকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে ছাগুদের জন্য সচলায়তনকে উন্মুক্ত করে দেয়া উচিত তখন তাকে নিরাশ হতেই হবে।
প্রমাণ দেবার জন্য আপনাকে কেন ফোন/ইমেইল করতে হবে তা পরিষ্কার হল না! যেহেতু সচলায়তন নিয়ে কথা হচ্ছে তাই সচলায়তনের লেখাগুলোর লিংক ধরিয়ে দিলেই কাজ হয়ে যাবার কথা। কোন কোন পোস্টের কথা বলছেন সেগুলোর লিংক দিয়ে দেন এখানে। পিপিদা 'একলাই খাইবো ক্যান'? আমরাও একটু খাই।
বলি কী, আপনার বন্ধুদের বিরূপ ধারণাকে নিজের ধারণা হিসাবে পোষণ না করে গঠনমূলক মন্তব্য ও লেখা দিতে শুরু করেন। প্রতিটি লেখায় আপনার ভিন্নমত যৌক্তিকভাবে তুলে ধরেন, তারপর নিজেই দেখেন।
ভাই, আপনাকে চেনাচেনা লাগছে। আপনি কি এর আগে কখনো মন্তব্য করেছেন? আগের অভিযোগগুলোও কি আপনার করা? আমার স্মৃতি খুব কম, তাই ঠিক ঠিক মনে করতে পারছি না। ভালো থাকবেন।
ছোট মুখে বড় একটা কথা বলি: একটা বিষয় দিয়ে কাউকে বিচার করা ঠিক না।
আপনার এই অভিযোগটার সাথে কোনমতেই একমত হতে পারলাম না।
আপনি কি দয়া করে আপনার বন্ধুটির কাছে থেকে জেনে জানাবেন কোন পোস্টে অশ্লীলভাবে কাকে আক্রমণ করা হয়েছে? নিজের স্বার্থেই সেটা আমারও জানা দরকার।
যেকোন সময়েই একগাদা পোস্ট দেখানো সম্ভব যেখানে সচল/হাচলদের নিজেদের মধ্যেই মতবিরোধ রীতিমত তর্কযুদ্ধে রূপ নিয়েছে - কিন্তু অশ্লীলতার একটাও উদাহরণ দেখানো যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
আমি সচল পড়তে শুরু করার পরে বেশ বড় একটা সময় নীরব পাঠকই ছিলাম, কোন পোস্ট বা মন্তব্য করিনি। কারণগুলো হচ্ছে-
১। নতুন একটা গ্রুপে যোগ দেয়ার অস্বস্তি, যেটা ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে উদ্ভুত - আমি মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করি না।
২। কখনো কোনকিছু লেখার অভিজ্ঞতা বা অভ্যাস কোনটাই না থাকা।
একদিন স্রেফ খামখেয়ালের বশে একটা পোস্ট পাঠিয়ে দিয়েই জড়িয়ে গেলাম সচলের সাথে। কাজেই আমার মনে হয়-
যাঁরা মনে করেন এটা এলিটদের জায়গা, তাঁরা অন্তত দু'একটা মন্তব্য বা পোস্ট করে দেখতে তো পারেন এটা আসলেই ওই রকম কিছু কিনা। যতদূর দেখেছি কোন সচল বা হাচলের পোস্টে কোন ধরনের প্রশ্ন করলে সেটার উত্তর সবসময়েই দেয়া হয় - এলিট ব্লু ব্লাড লোকজনের গ্রুপ হলে এই জিনিসটা হতো না। এখানে কেউই "এলিট" না, কেউ অভিজাতও না - কিন্তু সেটা বুঝতে হলে তাদের সাথে ইন্টার্যাকশন তো থাকতে হবে। এখানে সবাই যে অসাধারণ লিখিয়ে তা-ও না, আমার মত খুব সাধারণ মানের লোকজনও আছে।
যাঁরা মনে করেন মডারেশনের কারণে সচলে পোস্ট/মন্তব্য করবেন না, তাঁদের জন্য কিছু বলার নেই। মডারেশন আছে বলেই সচলের মান ঠিকমত আছে, এই জিনিসটা না থাকলে এটা স্রেফ মাছের বাজার হয়ে যাবে। একটা পোস্ট মডারেশনে আটকালে যদি কেউ হতোদ্যম হয়ে পড়েন তাহলে হয়তো তিনি পাবলিক কমিউনিটিতে লেখালেখি করার পক্ষে একটু বেশি সংবেদনশীল।
অতিথি-হাচল-সচল প্রক্রিয়াটা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের চেয়ে আলাদা এবং অত্যন্ত কার্যকরী। এবং এটা আসলে প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকত্ব বা ওই ধরনের কিছু নয়। এখানে প্রতিক্রিয়াটা লেখক সচল না হাচল না অতিথি অথবা তিনি কে সেটা দেখে হয় না। পূর্ণ সচল বানান ভুল করলে যেমন ধরিয়ে দেয়া হয় তেমনি অতিথি ভালো কিছু লিখলে সেটার প্রশংসাও করা হয়। এই তিন ধাপের পার্থক্য শুধুমাত্র মডারেশনে, এবং এই জিনিসটা কখনোই আমার কাছে কোন সমস্যা মনে হয়নি।
সেইসাথে মডারেশনকেও বলি, একটা লেখা রিজেক্ট করার সময় স্রেফ চার পাঁচ শব্দে কারণটা লিখে দিলে মনে হয় ভালো হতো - এটা না থাকলে নতুন অতিথিদের কাছে ব্যাপারটা রূঢ় মনে হতে পারে। একজন অতিথির একদম প্রথম দিকের কয়েকটা পোস্ট যদি আটকে যায় এবং তাকে এমনকি কারণটাও জানানো না হয়, তাহলে তার উদ্যম কমে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। প্ল্যাটফর্মের প্রতি কমিটমেন্ট আশা করা যায় প্ল্যাটফর্মের অংশ হওয়ার পরে (অন্য কথায়, অতিথি হিসেবে ইন্টার্যাকশন শুরু হওয়ার পরে)। মডারেশন যদি এখন আমার কোন পোস্ট আটকায়, আমার মনে হবে "নিশ্চয়ই ওটাতে কোন সমস্যা আছে" - তার কারণ এতদিনে মডারেশনের প্রতি আস্থাটা তৈরী হয়েছে। কিন্তু মডারেশন যদি আমার একেবারে প্রথম এবং দ্বিতীয় পোস্টটা পরপর আটকাতো, সেক্ষেত্রে আমার প্রতিক্রিয়া হতো, "এমনকি জানালো না পর্যন্ত কেন আটকেছে - লিখবোই না আর এখানে!"। আস্থা তৈরী হতে হলে তো সচলের সাথে কিছুদিন থাকতে হবে, একেবারে নতুন একজনের কাছ থেকে নিশ্চয়ই এতটা আশা করা যায় না। আমি এটা বলছি না যে নতুন লেখকদের ছাড় দেয়া হোক, আমি বলতে চাইছি অতিথিদের অন্তত স্রেফ এক লাইনে হলেও জানানো হোক কেন পোস্ট রিজেক্টেড হয়েছে (মন্তব্যের ক্ষেত্রে দরকার নেই)।
সেই সাথে আমি সচলের মডারেশন যথাসম্ভব কঠোর করার পক্ষপাতি।
কম ধৈর্য্যের অতিথি লেখকদের জন্য 'দলছুট' একটা আদর্শ হতে পারেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিনয় প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও বটে
সচলায়তন তার নীরব পাঠকদের ব্লগ-মিথষ্ক্রিয়ায় আরো উদ্বুদ্ধ করতে চায়, এটা জেনে ভালো লাগলো। তবে এইটুকু বলতে চাই, গত এক/দেড় বছরে নীরব পাঠকদের সরব করার ব্যাপারে সচলায়তন কিন্তু ইতিমধ্যেই বেশ অনেকটা সফল হয়েছে, অন্তত আমার তাই মনে হয়।
এই ধারা অব্যাহত থাকুক।
আর হ্যাঁ, আমি হাচল হইতে পারলে উৎসাহ বেশ খানিকটা বাড়ত, এতে সন্দেহ নাই
কৌস্তুভদা, ৫/৬ খান পোস্ট করছি, আর কয়খান পোস্টের পরে হাচল হতে পারব, এই রকম কোনো স্ট্যাট থাকলে শেয়ার করেন , আপনাকে আগাম
রিসেন্ট ট্রেন্ড এবং নিজের হাচল হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আমার মনে হচ্ছে সেই ম্যাজিক নাম্বারটা হচ্ছে আট । ঈদে নতুন কিছু ট্রাই করেন নাই? সেখান থেকেও কিন্তু দুই-একটা রেসিপি আমাদের জন্য "ঝেড়ে" দিতে পারেন, আর অন্য বিষয় তো আছেই । সোজা কথা আমি অচিরেই আপনার নবোদগত লেজ (নামের শেষে [অতিথি]) দেখতে পাচ্ছি
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
দিফিও'দা, আমার ঠিক মনে পড়ছে না কতগুলো পোস্টের পরে হাচল হয়েছিলাম, তবে হাচল হবার জন্যে মুখিয়ে ছিলাম এইটা ঠিক! তার মূল কারণ ছিল নিজের নামে পোস্ট দেখতে পাওয়া, আমি নিজের নামটা লেখার শেষে দিতাম তো, তাই সেটা যে আমার পোস্ট তা ভেতরে না ঢুকলে বোঝা যেত না।
যাই হোক, সম্ভবত ৪-৫টা পোস্ট আর প্রায় শতাধিক মন্তব্য করার পরে কনট্যাক্ট অ্যাট সচলায়তন-এ মেইল করে সচলায়তন টিম-কে অনুরোধ করেছিলাম আমার হাচলত্ব বিবেচনা করতে। আপনিও এটা করে দেখতে পারেন। আপনার পোস্টগুলোর লিংক দিয়ে দিতে পারেন মেইলে।
একটা ব্যাপার হলো যে হাচলত্ব আর সচলত্বে আমি খুব বেশি পার্থক্য পাই নাই। সচলদের লেখা তাঁরা ইচ্ছা করলেই সরাসরি পোস্ট করতে পারেন, আবার কোন বিষয় নিয়ে দ্বিধা থাকলে, মডারেশন ঘুরিয়েও পোস্ট করতে পারেন। হাচলেরাও লেখার বানান, বা টুকিটাকি এডিটিং করতে পারেন, কিন্তু পোস্ট পুনরায় সংরক্ষণের পরে তা মডারেশন প্যানেল আবার ঘুরে আসে, যাতে একটু সময় লাগে। এইরকম টুকিটাকি বিষয় ছাড়া আর কোন পার্থক্য পাই নাই। আমার কাছে তাই হাচল-সচল পার্থক্য জরুরি মনে হয়নি।
কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে সচলায়তন 'মিথস্ক্রিয়া' ব্যাপারটাকে সত্যি খুব গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক ভালো বা পপুলার পোস্ট লেখার পরেও নিয়মিত ইন্ট্যার্যাকশন না করলে সেটা খুব একটা কাজে দেবার কথা না মনে হয়। তারপরে ইন্ট্যার্যাকশনটা কেমন হচ্ছে, অধিকাংশ পাঠক, লেখকই কি তাতে বিরক্ত হচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধ-বাংলাদেশ-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে সচলায়তন ও সচলদের যে স্ট্যান্ডপয়েন্ট তার সাথে মিলছে কিনা এগুলোও জরুরি। নিজের পোস্টে এবং অন্যদের পোস্টে সবখানেই আলাপ, নিজের মতামত প্রকাশ, অন্যের মতামত শোনা, সে সম্পর্কিত প্রতিমন্তব্য করা জরুরি। শুধু নিজের পরিচিত কয়েকজনের পোস্টে বা বিশেষ কিছু টপিকের ক্ষেত্রেই মন্তব্য করবো, অথবা খুবই অনিয়মিত হবো, এইরকম করলে হাচল-সচল হবার সম্ভাবনা কমে যাবার কথা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
হাহাহা... আপনি তো ভাই নমাসে-ছমাসে একটা পোস্ট দেন, শেষ কবে আপনার পোস্ট পড়েছিলাম তা আমরাই ভুলে যাই, মডুরাও আপনাকে চিনতে পারেন না বোধহয়
কয়টা পোস্ট দ্যাওন লাগবো খালি কন। ঐ বাবুল চায়ের পানি গরম দে। আইজকা রাইতেই পঞ্চাশখান পোস্ট দিমু। দেহি সচল(হাচল) না কইরা কই যায়!
ধন্যবাদ সজল, কৌস্তুভদা আর যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, অত্যন্ত কাজের মন্তব্যগুলোর জন্য।
এই প্রসঙ্গে একটা দূরসম্পর্কের উদাহরণ দেই।
উত্তর আমেরিকায় চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে গেলে পারসোনাল সুইটাবিলিটি বলে একটা জিনিসেরও পরীক্ষা দেয়া লাগে। ইন্টারভিউর সময় তারাই সেটা এ্যাসেস করে নেয়। সচলের ক্ষেত্রে এই পারসোনাল সুইটাবিলিটি টা কী জিনিস? সেটা হলো আপনি সচলায়তনকে কতটা জানেন, এর নীতিমালার সাথে কতটা মানানসই সেটার পরীক্ষা। হুট করে এলেই তো কেউ বন্ধু হয়ে যায় না। বন্ধু হতেও সময় লাগে। সচলায়তনে সেই সময়টুকু দিতে হবে।
আগে ফেসবুকে ঢুকলেই দেখতাম চিনিনা জানিনা একগাদা মানুষের কাছ থেকে বন্ধু হওয়ার অফার। যেন ফেসবুক হাতে পেয়েছি তো দিলাম একটা মেইল চালিয়ে। একজনকে রিপ্লাই করলাম-- আপনি আমাকে চেনেন কিনা, কিংবা আমি আপনাকে কোনভাবে চিনি কিনা। ওমা, উনি এমন একটা উত্তর দিলেন, আমার আক্কেল গুড়ুম। বলে, এরকম প্রশ্ন নাকি মেয়েরা করে!
সচলায়তন এরকম বন্ধু চায়না। এখানে সব বিষয়ে মতের মিল হতে হবে এমন নয়, তবে মৌলিক কিছু বিষয়ে একমত হতেই হবে। সেটা বুঝতে সময় দিতে হবে। আর সচলায়তন তো যাচ্ছেতাই লেখার জায়গা নয়। আরে ভাই, এতদিন পরেও ইচ্ছে হলেই লিখে ফেললাম-- এমনটা করতে ভয় লাগে। এই ভয় কিন্তু ভুত দেখার ভয় না। বুঝতে হবে কোন্ ভয়ের কথা বলছি। এটা না বুঝলে বা বুঝতে না চাইলে দূরে থাকাই শ্রেয়।
হুট করে এলেই তো কেউ বন্ধু হয়ে যায় না। বন্ধু হতেও সময় লাগে। -- ঠিক এই কারনেই সচল আমার প্রিয়|
কারো কি কখনো মনে হয়েছে যে, সচলের 'এসো সবে মিলে করি দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ' প্রবণতা রয়েছে? (বস্ত্রহরণ যদি মইত্যা রাজাকারের এগেইনস্টে হয়, তাহলে থ্রি চিয়ার্স।)
সচলের কিছু প্রিয় শিকার রয়েছে, i.e : জাকের্নায়েক। এইখানে জাকেরকে সবাই বাংলা সাবান দিয়ে কেচে ধুয়ে দড়িতে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিচ্ছে, ওদিকে ফেইসবুকে তার পক্ষে ভলান্টিয়ার উকিলের অভাব নাই। যদি রাফলি ধরে নিই, আমার ফেইসবুক ফ্রেন্ড ইউনিটের মেজরিটি কলেজ ভার্সিটির কৃতবিদ্য জনগণ, তাহলে তার মানে কি দাঁড়ালো? শিক্ষিত (তথাকথিত?) সমাজের একটা বড় অংশের মন্তব্য সচলে অনুপস্থিত! প্রশ্ন হচ্ছে, সচল এদের কথা শুনতে আগ্রহী কিনা।
আরেক গিনিপিগ হচ্ছেন উ.শু.। ব্যক্তির সমালোচনা করতে হলে তার নাম বিকৃত করা জরুরৎ কেন, ওনলি হি (এন্ড সচল) নোজ।
বছরখানেক আগের কথা। এক অতিথি লেখকের লিখার ফলো-আপ দেখে মোটামুটি 'গেলুম গেলুম' দশা। মন্তব্যগুলি, যদ্দুর মনে পড়ে, এইরূপঃ
১. এটা একটা ফালতু পোস্ট।
২. এই পোস্ট কেঠায় ছাড়ছে রে?
৩. একটা ইমোটিকন, যেখানে দুই কার্টুন দুইপাশ থেকে মাঝখানের হতভাগার মাথায় ঠুয়া মেরে চলেছে। ইমোর জবাবে কয়েকটা থাম্বস আপ!
(এবং এই আন্তরিক মন্তব্যগুলো কোন নামগোত্রহীন অচলের কি-বোর্ড থেকে আসেনি, এইটুকু মনে আছে)
অতিথি লেখক, আমার সেই বন্ধুটির প্রাণশক্তি অসীম। ইতোমধ্যে সে হাচলত্ব জিনিয়াছে (এবং এই থ্রেডেই বর্তমান) । সুতরাং সংগত কারণেই লিখার লিংক দিব না।
এখন সচল যদি মনে করে, উপর্যুক্ত গঠনমূলক মন্তব্যের ফলশ্রুতিতেই বন্ধুটি আরো উৎসাহিত হয়ে লিখতে লিখতে সচলমেম্বর হয়ে গেছে, তাহলে ভেরি গুড।
আর যদি মনে না করে, তাহলে একটু নতুন করে ভাবার অবকাশ আছে বোধহয়।
আপনার মন্তব্য ঠিক ভাবে ইন্টারপ্রেট করতে পারলাম কিনা জানিনা, আমার বোঝায় ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন দয়া করে-
জাকের নায়েক এর প্রতি মানুষের বিদ্বেষ থাকতেই পারে, যাদের নেই তাদের একাধারে শিক্ষিত রুচিসম্পন্ন তালিকায় ফেলে দিয়ে সচলের বাইরে রাখা হচ্ছে এমন বললে চলে কি করে?
সচলে যাদের জাকের নায়েক কে অর্ধ-শিক্ষিত, ধর্ম-ব্যবসায়ী মনে হয় তারা সেটা স্পষ্ট করে বলেন। যাদের তেমন মনে হয় না, তাদের মন্তব্য কি মডারেশনে বাদ পড়ে বলে মনে করেন? তাহলে ভুল ভাবছেন।
মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য চলেই ধর্ম বিশ্বাস/অবিশ্বাস নিয়ে। জাকের নায়েকের পক্ষেও কথা বলে লোকে বিপক্ষেও।
নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে কেউ যদি যুক্তির তোয়াক্কা না করে, আর শেষে রণে ভঙ্গ দেয়, আর তাতে লোকে মনে করে একে বেশ সচল থেকে ভাগিয়ে দেয়া হয়েছে , তাহলে সেই ভাবনাটা সঠিক হয় না আসলে।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
ভাই/বোন সাত্যকি,
আপনার বক্তব্যের সাথে ঠিক একমত হতে পারলাম না।
এটা ঠিক এখানে অনেকের মানসিকতাই হয়ত একই রকমের অনেক ক্ষেত্রে কিন্তু সবে মিলে করি কাজ (বস্ত্রহরণ টাইপ) এখানে হয় না।
আর জাকির নায়েক কিংবা উৎপল শুভ্র কে শিকার বানানো হয় এরকমটা আমার মোটেই মনে হয়নি। তাদের কর্মকান্ডের সমালোচনা করা যদি তাদেরকে শিকার বানানো হয়ে যায় তাহলে অবশ্য ভিন্ন কথা।
নাম বিকৃতি নিয়ে এর আগে যারা নাম বিকৃতি করেছে তারা মনে হয় উত্তরটা দিয়েছে। তবে এটা ঠিক মাঝে মাঝে উত্তেজনাবশত কিছু উল্টাপাল্টা মন্তব্য হয়ত হয়েছে, সেটাকে আমি ব্যাতিক্রম হিসেবেই ধরব।
আর অতিথি লেখকের পোস্টে আক্রমনাত্মক মন্তব্য সাধারণত করা হয়না, ভুল হলে তাকে ভুলটি ধরিয়ে দেয়া হয় অনেকক্ষেত্রেই। তবে এখানেতো কেউ কারো গুরু না যে সব ভুল ধরিয়ে দিবেন। পাঠক আগ্রহী না হলে এটা লেখকের দায়িত্ব কিভাবে পাঠককে আগ্রহী করে তোলা যায় সে ব্যাপারে নজর দেয়ার, তাই না?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
@সুরঞ্জনাদি
জাকের-তপস্বীদের মন্তব্য মডারেশনের কোপে পড়ে না-- বেশ ধরে নিলাম। তাহলে যেহেতু তারা সচলে অনুপস্থিত (দুয়েক জায়গায় মিউ মিউ মন্তব্য থাকতে পারে, আমার ইয়াদ নাই), আমি কি ধরে নেব, জাকের ভক্তকুলের ইন্টারনেট এক্সেস নাই, থাকলেও গুগলে 'মেগান ফক্স' সার্চ ব্যতীত অন্য সাইটের খোঁজ জানা নাই, জানা থাকলেও বাংলা টাইপিং মকশো করা নাই?
কিন্তু ফেইসবুকের স্ট্যাট তো সেইটা বলে না।
জাকের্নায়েক বাদ, ধর্ম প্রসঙ্গে আসি। সচলে নাস্তিক্যবাদ এবং তৎপ্রাসংগিক পোস্ট বেশুমার। পড়ে ধারণা করা স্বাভাবিক, ঈশ্বরের দশা মুমূর্ষু। বাস্তবতা মোটেও তা নয়। কয়েকদিন আগেই দেখলাম, আমার এক ঘনিষ্ঠ অধুনা- ইসলামে-হাফেজ বন্ধু (প্রাক্তন প্লেবয়) বিশাল এক ফেসবুকীয় পোস্ট করে হাড়ে হাড়ে প্রমাণ করে দিয়েছে, বড়ব্যাঙ (bingbang) থেকে শুরু করে অর্থনীতি-রাজনীতি যাবতীয় সূত্রের সুতিকাগার হচ্ছে দ্য হলি কোরান। সেই পোস্ট লাইক এবং শেয়ারের সংখ্যা আরেকটু হলে চার অংক ছুঁতে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন হচ্ছে, সচলে এরা অচ্ছুত কেন? অথবা এদের কাছে সচল অচ্ছুত কেন?
যদি সচল বলে, 'আরে এরা সচলে লিখে না তো আমি কি করুম?' তো আর কি, আমি অফ গেলাম।
সন্দেশের এই পোস্ট পড়ে আমার মনে হয়েছে, নিরব পাঠকের ব্যাপারে সে আর উদাসীন থাকতে চাইছে না। সে এখন নিজের দিকে আঙুল ফেরাতে চাইছে। সেজন্যই এত কথা। নইলে আর কি? যেমন চলছে চলুক। গোল্ডফিশের একুরিয়াম থেকে আমরা দুনিয়া দেখতে থাকি।
সোজা প্রশ্ন হচ্ছে, সচল কি মুক্ত/ মডারেটেড মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যম? এর মডারেটররা কি দেশ, মুক্তিযুদ্ধচেতনা প্রভৃতি কমন গ্রাউন্ড ছাড়াও আরো কোন বিশেষ ধারণা প্রমোট/ নরিশ করে?
--------------
@ভাই পাগল মন
প্রথমেই আপনাকে কইশ্যা মাইনাস। 'সাত্যকি' নামটা জেন্ডার ইনভ্যারিয়েন্ট মনে হচ্ছে?
নাম বিকৃতি বিষয়টা সচলে প্রায় বিবমিষার পর্যায়ে চলে গেছে। নিচে দেখুন, আরেকজন পাঠক আসিফ ভাইও এই বিষয়টার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যদি এটাকে 'উত্তেজনাবশত "কিছু" উলটাপালটা মন্তব্য'/ 'ব্যতিক্রম' বলে আদুরে মলম বুলিয়ে দিতে চান, তো আর কি? যেমন চলছে চলুক। প্রণমহি সচলমাতা!
অতিথি লেখকের পোস্ট যদি ভালো লাগে, তো 'খুব্বালা/ লক্ষ তারা' বলাটা হয়তো যথেষ্ট, কিন্তু খারাপ লাগলে 'ফালতু পোস্ট' বলে সটকে পড়াটাকে ঠিক 'চমৎকার' বলে ব্যাখ্যা করা যায় না, বিশেষত সে মন্তব্য যদি সচলের একজন দুঁদে তারকার কাছ থেকে আসে। (আগেই বলেছি, ঐ পোস্টের লিংক দিবনা, আপনাকে আমার কথা আপাতত বিশ্বাস করে নিতে হবে।)
লেখক আশা করতেই পারে, তার যে পোস্ট মডারেশনের বেড়া পেরিয়ে এল, 'কেন সেটা একটা ফালতু পোস্ট' সেটার একটা ব্যাখ্যাও মন্তব্যকারী (বাই ডিফল্ট ধরে নিলাম, সচলিয়ানরা/ হাচলিয়ানরা দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন) কষ্ট করে দিয়ে যাবে।
এই আর কি!
আমার মনে হয়, তাদেরও ধারণা আছে যে ওইধরনের গাঁজাখুরির স্থান সোনাব্লগ-টাইপের সাইটই, সচল নয়, তাই এখানে আর ওসব গল্প ফাঁদতে আসে না। আর যদি দুয়েকজন এসেও থাকে, তাহলে তাদের গাঁজাখুরি না ছাপানোর বিচক্ষণতা সচলের মডুদের আছে বলেই মনে করি।
সচলেই কিন্তু আমি 'সাইদ আহমেদ' নামের এক ভদ্রলোকের পোস্ট পড়েছিলাম একটি হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা নিয়ে। তাই, সচল নাস্তিকদের ব্লগ, একথাটা আমি অন্তত মানি না। সমস্যা হচ্ছে, জনগন কিন্তু অনেক সময় 'মুক্তমনা' আর 'সচল' কে গুলিয়ে ফেলে। মুক্তমনা নাস্তিক ব্লগ (পপুলার ধারণা), সচলও তাই। এজন্য ডকিন্সখুড়োর শিষ্যরা সচলে লেখা দিতে যতোটা ফিল ফ্রি করেন, জাকির নায়েকের কোন ভক্ত ততোটা না। জাকির সাহেবের কোন শিষ্য যদি ভালো কোন লেখা দিতেন, আমরা সাধারণ পাঠকরা কিন্তু মুদ্রার অপর পিঠটা দেখতে পারতাম। এক একজন এক এক বিশ্বাস থেকে লিখতে বসেন। সেই বিশ্বাসকে 'গাঁজাখুড়ি' বলে উড়িয়ে দেয়া মনে হয় ঠিক না। যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে মূল্যবান। তাকে শ্রদ্ধা করতে শেখা উচিত আমাদের। তা না হলে মৌলবাদী আর আমাদের মধ্যে তফাৎটা কৈ থাকবে?
পূর্ণ সচল না হয়েও অনেক কথা বলে ফেললাম। অপরাধ মার্জনীয়
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
জাকির নায়েকের ভক্তশিষ্যদের জন্য তো সচলায়তন খুবই অসোয়াস্তির জায়গা হওয়ার কথা। এই অসোয়াস্তির পরিমাণ যাতে সময়ের সাথে বাড়ে, সেটা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই সচলায়তন কাজ করে যাবে। কোনো ধর্মব্যবসায়ীর চামচা এসে "মুদ্রার অন্য পিঠ" সচলে দেখাবে, ভাবতেই তো বমি পাচ্ছে!
আপনি সম্ভবত এই পোস্টের উদ্দেশ্যকে ভুল বুঝেছেন। সচলায়তন কোনো "ব্যালান্স"-এর খাতিরে নীরব পাঠকের মতামত জানতে চাইছে না। ছাগু, জাকির নায়েকের চামচা ... এদের ভাই ডেকে বুকে জড়িয়ে ধরার ইশারাও এই পোস্টে নেই। সচলায়তনের নীরব পাঠকের ছাগু অংশের মতামতের গন্তব্য মহাকালের কমোড। আমরা মূলত সেইসব নীরব পাঠকের মন্তব্য শুনতে আগ্রহী, যাদের মন্তব্য সচলায়তনকে তার মূলনীতির সাথে কমপ্রোমাইজ না করে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। কাপিশ?
আমি যদি বিশ্বাস করি যে রোজ সকালে আমার কান থেকে একটা সোনার পাখি উড়ে বেরিয়ে আসে, আর আপনি যদি সেটাকে গাঁজাখুরি বলে মনে না করেন, তাহলেই বরং আপনার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে। আমি যদি বিশ্বাস করি, যে আপনার একটা ভল্লুকী'র সাথে অ্যাফেয়ার আছে, আপনি কি সেটাকে বসে বসে শ্রদ্ধা করবেন? তাই গাঁজাখুরি একশ'জনে বিশ্বাস করলেও গাঁজাখুরিই থাকে। সচলে যৌক্তিক ভিন্নমতকে সম্মান দেওয়া হয়, বলদার্গুকে নয়। হিমুদার কমেন্টদুটো দেখবেন।
আর সচলায়তন তো 'রুদ্ধমনা' নয় বটেই।
সাত্যকিঃ নায়েকিয়ান এবং ইসলামী তত্ত্ববিদদের ব্যাপারে - আমার মনে হয় তারাও খুব ভালোমত জানে যে এখানে যা ইচ্ছা তাই লিখে পার পাবে না এবং এটা ফেসবুকের মত রেস্ট্রিক্টেড মাধ্যম নয়, আকাশ থেকে নামিয়ে এনে যুক্তি দাঁড় করালে সেটা পালটা যুক্তির আক্রমণ এড়াতে পারবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই পালটা যুক্তিগুলো খন্ডন করার মত সাধ্য নায়েকীয় গোষ্ঠী বা ইসলামে বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের থাকে না। আমার ধারণা এই কারণেই তারা এখানে আসে না - এখানে এসে পালটা যুক্তিতে পর্যুদস্ত হওয়ার চেয়ে কি ফেসবুকে চার সংখ্যার "লাইক" পাওয়া অনেক ভালো না?
নাম বিকৃতির ব্যাপারে আমি আপনার সাথে একমত। এই জিনিসটা বাড়াবাড়ি হোক আর না-ই হোক কোন সমর্থনযোগ্য ব্যাপার বলে মনে হয়নি আমার কাছে।
সচলায়তনের শক্তি বোধহয় এইখানেই, যে হাজার খানেক বলদ ফেসবুকে জাকির নায়েকের প্রশস্তিতে লাইক মেরেও জাকির নায়েককে সচলায়তনে পাঙক্তেয় করে তুলতে পারে না। এই বলদবিমুখিতা সচলায়তনের একটা বৈশিষ্ট্য, অনেক বৈশিষ্ট্যের মতো এটা বজায় রাখার কাজই সচলরা করে চলেছেন। কাজেই কোনো বলদ যদি জাকির নায়েকের হামদ গাইতে আসে, তাকে দল বেঁধে ধুয়ে দেয়ার উচিত কাজটা করার মতো কয়েকজন সচলে সব সময়ই থাকবেন। ফেসবুকে কয়জন কীসে লাইক দিলো, কিংবা বাংলাদেশের কয় কোটি লোক কী ভাবলো, সেই বিবেচনায় সচলায়তন চলে না।
পোস্টের মেজাজের সাথে হয়তো যায় না, তবু প্রশ্নটা করি। সচলে এলিট কারা কারা? জান্তে মঞ্চায়
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
মনে হয় আপনের কথা কইছে।
আমি এলিট হলে আপ্নে কি জনাব?
এলিটত্ব নিয়া আসলে স্পস্ট হইতে চাই। ফকিররা মিলে তৈরি করলো সচল। তারাই এইটা চালায়। এরা না কোন জাতের পদের লেখক, না আছে কোন স্বিকৃতি। এখানে প্রান্তবর্তি সব লোকজন (লেখালেখির ক্ষেত্রে), তাদের এলিট বলাতো ঠিক না। এলিট হতে হলে কত কিছুর প্রয়োজন। এককালে এলিট হতে হলে নামের আগে পিছে উপাধি টুপাধির প্রয়োজন হতো। এখন বড় বড় ছায়ার দরকার। সচলেরতো এমনতরো ছায়া নাই, অন্যের ছায়া হবার ইচ্ছাও সম্ভবত সচলের নাই। তারপরও নিয়মিত বিরতিতে এলিট শব্দটা শুনলে ভালো লাগে না।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপ্নে এলিট, আমি পৌঁনে এক শাহাদাত!
আমি সাদাত, এলিট ব্লগার হইতে চাই।
একটা অতিরিক্ত 'হা' লাগায়া ফেলো নামের মধ্যে এইযাত্রা! এলিট হওয়া ঠেকায় কে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হা লাগাতে হবে না মনে হয়। কথা বলার সময় একটু বড় করে হা করলেই চলবে।
মনির হোশেন শুনলাম নাম পাল্টাইছে! মনির হোশেনের নতুন নাম নাকি শাহাদাত হোশেন মনির?
আমি নাম বদলায়া অনার্য শাহাদাত সঙ্গীত আল ফর্সা ত্বক আল সোজা হন্টক আল শশ্রুসহ পাকিবিম্ব রাখমু!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনে কি ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা? হাঁটার সময় সোজা হয়ে হাঁটেন নাকি 'গুজা' হয়ে হাঁটেন? দাড়ি না কাটলে কি আপনাকে আফ্রিদির মত মনে হয়? তাহলে আর ভাবনা নেই। আপনি জন্ম থেকেই এলিট ব্লগার।
+ আপনি কি খালি গাড়ি বদলান? আগে গার্লফ্রেন্ড আছিলো এখন নাই? সারাবছর ব্লগিং করেন আর তিনমাস রেশট নেওয়ার টাইমে বাংলা সিনেমায় অস্কার পাওয়ার মত অবদান রাখতে বদ্ধ পরিকর?
অপরের কথা জানিনা। আমার নিজের কথাই বলি। সচলায়তন ব্লগটি পড়ছি অনেকদিন থেকে। মন্তব্য লেখা শুরু করেছি কিছুদিন হল। কারন, বাংলা ফন্টে লিখতেই জানতামনা। আর মন্তব্য কি ভাবে করতে হয় সেটাও জানা ছিলনা। আপনাদের মধ্যে কেউ যদি এবিষয় দুটি সম্পর্কে বিষদ লেখেন, অর্বাচিনের ধারনা, বোধহয় কিছুটা কাজ হবে।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
কোন বিষয়টা নিয়ে বিশদ জানতে চাইছেন পরিস্কার বুঝলাম না। ঠিক কোন দিকটা জানতে চান আরেকবার বলবেন কি ? তাহলে হয়ত জানানো যেত।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপ্নেও কি মডু?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
...নাহয় পরোপকারী জীব সেজে একটু নেকি হাছেলের ধান্দা করছিলাম, তাই বলে এরকম অপবাদ দিলেন !
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আশালতা সংরক্ষিত মহিলা মডু আসনের প্রথম মহিলা মডু। বিশ্বস্ত সুত্রে খবর পেলাম দ্বিতীয় মহিলা মডু নিয়োগ দেয়া হচ্ছে শীঘ্রই যেন উনারা মডু সংসদে বসে চুলোচুলি করিতে পারেন।
আমাদের জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত চুলাচুলির ঘটনা ঘটে নাই। আর আপনি সচল সংসদে হেন কর্ম আশা করে জাতীয় সংসদের অবমাননা করেছেন।
আমাদের জাতীয় সংসদে এখন পর্যন্ত চুলাচুলির ঘটনা ঘটে নাই। আর আপনি সচল সংসদে হেন কর্ম আশা করে জাতীয় সংসদের অবমাননা করেছেন।
নিয়মিত নিরব পাঠক হিসাবে আমার কয়েক ছত্র:
১. অনেকেই বাংলায় লেখার সমস্যার কথা বলেছেন। সচলায়তনে বাংলা মন্তব্য/পোস্ট লেখার জন্য মেনু বারে প্রবেশ বাটনের " কিভাবে বাংলায় লিখবেন" জাতীয় একটা অপশন রাখা যেতে পারে।
২. ইদানীং মডারেশন পার হয়ে বেশিসংখ্যক অতিথি পোস্ট বের হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ক'জন অতিথি হাচল হয়ে গিয়েছেন। আমি মডারেশনের পক্ষপাতী, তাতে মানটা বজায় থাকে। অস্বীকার করার জো নেই, সচলায়তন বাংলাদেশী ব্লগগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানসম্পন্ন। যদিও সচলায়তন নিজেকে ব্লগ নয়, অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটি হিসাবে দাবি করে।
৩. আমার ধারণা 'ভালো হয়েছে/চমৎকার হয়েছে' এই জাতীয় মন্তব্যগুলো বেশিরভাগই ব্যক্তিগত সম্পর্কের নৈকট্য থেকে আসে। যেমন ধরুন, সাইফ তাহসিনের সাথে অনিকেতের সম্পর্ক অনেক বেশি 'ক্লোজ' (আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চিনিনা, ব্লগে ইন্টার্যাকশন দেখে বলছি)। কাজেই সাইফ একটা পোস্ট করলে অনিকেত সেখানে মন্তব্য করবেনই এবং অনেক ক্ষেত্রে সেটা পোস্ট পড়েছি এটা জানান দেবার জন্যই হয়। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে যদি কোন পোস্ট ১০টি নতুন মন্তব্য দেখে আপনি পোস্টটা আবার পড়ার জন্য খুলে দেখলেন সেখানে ভালো হয়েছে বা কিছু ইমোটিকন ছাড়া নতুন কিছু নেই, তবে বিরক্ত আপনি হতেই পারেন। তবে মেনে নিতে হবে, খুব কম পোস্টেই ভাল আলোচনার সুযোগ তৈরি হয়।
৪. সচলায়তনের সদস্যরা প্রথম দিকে নিজেদের এলিটিস্ট ভাবতো (এটা একেবারেই ব্যক্তিগত মতামত)। তবে ইদানীং এলিট ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসছে। উদাহরণ এই পোস্টটাই হতে পারে, যেখানে নিরব পাঠককে কিভাবে আরো সম্পৃক্ত করা যায় তার উপায় ভাবা হচ্ছে।
৫. সহনশীলতা আগের চেয়ে একটু বেড়েছে অথবা মডারেশন পজিটিভভাবে সক্রিয়। আগে কোন কোন 'আউট অফ দা লাইন' অতিথি মন্তব্যকারীকে ধুয়ে ফেলা হত। আমার তখন মনে হত, যদি এর মতামত গ্রহণযোগ্য নাই হয়, তবে তা কেন ছাড়া হল- হয়তো স্রেফ মজা করার জন্যই ছাড়া হত কিছু কিছু মন্তব্য।
৬. যেটা সবচেয়ে বেশি অগ্রহণযোগ্য সেটা হল নামের বিকৃতি - আপনি যখন কাউকে বিকৃত নামে ডাকবেন, তার শ্রদ্ধা/বিশ্বাস অর্জন করার কোন সুযোগই আপনি ভবিষ্যতে পাবেন না। আমি বিশ্বাস করি এবং মেনে চলি, একজনকে যদি আপনি ন্যূনতম সম্মানটুকু না দেখান, তার সম্মানটা আপনি কখনই পাবেন না। উদাহরণ, মুসা ইব্রাহীম বিতর্ক। হিমু/কাজী মামুনকে সামহোয়্যারইনে নানানভাবে ডাকা হচ্ছিল, তার অভিযোগ উনারা এখানে করছিলেন। কিন্তু তারা যে একই দোষে দুষ্ট, সেটার কথা বোধহয় তারা ভাবেননি। মোদ্দা কথা, একটা বাজে কথার অন্তর্ভুক্তি অনেক ভাল লেখার মেরিট নষ্ট করে দেয়। আমি মতামত প্রদর্শনে রাগিব/মাহবুব মুর্শেদ এর নীতির ভক্ত।
৭. একটা জিনিস ভাল লাগেনা, সেটা হল একযোগে আক্রমণ (মাসকাওয়াথ আহসান/মামুন হক - এদের ত্রুটি ছিল নিশ্চয়ই, কিন্তু জোটবদ্ধতার সামনে একজন ব্যক্তি অসহায় পড়েন)। হয়তো সামহোয়্যারইন যুগে প্রতিপক্ষ মতের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধতার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখানে তার প্রয়োজন তেমন নেই মনে হয়। সেক্ষেত্রে এক-দু'জনই যথেষ্ট ছিলেন তাদের সামলানোর জন্য। এছাড়া আরেকটা জিনিস অদরকারী মনে হয়েছে - কোন বিষয়ের প্রতি প্রয়োজনাতিরিক্ত মনোযোগ। আমার ধারণা মেহেরজান সচলায়তনে যতটা মনোযোগ পেয়েছে, তার এক-দশমাংশ সে ডিজার্ভ করেনা। লেবু অতিরিক্ত কচলানোর ফলে মেহেরজান পরিচালকের লাভই বেশি হয়েছে সম্ভবত, আলোচনায় এসেছেন। আর দশটা ফালতু ছবির মত এটা হারিয়ে যেত চোখের আড়ালে। ডক্টর ইউনূসের কেবল নেগেটিভটা আলোচিত হয়েছে বেশি, তার পজেটিভ কিছুদিক তেমন বেশি আলোচিত হয়নি। যেকোন বিষয়ে বিরুদ্ধ মতকে স্বাগত জানানো যেতে পারে। কিন্তু যেহেতু সচলায়তন একটা ক্লোজড গ্রুপ সেক্ষেত্রে অনেকে হয়তো এখানে লিখতে চাননা/পারেননা। এক্ষেত্রে ঐ বিষয়ে অন্য ব্লগে/সাইটে সক্রিয় কাউকে সচলায়তনে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে তার মতামত প্রদানের জন্য। ক্ষেত্রবিশেষে অন্য কোথাও প্রকাশিত তার লেখাটাই অনুমতিসাপেক্ষে সচলে পুনঃপ্রকাশ করে আলোচনা চালানো যেতে পারে।
৮. সচলায়তনের প্রথমদিকে ভালই পিঠ চাপড়াচাপড়ি হত, ইদানীং অনেক কমেছে। তবে নবীন লেখকের প্রতি প্রশ্রয়/মনোযোগ বাড়ানো উচিত, এতে উৎসাহ বাড়ে। অভ্যন্তরীণ পরমতসহিষ্ণুতা বেড়েছে কিছুটা (অনেকে চলে গিয়েছেন, কাজেই মনে হয় যারা রয়ে গিয়েছেন, তারা একই মতের)।
৯. আমার ধারণা সচলায়তনে তিন ধরনের লেখকের (ব্লগার বললাম না) প্রাধান্য বেশি- প্রবাসী, ছাত্র আর সাংবাদিক/মিডিয়াসংশ্লিষ্ট। ফলে সচলায়তনে অনেক সময়ই বাংলাদেশে চলমান/আলোচিত কিছু বিষয় 'আউট অফ ফোকাস' থেকে যায়, যেটা অন্য ব্লগগুলোতে অধিকতর আলোচিত থাকে। সন্দেশ এ বিষয়ে একটা অভ্যন্তরীণ জরিপ করতে পারে। এছাড়া লেখালেখি নিয়ে সচল/পাঠকদের চাহিদা, পছন্দ ইত্যাদি বিষয়গুলো জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
১০. মোটা দাগে সচলায়তনের লেখাগুলোকে রাজনীতি, বিজ্ঞান, ভ্রমণ, গল্প, কবিতা/ছড়া, স্মৃতিচারণ, ব্লগরব্লগর ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। তুলনামূলকভাবে বুক/সিনেমা রিভিউ এর পরিমান কম থাকে। অর্থনীতি নিয়ে লেখার পরিমাণও কম। তবে সচল/অতিথিরা না লিখলে সচলায়তন কী করতে পারে!
১১. পুরনো ভাল কিছু লেখককে সক্রিয় করার ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কনফুসিয়াস, সংসারে এক সন্ন্যাসী, রাগিব, জ্বিনের বাদশা, আলমগীর, সাইফ শহীদ, সিরাত - এই মুহূর্তে এদের নাম মনে পড়ছে।
১২. সচলায়তন প্রতিষ্ঠাতা/মডারেটরদের এখন একবার পেছনে ফিরে তাকাবার সময় এসেছে। গেল বছরগুলোর অর্জন-ক্ষতি-অগ্রগতি-বিবাদ-বিসম্বাদ সবকিছুর একটা রিভিউ করে দেখা যেতে পারে। ভবিষ্যতের লক্ষ্যটাও নির্ধারণ করে নেয়া যেতে পারে।
এই মন্তব্যটা আমার পছন্দ হয়েছে। এখানে শুধু থাম্বস আপ দেখালে কি সমস্যা হবে?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
চমৎকার মন্তব্য।
"মেহেরজান সচলায়তনে যতটা মনোযোগ পেয়েছে, তার এক-দশমাংশ সে ডিজার্ভ করেনা। লেবু অতিরিক্ত কচলানোর ফলে মেহেরজান পরিচালকের লাভই বেশি হয়েছে সম্ভবত, আলোচনায় এসেছেন। আর দশটা ফালতু ছবির মত এটা হারিয়ে যেত চোখের আড়ালে।"
একেবারেই একমত নই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পদদলিত করতে চায় এমন যে কোন তথাকথিত শিল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এমনই হওয়া উচিত। ভুলে গেলে চলবে না যে দেশের সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকায় নির্লজ্জতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে বারবার "মেহেরজান" কে promote করার জন্য কলাম লেখা হয়েছে।
অনেক সচল কেই খুব বেশি মিস করি। একজনের নাম না বলে পারছি না, স্নিগ্ধাদি।
সচল এলিট লেখকদের জায়গা এই ভাবনা আমার ও ছিলো। কিন্তু সাহস করে কমেন্ট করে দেখলাম যে ৫ মিনিটেই তা প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীতে যতবারই কমেন্ট করেছি সর্বনিম্ন দুই মিনিট থেকে আধা ঘন্টার ভিতর ছাপা হয়েছে। সুতরাং কমেন্ট করলে প্রকাশিত হয়না কথাটা ঠিক নয়। তবে গঠনমুলক কমেন্ট প্রকাশিত হবার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে এটা অবশ্যই আশা করা যায়।
একজন বলেছেন কমেন্ট করতে পারেন কিন্তু পোষ্ট দিতে পারেন না। কমেন্ট করলেও কোন যুগে প্রকাশিত হবে তাও জানেন না। প্রকাশিত হবার মত পোষ্ট (তা অত্যন্ত হাই থট কিছু হতে হবে এমন কোন কথা নেই) হলে ছাপা না হবার কারন কি আছে? আমি সাহস করে একটা ভ্রমন কাহিনীর কিছু অংশ লিখে রাত প্রায় দেড়টার দিকে ঝোকের মাথায় পোষ্ট করে আতংকিত হয়ে বসেছিলাম আর ভাবছিলাম এটা কি করলাম। আমাকে ব্যাপক অবাক করে দিয়ে তা প্রকাশিত ও হলো আধাঘন্টার মাথায়। আমার ঐ লেখায় শুধু বানান ভুলই ছিলনা, ছিলো সম্পাদনাজনিত দুর্বলতা ও। কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম প্রায় চারশ'র বেশি পাঠক দরদ দিয়ে পড়েছেন, গঠনমুলক উপদেশ দিয়েছেন, কেউ কেউ চমৎকার ও বলেছেন এবং প্রায় সবাই পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠিত সচল লেখক ও আছেন যাদেরকে আমি অত্যন্ত এলিট ভাবতাম। কিন্তু একজনও আমাকে বানান বা গ্রামার ভুল ধরিয়ে দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা করেননি আমি কত নগন্য লেখক। এটা আমার জন্য একটা বিরাট কনফিডেন্স বুষ্টার। সচল শুধু এলিটদের জায়গা এই ভুল তখনি ভাঙ্গলো।
আমার কথা হচ্ছে লেখা শুরু করলেই হয়। বিষয়বস্তু নির্বাচনে নিজের আগ্রহ আর ষ্ট্রেংন্থ নিজেকেই বুঝতে হবে। তারপর শুধু গুছিয়ে লিখতে শুরু করা। একজন আমাকে বলেছেন খুলে লিখতে মানে বাইরের প্রভাবমুক্ত হয়ে বুঁদ হয়ে লিখতে। কথাটা অতি সত্যি। কে কি ভাববে লেখার সময় সারাক্ষন এই চিন্তা মাথায় আসলে লেখার ভিতর তার প্রতিফলন ঘটতে বাধ্য।
পরিশেষে বলছি সচলায়তনে লিখতে গিয়ে কি প্রতিবন্ধকতা আছে এই চিন্তা না করে আমরা অতিথিরা যদি নিজেরা সাহস করে লিখে ফেলি আর লেখার মান বাড়ানোর দিকে সচেষ্ট হই (হুমায়ুন আজাদ হতে বলছিনা, একটু অর্গানাইজড্, লেখার এক অংশ থেকে অন্য অংশে স্মুথ ট্রানজিশন এই সব আর কি) তাহলেই বোধকরি সব সমস্যার সমাধান। প্রতিদিন অনেক অতিথি লেখকের লেখা ছাপা হচ্ছে এবং তা হচ্ছে তথাকথিত সব সচলীয় প্রতিবন্ধকতা (এলিট লেখকদের জায়গা, মডু হস্তক্ষেপ, স্লো ব্যান্ডউইডথ্ , নোটিফিকেশনের অভাব, বিরূপ সমালোচনা ইত্যাদি ইত্যাদি) জয় করেই। সুতরাং নিজের লেখা প্রকাশ করতে চাইলে নিজের আগ্রহই মনে হয় প্রধান ও একমাত্র নিয়ামক।
এত কথা বলে আমি আসলে আমার নিজেকেই শক্তি যোগাচ্ছি, অন্যকে উপদেশ দেবার জন্য না, সে ধৃষ্টতা আমার নেই। ধন্যবাদ সবাইকে।
সচলে বিরাট একটা অংশ নীরব থাকে সত্যি। যাদের বেশীরভাগ রেজি করেনি। কিন্তু তাই বলে অতিথিদের নিয়ে আশংকিত হবার কোন কারণ দেখিনা। কারণ সচল আজকাল অতিথিদের নিয়েই সরগরম থাকে। বিশেষ করে অতিথি বা হাচলদের সক্রিয় আড্ডা আর নিয়মিত অংশগ্রহন প্রমান করে যে এটা এলিটদের জায়গা না।
তবে সচল হলো ধৈর্যের জায়গা। ধৈর্য-তমই যোগ্যতম এখানে। ঢাকা ট্রাফিক জ্যামের যাত্রীদের ধৈর্যের মতো। পোষ্ট করতে কমেন্ট করতে ধৈর্য পরীক্ষার আইটেমগুলো কমাতে পারলে অতিথির সংখ্যা আরো বাড়তে পারতো। সার্ভারে ঢোকার গতি বাড়াতে পারলে এই সমস্যার সমাধান হতো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সচলের সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে এর পরিচ্ছন্নতা।
'মন্তব্যের নোটিফিকেশন' নিয়ে মেইল দরকার নাই। এইটা তেমন কাজে লাগেও না। আগ্রহের বিষয়ে আলোচনা চললে নিজে এসেই বার বার দেখে যাবে পাঠক/লেখক/মন্তব্যকারী।
তবে, অতিথিরা পোস্ট করার পরে কোনো একজন মডারেটর তো ম্যানুয়ালি 'এক্সেপ্ট বা রিজেক্ট' বাটনে ক্লিক করেনই। তাই সচলের সিস্টেমের মধ্যেই সে বিষয়ে লেখকের কাছে একটা অটোমেটেড মেইল চলে যাবার ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়। খুব একটা ওভারলোডও হবার কথা নয় এতে।
একটা লেখা পোস্ট করার পরে এক বুক আশা নিয়ে দুই দিন অপেক্ষার পরে যদি বুঝতে হয় যে আমার লেখাটা সত্যিই রিজেক্ট হয়েছে তাহলে হতাশাটা তীব্রই হয় শুধু শুধু। তাই পোস্টের পরিনতি 'নিশ্চিত জানা' অনেক মানবিক। আবার লেখা এক্সেপ্ট হবার পরে মেইল আসলে সেই লেখক খুশি মনে এসে জনে জনে (বন্ধুদের মাঝে) শেয়ার করতে পারেন লেখাটা! এ ধরনের নোটিফিকেশন মেইল না চাইলে পোস্ট করার সময় একটা চেকবক্স রাখা যেতে পারে। সেখানে টিক দিলে বা না দিলেই হলো।
সব মিলিয়ে অতিথিদের পোস্টের (এক্সেপ্ট/রিজেক্ট) নোটিফিকেশন ইমপ্লিমেন্ট করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠদেরকে গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখতে বলবো।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
সচলের সমস্যা হলো এখানের কয়েকজন ব্লাইন্ড সচল যেমন,প্রকৃতিপ্রেমিক , হিমু। এখানে দলবেধে আক্রমনের ইতিহাস অনেক। প্রকৃতিপ্রেমিক এর মতো ব্লাইন্ড সচল যেমন সচলায়তনের সম্পদ তেমনি অনিষ্টতার ও মূল।
মন্তব্য পুরোপুরি বুঝতে পারলাম না। আমি সচলায়তনের জন্য সমস্যা-- সেটা বুঝতে পারলাম। কিন্তু আপনি কি "দলবেধে আক্রমনের" সাথে আমাকে যুক্ত করলেন? তা-ই যদি হয় তাহলে আমার একটা কথা ছিল। উত্তর দিলে আমি উত্তর দেব। ধন্যবাদ।
@ পাঠক ঃ এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ।
পাঠক ভাই,
যেহেতু সচলে দলবেঁধে আক্রমণের ইতিহাস অনেক তাই আমনে সচলে আর আইসেন না। আসলে পরে আমনেরেও দলবেঁধে তোপ দাগানো হইতে পারে।
হিমু আর পিপিদা ছুডুকালে শাকসবজি খান নাই, তাই ওনারা ব্লাইন্ড।
♪♫ কোন কোন মা বইনেরা কয়
শাকসবজি খাইলে নাকি পেটের ব্যারাম হয়
...
রোগবালাই তো আছে দুনিয়ায়
ভালো থাকার আছে যে উপায়!
মানের ব্যাপারে ছাড় দেয়ার কোন মানে নাই। কোন কোন ব্লগে ডাইরিয়ার মত লেখা আসতে থাকে কিন্তু মানও সেই রকম।
তবে যারা নিয়মিত লিখছেন তারা লিখা চালিয়ে যাবেন আর যারা আগে লিখতেন কিন্তু এখন অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তাদেরকে সহসচলরা তাগাদা দিয়ে মাসে অন্তত একটা লিখা পোস্ট করাতে পারলে নিরব পাঠকরা আনন্দিত হবেন।
১।
এইটা কোন বাপার হলো? পয়সা দেন তাইলেই হবে। লেখকদের কাছ থেকে লেখা প্রতি ১০০ টাকা করে নেন। লেখা ভাল হলে পরে পয়সা ফেরত দেন। কিন্তু কোন লেখায় ১০ টার কম কমেন্ট পরলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করেন। পাঠকদের কমেন্ট করার জন্য কম্মানি দেন ২ টাকা করে। আর যদি টাকাপয়সার সমস্যা থাকে তাইলে ডাউনলোডেবল মেডেল বা ডাউনলোডেবল পয়সা দেন ...
২। যাই হোক, এই পোস্টটার দরকার ছিলো। ইতোমধ্যেই অনেক কমেন্টের মধ্য দিয়ে অনেক কিছু বের হয়ে এসেছে। যেমন " আসিফ ইকরাম" এর কমেন্টে ভেবে দেখার মতো কিছু পয়েন্ট আছে। সেই সাথে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার ত্যানা পেঁচিয়ে কিছু পুরনো মদ নতুন বোতলে চলে এসেছে। ভিন্ন মত মানে যদি পাকিস্তানকে ভাই বানানো অথবা কোন ধর্মীয় পীর সাহেবকে আরেকটু বিবেচনা করে দেখানো বোঝানো হয় তাহলে সেই ব্যাপারে সচল অনেক বার তার অবস্থান পরিস্কার করেছে।
৩। আবার এই সুযোগে অনেক গুপ্ত পাঠক যে বদনা নিয়ে মল মুত্র ত্যাগ করতে চলে আসবে সেটা শুরু থেকেই জানা ছিলো। উপরে যেমন জনৈক পাঠক এসে মুত্র ত্যাগ করে দিলেন, হিমু আর প্রকৃতিপ্রেমিক সকল অনিষ্ঠের মূল এই বলে ঘোষণা দিয়ে। সচলের সমস্যা কি এবং সেগুলো কিভাবে কাটিয়ে উঠা যায় এটা কি পোস্টের প্রশ্ন ছিল?
যাই হোক এইরকম লুজ মোশন আক্রান্ত কিছু পাঠক সর্বদাই সচলের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করেন, কখন কোথায় গেঞ্জাম লাগলো এই আশায়। আমরা যারা সচলকে তার পরিচ্ছন্নতার জন্য এত ভালবাসি তাদের তরফ থেকে আপনাদের জন্য অনুরোধ থাকবে, এখানে আসার আগে সকল ফুটা স্টাপল করে অথবা ভাতের আঠা দিয়ে বন্ধ করে আসুন। বলা ত যায়না, কখন কি বেরিয়ে যায়।
৪। অতিথি> হাচল> সচল এই ক্রমটি অনেকের কাছে জটিল মনে হতে পারে কিন্তু কার্যকরী। আমি প্রায় সচলের জন্মলগ্ন থেকে পাঠক হিসেবে আছি। যখন লিখতে ইচ্ছা হয়েছে, লেখা শুরু করেছি। সচল থেকে হাচল হতে খুব বেশী সময় লাগে না। আমার ক্ষেত্রে তিনটি জগাখিচুরি লিখার পর পরই হাচল হবার আমন্ত্রন পেয়েছি। হাচল হয়ে খুশী যে খানিকটা হইনি তা নয়, কিন্তু হওয়া না হওয়া তে খুব বেশী ফারাক মনে হয়নি। হাচল হবার আগে আমি উদাস নামেই লিখতাম, যদি আরো এক বছর হাচল না হয়ে অতিথি হিসেবে লিখে যেতাম খুব বেশী পার্থক্য হতো কি? সবাই কিন্তু আমাকে উদাস বা জগা নামে ঠিকই চিনে নিতো। তবে হ্যাঁ, হাচল হলে লেখা এডিট করা বা সব লেখাগুলোকে নিজের ব্লগে গুছিয়ে রাখা এরকম কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। তবে ওই যে বললাম, যদি সত্যি লেখালেখি করা আপনার উদ্দেশ্য হয় (আর যদি গো আ বা এইরকম বিশেষ প্রজাতির প্রতি গুপ্ত ভালবাসা না থাকে) তাহলে হাচল হতে অত সময় লাগবে না।
৫। যেকোনো অন্য ব্লগের তুলনায় সচল অবশ্যই অনেক পরিচ্ছন্ন এবং সেটা মডারেটেড বলেই। তবে অনেক পয়েন্টেই সচলরা সমমনস্ক হলেই সবাই ত এক নয়। তাই একটা নতুন লেখকের অত বেশী মানসম্মত নয় এরকম পোষ্টকে কেউ হয়তো একটু নরম মন্তব্য করে তার ফিডব্যাক জানাবে আবার কেউ হয়তো বেশ কড়া করেই সেটা জানাবে। "দলছুট" কে পর্যন্ত দলে আনার জন্য দেখেছি অনেক সচল পয়েন্ট বাই পয়েন্ট তার ভুল গুলো ধরিয়ে দিতে চেয়েছেন। সচল ব্লগের পাশাপাশি রাইটার্স কমিউনিটি, তাই লেখার মানের ব্যাপারে সবার প্রত্যাশা একটু বেশী থাকে। তার মানে এই নয় যে এখানে লিখতে হলে আপনাকে মানিক বা তারাশঙ্কর হতে হবে। আবার মুদ্রার উল্টা পীঠে সচল পাবলিক বাথরুমের দেয়াল বা রাফ খাতাও না। সাহস লিখা শুরু করলেই বোঝা যাবে কোথায় দুর্বলতা আছে।
৬। যতদূর বুঝেছি, সন্দেশের মূল উদ্দেশ্য ছিলো কিভাবে নীরব পাঠকদের আলোচনায় উৎসাহী করা যায়। এর জন্য সবাইকেই যে পোস্টের লেখক হতে হবে এমনটি নয়। মন্তব্যের মধ্য দিয়ে সরাসরি অনেক লেখক বা প্রিয় লেখার মধ্যে ঢুকে যেতে পারেন আপনি। ভেবে দেখুন আজকে হুমায়ুন আহমেদ যদি ব্লগে লিখতেন এবং সত্যি কথা গুলো শোনার সাহস তার থাকতো তাহলে হয়তো আমরা তাকে "নন্দিত নরকে" বা "শঙ্খনীল কারাগার" এর স্রষ্টা হিসেবেই আজীবন মনে রাখতাম। "হলুদ হিমু কালো র্যাব" বা "আঙ্গুল কাটা জগলু" এর মতো বিষ্ঠা কখনো আলোর মুখ দেখত না। অনেকেই বলতে পারেন, এতে তার কিছুই আসে যায়না। তার বইয়ের কাটতি কমেনি, কমবে না। কথাটি সত্য নয়। এখন হয়তো স্বার্থ লোভী প্রকাশক আর তার পরিতোষক দিয়ে ঘিরে থাকায় পাঠকের বিরক্তিটুকু তার কাছে অতি অল্পই পৌছায়। আমার মতো আরও অনেক অনেক পাঠক সারা দেশ জুড়ে আছেন। আফসোস তাকে যদি ব্লগে এনে কথা গুলি এভাবে সরাসরি বলতে পারতাম। বলতে পারতাম, এইরকম অসাধারণ আকর্ষণী ভাষায় গদ্য লেখার ক্ষমতা নিয়ে জন্মে আপনার লেখক জীবনের পরিণত সময়টাতে কীসব অপরিণত লেখাই না আমরা পেয়ে গেলাম। আমরা একটা পূর্ব-পশ্চিম বা সেই সময় পেতে পারতাম, আর পেলাম কিনা আঙ্গুল কাটা জগলু।
৭। যতই এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ব্লগকে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে একে দূরে সরিয়ে রাখতে চান না কেন, এটাই ভবিষ্যৎ। সংবাদই বলুন বা সাহিত্যই বলুন এটাই ভবিষ্যৎ। আমি পাঠক হিসেবে স্বপ্ন দেখি আজ থেকে ২০ বছর পরে সবাইকে গর্ব করে বলতে পারব, অমুক লেখকের সাথে আমার পরিচয় অনেক অনেক বছর আগে। তার লেখায় আমি কমেন্ট করেছি, জবাব পেয়েছি, এমনকি তার সাথে একই ব্লগে লেখার দুঃসাহস ও দেখিয়েছি।
৭ নম্বরে আশালতার (৩) নং কমেন্ট বিষয়ে বলছি প্রায় বছর তিনেক সচলায়তনে ঘোরাঘুরি করেও বাংলা লেখার ’গোপন বিদ্যা’ মাসখানেক হলো আয়ত্ত করতে পেরেছি অভ্র ডাউনলোড করে কিছু করতে পারিনি, সচলে পোষ্ট দিয়ে সাহায্য চেয়েও কোন সাহায্য পাইনি আমার মনে হয় সচলায়তন কর্ৃপক্ষ ইচ্ছে করলে বাংলা লেখার সহজ পদ্ধতি বিষয়ে একটি লেখা (রাইট আপ) প্রথম পাতার কোন এক দশনীয় জায়গায় রাখতে পারেন যা থেকে আমার মতো ‘আহাম্মকরা’ শিক্ষা নিতে পারে - সময় নষ্ট না করেই
এরকম বিষয়ে পোস্ট দিয়ে সাহায্য চেয়ে খুব উপকার হবেনা। মডুরা রোবটিক ফিল্টারের মতো। কাউকে ভালোবাসেনা, কাউকে ঘৃণাও করেনা! কোনো সচল/হাচলকে মেইল করে দেখতে পারেন। আমার ধারণা সচলেরা বেশ দিলদরিয়া! হাচলেরা আরো বেশি!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সচল হবার প্রক্রিয়াটি একটু দীর্ঘ হলেও আমি সমর্থন করি, আমি নিজেও ২০০৯ সাল থেকে সচলায়তনের এর সাথে থাকলেও এই কদিন আগে মাত্র হাচল হলাম, প্রথম প্রথম এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বিরক্তি লাগলেও পরে বুঝেছি এটা জরুরি, আর অতিথি লেখক একাউন্ট থেকে লিখতে তো কোনো সমস্যা হবার কথানা, সেক্ষেত্রে নিজের নাম ইমেল দিয়ে লেখকের পরিচয় জানানোর যথেষ্ট ভালো সুবিধে আছে|
আমার একটা জিনিস মনে হয়, অন্য ১০ টা ব্লগের মতো না হয়ে একটু আলাদা ঘরানার হলে ক্ষতি কি?? এতে একটা জায়গা অন্তত হবে যাতে সুচিন্তিত ও যৌক্তিক পাঠচক্রের সুবিধে হবে, নিরব পাঠক হলেইবা ক্ষতি কি?? সচলের লেখাগুলো পাঠকদের মনে নাড়া দিচ্ছে কিনা সেটাই মৌখিক, তাতে যদি কেও অংশগ্রহন করতে চায় তাহলে একটু কষ্ট তো করতে হয়, এতে ক্ষতি দেখিনা, বরং আলসেমির মোড়ক থেকে বের হয়ে আসা হয়|
তবে কিছু পরিবর্তন বা সংযোজন হয়তো সাহায্যে আসতে পারে,
১. লেখকের লেখা পোস্ট হবার পর অথবা তাতে কোনো কমেন্ট আসলে সেই সম্পর্কে একটা নোটিস মেইল পাঠকের ইমেল এ যদি পাঠানো সম্ভব হত তাহলে অনুসরণ করতে সুবিধে হয়|
২.লেখায় ছবি সংযোজনের ব্যাপারটা আরেকটু সহজ হলে ভালো হয়, নিজের কম্পউটার থেকে একাধিক ছবি সংযোজনের সুবিধেটা করতে পারলে ভালো হতো|
৩.অনলাইন পাঠক ও অতিথিদের আলোচনার জন্য একটা অপসন হয়তো বাড়তি একটা সুবিধে যোগ করতে পারে|
৪.লেখার ক্যাটাগরি প্রথম পাতায় অপসন যোগ করা যেতে পারে, তাতে পাঠক কোন ধরনের লেখা পড়তে চাইছেন আগে তা বাছাই করতে সুবিধে হয়, সব লেখা পর পর না দেখলেও চলে|
৫.বাংলা লেখার সমস্যার কথা তুলেছেন অনেকেই, এক্ষেত্রে আমি ব্যাবহার করি গুগল এর বাংলা রূপান্তরের সফটওয়ার, অন্য যেকোনো সফটওয়ার থেকে এটা আমার কাছে সহজ লেগেছে, লেখকেরা ব্যাবহার করে দেখতে পারেন|
সচল আর যেকোনো ব্লগের থেকে আলাদা, এই স্বতন্ত্রতা বজায় থাকুক যে কোনো মূল্যে|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
সবগুলো মন্তব্য পড়ে নীচের কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে মনে হোলো। কিছু বাদ পড়ে গেলে জানাতে অনুরোধ রইল। এ ব্যাপারে আলোচনা করছি শিঘ্রী।
১। এলিট ব্লগারদের বিচরন বা নিজেকে ইনফিরিওর ভাবা
২। গ্রুপ আক্রমন
৩। মন্তব্য মডারেশনে বিলম্ব
৪। নোটিফিকেশন
৫। সাইটের ধীর গতি
৬। মন্তব্যের ডায়ালগ বক্সে
৭। বাংলা লেখা সহজলভ্যতা
৮। পরিষ্কার নির্দেশনার অভাব
৯। বানান ভুল নিয়ে বাড়াবাড়ি
১০। মডারেশনের কারন জানানোর ব্যবস্থা করা
১১। অতিথি লেখকের পোস্ট ট্র্যাক করে তাকে সময়মত হাচল করা
১২। বিরুদ্ধ মতের অনুপস্থিতি
১৩। সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনার অনুপস্থিতি
১৪। পুরোনো ব্লাগারদের অনুপস্থিতি
একটা লেখা লেখার পর (কিংবা লেখার আগেই) একটা প্রশ্ন করুন নিজেকে। আপনার যে লেখাটি পনেরো থেকে ত্রিশ মিনিট খরচ করে একজন পাঠক পড়বে সেটা থেকে পাঠক কি পাচ্ছেন? একটা লেখা পড়া শেষে পাঠক যেনো কিছু নিয়ে ফিরতে পারেন। নইলে পাঠকের সময় নষ্ট। আপনারও। আর যে পোস্ট পড়ে ন্যুনতম এইটুকু পাওয়া যায় সাধারণতঃ সেগুলো সচলে প্রকাশিত হয়।
এর চেয়ে বেশী কিছু আশা করলে, পোস্টটি সমসাময়িক কোনো বিষয়কে নিয়ে আলোচনা করছে কিনা, চিন্তা ভাবনার উদ্র্যেক করছে কিনা, ভালো লাগা জাগাচ্ছে কিনা, নতুন কোনো জায়গা চেনাচ্ছে কিনা, নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরছে কিনা সে প্রশ্ন করা উচিৎ। যদি এই প্রশ্নগুলোর একটিরও উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে পোস্টটি একটা জনপ্রিয় পোস্ট হতে বাধ্য।
টেকনিকাল
৪। নোটিফিকেশন
৫। সাইটের ধীর গতি
৬। মন্তব্যের ডায়ালগ বক্সের অবস্থান এবং ব্যবহারযোগ্যতা
৮। পরিষ্কার নির্দেশনার বা সাহায্যের অভাব
১০। মডারেশনের কারন জানানোর ব্যবস্থা করা
উত্তর
সচলায়তন নতুন ডেডিকেটেড সার্ভারে নেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শিঘ্রী এসবের সমাধান হবে আশা রাখি।
সচলদের আচরন
১। এলিট ব্লগারদের বিচরন বা নিজেকে ইনফিরিওর ভাবা
২। গ্রুপ আক্রমন
৯। বানান ভুল নিয়ে বাড়াবাড়ি
১২। বিরুদ্ধ মতের অনুপস্থিতি
উত্তর
যেমনটা অনেক অতিথি বলেছেন, সচলায়তনের ক্লোজলি নিট কমিউনিটির কারনে বাইরে থেকে দুর্ভেদ্য মনে হলেও সচলায়তনে প্রবেশ খুব কঠিন কিছু নয়। কিন্তু এই মেসেজটা অতিথির কাছে মনে হয় সহজে পৌছে না। আর সমমনা বিধায় আলোচনায় একমত হন সহজেই। আর বানান ভুলটা নিয়ে তো সবারই আরো সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
আমার মনে হয় সচলরা যদি অতিথিদের প্রতি সহনশীলতা এবং নিজেদের মধ্যে সমালোচনা বাড়াতে পারেন তাহলে অনেক বেটার হবে ব্যাপারটা।
মডারেশন
৩। মন্তব্য মডারেশনে বিলম্ব
১১। অতিথি লেখকের পোস্ট ট্র্যাক করে তাকে সময়মত হাচল করা
উত্তর
বিশাল আকৃতির একদল মডারেটর নিয়োজিত রয়েছেন। মাঝে মাঝে হয়ত মডারেটরদের অনুপস্থিতিতে খানিকটা বিলম্ব হতে পারে। কিন্তু কখনই সেটা ৬ ঘন্টার বেশী হয়নি। এই বিলম্বও অনেক মনে হতে পারে। ক্রমাগত নতুন একটিভ মডারেটর নিয়োগের মাধ্যমে এটার সমাধান করা হচ্ছে। তারপরও যদি আপনার মন্তব্য প্রকাশে ২ ঘন্টার বেশী সময় লাগে তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
অতিথি লেখকরা নিজেদের পোস্টে একটা লিস্ট রাখলে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে টেকনিক্যাল ব্যবস্থার মাধ্যমে এটার সমাধান করা হবে।
অন্যান্য
৭। বাংলা লেখা সহজলভ্যতা
১৩। সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনার অনুপস্থিতি
১৪। পুরোনো ব্লাগারদের অনুপস্থিতি
উত্তর
বাংলা লেখার সহজলভ্যতার জন্য নিয়মিত প্র্যাকটিসের আয়োজন করা যায় কি?
সচলায়তে লেখার বিষয় খুঁজে পান না অনেক অতিথি লেখক। এই বিষয়ে অতিথিরা সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারেন।
পুরোনো ব্লগাররা অনেকেই পারিবারিক কারনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পরিচিত সচলরা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনতে পারেন। এব্যাপারে সচলায়তন থেকে কোনো সহযোগীতা প্রয়োজন হলে খুব সহজেই সেটা করা সম্ভব।
১৫। ছবি সংযোজন জটিলতা। আমার স্কুলে আমরা একটা মিডিয়াম ব্যবহার করি peer আর ফ্যাকাল্টিদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে। তাতে প্রথমে ছবিগুলো একটা সাইড বারে আপলোড করে তারপর লেখায় এমবেড করি। টেকনিকেল সিস্টেমটা কি জানিনা। তবে এই ধরণের কিছু হলে মনে হয় ছবি আপলোড সহজ হবে।
ছোট্ট সাইজের পোস্টের বক্তব্যের চাইতে মন্তব্যগুলোই আকর্ষণীয় হয়েছে বেশি। অবশ্য এটাই এ পোস্টের উদ্দেশ্যও ছিলো।
নীরব পাঠকরা কেন সরব মন্তব্যকারী এবং ক্রমান্বয়ে লেখক হয়ে ওঠছেন না এ প্রেক্ষিতে মজার মজার মতামত উঠে এসেছে, যা থেকে সচল সম্পর্কিত পারিপার্শ্বিক ধারণার কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে। তবে এ ধারণাগুলো যে সচলের চরিত্রের বাইরে এবং তা উদ্দেশ্যমূলক সৃষ্ট কোন গুজবেরই প্রভাব থেকে হয়েছে তা কিছুটা বুঝা যাচ্ছে ! পুরোটা কিনা জানি না।
একটা পয়েন্ট এসেছে এলিট ব্লগার নিয়ে। কিন্তু আমি তো সচলে আমাকে ছাড়া আর কোন এলিট ব্লগার খুঁজে পাচ্ছি না ! আর আছে নাকি কেউ !! কিন্তু আমি তো ভাই মানুষ ততটা খারাপ না, যতটা আপনারা ভাবছেন ! সদর দরজা দিয়ে ছ'মাসে একবার ঢুঁ মারি না, যদিও চুপেচাপে প্রায়ই পড়ে যাই মজার মজার লেখাগুলো। আমি তো দেখছি অতিথি লেখকরাই সচলের প্রাণ ! এতো চমৎকার সব লেখা আসছে অতিথিদের কাছ থেকে যে, এলিটগিরি ছুটে যাওয়ার ভয়ে সচলে লিখার আগে আমার কলম কাঁপতে কাঁপতে পড়ে যাওয়ার অবস্থা ! হা হা হা ! আসলে এখানে অধিকাংশ সচলরা হচ্ছেন মূলত মুখকাটা ! সত্য কথাটা বলে ফেলতে এদের একটুও আটকায় না, একেবারে দয়ামায়া ছাড়া ! হয়তো এটাকেই অনেকেই এলিটগিরি বুঝতে গিয়ে ভুলটুকু করে বসেন।
পৃথিবীতে এমন কোন পরিবার কি আছে যার একটা যেকোন ধরনের হলেও আদর্শ নাই ? আসলে আদর্শ ছাড়া বাস করা যায় না বা কোন কিছুই বাসযোগ্য ব্যবহারযোগ্য থাকে না। সচলেরও সেরকম একটা আদর্শ রয়েছে, যে আদর্শটাকে সচলায়তন অতি যত্নে লালন করে থাকে। সেই আদর্শের কারণেই সচল সতত উজ্জ্বল বলেই এখানে সব ধরনের পাঠকরা আসেন, তা নীরবে হোক আর সরবে হোক। নিশ্চিতভাবেই আমি যেমন চাইবো না আমাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় কোন স্বাধীনতা বিরোধী কোন গোষ্ঠী বা শক্তি ক্ষমতায় আসুক, তেমনি সচলেও আমি চাইবো না সেমতের কোন শক্তি এখানে এসে পুচ্ছ নাচাক। এক্ষেত্রে সচলের বিরুদ্ধে তারা গুজব রটাতেই পারে।
আরেকটা বিষয় হচ্ছে মুক্তচিন্তা। এখানকার পুরনো ব্লগার যাঁরা আছেন, তাঁদের নিজেদের মধ্যেই বহু বহু বিষয় নিয়ে বহু বহু বিতর্ক সচলে বহু বহুবার হয়েছে। অসহিষ্ণুতাও মাঝে মাঝে দেখা গেছে তা ঠিক। কিন্তু এর অর্থ এই না যে এতে করে কেউ তাঁর নিজস্ব মতামতগুলো উপস্থাপন করতে পিছপা হয়েছে। নিশ্চয়ই এখানে সবাই একই অভিন্ন চিন্তায় গড়া রোবট নই যে দাড়ি-কমাসহ ভাবনা কাঠামো মিলে যাবে সবার। যেহেতু এখানে সবাইকে মুক্তচিন্তক বলেই মনে করা হয়, তাই নিজের যুক্তির সাথে মিলে এমন সম-মন্তব্যকারীকে একই গোষ্ঠীবদ্ধ করে ফেলার কোন সুযোগ নেই। যারা এটা স্বকল্পিতভাবে মনে করে ফেলেন, এটা তাদের সীমাবদ্ধতা বলেই মনে করি। আজ একজায়গায় হয়তো হিমুর সাথে সহমত পোষণ করছি, হয়তো কালই আবার এই হিমুর সাথেই অন্য বিষয়ে ঘোরতর তর্কযুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। পরশু আবার জন্মদিনে আমাকে হিমু উইশ করছে। এটাই প্রবহমানতা। এখানে হিমু একটা প্রতীক হিসেবে আনলাম কেবল। এরপরও কেউ কেউ অতিসংবেদনশীলতা দেখিয়ে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত দূরত্ব তৈরি করে ফেলেন, সেটাই হবে দুঃখজনক। তবে সচলের নীরব পাঠকবন্ধুদেরকে একটা কথা কানে কানে বলি, মাঝেমধ্যে এক-আধটা পোস্ট দিয়ে কিন্তু আমিও বিশ্বাস করেন খুব গভীর তৃষ্ণা নিয়ে বসে থাকি কে কী বলেন তা জানার জন্য ! যেহেতু্ আমিই সচলের একমাত্র এলিট ব্লগার, আমারই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে অন্যদের কী অবস্থা বলেন !! হা হা হা !
অতএব পাঠক বন্ধুরা, আপনার ভাবনা যদি একান্তই সচলায়তেনর মৌলিক আদর্শ পরিপন্থি না হয়, তাহলে নিশ্চিন্তে যে কারো পোস্টে আপনার নিজস্ব মতামতগুলো নির্দ্বিধায় উদ্ধৃত করতে পারেন। পোস্ট ভালো লাগলে বলে ফেলুন ভালো লেগেছে। এতে লেখক কিন্তু আরেকটি আরো ভালো লেখা আপনাকে উপস্থাপন করার জন্য প্রাণিত হবে। যদি ভালো লাগে, তাও কী কারণে ভালো লাগলো না নিঃসঙ্কোচে বলে ফেলুন। এতে করে লেখকও তাঁর বর্তমান ও পরবর্তী লেখাটি নিয়ে পুনঃচিন্তা করার একটা মোক্ষম সুযোগ পাবে। মন জোগানোর দরকার নেই, অন্তত মনটাকে জাগিয়ে দিন না !!
আর অন্তর্জালে বাংলা লেখাটা কোন ব্যাপারই না আজকাল। 'অভ্র' যে কী জিনিস তা বলে বোঝাবার নয়। নতুন ব্লগারদের অবগতির জন্য এটাও বলে দেই- অভ্র'র টীমের অনেকেই, মেহদি হাসান, রাইয়ান কামাল ওরফে এনকিদু, সিয়াম এরা কিন্তু এই সচলায়তনেরই তুখোর ব্লগার একেকজন। যদিও তাঁরা নিজস্ব ব্যস্ততার কারণে এখানে সেভাবে সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। যারা ফোনেটিকে বাংলা লিখতে অভ্যস্ত, তারা তো অমিক্রনল্যাবের সাইট থেকে এটা নামিয়ে নিতে পারেন। আর যারা ইউনিবিজয়ে অভ্যস্ত অর্থাৎ বিজয় কীবোর্ডে সরাসরি বাংলা লেখতে পারদর্শি, তারা চাইলে অভ্র'র সেই পুরনো পোর্টেবল ভার্সনটা এখান থেকে নামিয়ে নিতে পারেন।
সবাই ভালো থাকুন, মুক্তপ্রাণে ব্লগিং করুন এই কামনা করছি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আরেকটা বিষয় এখানে বলা হলো না। অনেকেই আছেন যারা নিজের কম্পুতে বিজয়ে লিখেন। তারা হয়তো ভাবছেন, কিভাবে এই লেখাটাকে সচলায়তনে পোস্ট করবেন ? যাঁরা জানেন, তাঁরা তো জানেনই। কিন্তু যাঁরা জানেন না তাঁদেরকে বলি, কী রত্ন যে এই সচলায়তনে লুকিয়ে আছে। এই সচলায়তনেরই এস এম মাহবুব মুর্শেদ এবং অরূপ কামাল মিলে আরেকটি দিগ্বিজয়ী কাজ করেছেন অনলাইন ভিত্তিক একটি বাংলা কনভার্টার জন্ম দিয়ে। এই জিনিসটা না হলে আমার হয়তো অনলাইনে এখনো বাংলা লেখার সূত্রপাত হতো না ! বিশাল বিশাল লেখা বিজয়ে তৈরি করে এই সাইটে মুহূর্তের মধ্যে সাধারণ বাংলা থেকে ইউনিকোডে রূপান্তর করে অনলাইনে যে কোন ব্লগে লেখা তোলে দিয়ে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছি আজো ! অতএব আর কী বলবো...!!
আপনি চাইলে ওই সাইটে ডাইরেক্ট মন্তব্য লিখেও এখানে কপি পেস্ট করে দিতে পারেন। তবে আমি অন্তর্জালিক জগতের যেকোন সাইটে সমস্ত মন্তব্য করি অভ্র দিয়ে। আর পোস্টগুলো বিজয়ে লিখে পরে কনভার্ট করে পোস্ট করি। তবে এডিট করতে হলে অভ্র'র সাহায্যেই করি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কমেন্টস গুলো পড়লাম। আমি নিজেও প্রথম প্রথম যখন সচলে পোস্ট দিতে শুরু করি। তখন সচল হবার জন্য মনটা খারাপ থাকত। এর জন্য মডুকে কয়েকটা মেইলও করেছিলাম। তারপর উত্তর পেয়ে বুঝলাম, না এত তাড়াতাড়ি হবে না । তবে ধীরে ধীরে ।আমি অপেক্ষা করব নিশ্চয়ই। তবে একটা ব্যপার যে সচলায়তন গুণগত ব্যপারে ক্মপ্রোমাইজ করেনা। আমি সচলায়তন পড়তে শুরু করেছিলাম মাত্র মাস সাতেক আগে। তখন কমেন্টস করতে পারতাম না , বাংলা লেখাও জানতাম না । তারপর আস্তে আস্তে শুরু করলাম। আর হ্যাঁ একটা কথা ঠিক যে
এটা আমার ক্ষেত্রেও বহু বার হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এক জায়গায় দেখলাম বলা হচ্ছে যে সচলায়তন
-- আমার ক্থা হল সচলায়তনকে কেন বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হচ্ছে। আপনারা জানেন কিনা জানিনা , তবু বলছি আমার এই ছোট রাজ্য ত্রিপুরাতেও প্রচুর সংখ্যক পাঠক রয়েছেন, ইনফেক্ট আমাকে সচলায়তনে এনেছেন এ রাজ্যেরই এক জন সচল পাগল ভক্ত। তিনি দিনে একবার হলেও ব্লগে ঢুঁ মারেন। কিন্তু কোনো পোস্ট দেন না । অথচ আমার মতে উনি সচলায়তনের একজন নিবিড় পাঠক। আমার সঙ্গে নিয়মিত চর্চা পর্যন্ত করেন বিভিন্ন লেখা নিয়ে। এই জন্য বলছি সচলায়তন বাংলাদেশের একান্ত ব্লগ হলেও এর গ্লোবাল ডিমান্ড কিন্তু ব্যাপক।
এর একটা বিশেষ কথা , যাকে বলছি উনার নাম "ধুসর গোধূলি" - স্যার আপনি প্রতিটি পোস্টের নিচে একটা লিঙ্ক দেন -
- এর অর্থটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আসলে কি বুঝাতে চাইছেন আপনি। এটুকুত বলতে পারি , আপনি নিজে কখনও বর্ডারে ডিউটি দিয়েছেন ? ফৌজ সম্পর্কে আপনার ধরানার গতিপ্রকৃতি কতদূর বিস্তৃত? আপনি কি মনে করেন ? সরি স্যার দেশকে নিয়ে যদি আপনার এতই ভালোবাসা থাকে তাহলে সেটা নিজের অবদান দিয়ে প্রমান করাই শ্রেয়। এভাবে উস্কে দেবার কি প্রয়োজন আছে বলুন। আপনি জানেন কি ভারতের পদাতিক বাহিনী বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পদাতিক বাহিনীর অন্যতম।Do you know , what is INDIAN ARMY ? & what is the position of INDIAN ARMY ? সো প্লিজ এই ধরণের আচরণ থেকে বিরত থাকুন।এতে সচলায়তনের উন্মুক্ত পরিসীমাতেও ব্যাঘাত ঘটে। দেশাত্মবোধ একটা মাত্রা অবধি ঠিক আছে , কিন্তু তা উগ্র জাতীয়তাবাদে পরিণত হয়ে গেলেই বিপদ!!!!
হিমু ভাই, চরম উদাস, কৌস্তভ ভাই এর কথাগুলি ভালো লাগল।
শেষে সন্দেশ কে এই পোস্টের জন্য। আর এই মডারেটরদের এই ব্লগ বানানোর জন্য। আমি এত দূরে থেকেও সচলায়তনকে কাছে পেয়েছি। আর কিছুই বলার নেই আমার।
-- চিত্ত থাক সমুন্নত উচ্চ থাক শির ।
এর অর্থ হলো বিএসএফ কে যারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পদাতিক বাহিনীর অন্যতম ভাবে তারা যেন ঐ লিঙ্ক এ যেয়ে বাহিনীর কর্মকান্ড সম্পর্কে জেনে আসে। ওখানে যেসব প্রতিবেদন আছে তার সবই বিভিন্ন পত্রপত্রিকার সূত্রেপ্রাপ্ত, কোনোটাই বাতাস থেকে বের করা নয়।
কিসের মধ্যে কি টেনে আনলেন এটা?
এর মানে কি?
তো? শ্রেষ্ঠ হল আমার কি? আমার ভয় পেতে হবে? তেলাতে হবে? ইচ্ছামতো খুন করবে কিছু বলতে পারবো না? ভারতীয়রাতো এক মহান জাতবিশেষ, তাইলে কি আপনি সেই মহান জাতের প্রতিনিধি হিসাবে একটু পরে এসে বলবেন, আপনার বিষয়েও যেনো হিসাব করে কথা বলি...
আপনার সুস্থতা কামনা করছি স্যার
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনী আর সেনাবাহিনীর তফাত বোঝার মতো আক্কেল অর্জন করুন, তারপর নাহয় চোপা করতে যাবেন লোকজনের ওপর।
ইন্ডিয়ান আর্মির "পজিশন" নিয়ে আপনার লম্ফঝম্প দেখে বুঝলাম, "দেশাত্মবোধ একটা মাত্রা অবধি ঠিক আছে , কিন্তু তা উগ্র জাতীয়তাবাদে পরিণত হয়ে গেলেই বিপদ!!!!"
তাপসদা, ধুগো নয় একটা ভয়ানক বিতর্ক কিন্তু আপনিই উস্কে দিলেন। ধুগোর কতদূর পর্যন্ত জানিনা কিন্তু ফৌজ সম্পর্কে আমার ধারনা বেশ কিছুদূর পর্যন্তই বিস্তৃত বলে মনে করি, সেটা নিজ দেশেরই হোক বা অন্য দেশেরই হোক। সে নিয়ে না হয় অন্য কোন সম্পর্কিত পোস্টে আলোচনা করা যাবে। আপনি যদি BSF নিয়ে যুক্তিযুক্ত কোন কথা বলে থাকতেন, ধুগো তার সিগনেচারে যেই লিঙ্ক দিয়েছে সেটার সত্যতা অসত্যতা নিয়ে রেফারেন্স সহ কিছু লিখতেন তাহলে সেটা নিয়ে আলোচনার অবকাশ ছিলো। এবং এই বিষয়ে আগেও কিন্তু পোস্ট এসেছে হিমু এবং অন্যান্যদের কাছ থেকে। সেখানে এগুলো নিয়ে অনেক কথাও হয়েছে। কিন্তু আপনি যা বললেন অতো ভেবে বলেননি বলে আশা রাখি, অথবা ওইভাবে বলতে চাননি। কিন্তু যা বলে ফেলেছেন সেটার ভার কিন্তু আপনাকেই বইতে হবে, অন্যকোন ভারতীয়কে নয়। কারন আমার বিশ্বাস বেশীরভাগ ভারতীয় এভাবে ভাবেন না। আমাদের পাহাড়ে যখন মিলিটারি অন্যায় করে তখন কিন্তু আমি বা আমার মতো কেউই বলেনা, আমাদের মিলিটারি শ্রেষ্ঠ। আমরা সমালোচনা করি। তারপরেও সেটার সপক্ষে অলকা পলটা মন্তব্য করে বসার মতো লোকও কিন্তু আছে, তার দায়ভার আমার বা বাংলাদেশের নয়। আশাকরি আপনি নিজের মন্তব্যটি আরেকবার পড়বেন, এরপর কি করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। বলতে পারেন ভুল বলেছেন, অথবা সপক্ষে যুক্তি দিয়ে আলাদা পোস্ট দিতে পারেন। তবে এই পোস্টে কথা বাড়ালে শুধু শুধু কথা অন্যদিকে ঘুরবে এবং পোস্টের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। আমি জানি আপনার এধরনের মন্তব্য আমার মতো আরও অনেককেও বিরক্ত করবে। তবে সবাইকে অনুরোধ করবো খেয়াল রাখতে পোস্টের মূল বিষয়ে।
তাপসদা, কয়েকটা কথা বলি।
১. সচল তো দিনের শেষে একটা বাংলাদেশি সাইটই, মাল্টিন্যাশনাল প্রজেক্ট না, যে ভারতকে ইনকর্পোরেট করার জন্য তাদের তাগিদ থাকবে। আবার আমার-আপনার মত অনেক ভারতীয়ই আছেন, তাদেরকে তো আলাদা ট্রিটমেন্ট করা হয় না এখানে।
২. সচলের মনোভাব সাধারণভাবে ভারতের সঙ্গে গলাগলিরও না, আবার ভারতবিদ্বেষীও না। অ্যান্টি-পাকিস্তানই কেবল। হ্যাঁ, ভারতের বিরুদ্ধে কিছু ক্ষোভ মেশানো আছে। তা তো ভারতীয়দের আমেরিকার উপরও আছে।
৩. আপনি ইন্ডিয়ান আর্মির প্রতি বেশ আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। এটা ঠিক, এতদিন ধরে ভারতীয় হিসাবে আমাদের জান-মাল বাঁচানোর জন্য তারা ধন্যবাদার্হ। কিন্তু তাদের খারাপ দিকগুলোর প্রতিও আমরা চোখ বুঝে থাকতে পারি না। মণিপুরে আর্মি কি করেছে, সেটা আপনি সাংবাদিক, আপনি ভালই জানবেন। একটা ভালোয় তো একটা খারাপ কাটাকুটি হয়ে যায় না। বাংলাদেশে বিএসএফ অকারণে মানুষ মারছে, সেটা বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে ধুগো তুলতেই পারেন। তার জন্য পৃথিবীতে ভারতীয় বাহিনীর র্যাঙ্ক জানার প্রয়োজন নেই।
৪. আপনার এই পয়েন্টটা বুঝতে পারছি, যে একজন সাধারণ ভারতীয় পাঠক সচলে ঢুকে ধুগোদার সিগনেচারটা বারবার দেখলে সেটাকে অস্বস্তিকর বা হোস্টাইল মনে করতে পারেন। তা আর কী করা, সত্যি মাঝেসাঝে তেতোই হয়।
কৌস্তুভের চমৎকার ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। একটা ব্যাপার ক্লারিফাই করতে চাই। সচলায়তন বাংলা ভাষাকে প্রোমোট করছে। কোনো দেশ নয়। যেহেতু সচলের প্রথম দিককার উদ্যোক্তাদের সবাই বাংলাদেশের ছিলেন এবং সচলায়তনের প্রায় ৪৭% পাঠক খোদ বাংলাদেশ থেকে আসেন তাই বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হয়ত বেশী হয়। কিন্তু কোন বিশেষ দেশ, শহর, গোষ্ঠী, ধর্ম, গোত্রের প্রতি সচলায়তনের অনুরাগ বা বিরাগ কিছুই নেই।
না । স্যার আমি এই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কথা বলিনি । এটা এই ধরনের মন্তব্য করার পোস্টও নয়।এই লিঙ্কটা সব জায়গায় দেখি,উনার মন্তব্যের শেষে , এখানেও দেখলাম, অনেক দিন ধরেই কৌতূহল হচ্ছিল, তাই আজ কিছু বললাম । আমি বলতে চেয়েছি সীমান্তে যা চলে তার প্রকৃত সত্য আমরা কমন পাব্লিক জানিনা । আর ভয় ডরের কথা এল কোত্থেকে । আমি
কে বর্জন করতে বলেছিলাম। আর আপনি জানেন কিনা জানিনা Bsf INDIAN ARMY এর পার্টও নয়। আমার INDIAN ARMY এর এক্সামপ্ল দেওয়ার কারণ হচ্ছে দেশ সেবায় তাদের নিয়োজিত প্রাণের কথা স্বীকার করা। আর কিছু নয়। এক Bsf দিয়ে সমগ্র দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে তাই এই মন্তব্যের অবতারণা ।
আর এতে যদি আমি
বলে পরিগণিত হই তবে আমায় মাফ করবেন স্যার ।
সর্বোপরি ---ওটা অভিঘাত মূলক কথাবার্তা । আমি বি এস এফ কে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পদাতিক বাহিনী বলিনি । আমার সমগ্র কথার তাৎপর্যটা অনুধাবন করবেন আশা করি ।
--------------------------------------------------------------
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
না, স্যার আমি এই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কথা বলিনি । এটা এই ধরনের মন্তব্য করার পোস্টও নয়।এই লিঙ্কটা সব জায়গায় দেখি,উনার মন্তব্যের শেষে , এখানেও দেখলাম, অনেক দিন ধরেই কৌতূহল হচ্ছিল, তাই আজ কিছু বললাম । আমি বলতে চেয়েছি সীমান্তে যা চলে তার প্রকৃত সত্য আমরা কমন পাব্লিক জানিনা । আর ভয় ডরের কথা এল কোত্থেকে । আমি
কে বর্জন করতে বলেছিলাম। আর আপনি জানেন কিনা জানিনা Bsf INDIAN ARMY এর পার্টও নয়। আমার INDIAN ARMY এর এক্সামপ্ল দেওয়ার কারণ হচ্ছে দেশ সেবায় তাদের নিয়োজিত প্রাণের কথা স্বীকার করা। আর কিছু নয়। এক Bsf দিয়ে সমগ্র দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে তাই এই মন্তব্যের অবতারণা ।
আর এতে যদি আমি
বলে পরিগণিত হই তবে আমায় মাফ করবেন স্যার ।
সর্বোপরি ---ওটা অভিঘাত মূলক কথাবার্তা । আমি বি এস এফ কে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পদাতিক বাহিনী বলিনি । আমার সমগ্র কথার তাৎপর্যটা অনুধাবন করবেন আশা করি ।
--------------------------------------------------------------------------------------
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
মুর্শেদ ভাই যে পয়েন্টগুলো বের করেছেন সেগুলোর জবাব আমি সরব হতে চান এরকম নিরব পাঠকদের দিতে চাই। (কপি করছি মুর্শেদ ভাই। আইজকা কিছু কইয়েন্না )
১। এলিট ব্লগারদের বিচরন বা নিজেকে ইনফিরিওর ভাবা
-কে কী ভাবলো ভাবুক। আমারে ছাড়া কাউরেই পাঁচপয়সা দাম দিয়েন্না! লক্ষ্য করলে দেখবেন, এলিট ব্লগার আসলে মিডিয়ার সৃষ্টি! সচলায়তনের পাতা সবচে বেশি ভরে রাখে এবং মাতিয়ে রাখে হাচল/অতিথিরাই। সুতরাং একঠোঙা মুড়ি কিনে নিয়ে বসে লিখতে শুরু করেন। সত্যি সত্যি কোনো ব্লগার যদি এলিট ভাব নেয় তাইলে তারে ওই ঠোঙাটা দিয়ে দূরে গিয়ে বইসা চিবাইতে বলবেন!
২। গ্রুপ আক্রমন
-যুক্তি দিয়ে কেউ বিরোধিতা করলে তা একজনে করুক আর দশজনে করুক কী যায় আসে! যুক্তি তো যুক্তিই তাইনা? সেটা খণ্ডানোই একমাত্র পস্থা। ব্লগিংয়ের আসল স্বাদ কিন্তু তর্কেই। কোমর বাইন্ধা তর্ক করেন, আপনার শক্ত যুক্তি থাকলে দেখবেন আপনার পেছনেও ব্লগারেরা দল বাঁধবে। তখন আরাম কইরা কাইজা করতে পারবেন। মগজ তীক্ষ্ম হবে, যুক্তি শক্ত হবে।
তাছাড়া, আজাইরা যদি কেউ আক্রমণ করে, সে দল বাইন্ধা হোক আর একা, স্রেফ মডুদের কাছে নালিশ করে বগল বাজান। তারপর দেখেন মজা!
৩। মন্তব্য মডারেশনে বিলম্ব
মডুরা অলস হইলে তাদের ধইরা ফাঁসি দেয়া যাইতো। কিন্তু ঘটনা আসলে তা না। ঘটনা দুরকম। প্রথমত, লেখকেরা আর পাঠকেরা জেহাদী জোশে তর্কাতর্কি, গালাগালি, গলাগলি, ভালোবাসাবাসি করতে চায়। ফলে মিনিটে মিনিটে যে মন্তব্যের পাহাড় জমে তা সব পড়ে পড়ে প্রকাশ করতে হালকা সময় লাগে। আর তাছাড়া কিছু মডু সঙ্গদোষে অথবা বুদ্ধিদোষে বিয়ে করে ফেলছে! ঘর সংসার সামলে, নিজস্ত্রী/পরস্ত্রী-নজর বাঁচিয়ে মডুগিরি করতে গিয়ে তাই একটু বিলম্ব ঘটে যায় মাঝেসাঁঝে!
৪। নোটিফিকেশন
৫। সাইটের ধীর গতি
৬। মন্তব্যের ডায়ালগ বক্স
হবে হবে। খালি ইট্টু ধৈজ্জ ধইরা সঙ্গে থাকেন। হইছে কী, সচলায়তন ভাড়া খাটে না। তাই চাইলেই রিক্সা ছাইড়া মার্সিডিসেও চড়তে পারেনা। আগে খানিক ভাইবা লইতে হয় কেম্নে কোন মার্সির্ডিসে চড়া যায়। তয় মার্সিডিসের হর্ন শুনতাছি কয়দিন ধইরা। মার্সিডিসে আমরা এই চড়লাম বলে!
৭। বাংলা লেখা সহজলভ্যতা
কী কন! এরচে সহজে তো বাংলা বলাও যায়না! ট্রাই না মাইরাই কইতাছেন নাকি! যাউকগা, ধরলাম বুঝতে সমিস্যা হইতাছে! বাংলা লেখার নির্দেশনা দিয়া একটা ভিড্যু ছিল যে, ওইডা গেল কই! খ্রান, বাংলা লেখার অলৌকিক সহিহ পদ্ধতির উপর ভিড্যু না দিলে তিনদিন অনশন কইরা মডুদের বাড়ি বাড়ি গিয়া সব খায়া ফালামু বইলা ঘোষণা দিতাছি!
৮। পরিষ্কার নির্দেশনার অভাব
নির্দেশনা তো ছিলই। কোথায় অন্ধকার লাগতাছে তা জিগায়া মডুগোরে মেইল কইরা দেখছেন? একবার মেইলের জবাব না দিলে আবার মেইল করেন। ( আমি বড় হয়া যখন মডু হমু তখন মেগান শৃগালীনির ছবি আর বালিকা নাম দিয়া মেইল কইরা দেখতে পারেন )
৯। বানান ভুল নিয়ে বাড়াবাড়ি
বাড়াবাড়ি কী? প্রথম দিকে সবাই তো কেবল সতর্ক করে দেন। কিন্তু কাউরে ইয়ে করিনা, আমার বানান আমি ভুল করমু ভাইবা বানান ভুল করতে থাকলে তো সচলেরা ভালোবাসতে পারেনা! বলেন, ন্যায্য কইছি কিনা!
১০। মডারেশনের কারন জানানোর ব্যবস্থা করা
-এইডা মডুগো হাতে। ওইযে কইলাম বেচারারা দম ফেলতে টাইম পায়না! এইবার ঈদের ছুটিও কেউ পায় নাই! যারা ঈদের নামাজে গেছিল তারা ল্যাপি নিয়াই গেছে! খুতবার সময় বইসা বইসা মন্তব্য ছাড়ছে! এরকম কাজের চাপের জন্যই ইচ্ছা থাকলেও তারা মডারেশনের কারণ জানাতে পারেনা! তয় ভবিষ্যতে দেখা যাক কী হয়!
১১। অতিথি লেখকের পোস্ট ট্র্যাক করে তাকে সময়মত হাচল করা
-ঠিক ঠিক। সবাইরে হাচল করা হোক।
১২। বিরুদ্ধ মতের অনুপস্থিতি
-স্বাধীনতা'র বিরুদ্ধমত হইলে সেটা অনুপস্থিত থাকাই ভালো। মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধমত হলে সেটাও অনুপস্থিত থাকাই ভালো। কিছু কিছু ব্যপার অনুপস্থিত রাখতেই সচলায়ত সচলায়তন হিসেবে গড়ে উঠছে। কিন্তু অন্যসব বিষয়ে যৌক্তিক বিরোধিতা সচলায়তনে উৎসাহ দেয়া হয় বলেই জানি!
১৩। সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনার অনুপস্থিতি
-এইডা সচলায়তন কর্তৃপক্ষ কী করব কন! যা করার করতে হইব আমাগোরেই। আপনেই আইজকা একটা সমসাময়িক বিষয়ে লেখা দেন। আমিও একটা দিতাছি মাছের দর লয়া! ইয়ার্কি মনে হইলেও হাছা কইতাছি! সমসাময়িক যা ইচ্ছা লেখেন। লিখ্যা শালার হেস্তনেস্ত কইরা ফালান!
১৪। পুরোনো ব্লাগারদের অনুপস্থিতি
-হ। সবার ফাঁসি চাই। সবার ঠ্যাঙে ফাঁসি দিয়া টাইনা আনা হোক।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ফাটাফাটি হইছে
হাল্কা কইরা যোগ করতে চাইঃ সচলায়তনের মূল্ভাবটা ধরতে এক্টু টাইমে দিতে হয়, কিছু পড়ালেখাও করা লাগে (লিঙ্ক দেয়া আছে নিড়পাতায়) যেমন - সাইট, সাহায্য পেজ গুলা না পড়ে এইখানে মন্তব্য করাও উচিত না। তাছাড়া ওইখানে পরিস্কার কইরা কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে। সচলায়তনের দৃষ্টিভঙ্গি ভাল লেগেছে বলেই এইখানে খুঁটি পুঁতে বসে আছি। মুক্তিযুদ্ধের ক্ষেত্রে পরিস্কার অবস্থান সবসময় থাকুক। তাতে যদি লেখক পাঠকএর সংখ্যা ০ হয় কোন সমস্যা নাই, কারণ যেটা করা উচিত শুদ্ধ ভাবে করা হোক, না হলে বন্ধ থাকুক। আর ইংরাজী মন্তব্য মডারেশন করে সম্পূর্ন বন্ধ করা হক। বাংলায় লিখতে না পারলে এখানে লেখার দরকার নাই। আর সন্দেশের এই পোস্টের উদ্দেশ্য ট্রাবলশুটিং বা বাংলা লেখা বিষয়ক হেল্প না বইলা মনে হইছে, সুতরাং যারা সেইটা খুঁজতেছেন দয়া করে একটু সময় করে গুগল করেন। কারণ এই বিষয়ে এত কন্টেন্ট ইন্টারনেটে আছে যে তা আর বলে শেষ করা যায় না। সচল সবসময় টাইট থাকুক, সংশ্লিস্ট সবাইরে টাইট রাখুক।
মডু অনার্য একটা কোপাকুপি মন্তব্য দিছে!
এই হল সচলে অচল থাকার অন্যতম বিড়ম্বনা । আমি কিন্তু এই কথা গুলো বলতে চাইনি। আমি বলতে চেয়েছিলামঃ
----না, স্যার আমি এই ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কথা বলিনি । এটা এই ধরনের মন্তব্য করার পোস্টও নয়।এই লিঙ্কটা সব জায়গায় দেখি,উনার মন্তব্যের শেষে , এখানেও দেখলাম, অনেক দিন ধরেই কৌতূহল হচ্ছিল, তাই আজ কিছু বললাম । আমি বলতে চেয়েছি সীমান্তে যা চলে তার প্রকৃত সত্য আমরা কমন পাব্লিক জানিনা । আর স্যার
কথা এল কোত্থেকে । আমি
কে বর্জন করতে বলেছিলাম। আর আপনি জানেন কিনা জানিনা Bsf INDIAN ARMY এর পার্টও নয়। আমার INDIAN ARMY এর এক্সামপ্ল দেওয়ার কারণ হচ্ছে দেশ সেবায় তাদের নিয়োজিত প্রাণের কথা স্বীকার করা। আর কিছু নয়। এক Bsf দিয়ে সমগ্র দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর প্রশ্ন চিহ্ন উঠছে তাই এই মন্তব্যের অবতারণা ।
আর এতে যদি আমি
মানে
বলে পরিগণিত হই তবে আমায় মাফ করবেন স্যার ।
সর্বোপরি ---ওটা অভিঘাত মূলক কথাবার্তা । আমি বি এস এফ কে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ পদাতিক বাহিনী বলিনি । আমার সমগ্র কথার তাৎপর্যটা অনুধাবন করবেন আশা করি । আমি কি বলতে চেয়েছিলাম ।
-----------------------------------------------------------------------------------------
কিন্তু মডারেশন পার হয়ে আসেনি ।তাই আমি clarification দিতে পারছিনা। আমার খুব খারাপ লাগছে যে, আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তার উল্টো হয়ে গেলো । এর মধ্যে হিমু ভাই আপনার মন্তব্য আসার আগেই এবং নজমুল আলবাব এর বলার আগেই কিন্তু আমি clarification দিয়েছিলাম । আমি বিভ্রান্তি সৃস্টি করতে মোটেই চাইনি । যাক, এখন থেকে আর মন্তব্য দিতে ইচ্ছে করবে না । আর আশা করি এত সব মন্তব্যকারীর মাঝে আমার মত একজন পঙ্গু অচলের হারিয়ে যাওয়াটা কেউ ইয়াদ রাখবে না ।
--------------------------------------------------------------------------------------
ধন্যবাদ সচলায়তন ।
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার আগের মন্তব্যে ডরাইছিলাম। এখনকারটায় দুঃখবোধ হচ্ছে। ভালো থাকবেন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আর আমি নীতিগত এবং গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারি কি না জানি না । তবে আমার দেশপ্রেম যে উগ্র জাতীয়তাবাদ নয় তা বুঝানোর জন্য একটা কোবতে আপ্লোডাইলাম । ওটা আমি সচলে দিয়েছিলাম, কিন্তু মডুরা বাতিল করেছিলেন।
কুকুরাত্মা নিয়ে দু'চারটি খোলা কথা
একলব্য হতে চেয়ে যাত্রা শুরু। শুরু কুকুর দৌড়
পুটকি মারার প্রবণতা থেকে রক্ষা পাওয়ার
অসফল প্রয়াস। ইদিপাসের রোগ।
মেয়ে জাতির গন্ধ শুঁকে মরণঝাঁপি
খুলে দেওয়া।
তারপর
ক
খ
গ
ঘ
ঙ ...
ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌও ও ও ও
দেশি অখণ্ড ব্যবধানের গোরায় ফাটল ধরিয়ে
অ্যালসেশিয়ান কিংবা প্যামেরিয়ান প্রজাতি
নিয়ে ধস্তাধস্তি। শালা মাইরি বলছি
গুরু ... মালটা খাসা।
কবাব চিকেন মটন একেবারে জম্পেশ
বাংলা চলবে তো
উঁহু। বিদেশী, বিদেশী
আবার। শুয়োরের বাচ্চা চুপ
ভুল ভুল। শুয়োর নয় – কুত্তা
চল আবার শুরু করি
হ্যাঁ।
বল –
ক খ গ ঘ ঙ......
ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌও ও ও ও
যাত্রাপালা শুরু
দৌড়ে পালাতে গিয়ে রত্ন খোঁজে পাওয়া
নির্জীব হয়ে যাওয়া পরশ পাথর
স্থবির বিচক্ষন উদগ্রীব পরিশ্রম
নষ্ট চেতনার কিলবিল
আমি শালা চতুস্পদ লম্পট বেহায়া
বল হে সরব কণ্ঠে
হরি হরি বল......
বল হরি।
নেপথ্যে গোঙাচ্ছিস কেন হতচ্ছারা
সামনে আয়
আজ দেখাবো তোকে নেংটো নাচ
একেবেরে ইয়েটা পর্যন্ত দেখিয়ে দেবো
আরে বলছি কি............
তাহলে ডাক না...
ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌও ও ও ও
খুব তেষ্টা পেয়ে গেছে।
ঘেন্না করছে তো? হবেই
জোয়ার ভাটার খেলা সবে শুরু হবে
নয় নয় করেও শতাব্দীর বিদীর্ণ জাতিস্মরেরা
আজ একত্রিত হবার কথা।
সব শেষে বোধোদয় নামক
সত্তাটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে
এর আগে............
আর কি ...
কমরেডদের মিছিল হবে
কমরেড –
সবাই মিলে আওয়াজ তুলোন কুকুরাত্মা জিন্দাবাদ
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ
শেষে সভাপতির ভাষণ
এন্ড
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক
এবার শ্মশান যাত্রার পালা
বিপ্লবের পিণ্ডি
জাতীয়তাবাদীদের আগমন
অতএব
বন্দেমাতরম.........
গাও হে – ভারত ভাগ্যবিধাতাদের গান
হচ্ছেনা হবেনা।
মানছি না, মানবো না লালদের অত্যাচার
তবে মা মমতাময়ী তুমিও শুরু কর
ধর্মঘট অনশন। না না, তা হচ্ছেনা ।
রেল নয় রাস্তা অবরোধ করুন ...
না, না – কোনটাই নয়,
কেন?
আরে হতচ্ছারা এখন খেমতা, থুরি ক্ষমতা
ওরা এখন আমারা আর আমারা এখন ওরা ............
তবে -
যাই হোক আম্মা, বহেনজি তারা তো আছেনই
আর
লেটেস্ট বুড়ো দাদুর গাঁধিগিরি
রামুর বাবাগিরি
সবই আছে
অই ......
অই
আমরা কি মরে গেছি নাকি
রামলালা কি – জয়
বলো – পবন পুত্র ল্যাজয়ালা কি!
চুপ, শালা জয়ধ্বনি দে
না তো এ হবার কথা নয়
প্রকারান্তরে ভিক্ষুক হবো নাকি
না গো না। নতুন রাজ্য গড়বো
নতুন শুরু করবো
মোরা গড়বো মোদের দেশ
যে দেশে পড়বো
ক
খ
গ
ঘ
ঙ
ধ্যাত - ভৌ ভৌ ভৌ ভৌ ভৌও ও ও ও
আবার শালা শুরু করেছিস তুই
তেলেঙ্গানা ফেলেঙ্গানা
টু-জি, থ্রি-জি, ফোর-জি
তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীর পিণ্ডি
বড়োল্যান্ড, গোর্খাল্যান্ড, ছোটোল্যান্ড
তোর বাবার ল্যান্ড
...... ইংল্যান্ড
থুরি থুরি ... ইংরাজি নয়। বাদ বাদ
হবে হবে, সবই হবে। আমেরিকা............
ইতিহাস পাতিহাস সব বকওয়াস
যে যেমনে নাচাবে তেমনি নাচবো
আর বলবো
আমারা সৎ তোমরা অসৎ
আমাদের মান তোমরা বেইমান
আমি ভালো তুমি কালো
আমি হিন্দুস্তান তুমি পাকিস্তান
আমি প্রধানমন্ত্রী তুমি ষড়যন্ত্রী
চলছে চলবে। চলছে চলবে।
যতদিন উপত্যকার শেষ শৃঙ্গ থেকে
আরেকটা নতুন বলয় লাফিয়ে উঠবে
আর বলে উঠবে –
আর নয় প্লিজ, এইবার নিজেকে বিক্রি করা বন্ধ কর।
আরে......
তুমি এতো নচ্ছার কেন?
বলছি না বোধোদয় ঘটতে চলেছে
হতে গিয়ে শেষ হবে অফুরন্ত বলয়......
এ আমার পৃথিবী
এ আমার দেশ
মেনিমুখো রুপতাপস
এখন কুকুরাত্মার আশ্রয়
বিস্মৃত আলোকের পরিশ্রান্ত আঁধার
সব অতলে হারিয়ে যাচ্ছে
সব।
শেষ বেলায় অস্থির সুখ
আর
একটু আশ্রয়ের খোঁজ
তবে
কোথায় –
মায়ের আঁচলে
বিষাক্ত বিষাক্ত
সব
বিষাক্ত।
----- তাপস শর্মা
ধন্যবাদ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য, কেন এই লিখা মডারেশনে আটকেছিল।আপনি কি মনে করেন এটা অতি উচ্চমানের একটা সৃষ্টি??
সাধারণ পাঠক হিসেবে একটা কথা বলি এই কোবতের ৫/৬ লাইন পড়ার পরই বুঝেছি এটাতে কিছুই নাই। পুরোটা পড়ে সময় নষ্ট করিনি।ভাল লেখা দেন তথাকথিত এলিট(!) সচল লাগবে না, সাধারণ পাঠকরাই আপনার তারিফ করবে।
আমি কবিতাভিজ্ঞ নই, কিন্তু এই কবিতাটা আমার ভালো লেগেছে। এর বক্তব্যটা অনেকটাই ভারত-স্পেসিফিক, যাঁরা ভারতের হালচাল নিয়ে অভিজ্ঞ নন, সেসব দেখে বিরক্ত নন, সেটার রসগ্রহণ করতে পারবেন না হয়ত। আর সেই বিরক্তি, সেই ইনকোহেরেন্স, সেই অ্যানার্কিটাই কবিতার ফর্ম হিসাবে, ভাষা হিসাবে লেখক ব্যবহার করেছেন। শুরুতে পড়তে আমারও বিরক্তিই লাগছিল, কিন্তু শেষ অবধি পড়ে বুঝলাম সেই বিরক্তিটাকে বর্তমান অবস্থার প্রতি বিরক্তিতে লেখক সফলভাবে কনভার্ট করতে পেরেছেন।
আংশিক প্রাসঙ্গিক একটা অনুরোধ করি সচলের মডুদের। আমি পছন্দনীয়ের সাথে সহমত, যে সচলের মডারেশন আরো কঠোর করা উচিত।
খুব সম্প্রতিই কিছু লেখা (বা কমেন্ট) লক্ষ্য করেছি, যেগুলো প্রকাশ করার বেশ কিছুক্ষণ পর মডুরা মুছে দিয়েছেন। অথবা, প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। অথবা, প্রকাশ করা কেন হল এই নিয়ে অনেক সচল প্রশ্ন তুলেছেন। এইরকম ঘটনা ঘটায় পাঠকেরা মডারেশন কতটা সুচিন্তিত তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। অতিথিরাও মডারেশনের উপর হয়ত খানিকটা ভরসা হারাচ্ছেন এরকম ঘটনায়।
জানি, মডুরা ব্যস্ত মানুষ, এবং প্রচুর লেখা ও মন্তব্য আসায় একেকটাকে তাড়াতাড়ি পড়েই ছেড়ে দিতে হয়। তাই আমার অনুরোধ, প্রয়োজনে আরেকটু কঠোর হোন, কিন্তু সচলোপযোগী কোয়ালিটি নিশ্চিত করুন, যাতে কিছু প্রকাশ করার পর তার কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন না ওঠে, তুলে নিতে না হয়।
-----------
মডারেশন কঠোর করার অঙ্গ হিসাবেই আমি আরও অনুরোধ করব, অগুন্তি এইসেই কবিতা প্রথম পাতায় না ছাপাতে। কবিতা বেশি বুঝি না, তাই ধৃষ্টতা করেই বলি, মধ্যমানের গাদাখানেক কবিতার ঠেলায় ভালো লেখাগুলোকে প্রথম পাতা থেকে দ্রুত (বিশেষ করে নীড়পাতায় লেখার সংখ্যা অর্ধেক হয়ে যাওয়ার পর) সরে যেতে দেখতে চাই না।
কবিতা বিষয়ে লক্ষ্য করেছি, কবিতার গড় পাঠকসংখ্যা বেশ কম, বিশেষ করে মন্তব্যকারীদের সংখ্যা তো বেশই কম। অতিথি লেখকেরা আরোই কম পাঠক পান। এই অবস্থায় আমার দেখে মনে হয়েছে, অতিথি-নব্যহাচল কবিরা একটা niche কমিউনিটি তৈরি করে নেন, যেখানে তাঁরা পরষ্পরের কবিতা প্রশংসা করে পরষ্পরকে উৎসাহ দিয়ে চলেন। কিন্তু আমি সচলে এমন ভালো কবিতাই দেখতে চাইব, যেখানে শুধু একটা niche কমিউনিটি নয়, সব সচলই এসে মুগ্ধতা জানাতে পারবেন। এমন ঘটনা কিন্তু ভালো কবিদের ক্ষেত্রে দুর্লভ নয়। সচল কবিতাবিদ্বেষী নয়।
কাউকে আঘাত করতে চাই না, কিন্তু একটা উদাহরণ দিচ্ছি। এই সেদিনই একটা কবিতা দেখলাম, যেটা নট-সো-গুড হওয়ার পাশাপাশি অজস্র বানান ভুলে ভর্তি, এমনকি শিরোনামেও। এবং লেখক অতিথি হলেও অনেকদিন ধরেই সচলে আছেন। ভালোভাবেই অনুরোধ করলাম একটু সচেতন হতে। অবাক হয়ে দেখলাম, কবিতাটায় আমি ছাড়া আর কারুর মন্তব্যই পড়ল না। বড় কথা, লেখক নিজেই প্রতিমন্তব্য করলেন না, যেটা এখানের অনেকের মত আমারও আপত্তিকর লাগে। তা এইরকম কবিতা, নাই বা ছাড়া হল?
আমার জানা মতে সচলায়তন সম্বন্ধে অনেকের ধারণা:
১। এটি বিশেষ কয়জন ব্যক্তি বা বিশেষ একটি গোষ্ঠীর ব্লগ।
২। এখানে "সচল, হাচল, অতিথি" দিয়ে ১ম, ২য়, ৩য় শ্রেণীর ব্লগার বুঝানো হয়।
৩। এ ব্লগের স্থায়ী বাসিন্দা হচ্ছে "সচল" শ্রেণীর ব্লগাররা। আর বাকীরা সবাই হচ্ছে নিয়মিত বা অনিয়মিত অতিথি।
৪। শুধু লেখা ভালো হলেই কোন অতিথি এখানে "সচল" হতে পারবে না, এমন কি দীর্ঘসময় লিখলেও হবে না। ভালো লেখার পাশাপাশি আরেকটি গুণ থাকতে হবে - "সচল গ্রুপের কোন সদস্যের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরিচিতি বা সম্পর্ক।
যা-ই হোক আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি:
১। সচলায়তন ব্লগটি স্লো এবং পড়া ও লেখার জন্য "ইউজার ফ্রেন্ডলি" নয়। তাই অনেকে ঝামেলার কারণে লেখতে বা মন্তব্য করতে চাই না।
২। নিম্নমানের লেখক ও ক্যাচাল সৃষ্টিকারীদের প্রবেশ কঠিন করতে গিয়ে ভালো লেখকও এখানে ঢুকতে পারছে না।
৩। যারা ভালো লেখক তারা কখনও আবার এখানে নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে সচল (লেখক) হতে চাইবে না।
৪। শুরুতেই শ্রেণী বৈষম্যের কারণে অনেকে সচলায়তন ব্লগকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করতে পারে না বা এখানে সক্রিয় হতে চাই না।
৫। অন্যান্য ব্লগের অনেক ভালো লেখক ও পাঠক এখানে এসে ভালো লেখাগুলো নিয়মিত পড়ে। কারণ অন্যান্য ব্লগে যখন দলাদলি ও গালাগালির কারণে লেখা দূরে থাক পড়ার মতো পরিবেশও থাকে না তখন সচলায়তন ব্লগে এসে কিছু সময় কাটানো যায় । কিন্তু এরা মন্তব্য করে না বা দৃশ্যমান হতে চাই না।
৬। আমার মনে হয় নিয়ম-কানুনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনলে এবং লেখার টেক্সট বক্সকে আরো "ইউজার ফ্রেন্ডলি" করলে অনেকেই লেখার ও মন্তব্য করার উৎসাহ পাবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। সচলায়তনের শুভ কামনা করি।
আপনি এই কমেন্ট করবেন জানলে আমি আমার কমেন্ট করতাম না!!
মূল বিষয়গুলো বলতে গেলে সবই উঠে এসেছে ইতোমধ্যে। তবে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যদি প্রশ্নটা করা হত যে সচলায়তনের নীরব পাঠকবৃন্দকে কিভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা যায়, আমি এক কথায় ওই 'এলিট তত্ত্ব'র দিকেই আঙ্গুল তুলতাম।
সচলে নিবন্ধন করার পর প্রথম প্রথম লেখা দিলে থ্রেডে দেখায়, "লিখেছেন অতিথি লেখক"। নিয়মিত আনাগোনা থাকলে দিন কয়েক পর নিবন্ধিত নিকটি চালু করে (হাচলত্ব) দেওয়া হয়। তখন লেখা দিলে থ্রেডে দেখায়, "লিখেছেন XYZ [অতিথি]"। আরও কিছুদিন পর লেখককে দেওয়া হয় পূর্ণ সচলত্ব। তখন XYZ এর 'অতিথি' লেজটি খসে। থ্রেডে স্রেফ লেখকের নামটিই থাকে, থ্রেডে দেখায় "লিখেছেন XYZ"। এই পার্থক্যই কি 'এলিট তত্ত্ব'র অন্যতম কারণ নয়?
অন্যান্য ব্লগে বেশ সক্রিয় এবং সচলেও নিয়মিত আনাগোনা করেন নীরবে, আমার ঘনিষ্ঠ এমন একাধিক ব্লগারের সাথে কথা বলে বুঝেছি, মডারেশনের কড়াকড়ি বা অপেক্ষাজনিত বিরক্তি নয়, সচলের প্রতি তাদের অনাগ্রহ মুলতঃ এই একটা পার্থক্যের কারণেই। আমি একটা লেখা লিখব, হোক তা চূড়ান্ত রকমের ছাইপাঁশ, কিন্তু আমার নামটা সেখানে সরাসরি এবং পরিষ্কারভাবে থাকবে-- এটাই তো বোধ হয় খুব স্বাভাবিক একটা আকাঙ্ক্ষা।
আমার তাই মনে হয়, অতিথি>হাচল>সচল এবং মডারেশন প্রক্রিয়া এখন যেমন আছে তেমনই রেখে, কেবল নাম প্রদর্শনের সিস্টেমটা নিয়ে একটু ভাবা যায়। লেখক অতিথি হলে তার নাম 'গেস্ট ইউজার' প্রোফাইলেই না হয় লিংক করা থাকল, হাচল-সচল হলে নিজের প্রোফাইল। কিন্তু 'অতিথি লেখক' বা '[অতিথি]' লেজ বোধ হয় আসলেই খানিকটা দৃষ্টিকটু।
জানি সচল এমনিতেই অনেক ভারি হয়ে আছে। আর কোডিং-টোডিং সম্পর্কে জ্ঞানও শূন্যের কোঠায়। নিজের মতামতটুকু কেবল জানিয়ে গেলাম আর কি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
আপনার নিম্নোক্ত মন্তব্যের সাথে ১০০% সহমত।
"অতিথি>হাচল>সচল এবং মডারেশন প্রক্রিয়া এখন যেমন আছে তেমনই রেখে, কেবল নাম প্রদর্শনের সিস্টেমটা নিয়ে একটু ভাবা যায়। লেখক অতিথি হলে তার নাম 'গেস্ট ইউজার' প্রোফাইলেই না হয় লিংক করা থাকল, হাচল-সচল হলে নিজের প্রোফাইল। কিন্তু 'অতিথি লেখক' বা '[অতিথি]' লেজ বোধ হয় আসলেই খানিকটা দৃষ্টিকটু।"
নিয়মিত লিখে ও হাজিরা দিয়ে সচল হওয়ার মত খায়েস ও সময় আমার কোনটাই নেই। কিন্তু সমসাময়িক অনেক বিষয়ের উপর (বিশেষ করে যেটি আমি খুব ভালো জানি) লেখার ইচ্ছা থাকলেও নামের সাথে এই দৃষ্টিকটু লেজটির কারণে লেখি না। তাছাড়া এখানে আমার মত ঠিকানাবিহীন অতিথির লেখাটি কয়েকদিন পর আর সহজে খুঁজেও পাওয়া যাবে না - যা নতুন লেখককে নিরুৎসাহিত করে।
আমিও মনে করি, লেখার মান ও মন্তব্যের ব্যাপারে মডারেশন কঠোর হউক, আপত্তি নেই। তবে লেখকের নাম প্রদর্শনের সিস্টেমটা নিয়ে একটু ভাবা উচিত।
আপনি যদি নিয়মিত লিখতে না চান সচলায়তনে, অথবা মিথষ্ক্রিয়া না করেন (যেটাকে আপনি হাজিরা বলছেন), তাহলে আপনার নাম প্রকাশের জন্যে কোডিং পাল্টানোর হাঙ্গামা সচলায়তন কেন করবে? সচলায়তন তো চায় নিয়মিত লেখক আর পাঠক, যাদের অংশগ্রহণ সচলায়তনকে সপ্রাণ রাখবে। আপনি কালেভদ্রে একদিন এসে একটা পোস্ট দিয়ে গায়েব হয়ে যেতে চাইলে আপনাকে ঐ অতিথি লেখক শিরোনাম আর লেখার শুরুতে বা শেষে নিজের নাম এবং/অথবা ইমেইল ঠিকানা লেখার সুযোগ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। আপনার খায়েস আর সময় না থাকলে, ফেয়ার এনাফ, লিখবেন না সচলায়তনে। সচলায়তন তাদের জন্যেই, যাদের সচলায়তনের জন্যে পর্যাপ্ত খায়েস আর সময় আছে।
যদি নিয়মিত লেখেন, আপনার অ্যাকাউন্ট অতিথি হিসেবে সক্রিয় হবে, আপনার আগের লেখাগুলো তখন সেই অ্যাকাউন্টে জমা হবে, হারানোর প্রশ্নই আসে না।
নাক উঁচু স্বভাবের মানুষ, নাক উঁচু লেখক, তেলবাজ লেখক, তৈলবাজ কমেন্টকারী, লেখনীর চেয়ে গলায় গলায় পিরীত, মাঝে মাঝেই "সচল" কে বাংলা ব্লগ মহলে সবার শীর্ষস্থানীয় ব্লগ বলে সচলদের আত্মতুষ্ঠি/বাগাড়াম্বর, আর কমেন্ট করলে সেটা প্রকাশ পাবে কি পাবে না, লেখা লিখলে সেটা মডারেশন পার হয়ে মুখ দেখবে কি দেখবে না, কে এসে বানানের ভুল ধরবে, কেউ এসে বলবে আপনার রুচি দেখে আমার অরুচী হচ্ছে, যারা নিজেদের ভেতরে পরিচিত তারা একে অন্যের পোস্টে গিয়ে তেলাতেলি! সচলের প্রতি বিরক্তির উদ্রেক করলেও শুরুটা সচল দিয়েই করেছিলাম, কিন্তু সহ্যেরও সীমা আছে। এখানে এমন কিছু ব্লগার আছে যাদেরকে তাদের লেখনীর জন্যই পছন্দ করি ব্লগের কারনে নয়, এমন নয় যে তারা শুধু এই ব্লগেই লিখছেন, তবে চিন্তার খোড়াক যোগাবে এমন লেখা সচলের চেয়ে বেশি মুক্তমনাতে আসে বলেই আমার বিশ্বাস। তার পরেও লেখকরা এক অন্যের চামচামী বাদ দিয়ে সুন্দর সন্দর লেখা উপহার দিক, আর পাবলিকের জন্য আরো একটু উন্মুক্ত হোক এই জায়গা সেই কামনা করি। লেখকদের ভেতরের মিথস্ক্রিয়া যেই ব্লগের ব্লগারদের লেখার জায়গা নির্ধারন করে সেই জায়গায় ভাল কিছু আশা করা দুঃস্কর, তাই দূরে থাকার চেষ্টা করি এই ব্লগ থেকে। কি দরকার বাপু। যেখানে স্বঘোষিত হাতির পাল চলাফেরা করে সেখানে পিপিলিকা হয়ে আত্মহুতি দেবার। এরপরে ও এই হাতির পাল টিকে থাকুক, বাংলাদেশ থেকে হাতির পাল গায়েব হয়ে গেলে মাঝে মাঝে পোলাপাইনগো সচলের লিংক ধরায় দিমু! রাইখা গেলাম এই কমেন্টের পরে লাগতে পারে তাই আরকি!!অনেক দিনের ক্ষোভ তাই সন্দেশের উপর ঝাইড়া গেলাম!
অকপটে আপনার ক্ষোভ প্রকাশের জন্য
পয়েন্ট বাই পয়েন্ট আসি-
#
নাকের দৈর্ঘ্য লেখক বিশেষে বাড়ে-কমে, এ নিয়ে আপনার মন্তব্য থাকলে সংশ্লিষ্ট লেখাতেই বলতে পারেন। খুব "সেলিব্রেটি ভাব" নিয়ে চলে এমন কাউকেই তো দেখি না। হিমু আর পিপিদার কথা এর আগের মন্তব্যে এসেছে। আপনি কি তাদের কথাই বলছেন? নাক উঁচু লেখক কারা? যারা মন্তব্যের জবাব দেয় না বা দিলেও তাচ্ছিল্যের সাথে দেয়? নাকি অন্যের লেখা মান্সম্মত নয় বলে তীর্যক মন্তব্য করেন?
লেখনীর চেয়ে গলায় গলায় পিরীত - মানে কী রে ভাই? কারো কারো সাথে ইন্টার্যাকশান ভাল হয়, আড্ডাটা বেশি জমে, দীর্ঘদিন ব্লগিংয়ের সুবাদে হয়ত খোশগল্পও হয় - এইটা এত নেগেটিভ ভাবে দেখার কী আছে?
#
প্রচ্ছন্ন একটা গর্ব বোধ কাজ করে সত্যি, কিন্তু এরকম বাগাড়ম্বর আমার চোখে পড়ে নি।
#
পূর্ব-পরিচয়ের খাতিরে মন্তব্য অনেক সময় ঘরোয়া ধরনের হয়, পূর্ব প্রসঙ্গ থাকে, কিছু কমন জোক থাকে, কিন্তু তেলাতেলি মানে কি? নতুন লেখক চরম উদাস, অণু তারেক বা দিহানের পোস্টে তো কেউ প্রশংসার বালতি উপুড় করতে কার্পণ্য করে নি। ওনারা কেউই খুব বেশি পরিচিত কেউ ছিল কি? আমার পোস্টে তো আমি বেশ কিছু গঠনমূলক ফিডব্যাক পেয়েছি পরিচিত সচলদের থেকেই। একদম আনকোরা লেখক (বিশেষ করে কবি) অ্যাটেনশান কিছুটা কম পাবেন, পরিচিতদের লেখা হয়ত ফেইসবুকেও শেয়ার হয় কমন ফ্রেন্ডদের মাধ্যমে - খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। এজন্য ইন্ট্যার্যাক্ট করা জরুরী। যে অতিথি লেখক অন্য কারো লেখায় মন্তব্য করেন নি, তিনি প্রত্যাশার চেয়ে কম মন্তব্য পেতেই পারেন। আবার যার ইন্টার্যাকশান বেশি, তিনি হয়ত একটু বেশি মন্তব্য পাবেন। আন্তর্জালে নিজের লেখাকে উপস্থাপন করার কায়দাটুকু জানা থাকা চাই।
#
অমত। আপনার পর্যবেক্ষণ ভুল। শুধু ভুল না, চরম চরম ভুল। মিথষ্ক্রিয়া ভেতরে নয়, ব্লগেই হয়। পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কের গন্ডি আরেকটু বিস্তৃত হয় সত্যি, কিন্তু ভিত্তিটা ব্লগে। আর ভাল কিছু আশা করা দুষ্কর?? হাসি পেল, পিছনের পোস্টগুলো ঘেঁটে দেখার অনুরোধ রইল।
শুভেচ্ছা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
গোলম মোস্তফা ভাই কিন্তু সচলায়াতনে ব্লগিঙ করছেন কিছুদিন। কিভাবে তেলাতেলি না করে লিখালিখি করতে হয়, তা জানতে পরতে হবে গোলাম মোস্তফা ভাইয়ের একটি মাষ্টারপিছ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/27622
উনি সচলায়াতনে এইসব লিখালিখি করে ভাত পান নাই দেখেই মনে হয় চেতে আছেন।
আমিতো অনলাইন ব্লগিং শুরুই করেছিলাম সচল দিয়ে, এই কথা কি গরীব অস্বীকার করেছিলাম "ভ্রাত"? করিনাই, কিন্তু উপকার করিবার জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আপনার মতো হাতিকে ছোট করিলাম না।
সমালোচনা অনেকের হয়, এই পোস্টটা আসলে খুঁজিতেছিলাম মনে মনে, কিন্তু সচলের পাইল করা পোস্ট আর ঘাঁটতে ইচ্ছে করলো না তাই আর তেলাতেলীর উদাহরন দিলাম না আগের সেই কমেন্ট কারীকে।
এই পরনিন্দা পরচর্চার ব্লগটি পড়ে কেমন গা ঘিনঘিন করছে৷৷ কারো বাড়ীর দরজা খোলা থাকলেই যেমন আমরা ঢুকে জিনিসপত্র তুলে আনি না, সেরকমই কারো পিসি বা ল্যাপটপ ব্যবহার করলেও তাঁর ব্যক্তিগত ফোল্ডার হাঁটকাই না৷ছি:
এই কমেন্ট যেই হাতিতে করেছেন তিন আমার বন্ধুর ল্যাপ্টপে ব্যাক্তিগত ফোল্ডার খোলার কারনে ছে ছে করিয়াছেন, কিত্নু, খুন করার চেয়ে বড় অন্যায় করিয়াছিলাম মনে করে দুঃখে জাপান সাগরতীরে মরিতে গিয়াছিলাম , কিন্তু কাপুরুষ হৃদয় সেইডা ও করতে পারলো না। কমেন্টকারী/কারিনী/মাঝামাঝি অন্য আর একটা পোস্টে একজন অচেনা মেয়ের ছবি সংবলিত পোস্ট যে ছবিখানি মেয়ের অনুমতি না নিয়ে তোলা হয়েছিলো সেই পোস্টে "ছে ছে না করিয়া" বাহবা দিয়া আসিবার পরে বুঝিলাম, তেলাতেল কি ভাবে করিতে হয়। যে সচল আমারে "সচলায়তনে" লিখিতে বলিয়াছিলেন তিনি আমারে অনুরোধ কইরা কইছেন "তেলাতেলি না করিলে ভাত পাইবেন না কইলাম", সিনিয়র বা ক্ষমতাবানদের প্রতি কোন প্রতিক্রিয়া দেখাইবেন না, আমি বলিলাম "ক্ষম ক্ষম অপরাধ (কপিরাইট লালন)"
প্রফুল্লচাকী কে নিয়ে লেখাটা দিলে আরো ভালো উদাহরন দিতেন, কারন সেখানে অনেক খানী উইকি থেকে নিছিলাম কিন্তু নবীশ ব্লগার হিসাবে লিঙ্ক দিতে ভুল করিয়াছিলাম, প্রফুল্ল আবার আমার বাপের এলাক্র লোক কিনা তাই তার সব নিজেরই মনে হইছিলো।
যাই হোক হাতি ভাই, অনেক কষ্ট করিলেন আপনি আমারে ও দুই চার কলম লিখতে হইলো অনিচ্ছা সত্বেও। ইঁদুর শ্রেনীর লেখক তাই সাধু-চলিত মিশ্রনটিকে আপনার ক্ষমা না করিলেও চলিবে।
উনি সচলায়াতনে এইসব লিখালিখি করে ভাত পান নাই দেখেই মনে হয় চেতে আছেন।
সচলে লেখিলে ভাতের ব্যাবস্থা হয় ঝানতাম নাতো রণদা কই গেলেন? কইছিলাম না কোন কোন ব্লগে পেইড ব্লগার আছে, পেইড ব্লগারদের কেমনে পেমেন্ট দেয় এই পাঠকের ভালো জ্ঞান আছে মনে হয়। আমার এতোদিন আগের পোস্ট এখনো মনে রাখিয়াছেন, নাম, ধাম...দাদা আমি কি আপনার সক্ষুসূল হইয়া বাঁধিয়া আছি? আমি কিন্তু বুঝেছি আপনে কেঠা! আফসোস আমার মতো হত দরিদ্র লেখকের সমালোচনা ভুলচুক ধরিয়া দিতে শেষ পর্যন্ত "পাঠক" হইয়া লিখিতে হইলো! সচল নিয়ে যারা নিজের ঢোল নিজে পিটায় তাদের মতো নিজেরে নিয়ে অহংকার করিতে ইচ্ছা করিতেছে ভ্রাত! আপনাকে ও আমি প্রাতঃস্মরণীয়র তালিকাতেই রেখেছি!
অতিথিদের নাম প্রকাশিত না হওয়া একটা বড়ো বিষয় মনে হয়
অজ্ঞাতনামা জনসাধারণ হতে ভালো লাগার কথা না কারো
মন্তব্য করতে যেহেতু নাম ইমেইল দিতে হয় সেহেতু যে ভাবেই হোক তার নামটা প্রকাশ করার ব্যবস্থা থাকা দরকার
০২
কাউকে সমালোচনা করা- বিরোধিতা করা আর অপমান করার পার্থক্য অনেক বুড়া (যাহারা প্রাচীন) সচলই বোঝেন না। এটা নতুন পুরোনো অনেকের জন্যই বড়ো একটা সমস্যা
ভালো না লাগলে কিংবা পছন্দ না হলে অনেক বাঘা সচল ব্যাখ্যা না দিয়ে সরাসরি অপমান করে বসেন; তা হোক কোনো পোস্ট লেখককে আর হোক হোক কোনো কমেন্টককে
এইটা একটা বাজে জিনিস
(বাঘা সচলদের বয়স যত বাড়ছে এর পরিমাণও বাড়ছে। রণদার ইয়োগা দিয়ে বুড়া সচলদের ধৈর্য বাড়ানো দরকার)
০৩
কমেন্ট সমর্থক গোষ্ঠী একটা বিখাউজ
কিছু কমেন্ট (পুরাসচলদের) দেখলে মনে হয় তারা আওয়ামী বিএনপি স্টাইলে কমেন্ট করেন
কোনো পোস্টে এদের স্বাধীন কমেন্টের চেয়ে অন্য কোনো বুড়া সচলের কমেন্ট সমর্থন করে কমেন্টের পরিমাণই বেশি
কোনো বিশেষ বুড়া সচল যদি কাউরে হালা বলেন তো সমর্থক গোষ্ঠী বলেন- হালার পুত হালা...
(এরা আবুল মন্ত্রীর মতো সব সময় সচলত্ব হারানোর ভয় করেন কি না জানি না)
০৪
মাঝে মাঝে সচলে কিছু অজ্ঞাতনামা ঠ্যাঙ্গারু বাহিনীর আবির্ভাব হয়; তারা কাউকে ধোলাই দিতে কিংবা কাউরে যুগের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বলতেই এদের আবির্ভাব (প্রাদুর্ভাব) ঘটে;
(উকুন কেউ চাষ করে নাকি উকুন এমনিতে হয় জানি না)
০৫
অভিজ্ঞতা বাড়ার কারণেই বোধ হয় বুড়া সচলদের লেখাগুলো আগের থেকে অনেক বেশি নিখুঁত হচ্ছে দিন দিন
ফলে খুঁত ধরানো কিংবা প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনার সুযোগ কমছে
০৬
সচলে যারা অনেকদিন থেকে আছেন তারা সকলেই সচলের মুড বোঝেন বলে সচলের মুডের বাইরের পোস্ট হয়তো করেনই না। ফলে বিতর্কেরও জায়গাও কিন্তু দিনে দিনে কমছে
(বৈচিত্রও কি কমছে?)
০৭
সাহিত্য প্রাধাণ্য একটা বিষয়। কারো কবিতা গল্প ভ্রমণকাহিনীতে ভালো কিংবা ভাল্লাগেনি বলার বাইরে অন্য কিছু খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন
কারো লেখা ভাল্লাগে না বিষয়ের জন্য; কারো লেখা ভালো লাগে না কাঁচা লেখা বলে
অনেকে কাঁচা লেখা দেখলে মাস্টারি শুরু করে দেন
ওটা বাজে প্রাকটিস। মাস্টার আক্রান্ত হলে লেখা ভালো না হয়ে খারাপই হয়
(উদাহরণ: বাংলা সাহিত্যে বিএ অনার্স এমএ সম্প্রদায়)
মাস্টারি প্রবণতা বুড়ো সচলরা কম করেন। বেশি কিন্তু করেন আধাবুড়োরা।
(আধা বুড়ার পুরা বুড়ো হবার প্রচেষ্টা?)
০৮
আমার হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোস্ট যতটা না আলোচনা জমায় তার থেকে বেশি জমায় বিশ্লেষণধর্মী কমেন্ট। দিনে দিনে ওসবের পরিমাণ মনে হয় কমে যাচ্ছে (ক্লান্তি না বাধ্যর্ক না পুনরাবৃত্তি?)
০৯
সচলের প্রথম দিকে যারা যোগ দিয়েছেন; তারা কিন্তু আগে থেকেই হয় ব্লগিং না হয় লেখালেখিতে যুক্ত থাকার কারণে কারোই কিন্তু আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল না
এখন এমন অনেকেই যুক্ত হচেছন যারা জীবনে প্রথমবারের মতো হয় লেখক এবং ব্লগার কিংবা ফটোগ্রাফার। তারা কিছুটা দ্বিধার মধ্য দিয়ে যান। এটা স্বাভাবিক।
(অনেকে আবার কয়েকদিন ঝিম মেরে থেকে অন্যদের মাপজোঁক করেন। তারপর নিজে কোপ মারেন)
১০
ভালো লাগার এক ধরনের ক্লান্তি আছে
সচলদের যারা ভালো লেখেন কিংবা ছবি তোলেন তারা একটামাত্রা পর্যন্ত ভালো না হলে পোস্ট দেন না। ফলে ভালৈছে দারুণ দুর্দান্ত দুর্ধর্ষ এই সকল কথা বলতে বলতে অনেক সময় ক্লান্তি লাগে
আমি এসব ক্ষেত্রে অনেক সময়ই মন্তব্য করি না
আবার অনেক দিন থেকে পড়তে পড়তে অনেকেরই দৃষ্টিভঙ্গি এবং লেখার ঘরানা বুঝে যাওয়ায় যে বিষয়গুলোতে আমার আগ্রহ নেই সেগুলো পড়ি না। নাম আর শিরোনাম দেখে চলে যাই। এটা হয়ত অন্যদের ক্ষেত্রেও ঘটে। ঘটারই কথা
১১
নিজের বিষয়ে জানি আলসেমি একটা কারণ
প্রতিদিন কয়েকবার ঢুকি। পড়ি। কিন্তু লগিন না করায় কমেন্টও করা হয় না
১২
মন্তব্যের উত্তরে মন্তব্য না করলে কিংবা মন্তব্য স্বীকৃতি না দিলে অনেকেই হতাশ হন (নতুন সচলরা)
কিন্তু অনেক সময় ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া কিছু খুঁজে পাই না বলে ধন্যবাদ- ধন্যবাদ- ধন্যবাদ না করে চুপ থাকি।
১৩
নিজেরটা বলতে পারি; কিছু লেখা হলে সচলেই প্রথমে দেই
কিন্তু গত বছর দুয়েক ধরে লেখা খুবই কম হচ্ছে বলে দেয়াও হচ্ছে না
(বৌম্যাডাম শুনলে ফাটায়ে ফেলবেন কারণ আমার বিয়ের বয়সও তাই)
১৩২টা মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য চশমা ছাড়াই পড়ে ফেললাম। আমি ব্যাক্তিগতভাবে লেখার কাজ লিখে যাই। পাঠকদের মন্তব্যগুলো ফলো করি এবং পরের লেখাগুলোয় মন্তব্যগুলো থেকে আহরিত লারনিংগুলো সন্নিবেশিত করার চেষ্টা করি। আমি অন্য কোনও ব্লগসাইটে যাইনা বা লিখিনা কাজেই সেখানে কি হয় আমার ধারণা নেই। পূর্ণসচল হওয়ার তাড়নাও আমার নেই, যেভাবে আছি, ভালোই আছি। এনজয় করছি।
তবে সম্প্রতি পেজগুলো লোড হতে অনেক বেশি সময় নিচ্ছে। আশাকরি এটার সমাধানে কাজ চলছে। মাহবুব বলেছে স্বতন্ত্র সার্ভারের কথা।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
আমার মনে হয় অতিথিদের অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দেওয়া যেতে পারে, লেখা মডারেটেড হল, বা নামের পাশে অতিথি লেখকই না হয় দেখালো,কিন্তু প্রত্যেকের যদি একটা প্রোফাইল অন্তত থাকে তাহলে এই নীরব পাঠকরাও সরব হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত হবেন বলে আমার ধারনা, এছাড়াও তখন প্রত্যেকের পক্ষে নিজের করা মন্তব্য গুলো ট্র্যাক করা সম্ভব হবে এবং নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া বেশ সহজ হবে।
ধন্যবাদ
আপনার মন্তব্যের জন্য। কবিতা ভালো কিংবা খারাপ এটা বলার দায়িত্ব আপনাদের , আমার নয়। তাই আপনার কথা মাথা পেতে নিলাম। তবে যেতে যেতে শুধু একটা কথা বলে যাই এই লেখাটা সম্পূর্ণ ভাবে ভারতবর্ষীয় প্রেক্ষাপটের খতিয়ান। আর ফ্রয়েডীয় ব্যালান্স মেন্টেইন করেছি তাতে। আর ভাষায় খানিক্টা কর্কশতা। একেবারেই রাজনিতিক অনুষঙ্গ। যদি একটু বিস্তৃত ভাবে ধারণা নেন তাহলে আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন।
-------------------------------------------------------------------------------
আর তেল দেওয়া প্রসঙ্গে এখানে কিছুটা বলে যাই। আমার লীলেন ভাই কে নিয়ে একটা লেখা এসেছিল কিছু দিন আগে। বহু জন এটাকে
আখ্যা দিয়েছিলেন। উত্তরে বলি - মাহবুব লীলেন যে কে সেটাই আমার জানা ছিলনা( আমার অসম্পূর্ণতা) । তার সাতটা গল্প পড়ে আমার ভালোবাসা জন্মেছিল, আর কিছুটা আমার এক দাদার মুখে শুনে।তাই তারপর আমার ভালবাসার থকেই এই কটা কথা আমি বলেছিলাম লীলেন সম্পর্কে । এখানে তেল কোত্থেকে এল ? আমি সচলায়তনে আমার বারবার আসার কারণ স্রেফ ব্লগিং করা। তেল আমি দেইনা। শিখিনি। আর তেল দেওয়ার জায়গা এইটা নয়। এটাতো গল্প আর আড্ডা দেওয়ার জায়গা। তাই না। আমি আমি তো দূরের মানুষরে ভাই। নিজের সম্পর্কে বলাটা আত্মপ্রচার হয়ে যায়, তবু বলি - এই তেল দিতে না পারার জন্য আমাকে একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছিল। কোর্স অসম্পূর্ণ করে। আমার জীবনের ১টা বছর তাতে নষ্ট হয়ে যায়। তারপর কর্ম জীবনেও আরেকবার এই ধরনের ঘটনা ফেইস করি। বীভৎস সব অনুভুতি। আর জগতটাই এত'তেলময়' হয়ে গেছে যে , তাই কাউকে দোষ দেইনা। কারণ আপনারাতো জগত থেকে শিক্ষা নিয়েই কথাগুলি বলছেন ।
আর সচলায়তনের মূল সুর কিন্তু এটাই যে
- তাই আমার মনের মেলবন্ধন ঘটেছে এখানে এসে।
আর এই পোস্টে কিছু অবাঞ্ছিত কথা বলার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। কারণ এটা অন্য কথা বলার পোস্ট ছিল ।
ধন্যবাদ।
যখন বুঝতে পেরেছেন যে কিছু একটা ভুল হয়েছিল, সেটা শুধরে নেওয়া যাবে, তখন আর দুশ্চিন্তায় থাকবেন না। এখানে তো কেউ আপনাকে তেল দেওয়া নিয়ে অভিযুক্ত করে নি। হাত খুলে লিখে যেতে থাকুন। ভালো লেখা হলে, ধারালো যুক্তি হলে, সবাই সমাদরই করবে, আমার ধারণা।
নতুন মন্তব্য করুন