এই কনফারেন্সে যাওয়ার জন্য আমেরিকার ভিসা লাগবে, তাই আমি অনেকটা সময় হাতে রেখে আল্লাহ আল্লাহ করে ভিসার আবেদন করে দিলাম। দুইমাস পরে সে ভিসা পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। যাহোক এরপরে একদিন শুভদিন দেখে কনফারেন্স রেজিস্ট্রেশনও করে ফেললাম। যাওয়ার প্রায় একমাস আগে সুপারভাইসরের আরেক ছাত্রও আমার সাথে যাবে ঠিক হল। আমরা দুজন মিলে বিমান আর হোটেলের বুকিং দিয়ে ফেললাম। ঠিক হল, জুলাইয়ের ১৭ তারিখ আমরা স্যাক্রামেন্টো যাব, কনফারেন্স শুরু হওয়ার দুদিন আগে যাতে আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করতে পারি। আমি একদিন একটি গাড়িও বুকিং দিয়ে ফেললাম দুদিনের জন্য।
১৭ তারিখ খুব সকালে আমাদের ফ্লাইট ছিল। ভ্যাঙ্কুভার থেকে সিয়াটল, এরপরে সিয়াটল থেকে স্যাক্রামেন্টো। আমরা এয়ারপোর্টে পৌছে বিমানের সাইজ দেখেতো পুরাই তব্দা খেয়ে গেলাম, এত পিচ্চি বিমান? এটা উড়বে কিনা সেটা নিয়েই সন্দিহান আর কিছুটা ভীত। এর আগে কখনো এত ছোট বিমানে চড়িনি আমি। তাছাড়া এটাতে উঠতেও হবে রানওয়ের পাশে দিয়ে হেঁটে। শুরুতেই মেজাজ কিছুটা খারাপ হয়ে গেল। বিমানে চড়ে দেখি বসার সীটগুলোও বেশ চাপাচাপি, কেমন লোকাল বাস টাইপ। আমিতো পারলে দোয়াদরুদ পড়ি আরকি। যাই হোক কিছুক্ষণ পরে ছাড়লো আমাদের ছোট্ট বিমান, অনেক কষ্টে মনে হল আকাশেও উড়ল। তারপরে আর খুব একটা ভয় লাগেনি। বিমানবালাগুলো দেখে মনে মনে একটু দীর্ঘশ্বাস ফেললাম, ইস আমাদের এয়ার কানাডা কিংবা ওয়াস্টজেটের বিমানবালাগুলোও যদি এরকম হত, একটু সুন্দরী, হাসিখুশি, বন্ধুভাবাপন্ন।
দেখতে দেখতেই সিয়াটল পৌছে গেলাম। সেখানে আমাদের প্রায় তিনঘন্টার যাত্রাবিরতি ছিল। সিয়াটল এয়ারপোর্টটা ঘুরেফিরে দেখলাম, নাস্তা করলাম এতেই অনেকটা সময় কেটে গেল। দুপুরের দিকে স্যাক্রামেন্টো পৌছালাম।
স্যাক্রামেন্টো এয়ারপোর্ট বেশ ছোট একটা এয়ারপোর্ট, খুব বেশি মানুষের ভীড় নেই। আমরা আমাদের লাগেজ নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করলাম কিছুক্ষণ বাসের জন্য যাতে করে আমরা আমাদের ভাড়া করা গাড়িটি নিতে পারি। কিছুক্ষণ পরেই আমরা সেখানে পৌছালাম, আমাদের গাড়িটি পিক করে আমরা প্রথম হোটেলে ফিরলাম। হোটেলে ফ্রেশ হয়েই আমরা বেরিয়ে পরলাম সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশ্যে। অবশ্য আমাদের আজকের গন্তব্য হচ্ছে নাপা ভ্যালি আর তার আশেপাশের এলাকা। একজনের কাছে থেকে শুনেছিলাম যে নাপা ভ্যালি খুবই সুন্দর একটি জায়গা, এছাড়া পালো আলটো ও অনেক সুন্দর, সেখানে নাকি ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে সুন্দর আবহাওয়া।
নাপা ভ্যালি আসলে তার বিভিন্ন ওয়াইনারির জন্য বিখ্যাত। শহরটা খুবই সুন্দর, ছিমছাম তবে ছোট।
আমরা গাড়ি চালিয়ে পৌছুতে পৌছুতে অনেক বেলা হয়ে গেল। পৌছে দেখি তেমন কিছুই দেখার নেই। আমরা দুজনের কেউই ওয়াইন চাখতে ঠিক ইচ্ছুক নই, আর ওয়াইন চাখাই হচ্ছে নাপা ভ্যালির একমাত্র আকর্ষন। মেজাজ গেল খারাপ হয়ে। আমরা ইনফরমেশন সেন্টার খুঁজতে লাগলাম, পেলামও কিন্তু সেটা ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে। খুঁজেপেতে একটি রেস্টুরেন্ট পেলাম, সেখানে জিজ্ঞাসা করলাম যে তোমাদের এখানে দেখার কী আছে ওয়াইনারি ছাড়া? মেয়েটা অনেকক্ষণ চিন্তা করে বলল, একটি পার্ক আছে সেখান থেকে তোমরা নদীর শোভা দেখতে পার। আমরা ততক্ষণে আর নদীর শোভা দেখার মত মুডে নেই। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আশেপাশে কোন লেক কিংবা বীচ জাতীয় কিছু আছে কিনা। সে তখন তার ম্যানেজারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল। তার ম্যানেজার বলল, একটু দূরেই একটি লেক আছে, লেক ব্যারিয়েসা। তোমরা সেখানে যেতে পার, খুবই সুন্দর, একটু বীচের মত আছে। আমরা আবার আশায় বুক বেঁধে রওয়ানা দিলাম লেক ব্যারিয়েসার উদ্দেশ্যে। হাইওয়ে থেকে লেক ব্যারিয়েসায় যাওয়ার জন্য আলাদা রাস্তা আছে, তবে সে রাস্তার বর্ণনা করার সাধ্য আমার নেই। সাপের মত আঁকাবাঁকা সাথে উঁচুনিচু মিলেয়ে রাস্তাটাকে মনে হচ্ছিল যে এ রাস্তা দিয়ে সরাসরি না নরকে পৌছে যাই। আমি এর আগে কখনো এরকম রাস্তায় গাড়িতে চড়িনি। মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছিল “নীড ফর স্পীড” এর রেসের কোন একটি ট্র্যাকে আছি। এর মধ্যে আবার আরেক যন্ত্রণা, পেছন থেকে একটি গাড়ি ক্রমাগত হর্ণ দিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছিল ওর তাড়াতাড়ি বাসায় গিয়ে কমোডে বসে পরতে হবে। কিন্তু রাস্তা মাত্র এক লেনের আর সাইড দেয়ারও জায়গা নেই তাই আমরা সাইড দিতে পারছিলাম না। অনেকক্ষণ পরে একজায়গায় রাস্তা একটু ফাঁকা আর সোজা ছিল, সে দেখলাম ফুরুত করে পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে আমাদের মধ্যমা দেখিয়ে সাই করে চলে গেল। আমরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম এতে। কিছুক্ষণ পরে পৌছালাম লেক ব্যারিয়েসায়। তেমন বড় কোন লেক না, এর চেয়ে লেক ওকানাগান অনেক বড় আর সুন্দর। তবে প্রচুর মানুষ এসেছে, তাদের বোট নিয়ে। লেকেও অনেক মানুষ বোটে করে ঘুরছে, কায়াকিং করছে। আমরা কিছু ছবি তুলে ফিরতি পথ ধরলাম।
ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় পালো আলটো যাওয়ার চিন্তা বাদ দিলাম। হিসেব করে দেখলাম সান ফ্রান্সিসকো পৌছাতে পৌছাতে অনেক রাত হয়ে যাবে, তাছাড়া সেখানে হোটেল খরচও বেশি। তাই পথেই কোথাও রাতে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।
পরদিন সকাল সকাল রওয়ানা দিলাম সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশ্যে। সান ফ্রান্সিসকো ঢোকার মুখে টোল দিতে হয় আর সেখানে বিশাল লাইন। সে লাইন পেরিয়ে সান ফ্রান্সিসকো ঢুকতে ঢুকতেই অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল। শহরে পৌছে প্রথমেই গেলাম পিয়ার ৩৯ এ। পিয়ার ৩৯ আসলে এক ধরনের শপিং সেন্টার। তবে সেখান থেকে সান ফ্রান্সিসকো বে দেখা যায়, বিখ্যাত/কুখ্যাত আলকাট্রাজ দুর্গও চোখে পরে। এছাড়া সান ফ্রান্সিসকো অ্যাকুরিয়াম কিংবা সিটি ট্যুরও সেখান থেকে শুরু হয়। এরকম প্রায় ১০০শত পিয়ার আছে সান ফ্রান্সিসকো বে এলাকায় কিন্তু পিয়ার ৩৯ ই সবচেয়ে জমজমাট। আমরা সেখান থেকে বিখ্যাত গোল্ডেন গেট ব্রীজ দেখতে পেলাম। সেখানেও যথারীতি কিছু ছবি তুললাম।
এরপরে আমাদের যাওয়ার ইচ্ছা ছিল আলকাট্রাজ দুর্গে কিন্তু সেদিনের মত ফেরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভগ্ন মনোরথে আমরা লম্বার্ড স্ট্রীটের দিকে রওয়ানা হলাম। জিপিএসে লম্বার্ড স্ট্রীট দেখাচ্ছিল ঠিক একটি সাপের মত যা এঁকেবেঁকে চলছে। কাছে গিয়ে বোঝা গেল যে এটা শুধুই আঁকাবাঁকা না, সাথে এর ঢাল প্রায় ২৭%। রাস্তাটি মাত্র ৫ মাইল লম্বা আর সর্বোচ্চ গতিসীমা মাত্র ৮ কি.মি./ঘন্টা এতেই বাঁচোয়া নইলে এই রাস্তায় গাড়ি চালানো প্রায় অসম্ভব। অনেকে দেখলাম হেঁটে হেঁটে পার হচ্ছে, অনেকে বিশেষ ধরনের এক গাড়ি (যা ভাড়া পাওয়া যায়) তাতে করে এরাস্তাটি পার হচ্ছে। আমরা আমাদের গাড়ি নিয়ে পারি দিলাম। ছবি তোলার কিছু চেষ্টা করেছিলা কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেখানে যাওয়ার পথে স্ট্রীট কেবল কার চোখে পড়ল। আমাদের পরবর্তী টার্গেট হচ্ছে তারই একটিতে চড়া। সেটার জন্য গেলাম এক স্টেশনে। সারাদিনের পাস কিনে চড়ে বসলাম একটিতে। চরম এক অভিজ্ঞতা হল। যদিও সেগুলো খুবই আস্তে চলে এবং খুবই অল্প সময়ের কিন্তু উঁচুনিচু রাস্তা আর চারপাশের দৃশ্য এই অল্প সময়ের যাত্রাটাকেই করে তোলে অনন্য। আগে বলা হয়নি যে সান ফ্রান্সিসকো শহর কিন্তু তার এই অস্বাভাবিক রকমের চড়াইউতরানো রাস্তার জন্য সুপরিচিত, তবে আমার মত নবিস ড্রাইভারদের জন্য এক বিশাল পরীক্ষার জায়গা হচ্ছে সিটি অফ সান ফ্রান্সিসকো।
স্ট্রীট কারে যেতে যেতে চোখে পরল রাস্তার একপাশে শুটিং চলছে। তুলে ফেললাম একটি ছবি।
স্ট্রীট কার থেকে নেমে আমরা গেলাম সান ফ্রান্সিসকো পোর্ট দেখতে। সেটাও বেশ জমজমাট জায়গা, মানুষে ভরপুর। সেখান থেকে গোল্ডেন গেট ব্রীজ প্রায় পুরোটাই চোখে পরে। সেখানে আমি অপ্রত্যাশিতভাবে দেখতে পেলাম মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি, আমাদেরকে শান্তির বার্তা দিচ্ছেন মনে হল। আবারও আলকাট্রাজ দ্বীপটি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম।
সান ফ্রান্সিসকো পোর্টের কাছেই একটি শপিং মল আছে, সেখানে আমরা লাঞ্চ করলাম তাজা মাছের ফিশ এন্ড চিপ্স, আমার খাওয়া এখন পর্যন্ত সেরা ফিস এন্ড চিপ্স। সেখানে দেখতে পেলাম একটি কফি শপের সামনে অনেক ভীড়। কৌতুহল হল, ওদের ইতিহাস দোকানের সামনেই টানানো, অনেক সমৃদ্ধ ইতিহাস। নিয়ে ফেললাম এক কাপ মোকা কফি। ওহ, দোকানের নাম ব্লু বটল কফি।
সেখান থেকে আমরা রওয়ানা দিলাম গোল্ডেন গেট ব্রীজের উদ্দেশ্যে। কিন্তু কাছাকাছি পৌছাতেই দেখি কুয়াশায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে গেল। পরে জানলাম সান ফ্রান্সিসকো নাকি এই হঠাৎ কুয়াশার জন্যও অতীব সুপরিচিত।
মেজাজটা আবার গেল খারাপ হয়ে। ভেবেছিলাম এত সুন্দর ব্রীজের কিছু ছবি তুলব কিন্তু দিল প্রকৃতি সব মাটি করে। কী আর করার, আমরা ব্রীজ পার হওয়ার পথে যতটুকু পারলাম দেখলাম।
ব্রীজ পার হয়ে গেলাম পাশের শহর সোসালিটো, পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা। আমার এ শহরটি বেশ পছন্দ হয়েছে। কিছু বাড়ি দেখলাম পানির সাথে লাগোয়া, বারান্দায় বসে কফি খেতে খেতে নয়নাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করা যাবে আর সাথে বে থেকে আসা শীতল কিন্তু আরামদায়ক হাওয়া জুড়িয়ে দিবে আপনার মনপ্রাণ, আর কী চাই জীবনে?! তাতেও মন না ভরলে আছে ছোটবড় নৌকা, মন চাইলেই বেরিয়ে আসা যাবে তাতে করে। কী শান্তিময় পরিবেশ আর উপভোগ্য জীবন। ভাবলাম শেষ জীবনে এখানে এসে একটি বাড়ি করতে হবে, নো চিন্তাভাবনা। এরকম জীবনের স্বপ্নই হয়ত আমি দেখেছি ছোটবেলায়। কিন্তু বাস্তবতা বড়ই কঠিন, চাইলেও সবকিছু পাওয়া সম্ভব না, হয়ত উচিতও না, কী জানি।
সেখান থেকে আবার আমরা সান ফ্রান্সিসকোতে ফিরলাম, বিররক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে আবারও টোল দিতে হল। সান ফ্রান্সিসকোতে নিয়ম হচ্ছে প্রতিবার শহরে ঢোকার সময় টোল দিতে হবে। আবারও কানাডিয়ানদের প্রতি সন্তুষ্ট হলাম যে তারা অন্য অনেকভাবে টাকা সব নিয়ে নিলেও অন্তত কোন শহরে ঢুকতে টাকা নেয়না। এবারের গন্তব্য টুইন পিকস। সেখানে অনেক চেষ্টাচরিত্র করে আমরা পৌছে দেখি কুয়াশার জন্য দশহাত দূরে কী আছে তা-ই দেখা যায় না। গাড়ির আলোয় যদিও পিক দুটো দেখতে পেয়েছিলাম। তেমন ভালো লাগেনি, হয়ত বা কুয়াশার কারণেই। মনে হয়েছিল শুধু দুটো পাহাড়ের মাথা দেখার কী আছে? তবে পরে বুঝেছিলাম আসলে সেখান থেকে পুরো শহরটা দেখা যায় যা আর কোথাও থেকে তেমন ভালোভাবে দেখা যায় না।
এরপরে আমরা গেলাম আমাদের শেষ গন্তব্য কোইট টাওয়ারে। প্রথমে ভেবেছিলাম সেখানে গিয়েও হয়ত কুয়াশার কারণে কিছুই দেখতে পাবো না, যাওয়ার দরকার নেই। তারপরে ভাবলাম যাই গিয়ে দেখি, কী আর হবে? নাহয় কিছু তেলই পুড়বে, এর বেশি কিছুতো আর না। সেখানে গিয়ে মনে হল, না আসলে কী মিসটাই না করতাম। যদিও টাওয়ারটি ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু টাওয়ারে পাদদেশ থেকেই পুরো শহরটা মোটামুটি ভালোভাবেই দেখা যায়। আমি অনেক চেষ্টা করলাম পুরো গোল্ডেন গেট ব্রীজের রাতের ছবিটি নিতে কিন্তু সেখান থেকে পুরোটা দেখাই যায় না। তবুও যা দেখা গিয়েছিল সেটাই অনেক। আমি চেষ্টা করেছি রাতের শহরের কিছু ছবি তুলতে, সেটাও তেমন ভালো কিছু আসেনি মনে হয়। কিন্তু ছবি আসুক আর না আসুক আমার মনের ফিল্মে রাতের সান ফ্রান্সিসকোর ছবি খুব ভালোভাবেই তুলে নিয়ে এসেছি।
এরপরে আর বেশিক্ষণ থাকিনি, অনেক রাতে স্যাক্রামেন্টো ফিরে এসেই ঘুম কেননা পরদিন আমার এক ফিল্ড ট্রিপ ছিল, সেটাও ছিল এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা, ফলসম রিভার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন, কিন্তু সেটা আজ আর নয়।
মন্তব্য
আমিও যায়াম...
চলে যান কান্নাকাটি না করে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আপনার লেখা পড়ে তো আমারও লোকাল বাস টাইপ প্লেনে চড়তে ইচ্ছা করছে।
অফ টপিকঃ আচ্ছা ভাইয়া, বলেন তো, সুপারভাইজারদের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার-সেপার আছে যে, এই দেশের বা এই স্টেটের সুপারভাইজারগুলো ভালো হয়?
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ইচ্ছা করছে ভালো কথা কিন্তু এরকম প্লেনে চড়াটা মোটেই ভালো ব্যাপার না।
অ.ট. উত্তর: মনে হয় না তবে ওভারঅল চাইনীজ প্রফরা স্টুডেন্টদেরকে বিরাট যন্ত্রণার উপরে রাখে। এদেশি সাদাগুলান মোটামুটি আবার ইউরোপিয়ান সাদাগুলান একটু পেইন দেয়। তবে এগুলো একান্তই আমার অবজার্ভেশন, আসল অবস্থা এরকম নাও হতে পারে। তবে সুপারভাইসর ব্যাপারটা অনেকটাই ভাগ্য।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দাদা, আপনার ক্যামেরাখানা কি?
আমার ক্যামেরা খুবই মামুলি, ক্যানন রেবেল এক্স.এস.আই, কিট লেন্স (৩৫-৫৫ মি.মি)।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দারুণ লাগলো! আমার এক আমেরিকান ফ্রেন্ডের বাড়ি নাপায়, প্রায়ই যেতে বলে। ছবিগুলো খুব চমৎকার এসছে। কুয়াশা ঘেরা ব্রিজটা সবচেয়ে জোশ! রাতের স্কাই লাইনের প্যানারোমার হরাইজন একটু স্ট্রেইটেন করে নিলে আরও ভালো হতো মনে হয়, তবুও সুন্দর।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
সুযোগ হলে নাপায় যেতে পারেন, খুবই সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ। এমনিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যান্ডস্কেপ বেশ মনকাড়া।
প্যানারোমাটা এই প্রথম টেস্ট করলাম, নিয়মকানুন এখনো শিখে উঠতে পারিনি, শুধুমাত্র ফটোশপের ফটোমার্জ দিয়ে করে ফেলেছি। দেখি আরো শিখতে হবে।
অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ধন্যবাদ পছন্দনীয় ভাইয়া।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
সকালের প্রথম পোস্টে ঢুকেই দিলখুশ হয়ে গেল। দারুন।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ওয়াও! আপনার দিলখুশ করতে পেরে আমিও দিলখুশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ছবিগুলো দারুণ আসছে!
ধন্যবাদ দ্রোহীদা।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আলক্রাটাজ-এ গিয়েছিলেন
facebook
তারেক ভাই, মজা নেন না?
যেতে পারিনি আলকাট্রাজ, দুঃখের কথা।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
যাক, তোমার লেখা ও ছবির উপর সওয়ার হয়ে সানফ্রান্সিস্কো দেখে এলাম!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, ভাবীকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন সান ফ্রান্সিসকো। চমৎকার শহর।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
লেখা ছবি দুটোই ভালো লাগছে
ধন্যবাদ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
পায়ের নিচে চাকা লাগালেন নাকি?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
তা আর পারলাম কোথায়?
পারলে খারাপ হতো না।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দারুণ!!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ মৃত্যুময় ঈষৎ।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
নতুন মন্তব্য করুন