আজ দুপুর সাড়ে তিনটায় একই বিমানবন্দরে এসে পোঁছবে নাইজেরিয়া ফুটবল দল। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলনে নামবে দুই দল।
বাংলাদেশে এই প্রীতি ম্যাচ খেলবার পূর্বে কলকাতায় ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে আরো একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে এসেছে নতুন কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলার আর্জেন্টিনা। অপরদিকে নাইজেরিয়া ফুটবল দল মাত্র গতকাল আফ্রিকান নেশনস কাপের বাছাইপর্বে মাদাগাস্কারের বিপক্ষে খেলে এসেছে। কোচ স্যামসন সিয়াসিয়া আশাবাদী, আর্জেন্টিনা দলকে তারা হারাতে পারেন ঢাকার মাঠে।
সব মিলিয়ে এটি শুধুই আরেকটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। হারানোর বা প্রাপ্তির তেমন কিছু নেই কারোই।
কথাটা সত্য নয়।
সত্যই যদি হয়, তবে বিমানবন্দর থেকে কাকলী- থেকে থেকে শাহবাগ পর্যন্ত পথের দু’ধারে অগণিত মানুষ ভীড় জমিয়েছে কেন ?? কুষ্টিয়া বা কুমিল্লা থেকে ঈদের ছুটি মাটি করে কেন ঢাকা ছুটে এসেছেন মানুষ ??
উত্তর একটাই, আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সাথে ঢাকায় এসেছেন লিওনেল আন্দ্রেস মেসি।
মেসি কী পারেন, মেসি কী করেন- এই প্রশ্নকে সম্পূর্ণ বাতিল করে পালটা প্রশ্ন করা যায়, লিওনেল মেসি কী পারেন না। আঠারো বছর আগে বার্সেলোনার স্কাউট কার্লোস রেক্সাস আর্জেন্টিনার এক পাঁচ বছর বয়েসী শিশুকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন স্পেনে, হরমোনগত সমস্যার কারণে বার্সেলোনা ফুটবল একাডেমী বহন করেছিলো তার চিকিৎসার সমস্ত খরচ। সেই শিশুটি অনেকদিন ধরেই ক্লাব ফুটবল আর আর্ন্তর্জাতিক ফুটবলের মধ্য দিয়ে তার আগমনবাণী শুনিয়ে আসছিলো ফুটবলপ্রেমীদের। তবে প্রতিভার সবটুকু নিয়ে ফুল হয়ে লিওনেল মেসি ফুটেছেন গত বছর তিনেক ধরে। লিওনেল মেসির ফুটবল সক্ষমতা নিয়ে বলতে গিয়ে শব্দহীন হয়ে যান তার নিজ কোচ জোসেপ গার্ডিওলা পর্যন্ত। কাজেই মেসির অর্জনের ফিরিস্তি দিতে ভাষা যথেষ্ট হবে না কোনভাবেই, বরং দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাতার পরিসংখ্যান দেখেই বুঝে নেবার চেষ্টা করতে হবে কোনভাবে।
বাংলাদেশে আমরা সকলেই সহজে আবেগে ভেসে যাই। আর এই জাতির ফুটবল প্রেমতো কিংবদন্তীর পর্যায়ে। আবাহনী-মোহামেডান আর মোহননাগান-ইস্টবেঙ্গলের দ্বৈরথ এখন আর আলো ছড়ায় না তেমন। ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা সেই ১৯৮৬তে যা করে দেখিয়েছিলেন টিভির পর্দায়, সেটা মনে করে এখনো আবেগের দীর্ঘশ্বাস ফেলেন আমাদের মামা-চাচারা।
ম্যারডোনা না হয় বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন একটা, লিওনেল মেসি তো বিশ্বকাপ জিততেই পারেন না। তাকে নিয়ে এইরকম মাতামাতির কোনমানে হয় নাকি !!
আমরা যারা মেসির খেলা দেখেছি, তারা জানি- জানেন; খুব বেশি করেই জানেন, এই তুলনাটা কতটা অযৌক্তিক !! রাতের পর রাত জেগে দেখা মাঝমাঠ থেকে সেই ডিফেন্স ভাঙ্গা দৌড়, আবুধাবির মাঠে নেমে পায়ে বল ছোঁয়াবার তিরিশ সেকেন্ডের মাঝে গোল, দুর্ধর্ষ রিয়াল মাদ্রিদ- অজেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অতিমানবীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে ছেলেখেলা করে বেড়ানোর মত কীর্তিগুলো নিত্য করে বেড়ান যিনি- তিনি বিশ্বকাপ না’ই জিতলেন। শিরোপা তো আর ক্লাবদলের হয়ে কম জেতেননি, তার চেয়েও বেশি করে জিতেছেন ভক্তদের হৃদয়। ২৪ বছর বয়েসেই সাফল্যের আকাশ ছুঁয়েও বিনয়ে লিও মেসি এখনো মাটিতেই পা রাখেন প্রতিটি মুহূর্তে। সেই পায়ের ছোঁয়া আজ পাবে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামও !!
কথা বাড়িয়ে লাভ কি আর। বিদগ্ধ আর্সেন ওয়েঙ্গার তো বলেই দিয়েছিলেন, “ও মানুষ না, ও প্লে স্টেশনের খেলোয়াড়।” সেই প্লে স্টেশনের খেলোয়াড়, দুইবারের ফিফা বর্ষসেরা- তিনবারের ইউরোপ সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি আজ এসেছেন বাংলাদেশে। হয়তো ঢাকার মাঠের দর্শক দেখবে সেই অবিশেষনসম্ভব আলতো চিপ, দেখবে বাম পায়ের কারুকাজ; রহস্যজনক ভাবে আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বিরল দৃশ্যগুলোর একটি- আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসির গোল, সেটিও হয়তো দেখবে !!
প্রচারের আলোতে সার্বক্ষণিক থেকেও যিনি আধুনিক ফুটবলের সবচেয়ে বড় রহস্য- একবিংশ শতাব্দীর ম্যারাডোনা- বোদ্ধাদের ভাষাহীন করে দেয়া যাদুকর- ফুটবলের ঈশ্বর হয়েও সকলের কাছে পাশের বাড়ির ছেলের মতোই সাধারন যিনি- সেই লিওনেল মেসি এখন ঢাকা, বাংলাদেশে।
স্বাগতম মেসি, তোমার জন্যে শুভকামনা !!
মন্তব্য
ম্যারাডোনা যদ্দূর জানি একবার বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন
স্বাগতম লিওনেল মেসি
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ঠিক করে দেয়া হলো।
বাংলার মাটিতে মেসির দলকে স্বাগত জানাই!
নাইজেরিয়া ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের জন্যও কি একই মানের রিসিপশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
নিরাপত্তা আর ব্যবস্থা একই যদ্দুর জানি, তবে স্বাভাবিক ভাবেই আর্জেন্টিনার প্রতি হাইপ বেশিই।
সেটা পাবলিকের তরফ থেকে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে বাফুফে/কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হেরফের হলে সেটা খুব খারাপ দেখাবে। এমনিতেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের ভাবমূর্তির পেন্টুলে বিরাট ফুটা!
দ্রোহীদা, বাঙালি বিরাট বুদ্ধিমান জাতি। বারবার বাইর করনের থেকে একবারে ফুটা কইরা রাখলেই যে সুবিধা এইডা বাঙালি বুইঝা ফেলছে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
সুস্বাগতম মেসি আর তার বাহিনী, সাথে নাইজেরিয়া দলকেও স্বাগতম।
বেস্ট অফ লাক নাইজেরিয়া।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?cid=5&id=169727&hb=top
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কলকাতার মাঠে মেসি গোল করে নাই, ঢাকায় গিয়া যদি করে তবে ঠ্যাং ভাইঙ্গা দিমু
কৌস্তুভদা, আপনার ঠ্যাং ভাঙা লাগবে না, মাঠের যে দশা তাতে এমনিতেই মেসির ঠ্যাং ভেঙে যেতে পারে।
(তাহলে অবশ্য রিয়ালের বেশ সুবিধাই হয়, মেসি থাকলে ইহজনমে রিয়াল আর কোন কাপ জিততে পারবে বলেতো মনে হচ্ছে না। )
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
দেশ থেকে আসার পরেই সব বড় বড় ইভেন্টগুলা হচ্ছে
দেশ থেকে আসার তিন চার মাস পরে হল সমাবর্তন
বিশ্বকাপ ক্রিকেট
আর এবার মেসি
আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া আর মেসিকে বাংলাদেশে স্বাগতম। আর মনে প্রাণে কামনা করছি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন তৈরী না হয়।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি তোরে ফেসবুকে কমু কমু কইরাও কইতে ভুইলা গেছি- মেসির আইতেছে দেইখা একটা ল্যাখা লেখ। যা, লেইখ্যাই ফালাইলি।
খেলা দেখার ফ্রি টিকেট পাইয়ে বোধ-শক্তিহীন অবস্থায় আছি। তোমার পোস্ট পড়ে সেই অবস্থা আরপ বাড়ল
স্বাগতম লিও
বোধ-শক্তি চলে গিয়ে থাকলে তো ভালো কথা। তাহলে টিকিটটা আমার কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা কর, কুইক।
লেখাটা পড়লাম। ক্রিকেট বলে যে একটা খেলা আছে সেটা যে দেশে থাকি, সেখান কার লোকে জানেই না।
--------------------------------------------------------------------------------
মেসিকে এদেশে স্বাগতম।
আশা করি মেসি তার ঠ্যাং দুটো আস্ত সহিসালামত ফিরত নিয়ে যাবে! মাঠের যে অবস্থা শুনতাছি!
স্বাগতম, মেসি।
আগের মতো আর প্রেম নাই শরীরে; সবকিছু কেমন জানি ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে ইদানিং। খেলাধূলা নিয়ে মেতে থাকলাম কিছুদিন আগেও; এখন কেনো জানি বাণিজ্যটাই বড় মনে হয় তার।
নাইজেরিয়াকে সমর্থন করার মতো লোক মনে হয় মুস্কিল হয়ে দাঁড়াবে খুঁজে পেতে। বেচারারা! আমি নাইজেরিয়ার সমর্থক এই ম্যাচে তাই।
নাইজেরিয়া জিতুক
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মেসি যেন গোল পায়, আর আর্জেন্টিনা যেন হারে
ঠিক ঠিক ঠিক।
কিন্তু ঘটনা উলটা হবে
মেসিকে সু-স্বাগতম।আমার কেন যেন মনে হয় ক্রিকেটের সমতুল্য সুযোগ-সুবিধা ও প্রচারণা পেলে এদেশের ফুটবলের অর্জনের পাল্লাটা এশিয়মানের হতে পারত।
আমার কেন জানি সেটা মনে হয় না। ক্রিকেট খেলাটা ফুটবলের চেয়ে কিছুটা হলেও সহজ, এটার একটি সুনির্দিষ্ট ছাঁচ আছে। সে ছাঁচে ফেলতে পারলেই মোটামুটি সফলতা ধরে নেয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে ফুটবলের এরকম কোন ছাঁচ নেই। এটার জন্য স্কিলের সাথে অনেক অনেক প্র্যাকটিস জরুরী।
তবে এটা ঠিক অনেক বেশি মনোযোগ পেলে হয়ত দক্ষিণ এশিয়ামানের হতে পারত।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
কে জিতলো না জিতলো, কে কাপ নিলো না নিলো, তর্কে যেতে চাইনা, সুন্দর ফুটবলের জয় হোক, শৈল্পিক খেলা দেখুক সবাই... সুহান এইফাঁকে আমিও "মেসী" রে স্বাগতম জানাই ..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
স্বাগতম লিওনেল মেসি
nawarid nur saba
সুহান,
আজকে প্রাক্টিস দেখতে গেসিলাম। মেসিদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ আর ব্যবহার দেখে শাহরুখের বাংলাদেশ সফরের কথা মনে পরে গেল। রাষ্ট্রীয় অপমানের চাইতে বড় অপমান আর কিছুতেই হয়না, জীবনে এই প্রথম উপলব্ধি করলাম।
ম্যাচের একটা টিকেট পাইসিলাম নাবিলের কল্যাণে। ওইটা দেখি আর ভাবি....এই কষ্ট আমি রাখি কোথায়?
ধন্যবাদ সবাইকে, অনেক ধন্যবাদ। মেসির আগমন দেখে আবেগতাড়িত হয়ে হঠাৎ লিখে ফেলা অগোছালো পোস্ট এটা, তাই আরো বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ থাকলেও সেসব লিখতে পারিনি...
একটা চমৎকার ফুটবল ম্যাচ আর অবশ্যই মেসি যাদু দেখবার অপেক্ষায় আছি।
নিশ্চিন্তে থাকেন মেসি গোল পাবেনা।
যখন বার্সার খেলা দেখি, মেসিরে খুঁইজা পাইনা পাইনা, হঠাৎ দেখি মেসির পায়ে বল আর বল নিয়া কারিকুরি করতাসে। ইনিয়েস্তা, জাভি, ভিয়া, পেদ্রোরা চিন্তা করে, দেহি আমি পারি কিনা না, না পারলে তো ব্যাডায় আছেই। তাই মেসি মার্কিং-এ থাকে কম, সুযোগ পায় বেশি। এক মেসিরে ঠেকাইতে গিয়া চাইরদিকের গোল খাওয়ার ইচ্ছা কারো থাকেনা।
আর যখন আর্জার খেলা দেখি, মেসিরে দেখা যায় মাঠের মাঝখানে খাড়ায়া রইসে বল নেওনের লাইগা। বাকিরা বল পায়ে নিয়াই নিজের চিন্তা বাদ দিয়াই মেসিরে খুঁজতে থাকে। না থাকে মার্কারের দিকে খিয়াল না থাকে বলের দিকে। আবার এই দুইডা খিয়াল করলে মেসির পজিশন ভুইলা যায়। তাই মেসিরে কড়া মার্ক করলেই সব শ্যাষ।
এইডা ত ম্যারাডোনার যুগ না যে নিজেই মাঠের নিচের থনে বল টাইনা সেন্টারে পাস দিয়া, অফসাইড না হয়া উইং-এ খাড়ায়া, ফরোয়ার্ডের থনে পাস নিয়া, ডিফেন্সরে কাটায়া গোল দিবো।
এখন আর্জা দলে খেইলা মেসি যদি গোল না পায়, মেসির কি মেসিত্ব থাকব না। মেসি যদি গোলই আর না পায়, আপ্নেরা কি কইবেন যে “বাল খ্যালস ব্যাডা”।
বুকে হাত দিয়া কন তো মেসির গোল দ্যাক্তে মজা পান নাকি হ্যার গোল বানায়া দেওয়া দেইখা মজা পান।
খেলাটা কি বিটিভি বা অন্য চ্যানালে দেখাবে? মেসির খেলা দেখেছিল্ম গত বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা- দক্ষিণ কোরিয়া খেলায়, কিন্তু মেসির বদলে হ্যাট্রিক করেছিল ফাজিল হিগুয়েন। দেশের মাঠে দেখতে পারলে খুব ভাল লাগত নিঃসন্দেহে --
facebook
খেলাটা কি বিটিভি বা অন্য চ্যানেলে দেখাবে? মেসির খেলা দেখেছিল্ম গত বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা- দক্ষিণ কোরিয়া খেলায়, কিন্তু মেসির বদলে হ্যাট্রিক করেছিল ফাজিল হিগুয়েন। দেশের মাঠে দেখতে পারলে খুব ভাল লাগত নিঃসন্দেহে --
facebook
নতুন মন্তব্য করুন