কিন্তু এই বইটি মোটেই সাধু না... অসাধু ইতিহাসে ভরপুর
খুব বেশি কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি না, কিছু তথ্য দিলেই বইটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এই বইতে খুব ছোট করে পলাশীর যুদ্ধর কথাও বলা হয়েছে, যেখানে মীরজাফর মীর কাশিমদের নাম অনুপস্থিত। তেমনি বেশ বড় করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা হয়েছে এই বইতে, যার কোথাও গোলাম আযম, খাজা খয়ের উদ্দিনের নাম গন্ধও নেই! গোলাম আযমবিহীন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নির্দলীয় বটে!
এই বইটি লিখতে গোলাম মুরশিদ সবচেয়ে বেশি তথ্য সাহায্য নিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসারদের লিখিত বিভিন্ন বই থেকে!
সবচেয়ে বেশি ৪৬ বার তিনি উদ্ধৃত করেছেন সিদ্দিক সালিককে!
দ্বিতীয় স্থানে আছেন রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, তাঁর বই থেকে তথ্য নিয়েছেন মাত্র ১৭ বার
আবার তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানও দখল করেছেন পাকিসেনারাই... নিয়াজী এবং রাও ফরমান আলীর বই থেকে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য নিয়েছেন ১২ বার করে!
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা অসংখ্য বই এবং গবেষণাকে তার বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি, বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে পাকিসেনাঅফিসারদের মিথ্যাচারকে। তাই তো লিখেছেন “সিদ্দিক সালিক সেনাবাহিনীর সদস্য হলেও তাঁর খানিকটা ইতিহাস বোধ ছিলো এবং কোথাও কোথাও বেশ নিরপেক্ষ বিবরণ দিয়েছেন”।
যথারীতি তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে। লিখেছেন “তবে মনে হয়, তিরিশ লাখ লোকের জীবনহানি হয়েছিলো বলে যে দাবি করা হয়, তা কিংবদন্তী মাত্র। বাংলাদেশে ফিরে এসে শেখ মুজিব রেসকোর্সের ভাষণে তিরিশ লাখের কথা বলেছিলেন। তিনি অনুমান করেই বলে থাকবেন।“
তারপরই লিখেছেন “রুডলফ রামেলের অনুমান পাকিস্তান দশ লাখের চেয়েও বেশি লোককে হত্যা করেছিলো। (আর.জে. রামেল ১৯৯৬) যদি তিরিশ লাখ অথবা দশ লাখের বেশির অনুমানে অতিরঞ্জনও থাকে, তা হলে অন্তত তিন/চার লাখ লোক যে নিহত হয়েছিলেন, সে বিষয়ে সন্দেহ করার কারণ নেই।“
কিন্তু আশ্চর্য, বঙ্গবন্ধু আর রামেলের তথ্যকে অনুমান বলে উড়িয়ে দিয়ে তিন চার লাখের হিসাব দিলেও এই তথ্য তিনি কোথায় পেয়েছেন তা উল্লেখ করেননি। কিন্তু তাঁর মতো বড় গবেষক যেহেতু অনেক তথ্য টথ্য নিয়ে এই অনুমান করেছেন, নিশ্চয়ই সেটা খাঁটি বৈকি... এটা যে মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস!
গোলাম মুরশিদ লিখেছেন “শরণার্থী শিবিরে যে উদ্বাস্তুরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে উতসাহের অভাব দেখা গিয়েছিলো। কারণ, তাঁরা বেশির ভাগই গিয়েছিলেন সপরিবারে। দেশে ফেরার আগ্রহ তাদেঁর ছিলো তুলনামূলকভাবে কম।“ এবং যথারীতি তিনি লিখেননি এই তথ্য তিনি কোথায় পেয়েছেন?
গোলাম মুরশিদ লিখেছেন “এছাড়া, যারা দেশের ভেতরে স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলো, সে রকমের অনেক দালালও নিহত হয়েছিলো। এদের মধ্যে ছিলো রাজাকার, আল শামস, শান্তি কমিটির সদস্য ইত্যাদি। নিহত হয়েছিলো অনেক বিহারীও। এই অবাঙালিদের মধ্যে নিরীহ নির্দোষ ব্যক্তিও ছিলেন অনেকে। নিহত অবাঙালিদেরও সংখা জানা যায় না। বেশ কয়েক হাজার হওয়া সম্ভব।“
গোলাম মুরশিদের ভাষারীতিরও একটা অন্তত নমুনা দেওয়া উচিত। হিন্দু নারীদের ধর্ষণ নিয়ে তিনি লিখেছেন “কুমারী হিন্দু নারীরাই ছিলেন ধর্ষিত হওয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রার্থী।“
কোলকাতায় সরকার ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুজিব বাহিনীর নানাবিধ ষড়যন্ত্রের বিশদ বিবরণ তিনি দিয়েছেন, কিন্তু গোলাম আযমদের ষড়যন্ত্র নিয়ে তিনি টু শব্দটি করেন না... এই হলো প্রথমা এবং গোলাম মুরশিদ প্রণীত মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস!
অনেক গবেষণা করে লেখা এই ইতিহাসগ্রন্থ কোনোভাবেই ইতিহাস গ্রন্থ না, স্রেফ গোলাম মুরশিদের ব্যক্তিগত বয়ান, তারও বেশিরভাগটা তথ্য তিনি নিয়েছেন পাকিসেনাঅফিসারদের কাছ থেকে
২.
গোলাম মুরশিদ এর আগে “রিলাক্ট্যান্ট ডেবিউটান্ট”, মাইকেল জীবনী “আশার ছলনে ভুলি”, “হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি” “বিলেতে বাঙালিদের ইতিহাস” প্রভৃতি বই লিখে গবেষক হিসেবে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। “হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি” প্রথম আলোর বিবেচনায় বর্ষসেরা গ্রন্থ হিসেবে পুরষ্কৃত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার আগে গবেষক হিসেবে বাংলাদেশে গোলাম মুরশিদকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গ্রহনযোগ্য করা হয়েছে। তারপর নাজেল করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
ইতিহাসবিদ না হয়েও বাংলা সাহিত্যের এই সাবেক অধ্যাপক লিখে ফেলেন মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস। পথটা খুব পরিষ্কার।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি কী করছিলেন? তিনি কোলকাতায় ছিলেন। অনেক বুদ্ধিজীবী তখন কোলকাতায় বসেও নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধকে সাহায্য করেছিলেন, কিন্তু গোলাম মুরশিদ যোগ দিয়েছিলেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। সেখানে তিনি হাসান মুরশিদ ছদ্মনামে লিখতেন। খুব আশ্চর্যের যে, সেই সময় তিনি হাসান মুরশিদ ছদ্মনামে একটি বই লিখেছিলেন “বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাংস্কৃতিক পটভূমি” নামে। তখনকার আওয়ামীলীগের মুখপত্র “জয় বাংলা”র প্রতিটি সংখ্যায় যে বইয়ের ফলাও বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছিলো... আনন্দবাজারে ছাপা হয়েছিলো ধারাবাহিক হিসেবে। “মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর, একটি নির্দলীয় ইতিহাস” গ্রন্থের ফ্ল্যাপে গোলাম মুরশিদের পরিচয়ে অন্য বইগুলোর কথা থাকলেও, এই বইটির কথা উল্লেখ করা হয়নি!
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম কুখ্যাত ছাত্রনেতা, এরশাদের চামচা, বহু নারী কেলেঙ্কারীর হোতা, ডঃ মিলন, মডেল তিন্নি হত্যার পলাতক আসামী গোলাম ফারুক অভির বড় ভাই হলেও গোলাম মুরশিদকে সবাই গবেষক হিসেবে শ্রদ্ধা করতেন, কিন্তু পাকিসেনাঅফিসারদের তথ্যানুযায়ী অনুমান ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস “মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর, একটি নির্দলীয় ইতিহাস” লিখে তিনি গোলাম ফারুক অভির বড় ভাইয়ের উপযুক্ত কাজই করলেন!
৩.
গোলাম মুরশিদের সুশীল পরিচয় আর প্রথম আলোর প্রচারণায় মুক্তিযুদ্ধের ছহী ইতিহাস হিসেবে এই বইটি ইতোমধ্যেই গৃহীত হয়ে যাচ্ছে, সবাই এই বইয়ের লেখা ইতিহাসকেই সত্য বলে জানবে... এভাবেই ধীরে ধীরে আড়ালে হারিয়ে যাবে মুক্তিযুদ্ধের সত্য ইতিহাস। আমরা কি কেবল তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবোই শুধু?
মন্তব্য
বইটা যদিও পড়া হয়নি, আপনার লেখা থেকেই জানলাম, তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় তো দেখিনা, নির্দলীয় ভাবে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সংকলন ও সংগ্রহ করা একটি দেশের কর্তব্য, তা যদি ৪০ বছর ধরে করতে আমরা ব্যার্থ হই তাহলে এরকম হওয়া তো অসম্ভব কিছুনা, একটি স্বাধীন দেশের জন্মযুদ্ধ নিয়ে এত বিকৃতি আসলেই লজ্জাজনক....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মেহেরজান প্রজেক্টের সাথে কি কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়??
পাকি সেনারা দিল-দরিয়া, ইতিহাসও ভালো লিখে...
সময় উপযোগী পোষ্ট
এই বইটি যখন পড়ি, এখানে উল্লেখিত কিছু বিষয় মাথায় আঘাত করলেও এই বইয়ের প্রচারণা আর প্রশংসা শুনে ভিমড়ি খেতাম। গোলাম আযমবিহীন ইতিহাস হয় না। ইতিহাসের এই কুপাত্র কিংবা কুকুর কিংবা তার থেকে ভয়ঙ্কর কাউকে এড়িয়ে যাওয়ার মানে কী?
ধন্যবাদ বিষয়টি তুলে ধরার জন্য
ধিক্কার। প্রতিবাদ জানানো দরকার।
লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পুরান ছাগলে ভাত পায়না নতুন ছাগলের আমদানি।
বিষয়গুলো সবার সামনে নিয়ে আসতে হবে, ইতিহাস রক্ষার স্বার্থেই।
এই লেখাটা এতোদিন পর চোখে পড়লো?
ধন্যবাদ নজরুল ভাই বইয়ের খুটিনাটি তুলে ধরার জন্য
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
সচলায়তন বিষয়ক সন্দেশ এর পোস্টের চে এই পোস্ট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটি সরিয়ে এটিকে স্টিকি করা প্রয়োজন।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই আগেভাগেই সব বলার জন্য। লেখকের অন্য ইতিহাস জানতাম না। আর ডঃ মিলন মানে কি শহীদ ডাঃ মিলনের কথা বলছেন? যদি তাই হয় তাহলে এই মানুষটা সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে চাই। এই লোকের নামে ময়মনসিংহের ইন্টার্ন হোস্টেলের নামকরণ করা হয়েছে।এখনো আছে। শালার কই যে আছি!!!!!!!
বইটা পড়া হয়নি। গোলাম মুরশিদ হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতির ইতিহাস লেখক হিসেবে বেশ সন্মানের জায়গায় ছিলেন। নজরুল ভাইয়ের কথা সত্য হলে তিনি সে সন্মান হারাবেন। বইটা পড়তে হবে।
মানুষ চেনা বড়ই কঠিন
নজরুল ভাই, পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ।
গবেষণার নামে এইসব আবর্জনা যতটুকু সম্ভব রোধ করতে হবে। গোলাম মুরশিদসহ অন্যান্য ছদ্মছাগুদের চরিত্র উন্মোচন করা জরুরী। সমস্যা হল "গবেষক" পরিচয়ের আড়ালে ল্যাঞ্জা লুকিয়ে রাখলে সাময়িক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
অভিনন্দন গোলাম মুরশিদ! আপনার KP Test পুরাই পজেটিভ!
পাকি সেনাকর্মকতাদের পশ্চাৎভাগ লেহনের জন্য আপনাকে 'মেহেরজান পদক ২০১১' এর জন্য মনোনীত করা হলো।
love the life you live. live the life you love.
ধর্ষণ কথাটার সংজ্ঞামতেই তো এর কোনো প্রার্থী থাকতে পারে না। ধর্ষিত হওয়ার জন্যে বাঙালি নারীরা প্রার্থী ছিলেন? গোলাম মুরশিদ এতো বাংলা জ্ঞান কপচিয়ে বই লিখতে বসেছেন যখন, তিনি নিশ্চয়ই প্রার্থী শব্দটা সজ্ঞানে সচেতনভাবেই ভিক্টিমের পরিবর্তে ব্যবহার করেছেন। হাসান ফেরদৌস এর আগে বিতং করে একাত্তরে বাঙালি নারী ধর্ষণের চলচ্চিত্রায়ন প্রসঙ্গে নারীর কামজ প্রয়োজন মেটানোর ব্যাপারটা টেনে এনেছিলেন। এখন মনে হচ্ছে এরা সকলে মিলে একজোট হয়ে মিহি সুরে বলতে চাইছেন, একাত্তরে ধর্ষণের ব্যাপারটায় বাঙালি নারীর প্রার্থনাও যুক্ত ছিলো, তারা কামজ প্রয়োজন মেটানোর তাগিদেই পাকিস্তানী সৈন্য আর তাদের সাঙ্গোপাঙ্গোদের হাতে ধর্ষিত হওয়ার প্রক্রিয়ায় শামিল হওয়ার "প্রার্থী" ছিলেন। শর্মিলা চ. বসুর যোগ্য সহবক্তা মনে হচ্ছে সবকটাকেই। দুইদিন পর এরা বলবেন, এক হাতে তালি বাজে না, নিশ্চয়ই একাত্তরের ধর্ষিতাদেরও দোষ ছিলো। ওরা হয়তো ঠিকমতো পর্দাপুশিদা করেনাই।
আলুর সার্কাসে রিটায়ার্ড বান্দরের খাঁচাটা আরো চওড়া করা উচিত। ঐটার ভিতরে ঢোকার প্রার্থীর সংখ্যা তো দেখছি শনৈঃ শনৈঃ বাড়ছে। আজ একটা লেজ বেরোয় তো কাল আরেকটার।
"ধর্ষিত হওয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রার্থী" এ কথাটি ঠিক স্বাভাবিক বাংলা বলে মনে হচ্ছে না। বরং কোন স্বাভাবিক ইংরেজী বাক্যের অনভিজ্ঞ অনুবাদ মনে হচ্ছে। ইনি কি কারো লেখা মেরে দিয়েছেন নাকি?
গুগল করে এটা পেলাম:
At times the Japanese registration of Chinese women seemed to Vautrin nothing less than a full-scale inspection of the most attractive candidates for rape.
The rape of Nanking: the forgotten holocaust of World War II By Iris Chang
page 136
love the life you live. live the life you love.
মিথ্যাচার দিয়ে রাতারাতি ইতিহাস বদলে দেওয়ার অপচেষ্টা এরা করবে না কারন এরা শিক্ষিত। একটু একটু করে এরা মিথ্যার বীজ বপন করতে থাকবে যাতে একদিন অসত্য একটা ইতিহাস মহীরুহ হয়ে উঠে দাঁড়ায়। তাই এই পোষ্টটাকে আমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা বলতে চাই। এভাবেই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে হবে এবং এর প্রকাশককে জবাবদিহিতার সামনে আনতে হবে। নতুবা এরা একের পর এক এরকম অসত্য প্রকাশনা চালিয়ে যাবে।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
এবার সত্যি সত্যি নির্বাক হয়ে গেলাম ! হাজারের বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস বইটার দুর্দান্ত কাজ দিয়েই মূলত গোলাম মুরশিদকে একজন বিদগ্ধ গবেষক হিসেবে খুবই সম্মান করতাম। বক্ষ্যমান বইটা পড়া হয়নি। তবে যা শুনালেন, তাতে তাঁকে পড়ার রুচিটাই নষ্ট হয়ে গেলো ! অশ্রদ্ধার তালিকাটা এত দ্রুত বাড়তে থাকলে শেষ পর্যন্ত কিভাবে সামলাবো বুঝতে পারছি না !!
জাতি হিসেবে আমরা কি খুব দ্রুত নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কী চমত্কার দ্যাখা গেলো!
বইটার নাম খুব শুনছিলাম এবং ইচ্ছে ছিলো সংগ্রহ করার। একনিমিষেই উবে গেলো তা। আবর্জনা ঘাটার কোনো কারণ দেখি না; ছুঁতেও চাই না আর।
শর্মিলী ঠাকুরের সাথে মিল দেখা যাচ্ছে অনেক।
ধিক্কার, প্রথমা; ধিক্কার গোলাম মুরশিদ। জুতা বরাদ্দ তাদের জন্য। হায়রে নরাধম!
সাধুবাদ, সময়োপযোগী পোস্টের জন্য।
*শর্মিলী ঠাকুর> শর্মিলা বসু
tnx for ur review.let the world know the truth of our glorious history.we have to try to withstand the audacious facts regarding muktijuddha together.ether.
চরম হতাশাজনক ব্যাপার। জাতির ইতিহাসকে বিকৃত করে কি প্রমান করতে চাইছেন ঐ লেখক। গোলাম মুরশিদ কে ধিক্কার জানাই ।
কী চমত্কার দ্যাখা গেলো!
বইটার নাম খুব শুনছিলাম এবং ইচ্ছে ছিলো সংগ্রহ করার। একনিমিষেই উবে গেলো তা। আবর্জনা ঘাটার কোনো কারণ দেখি না; ছুঁতেও চাই না আর।
শর্মিলী ঠাকুরের সাথে মিল দেখা যাচ্ছে অনেক।
ধিক্কার, প্রথমা; ধিক্কার গোলাম মুরশিদ। জুতা বরাদ্দ রইলো তাদের জন্য। হায়রে নরাধম!
সাধুবাদ, সময়োপযোগী পোস্টের জন্য।
নজরুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। আর কিছু বলার রুচি হচ্ছে না। এই বইয়ের প্রচারনা বা প্রশংসা করছে কারা জানতে ইচ্ছা হয়।
১। "মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার আগে গবেষক হিসেবে বাংলাদেশে গোলাম মুর্শিদকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
২। নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে।তারপর নাজেহাল করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।"
৩। "ইতিহাসবিদ না হয়েও বাংলা সাহিত্যের এই সাবেক অধ্যাপক লিখে ফেলেন মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস। "
৪। "মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি কি করছিলেন?"
জাফর ইকবাল কেসের সাথে অনেক মিল পেলাম !
জাফর ইকবাল কেসটা কি, একটু আলো ফেললে ভাল হত । - আমার জানা নেই জাফর ইকবাল কেসটা ।
আবার সেই পাঠক? নাম-পরিচয়হীন এসব লোকজন স্বনামে কেন আসে না?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এই পোস্টটির ছড়িয়ে পড়া প্রয়োজন খুব বেশী।
পড়তে হবে। ধন্যবাদ নজু ভাইকে--
facebook
ধন্যবাদ সুন্দরভাবে বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। দুঃখজনক হলেও সত্যি, দিনে দিনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরো বেশি বিকৃত হচ্ছে। নতুন প্রজন্মের জন্য এটা একটা বিরাট হুমকি।
আমাদের সবার উচিত একসাথে এইসব ছদ্মছাগুদের ল্যাঞ্জা উন্মোচিত করে দেয়া এবং একই সাথে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। নয়তো দু'দিন পরে এরাই দলে ভারি হয়ে ম্যাতকারের বদলে গর্জে ওঠার সাহস পেয়ে যাবে।
কিছুকাল যাবত দেখেছি সরকার বদলের সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে যেতে। শেষ পর্যন্ত্য সেগুলো দলীয় ইতিহাসে পরিণত হয়েছে। এখন দেখছি গোষ্ঠীস্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় ইতিহাস লেখা হচ্ছে। এর পরে কি সর্বদলীয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ? ( সমঝোতার ভিত্তিতে)
ধন্যবাদ নজরুল সাহেব। আপনাদের প্রজন্মকেই দায়িত্ম নিতে হবে। আমরা পারিনি। আমরা ছিলাম নষ্ট প্রজন্ম।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
গোলাম মুরশিদের আসল খোমারূপ তাইলে এই! পোস্টটা ছড়িয়ে দেয়া আসলেই প্রয়োজন। আমার সাধ্যানুযায়ী ছড়িয়ে দিচ্ছি।
এর থেকে এক বড় শিক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞ আর বিশ্লেষক হলেই চোখ কান বন্ধ করে বিশ্বাস করা যাবে না।
এদের মত মানুষদের জন্যই আজ জামাত একটা দল, রাজাকার এদেশে বহাল তবিয়তে বাস করে আর এরাই ওদের পা চাটে।
অলস সময়
এইসব লেখার বিরুদ্ধে কোর্টে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। ইতিহাস বিকৃত করে খুনির পক্ষে সাফাই গাওয়ার অপরাধে এগুলোর বিচার হওয়া উচিত!
লেখাটার জন্য
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সহমত। একিসাথে প্রকাশককেও ঘাড় ধরে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়া দরকার।
কবি আব্দুল হাকিম এর এই লাইনটা খুব উপযুক্ত মনে হইল - আশা করি শ্রদ্ধেয় গবেষকের এপিটাফে এই লাইনটা লিখে দিতে পারব ।
- বইতা পড়তে হবে শুধু মাত্র এদের রূপ চেনার জন্য । ধন্যবাদ নজরুল ইসলাম ভাই ।
অস্বীকার করবনা, গোলাম মুরশিদ সম্পর্কে একটা সমীহভাবই কাজ করত আগে। এখন দেখছি ঠক বাছতেই গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমার একটা প্রশ্ন ছিলো, গণহত্যার হিসাব আসলে কিভাবে করা হয়? অন্যান্য যে সব গণহত্যা দেশে দেশে হয়েছে, সেগুলো নিয়েও কি এরকম সংখ্যা ওলটপালট করার চেষ্টা করা হয়?
বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ আছে, ওনারা কি এই গবেষণা করেন নি? তিরিশ লাখ মানে কি আসলেই তিরিশ লাখ নাকি এই হিসাবটা ২৫ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষও হতে পারে?
একজন ইতিহাস রচয়িতা "তবে মনে হয়" জাতীয় বাক্য কিভাবে লেখেন? ওনার মনে হওয়াটাই ইতিহাস?
------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল
যতই সময় যাচেছ "পরথম আলু"র বান্দরামি দেখি বেড়েই চলছে। পাকিমন পেয়ারু আবুল-কন্যার **রজানের পরে এখন আমাদের শেখাচেছ আর এক "গোলাম" গোলাম মুরশিদের মুক্তিযুদেবর "নির্দলীয় ইতিহাস" বাম আর ডান রাজাকার মিলে শর্মিলা বসুর প্রেতাত্মাদেরই এখন পোয়াবারো। প্রথমে শিখাইলো পাকি-প্রেম, এখন শিখাচেছ পাকি-প্রেমিক ইতিহাস...
এই পোস্টটিকে ছড়িয়ে দেয়া খুব প্রয়োজন। ধন্যবাদ নজরুল ভাইকে।
শেয়ার করলাম ফেসবুকে আর গুগুল প্লাসে
ছদ্মবেশী ছাগুদেরও বিচার চাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
খুব আগ্রহ নিয়ে কলেজ জীবন থেকে ইতিহাস জানা শুরু করেছিলাম... কিন্তু এত দুঃখ কোথায় রাখব ভেবে পাইনি...
জীবন শুরু করার আগেই হতাশা এসে গেছে। কাকে বিশ্বাস করব তবে....? কার বই শেষ করে তবে জানব আমার হতাশা একটি সত্যি হতাশা..... কোন ভুল বইয়ের প্রতারণায় একটি ভুল হতাশা নয়.....
ভাই পাঠক,
আপনার কয়েকটা মন্তব্য দেখলাম। দেখে আপনার কথাবার্তা ভালো ঠেকতেসে না। ফোড়ন কাটার তালে আছেন মনে হইতেসে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মধু জীবনীকার গোলাম মুরশিদ যে শ্রদ্ধা কুড়িয়েছিলেন গবেষক হিসেবে তা আর থাকবেনা নিশ্চিত। কোথায় যে যাই, কে যে আসলে সত্যটাকে সত্য বলে প্রকাশ করে বোঝা বড় দায়। বইটা পড়া জরুরী ভেতরে কী আছে জানার জন্য। তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে যে নিরীহ অবাঙালি মারা যায়নি সেটাও বোধয় ঠিক নয়।
গোলমাল মুর-সিঁদ পাকি সেনাদের লেখা অতি বিশ্বাসযোগ্য সব তথ্য একেবারে সিঁদ কেটে কপি করেছেন। আবার তারাপ কোয়াস ভাই দেখি গুগল করে যে লাইন বের করেছেন তার হুবহু বাংলা অনূবাদ।
তাপ ভাই গুগল করে যেটা বের করেছেন সেটা হচ্ছে
।
বান্দীর পুত হইছে আমাগো নির্দলীয় ইতিহাস লেখার লেখক। মাদার...
ধিক্কার প্রথমা, ভেবেছিলাম তোমার অনেক টাকা, আমাদের অসাধারন সব বাংলা বই উপহার দেবে। আর এ কি দিচ্ছ বাপ??? আমাগোরে খানকির পোলা জামাত বানাইবা? হতে দেবোনা। আজ থেকে আলু পেপার বন্ধ এবং প্রথনা ব্যান করলাম
গোলমাল মুর-সিঁদ এর বিরুদ্ধে এ জন্যে অবশ্যই আইনী ব্যাবস্থা নিতে হবে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, এই ছদ্ম বেশী ছাগুদের চিনে একটা ব্যাবস্থা নিন। রাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিক। এখন ক্ষমতায় এসেছে আমাদের স্বাধীনতা কামী লীগ। রাষ্ট্র কেন এর বিরুদ্ধে এখনো ব্যাবস্থা নিচ্ছেনা?
শুধু লেখায় এর প্রতিবাদ সীমাবদ্ধ না রেখে আরও অন্য কোনভাবে এর প্রতিবাদ করা যায়না ? সমাজের সবার জানা উচিত এই শয়তানি গুলো। সবগুলো বই এনে আগুন লাগিয়ে দেয়া দরকার সবার সামনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
তার একটি বই পড়েছিলাম নারী ও ধর্ম নিয়ে। অস্বীকার করার উপায় নেই বইটি বেশ ভালো লেগেছিল। কিন্তু এই লেখা পড়ে এখন হতাশ লাগছে।
ছাগু বাছতে দেশ উজাড় হবার দশা!
প্রথম আলো যেভাবে 'বদলে দাও' 'বদলে দাও' রবে দাউ দাউ করে সবকিছু বদলে দিচ্ছে। ক'দিন পরে শুনব গোলাম আযম স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিল।
সংগ্রহ করে দেখতে হবে...
অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই, এ বিষয়টি আলোতে আনবার জন্যে। ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে সাধারণ মানুষদেরই...
ধন্যবাদ নজরুল ভাই একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে সামনে নিয়ে আসার জন্য। এখনই এ বিষয়ে সচেতন ও সোচ্চার না হলে হয়তো মারাত্মক তথ্যবিভ্রাটের মুখে পড়বে গোটা জাতি। একটা ব্যাপার বেশ ভাবাচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এই সব কুকীর্তিগুলো সামনে আসছে কিছু দিন ধরে। শর্মিলা বসু, মেহেরজান এখন দেখছি গোলাম মুরশিদ তত্ত্ব! এর পর কী????
নির্বাক হয়ে গেলাম।
অথচ ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস’ পড়ার পর গোলাম মুরশিদ পছন্দের তালিকার উপর দিকে ছিল...।
কীসের ছলনে ভুললেন মুরশিদ ! বড় পছন্দের লেখক ছিলেন !
হতাশ হইলাম... আশার ছলনে ভুলি খুব পছন্দের বই ছিলো
অলমিতি বিস্তারেণ
গোলাম মুরশিদ কেন এই উল্টো গীত গাচ্ছেন--তার একটা তদন্ত হওয়া দরকার। কেউ কি কাজটা করবেন?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
যতদূর মনে পড়ে বইটা ২০১০ -এর জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে।ভেবেছিলাম বইটা সময় করে পড়ব।কেনা -পড়া কোনটাই হয়নি।বইটার এই রিভিউটা আরো আগে দরকার ছিল(প্রথমা প্রকাশনের ব্যাপক বিজ্ঞাপন ও গ্রন্হগরিমা প্রচারের সময়।)
আপনাকে ধন্যবাদ এইসব লেবাসধারী ধড়িবাজ বুদ্ধিজীবিদের স্বরুপ উন্মোচনের জন্য।
গোলাম মুরশিদ কি নামের অদ্যাংশ মিলের জন্যই গোলাম আযমকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস রচিলেন!
নজরুল ভাই,
বইটি আমি পড়িনি। আপনার অভিযোগ যদি সত্য হয় তবে এটি একটি অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ হয়েছে।
গোলাম মুরশিদের ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস’ ও 'আশার ছলনে ভুলি'-তে একজন লেখক হিসেবে তিনি যে ভিত ও আদর্শগত অবস্থান তৈরি করেছেন তা থেকে বেরিয়ে এসে এমন দুষ্কর্ম করতে হলে অপরিসীম ধুর্ততার প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি, এ বিষয়ে আরো চুলচেরা বিশ্লেষণ ও শক্ত আলোচনার দরকার আছে।
বইটি পড়তে হবে শিগগির!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
নজরুল , লেখাটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
একমত
এখন বুঝতে পারছি প্রথমআলো হঠাৎ এইসব শুরু করেনি। রীতিমত বহু বছর পরিকল্পনা করে অগ্রসর হয়েছে!!
এতবড় একটা প্রতিষ্ঠানে সৎ কেউ কি নেই? তারা কতক্ষণ চুপ করে থাকেন সেটাই দেখতে চাচ্ছি।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিহারী-দালালরা যেমন অত্যাচার-উৎপাত করেছে, তেমন হাতের কাছে এলে তারাও ক্রোধের কোপে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সত্যি ইতিহাস লিখতে চাইলে, সত্যের অপ্রিয় অংশকেও বাদ দেয়া যাবে না। যেকোন যুদ্ধের ইতিহাসই এরকম। যুদ্ধ জিনিসটাই বাজে। এই পয়েন্টটা তুলে ধরার জন্য গোলাম মুরশেদকে সাথে সাথে বাতিলের খাতায় ফেলে দেব না, কিন্ত্ বাকি পয়েন্টগুলি আসলেই দুশ্চিন্তার। বিশেষকরে রেফারেন্সের অংশটা। শর্মিলার লেখাতেও পড়েছিলাম, সে মহিলা নাকি কোন দলিলপত্রই খুঁজে পায় না। অথচ নেই নেই করেও কতোজনের সাক্ষ্যই তো আছে।
আচ্ছা এই গোলাম মুরশিদ কি সচলায়তনে পূর্বে আলোচিত (এখানে, এখানে) গোলাম মুরশিদ?
হ্যাঁ
একই ব্যক্তি
আমার এক বন্ধু এইমাত্র মেইল করে জানালেন--
যতদূর জানি, তার ভাই অভি ওত পেতে আছে তাকে খুন করার জন্যে(সেটা পারিবারিক এক বিষয় নাকি) , প্রথম আলো গঙ কী অভিকে ভাড়া করলো নাকি? উনি আমাকে আমতা আমতা করে একবার বলেছিলেন যে বইটা যেভাবে লিখেছিলেন সেভাবে বের হয়নি, তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে। তাহলে কী গোলাম মুরশিদের কানে পিস্তল ঠেকিয়ে এইটা লেখায় নিলো নাকি আলুই গঙ?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
এই লোকের উচিত ভুট্টোর আত্মজীবনী পড়া। জেলে বসে লেখা if i am assassinated এর পৃষ্টা ১৮তেই আছে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য : What exactly the army did will not be known until Pakistan releases the
Hamoodur Rehaman Report or someone leaks it out. But what Bhutto has already said shows how damaging the Report must be. “Even now my open commentary upon the Hamoodur Rehman Report would irreparably damage the name of the armed forces,” he warns
General Zia. He calls it “a severe indictment of the armed forces and the military hierarchy …. it is story of rape, plunder and loot.” From his prison, Bhutto has demanded that General Zia should not be allowed to tamper with the Report.
আরো বলেছিলেন, যে তার পাণ্ডুলিপিতে বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে, তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধেই। হয়তো প্রথম আলোর চুক্তিপত্রের ফাঁদে পড়েই এই কাণ্ডটি তাঁকে হজম করতে হয়েছে। এই বইটির উক্ত শর্মিলাকরণ প্রথমআলো গ্রুপই করেছে। তিনি কিছু করতে পারেননি।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
“কুমারী হিন্দু নারীরাই ছিলেন ধর্ষিত হওয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রার্থী”
তার তো খুব কুমারী মেয়ে পছন্দ, তাই এই তথ্যটি তিনি নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে রচনা করেছেন। ১৯৮৩ সনে বাড়ি থেকে পালিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। গোলাম মুর্শেদ স্যার চর্যাপদ পড়াতেন। তখন দেখেছি তার লাম্পট্য, পাণ্ডিত্যকেও হার মানায়! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নাম ছিলো, “মেলবর্নের মালপোয়া”।
দেখতে ভালো মেয়েদের তিনি তার রুমে ডাকতেন, নোট দেবার নাম করে। এমন কি তার স্ত্রীর( নেলী বা এলী) অবর্তমানে চায়ের নিমন্ত্রণে বাসায়ও ডাকতেন। মাস-দেড়ক পর শিক্ষানীতি বাতিল নিয়ে ঝামেলায় ভার্সিটি বন্ধ হয়ে গেলে আমাকে এক্কেবারেই চলে আসতে হয়। তিনি আমার ঠিকানা খুঁজে বের করে আমার সাথে ঢাকাতে দেখা করতে এসেছিলেম। যদি বেড়ালের ভাগ্যে শিকা ছেঁড়ে!
আমি যতদূর জানি, ধর্ষিত সবাই হয়েছিলো। হিন্দু মুসলমান সবাই।
--------------------------------------------------------------------------------
নারী ধর্ম ইত্যাদি, হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতি আর বিলেতে বাঙালীর ইতিহাসের মাধ্যমে গোলাম মুরশিদ যথেষ্ট সম্মানের আসনেই ছিলেন - কিন্তু এই বই তো ব্যাপারটাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে!
এই লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ নজরুল ভাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সমীকরণ তো জলবৎ তরলং!
স্মৃতি বেঈমানী না করলে, মেহেরজান ইস্যুতে মুক্তিযুদ্ধকে 'আলাদা ন্যারিটিভে' দেখার আহ্বান জানিয়ে তো পয়গাম এসেছিলো আলু পেপারের সম্পাদকীয় থেকেই। জামাতে ইসলামীর পক্ষে ছাতা মেলে ধরার কাজটাও জনৈক ঢাবি শিক্ষককে দিয়ে প্রথম আলো করায়। গৌরবান্বিত ভাষা আন্দোলনের সুদীর্ঘ ইতিহাসকে তিরিশ মিনিটের পুরিয়ার মধ্যে 'কাঁপিয়ে' ভরে বাজারজাত করে তো এই আলু গোষ্ঠীই। চল্লিশ বছর গত হওয়ার পর 'সহী কায়দায়' জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ইন্তেজাম করে আলু এন্ড ব্রাদার্স। এক কালের ডাইহার্ড বামপন্থী সম্পাদক অধঃস্থন এক মামুলি কার্টুনিস্টের ঘাড়ে পা দিয়ে জাতীয় খতিবের কাছে তওবা পড়ে নিজেকে পুতপবিত্র নেকি ইনসান হিসেবে পরিচিত করেন।
— এই সবকিছুকেই একটা ছকে ফেলে সামনের দিকে দৃষ্টি ফেললে শুভকর কিছু তো পাওয়া যায় না আলু গোষ্ঠীর মধ্যে। বাংলাদেশের রক্তাক্ত ইতিহাসে এটাসেটামিক্স করে কিছু একটা বানিয়ে এদেশের ভুদাই পাবলিককে গিলিয়ে ফেলতে পারলেই অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়। তখন আর শর্মিলার ডেড রেকনিং নিয়ে কেউ টু শব্দটা করবে না। হামীদ মীর, ইমরান খানের 'হামারাহি আপনে লোগ' টাইপের বক্তব্যকে চাররঙা আট কলামে হাইলাইট করা যায় নির্দ্বিধায়। মেহেরজান আর রুবাইয়াতের সাথে গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদদেরও একুশে পদক প্রাপ্তিও নিশ্চিত হয়। হাজার হোক, এরা কেউ তো বাংলাদেশে অপাংক্তেয় থাকতে পারে না! দিন বদলের একটা দাবী তো আছে!
এই গোলাম মুরশিদের কিতাব নিয়ে আমার কেবল এখন একটাই আশংকা। ঢ়ইষূ কবে আবার গোল টেবিলের ডাক দিয়ে বসে তার মুর্শিদী মেহফিলে সাড়ে তিন ফুটি থেকে হাফ টাকলা আর কার্বন ডাই অক্সাইডের আধিক্য বাড়ানো কতিপয় রামছাগলের ম্যাৎকারে এটাকে ঐশী কিতাবের পর্যায়ে ঠেলে ধরার আদাজল প্রচেষ্টায়!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুসর গোধূলির মন্তব্যে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আলো তো অনেকদিন ধরেই যুদ্ধপরাধ-বান্ধব। এই মুরশিদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এই পোস্টটা ছড়িয়ে পড়া জরুরি, তারচে জরুরি হলো এর বিরুদ্ধে ঠিক কোন এ্যাকশনটা হয় সেটা দেখা। সাথে আরো জানা জরুরি যে, সুশিলরা এই পর্যায়ে এসেও কথা বলার স্বাধীনতার ধোয়া তোলেন কী না...
আচ্ছা প্রকৃত ইতিহাসবেত্তারা কবে লিখতে শুরু করবেন? নিজের দেশের ইতিহাস এই যে প্রতিদিন একবার করে বদলে যাচ্ছে এটা দেখছেন না তারা?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কুমারী হিন্দুনারীরা কি সাচ্চা পাকিদ্বারা ধর্ষণ 'প্রার্থনা' করেছিলেন? প্রথম আলো জামায়াতের মুক্তিযোদ্ধা প্রজেক্টের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বদলে যাও বদলে দাও - প্রথম আলো
মাইকেলের ওপর লেখা গোলাম মুরশিদ-এর 'আশার ছলনে ভুলি' বইটি এতো ভালো লেগেছিলো! প্রিয় গবেষকদের তালিকায় রেখেছিলাম তাঁকে। কিন্তু এখন এসব কী দেখছি!
আমাদের যা কিছু ভালো ছিলো সবই নষ্টদের অধিকারে চলে গেছে। যাঁদেরকে জাতির বিবেক ভাবতাম, তাঁরা সকলেই একে একে বিবেক বিসর্জন দিলেন। গোলাম মুরশিদও নষ্টদের খাতায় নাম লেখালেন।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
Blogs have positive and negative aspects. On the positive side, they can bring out stories which are often hidden , unknown to the mainstream. On the negative side, they can be vehicle for irresponsible comments as there are no editors. This blog seems to fall in the latter category. It has no historical or literary merit. It seems to measure a book by who is cited and who is not, and then it engages in an exercise of personal villification. It provides a sad commentary on the intellelctual ability of the blogger and his personal motive.
আপনার মন্তব্যটা আসলে চোখ বুজে কপিপেস্ট করলে শুধু ব্লগ না, অনেক কিছুর ক্ষেত্রেই হাওয়ার উপরে তাওয়া ভাজা স্টাইলে প্রয়োগ করা যাবে। কারণ, বাই ডিফল্ট অধিকাংশ জিনিসেরই পজিটিভ ও নেগেটিভ সাইড আছে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট কনটেক্সটে এটা কেন প্রয়োগযোগ্য, তা স্পষ্ট করে না বললে এরকম মন্তব্যের কোনো সায়েন্টিফিক ভ্যালু নাই।
মানুষ ব্লগিং করে তার কথা সোজাসাপটা বলার জন্য, ইনটেলেকচুয়াল অ্যাবিলিটি শো-অফের জন্য না। পোস্টের কোন কোন বিষয় ভুল আছে, তা টু-দ্য-পয়েন্ট বলেন। যেমন,
১) বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে গোলাম আযমের অনুপস্থিতি কিভাবে সম্ভব?
২) যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে রেফারেন্সটা অনেক বড়ো বিষয়। যেমন, হামুদুর রহমান কমিশনের হিসেবে বাংলাদেশে মাত্র ২৬ হাজার সাধারণ মানুষ মারা গেছে। আপনি যদি এই ধরনের রেফারেন্স সমর্থন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার 'নিরপেক্ষ' ইতিহাস লেখেন, তাইলে রেফারেন্সের প্রকৃতি থেকেই আপনার কাজের মোটিভ পাওয়া যায়।
পোস্টের বাকি পয়েন্টগুলো নিয়েও স্পষ্টভাবে এক এক করে বলেন। আপনার ইনটেলেকচুয়াল অ্যাবিলিটির সংস্পর্শে এসে ব্লগাররা ধন্য হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হে হে হে ... এডিটরের হুইসেল ডান্ডা দিয়ে ব্লগ হয় না। ব্লগ একটু পড়ালেখা করেন কিছুদিন। খামোখা হিস্টোরিকাল লিটারারি মেরিট ইত্যাদি শব্দ আওড়ালে তো হবে না মমিন। একটা শব্দ শিখে সেটা আত্মস্থ করতে হয়। এটা না হলে যাই লিখবেন সেইটাই দু:খজনক মন্তব্যপ্রতিবেদন হয়ে দাড়াইবে।
আবারো বলি; পড়ালেখার বিকল্প নাই। এই জিনিস কখনো পানিতে যায় না। শুরু করেন আজই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
সম্প্রতি কলকাতায় একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তৃতা করতে এসে গোলাম মুর্শিদ মাস্টারদা সূর্য সেন এবং ওসামা বিন লাদেনকে একই অর্থে সন্ত্রাসবাদী (terrorist) বলে দাবি করেন। এখানে আলোচিত বইটি আমি পড়িনি, কিন্তু এই বইয়ের বক্তব্য এবং ওঁর সাম্প্রতিক সামিনারের বক্তব্যের মধ্যে একটা বিশেষ মানসিক অসুস্থতার পরিচয় রয়েছে। সেই সঙ্গে এটাও সত্যি যে এই বিশেষ ধরনের মত প্রচার করার জন্য যে আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলেছে (যার জন্য বেশ টাকাও পাওয়া যায়) তার একজন প্রতিনিধি হয়ে যান নি তো গোলাম মুর্শিদ! হতেই পারেন। বাংলা ভাষার একজন একনিষ্ঠ গবেষককে লন্ডনে বসে বাংলা ভাষার সেবা করতে হলে কিছু কিছু মহলকে তো খুশি রাখতেই হয়। ওঁর বই বা লেখা নিয়ে যে এত প্রতিবাদ বা আলোচনা এতে অবশ্য ওঁর কিছু এসে যায় না। কারণ ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা-স্বাচ্ছন্দের কোনো ব্যাঘাত তো এতে ঘটবে না। আর দেশের প্রতিষ্ঠিত গবেষক, ইতিহাসকার কেউই এর প্রতিবাদ publicly করবেন না (ব্যক্তিগতভাবে করলেও), কারণ সকলেই প্রায় সকলের কাছে এই "পাইয়ে দেওয়ার সুবিধা" নিয়ে থাকেন। গোলাম মুর্শিদ ক্ষমতাবান মানুষ--তাই ওঁর মতবাদের প্রতিবাদ করে ওঁর অপছন্দের তালিকায় চলে গেলে তো সারাজীবনের মতো বঞ্চিত হয়ে থাকতে হবে। এত বড় ঝুঁকি কে নেবেন? এত বোকা আমরা আর নেই!!!!!!
গো. মুর্শিদের এই কান্ডের কোন রেফারেন্স দিতে পারবেন?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়, বিশেষ করে জার্মানি ও ইতালির পরাজয়ের সময় মিত্রপক্ষের বিজয়ী সৈন্যদের হাতে সেই দেশে অসংখ্য নিরীহ মানুষ-নারী-শিশু নির্যাতিত হয়েছে। তাই বলে নাৎসি যুদ্ধাপরাধীদের ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের সময় কেউ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও আমেরিকার মানুষ যুদ্ধাপরাধ করেছে এবং চার্চিল, রুজভেল্ট বা স্ট্যালিনেরও যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচার হওয়া উচিত ছিল, এমন কথা বলেননি। ড. রাধাবিনোদ পালও বলেননি। তিনি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়কার যুদ্ধাপরাধীদের ট্রায়ালে বিচারকদের প্যানেলে ভারতীয় বিচারক ছিলেন এবং যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তিদানের ব্যাপারে অন্য বিচারকদের সঙ্গে অভিন্ন মত না হয়ে ভিন্ন রায় দিয়েছিলেন।
জার্মানি এবং ইতালিতেও এখন পর্যন্ত এমন একজন লোককে খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা বলেছে অথবা বলবে, ব্রিটিশ, রুশ কিংবা মার্কিনিরাও যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারাই যুদ্ধাপরাধের জন্য একমাত্র দায়ী নয়। আর বাংলাদেশে এ দেশের এক কুলাঙ্গার বুদ্ধিজীবী স্বজাতিদ্রোহিতার চরম ধৃষ্ঠতা দেখিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কোনো নৈতিক অথবা আইনগত ভিত্তি নেই; এবং আওয়ামী লীগ নাকি এই ভিত্তি নষ্ট করে ফেলেছে। একই সঙ্গে তিনি বলছেন, 'একাত্তরে বাঙালিরাও যুদ্ধাপরাধ করেছে।'
ব্রিটেনের মতো গণতন্ত্র এবং অবাধ বাকস্বাধীনতার দেশেও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরাও যুদ্ধাপরাধ করেছে_এ কথা কেউ বলেনি; বলার সাহস দেখায়নি। দেখালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে তার বিচার এবং কঠোর শাস্তি হতো। সম্প্রতি এক বিখ্যাত হিস্টোরিয়ান তাঁর এক গ্রন্থে শুধু লিখেছিলেন, 'হিটলার হলোকাস্ট ঘটিয়ে লাখ লাখ ইহুদি হত্যা করেছিলেন_এটা একটা মিথ; এর পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ নেই।' শুধু সরকারি ব্যবস্থায় নয়, প্রচণ্ড জনরোষে তাঁকে শুধু বইটিই বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে হয়নি, তাঁকে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চাইতে হয়েছে। তার পরও তাঁকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আর বাংলাদেশে একাত্তরের নারীঘাতী-শিশুঘাতী বর্বরদের মুখোশ পরা সমর্থকরা বাকস্বাধীনতা-মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে জাতিদ্রোহিতা-দেশদ্রোহিতামূলক বক্তব্য অবাধে প্রচারের সুযোগ পাচ্ছে। আমি জানি না, এ ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের মতো ব্যবস্থা গ্রহণে বিরত থেকে হাসিনা সরকার আর কতকাল 'ডেমোক্রেটিক সিকনেসে' ভুগবে?
নৃশংসতা এবং ওয়ারক্রাইমের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত। বার্ট্রান্ড রাসেল তাঁর পিস ফাউন্ডেশনের উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেছিলেন, 'পরাজিত জার্মানি ও ইতালিতে ব্রিটিশ-রুশ-মার্কিন সৈন্যরা অনেক ক্ষেত্রে অ্যাট্রোসিটি চালিয়েছে; ওয়ারক্রাইম করেনি।' তারপর অ্যাট্রোসিটি ও ওয়ারক্রাইমের মধ্যকার পার্থক্যটি বিশ্লেষণ করেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশেও পাকিস্তানিদের এবং তাদের সহযোগী একশ্রেণীর অবাঙালির বর্বরতা ও যুদ্ধাপরাধের প্রতিক্রিয়া একশ্রেণীর বাঙালির মধ্যেও দেখা দিয়েছিল, যা সব দেশেই বিপ্লবের পর সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দেয় এবং তাদের অনেকে নৃশংসতার আশ্রয় নেয়। এটা যুদ্ধাপরাধ নয়।
আপনার মন্তব্যের এনালজি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ক্ষেত্রে খাটে না। কারণ, এখানে 'বিদেশি' সৈন্যরা জয়ী হয় নাই, জয়ী হয়েছে 'নিরীহ মানুষ'ই। একজন ব্রিটিশ সৈন্য একজন নিরীহ জার্মানকে হত্যা করতে পারে; কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা একজন নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করার কোনো কারণ নেই। মুক্তিযোদ্ধাটি নিজেও নিরীহ বাঙালিই এবং নিরীহ বাঙালিদের স্বাধীনতার জন্যই সে যুদ্ধ করেছে। যুদ্ধের শেষে সে যদি নিরীহ বাঙালিকেই হত্যা করে তাইলে কেমনে কি? যুদ্ধটা পাকিস্তানে হলে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা জয়লাভ করলে, তখন নিরীহ মানুষ হত্যার প্রশ্ন আসে।
রাজাকাররা নিরীহ মানুষের অন্তর্গত না। ধান্দাবাজ সুবিধাবাদী লোকজনই রাজাকার হয়েছিলো। এদের আইকিউ নিরীহ মানুষদের চেয়ে বেশি থাকায় যুদ্ধ জয়ের পরে এমনকি টপ লেভেলের রাজাকারদেরকেই খুঁজে পাওয়া যায় নাই। এরপর তড়িঘড়ি করে অস্ত্র জমা নেয়ায় খুব তাড়াতাড়িই রাজাকারেরা গর্ত থেকে বের হয়ে আসতে সমর্থ হয়। সুতরাং যুদ্ধের ঠিক পরপর খুব অল্পসংখ্যক রাজাকারকেই হাতের কাছে পাওয়া গিয়েছিলো 'নৃশংসতা' ঘটানোর জন্য।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
১. পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবি প্রমোট কার্যক্রম - হামিদ মীর, কবি ফয়েজ ইত্যাদি
২. সম্পাদনা পর্ষদ কর্তৃক সরাসরি রিভিশনিস্ট চলচ্চিত্র মেহেরজানের পক্ষে নামা। রিকনসিলিয়েশন তত্ত্বের প্রচলন।
৩. প্রথমা প্রকাশনির মাধ্যমে রিভিশনিস্ট ইতিহাস তৈরী।
প্রথম আলোর উদ্দেশ্য আস্তে আস্তে পরিস্কার হচ্ছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
কমেন্টে
আমাদের এভাবেই সদা জাগ্রত থাকতে হবে...............অমূল্য ইতিহাসকে ধর্ষিত হতে দেওয়া যাবে না.............রুখে দাঁড়াতে হবে..............
_____________________
Give Her Freedom!
বিগত দুই বছরে কত কিছুই দেখলাম গণতান্ত্রিক সরকার , অসময়ের সত্য বাদী মিডিয়া , কিছু সার্থবাদী রাজনীতিবিদ , যারা অবলিলায় জনগনকে মিথ্যা বলছে আর মিডিয়া সেটা প্রচার করছে । কবে জাগবে মানুষ ? কিছু ছোট সার্থ এর জন্য আমরা আমাদের ক্ষতি করছি
জাগো বাঙ্গালি জাগো
এই লোকটার বই কিনে পড়েছি, অন্যদের বলেছি পড়ার জন্য - আজ এই পোস্ট পড়ে সব শ্রদ্ধার ভান্ড খালি হয়ে গেলো! নজরুল ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটার জন্য, আগামি বইমেলায় আমাদের উচিত হবে এই বই কেনায় মানুষকে নিরুৎসাহিত করা - আমাদের পক্ষে কি এতটুকু করা সম্ভবপর হবেনা?
নতুন মন্তব্য করুন