লেখাটার শুরুতেই সারমর্ম। একাত্তরের মূল ন্যারেটিভের বাইরের কিছু খুব একটা প্রকাশিত হয়নি বলে মাতম দিয়ে বাক্য শুরু। কোন কারণে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে আর কেনই বা জাতিবৈরিতার প্রকোপে পড়ে পাকিস্তানিরা বাঙালি-নিধনে নেমে পড়ে- সেটা দ্বিতীয় বাক্যের জিজ্ঞাস্য।
Forty years after 1971, the Bangladesh liberation war remains a frozen object, not yet fully open to heterodox narratives. Historians need to unpack the complex and contradictory matrix that gave rise to Bengali nationalism, and the mixture of racism and hysteria that spurred the Pakistan Army on to a path of atrocities. This is essential for Bangladesh to decipher its post-liberation trajectory, and for Pakistan to excavate the roots of its current crises. (মোহাইমেন ২০১১: ৪১)
একাত্তর পূর্ব বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কেন অসন্তোষ দানা বেঁধেছে সেটার জন্য একটু ইতিহাস-সচেতন হলেই চলে। বায়ান্ন সালের ভাষাভিত্তিক শোষণ থেকে শুরু করে নানা কিছুতে জেরবার হয়ে সার্বভৌমত্ব দাবি করা ছাড়া আর কোনো উপায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লোকজনের ছিল না। আর পাকিস্তানিদের জাতিবৈরিতার ইতিহাসের পেছনের মুল কারণ হচ্ছে শাসক সেজে ঔপনিবেশিক মানসিকতার চর্চা।
নাঈম মোহাইমেন শর্মিলা বসুর গবেষণা ও প্রোপাগান্ডার সমালোচনা করেছেন-সেটা ঠিক আছে। তবে মাঝে মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠিত সত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। আফসান চৌধুরি’র মতো লেখককে বারংবার উল্লেখ করেছেন। ফলে তাঁর উদ্দেশ্যের মধ্যে সাধুতা কতোটুকু সেটা নিয়ে সন্দেহ হয়। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের লেখকদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি এক ধরণের গতবাঁধা পথেই এগিয়েছে। সেখানে ভিন্নমত কখনো মাথাচাড়া দেয়নি। মোহাইমেনের এই বক্তব্য অসত্য। গোলাম মুরশিদ তাঁর “মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর: একটি নির্দলীয় ইতিহাস’ বইতে নিরপেক্ষ থাকতে গিয়ে পাকিস্তানিদের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডকে প্রলেপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। আফসান চৌধুরি দীর্ঘদিন ধরে নানা লেখায় একাত্তরকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আর একাত্তর পরবর্তী বিহারি হত্যাকাণ্ডকে ফোকাসে আনার চেষ্টা করছেন। রুবাইয়াত হোসেন ডেইলি স্টারে একাত্তর নিয়ে গল্পগুজবভিত্তিক গবেষণা লিখে চলছেন। পাকিসঙ্গমের ফোক-ফ্যান্টাসি নিয়ে মেহেরজান চলচ্চিত্র পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছেন রুবাইয়াত। ফরহাদ মজহার এবং প্রথম আলোর বুদ্ধিজীবী আসিফ নজরুল, সৈয়দ মকসুদ, হাসান ফেরদৌসেরা নিয়মিত বিরতিতে যুদ্ধাপরাধ-বান্ধব লেখালেখি করে চলছেন। বিভিন্ন ব্লগেও মুরশিদ-মজহারীয় গোষ্ঠীর অবাধ বিচরণ। ফলে ভিন্ন ন্যারেটিভের নাম করে মিথ্যাচারীদের সংখ্যা কম- এই কথা জোর গলায় বলা যায় না।
মোহাইমেন তাঁর লেখায় বলেছেন, শর্মিলা বসু তাঁর গবেষণায় পাকিস্তানের প্রতি হেলে পড়া ঠেকাতে পারেননি। আরো বলেছেন, বসু সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় বাংলাদেশের যুদ্ধপীড়িত মানুষের চেয়ে পীড়নকারী পাকিস্তানিদের প্রতি বেশি ঝুঁকে ছিলেন। নাঈম নিজেও পাকিস্তানে কিছু লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন যারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছিলেন। বাঙালিদের বিহারি নিধন নিয়ে নাঈম নিজেও বেশি কিছু জানতেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁর নাকি ধারণা ছিল- একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা কেবল পাকিস্তানি সৈন্যদেরই হত্যা করেছে। এর পেছনে কারণ হয়তো তাঁর উল্লেখ করা ভিন্ন ন্যারেটিভ প্রকাশ্যে কম আসা। একাত্তরে বিহারিদের একাংশ রাজাকার-আলবদরদের সাথে যোগ দিয়ে বাঙালিদের নিধনে মত্ত ছিল। পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সাথে এদের সাথেও মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়েছে। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এটা অজানা গোপন কোনো বিষয় না।
একাত্তরের পরে আটকে পড়া বিহারিদের উদ্ধারে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এগিয়ে আসেনি। ফলে স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষেরা একযোগে বিহারিদের হত্যা ও বিহারি মেয়েদের ধর্ষণের উৎসবে মেতেছিল বলে আফসান চৌধুরি এবং শর্মিলা বসু তাদের লেখালেখিতে উল্লেখ করেন। আফসান চৌধুরি থেকে কোট করেছেন নাঈম।
Bengalis did commit atrocities including rape of Bihari women and unless we accept that we shall never have the moral force to stand up to ourselves… I have also explained the role of the Pakistan army in facilitating this and it was important for Biharis to understand that. Did the Pakistanis expect to attack Bengalis in Dhaka and expect the Biharis living unprotected and unsafe all over Bangladesh to be untouched? I believe [the] Pakistan army didn’t care about them and practically signed their death warrant. This is further proven by the abandoning of the Biharis after their defeat in December and [their] escape under Indian army protection leaving the Biharis behind, the staunchest of Pakistanis, to face the music of vengeance. (মোহাইমেন ২০১১: ৪১)
এর বিপরীতে অ্যাডাম জোনসের ‘জেনোসাইড: আ কম্প্রিহেনসিভ ইন্ট্রোডাকশন’ বইতে কি উল্লেখ আছে দেখি-
১৯৭১ সালে এই গণহত্যা চলার সময় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উর্দুভাষী বিহারিরা বাঙালি হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানি সেনাদের সাথে যোগ দিয়েছিল। তাদের এই ভূমিকার জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থকদের রোষের মুখে পড়েছিল পাকিস্তানি সেনাদের সাথে সাথে বিহারিরাও। পাকিস্তানি সরকার তাদের শ্বেতপত্রে দেখিয়েছে বাঙালিরা কমপক্ষে ত্রিশ হাজার বিহারি ও পশ্চিম পাকিস্তানিদের হত্যা করেছে। তবে পাকিস্তানি সেনা ও বিহারিদের যৌথ নেতৃত্বে ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত বাঙালি নিধনের তুলনায় বিহারি হতদের সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। (জোনস্ ২০১১:৩৪৫)
১৯৭১ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিহারের লেখক একবাল আহমেদের একটা চিঠি ছাপানো হয়েছিল ‘দা নিউইয়র্ক রিভিয়্যু অব বুকসে'। সেখানে আহমেদ লিখেছেন-
According to reliable reports, which were not challenged by the government, no more than 10,000 persons were killed or wounded by Bengali nationalists in the riots against the Biharis. At the beginning of August, however, West Pakistan military authorities issued a white paper which claimed that 100,000 people were killed by the Bengali opposition. These and other exaggerated claims in the white paper were obviously intended to justify trials and possible death sentences for opposition leaders. As this letter is being written, the military government has announced that Sheikh Mujib will face a secret military tribunal on August 12, on charges of “waging war” against Pakistan. Since the white paper announced that seventy-nine members of the unconvened national assembly will face criminal charges, Mujib’s trial may foreshadow more secret prosecutions.
শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা সংখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন বিহারেরই লেখক একবাল আহমেদ। শর্মিলা বসু শ্বেতপত্রে প্রকাশিত একাত্তরের বাঙালি হতদের সংখ্যা ২৬,০০০ কেই প্রাধান্য দিতে চান। কিন্তু নাঈম মোহাইমেন বা গোলাম মুরশিদ লোকলজ্জার কথা চিন্তা করে তিন লক্ষ বা তার চেয়ে কমের পক্ষে রায় দেন। তারপর বলেন-
In any case, whether the death toll was 3 million or 3,00,000 or less, does that make it any less of a genocide? (মোহাইমেন ২০১১:৪৬)
এই একই বক্তব্য আমি আমার একটা লেখায় লিখেছিলাম-
এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে ত্রিশ লক্ষ বনাম তিন লক্ষের দ্বন্দ্ব। ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে একাত্তরের গণহত্যায় বাংলাদেশে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিদেশের পত্রিকাগুলোতে নানা রকম তথ্য আসতে থাকে। তবে কোনো সংখ্যাই দশ লাখের কম ছিল না। রাশিয়ান পত্রিকা ‘প্রাভদা’য় (১৯৭২ সালের তেসরা জানুয়ারি) প্রথম সরেজমিনে নানা হিসাবপত্র করে একটা গ্রহণযোগ্য সংখ্যা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ছাপানো হয়- এই গণহত্যায় হত হয়েছেন ত্রিশ লক্ষ বাঙালি। শেখ মুজিব স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২ সনে; হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু কিছু তথ্য তাঁর অজানা ছিল না। তিরানব্বই হাজার পাকিস্তানি সৈন্যের (কিছু বেসামরিক পাকিস্তানি সহ) সাথে সাতশ শান্তি কমিটির পঞ্চাশ হাজার রাজাকার ও বিহারিরা দুইশ সাতষট্টি দিনে বাংলাদেশে গণহত্যার জোয়ার বইয়ে দিয়েছিল। বাইরের পত্রিকাগুলো নানা রিপোর্টে প্রকাশ করেছিল- যুদ্ধের প্রথম ত্রিশ দিনেই পূর্ব পাকিস্তানে হত হয়েছেন তিন লক্ষের বেশি বাঙালি। জাতিসংঘের রিপোর্টে এসেছিল- পূর্ব পাকিস্তানের ৭০% গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করেছে পাকিস্তানি হানাদার ও শান্তি বাহিনীর লোকজন। পাকিস্তানি হানাদারদের কাছ থেকে বাঁচতে প্রায় এক কোটির মতো লোক সীমানা পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান তাই বিদেশী সাংবাদিকের সাথে গণহত্যায় নিহতদের সংখ্যা বলার ক্ষেত্রে যৌক্তিকতার বিচারে প্রাভদার সংখ্যাটি ব্যবহার করেন। আর এটাও বোঝা প্রয়োজন, ত্রিশ লক্ষ কমে এসে তিন লক্ষ হলেও যুদ্ধাপরাধ কোনো অংশে লঘু হয় না।
আমার আন্দাজ ছিল, সংখ্যাটা কোনো এক অদ্ভুত হিসেবে তিন লক্ষ হয়ে গেলেও সেটা গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধকে কোনো অংশে লঘু করবে না। কিন্তু এর পেছনে অন্য অঙ্ক অনেকে মাথায় কষে বসে আছে সেটা মাথায় তখন খেলেনি। এই বাক্য একটা গোষ্ঠীর লুফে নেয়ার কথা। নাঈম মোহাইমেন যেমনটা নিয়েছেন। ত্রিশ লক্ষকে কমিয়ে তিন লক্ষে নিয়ে আসা তাঁদের ইতিহাস বিকৃতির প্রাথমিক ধাপ। এক ধাপে সাতাশ লক্ষ কমে গেলে মন্দ কি! এর পরের ধাপ সংখ্যাটিকে শর্মিলা বসুর কাছাকাছি নিয়ে আসা। তারপর একদিন ঘোষণা করে দেয়া- ১৯৭১ সালে ভায়ে ভায়ে ঝামেলায় দুই পক্ষের প্রায় সমান লোক মারা গেছে। এটা যুদ্ধাপরাধ বা গণহত্যার মধ্যেই পড়ে না।
মোহাইমেন আফসান চৌধুরির বক্তব্যকে গুরুত্ব দেন সেটা তাঁর এই লেখা পড়ে বোঝা যায়। চৌধুরি সাহেবের নানা ইতিং-বিতং কথা লেখাটাতে আসলেও তাঁর মূল আবিষ্কারের উল্লেখ এই লেখায় নাই। আফসান চৌধুরি তাঁর ‘Rape in 1971: in the name of Pakistan' লেখায় একাত্তরে পাকিস্তানিদের ধর্ষণ সম্পর্কে একটা অশ্লীল আবিষ্কারের ইঙ্গিত করেছিলেন-
In 1971, Pakistani soldiers obviously needed women and in a few cases young boys — but their presence in Bangladesh was too brutal for normal sexual client servicing; in fact most sex workers had run away while the number of clients dramatically increased by many times as the number of soldiers were at least 100,000. So these soldiers turned to the civilian population to provide sexual satisfaction. Since very few Bengali women were willing to have sex with them, commercially or otherwise, unwillingness became a key part of this equation. So forced sex through coercion was very common which if not rape in a narrow sense physically but is otherwise so. It’s not as well discussed as rape but probably occurred more than rape. As a soldier says on his way to a liberated Dhaka, “All these women had been rescued from the shelters and the bunkers. They were being led away. Where would they go now?”
পাকিস্তানিদের ধর্ষণকে কোমল প্রলেপে ঢাকতে তৎপর আফসান চৌধুরিদের অ্যান্টি-শর্মিলা বোস সাজা এই সময়ের ক্যামোফ্লেজ কি?
সূত্র:
১। Mohaiemen, Naeem, Flying Blind: Waiting for a Real Reckoning on 1971, Economic and Political Weekly, Vol XLVI No 36, Sept 3, 2011 (pp 40-52) http://epw.in/epw/uploads/articles/16507.pdf
২। Jones, Adam, Genocide: A Comprehensive Introduction , 2nd Edition, Routledge, New York, 2011
৩। একবাল আহমেদের চিঠি। http://www.nybooks.com/articles/archives/1971/sep/02/letter-to-a-pakistani-diplomat/
৪। আফসান চৌধুরির প্রবন্ধ। http://opinion.bdnews24.com/2010/12/01/rape-in-1971-in-the-name-of-pakistan/
মন্তব্য
ত্রিশ লক্ষ কমে এসে তিন হলেও যুদ্ধাপরাধ কোন অংশে লঘু হয় না।
আফসান চৌধুরীর শেষ লেখাটা পড়ে মাথা ঘুরে গেল। এই লোকের মাথা ঠিক আছে তো!
চিন্তা-১:
চল্লিশ বছরের মাথায় এসে নিওলিবারেল-মানবতাবাদী-পুনরেকত্রীকরণবাদী-ক্ষমাবাদী-বিস্মৃতিবাদীদের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে। সমাজের এমন এমন সব কোন থেকে এরা বেরুচ্ছে যা আমাদের ভাবনাতেই ছিলো না। এরা কি আগে থেকেই ছিলো, নাকি এদের তৈরি করা হয়েছে? আগে থেকে থাকলে এতোদিন এরা এভাবে নড়াচড়া করেনি কেন? আজ হঠাৎ এদের অ্যাকটিভিটি বেড়ে যাবার কারণ কী? বিচারের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে? আর এদের যদি তৈরি করা হয়ে থাকে তাহলে কারা এদের তৈরি করেছে?
চিন্তা-২:
দেশে বা দেশের বাইরে এই গোষ্ঠীরা প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলো। প্রশ্ন হচ্ছে এদের তেলটা কে যোগাচ্ছে? তেল তো অল্প-স্বল্প না, আর একদিন-দুইদিন ধরে যোগানোও না! এই বিপুল তেলের সাপ্লাইয়ের উৎস কী? তারচেয়েও বড় কথা এই তেল সাপ্লাইয়ের উদ্দেশ্য কী? এখানে নিশ্চিতভাবে আরো জটিল ও সুদূরপ্রসারী আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক হিসেব আছে। সেই হিসেবগুলো কী? আমি ভেবে ঠিক বের করতে পারছিনা, বেশ অস্বস্তি লাগছে। বিনা লাভে কেউ কখনো তেল খরচ করে না।
চিন্তা-৩:
এই কর্মপরিকল্পনার অন্তিম উদ্দেশ্য কী? পাকিস্তানীদের বা তাদের দোসরদের বিচারের হাত থেকে বাঁচানো, পাকিস্তানের কাছ থেকে যেনো ক্ষতিপূরণ আদায় না করা যায়, বাংলাদেশের ক্ষমতায় যেনো পাকিস্তানপন্থীদের বসানো যায় - এগুলোই কী সব? এই কাজগুলো করার জন্য পাকিস্তানের সরকারীভাবে আগ্রহ খুব বেশি হবার কথা না। কারন,
(ক) পাকিস্তানীদের বিচার করা একটু কঠিন কাজ। বর্তমান সরকারের হিসেবেও পাকিস্তানীদের বিচার করার ব্যাপারটি নেই।
(খ) বাংলাদেশে পাকিস্তানের দোসরদের ফাঁসিতে ঝোলালেও পাকিস্তানের কিছু যায় আসে না। ১৯৭১ সালে ওরা নির্দ্বিধায় ওদের প্রধান দোসর বিহারীদের ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলো।
(গ) পাকিস্তানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের চেয়ে কঠিন কাজ। এই হিসাব শেষ করা বা হিসাব শেষে কীভাবে ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে সে প্রশ্নের মীমাংসা হতে বহু বহু বছর লেগে যাবে।
(ঘ) বাংলাদেশের ক্ষমতায় জামায়াত বসলে পাকিস্তানের বৈষয়িক লাভ কী?
তারপরও বাংলাদেশবিরোধী বা আমাদের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অ্যাকটিভিটি কমার বদলে দিন দিন বেড়েই চলেছে কেন? তাহলে বুঝতে হবে এখানে পাকিস্তানই শুধু চালিকাশক্তি নয়। এর পেছনে আরো বড় বড় শক্তি কাজ করছে। এবং তাদের অন্তিম উদ্দেশ্য পাকিস্তানের কামিয়াবীতে সীমাবদ্ধ নয়। শর্মিলা বসুদের গবেষণার অর্থায়ন কারা করছে, তাদেরকে কারা প্রমোট করছে সেগুলো বের করতে পারলে কিছু প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
প্রশ্নগুলো খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পারলে খোলাসা হবে ভেতরের অনেক কূটচাল।
চিন্তা ১ টা আমাকেও খুব ভাবাচ্ছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এরা আগের থেকেই ছিলো। বিশ্বব্যাংক আইএমএফের তত্ত্বাবধানে কনসালটেন্সি বাণিজ্য দিয়ে এদের শুরু। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ, বিদেশ(আমেরিকা) ফেরত এই দলে। আগে এদের সংখ্যাটা কম ছিলো। এখন মিডিয়ার যুগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা একটু ভালো হওয়াতে এদের দলটা ভারি।
আমার একটা ধারণা হলো আমেরিকা বা ব্রিটেন চায় এখানে একটা ধর্মভিত্তিক মেইনস্ট্রিম দল আসুক। আমেরিকা ওয়াহাবি এক্সট্রিমিস্টদের তেল যুগিয়ে এই অঞ্চলে কট্টরপন্থী ইসলামি ভাবধারা চালু করেছে এটা স্বীকার করে। তখনকার হিসেবে ছিলো কমিউনিস্টদের যেকরে হোক ঠেকানো। এখন এইসবের জের টানতে হচ্ছে তাদের। মাঝখান দিয়ে আমাদের ত্রাহি অবস্থা।
এগুলো মিলমিশ থিওরীর আন্ডারে হয়। আগে যা হইছে সেইটা খুড়তে গেলে নিজেদের কাছার কাপড় আলগা হয়। আমেরিকান লবি এইকারণে কখনোই চায় না পুরনো জিনিস নতুন করে আবার আসুক।
অবশ্যই তাদের আগ্রহ আছে। পাকিস্তান সর্বতোভাবে চায় ভারতকে যেকোনভাবে বাগড়া দিতে। বাংলাদেশ ভারত সুসম্পর্ক হলে ভারত তাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তি এলাকাগুলো ম্যাটেরিয়ালাইজ করতে পারবে। এটা থেকে ভারত ব্যাপক লাভ তুলতে পারবে। পাকিস্তান অবশ্যই চাইবে এইটা যেন না হয়।
তাড়াহুড়ায় মন্তব্য দিলাম। আলোচনাটা আগালে আরো কথাবার্তা বলা যাবে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হাসিব, মন্তব্যের নিচে মন্তব্য লিখলে ডানদিকে চাপতে চাপতে আর কিছু থাকে না। তাই নিচে নতুন থ্রেডে মন্তব্য লিখছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট
তবে স্বাধীনতাবিরোধী এসব দালালদের অপোক্তি কোনদিনই প্রতিষ্ঠিত হবে না,এ ধরনের অপপ্রচার সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধেও ইংরেজ সরকার প্রচার করেছিল 'অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড'র মধ্যদিয়ে।
''এদেশ কী ভুলে গেছে,সেই দুঃস্বপ্নের রাত সেই রক্তাক্ত প্রহর?
জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেচে সেই পুরনো শকুন!!!''
'পাকিস্তানিদের ধর্ষণকে কোমল প্রলেপে ঢাকতে তৎপর আফসান চৌধুরিদের অ্যান্টি-শর্মিলা
বোস সাজা এই সময়ের ক্যামোফ্লেজ কি?'
তাদের কর্মধারায় তেমনটাই প্রতীয়মান হয়।
গ্যালারিতে, ঈগলের চোখ লাগিয়ে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আপনার লেখা সবসময়ই প্রয়োজনীয় - পাঠ্য - ধন্যবাদ
"তিরিশ লক্ষকে তিন লক্ষে নিয়ে আসা ইতিহাস বিকৃতির প্রথম ধাপ" - সহমত।
অনলাইনে-অফলাইনে এইসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা জরুরী।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আফসান চৌধুরির লেখা শেষের অংশটা অন্তত আপত্তিকর।
হাসিবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেঃ
১. সবাই যে আগে থেকেই ছিলো তা কিন্তু না। যাদের বয়স পঞ্চাশ বা তার কম তাদের কিন্তু তৈরি করা হয়েছে। ব্লগ যুগের শুরু থেকে যাদের সাথে লড়াই করেছেন তারা কিন্তু বয়সে আপনার অথবা আমার কাছাকাছি। তার মানে এদের ধারার নতুন সৈনিক তৈরি করার কাজটা কিন্তু সাথে সাথেই চলেছে। নানা প্রকার কনসালটেন্সি, স্কলারশিপ, ফেলোশিপ, কনফারেন্সের বা লেকচার দেবার মুলা, রিসার্চ ফান্ডের আড়ালে পেট্রনাইজেশন কিন্তু অব্যাহত আছে। অর্থাৎ বুড়া-জোয়ান সব পক্ষের দিকেই নজর রাখতে হবে।
২. যতদূর জানি, যুদ্ধ আর যুদ্ধাস্ত্র হচ্ছে বর্তমান দুনিয়ার সবচে’ বড় দুই বাণিজ্য। সেটা ঠিক হলে নতুন নতুন যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করা বা অশান্তি তৈরি করার একটা আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সবগুলো দুর্বল দেশেই থাকবে। নব্বই পরবর্তীকালে “কমিউনিস্ট শয়তান” যখন আর হিসেবে নেই, তখন “ইসলামী শয়তান”-ই প্রবল প্রতিপক্ষ। দুর্বল দেশগুলোতে (বিশেষতঃ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে) কট্টরপন্থী ইসলামী দলগুলোকে ক্ষমতায় আনতে পারলে গৃহযুদ্ধ বা প্রতিবেশির সাথে যুদ্ধ বাঁধানোর একটা মওকা পাওয়া যায়।
৩. মার্কিনীরা “ফরগেট এন্ড ফরগিভ” থিয়োরী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করেছে। তাদের বলদ লাঠিয়ালের হয়রানী কমানোর জন্য তারা আমাদের পরোক্ষভাবে এই সাজেশন দেবে - সেটা স্বাভাবিক। মার্কিনীদের কাছার কাপড় কিন্তু হরহামেশাই আলগা হচ্ছে। কিন্তু সেটা থেকে কেউ যে বিশেষ ফায়দা তুলতে পারে না সেটা তারা জানে।
৪. এদের পিছনে পাকিস্তান সরকারের বা কোন পক্ষের সরাসরি পেট্রনাইজেশন আছে কিনা জানা দরকার। তাহলে পরিকল্পনাটা কিছুটা অনুধাবন করা যাবে। ভারতের ভিতরে বা পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের বাগড়া দেবার চেষ্টা পুরনো। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তেও তাদের তৎপরতা আছে কিনা সেটা নিশ্চিতভাবে জানা দরকার। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক তারা চাইবে না সেটা বুঝি। কিন্তু এখান থেকে সরাসরি কী কী লাভ তুলতে পারে সেটা বুঝতে চাইছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার এক্সক্লুসিভ ঠিকাদারি মনে হয় আপনেরাই আগলাইয়া নিসেন।
হ। যখন কিছু বালপাকনা এসে তাদের পাকি আব্বু আর রাজাকার চাচ্চুদের পশ্চাৎ বাঁচানোর তাগিদে সম্মিলিত ম্যাৎকার জুড়ে দেয় তখন আপনজনের রক্তের ডাকের এই ঠিকাদারী আগলাইয়া না নিয়া কোনো উপায় নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ আমরা আগলাইয়া লইছি, তাতে আপনার জ্বলতেছে কেন? বেশি জ্বালা করলে তার খুব ভাল ওষুধ আছে।
১। http://www.sachalayatan.com/node/40924 লিঙ্কে যান
২। ৭৫ নম্বর কমেন্টটা ফলো করেন
৩। যত জ্বালা যন্ত্রণা আছে সব কমবো
এতে যদি কষ্ট হয়, তাইলে ঢাকা থিকা উত্তরবংগগামী কোন বাসে উইঠা পড়েন, সারা জীবনের জন্য ঝামেলা মিটবে ইনশাল্লাহ।
আপ্নারা সবাই শুধু ছাগু নিয়া ব্যাস্ত। এই হাইব্রীড ছাগুদের খিয়াল করেন না। মুক্তিযুদ্ধ নিয়া এদের নিজেদের কোন মাথাব্যাথা নাই। সচল পড়ে আর কলার ঝাকায়া কয় হুঁহুঁ বাবা আমি বিরাট আধুনিক, বিরাট প্রগতিশীল। যেইনা মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে কথা আসে , বুঝুক আর না বুঝুক, এইসব হাইব্রীড ম্যাৎকার শোনা যায়।
খাইছে, এইখানে দেখি ‘ঠিকাদার’ও চলে আসছে! মারহাবা, মারহাবা!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
একটা ব্যাপার যেমন বিষ্ময়কর, তেমনি বেদনাদায়ক।
বাংলাদেশে এ নিয়ে বেশ ক'বার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী হলো।
অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে চাইলে আমিও বোধহয় মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট জোগাড় ক্রএ ফেলতে পারবো!
অথচ আমাদের ১৯৭১ এর শহীদদের নিয়ে কোন তালিকা তৈরীর কোন চেষ্টাই করা হলো না।
আজ যদি আমাদের হাতে ৩০ লক্ষ শহীদের তালিকা থাকতো, তবে শর্মিলা ও তার দল এই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করার সাহসই পেতো না।
এবার মনে হয় সময় এসেছে তালিকা তৈরী করার!
অর্ক
একটা ব্যাপার যেমন বিষ্ময়কর, তেমনি বেদনাদায়ক।
বাংলাদেশে এ নিয়ে বেশ ক'বার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী হলো।
অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে চাইলে আমিও বোধহয় মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট জোগাড় করে ফেলতে পারবো!
অথচ আমাদের ১৯৭১ এর শহীদদের নিয়ে কোন তালিকা তৈরীর কোন চেষ্টাই করা হলো না।
আজ যদি আমাদের হাতে ৩০ লক্ষ শহীদের তালিকা থাকতো, তবে শর্মিলা ও তার দল এই সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করার সাহসই পেতো না।
এবার মনে হয় সময় এসেছে তালিকা তৈরী করার!
অর্ক
তারচাইতে রাজাকারের তালিকা তৈরী করাটা আরো ভালো হয়না ভাই! শহীদেরাতো তালিকায় নাম লেখানোর জন্য শহীদ হননি; হ্যা, মুক্তিযুদ্ধো সার্টিফিকেট হয়তো বাজারে চাইলে ম্যানেজ করা যাবে কিন্তু সেই সার্টিফিকেট না নিয়ে আমার আপনার চোখের আড়ালে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই ঘুরে বেড়ান।আর সেই সার্টিফিকেট নিতে রাজাকারদের মধ্যেও জ্বলুনী ছিলো।
এবারের সময়টা আসলে রাজাকারের তালিকা তৈরী করার, তাতে অন্তত রাজাকারের বাচ্চাগুলা মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তাদের নাম ঢোকাতে পারবেনা!
ভদ্র মহোদয় ও মহোদয়াবৃন্দ,
আপনাদের দেশপ্রেম প্রশংসনীয় ও জাতীয়তাবাদী চেতনা অতি তীব্র। কিন্তু ইতিহাস চর্চা ও বিদ্যাজাগতিক গবেষণায় দুটোই অতি মূল্যহীন ও পরিত্যায্য। তাই আফসান চৌধুরী ও নাইমরা আপনাদের কাছে অতি অপাংক্তেয় ও সন্দেহজনক। তবে আপনাদের আশ্বস্ত করার জন্য বলছি- আফসান মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কিছু ইতিহাস রচনার সাথে যুক্ত, হাসান হাফিজুর রহমানের সাথেও ছিলেন। নাইমও যা করছেন তা কোন সন্দেহজনক কাজ বলে মনে হয়না। বরং তারা যে কাজটা করছে তা অত্যন্ত জরুরী, আমরা অতীতকে যত নিখুঁতভাবে বিভিন্ন দিক দিয়ে জানবো, তা যতই অপ্রিয় হোকনা কেন, ততই আমাদের ভবিষ্যতে চলার পথ সুগম হবে। আর যদি পাকিস্তানের মত কাল্পনিক ইতিহাসে বাস করি তবে তেমন অবস্থাই হবে। তাই ইতিহাস ও বিদ্যাজাগতিক চর্চাটাকে আবেগ দিয়ে না মাপাই ভাল।
একমত!
তবে এখানে এই কথা বলা বোধহয় অরণ্যে রোদন!
অর্ক
রোদন যখন করবেনই, তথ্যসহ করুন। আপনাদের খ্যাতনামা গবেষকদের গবেষণার তথ্যসূত্রের বায়াস আর গবেষণা পদ্ধতির ত্রুটির কথা যখন প্রমাণসহ বলা হচ্ছে, তখন সেই প্রমাণকে ভুল প্রমাণ করুন, তারপর এই কথা বলতে আসুন। কোন খান জাঁহা কী বলল, আর তাতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পালটে পাকিস্তানী খুনী জেনারেলদের পায়ের কাছে নিবেদন করে আসব, এমন নির্বীর্য আর মেরুদণ্ডহীন আমরা না হলে, আপনাদের সমস্যাটা কোথায়?
ঠিকই বলেছেন, আরণ্যে রোদন । এর চেয়ে বরং লাহোর রোদন বা মগবাজার রোদন করেন
আবেগ আর চেতনা ইতিহাস চর্চা আর বিদ্যাজাগতিক গবেষনায় মূল্যহীন বা পরিত্যাজ্য হবে কেন তা এই নাদান মাথায় একদমই ঢুকলোনা। কাল্পনিক জগতে বসবাসও বুঝলামনা, এখানে আপনি “অতীতকে নিখুঁত”ভাবে দেখার কথা বলছেন, অতীত নিয়ে কথা হচ্ছে কোথায়? বর্তমানে ওনারা অতীতকে কিভাবে তথাকথিত বিনির্মান করছেন সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে।
আপনি আবেগ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছেন, আমরা অনেকেই পারবোনা, সেটাকে হয়তো আপনার কাছে ব্যর্থতা মনে হতে পারে তবে আমাদের কাছে সেটা অহংকার এবং এই অহংকারটা রক্ত থেকে পাওয়া; কারন এই আবেগের কারনেই আমাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত দিয়েছিলেন যে কারনে এইসব বিদ্যাজাগতিক গবেষণায় আবেগ আর চেতনা মানদন্ড হিসেবেই দাড়াবে। চেতনার বাইরে যেয়ে চেতনার কথা বললেতো হবেনা! দালিলিক প্রমান কোথায় ভিন্ন চেতনা দাড় করানোর ক্ষেত্রে?
আমি একটা জিনিস বুঝিনা, এইভাবে বিনির্মান করতে হবে কেন? কেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদের হিসেব নিয়ে টানহ্যাচড়া হবে, রাজাকারের বাচ্চাদের নিয়ে টানাহ্যাচড়া করার মালমশলা কি ইতিহাসে নেই? নাকি সেগুলা করতে গেলে ভয় লাগে!
ত্রিশ লক্ষ কমে এসে তিন হলেও যুদ্ধাপরাধ কোন অংশে লঘু হয় না।
facebook
ত্রিশ লক্ষ থেকে ০.৫ কম বল্লেও চলেবে না। বাপ-চাচাদের ছাড়াও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে যা শুনেছি তাতে এই সংখ্যা খুবি সস্বাভাবিক। কোথায় যেন পড়েছি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নিহত ইহুদীদের সংখ্যা বিষয়ে প্রশ্ন করলেও শাস্তি। আমাদের এইরকম শক্ত হওয়া দরকার আরো দেরী হয়ওয়ার আগেই। সব রাজাকারের নিঃশর্ত মুন্ডু চাই।
২১ নম্বরে মন্তব্যকারি পাঠক সাহেবকে বলছি লেখার কোন কিছু আপত্তিজনক মনে হলে তথ্য উপাও সহকারে আলোচনা করুন , আমরা যারা ব্লগারেরা আপনার মিথ্ক্রিয়ায় লাভবান হবো ।
শুভাশীষ, আপনি নাইমের পুরো লেখাটা পড়েছেন? আমার ধারনা পড়েন নি। অল্প একটু পড়ে সমালোচনা লিখতে বসেছেন। কারন লেখাটায় জ্যোতস্নাময় গুহতঠাকুরতা থেকে শুরু করে নয়নিকা মুখার্জি পর্যন্ত অনেকের উধৃতি আছে, অথচ আপনি শুধু পেলেন আফসান চৌধুরি। দয়া করে পুরো লেখাটা পরে তারপর কমেন্ট করেন।
পুরো লেখাটা পড়েই কিন্তু আমার মনে হয়েছে শুভাশীষ লেখার অন্তর্নিহিত টোনটা ঠিকই ধরেছেন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
*মেঘনা গুহঠাকুরতা, জ্যোতস্নাময় গুহতঠাকুরতা নয়
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
শুভাশীষ দাশ আমার লেখার যে সারমর্ম এই ব্লগ এ দিয়েছেন, তার সাথে আমার মূল লেখার কোনো মিল নাই |
সবাইকে অনুরোধ করব আমার পুরো লেখাটা পড়তে |
http://epw.in/epw/uploads/articles/16507.pdf
এই লিঙ্ক কাজ করবে আগামী এক মাস (password ছাড়া) | তারপর এটা ACADEMIA.edu তে থাকবে |
> শুভাশীষ: eকাtর পূবর্ বাংলােদেশর মানুেষর মেধয্ েকন aসেnাষ দানা েবঁেধেছ েসটার জনয্ eকটু iিতহাস-সেচতন হেলi চেল।
একমত, এবং সেটা আমার লেখাতেও এসেছে |
> শুভাশীষ: eর পেরর ধাপ সংখয্ািটেক শিমর্লা বসুর কাছাকািছ িনেয় আসা।
আমার রচনাএ স্পষ্টই লেখা আছে যে আসল সংখ্যা হবে ত্রিশ লাখের কম, কিন্তু শর্মিলা বসুর হিসাবের থেকে অনেক বেশি |
"There is no doubt that death toll exaggeration came from the Bengali and Indian side in the service of gathering global sympathy, but why should the Bhutto era Commission’s self-exculpatory number be the acceptable final tally? The truth lies somewhere in between, but Bose clings to the Pakistani estimate, even quoting the Commission’s conclusion that it “might be biased, but biased upwards” " (Mohaiemen, 46)
> eটা যুdাপরাধ বা গণহতয্ার মেধয্i পেড় না
সেটাই যদি আমার উদ্যেশ্য হত, তাহলে কেন লিখলাম:
"The legal definition of genocide includes the specific intention to destroy all or part of a community, racially, religiously or otherwise defined. In this context, Bose is eager to prove there was no religious targeting... The religious composition of refugees, which the
Indian government estimated as 80% Hindu by May 1971 was considered evidence that the Pakistan Army was targeting based on religion – but this is not prominent in Bose’s analysis." (Mohaiemen, 44)
বা:
"One of the key strategies deployed by Jamaat has been to redefine the nature of violence in 1971. A Jamaat advocate appeared on television in 2007, denying that there were any death squads, and arguing that anyone who participated in “pro-Pakistan actions” was defending the legal unitary structure, and their actions are not “war crimes”. In a context where war crimes trials are under various legal and political challenges, Bose’s exhaustive attempt to remove “genocide” from any consideration of actions in 1971 is not a neutral act." (Mohaiemen, 47)
বা ২০০৯ সালে:
"For those of us deeply committed to successful war crimes trials, we believe it is absolutely essential that the trials are rigorous and conform to international standards, so that the verdicts can be internationally recognised and respected."
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=৯৬১৬৬
আর কোন প্রতিমন্তব্য নেই কেন!! আলোচনাটা জরুরী ছিলো!
নইম মোহাইমেন, আপনি যে ক্লারিফিকেশন দিলেন তাতে কিন্তু শুভাশীষদার তুলে ধরা সবগুলো বিষয় আসেনি বলেই মনে হচ্ছে!
নতুন মন্তব্য করুন