এই উপকথা সুমেরীয়। সুপ্রাচীন সেই সভ্যতা। এ গল্পেও সেই অতি প্রাচীন কালের এক কাহিনি আছে, মানুষদের প্রথম নায়কের কথা আর নেপথ্যে এক মানবদরদী দেবতা আড়াল থেকে যিনি কলকাঠি নাড়েন।
সে বহু বহু কাল আগের কথা। তখন উপরে স্বর্গে দেবতারা থাকতেন নানা স্তরে। মাঝে মাঝে তাঁরা কেউ কেউ পৃথিবীতে নেমে আসতেন তাঁদের সৃষ্টির কী অবস্থা হলো সেটা দেখতে। পৃথিবীতে তখন সবরকম গাছপালা আর জীবজন্তু ছিলো সবই ঠিকঠাক, পরিবেশও দিব্যি অনুকূল। জ্ঞানী দেবতা ঈয় ( Ea ) এর সুপারিশে মানুষ সৃষ্টি হলো। এরা নাকি কালক্রমে উন্নতি করে করে হয়ে দাঁড়াবে দেবতাদের মতনই একদিন।
বেশীরভাগ দেবতাই ব্যাপারটা বিশেষ সুনজরে দেখেন নি। কী, ঐ স্থূলবুদ্ধি, স্বল্প-আয়ু, কদাকার, পোশাকটোশাক পরতে না জানা, কাঁচা কাঁচা খাবার খাওয়া জীবগুলো কিনা হয়ে দাঁড়াবে এই জ্ঞানী গুণী ভদ্র সভ্য ধীশক্তির তুঙ্গে থাকা দেবতাদের মতন? মাঝে মাঝেই তাঁরা সাধারণ সভায় পৃথিবীর মানুষদের বিরূদ্ধে নানা অভিযোগ এনে প্রস্তাব তোলেন ওদের নিকেশ করে দেবার, কিন্তু ঈয় আর তাঁর সহযোগীরা নানা কায়দা করে প্রস্তাব পাশ হতে দেন না।
এর পরে ঈয় আর তাঁর সহযোগীদের সক্রিয় সাহায্যে পাঁচিল ঘেরা এরিদু নগরী তৈরী হলো। সেখানে মানুষরা এসে বাস করতে থাকলো। কিন্তু তখন কোনোরকমে তারা পোশাক পরতে শিখলেও না জানে রান্নাবান্না না জানে লেখাপড়া। এদের সভ্য করে তোলার উপায় কী?
আদপ ( Adapa ) ছিলেন দেবতা ঈয় এর মানসপুত্র। এরিদু নগরীর লোকজনকে সভ্য হওয়ার পথ দেখাতে আর আদবকায়দা শেখাতে তিনি এলেন নেমে। এসেই তিনি উঠেপড়ে লেগে গেলেন মানুষদের সভ্য করে তুলতে। মানুষের চেয়ে বুদ্ধিশুদ্ধি আর কায়দাকৌশল তাঁর অনেক বেশী ছিলো কিন্তু আয়ু ছিলো গড়পড়তা মানুষেরই মতো। এ কথা ঈয় তাঁকে ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে কাজে লেগে গেলেন আদপ।
প্রতিদিন তিনি নিয়ম করে রুটি বানাতে লাগলেন, মাছমাংস আর তরকারি রাঁধতে লাগলেন, পানীয় তৈরী করতে লাগলেন। টেবিল পেতে তার উপরে খাদ্যপানীয় রেখে কীভাবে আদবকায়দা বজায় রেখে খেতে হয় তা মানুষকে শেখাতে লাগলেন। লোকেরা ঝটাপট শিখে ফেলছিলো। মানুষদের মধ্য থেকে আদপ যাদের সহকারী নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে চালাকচতুর কেউ কেউ এমনকি তখন ভালো করে রুটী সেঁকতেও শিখে গেছিলো। রান্নাবান্নার পরে তিনি তাদের মুখের কথাকে সঙ্কেতে প্রকাশ করার উপায় শেখাতে শুরু করলেন, যাকে বলে লিপি। মানুষ প্রথম লিখতে শিখলো তাঁরই কাছে।
আদপের একটা নৌকা ছিলো। সেই নৌকায় দাঁড় বা পাল কিছুই ছিলো না, কেবল বাতাসের ধাক্কায় জলের উপরে ভেসে ভেসে চলতো সেই নৌকা। আদপ সেই নৌকায় চড়ে এরিদু নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতে মাছ ধরতেন। মন্তর দিয়ে তিনি বাতাসকে নিজের অনুকূলে চালাতেন আর মহানন্দে মাছ ধরতেন। মাছ ধরতেন আর গান গাইতেন, " মনমাঝি তোর বৈঠা কোথায় রে এ এ এ"।
একদিন আদপ নদীতে মাছ ধরছেন এমন সময় হা হা হা হা রবে দক্ষিণ দিক থেকে ছুটে এলো ঝড়। নৌকা প্রায় উল্টে যায় যায়, আদপ রেগে গিয়ে বললেন, " এই এই এই, আজ কী হলো তোর দখিন হাওয়া? আমি আদপ রে আমি আদপ। আমার নৌকা উলটে দিচ্ছিস কেন? তোর মাথা খারাপ হলো নাকি? "
হা হা হা করে হেসে হাওয়া বললো, " আদপই হ আর বেয়াদপই হ, আমি তোয়াক্কা করি না। আজ আমি তোর নৌকা উল্টাবোই উল্টাবো। হো হো হো।"
আদপ বেদম রেগে গেলেন, বললেন, "তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে দখিন হাওয়া। তুই এখনই শান্ত যদি না হোস, তোর ডানা কেটে দেবো। "
হাওয়া শান্ত হয় না, ঝড় বেড়ে ওঠে, আদপের নৌকা বিপজ্জনকভাবে দোলে। আদপ আর সময় নেই বুঝে ঘ্যাচ করে দখিন বাতাসের ডানা দিলেন কেটে।
তারপরে একদিন যায় দুইদিন যায়, সাতদিন কেটে গেল দখিন হাওয়া আর বয় না। তৃতীয় স্বর্গের খুব উঁচুপর্যায়ের দেবতা আনু (Anu ) হাওয়া না বইতে দেখে পার্শ্বচর ইলব্রতকে (Ilbrat) বললেন " ইলব্রত, খবর নাও তো কী হয়েছে দখিন বাতাসের। সে বয় না কেন?"
ইলব্রত খবর নিয়ে বললেন, " ঈয় র মানসপুত্তুর আদপ দখিন হাওয়ার ডানা কেটে দিয়েছে।"
আনু রেগে গিয়ে তলব করলেন আদপকে।
তলব পেয়ে যাবার জন্য তৈরী হতে লাগলেন আদপ। আদপেই তাঁর যাবার ইচ্ছে ছিলো না, কিন্তু স্বয়ং আনু তলব করেছেন, না গিয়ে উপায়?
যাবার দিনের আগের রাত্রে ছেঁড়া ছেঁড়া ঘুমের মধ্যে আদপ স্বপ্নে দেখলেন ঈয়কে। ঈয় আদপকে বললেন, "আমার কথা ভালো করে শোন। কাল ছেঁড়াখোঁড়া জামাকাপড় পরে উসকোখুসকো চুলে একেবারে পূর্ণ শোকগ্রস্তের মতন যাবি। আনুর দরজায় দ্বারপাল হচ্ছে তাম্মুজ, সে তোকে নিয়ে যাবে আনুর সিংহাসনের সামনে। তুই খুব বিনয়ীর মতন নতজানু হয়ে সম্মান দেখাবি আনুকে। সে যা জিজ্ঞেস করবে জবাব দিবি। ওরা ওখানে তোকে যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় দেয়, খবরদার খাবি না বা পান করবি না, ওগুলো সব মৃত্যুলোকের খাবার আর পানীয়। যা যা বললাম সব মনে থাকবে তো?"
স্বপ্নের মধ্যেই আদপ বললেন, "মনে থাকবে পিতা।"
পরদিন সকালে একেবারে ঈয় এর নির্দেশমতন প্রস্তুত হলেন আদপ। ছিন্ন ধূলিবসন, এলোমেলো ধূলিধূসর কেশ, মুখ একেবারে শোকাভিভুতের মতন।
দেবদূতের সঙ্গে রওনা হলেন আদপ, তৃতীয় স্বর্গে নিজের খাসমহলে সহস্ররত্নবিচ্ছুরিত মানবভাষায় বর্ণনার অতীত বিরাট সিংহাসনে বসে আছেন আনু, তিনি অতি উচ্চপর্যায়ের দেবতা, নানা ত্রুটিবিচ্যুতিপূর্ণ মনুষ্যলোক থেকে তিনি বহুদূরে থাকেন।
দুয়ারী তাম্মুজ আদপকে নিয়ে গেল আনুর সামনে। আদপ নতজানু হয়ে বসে পড়লেন সিংহাসনের সামনে। আনুর চেহারা বর্ণনার অতীত, আদপ একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেছিলেন, কেবল আনুর বিরাট বিরাট নীলচে সাদা আভা বিচ্ছুরণ করা ডানা দুটোই আদপ দেখছিলেন চোখ মিটমিট করতে করতে।
আনু তাঁর বজ্রবিজয়কম্বুকন্ঠে প্রশ্ন করলেন, "দখিন হাওয়ার ডানা কেটেছ কেন আদপ? "
আদপ তখন বিস্ময়ে এত অভিভূত যে একেবারে ভিতরে ভিতরে অশ্রুচ্ছন্ন। কোনোরকমে নিজেকে সামলিয়ে তিনি বললেন, "সে আমার নৌকাটা উল্টে দিচ্ছিলো প্রভু। নিরুপায় হয়ে আমি---- "
আনু বুঝলেন সব। আদপের জন্য তাঁর অন্তর করুণায় ভরে গেল। এই জ্ঞানী গুণী বুদ্ধিমান সুকৌশলী ছেলেটা কিনা পৃথিবীর মানুষদের মতন স্থূলবুদ্ধি, বর্বরদের জন্য কাজ করে, তাদের সঙ্গে দিন কাটায় রাত কাটায়? তাদেরই মতন সে মরে যাবে একদিন? এতো স্বর্গে দেবতাদের সঙ্গে অমর হয়ে থাকার যোগ্য!
আনু আদপকে বললেন, "আদপ, তুমি তো অমরত্বের যোগ্য, দেবতাদের মধ্যে থাকার যোগ্য। ঐ স্থুলবুদ্ধি বর্বর মানুষদের কায়দাকৌশল সভ্যতা ভদ্রতা শিখিয়ে তোমার কী লাভ হবে? ওদের জীবন ক'দিনের? এসো আদপ, আমাদের সঙ্গে আমাদের খাবার খাও, পানীয় পান করো, অমর হও, আমাদের সঙ্গে থাকো।"
ভারে ভারে খাবার আর পানীয় এসে পড়ে, আদপের বুকের ভিতরে কাঁপতে থাকে! ঈয় তাকে বলে দিয়েছিলেন ঐ খাবার ঐ পানীয় মৃত্যুলোকের খাদ্যপানীয়।
আদপ যুক্তপানি হয়ে মিনতি করে আনুকে বলে, "আমাকে মাফ করুন, আমি কিছু খেতে পারবো না, কোনো কিছু আমার গলা দিয়ে নামবে না। আমাকে দয়া করে পৃথিবীতে ফিরে যাবার অনুমতি দিন।"
আনু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, "তোমার যা ইচ্ছা। এখানে অমর হয়ে থাকতে পারতে, কিন্তু এখন তোমাকে একদিন মরে যেতে হবে। "
আদপ লুটিয়ে পড়ে আনুকে প্রণাম করে বলেন, "তবে যাই প্রভু।"
আনু বলেন, "যাই বলতে নেই, বলো আসি।"
আদপ ফিরে এলেন পৃথিবীতে। যে কাজ তিনি করছিলেন তা চালিয়ে যেতে লাগলেন জোরকদমে। ঈয় আসলে আদপকে ইচ্ছে করে ভয় দেখিয়েছিলেন, আনুর দেওয়া খাদ্যপানীয় সত্যি সত্যি মরণলোকের ছিলো না, ওগুলো ছিলো অমরলোকের। আদপ সত্যিই অমর হতে পারতেন।
অনুতাপে দগ্ধ হয়ে একদিন নিজেই এসে ঈয় তাঁর মানসপুত্রকে সব বলে দিলেন আর মাফ চাইলেন। শুনে আদপ মৃদু হেসে বললেন, " অমরত্বের প্রত্যাশা নেই আমার। কেবল আশীর্বাদ করুন যে কাজের ভার দিয়েছেন তা থেকে যেন কখনো চ্যুত না হই।"
তারপরে কী হয়েছিলো কে বলতে পারে! হয়তো কোনো মানুষীকে মনে মনে হৃদয় সমর্পণ করে নৌকা ভাসিয়ে নদীতে ঘুরতে ঘুরতে আদপ গান গাইতেন, " অমরত্বের প্রত্যাশা নেই, নেই কোনো দাবীদাওয়া / এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া। "
আহা কবীর সুমনের গান আদপ কীভাবে জানবেন, কিন্তু আদপের গানই বা আমি জানবো কী করে? তবে ভাবটা হয়তো একই ছিলো।
( দেখুন আজই সম্পূর্ণ করে দিলাম কফি আর পকোড়া খেতে না গিয়ে )
মন্তব্য
হাম হাম!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই আদপ এর নাম থেকেই বেয়াদপ আর আদব-কায়দা নাকি?
আর হিমুদাকে পুরোনো দিনের সিরিজ-অভ্যাসে ফিরে যেতে দেখে তুমারও শখ হল বটেক?
আরে না, এটা এই পোস্টেই শেষ করবো, তবে কাল এডিট করার সময়।
সুমের, ব্যাবিলন, মেসোপটেমিয়ার উপকথার নামগুলো দেখে চমকে চমকে উঠি, চেনা চেনা লাগে, কী আর বলবো। ইতিহাস প্রত্নতত্ত্ব ভাষাতত্ত্ব কিছুই তো জানি না, সময় গেল সাধন হলো না। জানলে হয়তো আরও অনেক কিছু বোঝা যেতো।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
চমকানোর খুব বেশি কিছু নাই বোধহয়। পরবর্তীকালের এব্রাহামাইক (ই, খৃ, ই) ধর্মগুলির মীথগুলির একটা বিরাট উৎসই হচ্ছে এইসব সুমেরীয়/ব্যাবিলনীয়/আক্কাডিয় (সবই মোটামুটি এখনকার ইরাকে) উপকথাগুলি।
****************************************
মোগাম্বো খুশ হুয়া...
মোগাম্বো এইবার কী করবে???
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
'আজ নগদ, কাল বাকী'
প্রৌঢ়ভাবনা
খৈ দিয়ে আম মেখে খেতে খেতে ওমর খৈয়াম বলতেন, " নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকীর খাতায় শূন্য থাক "
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সবগুলা বদ হয়ে গেছে। হিমুদা থেকে তুলি আপু পর্যন্ত।
হয়েছে, হয়েছে, আর বলতে হবেনা, আমি বদনা।
কালকেই যেন লেখা শেষ হয়।
আচ্ছা শুনেন, Greek mythology লেখা কিছু বইয়ের নাম আর কোথায় পাওয়া যায়, ঠিকানা দিতে পারবেন? 'গ্রীকদের জীবনে Greek Mythology-র ভূমিকা' টাইপ জ্ঞানী বই না। এমন বই যাতে হারকিউলিসের কাহিনী, জিউসের কাহিনী ব্লা ব্লা ব্লা আছে।
এ হাসনাত।
এডিথ হ্যামিলটনের লেখা বইগুলো পড়তে পারেন। খুব ভালো। আমাজনের একটা লিঙ্ক দিলাম।
http://www.amazon.com/Mythology-Edith-Hamilton/dp/0316341517/ref=ntt_at_ep_dpi_1
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তবে আগেই বলে নেই, এডিথ হ্যামিল্টন পড়তে অতটা ভালো না-ও লাগতে পারে - বর্ণনাগুলো কাঠখোট্টা।
আমার কিন্তু এডিথের লেখা দিব্যি লাগে। ফ্রুট এক্সট্রাক্ট পাউডার হিসাবে দিয়ে দিয়েছেন, বাহুল্য নেই, একেবারে মূল জিনিসটুকু কটকটে ইংরেজিতে দিয়ে দিয়েছেন। যে যার নিজের ইচ্ছে মত আবেগের জল মিশিয়ে নিলেই হয়।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এইসব কী দিদি? ফাঁকিবাজী পোস্ট!!!
না হে ফাঁকিবাজি না। আজই শেষ করে দিলাম।
আমি চন্দ্রবিন্দু পারি এখন, দেখেছ?
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব ভালো কথা
তাহলে ফাঁকিবাজি পোস্ট কথাটা ফিরিয়ে নেই, কানমলাটা এবারের মত মাফ করে দাও, ঠিক আছে?
আমি কেন কান মলতে যাবো?? তোমার কান তুমি ধরে ওঠবস করো ৫০ বার।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আহা নিজেই তো চাইলে এইসব।
আমি তো সারি সারি কঞ্চি, বেত, ছড়ি, লাঠি, বাঁশ, পাখার ডাঁটি, রবারের হাতুড়ি সব সাজিয়ে রেখে দিয়েছি মিউজিয়ামের মত, ব্যবহার তো করি না!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
ঝরঝরে অনুবাদ পড়ার আনন্দটাই আলাদা। তবে অত আগে সুমেরীয়রা বাংলার লোক-গান গাইত এটা জেনে কী যে খুশি লাগছে বলা যাবেনা। নিশ্চয়ই আক্কাদ নগরীতে বাঙাল বণিকেরা তাদের পসরা নিয়ে যেত আর মহাসুখে মাঝ-নদীতে গলা ছেড়ে গান গাইত। আবারও ধন্যবাদ দারুণ একটা কাজে হাত দিয়েছেন বলে।
আহা মাঝনদীতে গলা ছেড়ে গানের মতন কিছু আর আছে দুনিয়ায়????
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
খুব ভাল লাগলো, অন্যরকম একটা রূপকথা পড়ে।
---------------------------------------------------------------------
পৃথিবীর কেউ জানল না।
অনেক ধন্যবাদ রাজকন্যা।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কবীর সুমনের জাতিস্মর গানটা আমার খুবই প্রিয়।
আহা, আঃ, এই গানটা! এত ভালো এত ভালো! অনেক ধইনাপাতা নাও।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
দেখা দিয়ে গেলাম ...।
দেখা দিলেন, কথা কইবেন না ???
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
facebook
আহা আপনার উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু অবধি চষে ফেলার গল্পগুলো শুনতে আর ছবিগুলো দেখতে যে কী আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি কী বলবো!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
সবাই ফাঁকিবাজির কথা বলছে কেন ? আমার তো বরাবরের মতই ভয়ানক ভালো লাগল। এক রত্তিও কম না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আরে কালকে তো তলব করা অবধি লিখেই পালিয়ে গেছিলাম কিনা!
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একটু দেরি করে পড়লাম। ভালো লেগেছে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
একশ পুরতে আর কত বাকি? বই পাচ্ছি কবে?
___________________
রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি
একশ পুরতে দেরি আছে, এখনো ৫০ ই তো হয় নি।
স্পনসর পান্ডব আর স্নিগ্ধা জানেন বই কবে হবে।
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
নতুন মন্তব্য করুন