প্রচণ্ড এক অণ্ড শূন্য লণ্ডভণ্ড করি -
সজোরে পড়িলো, শুরু হইলো হুড়াহুড়ি
সশব্দে ফাঁটিলো করি মহা সে বিস্তার
সকলে ভাবিলো আর নাই গো নিস্তার!
ত্রিভুবন কাঁপাইয়া দেখো মহা ঝাঁকি লাগে
দেব'এ দৈত্য-স্কন্ধে করি পড়িমরি ভাগে!
বিশ্বকর্মার হস্ত হইতে হাতুড়ি সে উড়ি
আসগার্ডে ল্যান্ডো করে সশব্দে আছড়ি!
কুড়াইয়া পাইয়া তাহা মহাবলী থরে
দন্ত কেলাইয়া সত্ত্বর পকেটস্থ করে
মহাদেবে হন্য হইয়া কী জানি কী খুঁজে
অদূরে দাঁড়াইয়া নেপচুন হাসে মুখ বুজে
ত্রিশূল বাগাইয়া সেই ব্যাটা তস্করে
বরুণেরে খোঁচাইয়া জলছাড়া করে
এমনে ত্রিভুবনেতে লাগে ব্যারাছ্যাড়া
উপায় করিতে সবে ছাড়ে নিজ ড্যারা
একত্রে বসিয়া সবে নেয় ডিসিশন
এসবের মূলে সেই অণ্ড ভীষণ!
কে পাড়িলো অণ্ড সে, কে ফেলিলো হায়
চারিদিকে শুধু হাউ কাউ শোনা যায়
'কে ফেলিলো! কে পাড়িলো!' হাহাকার উঠে
বিপত্তি বুঝিয়া ব্রহ্মা কাছা ধরি ছুটে!
চারিদিকে এক ধ্বনি 'কে পাড়িলো, ধর!'
পার্শ্ব দিয়া যাইতেছিলো জটায়ু খেচর
ঢিলাইয়া পাবলিকে তারে নামাইলো ধরায়
'মা-রে! মা-রে!' বলি ব্যাটা মাটিতে গড়ায়
'এক্ষুণি তুই বল ইহা কার কাজ বটে!
তুই বিনে পক্ষী নাহি দেখি এ তল্লাটে!'
কহিলো সকলে রোষে দন্ত কড়মড় করি
প্রমাদ গুনিয়া জটা জপে 'হরি! হরি!'
ফি ফি কাঁদি বলে সে যে, 'শুনো মোর ভাই
মা বাবা'র কিরে ইহা আমি পাড়ি নাই!
তবে জানি কে পাড়িলো কে বা দিলো তা
কারা ছিলো মূলে আর কারা ছিলো না
সকলে বলিলো 'তবে বল ঝাড়ি কাশি!'
জটা কহে, "দাঁড়া তবে ঠিক জেনে আসি!"
মন্তব্য
ছড়া ভালো হইয়াছে
কিন্তু, অণ্ডটি পাড়িলো কে?
দাঁড়ান দাঁড়ান, এই ছড়া দেখি কঠিন ব্যাপার, অর্থের ভিতর অর্থ তাহার ভিতর ও অর্থ দেখিতে পাইতেছি!
মানে কি, ব্রহ্মা কাছা ধরে ছুটছিলো, তালে অণ্ড পেরেছে ব্রহ্মা, তাহলে এটা ব্রহ্মাণ্ড, মানে কিনা বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড!
তাহলে কেউ জানেনা কে কি পাড়লো এই ছোটাছুটি তাহলে এই আমাদের সবার ছোটাছুটি, আর তাহলে এই জটায়ুকে যে মাটিতে পেড়ে বেশ কচলানো হচ্ছে সে হচ্ছে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ড কই থেকে আসলো সেটা ইনভেস্টিগেট করতে যাচ্ছে...
ওহ! তাহলে এটা ছিলো একটা ধাঁধাঁ! তাই বলেন না কেন!
প্রশ্ন হচ্ছে জটায়ু কে!
আমি জানি আমি জানি! জটায়ু হলো গিয়ে স্টিফেন হকিং!!!
এবার পয়সা দেন।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এইতো ঝটপট প্রশ্নের সব পটপট উত্তর দিয়ে দিলা! হাহাহা
অনেক ধন্যবাদ হে এই নাও দুই পয়সা
স্টিফেন হকিং রে উল্লেখ করার প্ল্যান ছিলো
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খেকু'দা কয় পয়সা দিলো শেষতক? সেটা দিয়ে তুমি আমাদেরকে রেস্টুরেন্টে মামলেট খাওয়াতে পারবে তো
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
বেশ মজার।
সৌরজগতের অমলেট বানাইয়া ফ্যালান, ভাল হইব। হি হি হিহি --- কি কন ?
তারপর আমি আর আপনি মিলে গোটা প্রাণীকুলকে দাওয়াত দেব।
-------------------------------------------------------------------------------------
“সব অভিমান আকাশের চেনা চেনা
সবার জন্য সুদিন কি আসবেনা
উত্তর চেয়ে আকাশ পেতেছে কান
আমিও বেধেছি আমার প্রেমের গান।”
হাহাহা হ দাওয়াত দিবানে হজ্ঞলেরে। ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
জটিল হয়ছে, বন্ধু !!! চালিয়ে যা , অণ্ড হোক আর কুষ্মাণ্ড হোক, চালিয়ে যা।
facebook
হাহাহা ধন্যবাদ বন্ধু
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
... জটিল
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি তো ভাবলাম 'বড় ব্যাং থিওরী' ফাঁদবেন !!
...সুরাপা কিন্তু অন্য দিক দিয়ে আরেকটা ক্লু দিলেন, কোনটা ঠিক বলবেন কিন্তু, ছড়াটা মজার হইসে খুব !!
আইডিয়া মন্দ না , আমিও ভাবছিলাম .. দাঁড়াও বিগ ব্যাং থিওরী পাতন প্রক্রিয়া শুরু করতে হইবো
সুরাপা ঠিকই বুঝসে হাহা
অনেক ধন্যবাদ হে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খেকশিয়াল দেখি অরণ্য ছেড়ে লোকালয়ে আবার
পুনস্বাগতম
কাঁপাকাপিঁ ছড়া
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ ধন্যবাদ
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
খেঁকুদার প্রত্যাবর্তন, শুভেচ্ছা স্বাগতম!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
চরম!!! অনেকদিন পর লিখলেন............
_____________________
Give Her Freedom!
আরেহ জোস!!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
অণ্ড একটা ছিল না দুইটা?
এ অতি উঁচুদরের লেখা। ব্যাপক জ্ঞান সন্নিবেশিত হয়েছে এখানে, যা আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক বিশ্লেষণে অপারগতা প্রকাশ করছে। ধন্যবাদের ভাষা নেই।
চরম, তবে উদাস না।
এত লম্বা পদ্য পড়ে মাথাটা কেমন গুলিয়ে গেল। স্থির বোঝা গেলনা কে পাড়িল ব্রম্ভাণ্ড, তবে ডামাডোল, হট্টগোল যে ঢের হইলো তাতে আর সন্দেহ নেই। তুচ্ছ কারণে ডামাডোল, হট্টগোল করার জন্য ভালো ভালো প্রবাদ আছে। সংস্কৃতে প্রবাদ আছে 'অজাযুদ্ধে ঋষিশ্রাদ্ধে বাব্হারম্ভে লঘুক্রিয়া'। সংস্কৃত অতি খটমটো ভাষা, প্রাকৃত উড়িয়া ভাষায় বলতে গেলে প্রবাদ আছে 'হাতি পড়িলা পড়িলা পুঁক' (মানেটা বলতে চাই না, পশ্চিমবঙ্গে সবই সরকার বিরোধী চক্রান্ত বলে আন্তর্জাল [internet] খুব খুঁটিয়ে পড়া হয়, একটু বেগতিক হলেই পুলিশে ধরছে। তবে যাঁরা মধ্যপ্রদেশে নিম্নচাপের ব্যারামে ভোগেন তাঁরা সহজেই উড়িয়া প্রবাদটি বুঝতে পারবেন, বিশেষত যাঁরা জানেন যে ক্ষেত্রবিশেষে বাংলার 'দ' উড়িয়াতে 'ড়' পড়া হয়)। বাংলায় 'তিলকে তাল করা', ইংরেজীতে 'Make a mountain out of a molehill', জার্মানে 'Aus einer Mücke einen Elefanten machen' ইত্যাদী।
যাই হোক, শ্রীখেকশিয়াল স্বীকার করেছেন জবাব প্রতি ২ পয়সা করে ইনাম দিয়া যাইবেক। আমাকে বাদ দিলে ২১ জন জবাব দিয়েছেন, সে বাবদ ৪২ পয়সা কোথায় গেল? নাকি এখানেও হ-জ-ব-র-লর মত ২১ দুগুনে ৪২-এর নামে ২, হাতে রইলো পেন্সিল?
খেকশিয়াল মহাশয়ের চতুশ্চরণে প্রণামান্তে বিনীত প্রশ্ন - আমার আগের ২ লেখকের মন্তব্য ছাপার তারিখ ০৪/১৮/২০১২, বাংলা মানে ২০১২ ইং সালের অষ্টাদশ মাসের চতুর্থ দিন। আপনি কি সরকারী আমলা, যে আপনার Blog-এ ১৮ মাসে বছর? নাকি যেহেতু আজকাল সবই মার্কিন ইষ্টাইল, তাই বাংলা Blog-এর তারিখও মার্কিন ইষ্টাইল?
.......... পুলিশী ঝামেলার ভয়ে নাম ও ঠিকানা প্রকাশে অনিচ্ছুক / ইং তাং ২০.৫.২০১২, বাং তাং ৬ই জৈষ্ঠ ১৪১৯
নতুন মন্তব্য করুন