#
গলিটির নাম কানাগলি, যদিও নামটি অস্বাভাবিক কিন্তু এলাকার লোকজনের ভেতর নাম নিয়ে কোনো অসন্তোষ ছিল না। পূর্বে এর নাম কী ছিল, শহর থেকে দূরে এই এলাকায় মানুষ কবে থেকে বসবাস করতে শুরু করে সে ব্যাপারে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। অনেকে বলেন, শহর থেকে বিতাড়িত কিছু লোকজন এখানে এসে বসবাস করতে শুরু করে এবং তখন তারা এর কোনো নাম দিতে ব্যর্থ হয় কিংবা দেয়ার ব্যাপারে কোনো উৎসাহ পায় না। কেউ কেউ এই যুক্তিকে ফুঁ মেরে উড়িয়ে দেয়, উড়িয়ে দিয়ে বলে লোকজন কেন এখানে এসে বসবাস করতে আসবে হঠাৎ করে? মানুষ আগে থেকেই থাকত ; কিন্তু তারাও পেছনে কোনো শক্ত যুক্তি দেখাতে ব্যর্থ হয়।
এলাকার মুরুব্বী বলে খ্যাত আলিম মাস্টার অবশ্য নামের পেছনের কাহিনী বলে এবং সেটা অনেকে বিশ্বাস করে যদিও বেঁচে থাকার জন্য গলির নামের ইতিহাস নিয়ে তাদের মাথাব্যথা হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। সুতরাং আলিম মাস্টারের যুক্তি বহাল তবিয়তে টিকে গিয়েছিল, টিকে আছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেদিন হিরোশিমায় বোমা ফেলা হয় সেদিন তার ছোট একটি টুকরো নাকি কানাগলির জমিদার বাড়ির পুকুরে গিয়ে টুপ করে পড়ে। সমস্ত বিশ্ব এই বিষয়টি নিয়ে অজ্ঞ থাকলেও আলিম মাস্টার ধরতে পারে এবং অজ্ঞাত আশংকায় এলাকা ছেড়ে পালানোর কথা ভাবতে থাকে। সে দলবল ভারি করতে চেষ্টা করে কিন্তু কাউকে পায় না, এমনকি তার নিজ ছেলেও হাসাহাসি করতে শুরু করে।
ওরে, তোরা বুঝবি একদিন বুঝবি। আলিম মাস্টারের হাহাকার মিলিয়ে যায় গলির বাতাসে।
মানুষজন বিষয়টি আমলে নিতে চেষ্টা করে যখন গলিতে একের পর এক অন্ধ শিশু জন্মগ্রহন করতে শুরু করে। অল্পশিক্ষিত, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পারমানবিক বোমার জেনেটিক ক্ষতিগুলো সম্পর্কে জানার কথা না থাকলেও দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। সেই থেকে গলিটির নাম কানাগলি; কিন্তু ২০১১ সালে এসে জন্মান্ধ কারো পরিচয় খুঁজে বের করা যায় না, আলিম মাস্টারের খোঁজ পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়েই আমাদের পূর্বসত্য বলে স্বীকৃত তথ্যের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় অথবা বলা চলে- প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধানে আমরা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হই।
নামের বৈচিত্র কিংবা অজ্ঞাত কোন কারণে গলিটি সহ সম্পূর্ণ এলাকায় কখনোই খুব একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এই গলিটিকে এলাকার সবচেয়ে উন্নত জায়গা বলা যায়। যেখানে এখানেই রাস্তাঘাট ইট-সুরকির, কারেন্ট থাকে না বাইশ ঘন্টা; তাই যে দু ঘন্টা কারেন্ট থাকে সেই সময়টাকে গলিবাসীর উপদ্রব বলে মনে হয়, তাই তারা তখন লাইট-ফ্যান বন্ধ করে থাকে, এই কথাটিও গুরুত্বপূর্ণ যে অধিকাংশ মানুষ লাইট-ফ্যান কিনেনি অথবা বলা যায় কেনার মতো আর্থিক সংগতি তাদের নেই, এখনো হয়নি; তখন এলাকার অন্য মহল্লাগুলোর কী অবস্থা তা সহজেই অনুমেয়।
কানাগলি এবং এর আশেপাশের অধিকাংশ মানুষের উল্লেখযোগ্য কোনো পেশা নেই, তারা বসে বসেও খায় না, তবে তারা খায়, যদিও দরিদ্র তবু তাদের কোনো উচ্চাশা নেই। তারা এদিক-সেদিক গিয়ে জিনিষপত্র ফেরি করে বেড়ায়, কেউ অন্যের ক্ষেতে কামলা খাটে, কেউ দূরের হাটে গিয়ে ব্যবসা করে। মূলত অল্পকিছু মানুষ এখানে কৃষক। সামাজিক সাম্যবস্থার প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায় কানাগলিতে যেখানে মানুষের এই সাম্যবস্থা নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না।
শিক্ষার ছোঁয়া না থাকলেও এরা ছিল স্বশিক্ষিত। এলাকার মুরুব্বিরা গল্প শোনানোর জন্য অনেক পিচ্চিদের পেয়ে যেত, ছেলেমেয়েরাও কাছাকাছি থাকত-- তাই তাদের জীবনের শেষকালটাও আনন্দে কাটত।
এলাকায় কিংবা গলিতে কোথাও ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ছিল না। যার যার ধর্ম সে সে পালন করত, প্রত্যেকের ধর্মীয় উৎসবে একসঙ্গে পুরো এলাকাই উৎসব করত।
নিন্দুকেরা বলত এরা তো কানাগলির মানুষ, এরা অন্ধ; তাই তারা জীবনের সবকিছুতে আনন্দ খুঁজে পায়, ঘরে চুলোয় বসানোর মতো কিছু নেই তারপর আবার তাদের কিসের উৎসব? এসব কথায় এলাকাবাসীর, মহল্লাবাসীর কারো কিছু এসে যেত না।
সবকিছু পরিবর্তনশীল; পৃথিবীর এই সূত্রের উপর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে কানাগলি এবং এর চারপাশের মানুষজন ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে।
যে কারেন্ট নিয়ে তাদের মনে কোনো অসন্তোষ ছিল না, সেই কারেন্ট না থাকা একসময় প্রভাব ফেলতে শুরু করে এবং বিরক্ত হতে থাকে। যে গ্যাস দিয়ে সারাদেশ চলে, তাদের এখানে গ্যাসের সংযোগ নেই ব্যাপারটা তাদের পীড়িত করতে শুরু করে। হতে পারে যাতায়াত ব্যবস্থার প্রসারে কিংবা বাইরের পৃথিবীর হাতছানিতে কিছু মানুষ বাইরে যাওয়ার কারণে তাদের ভেতরে এই পরিবর্তনের সূচনা হয়। মুরুব্বীদের ভেতরে এই নিয়ে দ্বিমত দেখা দেয়। সুতরাং সমস্যাহীন এলাকায় সমস্যার কালো চাদর বিস্তৃত হতে শুরু করে সবার অজান্তে।
একদিক দিয়ে চিন্তা করলে বলা যায় নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে মানুষ, এটা খুব ভালো। অন্যদিক দিয়ে চিন্তা করে বলা যায়, দীর্ঘদিনের পথ থেকে হঠাৎ কোনো পরিকল্পনা ছাড়া চলে আসা বিপদজনক। তাছাড়া সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়া যখন কোনো পরিবর্তন আসে, তা মঙ্গলের থেকে অমঙ্গল ডেকে আনে। ব্যাপারটা বুঝতে পারার মতো কেউ ছিল না, তবে অনেকেই ছিল যারা সক্রিয় হতে থাকা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘটনে নিজেদের জড়িয়ে পরিবর্তনশীল সময়ের সুবিধার ভাগীদার হওয়ার জন্য দৌঁড়াতে শুরু করে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়ে যায়, প্রথমবারের মতো প্রচুর মানুষ ভোট দিতে যায়। এটা অবশ্য ভিন্ন কথা যে তারা যাদেরকে ভোট দিতে যায়, তারা কেউ ভালো ছিল না বরং অযোগ্য ছিল তবু তারা ভোট পায় কারণ সেখানে দাঁড়ানোর মতো ভালো মানুষ ছিল না অথবা মানুষ তখনো ভোটের মর্যাদা ঠিকমত বুঝে উঠতে পারেনি।
নির্বাচনে ওয়াদার ফুলঝুঁড়ি ছিটিয়ে বৈতরণী পার হলেও ক্রমেই মানুষের ভেতর অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠতে থাকে। সেই সময় গিটার হাতে এক তরুণের আবির্ভাব হয়; অধিকাংশ মানুষ তখন প্রথমবারের মতো গিটার দেখে, অনেকেই গিটার সম্পর্কে প্রথম জানতে পারে। এলাকাবাসীর তখন জানা ছিল না, এমনকি তরুণ নিজেও জানত না এই আবির্ভাব একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হয়ে উঠবে এবং একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক পট-পরিবর্তনের সূচনা করবে।
এলাকায় পোড়াবাড়ি বলে খ্যাত বাড়িটিতে মাথা গোঁজাবার মতো করে ঠিক করে নিয়ে সে সেখানে বসবাস করতে শুরু করে। তাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিনদিন বাড়তে থাকে, সে কীভাবে এল, কেন এল, পোড়াবাড়ির সঙ্গেই বা তার কী সম্পর্ক তা নিয়ে সবার ভেতর ছাইচাপা আগুন সদৃশ উৎসাহ দেখা যায়।
মানুষের আগ্রহে যুবকটি বিরক্ত বোধ করে না। সে হাসে, হেসে বলে, আমি আপনাদের-ই লোক। এতে লোকজনের উৎসাহের পালে দ্বিগুণ হাওয়া লাগে, তারা ভাবতে থাকে সে আমাদের লোক কীভাবে হয়?
ধাঁধা বাড়ার আগেই লোকজন খবর বের করে ফেলে এই ছেলে হচ্ছে আলিম মাস্টারের নাতি। তৎক্ষনাৎ তাদের মনে পড়ে যায় কানাগলির নামকরণের পেছনের কথা, আলিম মাস্টারের ছেলের পালিয়ে যাওয়া, এই পোড়াবাড়িতে একদিন আলিম মাস্টারের মারা যাওয়ার কথা, তবে তখন পোড়াবাড়িতে মানুষ ছিল, এটি একটি বাড়ি ছিল; পুড়ে যাওয়া কিছু ছিল না, সময় এখন এই বাড়িটিকে পোড়াবাড়ি বানিয়ে দিয়েছে।
এতদিন পর কী মনে করে? তোমার বাবা কোথায়? তোমার দাদা মারা গেছে জানো? এই ধরনের প্রশ্নের জবাবে যুবকের চেহারায় অনুভূতির ভিন্নভিন্ন প্রকাশ খেলা করে; যেমন এতদিন পর কী মনে করে প্রশ্নের জবাবে সে মুচকি মুচকি হাসতে থাকে, বাবা প্রসঙ্গে কিছুটা উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়, দাদার মৃত্যুর কথা তার মন খারাপ করে দেয়।
সে বলে, আমি একটি রহস্য উদঘাটনের জন্য এসেছি। গলির মানুষজন নড়েচড়ে বসে। এইখানে পারমাণবিক বোমার ছোট্ট একটা খন্ড বিস্ফোরিত হয়েছিল, দাদার ভাষ্যমতে। আমি তার খোঁজ করতে এসেছি।
পারমাণবিক বোমার খন্ডটি সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানে, তারা যুবককে সাহায্য করবে বলে জানায়, যদিও সাহায্য করার উপায় তাদের জানা ছিল না।
#
এলাকায় নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে এই খবর শুনে তারা উৎফুল্ল হবে কি’না বুঝতে পারে না, তবে সাময়িকভাবে যুবকের কথা ভুলে যায় এবং চা এর দোকানে, অলিতে-গলিতে তখন আড্ডা জমে ওঠে গ্যাস এলে কী হবে, কত তাড়াতাড়ি তারা রান্না করতে পারবে, ইত্যাদি সব বিষয় নিয়ে।
ওদিকে যুবক খুব দ্রুত তার কাজে নেমে পড়ে। দাদার কাছ থেকে শোনা তথ্য অনুযায়ী পুরোনো জমিদার বাড়ির পুকুরের খোঁজ করতে শুরু করে যেখানে বোমার খন্ডটি বিস্ফোরিত হয়েছে এবং তার কিছু প্রমাণ সে চায়। কিন্তু কেউ তাকে এই ব্যাপারে কোনো সাহায্য করতে পারে না, অনেকেই জমিদার বাড়ির কথা শুনে তাজ্জব বোধ করে, এ ধরনের কিছু তারা জন্ম থেকে শোনেনি। সুতরাং যুবককে তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা প্রথমেই ব্যর্থতায় পরিণত হয়।
গ্যাস সংযোগের খবর জনপ্রতিনিধির নিম্নগামী জনপ্রিয়তার পালে হাওয়া লাগায়, তার বিরোধীরা এতে কিছুটা চুপসে যায়। যুবকের এই ব্যাপারে কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় না। কারো সঙ্গে দেখা হলে সে জানতে চায়, ভাই জমিদার বাড়িটা কোনদিকে? আর রাতে পোড়াবাড়ির চিলেকোঠায় বসে গিটারে টুংটাং সুর তুলে আপন মনে গান গায় এবং দিনদিন তার গানের স্রোতা বাড়তে থাকে, যাদের অধিকাংশের বয়স ষোল থেকে বিশের কোটায়।
যুবক দেখতে সুদর্শন ছিল, তার পরিপাটি করে পড়া পোশাক পরিমিত রুচিবোধের পরিচিয় দেয়। সেজন্য এলাকা এবং কানাগলির অবিবাহিত তরুণীদের ভেতরে তাকে নিয়ে নানান জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়; তার কী বিয়ে হয়েছে নাকি, বিয়ে না হলে কোনো পছন্দ আছে কি’না। বেশ কয়েকজন তরুণী নিজেদের মতো করে লুকিয়ে চিলেকোঠার সিঁড়ির নীচে হাজির হয়, গান শুনতে চেষ্টা করে এবং নিজেদের ভেতর বচসায় লিপ্ত হয়; কেউ কাউকে যুবকের ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি হয় না। যুবক এসব বুঝতে পারে, সে এসবে পাত্তা দেয় না।
এভাবে বেশ কিছুদিন পার হয়ে যায়, যুবক না জমিদার বাড়ি, না পুকুর—কিছুই খুঁজে পায় না। হতাশ হয়ে ভাবে সে চলে যাবে। তো তার চলে যেতে চাওয়ার ইচ্ছে মানুষের কাছে পৌছে যায়, তার ভক্তকুলের মাধ্যমে এবং যা হওয়ার তা হয়, তাদের মন খারাপ হয়ে যায়, তারা তাকে থেকে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে থাকে।
তাদের অনুরোধে কাজ হয় কি হয় না যুবক কি ভেবে তার যাওয়া পিছিয়ে দেয়। ততদিনে নারীদের তার প্রতি আগ্রহের কথা সে জেনেছে এবং আশৈশব, কৈশোর নারীসঙ্গবিহীন থাকায় তার ভেতরেও সামান্য আগ্রহের দেখা মেলে। তাই সে নারীদের প্রতি মনোযোগ দিতে চেষ্টা করে। বাজার করতে গিয়ে একজনের সাথে কথা হয়, তারপর আবার অন্য কোথাও দেখা হয়, একসময় দেখা যায় নারী অথবা কিশোরীটি যুবকের বাড়ির আশপাশ থেকেই নড়েই না।
কিশোরীর সাথে অবাধ মেলামেশায় এক শ্রেনীর মানুষের ভেতর অসন্তোষ দেখা দেয়। যাদের ভেতর কেউ কেউ কিশোরীর পাণিপ্রার্থী, কেউ মুরুব্বী গোছের লোকজন, কেউ অতিরিক্ত ধর্মপ্রাণ নাগরিক সমাজ যাদের ইতিপূর্বে কানাগলিতে খুব একটা দেখা যেত না, ইদানীং শুধু দেখা যায় না বরং বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেয়ার চেষ্টা করে অথবা বলা যায় তাদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে।
এভাবে নানা সমস্যার ভেতর দিয়ে শুরু হয় যুবকের নতুন জীবন ওদিকে এলাকায় গ্যাসের সংযোগ এসে গেছে।
#
গ্যাস পেয়ে মানুষের উল্লাসের আর সীমা ধরে না। আর যারা গ্যাস সংযোগ নিতে পারে নি তারাও হা-হুতাশ করতে থাকে আর বিরোধী দলের লোকজনের মুখ শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেতে থাকে। স্পষ্টই যে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না তখন তারা যুবকের কাছে যায় এবং তার সাহায্য কামনা করে।
যুবক গান নিয়ে ব্যস্ত ছিল, সে বিরক্ত হয় এবং তাদের তাড়িয়ে দেয়।
তবে খুব শীঘ্রই তাদের সামনে সুযোগ এসে হাজির হয় যখন গ্যাস ব্যবহারে অনভ্যস্ত জনগণ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে এবং বিরোধী দল তখন বলতে থাকে এটা ক্ষমতাসীন দলের ব্যর্থতা, তারা টাকা খেয়ে গ্যাসের লাইনে বাজে জিনিষ দিয়ে ভরে দিয়েছে। এই কথাটির পালে আরো হাওয়া লাগে যখন ছোটখাটো দুর্ঘটনার পর পুরো বাড়িসুদ্ধ মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যায়। যদিও মানুষ এই ধরনের পরিস্থিতির সাথে অচেনা তবু তারা মিথ্যে কথাটিকেই সত্য বলে ধরে নেয়। সেই দাঁড়ি ওয়ালা লোকগুলো দৃশ্যপটে হাজির হয় এবং বিরোধী দলের সাথে হাত মেলায়। এই পরিস্থিতিতে বিকেলের বিদায়বেলায় পোড়োবাড়ির সামনে কিশোরী, যুবককে বলে—চলো আমরা যাই গা, এইখানে সব কেমন জানি। যুবক উদাস ভঙ্গিতে হা ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে, আমারো ভালো লাগছে না। কিন্তু পুকুর যে খুঁজে পেলাম না!
সাধারণত এই নির্জন রাস্তায় যুবকের ভক্ত বাদে কেউ আসে না কিন্তু হাত ধরে থাকার মুহূর্তে যুবকের পাশ দিয়ে বিরোধী দলে এক চ্যালা অতিক্রম করে এবং পরে সে ছড়িয়ে দেয় যুবককে সে চুমো দিতে দেখেছে এবং যুবক যে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছিল সেটা ভেবে এর প্রতিকার করার উদ্যোগ নেয়।
বুঝলেন এলাকায় ধর্মকর্ম নাই, তাই এইসব দূর্ঘটনা ঘটতেসে-দাঁড়িওয়ালা লোকজন এইসব কথা বলার চেষ্টা করে।
অনেকে যোগ করে, গান বাজনা, মাইয়া মানুষের হাত ধরে ঘুরে বেড়ানো কেয়ামতের আলামত।
ক্ষমতাসীন দল এসব কে প্রশয় দিচ্ছে বিধায় তাদেরকে দায়ী করে এবং ধর্ম-কর্ম চলে যাচ্ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে।
যুবককে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে। যুবক এমনিতেই চলে যাচ্ছিল তবে তাদের আদেশ শুনে খেপে গিয়ে বলে যাবে না। এক উত্তেজিত ধর্ম রক্ষাকারী তখন রামদা বের করে এবং নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর বলে কোপ দেয় এবং অল্পের জন্য যুবক রক্ষা পায়। দ্বিতীয়বার আর সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে না, রক্তে পোড়াবাড়ির ফ্লোর ভেসে যায়।
ঠিক তখন চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময়ে যুবক আলিম মাস্টারের কানাগলির আসল থিওরী ধরতে পারে। ধরতে পারে এই কানা মানে অন্ধ হয়ে যাওয়া নয়, এই কানা মানে ফুটো হয়ে যাওয়া অনেকটা তলাবিহীন ঝুড়ির মতো যা দিয়ে মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, এতদিন সুপ্ত অবস্থায় ছিল, এখন ফুটো দিয়ে সব বের হয়ে যাচ্ছে—মানুষ, স্বপ্ন, ভালোবাসা, মানুষের যা সুন্দর আছে, সব!
তার মরে যেতে যতে মনে হয় আলিম মাস্টার একটু ভুল করেছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নয় একাত্তরের যুদ্ধে কিছু নরকীট যারা এই দেশের বিরোধিতা করেছিল তারাই এই ভয়ঙ্কর রেডিয়েশন ছড়ানোর জন্য দায়ী, যার ফল এখন মানুষ পাচ্ছে; এই রেডিয়েশন মানুষকে গ্রাস করে নিচ্ছে, নিবে।
কানাগলির রহস্য উদঘাটন শেষে যুবকের মুখে প্রশান্তির হাসি ফুটে ওঠে, যদিও সে হাসি দেখার জন্য কেউ সেখানে ছিল না। তারা রেডিয়শনে আক্রান্ত গলিবাসী, এখন আর ভালো কিংবা মানবিক কোথাও তারা থাকবে না।
রিশাদ_ময়ূখ
মন্তব্য
মডারেটরদের অনুরোধ করছি লেখকের নাম যোগ করে দেওয়ার জনয়। ভুলে বাদ পড়ে গেছে।
রিশাদ_ময়ূখ
arish.mayukh@gmail.com
অনেক ধন্যবাদ অনুরোধ রাখার জন্য
মডারেটরদের নাম যোগ করতে হবে না। গল্পের শিরোনাম আর প্যাটার্ন দেখে বোঝা গিয়েছে এটা রিশাদ ময়ূখের। যথারীতি ভালো লাগলো।
হা হা হা। তাই নাকি? নিজের গল্প বেনামে দেখে কেমন জানি লাগতেসে। যাই হোক, এই মন্তব্যে সেটা কিছুটা কমল
কিশোর গল্প হিসেবে ভাবতে গেলে বলতে চাই- বাক্যের দৈর্ঘ কমানো দরকার। সংলাপ একটু বাড়ালে কেমন হতো? এটা কিন্তু একান্তই আমার নিজের মত।
কিশোর গল্প নয়, বুঝিয়েছি ১০ বছরের যে বেশি যে কেউ পড়তে পারে, যদিও গল্পের কন্টেন্ট বড়দের। এমনিতেই বড় হয়ে যাচ্ছিল, সংলাপ না থাকায় বোধহয় ভালো। নিজের মত-ই তো দেবেন। এজন্য তো সচলে আসা
পুরোটাকে মঞ্চের একক দৃশ্যকল্প হিসেবে কল্পনা করলাম। খুবই সাবলীল। আপনার আপাতনিস্পৃহ বর্ণনাভঙ্গিটা ভালো লাগে।
লেখায় কিছু টাইপো আছে বলে মনে হোল। সত্যি বলতে, চোখ আটকায় না; তবুও না থাকলে আরও সর্বাঙ্গসুন্দর হোত।
কনসেপ্ট নিয়ে বলতে চাই, এরকম লেখা আমাদের এই সময়টাতে এখন খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে সাধারণের ঔদাসীন্য খুব ভীতিকর মনে হয় আমার। বিষাক্ত রেডিয়েশান আমাদের অজানিতে কতো ক্ষতি করে আর কুড়ে কুড়ে কতোখানি গভীরতর ভিত নড়বড়ে করে তুলতে পারে, সময়ের আগে আমরা সবাই বুঝে উঠতে না পারলে বিপদ। আপনার লেখাটা বেশি ভালো লেগেছে একারণে যে, অনেক ডিসট্র্যাক্টিঙ লাইনের পরে আপনি যেভাবে কানাগলির আসল থিওরিটা দিলেন, অনেক গভীর হয়ে সেটা বসল।
সাধুবাদ।
আমি এই ভীতির মাঝেই থাকি। আমাদের হোস্টলে অর্ধেকের বেশি ছেলে নারায়ে তাকবীর বলে রক্ত ঝরাতে দ্বিধা বোধ করে না। কাছ থেকে দেখা, তাই শঙ্কার পরিমাণ বেশি। অনেকদিন ধরে গল্পটা মাথায় নিয়ে ঘুরছি। ঘুমোতে গেলে, খেতে গেলে। আজ তাই শেষ করেই পোস্ট দিয়ে দিয়েছি। টাইপো কিছু চোখে পড়েছে। এডিট করার সুযোগ নেই। থাকলে করে দিতাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এটাই সচলে আপনার প্রথম লেখা?
দ্বিতীয়, যদ্দূর মনে পড়ে।
জ্বি না। দ্বিতীয়।ভূতের গলি
গল্পের মূল বিষয়বস্তু ভাল লেগেছে।
ব্যক্তিগত ফিডব্যাক-
বাক্যগঠন ও শব্দচয়ন:
১। কিছু বাক্য অনাবশ্যকভাবে দীর্ঘ হওয়ায় গল্পের গতি কমে গিয়েছে। আপনার আগের লেখাতেও দীর্ঘ বাক্য দেখেছি। এটা আপনার লেখার ধরন বা স্টাইল মনে হচ্ছে। কিন্তু কথা হল গল্পের মেজাজ বিষয়ভেদে ভিন্ন হয়; তাই বাক্য গঠনে ভিন্নতা না থাকলে পাঠক সেই মেজাজটা ঠিক অনুভব করতে পারে না।
২। syntax এ সমস্যা আছে। এছাড়া কিছু বাক্য খেই হারিয়ে ফেলেছে। যেমন: জটিল বাক্য গঠনে clause গুলো ঠিকভাবে আসে নাই। বাক্যের প্রথমাংশে যে/যেখানে/যখন থাকলে পরের অংশে সে/সেভাবে/তখন থাকতে হয়।
৩। কয়েক জায়গায় বর্ণনা আড়ষ্ট মনে হয়েছে। যেমন: "নিম্নগামী জনপ্রিয়তার পালে হাওয়া লাগায়" - তেমন যুতসই হয় নাই। এই একই রকম বর্ণনা দুইবার এসেছে ("লোকজনের উৎসাহের পালে হাওয়া লেগেছে")
বিষয়বস্তু:
গল্পে অনেকগুলো বিষয় টুকরো টুকরো ভাবে এসেছে কিন্তু সমন্বয়হীনতার কারণে যোগসূত্রটা পরিষ্কার হয় নাই। গল্পের রূপকগুলো পূর্ণতা পায় নাই এই সমন্বয়হীনতার কারনেই। ম্যাজিক রিয়েলিজম, ভারচুয়াল রিয়েলিজাম বা গল্পের রিয়েজিলম - সবক্ষেত্রেই নিজস্ব জগতের এলিমেন্টদের মাঝে ঐক্য/সমন্বয় থাকা জরুরী, এবার সেই এলিমেন্টগুলোর সাথে বাস্তব পৃথিবীর মিল থাকুক, বা না থাকুক।
অন্যান্য:
প্যারাগুলো ঠিকভাবে আসে নাই। অ্যালাইনমেন্টে সমস্যা আছে। সমস্যা আছে বিরামচিহ্নের ব্যবহারে (কোথাও কমা বেশি পরেছে, কোথাও বা পড়ে নাই, উদ্ধৃতিচিহ্নের অভাব )। কিছু টাইপো/বানাভুল আছে (ফুলঝুঁড়ি >> ফুলঝুরি, দাঁড়ি ওয়ালা >> দাড়িওয়ালা)।
আরো গল্পের প্রত্যাশা রইল। লিখতে থাকুন।
শুভেচ্ছা।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
এমন বিশ্লেষণের জন্য ফটুরেকে উত্তম জাঝা।
আমিও উত্তম জাঝা দিলাম
প্রথমেই এত সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য ধন্যবাদ
এখন আসি উত্তরে-
১) আমি দীর্ঘ বাক্য পছন্দ করি। সে কারণে চলে আসে। হয়ত এটা গল্পের মেজাজের সাথে যায় নি। নতুন কোনো লেখা দেওয়ার সময় এই ব্যাপারটা মাথায় থাকবে।
২) আমি আবার পড়ে দেখেছি। লেখার পর সাধারণত আমি অপেক্ষা করতে পারি না। এটা একটা ভুল, আমি জানি। নিজের লেখা সময় নিয়ে এডিট করলে অনেক কিছু বের হয়ে আসে। চেষ্টা করব, এই বদ-অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসার জন্য।
৩) এইটা হয়ত আমার অক্ষমতা
------
সমন্বয়হীনতার কারণে যোগসূত্রটা পরিষ্কার হয় নাই--এই অভিযোগ সত্য। আমার ধারণা গল্পটা আরো বিস্তৃত পরিসরে লেখা যেত। আমার তেমন ইচ্ছেও ছিল,কিন্তু পারি নি। সেই কারণে হয়ত। আর এই ধরনের লেখা দিয়েই আমার সচলে যাত্রা শুরু হলেও আমি আগে এভাবে খুব একটা লিখি নি। চতুরে নিয়মিত লিখতাম। আশা করি, এখানে এই ধরনের মন্তব্যে ভুলগুলো ঠিক হয়ে যাবে। বিরাম চিহ্নের ব্যবহারে আমার অজ্ঞতা আছে। ঠিক করতে হবে। আসলে আপনার এই মন্তব্য পেয়ে নিজের কিছু গর্ত দেখতে পেলাম। ভরাট করে ফেলব
-------
সবশেষে আবারো ধন্যবাদ
সম্ভবতঃ না। গল্পের পরিসর যা রেখেছেন সেটা ঠিক আছে। পরিণতি বা ফিনিশিং বিবেচনা করলে আরো ছোটও করতে পারতেন। তাহলে সমন্বয়হীনতার সমস্যাটার সমাধান কী? প্রথমে দেখুন এই ব্যাপারটা কীকরে হল। অনেকগুলো টুকরো টুকরো বিষয় আপনার চিন্তায় এসেছে যার সবগুলোই আমাদের পাতে তুলে দেবার ইচ্ছেটা সংবরণ করতে পারেননি। অথচ এই ব্যাপারে আপনাকে আরো নিষ্ঠুর হওয়া দরকার ছিল। সবগুলো কথা এক গল্পে বলে দেবার দরকার নেই (অন্ততঃ যেখানে গল্প সেটা দাবী করছে না)। ঐ কথাগুলো নিয়ে আরেকটু ভাবুন, তাদের বেড়ে উঠতে আরো সময় দিন - দেখবেন আরো কয়েকটা গল্প অঙ্কুর মেলা শুরু করবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হতে পারে। ব্যাপারটা নিয়ে আমি নিজেই এখন কনফিউস হয়ে গেছি। শুরু আর শেষের মাঝে অপ্রাসঙ্গিক কিছু ঢুকে গেছে। কিছু জিনিষ বাদ দিলেও এক-ই পরিণতি দেখানো যেত।
---------
অনেক ধন্যবাদ
ভাল লেগেছে, খুব ভাল নয়। তবে খুব ভাল হয়ে উঠার মত প্রয়োজনীয় রসদ কিন্তু আপনার প্লটটিতে মজুদ ছিল। গল্পে কথকের দীর্ঘ বলার প্রক্ষেপণ গল্পের গতিকে খানিকটা শ্লথ করে। কিছুটা সংলাপ থাকলে ভাল হতো। যে একটা ইনোগারাল পেথেটিক প্ল্যাটফর্মটা তৈরী হয়েছিল স্যাটায়ার এবং গুপ্ত ফেমিনার আঙ্গিকে তা শেষে এসে খানিকটা ক্ষুণ্ণ হয়।
তবে সর্বোপরি দেশ চেতনার এই অদ্ভুত রসায়ন কৃতিত্বের দাবি রাখে।
আপনাকে শুভেচ্ছা রিশাদ_ ময়ূখ।
ডাকঘর | ছবিঘর
এখন ভালো লেগেছে, এটাই যথেষ্ট। আমি শিক্ষানবিশ। আপনাদের এই মন্তব্যগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করব
আমার মনে হয় নিজের মতো করে একটা ভাষারীতি তৈরীর চেষ্টা লেখক করতেই পারেন। সময় লাগলেও সেটা একসময় হয়ে যাবে।
... কানাগলির ব্যাখ্যাটা বর্ণনা না করে অনুহ্য রাখলেও হতো, অন্য কোন ঘটনা দিয়ে বোঝানোও যেতো- পাঠকের মত দিলাম, এটার স্বাধীনতা অবশ্যই শেষে লেখকের উপর বর্তায়।
এই গল্পটা বিষয়বস্তুতে আগেরটার চাইতে এগিয়ে আছে।
নিজের মতো করে ভাষাশৈলী তৈরী করা বা তার চেষ্টা করার মতো মুন্সিয়ানা আসতে সময় লাগবে, সময় নিতে অসুবিধে নেই।
উপরে মন্তব্য অনেক কিছু উঠে এসেছে, নিজের কিছু গর্ত দেখতে পাচ্ছি। সমস্যা হলো, এভাবেই লিখে অভ্যস্ত ছিলাম। কেউ আগে এভাবে ভুল কিংবা অসামাঞ্জস্যতাগুলো ধরিয়ে দেয় নি। সময় লাগবে।
আর গল্পটা আমার মাথা এসেছে শেষটুক দিয়ে। তাই এটা অনুহ্য করব না। তবে পাঠক হিসেবে সুহানের মতামত সাদরে গৃহীত হলো।
শেষের লাইন পড়ে আনন্দিত হলাম।
কালই পড়েছি দোস্ত। সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারি নি।
ভালো লেগেছে। পড়েই বোঝা যায় তোর লেখা। বাক্য গঠন নিয়ে পরিক্ষা-নিরীক্ষা চালালে সমস্যা দেখি না। তবে ব্যাকরনের ভিতর থেকে করলে ভালো হয়। লেখার অপ্রয়োজনীয় মেদও কমানো যেতে পারে। উপরের মন্তব্যগুলো খেয়াল রাখিস, তবে যেটা যৌক্তিক মনে হবে সেটা। একটু সময় দিস লেখার পর, আরো শাণিত হয়ে উঠবে।
_____________________
Give Her Freedom!
ভালো লাগসে এই ধরনের বিশ্লেষণ পেয়ে। কাজে লাগবে সন্দেহ নেই।
তুই পড়বি জানতাম। বুঝতে পেরেছিলাম ব্যস্ত বোধহয়।
ভালো থাক
ভালো লেগেছে। আরও লিখুন। বাক্য বিন্যাস নিয়ে আর শব্দের ব্যাবহার নিয়ে আর বলার কিছু নাই, ফাহিম বলে দিয়েছে। আর কী কী জানি বলবো বলে ঠিক করেছিলাম। লিখতে গিয়ে মনে পড়ছেনা। মনে পড়লে লিখবোনে। আপনার আগের লেখাটাও পড়েছিলাম। এটাকে ৫ দিলাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
মনে পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। ভালো থাকুন।
আপনার গল্পের ছাঁদটা অন্য দশটা গল্পের চেয়ে ভিন্ন। আপনি একটা নতুন বৈশিষ্ঠ্য অর্জন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন নিঃসন্দেহে। আপনার এই যাত্রাপথ সুগম হোক। গল্পে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনেক ধন্যবাদ, নীড় দা। পরিচিত মানুষদের দেখলে ভালো লাগে
নতুন মন্তব্য করুন