সারা বিশ্বের যতগুলো যুদ্ধের ময়দানের নাম মানুষের মুখে প্রত্যহ উচ্চারিত হয় ( যেমন- পলাশী, পানিপথ) তার মধ্যে নিঃসন্দেহে ওয়াটার লু সবচেয়ে বিখ্যাত। ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন আর ডিউক অফ ওয়েলিংটনের ঐতিহাসিক যুদ্ধ আর নেপোলিয়নের পরাজয়, সেই সঙ্গে তার সাম্রাজ্যের যবনিকাপাত, সবকিছু মিলিয়েই ওয়াটার লুকে পরিচিত করেছে এক বিশ্ববিদিত নামে।
মুখরিত আলোকজ্জল মহানগরী ব্রাসেলস্ থেকে ওয়াটার লুর ময়দান মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এক গ্রীষ্মে বেলজিয়াম ভ্রমণের একপর্যায়ে আমরা যখন ব্রাসেলসে অবস্থানরত তখনই মনের মধ্যে শৈশব থেকে শুনে আসা সেই রণক্ষেত্রটি চর্মচক্ষে অবলোকনের আশা মনের মাঝে ফেনিয়ে উঠতে থাকল। পরদিন সকালেই গাড়ী চেপে রওনা দিলাম লাখো পর্যটকের আকর্ষণ ওয়াটার লুর দিকে।
শহরতলি পার হবার কিছু পরেই চোখে পড়ল দিগন্ত বিস্তৃত গাঢ় সবুজ যব ক্ষেত, একেবারে দৃষ্টিসীমার শেষে নীল আকাশ ছোঁয়ার আগ পর্যন্ত একইভাবে বয়ে চলেছে এই থৈ থৈ সবুজের স্নিগ্ধ সমুদ্র। হঠাৎ বয়ে যাওয়া বাতাসে অভাজিত সবুজের বুক চিরে তৈরি হচ্ছে তরঙ্গের মত সর্বদাই পরিবর্তনরত মেঠো পথ। নজরে আসল এই সবুজ শান্তির একেবারে মাঝখানে এক উঁচু পাহাড়ের মত, তার উপর মূর্তিমত কিছু একটা।
চকিতেই মনে পড়ে গেল গাইডবুকে দেখা ওয়াটার লুর ছবি, এই সেই ঐতিহাসিক প্রান্তর! এর মাঝখানে সেই যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ঐ কৃত্রিম পাহাড়!
পাহাড়ের পাদদেশে গাড়ী থামাতেই চক্ষু চড়কগাছ, এই একবিংশ শতাব্দীতে সেই ঐতিহাসিক যুগের পোশাক পরে একদল ফরাসী সৈন্য কুচকাওয়াজ করতে করতে যাচ্ছে! আবার নতুন করে যুদ্ধ লাগল নাকি? ঘুরতে এসে এ কি গেরো! আমাদের হতবিহবল অবস্থা কাটাতে সাহায্য করল চারপাশে ভিড় করে থাকা আমাদের মতই দর্শনার্থীর দল। তাদের কাছেই জানা গেল পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্যই গ্রীষ্মের প্রতিদিন এ সময়ে একদল শিল্পী ফরাসী আর বিপক্ষ দলের সেই আমলের সাজপোশাক পরে টহলে বের হয়! দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো, আর কি !
ওয়াটার লুর ইতিহাস-
ওয়াটার লুর মূল যুদ্ধ হয় ১৮১৫ সালের ১৮ জুন। আগের রাতের প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পুরো যুদ্ধক্ষেত্রই ছিল জলকাদায় মাখামাখি। নেপোলিয়ন প্রায় দ্বিপ্রহর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিল যাতে সেই বিশাল প্রান্তর কিছুটা শুকাতে পারে। এর পরপরই ফরাসিদের সাথে অন্য ইউরোপিয়ান জাতিদের (ইংরেজ, জার্মান, ডাচ ও অন্যরা) ভয়াবহ মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়। সম্মিলিত জোটের নেতৃত্বে ছিল ব্রিটিশ সেনাপতি ডিউক অফ ওয়েলিংটন আর প্রুশিয়ান সেনাপতি ভন ব্লুচার। বেশ কয়েক ঘণ্টা অতিক্রমের পর অবশেষে রাত ৯টায় ফরাসীদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে, নেপোলিয়ন পিছু হটে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে, অবশেষে নানা ঘটনার ঘনঘটার পর ১৫ জুলাই আত্নসমর্পণে বাধ্য হয় সে। এর পরের ইতিহাস আমাদের সবারই জানা- সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নির্বাসিত জীবন কাটানোর ছয় বছরের মাথায় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
আজকের ওয়াটার লু ময়দান-
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এই সুবিখ্যাত রণক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়েছিল যুদ্ধের ঠিক পরের দিন থেকেই। ১৮১৫ সালের ১৯ জুন ব্রাসেলসের জনাকয়েক অতি উৎসাহী দর্শক ঘোড়ায় টানা গাড়ীতে করে যুদ্ধ পরবর্তী হালচাল দেখতে আসেন- এভাবেই শুরু আর এখন তো লাখো লাখো ভ্রমণপিপাসুর ভিড় প্রতিমাসে।
অবশ্য প্রায় ২০০ বছর আগে ময়দানটি ঠিক যেমন ছিল তেমনটি আর নেই। এক ঠিক মধ্যবিন্দুতে আছে এক সুউচ্চ মাটির ঢিবি, যার চূড়া আলো করে দাড়িয়ে আছে ২৮ টন ওজনের এক বিশাল ধাতব সিংহমূর্তি।
এই ৪৩ মিটার উচ্চতার কৃত্রিম পাহাড়কে (যা সিংহ পাহাড় নামে খ্যাত) ঘিরেই বিভিন্ন জাদুঘর, ক্যাফে, বিপণি পণ্যের দোকানগুলির সমাহার। হল্যান্ডের রাজা প্রথম উইলিয়ামের নির্দেশক্রমে এই সুবিশাল স্থাপনার কাজ শুরু হয় ১৮২০ সালে। জনশ্রুতি আছে, তার পুত্র ২য় উইলিয়াম ( যে কমলা যুবরাজ নামেই অধিক পরিচিত) ঠিক এই সিংহ বেদির কাছেই ওয়াটার লুর যুদ্ধে আহত হয়েছিল। বিশাল প্রান্তরের নানা জায়গা থেকে প্রায় তিন লক্ষ ঘনমিটার মাটি সংগ্রহ করে সেই পাহাড়টির পত্তন ঘটে। এর গোড়া থেকে ওপরের দিকে ২২৬টি সিঁড়ি ভাঙ্গার পর আপনি পৌছতে পারবেন সিংহমূর্তির কাছে।
কিংবদন্তি আছে, পরাজিত ফরাসী বাহিনীর ফেলে যাওয়া বন্দুক ও অস্ত্র গলিয়েই এই ধাতব মূর্তিটি তৈরি করা হয় কিন্তু তা সম্ভবত নিছকই গুজব মাত্র। চূড়া থেকে চারপাশের দৃষ্টিসীমায় কেবলই অবারিত সবুজ শস্যক্ষেতই আকাশের নীলিমার সঙ্গী। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় মানব সভ্যতার অন্যতম রক্তক্ষয়ী যুদ্ধটি এখানেই হয়েছিল।
হাতে সময় কম বিধায় চরকির মত ঘুরতে ঘুরতে মূল আকর্ষণগুলো দেখতে থাকলাম আমরা। জাদুঘরে মোমের তৈরি প্রায় জীবন্ত ভাস্কর্যের সাহায্যে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের বিভিন্ন পর্যায়কে উপস্থাপন করা হয়েছে প্রাঞ্জল ভঙ্গিতে। গুটি কয়েক দোকানে বিক্রি হচ্ছে যুদ্ধের নানা স্মারকের নকল এবং নেপোলিয়নের ধাতব মূর্তি। ভ্রমণসঙ্গী অপু একটি আবক্ষ মূর্তি কিনেও ফেলল ঘরের তাকে সাজানোর জন্য। আমরাও বিশ্বের নানা কোণে ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের পাঠালাম এই ঐতিহাসিক জায়গার আলোকচিত্র সম্বলিত পোষ্টকার্ড।
অবশেষে আমরা রওনা হলাম ওয়াটার লু থেকে, যদিও প্রান্তরটি এমনই সবুজ শোভা শোভিত আর মায়াকাড়া যে সব ভুলে সেখানেই বেশীক্ষণ থাকতে মন উচাটন হয়ে ওঠে।
যাত্রাশুরুর অল্পক্ষণ পরেই ফাঁকা এক জায়গায় থামা হল, দূরে এখনো বিস্তীর্ণ প্রান্তরের মাঝে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত সিংহপাহাড় চোখে পড়ে।
যাত্রাপথের সবচেয়ে মূল্যবান পাথেয় হিসেবে কিছু ছবি তুলতে তুলতে মনে হল, মানব সভ্যতার ইতিহাসকে বলা হয় যুদ্ধের ইতিহাস, অথচ এই যুদ্ধগুলো না থাকলে আমাদের জীবন হতে পারত কত শান্তি আর সুখের !!
মন্তব্য
[এর বেশি আর কী দেব বলেন...]
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
দিতে পারেন। আজকে শেষ হয়ে গেছে !
facebook
তারেক ভাই
দারুন অভিজ্ঞতা। আর ছবিগুলো কিন্তু ব্যাপক।
-------------------------------------------------------------------------------
সব অভিমান আকাশের চেনা চেনা
সবার জন্য সুদিন কি আসবেনা
উত্তর চেয়ে আকাশ পেতেছে কান
আমিও বেধেছি আমার প্রেমের গান
অনেক ধন্যবাদ। আর বলেন না, ছবি সব হারিয়ে গেছে হার্ড ডিস্ক ক্রাশ করে! এই কটাই সম্বল !!
facebook
আপনার পোস্টে থাম্বস আপ দেয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না
বেঁচে গেলাম, নজু ভাই তো অনবরত গুম খুনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে! সেই সাথে জুটেছে আবার কৌস্তভ দা। অন্যদিকে অনার্য সঙ্গীত তো বলেছে ফরমালিনের বোতলে ভরে রাখবে, কে যেন কেটে কুটে তরকারি বানানোর চিন্তাও করল! এর মধ্যে থাম্বস আপ টাই সবচেয়ে ভাল, ধন্যবাদ
facebook
ওয়াটার্লুর যুদ্ধের ঠিক আগে দিয়ে নেপোলিয়ন কী একটা স্বপ্নে দেখেছিলেন। এটা মিথ না সত্যি, তাও জানি না।
অণুদা, কিছু জানাতে পারবেন?
লেখায় ও ছবিতে
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এটা এখন মিথ হয়ে গেছে। আর স্বপ্ন তো স্বপ্নই। অবচেতন ভাবে মানুষ কিছু একটা মিলে গেলেই বাড়িয়ে বলা শুরু করে, আর কয়েক দশক পরে তো সেটা হয়ে যায় মহাসত্য। আর শতবর্ষ পরে একেবারে ধর্মীয় বাণী!
facebook
আপনাকে নতুন করে বলার কিছু নাই। তাই বলে সবার মতো কাঁচকলা দেখাবো সেরকম ছোটলোকও আমি নই।
আরে বলেন
facebook
facebook
আবারও ।
শেষ ছবিটা সবচে' দুর্দান্ত লাগল।
আরে না, শেষ ছবি তা নেহাৎ বাধ্য হয়ে দিয়েছি। হার্ড ডিস্ক পড়ে সব ছবি গেছে, এই কটাই বাকী! আমার আগের লেখাগুলোতে দেখেছেন নিশ্চয়ই সাধারণত নিজের ছবি কাহিনীর প্রয়োজনে না আসলে দিতে চাই না, এখানে আর উপায় নাই দেখে।
facebook
তারপরও খুব মানিয়ে গেছে।
facebook
facebook
, পোস্টকার্ড পাই নাই । আর ভ্রমণসঙ্গী অপু কেমন আছে?
পরের বার পাবেন দাদা, ঠিকানাটা জলদি পাঠান ! অপু আছে ভালই কিন্তু মেক্সিকো টু ব্রাজিল আমাদের সাথে যেতে পারছে না বলে ইদানীং একটু চেতে থাকে, হে হে
facebook
আরে ধুরো, খোঁচা মারার লোভে ওই পোস্টকার্ডের কথা বলছি। তুমিও যেমন, লজ্জা দেও কেন? আর অপুরে এতো ঘুরাঘুরি করতে মানা কর, মন দিয়া কাজ কাম করুক, সবাই এত ঘুরাঘুরি করলে চলে? আর তোমার ছবিগুলো দেখে অণু আমারো ঘোরা হচ্ছে ভালোই।
আরে মহা ভেজালতো সিরিকাসলি বলছি, ঠিকানা পাঠান। আমার যেমন পোষ্ট কার্ড পেতে ভাল লাগে তেমন সময় সুযোগ পেলে পাঠাতেও ভাল লাগে। হয়ে যাবে পরের বার-
facebook
জোশ চলতাছে। হেভী পিনিক...চলুক
শিরোধার্য ! চলুক তাহলে--
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
অনেক ধন্যবাদ কবি ভাই
facebook
এইবারের ছবি তেমন জমে নাই। তবে লেখা থেকে ওয়াটার লু সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম, আগে শুধু একটা ভাসা ভাসা ধারণা ছিল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনি ফাহিম ভাই আর সময় পেলেন না, বললাম সব ছবি নষ্ট হয়ে গেছেম তারপরও সেই কথা বলে আবার দুঃখটাকে উস্কে দিলেন !! আরে ল্যান্ডস্কেপের ছবি কি আমি তুলি নাই ! থাকলে দিতাম না ! অনেক জায়গার ছবি গেছে রে ভাই, হিমালয়েরও ---
facebook
ঠিকাছে। ওয়াটারলু তো আমরা গরিব মানুষেরাও যেতে পারি। এইটা নিয়ে লিখলে হুমকিধমকি দেওয়ার মত ঈর্ষাকাতর হই না।
ঠিকাছে, দাঁড়ান তাহলে, আসিতেছে !! শেষ লেখাটায় আপনের কোন উপস্থিতি টের পেলাম না যে বড় !
facebook
চোখ এড়ায়ে গেছিল দেখছি...
তারেক ভাই, হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ ক্যামনে করল?
কানাডায় আমি প্রথম যে শহরটিতে এসেছিলাম সেটার নাম ওয়াটারলু। আমার বউরে নিয়ে আম্রিকার প্রথম যে শহরটিতে গিয়েছিলাম সেটাও ওয়াটারলু।
লেখা নিয়া আর কিছু বললাম না।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আচ্ছা! লন্ডনেও এক মেট্রো ষ্টেশন আছে ওয়াটার লু নামে। আমার এক বন্ধুর বাবা তো সেখানে নেমেই সেই যুদ্ধ ক্ষেত্র খোজা শুরু করেছিলেন ! তাহলে আর কি, বউ নিয়ে এবার আসল ওয়াটার লু ঘুরতে আসেন, ভাল লাগবে।
হার্ড ডিস্কের কথা থাক, সাত সকালে মন খারাপ হয়ে যাবে।
facebook
কত জায়গায়ইতো ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা, কিন্তু হবে কিনা কে জানে?
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
হবে হবে হতেই হবে
facebook
ওয়াটারলুতে ছিলাম যেন......
facebook
ওয়াটারলু সম্পর্কিত সুলিখিত পোস্টটি ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
facebook
ইতিহাস আর ছবি দুটোই ভাল লাগল।
facebook
আপনার লেখা পড়ে মনে হয়, আপনি নেশায় পর্যটক, জাতে কবি। নইলে এমন কাব্যময় ভাষা কোথায় পান? প্রকৃতি প্রেমের মিশেলও আছে।
আপনার মন্তব্য পড়ে একটু উদাস উদাস লাগছে ! প্রেমেন মিত্তির তো বলেছেনই- আমরা সবাই-ই কবি!! ভালো থাকুন
facebook
দারুণ!
facebook
ছবি-লেখা দুটোই বেশ!(ফাঁকতালে ইতিহাসও ঝালিয়ে নেয়া গেল!)
বেশি বেশি ঘুরতে থাকেন!
ধন্যবাদ। ঘুরছি তো !!
facebook
দারুণ, আসলেই।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
facebook
যাইতে হবে। কিন্তু তার চেয়েও বেশি 'যাইতে হবে' বোরা বোরা। প্যাসিফিকের মাঝখানে ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া। মাথা খারাপ হয়ে আছে বোরা বোরা নিয়ে জানার পর থেকে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আহা উহু ! আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা। দিলেন তো সাতসকালে এই কথা বলে, এখন সারা দিন ঐ চিন্তায় যাবে, কবে যাব, কিভাবে যাব। তবে এই বছরের শেষ ল্যাতিন ঘুরে এসেই পলিনেশিয়া যাবার ব্যবস্থা করে ফেলব আশা রাখি। কোথায় পড়লেন বোরা বোরা নিয়ে? আমি একটা লিখা দিয়েছিলাম তাহিতি আর ফাতু-হিভা নিয়ে, কিন্তু সেটা একটা বইয়ের রিভিউ
facebook
বোরা বোরা সম্পর্কে আমার ধারণা হলো, ওখানে গেলে আরেকটা দ্য কোরাল আইল্যান্ড লিখে ফেলা যাবে। শুধু দরকার জ্যাক মার্টিন, র্যালফ রোভার আর পিটারকিন গে'র মতো তিনজন কুলাঙ্গার সঙ্গী। আমার সেইটাও আছে। কিন্তু শ্যালকদৌহিত্রগুলো শেকড় বাকড় ঝাঁকায়ে বসে পড়ছে। নাড়ানো কঠিন!
আপনি যান ভাই। আপনারই দিন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যেতে তো চাই রে ভাই, দুই হাতে খাড়া হয়ে আছি ! দেখি, মহা দূরে তো, গেলে অনেক দিনের জন্য থাকতে চাই। ছবি দেখে তো শুধু আফসোস লাগে।
facebook
ওয়াটার লু থেকে হনলুলু কত দূর ?
গোবরডাঙা থেকে ঘুঁটেপাড়া যতদূর তার মিলিয়ন গুণ দূরে।
facebook
ছবি ও লেখা ।
তার সাথে ঐতিহাসিক জ্ঞান বৃদ্ধি হল
ধন্যবাদ।
facebook
সিংহমূর্তি ওইসব অস্ত্র-ফস্ত্র গলিয়ে তৈরি করা- এ কথা আমিও শুনেছিলাম। এটা গুজব বলছেন কেন ?? অন্য কোন ব্যাখ্যা আছে ??
[আপনার গতিবেগ কি আলোর চাইতে কম না বেশি ?? :D]
ঐখানে তাই বলা আছে, পরে ধাতব পদার্থ এনে মূর্তিটি গড়া হয়। এত বছর পরে ফেলে যাওয়া পাঁচমিশালী অস্ত্র দিয়ে আসলে তৈরি করার কথাও না।
আলোর সমানই, কিন্তু কল্পনার গতি আলো টু দি পাওয়ার আলো ! কেন রে ভাই !
facebook
ডুপ্লি ঘ্যাচাং।----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
লেখা ছবি দুইই ভালো লাগলো। [একই কথা বলতে বলতে টায়ার্ড হয়ে গেলাম।]
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হলেনই না হয় একটু!
facebook
আমারও একি কথা!!!
_____________________
Give Her Freedom!
ঈষৎ দা, শেষ পর্যন্ত আপনিও মস্করা গ্রুপে যোগ দিলেন !
facebook
মস্করা না তো!!! মুগ্ধতা, দাদা!!!
_____________________
Give Her Freedom!
আপনাদের জ্বালায় সচলে ঢোকাটাই বাদ দিতে হবে দেখি। একজীবনে কতোটা হিংসা করা যায় মানুষকে? আপনি যেখানে যেখানে ঘুরেছেন, মনে মনে বহুকাল ধরে ওই জায়গাগুলোতে ঘুরে মরছি। এই অবস্থায় যখন দেখি কেউ সত্যি সত্যি ওই জায়গাগুলো ঘুরে চলে এসেছে, তখন মনে হয় আলাদিনের চেরাগটা আমার হাতে নেই।
আপনার প্রত্যেকটা ভ্রমণ অভিনন্দনযোগ্য।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
চেরাগ নাই রে ভাই! শুধু পথ চলাই সার। তবে ছোট থাকতেই যে জায়গাগুলোতে যাবার স্বপ্ন দেখতাম তার দুয়েকটাতে যেতে পারলেই খুব অন্যরকম অনুভূতি হয়।
facebook
পছন্দের পোষ্টের তালিকা বেড়েই যাচ্ছে!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
এর যথার্থ বাংলা জানা নেই- Thank You for kind words !
facebook
আপনারে হিংসা করারও ক্ষমতা নাই।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আরে না ভাই , কি বলেন হিংসা-দ্বেষ! আমরা আমরাই তো
facebook
অনু ভাই, আপনি শুধুমাত্র একজন ট্রাভেলারই না সাথে সাথে একজন শিক্ষকও বটে...প্রতিনিয়ত আপনার কাছ থেকে শিখছি...
আমরা সবাই-ই ছাত্র রে ভাই।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন