১
উচ্চশিক্ষারত বন্ধুদে্র ফোনে বা ম্যাসেঞ্জারে নক করলে, নানা কথার ফাঁকে একটা কথা তারা ঘুরিয়ে শুনিয়ে দেয়, “দোস্ত ল্যাবে আছি/ ল্যাব থেকে ফিরছি/ ল্যাবের দিকে রওয়ানা দিচ্ছি”। হজ্বফেরত পলিটিশিয়ানরা যেমন নামের আগে হাজী লাগিয়ে নেয়, তেমনি তাদের নামের আগে "ল্যাবু" লাগিয়ে দিতে ইচ্ছা করে। একটু হিংসার ছোঁয়া নিশ্চয় পাওয়া যাচ্ছে, কারণ হচ্ছে আমার কোন ল্যাব নেই। আছে একখানা “অফিস”।
সে অফিসেও যদি একটু কর্পোরেট ভাব থাকতো, তাহলে না হয় মেনে নেয়া যেত। কিন্তু তার বদলে সরকারী অফিসের মত গাবদা-গোবদা টেবিল, স্টিলের লকার, ছাদছোঁয়া কাঠের বুকশেলফ। সারাদিন বসে থাকতে থাকতে নিজেকে একসময় অ্যান্টিক পিস মনে হয়। তবে তার মাঝেও একটা জিনিস আমার দারুণ পছন্দের, এক পাশের দেয়ালের মাঝখানটা জুড়ে একটা বড় সড় হোয়াইট বোর্ড। অফিস সাপ্লাইয়ের রুম ঘেটে বেনিআসহকলা বর্ণের মার্কার এনে মজুদ করে রেখেছি।
কারো কাজে লাগার আগেই মার্কারগুলোর জীবন যেন উবে না যায়, ইদুরের কাগজ কাটার মত করে আমি মার্কারগুলো ঘষতে থাকি বোর্ডে। নানা কাজে (যেমন তিন অংকের দুইটা সংখ্যার গুণ করা, প্রোটিনের লেজ ধরে টান দিলে সেটা কতটুকু উলটে যাবে কিংবা বৃত্ত আর ত্রিভুজে সংঘর্ষ বাঁধলে কার কতটুকু কাটা যাবে সেটা তদন্ত করা আর আমার লাস্টনেম আর আমার দেশের নামের লাস্ট অংশ দুইটা যে এক না ইত্যাদি আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন মর্কটকে জ্ঞান দেয়া) আমি টেনে ছেড়ে দেয়া স্প্রিং-এর মত চেয়ার থেকে ছিটকে বোর্ডের দিকে ছুটে যাই, আর আমার পানসে গ্র্যাডলাইফের একটা অংশকে খুব করে রঙ্গিন করে তুলতে থাকি।
শুক্রবার ছটার দিকে অফিস থেকে বেরোতে গেলে, আরাম জিজ্ঞেস করলো উইকএন্ডে কী করছি। আমি তখন অল্প একটু ভেবে সবুজ মার্কারটা নিয়ে বোর্ডে ছুটে গেলাম, তারপর একটা উল্লম্ব সরলরেখা একে বললাম, এটা হচ্ছে একটা খুঁটি। তারপর খুঁটি থেকে আরেকটি সরলরেখা রেখা একে বললাম, এটা হচ্ছে খুঁটিতে বাধা দড়ি। দড়ির অন্যপ্রান্তে সাধারণত একটা গরু বাধা থাকে, যে এই খুটিকে ঘিরে বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে, এই বলে একটা প্রায় পারফেক্ট সার্কেলও একে ফেললাম। তারপর বললাম, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখানে দড়ির অন্য মাথায় বাঁধা আছি আমি। উইকডে গুলোতে তাও এই দড়ি চ্যাপেল হিলের কেন্দ্র থেকে সীমানায় পৌঁছায়, কিন্তু উইকএন্ডে যেহেতু বাস চলে না, দড়ি ছোট হয়ে আমার গলা একেবারে খুঁটিতেই বাধা থাকে। নিজের করুণ অবস্থা আরেকটু ফেনিয়ে বলার জন্য যোগ করলাম, গরুরতো তাও সে যে বৃত্তের বাইরে যেতে পারছে না, সেটা বুঝার মত মগজ থাকে না। এতক্ষণ স্মিতহাস্যে আমার কথা শুনতে থাকা আরাম এবার প্রতিবাদ করে উঠলো। সে বললো, “ইউ নেভার নো, গরুর হয়তো এটুকু ব্রেইন আছে, তুমি গরুকে আন্ডার এস্টিমেট করতে পারো না”। হায়, এত করুণ করুণ কথা বলে শেষ পর্যন্ত কিনা গরুর জন্য দরদ জাগিয়ে তুললাম, ধিক এ মানবজনম!
২
কিছু মানুষ সবসময়ই বা সব মানুষ কিছু সময় ঘর ছাড়ার ডাক শুনতে পায়। কেউ কেউ গৃহত্যাগী পূর্ণিমায় এমনি তীব্র ডাক শুনতে পায় যে সব কিছু ছেড়েছুড়ে পৃথিবীর পথে বেরিয়ে পরে। বলাই বাহুল্য, চাঁদ-সূর্যের সাথে আমার সম্পর্ক ন্যূনতম পর্যায়ে। আমি দিনের বেলায় যখন আকাশের দিকে তাকানোর সময় পাই, সূর্যকে সবসময় মাঝ আকাশেই দেখতে পাই। আর চাঁদ নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না, বেচারাকে নিয়ে এমনিতেই কবি, বামন আর প্রেমিকদের মাঝে ব্যাপক কাড়াকাড়ি। এ হেন আমিও মাঝেমাঝেই ঘর ছাড়ার সাময়িক ডাক পাই।
ছুটির দিনগুলোতে এই ডাক আরো তীব্র হয়ে উঠে। আজ সকালে উঠেই তাই ভাবছিলাম কীভাবে অন্তত ডিপার্টমেন্টে যাওয়া যায়, সেখান থেকে বাস ধরে শহরের সামান্য বাইরেও চলে যাওয়া সম্ভব। উইকএন্ডে ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ বাস বন্ধ থাকে বলে ওইদিন বাসার বাইরে যাওয়া মানে আক্ষরিক অর্থেই পাহাড় ডিঙ্গানো। সিদ্ধার্থের কথা মনে হলো, রাজপুত্র হলেও সে যখন ঘর ছেড়েছিল, তার ঘরের সামনে নিশ্চই প্রাইভেট জেট অপেক্ষা করছিলো না, আর নেপালের ছেলে যেহেতু দুই/একটা পাহাড় নিশ্চয় তাকেও ডিঙ্গাতে হয়েছিলো।
সাইকেল বের করে পায় ত্রিশ ডিগ্রির ঢালু পথে বেয়ে উঠার সম্ভাবনা যাচাই করে দেখতে থাকলাম। এই বার্গারপুষ্ট শরীর নিয়ে, যে শরীর তার জীবদ্দশায় মাত্র দুই কি তিনবার জিমে পর্যটনের উদ্দেশ্যে গিয়েছে, এই পাহাড় ডিঙ্গানো প্রায় অসম্ভবই মনে হলো। তা বেরোতে যখন হবেই, এইসব চিন্তা করে আর লাভ কী! রান্নাঘরের তাক তন্ন তন্ন করে খুঁজেও হরলিক্স, কমপ্ল্যান কিংবা বোস্টের দেখা না পেয়ে বিশাল মগে দুধ গরম করে তার মাঝে এক চিমটি কফি ছেড়ে তিনটা স্বাস্থ্যবান কেক সহযোগে ঢক ঢক করে পান করলাম। তারপর হাতের উলটো পিঠ দিয়ে ঠোট মুছে, সাইকেলের চাকায় বাতাস ভরে অবশেষে বেরিয়েই পড়লাম পথে।
এত আয়োজন করে, পাহাড় ডিঙ্গিয়ে বের হলেও ঘন্টা তিনেক পরেই দড়িতে টান পড়ায় সদ্য কেনা চকলেট ও অন্য গৃহস্থালী জিনিস ব্যাগে পুরে আবারো চ্যাপেল হিলের উদ্দেশ্যে বাসে চড়ে বসলাম। বুঝলাম বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়!
মন্তব্য
ভালো লাগলো...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ দিহান। আপনার ম্যাজিকাল জার্নি আগ্রহ নিয়ে পড়ি, তবে মন্তব্য করা হয় না
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আরে, কদিনই ভাবছিলাম, সজল ব্যাটার হল কি, ফেসবুক বন্ধ করে সে পালালো কোথায়...
কিছু কিছু লাইন এতই সরস হয়েছে যে পাঠকদের ল্যাপটপ/ট্যাবলেট কাত করে ধরতে বারণ করা কর্তব্য...
থ্যাংকস! ( হবে আর কী, শ্মশান বৈরাগ্য )
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি গত সপ্তাহে বেরিয়েছিলাম ব্রীজগুলোর ছবি তুলবো বলে। অর্ধেক রাস্তা গিয়ে মনে হলো কী হবে ছবি তুলে? তার চেয়ে ডেয়ারী কুইনের একখানা বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর বিশাল একগ্লাস কোক নিয়ে দুপুরটা পার করে দেই না...
তবে আমাদের অবস্থা এত খারাপ না। এখানে উইকএন্ড / হলিডেতে বাস বন্ধ হয় না, খালি ফ্রিকোয়েন্সিটা অর্ধেক হয়ে যায়। কিন্তু মোটামুটি আমার রুট পুরোটাই র্যাপিড ট্রানজিটের মধ্যে পড়ে তাই ফ্রিকোয়েন্সি অর্ধেক হলেও তেমন সমস্যা হয় না।
ধুর মিয়া, আপনারা সব ISO certified আইলসা! আজ সকালেই সুয্যি ওঠার আগে ক্যামেরা নিয়ে বেরিয়েছিলুম। বস্টনের অনতিদূরে একটা বনাঞ্চল আছে, সরকারি বনবিভাগের দপ্তরে বসে থাকা এক অলবড্য (তখন জানতুম না) প্রৌঢ়া আমাকে বলেছিলেন, ওখানে নাকি এক টিলার মাথায় একটা ভালো জায়গা আছে যেখান থেকে বনের বিস্তৃত ভিউ পাওয়া যায়। ভোরের দৃশ্য তুলব বলে সেই (বালিকাবিহীন) নির্জন অঞ্চলে সকালে হানা দিলুম। দেখলাম, টিলাপত্র যা আছে সবই ঘন গাছপালায় ঘেরা, ভিউ নাইকো একবিন্দু। মাঝখান থেকে জঙ্গলের ছবি তুলতে গিয়ে সেই ডমরু বাবুর আবাদের চড়াই পাখীর ন্যয় সুবৃহৎ মশকেরা প্রায় উড়িয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছিল, গাছের ডালে আটকে গিয়ে রক্ষা পেলুম কোনোরকমে। সে এক একটা ঠ্যাং ছড়িয়ে বসলে হাতের তালুর সমান চওড়া।
গাছের ডালে কী আটকেছিলো? হাত নাকি ল্যাজ?
যে ব্রহ্মতেজে রক্ষা পেয়েচি, সেই তেজেই ভস্ম করে দেব কৈলাম...
পছন্দনীয়কে ভস্ম করার সময় তার সাথে কয়েকটা রামপাখিকেও বেঁধে রাখবেন, মিশরের ফারাওদের সাথে যেমন বিশ্বস্থ অনুচরদেরকে সমাধিস্থ করা হত।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
পরপারেও খাওয়ার সমস্যা হবে না বলছেন?
_____________________
Give Her Freedom!
কৌস্তুভ ভাই, আপনার গীয়ার দেখেতো আমারই এত রাতে গীয়ার উঠে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে কী আছে জীবনে? যদি দুয়েকটা ভালো ছবিই তুলতে না পারি?!
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
সাবধানে, শেষটা মশার হাতে অপহৃত হয়ে গেলে উদ্ধার পাওয়ার পরে আর মুখ দেখাতে পারবেন না। গাছে প্যাঁচানোর জন্য হাত-পা বাদে কৌস্তুভের মত অতিরিক্ত একখানা অঙ্গ থাকলে অবশ্য আলাদা কথা...
মশার কামড় যে কী জিনিস সেটা ঐদিন একটি ফিল্ড ট্রিপে গিয়ে হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি। আমি তবু পুরো মুখ ঢেকে রক্ষা পেয়েছিলাম, কিন্তু আমার সাথের দুজন ইরানীর চেহারা যা হয়েছিল এরপরে। প্রায় চেনাই যাচ্ছিল না ফেরার পরে।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
ফোটোগ্রাফিতে গীয়ার মানে ক্যামেরা ইত্যাদি যন্ত্রপাতি, আপনি মনে হয় জোশ বোঝাতে চাইছেন?
হুমম, জোশই বোঝাতে চেয়েছি। একটু ডিজুস ভাষায় বললাম আর কি।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় খাদ্যপ্রেমী আর দ্বিতীয়টা জন্মেছে কিনা কে জানে!
আমার এখানে উইকডেতে দেদারছে বাস চলে, কিন্তু উইকএন্ডে এমনিতেই হাতে গোণা কয়েকটা বাস চলে, আর আমি যেখানে থাকি সেই জায়গাটা কোন রুটই কাভার করে না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বৈরাগি হওয়া অত সোজা হলে আমি নিজেই কয়েকবার হতাম
সেই, বৈরাগি হওয়া সহজ নয় মোটেই
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আম্রিকার ছোট শহরে বাসসার্ভিস যে আছে সপ্তাহের দিনগুলোতে এটাইতো অনেক। আমিতো তাতেই আশ্চর্য হচ্ছি আর উইকেন্ডে বাস সার্ভিস সেতো চিন্তাই করতে পারিনা।
বৈরাগী হওয়ার জন্য দজ্জাল একজন মেয়ে (নারী জাতির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক একথাটি বলছি, কাউকে ছোট করার উদ্দেশ্যে নয় ) দেখে একটা বিয়া করে ফেলেন। তখন দেখবেন ঠিকই বৈরাগী হতে পেরেছেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
মজার ব্যাপার হলো, এই শহরে উইকডেতে বাস সার্ভিস ম্যাজিকাল রকমের ভালো। আর যখন অন ক্যাম্পাসে ছিলাম, সাতদিনই সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত স্পেশাল বাস চলতো। তিনটার পর ক্যাম্পাসের কোথাও আটকে গেলেও আছে ফ্রি কারে পৌঁছে দেয়া। কিন্তু উইকএন্ডে জঘন্য অবস্থা, রবিবারেতো কমপ্লিট বাস সাইলেন্স!
বিয়ে করলে আমার আর বৈরাগি হওয়া হবে না। আমার মত নিরীহ প্রাণীকে দেখলে সবচেয়ে বাজে রকমের দজ্জালেরও মায়া হবে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি বৈরাগি হতে চাই না। ভালো মেয়ে পেলে আরো কয়েকখান বিয়ে করে পুরোদস্তুর সংসারী জীবনযাপন করতে চাই।
আপনার লেখার হাত ভাল কিন্তু লেখেন খুব অনিয়মিত!
আপনার তো সংসার যাপন করার ইচ্ছা নাই, আছে হারেম যাপনের ইচ্ছা!
আমিতো তাও মাসে এক/দুই বার লিখি, কিন্তু আপনিতো একবারেই লিখেন না। ওই মিয়া লেখা দেনতো, আপনার জুনিয়ররে নিয়ে হলেও লিখেন।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
প্লীজ আমার নামের আগে আবার ল্যাবু লাগিয়ে দিয়েন না , আপনাদেরকে আমার ল্যাবের বহুত গল্প বলে ফেলছি।
আর আপনি ও আজকাল পছন্দনীয়দার মত খাবার দাবারের কথা বলেন খালি, বলি কাহিনীটা কি।
শব্দটা কিন্তু খারাপ না খাবারে কথা বললাম কোথায়, ফ্রুটকেক আমি দুই চোখে দেখতে পারি না, শুধু শক্তি সঞ্চয়ের জন্যই খেতে হলো। তবে হ্যাঁ, দুই দিন ধরে কী কী চকলেট কিনেছি সেটার একটা নাতিদীর্ঘ বর্ণনা দেয়া যেত
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ল্যাবন্দনা
'ন' টা ভুলে আবার বাদ দিয়ে দিয়েননা।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
@বন্দনাঃ আপনার কমেন্টকে এখন "পাগল সাকো নাড়াস না" মনে হচ্ছে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আপনারা সবাই এত পঁচা কেন, সব দোষ কৌস্তভদার উনি সবার আগে শুরু করছে ...।
আমি নিষ্পাপ!
নিষ্পাপ উইথ এ ন্যাজ
কাহিনী খুব সহজ - আমি কারো ফেসবুক লিস্টে অ্যাডেড থাকলে যদি সে আমার সব পোস্ট ব্লক করে না রাখে তাহলে খাবারদাবারের প্রভাব তার উপরে পড়া খুবই স্বাভাবিক।
মজা হইসে।।
ধন্যবাদ শাব্দিক। আপনার নিকটা দারুণ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বাসায় গিয়ে মন্তব্য করুম! সারাদিনে বহুত হাসছি! আর না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হ, বেশি হাসা বিপদজনক, চোয়াল খুলে পড়ে যেতে পারে
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সময় গেলে সাধন হবে না! বৈরাগী হওয়ার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়
love the life you live. live the life you love.
চেষ্টায় আছি
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কিন্তু এইটুকু টুকু ছেলেপুলে এত অলস হয় ক্যামনে! আপনাদের বয়সে আমরা রোজ তিন চারখান পাহাড় ডিঙ্গাইতাম৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সেই! আপনাদের ছোটবেলা মানে সত্য/ত্রেতা যুগেতো মানুষ একলাফে সমুদ্র পাড়ি দিত, দুই/তিনটা পাহাড় ডিঙ্গানো তো আপনার জন্য কিছুই না
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
হ। আর আমরা একশ মিটার হার্ডল্স মারতাম হিমালয়, কিলিমাঞ্জারো, আল্পস আর রকি'র উপর দিয়া।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হ৷ এই তো আধুলিমশাই ঠিক কইসেন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
সিদ্ধার্থ হতে গেলে আগে বিয়ে করতে হয়। না হলে দড়ি কেটে দিলেও নিজে থেকেই ফের খুঁটিতে এসে জোড়া লেগে যাবেন। নিয়তি এভাবেই লিখে ফেলেছে, পৃথিবীর কোনো জল সেই লেখা মুছতে পারবে না।
আর ঘরে থেকেও কীভাবে সিদ্ধার্থ হওয়া যায় জানতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। আমার নাম দেখলেই টের পাবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তাইলে আর নিকট ভবিষ্যতে বৈরাগি হওয়া হইলো না । ঘরে বসে বৈরাগ্যসাধন মনে হয় একটু কঠিন হয়ে যাবে আপনার সিক্রেট বলেন জনস্বার্থে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বেশ মজা লাগলো............নির্মলানন্দ....................
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
খাঁটি ব্লগর-ব্লগর।
ধন্যবাদ সুহান
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আমি সারাদিনই ল্যাবে কাটাই, তারপরেও ইদানীং ল্যাবু হইতে ইচ্ছা করে, খুবই জটিল ব্যাপার... কিন্তু আমিও খুঁটির অন্যমাথায় বান্ধা আর রিসেন্টলি খেয়াল করে দেখলাম আমার আবার সার্কেল কম্পলিটেরও ভাগ্য আছে, গত তিনবছরে আমি একইজাতীয় লুপে ঘুরে একই রকম জায়গায় হাজির হয়েছি...
আপনার রঙিন দুনিয়াটা হোয়াইট বোর্ডের বাইরে ছড়িয়ে পরুক। সহমর্মী দোয়া রইলো।
এত চমৎকার ব্লগরব্লগরকারীর ব্লগরব্লগর আরও ঘনঘন যে কেন আসে না কেন বুঝি না!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ধন্যবাদ যাযাবর আপু। আপনার লুপমুক্তি ঘটে বহির্গামী স্পাইরাল গতি জুটুক এই শুভকামনা রইল।
আপনার শেষ লাইনটায় মনে হইল, "ছেলেটা চমৎকার বকবক করে" এখন থেকে ব্লগর-ব্লগরের ফ্রিকুয়েন্সি বাড়াতে হবে।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
লেখা (গুড়) হইসে ...
ব্লগর ব্লগর অব্যাহত থাকুক ...
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
বৈরাগী হতে কপাল লাগে বোধ হয়। নইলে খুঁটি পোঁতা গরুজনমই সার।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
এতসব বুঝি না। একদিন ঠিক পেপার-থিসিস চিবিয়ে খেয়ে খুঁটি উপড়ে দুই পায়ে হেটে মানুষের মত চলে যাব!
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কোথায় যাবেন ? নদীনালা বনঘাট পেরিয়ে সেই তো পথ আবার চেনা পথেই এসে মেলে। ঢের হেঁটে দেখেছি, নিজের ছায়া থেকে কেউ পালাতে পারেনা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
নিজের ছায়া থেকে আসলেই পালানো যায়না! কি বিতিকিচ্ছিরি একটা সত্য!!
গাড়ি না থকলে এখানে উইকেন্ডগুলা কার্যত গৃহবন্দীই থাকতে হয়! আর বেশিরভাগ স্কুলই লোকালয় থেকে একটু দূরে হওয়ায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অভাবে মনে হয় সব গ্র্যাড স্টুডেন্টদের ছুটিছাটাগুলো বাসাতেই কেটে যায় (রান্নাবান্না করে)...
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
ভাত আর ডিমভাজি করে বিশ মিনিট কাটানো যায়, কিন্তু বাকি সময়? আমি তাই যেভাবে পারি(হেটে, বাইসাইকেল চালিয়ে) একদিন হলেও ডাউন টাউনে আসি।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
নতুন মন্তব্য করুন