দুপুর দুইটায় ফ্রেশার ডিউটি ডাক্তার চলে গেলেন। পরে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এলেন আর এলেন দারুণ এক নার্স। মরমা এই মেয়ের নাম তিংতিং! একদম শেষ পর্যন্ত আমাকে অসম্ভব সাহায্য করেছে সে। বিকাল তিনটায় আমাকে ব্যাথা বাড়ার ঔষধ দেয়া হলো। ব্যাথার ঔষধ মানে Oxytocin।মেয়েদের শরীরে সহজাতভাবেই এটা তৈরি হয়। সিন্থেটিক ফর্মে Pitocin দেয়া হয় স্যালাইনের মাধ্যমে যাতে ব্যাথার তীব্রতা বাড়ে আর জরায়ুর মুখ তাড়াতাড়ি খুলে যায়। নার্স মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম কতক্ষন লাগবে, সে বললো তিন ঘন্টার মতো। আমি জানতাম লেবার এর গড়পড়তা সময় আট ঘন্টা তবু সেসময় সেটা ভুলে গেলাম। তিনঘন্টা কে আঁকড়ে ধরলাম...দিহান, দেখতে দেখতে কেটে যাবে ১৮০ মিনিট, এমন কোনো ব্যাপার না।
একটু পরেই ডাক্তার ওয়াটার ব্যাগ ভেঙ্গে দিলেন। থই থই পানিতে ভেসে গেলাম। উনি বললেন বাম পাশ ফিরে শুয়ে থাকেন। শুলাম, ব্যাথার মাত্রা আর ফ্রিকোয়েন্সি বাড়তে থাকলো। এদিকে বাচ্চার পজিশন ঠিক থাকলেও সে নীচের দিকে না নেমে উপরে উঠে বসে আছে। আরে বাবা এতোদিন ধরে কতো বোঝালাম, শিখালাম, পড়ালাম। শেষে ফাইন্যাল পরীক্ষায় তুই এমন ফেলটু ছাত্রের মতো ভয় পেয়ে গেলি? প্যাটার্নড ব্রিদিং বলে একটা জিনিস একটু অভ্যাস করেছিলাম। সেটা খুব কাজ দিলো। বাচ্চা একটু একটু করে নামতে শুরু করলো...তিন ঘন্টা পরে ব্যাথায় মনে হলো এরা আমাকে ডেলিভারি রুমে নিচ্ছেনা কেনো, বাচ্চা তো বের হয়ে যাবে। আমার গাইনোকলজিস্ট এসে বললেন ‘আরে অ্যাকটিভ লেবার তো শুরু হলো মাত্র! জরায়ুর মুখ খুলেছে মাত্র চার সেন্টিমিটারের মতো। অন্তত ১০ সেন্টিমিটার না খুললে ডেলিভারি হবেনা। আরো দু ঘন্টা লাগবে!’
গোঁ গোঁ করে শব্দ করা আর চেঁচানো শুরু করলাম । তিংতিং বললো ‘শক্তি খরচ করে ফেলবেন না, ডেলিভারির জন্য জমিয়ে রাখেন। আপনাকে পুশ করতে হবে প্রাণপনে, এখন শক্তি সঞ্চয় করেন’। বেদবাক্যের মতো মেনে নিলাম তার কথা। ব্যাথার ঢেউ গেলে জুস আর স্যুপ খাই, ঢেউ এলে হাত দিয়ে দেয়ালে আঁচড়াই। লেবার পেইন কেমন সেটা ব্যাখ্যা করার সাধ্যতো আমার নেই শুধু বলতে পারি দেয়ালে আঁচড় দেবার জন্য আমার ডানহাতের তিনটা আঙ্গুলের ডগা ফেটে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিলো!
আমার ডাক্তার দ্বিতীয় দফা এলেন। Cervix তখন খুলেছে ৭ সেন্টিমিটার। উনি বললেন আর মাত্র দু ঘন্টা। আমি এবার তাকে বিশ্বাস করলাম না। মনে হলো অনেক সায়েন্স ফিকশনে যেমন কিছু চক্রের কথা পড়েছি আমি তেমন কোনো চক্রে পড়ে গেছি। আমার বাকি জীবন এভাবে কাটবে। ব্যাথায় হাবুডুবু খাবো আর দুইঘন্টা পরপর ডাক্তার এসে বলবে ‘আরো দুইঘন্টা’... এই সময়ে বাচ্চার হার্টবিট অনিয়মিত হয়ে গেলো আর আমার শুরু হলো শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দিলো আমাকে।
অবর্ননীয়,ভয়ংকর যন্ত্রনায় আরো দেড়ঘন্টা পার হলো। নার্স জিজ্ঞেস করলো ‘আপনার কি মনে হচ্ছে ভীষণ টয়লেট পেয়েছে’?
হ্যাঁ।
তাহলে আর বেশি দেরী নেই। আমরা আপনাকে ডেলিভারি রুমে নিয়ে যাবো এক্ষুণি।
ডেলিভারি রুমের সরু একটা টেবিলে শোয়ানো হলো আমাকে। এরপর কখনো হাঁটু মুড়ে দিচ্ছে, কখনো হাত বেঁধে দিচ্ছে, কখনো পিঠ উঁচু করে দিচ্ছে-কতো কি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শরীর অ্যাক্টিভ না রাখলে এই সময় শরীর ইন্সট্রাকশন মানতে পারেনা, বেশি কষ্ট হয়। ব্যাথা যখন আসে ডাক্তার, নার্স, আয়া সবাই বলেন ‘জোরে পুশ করেন, অনেক জোরে’। আমি সর্বশক্তি দিয়ে ভীষণভাবে পুশ করি। কিন্তু বাচ্চাকে উগরে দেবার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছেনা সেটা... আমার সর্বশক্তি যেনো ফুরিয়ে আসছে। ব্যাথা চলে গেলে কেমন যেনো অজ্ঞানের মতো হয়ে যাচ্ছিলাম।
একটা সময় ডাক্তার গেলেন রেগে...আমাকে বললেন ‘শোনো আমার নাতনির সাথে রাতের খাবার খাবো। রাতের ফ্লাইটে ও চলে যাচ্ছে। আমি আর বিশ মিনিট আছি। এরমধ্যে তুমি যদি তোমার সর্বোচ্চ এফোর্ট না দাও আমি তোমাকে আয়াদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো’। রোকেয়া হলে ব্যাডমিন্টান কোর্ট কাটা হতো শীতের শুরুতেই। একটা মেয়ে ‘ইয়া আলী’ বলে সার্ভ করতো। দুর্দান্ত হতো তার সার্ভ। আমার নিজস্ব ‘ইয়া আলী’ হচ্ছে ‘Dihan, you never know how strong you are!’. নিজেকে সেটাই বললাম, তারপর ব্যাথার ঢেউ আসতেই প্রচন্ড চিৎকার করে প্রচন্ডভাবে পুশ করলাম। ডাক্তার ‘এইতো গুড গার্ল বললেন’ আর কান্না করে চারপাশ আন্দোলিত করে দিলো আমার সন্তান।
গল্পের বই গুলো এই জায়গায় শেষ হয়ে যায়। ‘অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো’। কিন্তু আমি বলছি জীবনের গল্প। বাচ্চার মাথা বের হবার সময় Perineum ছিঁড়ে যায়। (অনেক সময় ডাক্তার আগেই লোকাল এনেস্থেশিয়া দিয়ে Episiotomy করে ফেলেন) আমার ডাক্তার সার্জারী করেননি, যতোটা ছিঁড়ে গেলো সেটা সেলাই করতে শুরু করলেন। এরমধ্যে তিংতিং একটা ছোট্ট মুখ আমার মুখের কাছে এনে বললো ‘আপনার মেয়ে’!
যুদ্ধজয়ের গর্ব নিয়ে ডেলিভারি রুম থেকে বেরিয়ে এসে দেখি আমার বর আমার চেয়ে অন্তত একশগুণ বেশি গর্বিত ভঙ্গিতে কন্যা কোলে দাঁড়িয়ে আছে। এত্তোটুকুন মুখটা ওই বড় মুখটার মতো লাগছে অবিকল। আমার তখন মনে হলো যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন বাজি রাখে সৈনিক, কিন্তু যুদ্ধজয়ের কৃতিত্ব নেয় রাজা!!
আমার মা ফোন করে জিজ্ঞেস করলো তোমার মেয়ে কেমন হলো? তোমার মতো সুন্দর?
-আরে কীযে বলো মা তুমি? আমার মেয়ে পৃথিবীর সবচে সুন্দর মেয়ে।
-আমার মেয়েও তাই ছিলো!
-যাহ। সত্যি আমি এতো সুন্দর ছিলাম? সত্যি করে বলোতো আমাকে কোলে নিয়ে তোমার কী মনে হয়েছিলো?
-আমার মনে হয়েছিলো আশ্চর্য এই বাচ্চাটা আমার পেটের ভিতর ছিলো? এই বিড়ালের বাচ্চাটাকে আমি কীভাবে বড় করবো? নাক দিয়ে বাতাস বের হচ্ছেতো? বুকটা ঠিকমতো ধুকপুক করছে তো?
-আমার ও তো এইরকম ই মনে হচ্ছে! তুমি দেখি সবজান্তা।
-সবজান্তা না, আমি হচ্ছি ‘মা’।
আমার মা সারাজীবন চেয়েছে নিজের চেয়ে শতভাগ বিপরীত নিজেরই মেয়ের,আমার বন্ধু হবে। আমি মাকে বলি ‘মা এখন থেকে তুমি আমার বন্ধু। বন্ধুদের মধ্যে খুব ‘স্ট্রং’ একটা কিছু ‘কমন’ থাকতে হয়। তুমিও মা আমিও মা এটা আমাদের কমন ফ্যক্টর’।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় চমক লাগানো কথাবার্তা বলার ঝোঁক ছিলো আমার। নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে বলতাম ‘জানেন আমি না জন্মসুত্রে দুই নম্বর?
-এর মানে কী?
- মানে আমি বাবা মার দ্বিতীয় সন্তান!
আসলে এই নিয়ে আমার একটু কমপ্লেক্স ছিলো। আমার বড় বোন ছিলো তাই বিশ্বাস করতাম দ্বিতীয় সন্তান ছেলে হলে মা-বাবা আরো খুশি হতো। কৈশোরে ভাবতাম আমার জন্ম তাদের হতাশ করেছে। একটু বড় হবার পর দেখলাম আমাদের সমাজ মেয়েদের প্রতি খুবই নিষ্ঠুর। মেয়েজন্ম নিয়ে আমার দুঃখবোধ ছিলো।
নিজের বাচ্চাদের কোলে নিয়ে আমি বিশ্বাস করলাম আমাকে প্রথম দেখে আমার মা বাবাও এমনই আনন্দে ভেসেছিলো। প্রায় নাস্তিক আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম আমাকে মেয়ে করে পৃথিবীতে পাঠানোর জন্য, আমার কোল আলো করে দু’টা মেয়ে দেবার জন্য। ওরা আপাদমস্তক আমার উলটো হবে হয়তো। ওরা হয়তো আমাকে হাতাশ করবে, হয়তো আমি হতাশ করবো ওদের। কিন্তু একদিন ওর যখন মা হবে, আমরা বন্ধু হয়ে যাবো!
মন্তব্য
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আপনার কি নরমাল না সিজারিয়ান?
মনে হচ্ছে নরমাল।
নরমাল না হলে নিশ্চই oxytocin দেয়ার কথা বা cervix খুলার কথা বলতেন না উনি।
এ হাসনাত।
ওওওও...
কী হলো রাজকন্যা?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
সেটাই।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
নরমাল। শেষ পর্যন্ত আমি পেরেছি!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইয়েস! আমি ঠিকই গেস করেছিলাম, এটা নরমাল। আর প্রথম কমেন্টটা কিন্তু আমার করা।
অসাধারন একটা লেখা। প্রথম অংশটুকু পড়তে যেয়ে আমার কেমন জানি হাত পা শিরশির করছিল।
বাচ্চাকে প্রথম দেখে কেমন অনুভুতি হোল সেটা মনে হয় বর্ণনা করা কঠিন, কিন্তু ঐ জায়গাটা আরেকটু বড় করলে পারতেন। সব মিলিয়ে খুব ভালো লেগেছে।
প্রথমেই আমাকে একটু দেখিয়ে বাচ্চাকে ক্লিন করে বাইরে নিয়ে যায় আয়ারা। আমার এইদিকে স্টিচ চলছিলো তাই তখনকার অনুভুতি মনে নেই আসলে! তবে মনে হয়েছিলো নাকটা বেশি মোটা! ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অসাধারণ। এবার শিশুপালনের মত কোন একটা সিরিজ শুরু হোক
কিছুদিন আপনাদের লেখা পড়ি, তারপর ধীরেসুস্থে আবার কিছু ধরবো। ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
খোকা মাকে শুধায় ডেকে, ‘এলেম আমি কোথা থেকে,
কোন খানে তুই কুড়িয়ে পেলি আমারে?
মা শুনে কয় হেসে কেঁদে, খোকারে তার বুকে বেঁধে—
‘ইচ্ছে হয়ে ছিলি মনের মাঝারে’।
সারদাসুন্দরী দেবী বোধহয় আপনার মতো করেই তাঁর ছেলেকে এমন এক ম্যাজিকাল জার্নির গল্প শুনিয়েছিলেন।
অনেক ধন্যবাদ সাত্যকি।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চমৎকার একটা সিরিজ। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
----------------------------------------------
আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।
কৃতজ্ঞতা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
Just take my appreciation at this moment for your wonderful journey
(Sorry, I could not write in Bangla now due to some technical difficulties)
বাস্তবতা, ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অতি অসাধারণ অনুভূতির তীব্র বর্ণনা! ভালোলাগাটুকু জানানোর জন্যেই (বছরখানেক পর) লগিন করলাম
শেষ প্যারাটা সবচেয়ে সুন্দর। এই সিরিজের শেষ লেখার শেষটুকু এমনই মানায়।
"Life happens while we are busy planning it"
সমুদ্র, এতোদিন পর আপনাকে টেনে আনতে পেরেছি, আমি ধন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার এই সিরিজটার নীরব পাঠক আমি। আজ আর মন্তব্য না করে থাকতে পারলাম না। অনুভূতিতে মিলেমিশে একাকার
রিশাদ_ময়ূখ, আপনার দুইটা নামই আমার পছন্দের নাম, বিশেষ করে ময়ূখ! ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অসাধারণ একটা সিরিজ শেষ হয়ে গেলো। খুবই খুবই ভালো লাগ্লো সিরিজ টা; এবং অনেককিছু জানলামও। ধন্যবাদ আপনাকে।
চালিয়ে যান; নিজে লিখতে পারিনা তো কী হয়েছে; আপনাদের লেখা পড়তেও আরাম!
ভালো থাকবেন, আপনার মেয়েদেরকে নিয়ে।
দোয়া করবেন মেয়েদের জন্য। আমি ঈশ্বর বিশ্বাসী না কিন্তু দোয়ায় বিশ্বাসী!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চমৎকার একটা সিরিজ, এত তারাতারি শেষ হয়ে গেল!! নুতন মা হবার পরের যে নুতন জীবন যাত্রার গল্পও যদি সিরিজ ধরে প্রকাশ করেন তাহলে খুব ভালো হোত । আমি অপেক্ষায় থাকি আপনার লেখার জন্য। অশেষ ধন্যবাদ দিহান!!!
নূতন মা মানে তো পাদপ্রদীপের আলো থেকে ছিটকে পড়া এক তারকা! লিখবো হয়তো। আপনাদের ভালোবাসা পাবার জন্যই লিখবো। ভালো থাকবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অদ্ভুত সুন্দর একটি সিরিজ শেষ হলো। একেবারে মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি প্রতিটি পর্ব। আপনার লেখা পড়ে একটি ব্যাপার ঘটেছে আমার সাথে। সেটা হলো নিজের মায়ের জন্য ভালোবাসা বেড়ে গেছে হাজারগুণ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি সার্থক, আমি ধন্য। মা'কে ভালোবাসুন আর মেয়েদের সম্মানের চোখে দেখুন,একটা সুন্দর সমাজের জন্য আর কী চাই?
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
স্যালুট আপনাকে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অফিসের দুই সন্তানসম্ভবা বইনডিকে পড়িয়েছি পুরোটাই। তারা মুগ্ধ! আর ক্রেডিট নেবার ভাণ করে কলার উঁচাই আমি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
প্রসববেদনার চেয়ে ভয়াবহ ব্যথা পৃথিবীতে নেই!!! মমতাময়ী মা'রা চিরপূজনীয়!!!
কথাটা নির্মম সত্য মনে হয়!!!
শুভদিন আসবেই, সকল অপসংস্কার দূরীভূত হবে।
বাহ কী সুন্দর বললেন!!!
----------------------
অনন্য সাধারণ এই সিরিজটির জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সাধুবাদ, দিহানাপু। আপনাদের জীবন সুখ আর সমৃদ্ধিতে ভরপুর থাকুক।
_____________________
Give Her Freedom!
শুভদিন আসুক। চলেন আমরা সবাই মিলে তাড়াতাড়ি করে শুভদিন নিয়ে আসি। বাংলাদেশের কোনোমেয়ের জন্য মেয়ে হয়ে জন্মাবার জন্য গ্লানি না থাকে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
স্যালুট ম্যাম।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অনন্য এই সিরিজটা ক্রমশ অনুসরণ করে এসেছি। এতো অসাধারণ সমাপ্তি! অসহ্য সারাদিনের পরে মনটাই ভালো হয়ে গেলো। আপনার মেয়েরা মা হবার সময়ে এই লেখাগুলো যখন দেখবে, তাদের অনুভূতি কী হবে জানি না... বোধহয় পৃথিবীর সেরা মা'কে পেয়েছে বলে চোখ ভিজে উঠবে আনন্দের জলে।
সবটুকু ভালো থাকুন আপনার চমৎকার পরিবারটা নিয়ে।
ধন্যবাদ। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
খুব ভালোলাগা একটা সিরিজ
আমিও সেকেন্ড ইস্যু, আমিও ওইসব ভাবি ...
আপনিও দুই নম্বর?! সেকেন্ড ইস্যুরা অনেক স্মার্ট হয়, বেশি বুদ্ধিমান হয় এখন থেকে এটাও মনে রাখবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
হুম আসলে তো আমি থার্ড! কিন্তু আমাদের সেকেন্ড ভাইটা জন্মের সময় কিছু জটিলতার কারণে মারা যায়। সেই থেকে আমি সেকেন্ড আন্ড লাস্ট।
আপু, এত দিন সচল এর লেখা পড়েছি চুপচাপ। কখনো মন্তব্য করতে ইচ্ছা হয়নি। আপনার এই সিরিজ প্রথম থেকে দেখছি। আজকে পড়ে কেঁদে ফেল্লাম। মা হওয়া এতো সুন্দর? আপনার মেয়েদের জন্য দোয়া।
নাবিলা, কী নরম মনের মেয়ে আপনি! মা হওয়া সবমিলিয়ে একটা ম্যাজিকাল ব্যাপার আসলে...আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা সব জানি তবু এই যাত্রার ম্যাজিকটা একশভাগই রয়ে গেছে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অসাধারণ আপনার লেখনী! খুব ছুঁয়ে গেলো। আপনি লেবারের সময় এপিডিউরাল নেননি ক্যানো? এমনিতে এপিডিউরাল নিলে কষ্ট মনে হয় ৮০% কমে যায়। কিন্তু তারপরও যেটুকু দেখেছি সেটা ভয়াবহ। আমার মতে এটা নেওয়া উচিৎ।
এপিডিউরাল দেয়াটা আমাদের দেশে এখনো সেভাবে চালু হয়নি। আমি মিনমিন করে ডাক্তারকে বলেছিলাম 'শুনেছি এপিডিউরাল নিলে...', ডাক্তার রেগে গিয়ে বললেন 'আপনি সব জেনে বসে থাকলে তো মুশকিল'। বুঝলেন ভাইয়া, এই হলো আমাদের অবস্থা? ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন পড়ার জন্য, মন্তব্য করার জন্য।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
মুর্শেদ ভাই, গত বেশ কিছুদিন ধরেই সঙ্গত কারণে এপিডুরাল নিয়ে পড়াশুনা করেছি...রিসার্চারদের সাথেও কথা বলেছি। যদিও ৫০-৬০% এর বেশি মা এপিডুরাল নিয়েই আজকাল বাচ্চা জন্ম দেয় তবু সেটা শেষ চয়েস হওয়া উচিৎ বলেই মনে হয় (বাকিগুলো তুলনামূলক নিরাপদ, যদিও তেমন বা একেবারেই কার্যকরী না)...লং লেবার না হলে বা সহ্যের বাইরে চলে না গেলে মনে হয় না নিলেও হয়। আর দেশে আমার এক বন্ধু ডাক্তার-এনেস্থেসিয়া'র...সে কীভাবে ডাক্তার হয়েছে প্রসেসটা জানি বলেই, দেশে এপিডুরাল নেয়ার ব্যাপারে আমি দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে বলবো।
লাকিলি আমার মেয়ের জন্ম খুব তাড়াতাড়ি হওয়াতে সেটা নিতে হয়নি (নেয়ার চিন্তা করার আগেই হয়ে গেছে- তবে সেই পেইন যে কীরকম সেটা দেখে য়ামার মত শক্ত মানুষও অস্থির হয়ে গেছি)। এর বিরুদ্ধে স্ট্যাটগুলো অনেকটাই প্রকাশ্য না, এবং অনেক ডাক্তারের মধ্যেই এটা ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক মতভেদ দেখেছি...ইয়াং ডাক্তাররা নেয়ার পক্ষে বেশি। বলা হয় এপিডুরাল নিয়ে অনেক কিছুই জানানো হয় না...(এরকম একটি হচ্ছে ফিটাসের খুব অল্প বয়সে অতিরিক্ত আল্ট্রাসাউন্ড)।
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অসাধারণ একটি সিরিজ।
পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি সালাম।
আপনার মত মায়ের মেয়েরাও নিশ্চয়ই অসাধারণই হবে। তাদের জন্য শুভকামনা রইল।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
আমার মেয়েরা সাজুগুজু, টিভির পোকা আর পড়াশুনায় ফেলটু হবে বলে মনে হচ্ছে। তারা আমার কসমেটিকসের বারোটা বাজায়, পারলে সারাদিন কার্টুন দেখে আর বই ছিঁড়ে। সব মিলিয়ে আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপনার জার্নির সাথে আমরা অনেকেই সহযাত্রী হয়েছিলাম। জার্নি শেষ। গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন কিছু একটার সাথে ছিলাম। সেটা খুব মিস করব। ভাল থাকবেন।
মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা
অনেক ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকুন। কিছু লিখুন আমাদের জন্য...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চমৎকার সিরিজ। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ। ( অফটপিকঃ ওরে জগা, আরেক প্লেট খিচুড়ি নিয়ে আয়...)
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। সিরিজটাই খুব ভালো হয়েছে। এবার তাসনীম ভাইয়ের মতো শিশুপালন লেখা শুরু করেন।
একটা পরামর্শ দেই, মাসখানেকের বিরতি নেন। এই সময়ে সিরিজের সবগুলো লেখা ঝেড়ে মুছে ঠিকঠাক করেন। খানিক সম্পাদনাও করেন। তারপর ই-বুক বানিয়ে ফেলেন। সেটা সচলায়তন থেকে বের করার জন্য আমরা অনুরোধ করতে পারি সচলায়তনের মডুরা সেই অনুরোধ রাখবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অত্যুত্তম প্রস্তাব!!!!
অনেক ধন্যবাদ। আপনার পরামর্শ অবশ্যই শুনবো। সচল ই-বুক করুক না করুক আপনার কথায় আমি অনেক আনন্দিত আর সম্মানিত বোধ করছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
বেশ, এবার নতুন কোনো একটা টপিক ধরে লেখা চালিয়ে যেতে থাকেন।
হুম।সাথে থাকুন।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
জার্নি শেষ!
মিশন একমপ্লিশড।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
সচলের নিয়মিত পাঠক। সচরাচর মন্তব্য করিনা। আপনার এই সিরিজটি আসাধারণ হয়েছে। আপনার লেখার ধরন অত্যন্ত আকর্ষণীয়, এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলতে হয়। আপনার কন্যাদ্বয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
কিছু জিজ্ঞাস্য ছিল --- সুযোগ থাকা সত্ত্বেও এপিসিওটমি না দিয়ে টিয়ার হতে দেয়া, পরে তা রিপেয়ার (দুঃখিত উপযুক্ত বাংলা খুজে পেলাম না) করার কারনটা বোঝা গেলনা। এবড়োথেবড়ো টিয়ার না হওয়ার জন্যই এপিসিওটমি দেয়া হয় এবং এটা রিপেয়ার করা যেমন সহজ, তেমনি কোন ডিফরমিটি হওয়ারও সুযোগ থাকেনা।
উপরে মোর্শেদ ভাইয়ের কমেন্টের প্রেক্ষিতে বলছি, এপিডুরাল ব্যাথা কমালেও এসিস্টেড ডেলিভারির (ফোরসেপ, ভেকুয়াম এক্সট্রাকশন) সম্ভাবনা বাড়ায়, যা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অন্যান্য ব্যাথানাশকও মায়ের পুশ করার ক্ষমতা কমায়। তাছাড়া আমার ধারনা বাংলাদেশের অধিকাংশ হাসপাতালগুলোতে লেবার রুমে সব সময় এপিডুরাল দেয়ার মত দক্ষ এনেসথেটিস্ট থাকেনা
শমশের, আমাদের দেশে তো সব সিদ্ধান্ত ডাক্তার ই নেন।আমার আসলে কোনো বক্তব্য ছিলোনা। এপিডুরালের বিষয়ে আপনার ধারনাই সঠিক।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
শেষ হল একটা অধ্যায়
ডাকঘর | ছবিঘর
হুম। মধুরেন সমাপয়েৎ ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চমৎকার... খুব আগ্রহ নিয়েই পড়েছি । রাজকন্যা দের নিয়ে রাজা রানী সুখি হোক
হুম যতোদিন না ভিনদেশি রাজকুমার এসে বাগড়া দেয়...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
"তারপর ই-বুক বানিয়ে ফেলেন। সেটা সচলায়তন থেকে বের করার জন্য আমরা অনুরোধ করতে পারি হাসি সচলায়তনের মডুরা সেই অনুরোধ রাখবেন বলেই আমার বিশ্বাস।" অনার্য'দার সাথে একমত সামনে আপনার এমনই চমৎকার আরো অনেক পোস্ট পাবো নিশ্চয়ই। শুভকামনা।
ধন্যবাদ।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
শেষ করে দিলেন (((
আর কতো? লেবু বেশি কচলানো বুদ্ধিমানের কাজ না...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
লেখাটা পড়ে কান্না পেয়ে গেল আপু। আমার বাবুটাও তো এইভাবেই আমার কোলে আসবে আমারও মনে হয় তখন এরকম অনুভূতি হবে। আমার বাবুটার জন্য দোয়া করবেন আপু।
অনেক দোয়া তোমার বাবুর জন্য। বাবুর সাথে অনেক গল্প করো,নিজেকে তৈরি করো। মনে জোর রাখবে,দেখবে পৃথিবীর সবচে সুন্দর বাচ্চাটা তোমার কোলে...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
জটিল হইছে...দুই সপ্তাহ আগে আমিও বাপ হইলাম...এক্সপেরিয়েন্স মিলে গেছে অনেকটাই...তবে আমি সাথে ছিলাম বউরে মিড ওয়াইফ আর ডাক্তার মিলে কইতে থাকে "পুশ", কিছুক্ষণ পর আবিষ্কার করলাম...আমিও উত্তেজনায় নিজের ভিতরে দাঁতে দাঁত চেপে পুশ করার চেষ্টা করতেছি...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ভেরি সুইট।আপনাদের ছোট্টসোনাকে আদর।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
দিহান আপু হ্যাট'স অফ। পুরো সিরিজটাই পড়ে গেছি, আজকে একেবারে কাঁদিয়ে ফেললেন।
জানি না কবে মা হব, যদি হই আপনার এই লেখার কথা মনে পড়বে।
নিঃশাস বন্ধ হয়ে গিয়ছিল পড়তে গিয়ে !! পৃথিবীর সব মায়ের উদ্দেশ্যে টুপি খুললাম । ^:)^
দিহান আপু, শেষ পর্বটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। শ্বাসরুদ্ধকর ভাবে প্রথম অংশটুকু শেষ করলাম আর শেষটতে খুব মায়া হল - আমার মা'র জন্য। তিনিও হয়তো আপনার মতই ভেবেছিলেন আমকে প্রথম কোলে পেয়ে
আর আপু আপনার সবগুলো লিখা pdf করে সংগ্রহে রাখতে চাই - হয়ত কখন আমার কাজে দিবে
সম্ভব?
লাবন্যপ্রভা
আমি অনেক সাহসী, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ দেখলেই ভয়ে বিড়ালের মতো মিঁউ মিঁউ করতে থাকি। আর সেটা শরীরে ঢুকলে পরে খাঁটি বাংলায় 'ও মাগো' বলে চিৎকার করে উঠি, আক্ষরিক অর্থেই। এ নিয়ে ডাক্তার বাড়িতে গেলে আমাকে বেশ বিব্রত অবস্থায় মধ্যে পড়তে হয়। তারপরেও সাহস বাড়াতে পারিনি, আজও।
তো আমার এই বীরত্বের কথা জানার পর আমার এক বন্ধুপত্নী আমাকে বললেন, 'আপনার বউকে শিখিয়ে দিবো। লেবার রুমে না গেলে আপনাকে বাবুর মুখ দেখতে দিবে না বলে যাতে হুমকী দেয়!'
আমার বাবু কবে হবে সেই চিন্তা আপাতত বাদ, বাবু'র মা কে হবেন, সেইটা নিয়েও ভাবছি না। কিন্তু সাহস বাড়ানোর জন্য ওভালটিনের ডিব্বা খুঁজে যাচ্ছি সেই থেকে। দরকার হলে ওভালটিনের ডিব্বা নিয়ে লেবার রুমের দিকে রওনা হয়ে যাবো। সাহস না বেড়ে যাবে কই!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারণ
আমার কাছে দুনিয়ার সবচে কষ্টকর (শব্দটা কতো খেলো!) অভিজ্ঞতা মনে হয় সন্তান জন্মদান। অমানবিকও মনে হয়। অসহ্য, চিন্তাও করতে পারি না।
ডাক্তার আমার দিকে তাকালেন এবং বল্লেন, আপনি ভেবে চিন্তে বলছেন? আমি আগের চে শক্ত কণ্ঠে বল্লাম, হু। তিনি বল্লেন, আমি এর আগে এমনটা পাইনি। সাধারণত আমরা যদি বলি নর্মাল হবে না, তখন রাগারাগি করে লোকজন। অনেকে শেষ সময়ে ডাক্তার বদলে ফেলে। কিন্তু আপনি আগেভাগেই অপারেশন করে ফেলতে চাইছেন, তাই ভাবতে বলছিলাম। আমি বল্লাম, কষ্ট দেয়ার কোন দরকার নাই। অনেক কষ্ট করছে এতদিন ধরে। আগে জানলে আমি এসবে যেতাম না। ডাক্তার তখন বল্লেন, তাহলে পেইন এর অপেক্ষা করার কোন দরকার আছে? আবারও না বাচক উত্তর। ব্যাথায় যাতে কষ্ট না পায় এজন্যই কাটাছেড়া করতে বলছি... এবং দশদিন আগে আমি বাবা হয়ে গেলাম।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
শেষ হয়ে গেলো ... এবার দুই বোন কে বড় করা নিয়ে কিছু শুরু করেন...আপনার মেয়েদের বয়স কত?...ওদের জন্য অনেক দোয়া...আমার মেয়ে বাবু খুব পছন্দ...দোয়া করবেন আমার যেন একটা ভালো বাবু হয়...আমার সচলে একটা লেখা আছে...পড়লে আপনার খুবই খারাপ লাগবে...তাই আগেই দোয়া করে নেবেন যে আমার যেন ভালো বাবু হয়...লিঙ্কটা দিচ্ছি...
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/39330
nawarid nur saba
সাবা, আপনার লেখা আমি আগেই পড়েছিলাম। আজ আবার পড়লাম। আগে পড়ে আমার মনে হয়েছিলো আহা এই মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে আদর করে দিতে পারতাম! আজ ও তাই মনে হচ্ছে। আমি দোয়া করছি আপনার জন্য...এমন একটা দুষ্টু মেয়ে আপনার হবে যার পিছনে ছুটতে ছুটতে, যাকে পোষ মানাতে মানাতে আপনি আর কিছু নিয়ে দুঃখ করার সময়ই পাবেননা...কিন্তু আপনার এই দুষ্টু মেয়েটা কোনো কোনোদিন খুবই লক্ষী হয়ে যাবে। আপনার গলা জড়িয়ে ধরে বলবে 'মা আমাকে আপ্পির গল্প বলো'। বড়জন এই দৃশ্য দেখে ঐ দূর অজানার দেশ থেকে খুব আনন্দিত হবে।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
...হুমম...
nawarid nur saba
মধুর অথচ ভীতিকর! বর্ণনা খুব ভালো হয়েছে।
সুমিমা ইয়াসমিন
খুব ভাল লাগল। শুভেচ্ছা
অতি চমৎকার তা বলাই বাহুল্য।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আমি তো আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম। প্রতিটি পর্বই আগ্রহ নিয়ে পড়েছি, আজ শেষটা পড়ে আবার মুগ্ধ হলাম। এত সুন্দর সমাপ্তি! আপনার লেখা পঞ্চম পর্ব থেকে প্রথম পড়েছি, তারপর পুরনোগুলোও পড়ে ফেলেছিলাম এক বসায়। আপনার এত ভাল লেখার হাত...আন্তরিক অনুরোধ জানাচ্ছি আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে আসার জন্য। আপনার আর পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল।
এই অনবদ্য সিরিজটির মাধ্যমে মাতৃত্ব এর এক অনন্য অজানা দিক আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে...
আমি একদম আপনার প্রথম লেখা (হায়রে ছেলেমানুষ) থেকে আপনার পাঠক। আজকে একটা কথা আপনাকে বলে যাই, আমি খুব করে আশীর্বাদ করছি আপনার দুটি ফুটফুটে দেবশিশু যেন আপনার স্পিরিটটা পায় - হ্যটাস্ অফ টু ইউ আপু! আগুনের পরশমনি ছুয়ে যাক আপনার সংসার!!
শেষ?
এখন তাইলে কী নিয়ে লিখবেন বলেন তো?
পিচ্চিদেরকে মানুষ করাও বড়ই জটিল বিষয়, সেইটা নিয়ে মানে এক্কেরে বেবি কেয়ার অভিজ্ঞতাও পড়তে আগ্রহী।
ওহ! দ্বিতীয় জন হওয়ার গল্পও বাকি আছে তো!
আপনার পিচ্চিদেরকে অনেক অনেক আদর, তারাও আপনার মতই দুর্দান্ত সাহসী নারী হোক!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
আপনার এই সিরিজের প্রতিটা লেখা নিজে পড়েছি, অন্যদের জোর করে পড়িয়েছি, আর শেষ পর্বটা শেষ করে হু হু করে কেঁদে ফেলেছি। যে অনুভূতি ছেলে হবার কারণে নিজের কখনো হবেনা, আমার মা যে অনুভূতি কখনো আমার সামনে প্রকাশ করবেন না শুধু রাতের পর রাত আমার জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকা ছাড়া, আপনার কথাগুলোতে সেটার একটুখানি আভাস পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে। অনেক অনেক ভালো থাকবেন আপনার রাজকন্যাদের নিয়ে, আমাদের সব সন্তানদের কৃতজ্ঞতা ও আশীর্বাদে।
অসম্ভব ভাল লাগা কিছু অনুভূতি কখনও প্রকাশ করা হয়ে উঠেনা।
এই সিরিজের একটা লেখাও পড়তে দেরি হয়নি,
তাও কিছু বলা হয়ে উঠেনি।
সবাই সব ভাল ভাল কথা বলে ফেলেছে।
আমি শুধু একটা কথাই বলব-
hats off to you for this series..
ভাল থাকুন,অনেক ভাল। সবসময়।।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
চুপটি করে পড়ে গেছি এতো দিন। স্বর্গীয় অনুভূতি, কষ্ট গুলো ও সুখ হয়ে যায়। বাবুন গুলার জন্য অনেক আদর। আর আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সবটুকু অহংকার শুধু আপনার।
শেষ হয়ে গ্যালো!
আরো কোন অলৌকিক অভিগজ্ঞতার অপেক্ষায় রইলাম।
সততই ভালো থাকবেন।
অসাধারণ! আপনি আমার পছন্দের লেখক প্রথম পোষ্ট থেকেই - ধন্যবাদ আপনার প্রাণখোলা ও প্রয়োজনীয় সিরিজটার জন্য - অনেক অনেক শুভকামনা ।
আপু,এত সুন্দর লেখ কিভাবে??
আপু,এত সুন্দর লেখ কিভাবে??
চমৎকার। ধন্যবাদ এই যাত্রায় আমাদের সাথী করার জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সিরিজটা পড়ে এতো ভালো লাগলো। আমার বাবুটা ধরে রাখতে পারিনি আমি, বুঝতেই পারিনি আমি প্রেগনান্ট ছিলাম। ২ মাস আর একটা ভুল ওষুধ.. I miss him so much..
একটা বাবু আমার হোক এটা আমার অনেক শখ কিন্তু তাই বলে এমন কষ্ট এমন ব্যথা সহ্য করতে হবে নাকি?! এই তীব্র ব্যথার পর মা বাবু দেখে খুশী হয় কেমন করে? আমাকে তো কেউ ব্যথা দিলে আমি তার উপর অনেক রাগ হই। আর কথাই বলতে ইচ্ছা করে না। মা হবার পর কি মানুষের সব কিছু বদলে যায়? রাগটাও?
আপু অজানা ভুবনটা দেখানোর জন্য ধন্যবাদ। লিখতে থাকো পাশেই আছি।
সিম্পলি বিউটিফুল !
আপু আপনার লেখার অন্য রকম একটা যাদু আছে ...... পড়লে মনে হয় যেন আমার ই কোন কাছের মানুষের ঘটনা পড়ছি...... খুব ভাল লাগলো
আপনার প্রত্যেকটি পব যত্ন সহকারে পড়েছি। বাংলায় এমন একটি লেখা জরুরী ছিল। আমি এপিডুরাল ব্যবহারের পক্ষপাতি। কারন এই অমানষিক যন্ত্রনার হাত থেকে মা-দের যদি একটু রিলিফ দেয়া যায়। তবে অনেককে বলতে শুনেছি - এপিডুরাল ব্যবহার ঠিক না কারন এটা একধরনের প্রাকৃতিক যন্ত্রনা। আরে বাবা আমাদের রোগ যন্ত্রনাও তো প্রাকৃতিক তাহলে রোগ যন্ত্রনা প্রশমনের জন্য চিকিৎসা হয় কেন? ডাক্তাররাও নাকি রোগীর সঙ্গে নিষ্ঠুর ব্যবহার করে। এতে কি সাইকোলজি কাজ করে জানি না। যাক আপনার পরিবার সুন্দর হোক,ভাল থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন