আর অনির দিদা, দুষ্টু একদিন না গেলে পরেরদিনই মায়ের কাছে খোঁজ লাগাবেন, দিদার ওর সাথে গল্প না করলে নাকি পেটের মাঝে ভুটভাট শব্দ হয় রাতে! অনি আর দিদার সাথেই দুষ্টুর যতো গল্প। দিদার পান ছেঁচা নিয়েও কতো রেষারেষি! আর দুষ্টুর নানাভাই? মনে মনে ও সব্বার সাথে উনার তুলনা করে আর লম্বা লম্বা শ্বাস ফেলে! ওর দুঃখ দেয়ালের ঐ ডোরাকাটা জামা পরা টিকটিকিটাও বুঝে, দেখোনা কেমন সায় দেয়, ঠিক ঠিক ঠিক!
নানাভাই বড্ড রাশভারী, বাড়িসুদ্ধ লোক তাকে যমের মতো ভয় পায়! যমের মতো ভয় পাওয়া কথাটা ও শিখেছে রূপকথার বই থেকে। বড়মামার পুরানো বই, পাতাগুলো ঝুরো ঝুরো! যম নিশ্চয়ই ভীষণ কেউ হবে, সবাই সেই গল্পে যমকে যা ভয় পাচ্ছিলো সে আর বলার নয়। কিন্তু পুরনো বইয়ের যা হয়, গল্প শেষের আগেই পাতা হাপিশ। ব্যস যম মহারাজের সাথে ওর পরিচয়টা তাই আর সেযাত্রা হয়ে উঠলোনা!
মাঝে মাঝে মা তাদের ছোটবেলার গল্প করেন, তখন বলেন, নানাভাই বাসায় থাকলে নাকি তারা শব্দ করে নিঃশ্বাসও নিতেন না, হাঁটতেনও পা টিপে টিপে! উনি বাইরে গেলেই নাকি টিভি চলতো, আর পাঁচ বোন তিনভাই এর একজন বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাহাড়া দিতো আর সবাইকে। নানাভাইকে রাস্তার কোণায় দেখা মাত্র ভিজে তোয়ালে দিয়ে টেলিভিশনের উপরেরটুকু মুছে সবাই যে যার মতো পড়তে বসতো গলা ছেড়ে! বড় খালা নাকি ভুটানি [দুষ্টু নিশ্চিত না তবে এরকমই কিছু একটা হবে মনে হয় শব্দটা!] আর ডাক্তারিতে একসাথে সুযোগ পেয়েছিলো পড়তে, কিন্তু রক্ত ভয় পায়, আর তার চেয়েও বেশী ভয় পায় নানাভাইকে তাই নাকি খাটের তলায় লুকিয়ে ছিলো ভর্তির দিন। নানু হাতে পায়ে ধরে সেবার বাঁচায় বড়খালাকে! তবে বড়খালা দারুণ মানুষ, মানুষের ডাক্তার না হতে পারলেও গাছের নাকি ডাক্তার হয়েছে!
দুষ্টুর বয়স সাত। সত্যি করে বললে সাত বছর নয় মাস বারো দিন। টুম্পা, বড়খালার মেয়ে ওর আটমাসের বড়। টিপু টুম্পার বড় ভাই, সব্বার বড়, ক্যাডেট কলেজে পড়ে। খুব বিচ্ছু। ছুটিছাটায় এসে খুব জ্বালায় ওদের। তাও নানাভাই টিপুকে খুব ভালোবাসে।নানাভাইয়ার কাছে দুষ্টুই সবচেয়ে খারাপ। যেখানে যা কিছু ভাঙ্গে নানাভাই নির্ঘাত বলবে দুষ্টুটার কাজ, সে ও করলেও, আর না করলেও! মা তো আরও এককাঠি এগিয়ে। আরও দুই তিন বছর আগে, দুষ্টু যখন একটু একটু বুঝতে শিখেছে কেবল আর প্রশ্ন করতে পারে ননস্টপ তখন মা খাটের সাথে ওর পায়ে দড়ি বেঁধে রাখতো যেন ও দুদ্দাড় ছোটাছুটি করতে না পারে!
নানাভাই কক্ষণও একটা ভালো কথা বলবেনা না ওকে নিয়ে। নতুন কেউ বেড়াতে এলে পরিচয় করাতে গেলেও বলবেও বিচ্ছিরি করে, যেন দুষ্টুর একমাত্র কাজ হলো হুলোর লেজে তুবড়ি জুড়ে দেওয়া বা ল্যাং মেরে টুটুলকে ফেলে দেয়া। ওর একদম ভালো লাগে না এসব। মাকে বলেও কিছু হবে না, উলটে মাও দু’কথা শুনিয়ে দেয়, ‘কেন, একটু শান্ত-দান্ত হয় বসে থাকলে কী হয় তোমার? সারাক্ষণ এরকম দৌড়ে বেড়াও কেন শুনি?’ শান্ত হয়ে বসে থাকলে কী হবে সেটা ও ভেবেও পায় না! কেনই বা বসে থাকবে? হাত দুটোকে দুইপাশে মতো ছড়িয়ে বারান্দা ধরে হুশ করে দৌড়ে গেলে যে নিজেকে প্লেন মনে হয় এ কথা মাকে কিকরে বুঝায় বেচারি!
সেদিন আরেক কাণ্ড হলো, নানাভাইয়ের কাজের ছেলেটা ভুলে উনার দুধে চিনির বদলে লবণ দিয়েছিলো, আর অবধারিত ভাবে দোষ হলো দুষ্টুর! নানাভাইয়ের সে কী রাগ! সবসময় নাকি দুষ্টু উনার পিছনে লেগে আছে, টুম্পা-টিপু কতো লক্ষী, দুষ্টু কেন এরকম হতে পারে না। মা রেগে ভোম্বল! দুষ্টুর পিঠে দুমাদুম কিল দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘এটা জন্মালো কেন? এটাকে পেটে ধরার আগে আমার মরণ হলোনা কেন!’ দুষ্টু খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলো, দুপুরে খাবার পরে বসে বসে রাক্ষসের গল্পের বইটা রঙ করছিলো ও একমনে, হঠাৎ একী দুর্বিপাক! খুব রাগ হলো ওর, আর অভিমান! তাই দুপুরে যখন সবাই ভাত ঘুম দিচ্ছিলো তখন সে চুপিচুপি গেলো নানাভাইয়ের রুমে। গিয়ে কাঠের স্কেলটা দুহাতে ধরে ঘুমন্ত নানাভাইয়ের টাকের উপরে খটাস খটাস খটাস করে তিনবার বাড়ি দিয়ে স্কেল ফেলে একদৌড়ে বাইরে মাঠে! সন্ধ্যায় বাবা বাড়িতে ফেরার পরে নালিশের তুবড়ি আর ফলশ্রুতিতে সেই একই স্কেলের এই এত্তোগুলা বাড়ি পড়লো মেয়েটার পিঠে। সারা পিঠে জ্বলজ্বলে লাল দাগ নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে ছিলো দুষ্টু, একবারের জন্যেও চোখ সরায় নাই নানাভাইয়ের থেকে। মারতে মারতে বাবা হাঁপিয়ে পড়লে দাঁতের ফাঁক দিয়ে একবার বলেছে, ‘দুধে লবণ আমি দেইনাই!’ আর একটা কথাও না!
এরপর থেকে ও নানাভাইকে এড়িয়েই চলতো একরকম। চেষ্টা করতো সামনে না পড়তে। আর সামনে পড়লে ভাব করতো যেন দেখেনাই, মা আর বাবা অনেক চেষ্টা করেও কথা বলাতে পারেনাই ওকে। প্রায় আটবছরের মেয়ের এই জেদ নিয়ে বাবা মা দুজনেই বিরক্ত খুব। পাড়া শুদ্ধ মানুষ তাদের মেয়েকে ছেলে মনে করে এতোটাই ডানপিটে হয়ে উঠছে দুষ্টু। কারও কোনও নালিশ নাই কিন্তু মা যখন নাচের স্কুলে যায় তখন মাঝে মাঝে তুলির মা শঙ্কা প্রকাশ করে বসেন দুষ্টুর ভবিষ্যৎ নিয়ে, এই দস্যিকে কে বিয়ে করবে এই নিয়ে সবার এখন থেকেই চিন্তা!
আম্মুর শরীরও খারাপ হয়ে যায় আস্তে আস্তে। বিচ্ছিরি মোটা হতে শুরু করে কেমন জানি। আর সারাক্ষণ দুষ্টুকে বকবে। রাজ্যসুদ্ধু লোক বকাবকির জন্য শুধু ওকেই খুঁজে পায়!
দিন মাস বছর ঘুরে এরপরে দুষ্টুর জন্মদিন আসে। নভেম্বর শুরুর সপ্তাহ। ঢাকায় তখনও তেমন ঠাণ্ডা পড়েনাই। নানা ভাই সপ্তাহ খানেক আগে গেছেন দেশে। জন্মদিনের দিন সব্বাই আসে ওদের মোহাম্মদপুরের বাড়িটাতে। বড়খালামনি, গমখালামনি, মিলুখালামনি আর আঁকামনি! এত্তোগুলা করে বই পায় দুষ্টু। আম্মু আর আব্বু তখনই বোমাটা ফাটায়! বলে ওর জন্যে নাকি একটা ভাই নিয়ে আসবে হাসপাতাল থেকে। পরের মাসেই। সবাই বলে যে আম্মুর ঐ বিশাল পেটের মাঝে নাকি ওর ভাই টা ঘুমাচ্ছে! ও ভেবে পায়না যে ভাই কেন? ওর তো ভাইয়ের দরকার নেই। বোন হলে না একটা কথা ছিলো! একথা বলতেই হাসাহাসির রোল পড়ে যায় বাড়িতে যেন ও একটা খুব মজার কথা বলেছে!
এর দুদিন বাদে নানাভাই ফিরে আসে, আবার সেই আগের রুটিন! ডিসেম্বর আসে, আম্মু ভাইকে আনতে হাসপাতালে যায়। এক বস্তা কাপড়ের মাঝে জড়ানো একটা এইটুকু বাঁদরের মতো দেখতে কিছু একটা নিয়ে ফেরে। উফফ! মানুষ এতো বোকা হয়! কোথায় ওর মতো বড়সড় কাউকে আনবে, তা না! এইটুকু পুচকিকে নিয়ে খেলা যায়? সবাই কেমন ব্যস্ত এইটুক চিড়িয়াটাকে নিয়ে, ওর দিকে আজকাল কেউ ফিরেও তাকায় না। আর বাচ্চাটাও একটা বিচ্ছিরি! সারাদিন ট্যাট্যা করে চিল্লায়! নানাভাইয়ের দিকেও আজকাল আম্মুর তেমন খেয়াল নেই। তার মন সবসময়েই পড়ে থাকে পিচকুর দিকে! নানা ভাইয়ের সাথে কথা বলতে বলতেও হুট করে উঠে চলে যায় বাবুটাকে দেখতে, তখন নানাভাইয়ের চেহারাটা দেখতে ওর খুব ভালো লাগে, দুষ্টু ভাবে, এক্কেবারে ঠিক হয়েছে! এখন নানাভাইও বুঝুক ওর কেমন লাগে।
তারপরে একদিন অবাক ব্যাপার ঘটে, দুষ্টুর টেবিলের উপরে কে যেন একটা বই রেখে যায়, চাঁদের পাহাড় নামের। আম্মু আব্বু বলে তারা রাখেনাই। আর কে হতে পারে ও ভেবে পায়না! দুদিন বাদে আরও একটা, এবারে হাকলবেরি ফিন। চাঁদের পাহাড় পড়েই দুষ্টু উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে! কী সুন্দর বই! এরপরে আসে আরও একটা, সুইস ফ্যামিলি রবিনসন! বইগুলো গোগ্রাসে গিলতে থাকা দুষ্টু জিজ্ঞেসও করে না আজকাল যে কে ওর টেবিলে বইগুলো রেখে যায়, শুধু অপেক্ষায় থাকে নতুন বইয়ের! আম্মু বলে বিশ্বাস করাতে না পারলেও একদিন ও নিজেই দেখে ফেলে নানাভাই কে বই রেখে যেতে! অনেক কিছু বুঝতে না পারলেও ও ঠিকই বুঝতে পারে যে পিচকুকে নিয়ে আম্মু ব্যস্ত বলেই এখন ওর প্রতি নানাভাই মনো্যোগ দিচ্ছে। ও হাসে! আজকাল পিচকুকেও ওর খারাপ লাগে না। আটবছরের দুষ্টু একটা কথা ভালোই বুঝেছে এখন - যা হয়, তার মাঝে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়াই যায়!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার কথাঃ
গেলো কিছুদিন ধরে খুব নানাভাইয়ের কথা মনে পড়ছিলো। সেলফোনে কাকে যেন মেসেজ পাঠাতে গিয়ে চোখে পড়লো নাম্বারটা। উনি মারা গেছেন দু’বছরের বেশী, মজার ব্যাপার হলো আমাদের পরিবারের কেউই আমাদের ফোন থেকে উনার নাম্বার মুছে ফেলিনাই। কারনে অকারনে নাম্বারটা চোখে পড়লে মন খারাপ হয়, তাও মুছি না। কী আছে জীবনে, বাস্তবে না থাক, মোবাইলের নাম্বার লিস্টে নামটা থাকুক না!
ছেলেবেলায় দুজন দুজনকে খুব জ্বালিয়েছি। সাপে নেউলে সম্পর্কের উৎকৃষ্ট উদাহরন ছিলাম আমি আর নানাভাই। বড় হতে হতে দূরত্ব কমে যায় অনেক। একটা দুর্ঘটনার পরে চিরকাল একা থাকার রোগটাকে অগ্রাহ্য করেই, আমি আর আম্মু নানাভাইকে নিয়ে আসি আমাদের বাসায়। তখনও আমাদের নিয়ম করে দিনে একবার ঝগড়া হতো। জাবি থেকে ফিরতে দেরী করলে আম্মু ফোন না দিক, নানাভাই ঠিক ফোন দিতোই! বাসায় ফিরে সবার আগে একদফা গল্প করতাম নানাভাইয়ের সাথে, দেশ ও জাতির যে কিস্যু হবে না এই বিষয়ে আলোচনা উত্তপ্ত হবার আগে আম্মু চা এনে মোড় ঘুড়িয়ে ফেলতো আলোচনার।
নানাভাইয়ের অসুস্থতাটা পুরোটা দেখেছি একেবারেই কাছ থেকে। ডায়ালাইসিস গুলো দেখতে হয়নাই এই রক্ষে! শেষদিনেও কাছে ছিলাম সবসময়ের জন্য। হাতের স্পর্শে যখন টের পেলাম নানাভাইএর ফিস্টুলা করা শিরায় বন্ধ হয়ে গেছে রক্ত চলাচল তখন অদ্ভুত লেগেছিলো। এইই কি জীবন? একটা মূহুর্ত, এর পরেই নাই?
উনার জীবদ্দশায় কখনও বুঝিনাই যে আমাদের এই দ্বীপের মতো জীবনে নানাভাই কতোবড় একটা সেতুবন্ধন ছিলো! স্মৃতি জিনিসটা আসলেই খারাপ। খুবই!
মন্তব্য
গল্পটা জানি খানিক আগে শুনছি শুনছি মনয়...
ফাজলামি বাদ দেই।
চমৎকার একটা গল্পের জন্য গাল্পিককে অনেকগুলা । লেখনী আরও জোরসে চলুক।
হ! ফাজলামি বাদ্দাও! তোমার কা কা বহুৎ শুনসি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কা কা! গঠনমুলক সমালোচনা বুঝো? কাঁপায়া দিছি হেইটা কও!
যে মন্তব্য আগে করসিলা সেইটা কইরা বসোনাই ভাগ্যিস! কম্বল নিয়া আমি সচলে আসি না যে মুখ লুকাইতে পারতাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কা কা! গঠনমূলক সমালোচনা বুঝো? কাঁপায়া দিছি হেইটা কও!
আরে, এই আদ্যিকেলে এক নম্বর ল্যাজযুক্ত আয়নামতি আবার কোত্থেকে এলো?
হিহিহি পাস ভুলে গিয়েছিলাম পছন্দনীয়। ফাষ্টু হবার জন্য ওটা ব্যবহার করেছিলাম। কিন্তু সে গুড়ে বস্তা বস্তা বালি
আহম! ফার্স্ট হৈতে বেশক মজা।
'মা মা, আমি ফাশট কেলাস ফাশট হয়েচি!' -বলেছিস? বলেছিস এটা?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ইসস! ঐতিহ্যবাহী খ্যাত!
ফাশটু হলে কী পেতেন? ঢেলা ঢেলা গুড়?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পড়ে আমারও মন খারাপ হলো রে... ভালো লিখিস তুই।।
কিছু মনে করবেননা, আপনার নামে আমার একজন বড়ভাই আছেন, জাবিতে পড়তেন, আমার নামের প্রথম অংশটা তার কাছে কি চেনা মনে হলো - আপনি কি সেই বড়ভাই তুমি!!
জ্ঞানী ভাইয়া, থ্যাঙ্কু! তোমাকে জোর করে করে পড়ালাম!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার নানার কথা মনে করিয়ে দিলেন, গল্পের শেষটা ভাল লাগলেও এখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমার নানাও চলে গেছেন, না ফেরার দেশে
facebook
হু! ভালো মানুষেরা বাঁচেনা বেশীদিন আর সাঈদিরা দাঁত খিলাল করে চিরটাকাল!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
@তারেক অণু, কাজটা ঠিক করেননি একদম প্রথম মন্তব্য করে আমি ফাষ্টু হতে চেয়েছিলাম, আর আপনি হুট করে এসে মন্তব্য করে ফেললেন
'নানাভাই' নামের এই অসাধারণ মায়ার মানুষটির সাথে আমার দেখা হয়নি। আমার জন্মের আগেই তিনি ঘুমের দেশে পাড়ি জমান দুষ্টুর জন্য শুভকামনা( যেন ভালো শান্ত সুবোধ একটা বর পান )। আর নানাভাইয়ের জন্য শান্তির প্রার্থনা করছি।
শুধু শুধুই তারেক ভাইকে ঝাড়লেন। উনার আগেই আরেকজন প্রথম মন্তব্য করার দুষ্কর্মটি করে ফেলেছেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
হ, উনার আগেই 'অন্যকেউ' মন্তব্য করে ফেলেছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আহারে! এই পাকাদের থেকে আমরা নবীনেরা শিখতে পারি ল্যাজটা উচ্চে তুলে নাচার আসল উপায়!
শান্ত সুবোধ বরটার কথা ভেবে দুঃখ হচ্ছে! আহারে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভুটানি পড়েই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম, কিন্তু শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেল
অফটপিকঃ psycho আপু, কেমন আছেন? আপনি বলেছিলেন আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে। পারলাম কই? tc
এ হাসনাত।
আআআ!!!??? আপনি কে?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
পছন্দ হলোনা?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শেষের দিকটা বেদনা ধরিয়ে দেয়। আমার দাদুভাই মারা গেছেন আজ থেকে ১৩ বছর আগে। ডাক্তার ছিলেন উনি। আমাকে পিঠে করে ঘুরাতেন। আমার বায়না, আবদার, অন্যায়, সব দাদুভাইকে ঘিরে ছিল, এমনকি মায়ের পিটুনি থেকে বাঁচাবার মসিহা ও সেই আমার দাদু ভাই । তারপর একদিন দুরারোগ্য ক্যান্সারে লোকটা আমার চোখের সামনে তিল তিল করে শেষ হয়ে গেলো। আমি চেয়ে রইলাম। এমনকি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর দাদু ভাই আমার কাছে আসতে চাইত না , আমি যেতে চাইতাম, কিন্তু উনি আসতেন না । তারপর অনেক পরে মায়ের মুখেই শুনেছি, দাদু আড়ালে কাঁদতেন তার সবচেয়ে প্রিয় নাতিটির জন্য।
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনি তাও ভাগ্যবান। আমার কখনও কারও ঘাড়ে চড়ে ঘোরার সৌভাগ্য পাইনাই। মাথার বিলি কেটেও কেউ কখনও ঘুম পাড়ায় নাই! বড় হয়েছি বলা যায় একা একাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গল্পের দুষ্টুর মত আপনিও দেখা যায় কম দুষ্টু না? দিলেনতো মনটা খারাপ করে।
তবে গল্প বেশ ভালো হয়েছে।
আমি আমার নানাকে দেখিনি, আমার জন্মের অনেক আগেই তিনি ওপারে চলে গিয়েছিলেন কিন্তু নানুকে দেখেছিলাম। উনার শেষসময়টা উনি আমাদের বাসাতেই কাটিয়েছিলেন। এখন মাঝে মাঝে আফসোস হয়, উনার সাথে যদি আর ভালো ব্যবহার করতাম, আরো কিছুদিন যদি উনি থাকতেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
এহ, সরি সরি!
এই আফসোস আমার নাই, আরো বাঁচলে উনি আরও কষ্ট পেতেন। উনি কষ্টটা ডিজার্ভ করেন না!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গপ্প ভালা
কিন্তু আপনি চিরটাকালের মতোই খ্রাপ!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
একদম দুষ্টু বালিকা স্টাইলের লেখা৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
দিদি গঞ্জনা দাও! হাহাহা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
গল্পটা পড়তে পড়তে দাঁত দেখাচ্ছিলাম, কিন্তু শেষটা পড়ে তো.......
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
এমা! দাঁত কই হারালেন নীড়দা?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
চমত্কার গল্প। গল্পের শেষটা মন ভারাক্রান্ত করে দিলো।
নানা'কে দেখি নাই। আমার ধরণীতে পা ফেলার আগেই তিনি ভিন্ন জগতে পাড়ি জমান।
দাদাকে হারিয়েছে খুব ছোটবেলায়। শুধু মনে পড়ে, খুব পিচ্চি থাকতে তিনি কাঁধে করে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন গ্রামের মেলাতে সারাদিন। (বিশাল উদাস হয়ে যাবার ইমো হবে)।
ধন্যবাদ! দাদাকে জানার সৌভাগ্য হয়নাই! সবার থেকে শুনেছি দাদা অসাধারন মানুষ ছিলেন। অবশ্য আমার মেজ চাচাকে দেখলে আন্দাজ পাওয়া যায় কিছুটা। উনাকে জানার সুযোগ থাকলে ভালো হতো! যাইহোক, we are worlds apart now!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নানা-নানী, দাদা-দাদী কারো আদর পাইনি। ইশ কী যে পাইনি জীবনে সেটাই ভাবি...
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
অনেক কিছুই মিস করেছেন। নিজের নানাভাইকেই শুধু পেয়েছিলাম। নানী, দাদা-দাদীকে না। তাই পুষিয়ে নিয়েছি বন্ধুদের নানা নানী দাদাদী দের দিয়ে। থোতোদের সব্বাই ভালোবাসে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম, আপনি নিয়মিত লেখেননা কেন? আপনার নানুভাইয়ের আত্মার প্রশান্তি হোক, আমিতো আমার নানাভাইকে দেখিইনি, সেটাও আমার একটা আফসোস। শুভেচ্ছা, লেখা অসাধারন হয়েছে। আপনি জাবির স্টুডেন্ট, খুব ভালো লাগলো জেনে!
আপনিও জাবির নাকি?
ইয়ে মানে, লেখালেখি আমার তেমন কোনও জাতের হয় না এ আমি নিজেই জানি বলে মানুষজনকে বেশী কষ্ট দেইনা! কালে ভদ্রে যখন পেট খুব কামড়ায়, তখন এক আধটা লেখা আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে বেড়িয়েই যায়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার নানাভাই মারা গেল গত বছর এই সময়ে। নানা-নানুর কাছে বড় হয়েছি, তাই স্মৃতিগুলো তীব্র। মনে পড়ে গেল
দুঃখ পাবেন না। ভালো স্মৃতিগুলো মনে করুন! সেগুলইতো আমাদের সঞ্চয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
দুঃখ পাচ্ছি না। মানুষ হিসেবে অভিযোজিত হবার অদ্ভুত একটা ক্ষমতা আছে না? ভালো থাকুন নিরন্তর
কথা সত্যি! মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়, আর বেঁচে থাকতে ভুলেও যায়!
ভালো থাকাটাকে জিম্মি না করে দিয়েচলুন সবাইকে নিয়েই ভালো থাকি!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অনেক মিষ্টি কথা মনে পড়ে গেল। লেখা ভালো লাগল।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধনে পাতার গোছা ন্যান লতাদি, কথাগুলো শেয়ার করলে হয় না?
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
অদ্ভুত জীবন ... ভালো লেগেছে লেখাটা, পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলো কিছু ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হুম! জীবন আসলেই বড় অদ্ভুত! একসময় যাকে চক্ষুশুল মনে হবে আরেকসময় দেখবেন তার জন্যে কেমন আজব পেটপুড়া!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ছেলেবেলা পুরোটাই কেটেছে নানাবাসায়। বড় হয়ে উঠার পুরোটাই বলতে গেলে নানার ছায়ায়।যেখানেই নানা, সেখানেই আমি।নানা আমাকে নানার হাতের লাঠি বলতেন। আমার যতটুকু আমি, নানা আর আমার বড় ভাইয়া না থাকলে তার কিছুই হত না। নানা,আমার জীবনে দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল মানুষ।
নানাকে দেখিনা প্রায় বছরতিনেক হয়ে এলো, এখনো বিশ্বাষ করতে কষ্ট হয় নানা নেই।
শেষের দিকে কয়েক বছর নানা প্রচন্ড কষ্টের সাথে শয্যাশায়ী ছিলেন।একই বাসায় থেকেও ওই সময়ে নানার পাশে বসতে পারিনি খুব একটা,জীবনের জন্য একটা আফসোস জমা রয়ে গেল।
যাকে জন্ম থেকে দেখে এসেছি পথপদর্শকের জায়গায়,তার শেষ সময় এতটা কষ্টে যাবে-এই ব্যাপারটা সহ্য করার মত শক্তি কখনো পাইনি।কেবলি মনে হত,নানা বুঝে ফেলবেন আমার কষ্টটুকু।আরো কষ্ট পাবেন..
আজকাল নানার কথা খুব বেশি মনে থাকেনা। তবুও মাঝে মাঝে নানাকে একলা কবরে রেখে আসা দিনটা মনে পড়লেই,বুকের ভেতরটা দুমরে মুচড়ে একাকার হয়ে যায়।
কাউকে কিছু বলা হয়ে উঠেনা।পাহাড় ভারি বুক ছেড়ে বের হয়ে আসে কিছু দীর্ঘনিঃশ্বাষ।
কিছুই করার থাকেনা,ওই যে
boys dont cry..তাই.. :'(
'কিছু মানুষ তাদের না থাকার মাঝেই বড় বেশি করে থেকে যান..'র আমর বড় ভইয় ন থকলে তর কিছুই হত ন। নন,আমর জীবনে দেখ পৃথিবীর সবচেয়ে ভল মনুষ।
ননকে দেখিন প্রয় বছরতিনেক হয়ে এলো, এখনো বিশ্বষ করতে কষ্ট হয় নন নেই।
শেষের দিকে কয়েক বছর নন প্রচন্ড কষ্টের সথে শয্যশয়ী ছিলেন।একই বসয় থেকেও ওই সময়ে ননর পশে বসতে পরিনি খুব একট,জীবনের জন্য একট আফসোস জম রয়ে গেল।
যকে জন্ম থেকে দেখে এসেছি পথপদর্শকের জয়গয়,তর শেষ সময় এতট কষ্টে যবে-এই ব্যপরট সহ্য করর মত শক্তি কখনো পইনি।কেবলি মনে হত,নন বুঝে ফেলবেন আমর কষ্টটুকু।আরো কষ্ট পবেন..
আজকল ননর কথ খুব বেশি মনে থকেন। তবুও মঝে মঝে ননকে একল কবরে রেখে আস দিনট মনে পড়লেই,বুকের ভেতরট দুমরে মুচড়ে এককর হয়ে যয়।
কউকে কিছু বল হয়ে উঠেন।পহড় ভরি বুক ছেড়ে বের হয়ে আসে কিছু দীর্ঘনিঃশ্বষ।
কিছুই করর থকেন,ওই যে
boys dont cry..তই.. :'(
'কিছু মনুষ তদের ন থকর মঝেই বড় বেশি করে থেকে যন..'
নানাভাইকে নিয়ে গল্প করার মতো খাতির কখনই ছিলোনা আমার। রোজ রোজ নিয়ম করে ঝগড়াই করতাম শুধু! যেকোনও কিছু নিয়ে! মুক্তিযুদ্ধ থেকে তারে জমিন পর সিনেমা নিয়েও। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিটার ঝুড়ার নিউক্লিয়াস ছিলো নানাভাই। সবার সাথেই তেজের সাথে দুনিয়ার সব কিছু নিয়ে ঝগড়া করতো! সেগুলো মনে পড়ে খুব!
ভালো থাকেন!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নানার স্মৃতি বলতে একটা জিনিসই কেবল মনে পড়ে। নামাজের অযু শেষে নানা কাঠের খড়ম পরে খটখট শব্দ করে হাঁটতেন। সেই খড়মের শব্দ এখনো আমার মাথায় আঁটকে আছে।
নানা যখন মারা যায় তখন আমি অনেক ছোট। কেউ মারা গেলে দুঃখ পেতে হয় তা তখনো কেউ শিখিয়ে দেয়নি দেখে নানার মৃত্যুতে আমার তেমন কোন ভাবান্তর হয়নি। শুধু মনে পড়ে নানা যেদিন মারা গেলেন সেদিন সবাই খুব কাঁদছিল আর আমি আমার চাইতে বয়সে খানিকটা ছোট এক খালাত ভাইকে বেদম পিটিয়েছিলাম খেলনা নিয়ে ঝগড়া করতে গিয়ে।
আমার মনে আছে নানাভাইএর গার্গল করার শব্দ! খুব শব্দ করতেন, বিরক্ত হতাম অনেক। এখন সকাল গুলো খুব শব্দহীন! ভাগ্যিস পুরোন বাসাটা ছেড়ে এসেছি, সেই বাসায় নানাভাই এর রুমটা খুব নিঃসং করে দিতো মাঝে মাঝে!
পড়েছো দেখে ভালো লাগলো!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
দুঃখ পেতে নেই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আবারও? তোমার কপালে সিরিয়াসলি মাইর আছে!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নানাভাইয়া ছিলেন বাড়ির বড় ছেলে, নানুমনিও তাই। দুই বংশের প্রথম মেয়ে আমার মা। আর সেই ঘরে যখন বড় নাতনি হিসেবে আমি এলাম, আদরের মাত্রা দাঁড়াল বাড়াবাড়ির চাইতেও বেশির পাল্লায়।
এত অসম্ভব রকমের আহলাদে মানুষ হয়েছি, [এখনো অবশ্য আদর কমেনি ], পিচকি কাজিনগুলো হিংসে-ই করে বলতে গেলে।
লেখা ভাল্লাগলো।
আর আমার নানাভাইকে নিয়ে লেখাটা এখানে ---কাশ ফুলের কাব্য.... :)-
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পড়েছি! আমি শুধুই মাইর খাইসি! নো আদর! তাই আমি বাদর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
নতুন মন্তব্য করুন