তোমার নাম কী?
তোমার বাবার নাম কী?
একটা ছড়া বলতো?
একটা গান গাও তো?
ছোট্টবেলায় আমাকে পেলেই সবাই এইসব প্রশ্ন করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত। আর আমিও একদম রেডি থাকতাম গান গেয়ে বা ছড়া আবৃত্তি করে সবার প্রশংসা পাবার জন্য। সব প্রশ্নের উত্তরই যে পারতাম তা নয়। মাঝে মাঝে বাবার নামটা ভুলে যেতাম। এভাবেই চলছিল আমার দিনগুলো।
এরই মাঝে একদিন আম্মা আর মামার সাথে বেশ সেজেগুজে কোথায় জানি বেড়াতে যাচ্ছি। একটি শুনশান নিস্তব্ধ বাড়ির একটি ঘরে গিয়ে আমরা বসলাম। আমি কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না, কেন এখানে আসা? ঘরের বড় টেবিলের এপাশটায় রাখা চেয়ারগুলোতে আমরা বসলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে এক ভদ্রলোক ও একজন ভদ্রমহিলা এলেন। তাঁরা আমাকে একটি কাগজে অ আ ক খ লিখতে দিলেন। অনেকদিন ধরে এসবের চর্চা নেই আমার, তবুও সব লিখতে পারলাম। লেখা শেষে আমাকে কাছে টেনে নিলেন সেই ভদ্রমহিলা। আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে গেছেন, আমাকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর ঐ মুহূর্তে আমি ভাইভা দিচ্ছি। ঐ ভদ্রমহিলা ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। শুরু হলো প্রশ্নঃ
তোমার নাম কী?
তোমার বাবার নাম কী?
একটা ছড়া বলতো?
উত্তরগুলো আমার জানা ছিল। পটাপট বলে দিলাম। ম্যাডাম আমাকে অনেক আদর করলেন। সবার আদর কুড়িয়ে বেড়ানোই তো ছিল আমার কাজ। সেজন্যই কিনা, জানি না, আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘’তোমাকে সবচেয়ে বেশি আদর করে কে?’’ বাবার কথাই মনে হলো সবার আগে। আম্মার কথা এখানে বলার প্রশ্নই উঠে না। তবুও মুখ ফসকে বের হয়ে গেল ‘’সবাই’’। কীভাবে এমন মিথ্যা কথাটা আমি বললাম, এটা ভেবে আমি নিজেই অবাক হয়ে যাচ্ছি তখন। আমার উত্তর শুনে ঐ ম্যাডাম কী বুঝলেন কে জানে? আমার মাকে বললেন, ‘’আপনার মেয়ের মাথায় অনেক বুদ্ধি!’’ পাশাপাশি আমার মাত্রাজ্ঞানের অভাবের কথাটাও জানাতে ভুল করলেন না। ঐ স্যার ও ম্যাডাম আমার মাকে দেখালেন, আমি একটা অক্ষরের উপরেও মাত্রা দিই নি। এজন্য আমাকে প্লে-গ্রুপে ভর্তি হতে হবে। আমার মা আমাকে কিছুতেই প্লে-গ্রুপে ভর্তি করাবেন না।
ওফ! আমি তো মাত্রা দিয়েই লিখতাম! পরে পাশের বাসার টুম্পা, আমারই সম বয়সী, ওকে দেখেছি মাত্রা ছাড়া লিখতে। তাই আমিও মাত্রাছাড়া লেখার চেষ্টা শুরু করেছি। এতে অক্ষরগুলো দেখতে একটু অন্যরকম লাগে। কিন্তু এসব কথা কে কাকে বোঝাবে তখন? যাকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেই আমি চুপ করে বসে রইলাম। আমার মা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তাঁর প্রতিপক্ষের দিকে। এক্ষুনি তাঁর মেয়ে মাত্রা দিয়ে অক্ষর লিখে দেখাতে পারবে। তাঁর মেয়ে খুব দ্রুতই সব কিছু শিখে ফেলতে পারে। সুতরাং আমাকে আবার পরীক্ষা দিতে হলো। এবার মাত্রাজ্ঞান দেখাতে আর ভুল করলাম না। (এখন মনে হচ্ছে ভুল করলেই ভাল হত। সামনে যে খেলার দিনগুলো আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে, তা বুঝতে পারি নি।) জয় হলো আমার মায়ের। আমি নার্সারিতে ভর্তি হবার জন্য মনোনিত হলাম।
আর এভাবেই আরো নতুন নতুন ভাইভার মুখোমুখি হবার জন্য পথ সৃষ্টি হয়ে গেল।
(চালানোর মত হলে চলতে পারে)
রাজকন্যা
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মন্তব্য
আমার ছোটবেলা থেকে ভাইভার একটা কমন প্রশ্ন ছিল। তা হল আমার নামের মানে...........
চালিয়ে যান...
ভাইভা তো শুরুই হয় নাম দিয়ে...
ভাইভাতে নাম নিয়ে অনেক মজার একটা ঘটনা আছে আমার। সেটা এখন বলব না।
ধন্যবাদ।
তবে আমার নাম নিয়ে প্রশ্নটা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের ছিল। স্কুলের ভাইভায় মানে জিজ্ঞেসা করত। অনার্সের তিন বছর বিভিন্ন এক্সটার্নাল/ইন্টার্নাল স্যার ম্যাডামদের কাছে আমার নামটা কোন figure of speech অথবা নামের বানান phonetically correct কিনা এই জবাব দিতে দিতে এত কনফিডেন্ট হয়ে গেছিলাম যে মাস্টার্সে আর ভাইভার কোন প্রস্তুতিই নেইনাই। মোটামুটি বাকওয়াজ আর চাপাবাজিতে অভস্ত থাকায় সে যাত্রা বেঁচে গেছি। পরবর্তীতে চাকরির ইন্টারভিঊতে প্রশ্নকর্তাকে ফাঁদে ফেলে আমার নামের মানের প্রশ্ন করার টেকনিক বের করেছিলাম। ভালই কাজে দিত টেকনিকটা............
টেকনিকটা শেখান না আমাদের!
প্রশ্নকর্তা নামের মানে জিজ্ঞেস করলে বলতাম কোনটার মানে বলব? বাংলা, ইংরেজী নাকি আরবী? তিনটার মানে আর শানে নজুল সহ ব্যাখা করতে করতে ইন্টারভিউয়ের টাইম শেষ.........সাথে জুড়ে দিতে ভূলতামনা নামের বানানটা phonetically ভূল।
আর কেন ভূল এই প্রশ্ন করলে ত আর রহ্মা নাই। সাথে সাথে phonetics নিয়ে কিছু জ্ঞানগর্ভ কথা বলতাম। প্রশ্নকর্তা ভাবতেন না জানি কত জ্ঞানী ব্যক্তিকে ওনারা নিয়োগ দিচ্ছেন!!!! আসলেত জানেননা আমি বছরের পর বছর এই একি প্রশ্নের জবাব দিতে দিতে আর কিছুই শেখার সময় পাইনি।
আমার নামের আরবী আর রাশিয়ান মানে আছে!
হুম! ওই যুগে অবশ্য নার্সারী আর প্লে-গ্রুপ ছিলো খুব কম জায়গায়ই... আমি নিজে নার্সারী প্লে-গ্রুপ কেজি তিনটাই বাদ দিয়ে সোজা ওয়ানে ভর্তি হয়েছিলাম...
আর ইয়ে, আপনি কি তুলিদির রাস্তায় হাঁটতে চাচ্ছেন? তাহলে বলেই দেই - কোয়ান্টাম পথ কঠিন বড়!
আমি তো আমার রাস্তাতেই হাঁটছি। হয়ত পথে তুলিদির সাথে দেখা হলেও হয়ে যেতে পারে। পথ যত কঠিনই হোক, সংগী পেলে মন্দ হয় না।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
দীর্ঘশ্বাস ফেলি আমি, এই সিদ্ধান্তই নিতে হয় আমাকে অবশেষে,
এই পৃথিবীর কোথাও রয়েছে একটি পথ, যুগ যুগান্তরের,
দুটি ভাগে ভাগ হয়েছে একটি বনের মাঝে এসে,
যে পথ ধরে মানুষ গিয়েছে কম, সেই পথ আমি নিই বেছে--
আর এভাবেই সূচনা হল একটি পার্থক্যের।
আহ্ জীবন; এটা সেটা করে প্রস্তুত হওয়াতেই পার হয়ে যায় অনেক বেলা।
সুন্দর ও সাবলীল লেখনি।
হুমম, ওকে। চালাইতে থাকেন, কি আর হইবো, অ্যাক্সিডেন্ট কইরা তো আর মানুষ মারবো না।
-মেফিস্টো
লাইসেন্স দিয়ে দিলেন দেখি!
সেই তিন-চার বছর বয়স থেকে ভাইভা আমার খুবই প্রিয় সবসময়। ভাইভা মানে আমি বাজিমাত করবোই।
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
আপু, আপনার কপালটা আমার কপালের সাথে একটু ঘষে দেবেন? আগামীকাল সত্যিই আমার একটা ভাইভা আছে!
শিশুতোষ গল্প হওয়ার উপযোগী প্লট। শুধু শব্দচয়নে শিশুতোষ ভাবটা বজায় থাকলে বেশ হতো।
, আমা্র শব্দচয়নে শিশুতোষ ভাব নেই জেনে সুখী হলাম। আমি বড় হচ্ছি।
চলুক, আগামী জেনেরেশানের স্কুলের ভাইভা পর্যন্ত চলবে মনে হচ্ছে।
ওরে বাবা, আপনি এত দূর ভেবে বসে আছেন?
ছোটবেলা আর বড়বেলা নতুন কারো সঙ্গে পরিচয় হলেই নামের মানে কী, এটা শুনতে হয়। আর এখন মেডিকেলে এসে ভাইভা দিতে দিতেই লাইফ তো শেহ হয়ে গেল
ভাইভা দেওয়াটা যেমন তেমন। ভাইভা নেওয়ার মত জোস জিনিস দুনিয়াতে আর হয় না। আর ক্যান্ডিডেট যদি হয় আমাদের প্রিয় শাহাদাতের মত কেউ।
আপ্নে দেখা যায় বিশাল ফাঁকিবাজ। এত্ত ছোট লেখা দিয়ে আবার দিসেন চলবে।
যাক, এবারের মত মাফ করে দিলাম, কিন্তু পরেরটা অনেক বড় লেখা চাই।
ভাইভা জিনিসটা আমি বরাবরই ভয় পাই। মোটামুটি সব ভাইভাতেই আমি এখন পর্যন্ত গ্যাড়াইছি।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
বড় লেখা লিখে কারো বিরক্তির কারণ হতে চাই না ভাই।
আপনার অভিজ্ঞতা তো দেখি তাহলে আমার চেয়েও বিরাট! সেগুলো কি আমরা জানবো না?
আমাদের সবার ছোটবেলাতেই মনে হয় কম বেশি এমন যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। ভাল লাগল লেখাটা, আচমকা শেষ হয়ে গেল কেন?!
আপনার দুলাভাইয়ের ভাগ্নে বৌয়ের মামা শ্বশুরের শ্বশুর; সম্পর্কে আপনার কী হয়?
এরকম প্রশ্ন না আসা পর্যন্ত কোনোটাকেই ভাইবা বলা ঠিক না
কিন্তু কারো যদি দুলাভাই না থাকে? যেমন আমি? তার আই কিউ এর কী হবে?
আপনিও আমার লেখা পড়লেন?
কিন্তু কারো যদি দুলাভাই না থাকে? যেমন আমি? তার আই কিউ এর কী হবে?
এইটা নির্ণয়ের খুব সহজ একটা সূত্র আছে। সম্পর্কের 'আগে' দিয়ে কী আছে সেগুলো বিবেচনায় না রেখে 'শেষ'টা কোথায় হয়েছে, সেইটা মাথায় রাখতে হবে। যেমন, একতলা মুরুব্বীতে গিয়ে ঠেকলে নির্দ্বিধায় 'আঙ্কেল' বলে চালিয়ে দেয়া যাবে। আর যদি সম্পর্কটা দুইতলা মুরুব্বীতে গিয়ে ঠেকে তাইলে 'দাদু' ছাড়া উপায় নাই। এভাবে মুরুব্বীদের তলা যতো বাড়বে সম্পর্কের সম্বোধনও সেই মোতাবেক বাড়াতে হবে।
সুতরাং, আলোচ্য প্রশ্নের উত্তর হবে, 'দাদু' [যেহেতু, মুরুব্বীর তলার মান দুই। অর্থাৎ শ্বশুরের শ্বশুর]।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এত সূত্র তো বুঝি না। বরাবর আমি নিজের সূত্রে চলি। সে সূত্র অনুযায়ী আমি দেখতে পাচ্ছি, আমার দুলাভাইয়ের (ধরে নিলাম আমার একজন দুলাভাই আছেন) ভাগ্নে মানে আমার ভাগ্নে। ভাগ্নে বৌ মানে আমার ভাগ্নে বৌ। ভাগ্নে বৌয়ের মামা শ্বশুর মানে আমার দুলাভাই। তার শ্বশুর মানে হলো আমার আব্বা। ঠিক?
দুলাভাইয়ের ভাগ্নে বৌয়ের মামা শ্বশুর = দুলাভাই নিজে
দুলাভাইয়ের শ্বশুর = উত্তরদাতার বাবা
উত্তর সঠিক হয়েছে! বাচ্চালোগ......তালিয়া!
আপনি আমার উত্তর দেখে দেখে দেন নি তো? দ্রোহী ভাই?
আমনে আমাত্তে বেশি বুজেন?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পার্শিয়াল ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাসের বেসেলস আর অয়লার ফাংশান মনে পড়ে গেলো।
অতীত
ভাইভা দিতে গেলে আমার হাটু কাপে ! :(
এখন আমার কোণ কিছুতেই কিছু (হাঁটু, হৃদয়) কাঁপে না। কাঁপাকাঁপির দিন শেষ। খুব মিস করি কাঁপাকাঁপির বিষয়টা। সত্যি বললাম? একেবারেই কি কাঁপি না? কাঁপি। সচলে লেখা পোস্ট করার সময় সেই পুরোনো অনুভূতিটা আবার অনুভব করছি আজকাল।
সন্দ লাগতাছে... আপনে কেবল নার্সারীতে ভর্তি হইলেন?
মাত্রা বিষয়টা নিয়ে ছোটকালে আমিও অনেক কনফিউজড ছিলাম। আব্বু পড়ানোর সময় মাত্রা বলতো। আমার মাথায়ই ঢুকতো না এইডারে মাত্রা কয় ক্যান? বড়োজোর বললে অক্ষরের মাথা বলা যাইতে পারে। অনেক পরে বুঝেছি।
চালানোর দরকার নাই, রীতিমত দৌড়ানো দরকার
অতীত
আসলেই তো এটাকে মাত্রা কেন বলা হয়?
এমনিতেই ভাই দৌড়ের উপর আছি। আর দৌড়াতে বইলেন না তো!
একি আপনি অতীত নাকি? কিন্তু আপনি কোন অতীত? বর্তমানের অতীত নাকি ভবিষ্যতের?
আপাতত আমি অস্তিত্বের অতীত, আমার এই অতীতিত্ব সর্বজনীন
সময়ের সমসাময়িকতা নিয়ে আপনার এই সাংঘাতিক লেখাও পড়েছি। তবে কথা হইলো গিয়া, আমার কাছে সময় এবং তার ব্যাপ্তি পুরাটাই মানুষের ধারণা এবং এইটা আপেক্ষিক মৌলিক মাত্রা । আপনি বছর-মাস-দিন-ঘন্টা-মিনিট-সেকেন্ড যাই বলেন, সবই হালখাতার নিমিত্তে। আমরা ধারণা আমরা নিয়ত ক্ষেত্রের বহুমাত্রায় পরিবর্তিত হতে থাকি আর সেই পরিবর্তনগুলোকে সময়ের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে রাখি। ধরেন, এখনকার নিয়মানুযায়ী বিশ বছরের যে ব্যাপ্তি, তাকে যদি আমি এক সেকেন্ড বলতাম তাইলে বলতে হয় এক সেকেন্ডে আমি দৈর্ঘ্যে ডাবলেরও বেশি হইয়া গেছি , খামাখা বিশ বছর খাটতে যাইবো কেন? স্পেসের যথার্থ নির্দেশক চলকগুলো বের করা সম্ভব হলে হয়তো সময় জন্মই নিতো না কখনো।
তবে একটা কথা সত্যি, নানাব্যস্ততা আর আলস্য কাটিয়ে বহুসময় অতীত করে বর্তমানের অতীতে সচলে মূলত মন্তব্যকারী হিসেবে ভবিষ্যতের অতীত হিসেবে আপনার লেখা দিয়া পদার্পণ করলাম আবার
অতীত
আরে, আরে, এই রকম তো আমিও ভেবেছি! মানে অনেক ছোট থাকতে আমার মনে হতো, পৃথিবীর সব ঘড়ি বন্ধ করে দিলে কী হতো? বা ঘড়ি বলেই যদি কিছু না থাকতো?
যাই হোক, আলোচনা ভাইভাতেই থাকুক আপাতত।
আমি এখনো বুঝিনা মাত্রা বলে কেন..
পড়াচোর
হুম।
ছোটবেলা থেকে ত বটেই, এখনো এই ভার্সিটিতে উঠেও ভাইভা পিছু ছাড়েনি।
মাত্র তো শুরু...
লেখা চমৎকার হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত ফাঁকিবাজি সাইজের লেখা। পড়া শুরু করতে না করতেই শেষ। এটাকি সচলে আপনার প্রথম পোস্ট? আমি তো ভেবেছিলাম আপনি বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য করে আর পড়ে পড়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিবেন। আমি ঠিক যা করেছি গত পাঁচ বছর ধরে। কোন দুঃখে যে লেখা লেখি শুরু করলাম ... । পাঠক জীবন অনেক শান্তির। লেখা চলতে থাকুক। মজার ব্যাপার হচ্ছে আমি ইন্টারভিউ নাম দিয়ে একটা লেখার খসড়া তৈরি করছিলাম কিছুদিন ধরে। একদম বাল্যকালের ভাইভা থেকে শুরু করে আম্রিকাতে এসে স্যামসাঙ, অ্যাপেল এ গিয়ে সারাদিন ধরে ইন্টারভিউ এর নামে উপর্যুপরি ইয়ে হবার করুণ সব কাহিনী নিয়ে।
আমি চেষ্টা করি লেখা ছোট রাখার। নিজেও বড় লেখা পড়তে অত পছন্দ করি না।
আপনিও তো দেখি ভাইভা নেওয়া শুরু করে দিলেন দেখি আমার? হায়, হায়, আমার লেখাটার আদি নামও কিন্তু ছিল ইন্টারভিউ। এটা আমার ৩য় লেখা। , আপনার ভাইভা অনেক বৈচিত্রময় বলে মালুম হচ্ছে। অন্যের ভাইভাতে কী ধরনের প্রশ্ন করা হয়ছিল, সে কিভাবে সেগুলো ট্যাকেল দিল, এসব শুনতে আমার বড়ই ভাল লাগে। আপনার গুলোও কী আমরা জানব না?
আরে বাহ। দেখছি লেখা প্রকাশের সহি তরিকা শেখানোটাই পায়ে কুড়ুল মারার মত হল। এরকম ভালো লিখতে থাকলে আমার মত ব্লগারের ভাত উঠল বলে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হা হা হা।
চলবে না, দৌড়াবে
তাড়াতাড়ি বড় হতে চেয়ে আমি ক্লাস ওয়ান বাদ দিয়ে সরাসরি টুতে ভর্তি হতে গিয়ে চরম সহজতম একটা ভাইভার মুখোমুখি হয়ে এত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছিলাম যে আমাকে ক্লাস ওয়ানেই ভর্তি হতে হয়েছিল। জীবনের সেই প্রথম ডিমোশান।
ও হ্যাঁ এইমাত্র মনে পড়লো আমি একটা বাদে জীবনে কোন ভাইভাতে পাশ করিনি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার ডিমোশন পাবার কথা শুনে ভাল লাগলো।
আপনি কোন ভাইভাতে পাশ করেন নি?
আচ্ছা বলুন তো 'ভাইভা' শব্দে(বাংলায় যেভাবে লেখা হয়েছে) ক'টি সম্পর্ক উঁকি দিচ্ছে আমার ভাইভা নিতে গেলে আমিই পাল্টা প্রশ্ন করে বসতাম। বলাই বাহুল্য প্রশ্নগুলো হতো চরম হাস্যকর
চলুক লেখা চলুক।
চলতে চলতে রাজকন্যার হাজার কথা বলুক
একটি সম্পর্কই তো দেখতে পাচ্ছি। ভাই। ঠিক?
মাশাল্লাহ, আমার মাথায় যে এত বুদ্ধি, তা তো আগে জানতাম না!
জ্বী না হয়নিইই সম্পর্ক দুটো। একটা ভাই অন্যটা ইভা মানে কোনো বোনের নাম হতে পারে। কাজেই দুটো সম্পর্ক
আছে এখানে। ঠিক না?
রাজকন্যা, ভাইভা ত ফেইল মারলেন...
বোন "ইভা" র কথা বলে "ইভা" রহমানের কথা মনে করিয়ে দিলেন আয়নামতি...
ইভা তো সম্পর্ক না! এটা একজনের নাম। আপনার প্রশ্নটাই ঠিক হয় নি। আর প্রশ্নে ভুল থাকলে ফুল মার্ক দেবার নিয়ম আছে। সুতরাং আমি ফেইল না। ফেইল হলো আয়না আপু।
ফেল্টু তো জানিই! কিন্তু মানি না আর কি! আপনি অসাধারণ বুদ্ধিমুতি রাজকন্যা আপনার জন্য (গুড়) (গুড়)
কী বলেন? আমাকে অসাধারণ বুদ্ধিমুতি বলা মানে প্রকৃত বুদ্ধিমতিদের অপমান করা। এত বুদ্ধিই যদি থাকতো, তাহলে তো হইছিলই...
(ধইন্য)
না মানে, রাজকন্যারা তো কেবল রূপের ডালিই হন, বুদ্ধিসুদ্ধি তেমন একটা থাকে না(রূপকথার বইগুলো কিন্তু বেশিভাগ ক্ষেত্রেই এমন ধারণা দিয়েছে ) সেদিক থেকে আপনি অবশ্যই অসাধারণ বুদ্ধিমতি রাজকন্যা
ঐ যে আমার ম্যাডাম আমাকে বলেছে, আমার মাথায় অনেক বুদ্ধি! কথাটা আমার মায়ের খুব মনে ধরেছে। আর সেই গল্প সবাইকে বলে বলে বেড়াতেন ঐ সময়ে আমার মা। এই তো সেদিন আমার এক ছোট্ট কাজিনকে তাঁর মেয়ের গল্প শোনাচ্ছিলেন, ''জানো, তোমার আপুকে যখন ম্যাডাম জিজ্ঞেস করল কে তোমাকে সবচেয়ে বেশি আদর করে, তখন ও কী বলেছিল?'' আমার চার বছরের চাল্লু ভাইটা বলে, ''কেন? বলবে, সবাই আদর করে!''
এখন আপনিই বলেন, আমার মাথায় আর কত বুদ্ধি!
ভাললেগ্লো। আমাদের সবার ছোট বেলার গল্পে ইট্টু ইট্টু মিল থাকে। আমার আবার সবাইকে সালাম (আস-সালামু আলাইকুম) দিতে হত, আর এই সালাম দিতে (মিলিটারি দের মত কপালে হাত দিয়ে সাল্যউট না দিয়ে সালাম-হি হি এম্বারেসিং) আমার লজ্জা লাগত খুব, কেউ আমাকে না বলে দিলে আগবারিয়ে সালাম দিতাম না, পরে বয়স্য কাজিন্দের কাছে বকা খেতাম অবশ্য। এজন্য টেলিফোন রিসিভ করা আমার জন্য ব্যান ছিল ঃ( ছোট বেলার দূঃখ মনে করায় দিলেন
শাফি
প্লে, নার্সারি? আমি সরাসরি ক্লাস টু'তে ভর্তি হই B-) , ইন্টারভিউতে মনে হয় কিছু শব্দের ইংরেজী জানতে চাইছিলো, তা তখন মুখস্ত ভালো পারতাম, গড়গড় করে বইয়ের গদ্য চ্যাপ্টারগুলাও মুখস্ত বলতে পারতাম, তাই কোন সমস্যা হয় নাই।
বুয়েটে হার্ডওয়্যার কোর্সের ভাইভাগুলোতে চাপা মেরে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাতাম, যদিও কাজের সময় বেশিরভাগই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম।
তা এখনো পর্যন্ত ভাইভায় বড়সড় ধরা খাই নাই, যদিও আমার জন্য এটা একটা বিস্ময়!
এই লেখাটা আগের চেয়ে অনেক গোছানো হয়েছে,
হাহা, ডিজিটাল লজিক ডিজাইনে আমার এক ক্লাসমেটকে একের পর এক প্রশ্ন করছেন একজন প্রফেসর, আর সে কঠিন আত্মবিশ্বাসের সাথে একের পর এক ভুল উত্তর দিয়ে যাচ্ছে - শেষটা প্রফেসর নিজেই সন্দিহান হয়ে পড়লেন, কে ঠিক?
আরেকবার ওই একই কোর্সে, কিছু একটা ইমপ্লিমেন্ট করছিলাম - সাধারণত কাজগুলো আমিই করতাম, আমার গ্রুপমেটরা (যদি কেউ থাকতো) ঘুমাতো। তা, কিছু একটা সিস্টেমকে মিনিমাইজ করে চারখানা ফাংশন বের হলো - সেগুলোই ইমপ্লিমেন্ট করতে হলো। সেটা দেখতে এসে গ্রুপের চারজনকে চারটা ফাংশন লিখে দেখাতে বলা হলো। প্রথমে আমি, আমার পরের জন ভালোই জানে, একটু ইতস্তত করে ঠিকটাই লিখলো, তার পরের জন অল্পেই কনফিউজড হয়ে যায় কিন্তু জানে ভালোই - একটু বেশি ইতস্তত করে লিখলো। চার নম্বর কিচ্ছু জানে না। তিন নম্বর যখন লিখছে তখন আমার কান ফিসফিস করলো, "দাদা, পরেরটা কী?" আমিও ফিসফিস করে উত্তর দিলাম, "প্রথমটার দুইদিকে ব্র্যাকেট দিয়ে উপরে লাইন টেনে নেগেটিভ বানিয়ে দাও পুরোটা" - ব্যস! তার পালা এলে পুরো কনফিডেন্স দিয়ে হেঁটে গিয়ে লিখে দিয়ে এলো - প্রফ তো মহা খুশি
আমার অবস্থা এত খারাপ ছিল না অবশ্য। ভাইভাতে মূলত ছোটখাট নতুন ডিজাইন করতে দিতে, পাঁচটা 4 to 1 মাল্টিপ্লেক্সার দিয়ে একটা কালার টেলিভিশন বানাও, এই টাইপ আর কি। এইগুলা কাজ না করলেও পারতাম
এরা কি বলে রে ? এন্টেনায় আসছে না তো ! বুচ্ছি, ডিকোডার লাগবে।
এরা কি বলে রে ? এন্টেনায় আসছে না তো ! বুচ্ছি, ডিকোডার লাগবে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
অ্যা! ডিকোডার বুঝে দেখি!! ডিকোডার নিয়েও কত মধুর স্মৃতি, কীসব জানি ডিজাইনও করতাম এগুলা দিয়া।
ঠাম্মিরাও এখন 3-to-8 ডিকোডার নিয়ে ঘোরে... কই যাই!
পাঁচটা 4-to-1 মাল্টিপ্লেক্সার দিয়ে একটা কালার টেলিভিশন!!!
আপনি তো গুরু!
আপনাকে তো টুতেই ভর্তি হবে! আপনার বয়স যে বেড়ে গিয়েছিল সেই খবর কি আছে?
সরাসরি ক্লাস টুতেই তো আপনাকে ভর্তি হতে হবে ভাইয়া। প্নে বা নার্সারিতে ভর্তির বয়স আপনার পেরিয়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই।
কী কাণ্ড! সেই কখন মন্তব্য করলাম, অথচ সেগুলো দেখাচ্ছিল না। ভেবেছি, বুঝি অন্যান্য বারের মত এবারও মন্তব্যগুলো আসবে না। তাই আবারও মন্তব্য করলাম। এখন দেখি, সবগুলো মন্তব্যই চলে এসেছে! বিরক্তিকর!
না, আজকাল আর নিরাপদে ভাব নেয়া যায় না!
শুধু এই তিনটে প্রশ্ন থাকলে আমি ভাইভা দিতে রাজী!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভাইভাতে কিন্তু উত্তর কতখানি সঠিক হলো এটা দেখার চেয়েও বেশি দেখা হয় এটিচুড। ''আপনার নাম কী?'' এই একটি মাত্র প্রশ্নের উত্তর দেবার ধরন দেখেই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সুতরাং, ঐ তিনটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েই আপনি পার নাও পেতে পারেন।
আমি যে ভাইভাটা সবথেকে অপছন্দ করতাম সেটা হল এক্সাম হল থেকে বেরিয়ে বাবা-মায়ের কাছে যে ভাইভা দিতে হত সেটা। আমাকে অবশ্য কোন্দিন দিতে হতনা এই ধরণের ভাইভা। কিন্তু বন্ধু/বান্ধবকে দেখতাম কান্না কান্না মুখে আবার প্রশ্নের উত্তর দিতে আর বকা খেতে।
অসাধারন এক লেখা।কিন্তু হঠাত যেন হোচট খেলাম।আর লম্বা লেখা চাই।
হা হা হা, এই রকম সাধারণ মানের একটা লেখা পড়েই আপনার কাছে অসাধারণ লাগছে! অসাধারণ সব লেখকদের অসাধারণ লেখা তাহলে আপনি পড়েনই নি।
লম্বা লেখা লিখে কারো বিরক্তির কারণ হতে চাই নারে ভাই
এই সাধারণ মানের একটালেখা পড়ে আপনার কাছে অসাধারণ মনে হলো?
লম্বা লেখা লিখে কারো বিরক্তির কারণ হতে চাই না, ভাই।
facebook
নতুন মন্তব্য করুন