চে গুয়েভারার স্মৃতি নিয়ে নির্মিত "The Motorcycle Diaries" যখন থেকে দেখেছি তখন থেকেই একটা ইচ্ছে ছিলো অন্তত একবার হলেও জীবনে এরকম কোনো একটা অভিজ্ঞতা দরকার, একটা মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়িয়ে পড়ব, আর ঘুরে বেড়াবো| কানের দুপাশ দিয়ে সাই সাই শব্দে বাতাস বেড়িয়ে যাচ্ছে, দুপাশে বিস্তীর্ণ মাঠ, শুধু ছুটে চলা, এরকম একটা দৃশ্য চিন্তা করলে ঘরে বসে থাকাটা আসলেই কষ্টকর| তখন মাত্র মিড টার্ম শেষ হয়েছে, পরীক্ষাতে বরাবরের মতো অসাধারণ কৃতিত্ব প্রদর্শনের পরে মন মেজাজ ঠিক নেই, হঠাৎ মাথা চারা দিয়ে উঠলো প্ল্যানটা, তখুনি ছুটলাম নেপালী বন্ধু হেমন্ত এর রুমে, প্ল্যান শোনার পরে দেখলাম খুব একটা গাই গুই করলোনা, সিধে রাজি, আমি তো অবাক| কথা হলো পরের দিনই আমরা বের হচ্ছি|
একটা মোটরসাইকেল, পালসার ১৫০, দুজন রাইডার, ২৯৬ কি.মি. রাস্তা, এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্য, ভারতের উত্তরপ্রদেশ এর এলাহাবাদ থেকে মধ্যপ্রদেশের খাজুরাহ, রাস্তা একদমই অচেনা, কি অপেক্ষা করছে কিছুই জানিনা, উদ্দেশ্য UNESCO World Heritage Site "Khajuraho Group of Monuments", এর আগে নেট থেকে রাস্তার দিক নির্দেশনা নিয়ে নিলাম, দেখলাম যাওয়ার তিনটা রাস্তা আছে, তবে যদি ভালো রাস্তা দিয়ে যেতে হয় তাহলে যেতে হবে রেওয়া-সাতনা-পান্না হয়ে, ন্যাশনাল হাইওয়ে ২৭ এবং ৭৫ ব্যাবহার করতে হবে| কথা হলো ভোর রাতেই বের হতে হবে, দরকারী জিনিসপত্র নিয়ে দেখলাম ব্যাগের ওজন কম হলোনা, এটা কাধে নিয়ে বসে থাকাটা আসলেই কষ্টকর, পরে বেশ ভালো ভাবেই টের পেয়েছিলাম| অজানা-অচেনা জায়গার প্রতি দুর্বার এক আকর্ষণ বোধ থাকে, সেটা ভালই টের পাচ্ছিলাম, রাতে আর ঘুমই হলোনা|
ভোর ৫ টায় শুরু হলো যাত্রা, বাইকে পুরো ১০০০ রুপির তেল ভরানো হলো, তারপর শুরু হলো ছুটে চলা, তখনো অন্ধকার, আমরা পেরিয়ে যাচ্ছি একের পর এক গ্রাম, বেশ বড় একটা ব্রীজ পেরোনোর পরে চারপাশের দৃশ্য বদলে গেলো অনেকটা, গ্রাম আর মাঠ এভাবেই চলতে থাকলো, এদিকে কথা হয়েছিল দরকার না হলে আমরা খুব একটা থামছিনা, কারণ আমাদের যে করেই হোক রাতের আগেই খাজুরাহ পৌঁছতে হবে, ১২০-১৩০ কি.মি গতিতে অনেকক্ষণ একটানা বাইক চালাতে চালাতে দেখলাম হঠাৎ পুরো ল্যান্ডস্কেপ বদলে গেলো, পাথুড়ে জায়গা, উঠে গেছে বড় ঢিবির মতো, প্যাচানো রাস্তা চলে গেছে তার উপর দিয়ে, সূর্য উঠি উঠি করছে, আমরা দাড়ালাম রাস্তার পাশে, তখন সমতল থেকে অনেকটা উঁচুতে উঠে গেছি, অপার্থিব সুন্দর লাগছে চারপাশ|
বেশ কিছু ছবি তোলা হলো, পাথুড়ে জায়গা আর সবুজের যে অদ্ভুত প্রাকৃতিক মিশ্রন আমাদের নতুন উদ্যম এনে দিলো, আবার শুরু হলো চলা, রিঙের মতো প্যাচানো রাস্তা ধরে বেশ সাবধানে চলছে বাইক, দুপাশে কখনো পাথুড়ে দেয়াল, কখনো সবুজের ছাউনি, ততক্ষণে বুঝে গেছি এই জার্নির অভিজ্ঞতা ভুলবোনা কোনদিন, আস্তে আস্তে শেষ হয়ে এলো পাথুড়ে উঁচু দেয়ালের রাস্তা, শুরু হলো আবার সমতল, সবুজ আর নদী, ঘন্টা দুয়েক চলার পরে থামলাম একটা ব্রীজে, চারিদিক বেশ শুনশান, নিচে নদী বয়ে যাচ্ছে, সকালের প্রথম আলোতে অসাধারণ লাগছে চার পাশটা|
এবার হাত পা ছড়িয়ে আড়মোড়া ভেঙ্গে বেশ দীর্ঘ এক যাত্রার প্রস্তুতি নিলাম, ততক্ষণে নিজেকে ভালই অভিযাত্রী অভিযাত্রী লাগা শুরু হয়েছে, হেলমেট, কাঁধে ব্যাগপ্যাক, সাথে ম্যাপ, মজাই লাগছে| ততক্ষণে আসল ছোটা শুরু হয়েছে, আমাদের দুজনেরই কোনো কথা নেই, বাইক তখন সর্বচ্চো গতিতে, হাইওয়ে দিয়ে সাই সাই করে ছুটে চলেছি, কখনো কখনো মাত্রই ঘুম থেকে ওঠা গ্রামের ২-১ জন, তীব্র গতিতে ছুটে চলা আমাদের দেখে অবাক চোখে তাকাচ্ছে, চললাম অনেকক্ষণ, পিঠ,কাঁধ আর পা সব কিছু ব্যাথা শুরু হয়েছে, এতক্ষণ বাইক এ কাঁধে ওজন নিয়ে বসে থাকাটা আসলেই কষ্টের, সমস্যা হলো থামার জন্য জায়গাও নেই তেমন একটা, দুপাশে যতদুর চোখ যাচ্ছে লোকালয় দেখা যাচ্ছেনা, শুধুই মাঠ, কখনো সবুজ, কখনো ধুসর| এরকম চলতে চলতে হঠাৎ রাস্তার পাশে পেয়ে গেলাম একটা ধাবা| মাত্রই চা বানানো শুরু হচ্ছে, ব্যাস বাইক থামিয়ে বাইরের খাটিয়ায় আমরা দুজনেই চিত্ হয়ে গেলাম| একটু পরে গরম গরম সিঙ্গারা (এরা সমুচা বলে) আর চা, হাত মুখ ধুঁয়ে খেয়ে আমাদের শক্তি ফেরত এলেও, আমরা দুজনের অবস্থা দেখে হাসছি|
রাস্তার মাঝে ৪০ কি.মি এর মতো কাঁচা রাস্তা, গ্রামের আর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়, তার উপরে বৃষ্টির সময়, রাস্তার অবস্থা কেরোসিন| এটা দেখে আমাদের অবস্থাও খারাপ, মাত্র ২০-৩০ কি.মি গতিতে চলছি, বড় বড় গর্ত, বেকায়দায় চাকা পরলেই পোল ভোল্ট খেলার মতো করে উড়ে গিয়ে পড়ব, ঝাকুনিতে মনে হচ্ছে মেরুদন্ড খুলে আলাদা হয়ে যাবে, চারপাশে খালি জঙ্গল, মাঝে মাঝে অনেক দুরে ২-১টা ঘর চোখে পরে, এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ অসাবধানতায় বাইকের চাকা গিয়ে পরলো এক গর্তে, সেটা সামলাতে গিয়ে স্পিড বাড়াতেই সামনের আরও বড় একটা গর্তে পড়ল চাকা, বাইক রাস্তা থেকে উপরে উঠে গেলো, আমরা বাইক থেকে উপরে, প্রায় হাওয়ায় উড়ে সামনে চললাম, আমি ভাবলাম গেছি| কিন্তু ভাগ্য ভালো হেমন্ত ব্রেক দিয়ে ভালো ভাবেই আটকে দিলো বাইক|
৪০ কি.মি পাড়ি দিতে মনে হলো পুরো জীবন শেষ, কোনমতে ধুলো আর কাদায় আপাদমস্তক ঢেকে, বেরিয়ে এলাম আবার হাইওয়েতে| কিছুক্ষণ দাড়িয়ে, শরীরের হাড্ডি-গুড্ডি ঠিক আছে কিনা দেখে নিলাম, ততক্ষণে হাইওয়ে ৭৫ শুরু হয়েছে, রাস্তা বেশ ভালো, তবে মনে হলো, পুরো রাস্তাতে আমরাই আছি, কারণ আর কোনো গাড়ি দেখলামনা| বেশ গতিতে ছুটছি, পিছে ফেলে যাচ্ছি সবুজ মাঠ, কখনো ধু ধু বালির জায়গা, কখনো হঠাৎ নদী| দেখলাম চারপাশ বদলাচ্ছে খুব দ্রুত| কখনো রুক্ষ পাথুড়ে জায়গা, আবার একটু পরেই সবুজ, দুরে দেখা যাচ্ছে পাহাড়, অদ্ভুত অনুভূতি হলো, দৃশ্যটা এরকম, সামনে যতদুর চোখ যায় খালি রাস্তা, দুপাশে সবুজ মাঠ-খেত, সামনে দুরে দেখা যাচ্ছে পাহাড়, মেঘলা আকাশ, শুধু দুজন একটা বাইকে ছুটে চলেছি, কখনো হঠাৎ ছিটে ফোঁটা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিচ্ছে, কখনো হালকা রোদ, এই অনুভূতিটা অনেকদিন মনে থাকবে|
মধ্যপ্রদেশটাই এরকম, রুক্ষতা আর সবুজ একসাথে পাশা পাশি চলেছে| একপাশে সবুজ জঙ্গল তো আর এক পাশে পাথুড়ে দেয়াল| সাতনা পেড়িয়েছি অনেকক্ষণ হলো, চলে এলো পান্না| এখানে দেখলাম হীরের খনি আছে একটা| রাস্তা তখন পাহাড়ি, প্যাচানো সাপের মতো চলেছে| বৃষ্টির জলে পিছল| হঠাৎ এক মোড় ঘুরতে গিয়ে সামনে চলে এলো এক কুকুর| আর তাকে বাঁচাতে গিয়ে আমাদের বাইক খাদে পড়ে পড়ে, পিছনের চাকা প্রায় রাস্তার কিনারায় চলে এলো| কোনমতে টাল সামলানো হলো| মেজাজ এত খারাপ হয়ে গেলো, কুকুর গুলোর যেনো গাড়ি দেখলেই রাস্তা পার হওয়ার ইচ্ছে জাগে| আমরা তখন চলছি পাহাড়ের উপরের দিকে, চারপাশ শুধু জঙ্গল, পাহাড়ি গাছ, উঠে গেছে পাথুড়ে দেয়াল বেঁয়ে| কখনো বৃষ্টির জল ঝরছে উপর থেকে ঝর্নার মতো| একসময় রাস্তার পাশে সাইন বোর্ডে দেখলাম "পান্না টাইগার রিজার্ভ" | এখানে সরকারী রিসোর্ট আছে দেখলাম| যাওয়ার পথে বেশ কিছু প্রাকৃতিক ঝরনা চোখে পড়ল, একসময় দেখলাম "পান্ডভ ফলস", বেশ বড় ঝরনা মনে হলো| ঠিক করলাম ফেরার পথে দেখা হবে| পাহাড় থেকে নেমে আবার সমতল, দৃশ্য বেশ মনোমুগ্ধকর|
ততক্ষণে ২ জনই ভাবছি আর কত? রাস্তা যেনো শেষ হতেই চাচ্ছেনা| চারপাশে দৃশ্য তখন পানসে লাগা শুরু হয়েছে, তখন দিব্য আশির্বাদের মতো দেখলাম ভারত পর্যটনের সাইনবোর্ড| ঢুকে পড়লাম ডান দিকে মোড় নিয়ে খাজুরাহের রাস্তায়| বেশ খানিকটা চলার পড়ে, আস্তে আস্তে পর্যটনের হোটেল চোখে পড়তে লাগলো| তবে সেগুলো শহরের বেশ বাইরে| কিছুক্ষণ পড়ে ছোট্ট পর্যটন শহরটা চোখে পড়ল| নানা দেশের মানুষ ক্যামেরা নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে| দেখলাম মন্দির কমপ্লেক্সটা আলাদা এক পাশে, তার অন্য পাশে গড়ে উঠেছে ছোট শহর, হোটেল আর জিনিসপত্রের দোকান| দেখলাম বিদেশীদের যথেষ্ট ভিড়| আমরা উঠলাম মন্দির কমপ্লেক্স এর ঠিক উল্টো দিকের এক হোটেলে| ৮ ঘন্টা জার্নিতে ততক্ষনে ২ জনই ক্লান্ত| খাওয়া দাওয়া করে সোজা ঘুম| পরে রাতে উঠে হোটেল এর ছাদে খাবারের ব্যাবস্থা, ছাদে বসে খেতে খেতে মধ্যযুগের এই মন্দির গুলো দেখতে অদ্ভুত লাগছিলো| কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে থাকা পুরো জায়গাটা, যেখানে আমরা বসে আছি, কয়েকশো বছর আগে ঠিক এখানেই আর একটা সভ্যতা ছিলো, ভাবতেই কিরকম লাগলো| ঠিক হলো পরের দিন সকালে উঠে ঘুরতে বের হবো, সেদিন রাতে শুধু পাশের বাজার ঘোরা হলো, একটা এন্টিক বুদ্ধ মূর্তি কিনলাম| তারপরে রুমে ফিরে ঘুম| পরের দিন খুব সকালে উঠতে হবে....
(ক্রমশ)
মন্তব্য
আমি ফাষ্টু হলাম মনে হয়!
হমম ফাস্টু তো হলেন, কিন্তু কেমন লাগলো তা তো বুঝলামনা !!! কালা বিলাই দিয়ে কি বুঝালেন???
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বুঝাবো আর কী! ইমো লিষ্টে সবেধন নীলমণি আছেই তো একটা বিড়াল! কিন্তু কেমন পিটপিটিয়ে চায় দেখে মজাই লাগে! আজব তো! ফাষ্টু হলাম পুরস্কার টুরস্কার পাবো সেসব পছন্দ হলেই না ভালো লাগা মন্দ লাগারা হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে আসবে স্বেচ্ছায়
আপাতত তাহলে এই , বাকি পুরস্কার পরে ....
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কচু! এইটা কোনো পুরস্কার হলো পপকর্ণ, গুড় নিদেনপক্ষে ধনেপাতাও দেয়া যেত। তালগাছে ভুত থাকে ও নিয়ে আমি মরবো নাকি!
এই তালগাছে ভূত নেই পাক্কা...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ছবিগুলো খুব সুন্দর হোয়েছে, তবে একটু আন্ডার এক্সপোজড মনে হল। পরের পর্বের জন্য নিয়া বসলাম।
নিকন কম্পেক্ট দিয়ে তোলা, আর আসলে ভালো করে তোলার মতো হাতে সময় কম ছিলো, তাই আলো-আঁধারির ব্যাপারটা ঠিক মতো অতটা পরিষ্কার আসেনি, তবে পরের ছবি গুলো আশা করি ভালো লাগবে...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
দারুন! চাইতে না চাইতেই লেখা এসে গেল! চালিয়ে যান। ও হ্যাঁ, জাহাজে করে আন্দামান গেছেন কখনো ?
নাহ আন্দামান যাওয়া হয়নি, তবে বন্ধুদের মুখে শুনেছি, জায়গাটা নাকি দারুন, আর এখনো নাকি জংলি আদিবাসীরা থাকে... ইচ্ছে তো আছে, দেখি কবে হয়..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভ্রমণকাহিনী ভালো লেগেছে। ফটুগুলোও সুন্দর।
আরও ফটু দিবো সামনে ... ধন্যবাদ..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
চলুক।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তবে সামনে বাইক এবং বাইকারদেরও ছবি চাই কিন্তু। নাহলে শিরোনাম পাল্টে দেয়ার দাবি জানাই।
বাইক চড়ার শখ থাকলেও অতটা সাহস পাইনা। চোখের সামনে বাইকের মারাত্নক একটা দূর্ঘটনা দেখেই ভয়টা জেঁকে বসেছে। দারুণ ভ্রমণ হয়েছে আপনাদের বোঝা যাচ্ছে! সামনের পোস্টে মনুমেন্টের ছবি দেখতে পাবো নিশ্চয়ই! সে পর্যন্ত শুভকামনা
আসলে সাবধানতা অবলম্বন করলে সমস্যা হওয়া উচিত না, তারপরও দুর্ঘটনার উপরে তো কোনো কথা নেই, আমাদের জার্নিটাও রিস্কি ছিলো বৈকি, কয়েকবার দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছি, আর তাছাড়া এতটা দুরত্ব বাইকে যাওয়াটাও কষ্টসাধ্য আর রিস্কি, বিশেষ করে হাইওয়েতে, মনুমেন্ট এর ছবি সহ পরের লেখাটা দিবো..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কি সুন্দর সুন্দর সব ফটো !
ধন্যবাদ,
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
লাইভ।
চালিয়ে যান ভাই।
আমিও একমাস পর এমপি'তে আসছি।
ডাকঘর | ছবিঘর
আসুন ঘুরে যান, জায়গাটা ভালই, দেখার বেশ কিছু জিনিস আছে, হিল স্টেশন দেখতে চাইলে পাঁচমারি যেতে পারেন, জায়গাটা খুব সুন্দর, ছবি দেখেছিলাম ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
বাহ!
আহ !!!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ভেবেছিলাম দারুণ সব কামলীলার ছবি দেখতে পাবো, সে আশায় গুঁড়ে বালি। আপনি মশাই খুব খারাপ, শুধুই প্রকৃতি দেখান। কোথায় গেল সেইসব মোহিনী রমণীরা,
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
আসবে আসবে তারাও আসবে, কোমর দুলিয়েই আসবে, সবুর করুন ..
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
যাওয়ার তো খুব ইচ্ছে, ভালই লাগছে মোটরসাইকেলে আপনাদের সাথে
facebook
আপনি তো মশাই সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াচ্ছেন, মোটরসাইকেল এও বেড়িয়ে পড়ুন একবার ...
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নতুন মন্তব্য করুন