উইকিমতে আমাদের দেশের এ মূহুর্তে সম্প্রচাররত টিভি চ্যানেল মোট ২০টি ১। আমার জানামতে আরও বেশ অনেকগুলো চ্যানেল সম্প্রচার শুরু করবার বিভিন্ন পর্যায়ে আছে। নানান স্বাদের নাটক, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ছাড়াও এই টিভি চ্যানেলগুলোর বিশেষ আকর্ষণ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত সংবাদ আর টক-শো। টক-শো বা সংবাদ-প্রচারের সর্বোচ্চ টাইম-স্লটের দিক থেকে বিবেচনায় আমাদের ব্রডকাস্ট মিডিয়া একেবারে সামনের সারিতে এগিয়ে আছে বলে সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার ধারণা। অথচ বিশ্বের আর সব দেশের মতন বাংলাদেশে কিন্তু এখনতক কোন জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নেই।
আজকে সন্ধ্যায় চায়ের কাপ হাতে নিয়ে অনেকদিন পরে টিভির সবগুলো চ্যানেল একটু সার্ভে করলাম। প্রায় ৮০টা চ্যানেল ঝকঝকে আসছে এ মুহূর্তে, যার ডেটা নিম্নরূপঃ
বাংলাদেশী চ্যানেল – ১৫টা
ভারতীয় চ্যানেল (স্পোর্টস, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ছোটদের বাদে) – ৩০ টা : এর মাঝে বাংলা ভাষাভাষী – ১০টা, হিন্দি – ২০টা
স্পোর্টস চ্যানেল (ভারতীয় এবং অন্য দেশের) : ৫টা
ছোটদের চ্যানেল (হিন্দিভাষী সহ) : ৪টা
বিদেশী নিউজ চ্যানেল : ৪টা
পাকিস্তানী চ্যানেলঃ ৩টা
রাশিয়ান চ্যানেলঃ ২টা
জাপানিঃ ১টা
চাইনিজঃ ১টা
ফ্রেঞ্চঃ ১টা
জার্মানঃ ১টা
এশিয়া প্যাসিফিকের দেশগুলোরঃ ২টা
অন্যান্যঃ ডিসকভারি, ন্যাট জিও, ট্রাভেল, (সবই ইংরেজীতে আসছে!) ইত্যাদি।
ব্যাক্তিগতভাবে আমার মনে হয় আমাদের দেশে সবচেয়ে অবহেলিত সেক্টর হল শিশুদের জন্যে অনুষ্ঠান। বিটিভি বাদে কোন টিভি চ্যানেলেরই মনে হয় প্রাইমারি, জুনিয়র, হাই স্কুলের ছেলেমেয়েদের জন্যে অনুষ্ঠানের কোন নির্ধারিত সময়সূচী নেই। আমি মাঝে মাঝেই অবাক হয়ে ভাবি, যেখানে নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাইরে অনেক দেশেই অন্তত কিছু চ্যানেল বড়দের জন্যে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের পাশাপাশি প্রতিদিন নির্ধারিত একটা স্লট রাখে ছোটদের অনুষ্ঠানের জন্যে (ব্রিটেনে যেমন ঠিক স্কুল ছুটি হবার পর মানে বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে শুরু করে অন্তত আড়াই ঘন্টা), আমাদের দেশের এই এত এত চ্যানেলের কারোই সারাদিনে ছোটদের জন্যে কোন প্রোগ্রাম প্রচার না করলেও কিন্তু দিব্যি চলে যায়! কোন রকমে কিছু অনুষ্ঠান যদি বা নজরে আসে তো মনে হয় অনুষ্ঠানগুলি স্কুল্প-পড়ুয়াদের বিভিন্ন বয়স অনুযায়ী বিভক্তও নয়, নতুনত্বও নেই তেমন, বিভিন্নরকমের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার একঘেঁয়ে অনুষ্ঠানই বেশি।
আরেকটা জিনিস লক্ষ্যনীয়, টিভি নিউজের রিপোর্টিং। মুশকিল হলো টিভি সংবাদ জিনিসটা অডিও-ভিজুয়াল একটা ব্যাপার। দেশে খুন-জখম-অ্যাক্সিডেন্ট হলে তার খবর (ভিডিওসহ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ না চাইলেও প্রচারিত হবে। গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থার অন্যতম শর্ত সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। তবে বিগত কয়েক বছরে আমার কেমন যেন ধারণা হয়েছে আমাদের দেশের টিভি সাংবাদিকদের একটা বিশাল অংশের ধারণা সম্ভবত ক্যামেরা অন করে ভিডিও করতে থাকাটাই উঁচুমানের সাংবাদিকতা। আর অধিকাংশ নিউজরুমের এডিটরের দায়িত্ব সেই ফুটেজ থেকে যত বেশি সম্ভব আতঙ্কজনক, বীভৎস দৃশ্যগুলো রেখে সংবাদের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা!! ব্যাপারটা প্রথম খেয়াল করি যখন বেশ কয়বছর আগে বোমার আঘাতে নিহত একজন রাজনৈতিক নেতাকে কবরে নামানো পর্যন্ত দেখিয়ে দিল একটা চ্যানেলের সংবাদ! সংবাদ পরিবেশনের জোশে মনে হয় একটা ভিক্টিম পরিবারের প্রতি স্বাভাবিক সহমর্মিতা জানানোর মানবিক গুণাবলীও আমাদের অধিকাংশ টিভি সাংবাদিক ও চ্যানেল কর্তৃপক্ষ হারিয়ে ফেলেন! তারপরে নানান সময়ে আরও অনেক কিছুই দেখেছি, বিস্তারিত আর না যাই! আমার সাজেশন, যেহেতু হুট করে কী ধরনের ভিডিও ফুটেজ চোখের সামনে চলে আসবে সেটা কারোরই (সংবাদ পাঠক/পাঠিকারও) জানা নাই, কাজেই হার্ট, ব্লাড প্রেশারের রোগীরা যথাসম্ভব আমাদের চ্যানেলগুলোর টিভি সংবাদ এড়িয়ে চলবেন, বা চোখ বন্ধ করে খবর শুনতে পারেন।
তো অনেকদিন ধরেই মনে হচ্ছে এমনিতেই আমাদের একটা সুষ্ঠু সম্প্রচার নীতিমালা দরকার। এ নিয়ে সম্ভবত গত বছর কোন একটা পোস্টে মন্তব্য সেকশনে সচলদের অংশগ্রহণে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল, (কিছুতেই মনে করতে পারছি না কার বা, কোন্ পোস্ট ছিল সেটা, কারও মনে থাকলে অনুগ্রহ করে লিংকটা দেবেন)। সম্প্রতি ঘুরে ফিরে যে বিষয়টা কানে আসছে কিন্তু বিস্তারিত বিশেষ কোন তথ্য পাচ্ছি না তা হলো – জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা। শুনছি যে দেশের ব্রডকাস্ট মিডিয়ার জন্যে নীতি প্রণয়ন হচ্ছে এবং সেখানে নানান বিধিনিষেধ আরোপিত হবে। অন্যান্য আরও অনেক কিছুর মতই যেহেতু এই নীতিমালারও খসড়াটা এখনো জনসম্মুখে প্রকাশিত না, এতদ সংক্রান্ত বিভিন্ন আশঙ্কাজনক বিষয়ও কানে আসছে। কালকে সন্ধ্যা থেকে এই ব্যাপারে জানবার চেষ্টা করতে একটু খোঁজাখুঁজি করেও তেমন কোন নির্ভরযোগ্য সংবাদ পেলাম না। পরে রাতে একটা টিভি চ্যানেলে মধ্যরাতে প্রচারিত সংবাদপত্র বিষয়ক টক-শো তে দেখলাম নতুন সম্প্রচার নীতিমালায় 'টক-শো-এ আলোচিত বিষয়ের উপরে নিয়ন্ত্রণ' নিয়ে আলোচনা চলছে।
শেষ পর্যন্ত আজকে ডেইলি স্টারে এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ পড়লাম২। তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সেখানে গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সম্প্রচার নীতির যে খসড়া পেশ করা হয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে, তার বিশেষ কিছু দিক হাইলাইট করা হয়েছে। খবরটা পড়ার পরে দুপুর থেকে কাজের ফাঁকে ফাঁকে কিছু প্রাচীণ চিন্তাভাবনা আবার ডালপালা মেললো, যেহেতু রেডিও কম শোনা হয়, তাই আমার চিন্তাভাবনা মূলত টিভি ব্রডকাস্ট ঘিরেই ...
সংবাদে বলা হয়েছে -
A draft national broadcasting policy has barred private television channels, radios and Internet protocol TVs from broadcasting any program making derogatory comments about national figures like Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman...
প্রশ্ন জাগলো, বঙ্গবন্ধু ছাড়াও জাতীয় অন্যান্য নেতাদের তালিকা কি ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলের দ্বারা নির্ধারিত হবে? তাদের কার্যক্রমের কোনরূপ সমালোচনাই কি করা যাবে না?
The draft said the authorities of private television channels, radios and internet protocol televisions will be held responsible if the government finds them airing distorted or irrelevant information in their programmes, including talk shows...
কাল রাতের টক-শোর আলোচনাতেই শুনলাম টক-শো নাকি একদমই বন্ধ করে দেয়া হবে এই ধরনের খবর শোনা যাচ্ছে, এটা কতখানি সত্যি?
The policy also discourages character assassination of any person, but his/her activities can be discussed. The broadcasting organizations must be careful so that they do not broadcast any information regarding army or the government which may pose threat to national security.
Another provision of the draft policy asked the private electronic media not to use vulgar films or programmes produced locally or abroad which are contrary to the values of the country.
ব্যাপার হলো যে অনেক আগে থেকেই বিটিভি বিদেশী কোন শো দেখালে সেখান থেকে অন্তরঙ্গ দৃশ্য সমূহ কেটে বাদ দিয়েই দেখায়, তা সে প্রাচীণ আমলের টিভি সিরিজ ‘ডালাস’ই হোক, আর আমাদের কৈশোরের বিপুল জনপ্রিয় বাংলায় ডাবকৃত ‘সিন্দবাদ’ মিনি সিরিজ। অন্যান্য টিভি-চ্যানেলগুলোকেও তাই করে আসতেই দেখেছি।
কিন্তু এখানে উল্লেখিত নীতির অর্থ কি এটাও দাঁড়াবে যে,
ক) চ্যানেলগুলোকে আমাদের সংস্কৃতি বহির্ভূত বলিউডি নাচ-গানের আদলে তৈরি নানান রকম অ্যাওয়ার্ড শো দেখানোও বন্ধ করতে হবে?
খ) বিদেশী আর্টিস্টদেরকে দেশে নিয়ে এসে অনুষ্ঠিত উচ্ছৃঙ্খল শো, সেই শো-এর দীর্ঘকাল ব্যাপী বিজ্ঞাপন, প্রচারকারী চ্যানেলের সংবাদেও সেই শো-এর বিস্তারিত আলোচনার জন্যে টাইম স্লট বরাদ্দ ইত্যাদি কি এই নীতিমালার আওতায় পড়বে?
গ) দেশে প্রস্তুত হওয়া সত্ত্বেও যে সব পণ্যের বিদেশী বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করা হচ্ছে তাতে যদি মডেলদের পোশাক ও আচরণ আমাদের দেশের মেজরিটি পিপলের সাথে না মেলে সেগুলোও প্রচার বন্ধ করা হবে?
No programme which shows new tactic in committing crimes will be tolerated, the policy said.
এটায় কিছুটা অ্যাগ্রি করি, শুনেছি মনোবিজ্ঞানীরা বলে থাকেন নিয়মিত তীব্র ভায়োলেন্স দেখানোটা অনেকক্ষেত্রেই ভায়োলেন্সকে প্রলুব্ধ করে থাকে। কিন্তু তাই বলে অপরাধ কী ধরনের হতে পারে, বা কীভাবে সংঘটিত হবে তা সম্পর্কে না জানলে মানুষ প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেবে কীভাবে? আফটার অল, বলা হয় – prevention is better than cure! তার চেয়ে বরং এই ধরনের বিষয় কোন প্রোগ্রামে এলে তাতে এইজ লিমিট বসানো হোক, প্রাইম টাইমে এবং ছোটদের টিভি দেখার সময়ের ভেতরে সম্প্রচার না করার ব্যবস্থা হোক।
The electronic media will also be discouraged to show horrible and disgusting acts and gruesome pictures of dead and injured people.
হুমম, তারমানে বিকৃত, বীভৎস বা নৃশংস দৃশ্য গুলো দেখানো থেকে বিরত থাকতে হবে মিডিয়াকে। ভিক্টিম পরিবারগুলো কিছুটা শান্তি পাবে হয়তো, আমরাও সংবাদ প্রচারের সময়ে দম আটকে না রেখে জরুরি তথ্যের জন্যে কান পাতার পাশাপাশি টিভি পর্দাতে চোখও রাখতে পারবো হয়তো! কিন্তু প্রশ্ন চলে আসে এই নীতির দোহাই দিয়ে যে কোন ঘটনার ফুটেজ, আক্সিডেন্টের খাদে পড়া ট্রাক/বাস, পানিতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ আর তাদের উদ্ধারকার্যও দেখানো বন্ধ থাকবে কিনা? নাকি কতটুকু দেখানো যাবে তা শুধু আমাদের সংবাদকর্মীদের প্রপার ট্রেইনিং আর কমন সেন্সের উপরে নির্ভর করলেই চলবে?
No political propaganda or views of any political party will be allowed to broadcast and political figures, foreign diplomats and national heroes can not be used to promote commercial products.
ইন্টারেস্টিং, সম্প্রতি একটা দেশীয় পন্যের অ্যাডে একজন বিদেশী ডিপ্লোম্যাটকে দেখেছি...
হাজারিকাপ্রতিদিনের অ্যাডটা সকলে দেখেছেন কিনা ভেবে দাঁত বেরিয়ে গেল খানিকটা ...
আচ্ছা, ক্রিকেটার বা অন্য স্পোর্টসপার্সন, অভিনেতা, পর্বতারোহীরা কি জাতীয় হিরোর তালিকায় পড়েন?? কে হিরো সেটা কি জনগণ নির্ধারণ করবে নাকি সরকার? গত বছরের সরকার সম্মানিত একজন হিরো তো তাঁর ক্রিয়াকলাপের বিশাল ব্যয়ভার মূলত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই তুলবার ইচ্ছা পোষণ করেছেন সবাই জানি!
Any advertisement relating to religious functions like wajmahfil, urs, and puja, will need prior permission from the government.
কোন চ্যানেল এধরনের কার্যক্রমের অ্যাড দিত নাকি?!!
The draft policy states that the Information Ministry will decide on the matters which are not mentioned in the policy.
যে বিষয়গুলো নিয়ে আমি এখনো কোন নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র পাইনি, কিন্তু জানতে খুবই আগ্রহী তা হলো –
১। আমাদের দেশে বিভিন্ন বিদেশী চ্যানেলের প্রদর্শন নীতিমালা কীরূপ হবে?
বিশেষ করে বাংলাদেশের চ্যানেলের অনুপাতে ভারতীয় চ্যানেল প্রদর্শন হার কম হবে না বেশি? বাংলা ভাষার পরে বিদেশী ভাষা হিসেবে আমরা ইংরেজী শিখে থাকি, সেক্ষেত্রে হিন্দি ভাষার চ্যানেল ব্রডকাস্ট প্রাচুর্য্য রোধে কোন নীতিমালা আসবে কিনা?
২। বিদেশী অনুষ্ঠানকে বিদেশ থেকেই রোবোটিক ও নিম্নমানের বাংলায় ডাব করে নিয়ে না এসে বরং দেশেই তা করা গেলে ভালো হত। তবে যেটা অনেকদিন ধরেই জরুরি মনে হয় আমার তা হলো, বাংলা অনুষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ইংরেজী অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সাবটাইটেল সংযোগ করার নীতিমালা প্রণয়ন। এতে করে হিয়ারিং ডিসাবেলডরাও উপকৃত হতেন আর আমাদের ছেলেমেয়েরাও অদ্ভুত বাংলা না শিখে বরং ইংরেজী রপ্ত করতে পারত।
৩। ছোটদেরকে মাথায় রেখে কোন প্রচার নীতিমালা কি আমরা অদূর ভবিষ্যতে আশা করতে পারি? তাদের জন্যে বিভিন্ন চ্যানেলকে প্রতিদিন না হলেও অন্তত সাপ্তাহিক নির্ধারিত টাইম স্লট বরাদ্দ করা বাধ্যতামুলক করা দরকার মনে করি।
৪। আমাদের দেশে পিচ্চি বাচ্চারা স্কুলের হোমওয়ার্ক করেই মায়ের পাশে বসে হিন্দি টিভি সিরিয়াল দেখতে শুরু করে দিচ্ছে, বা নাটক দেখছে। যার কন্টেক্সট, ভাষা ইত্যাদি তাদের উপযোগী নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কিন্তু বাচ্চাদেরকে তাদের অনুপযোগী শো দেখতে দেয়া আইনত নিষিদ্ধ। ইওরোপের বিভিন্ন দেশে যেমন রাতের নির্দিষ্ট সময়ের পরে একটা নির্দিষ্ট বয়স সীমার নিচের দর্শকদের টিভি দেখা হারাম। আমাদের নীতিমালায় বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের জন্যে এইজ লিমিট নির্ধারণ ও তা প্রচারের সময় নির্ধারণ করে দেয়া বাধ্যতামূলক করবার সময় হয়েছে বলে মনে করি।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা যেমন হওয়া দরকার, এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নীতিমালা কী ধরনের হবে তাও জানা দরকার আসলে। এ প্রসঙ্গে ভাবতে গিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মাথায় যা যা এসে হুড়োহুড়ি করছিলো শেয়ার করলাম তাড়াহুড়ো করে, বড় আর অগোছালো পোস্টের জন্যে দুঃখিত। কিন্তু জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে সচলায়তনের পাঠক এবং মিডিয়ার সাথে জড়িতদের কাছ থেকে তথ্য ও মতামত আসা প্রয়োজন মনে করি।
মুশকিল হলো খসড়া নীতি এখনো অপ্রকাশিত থাকায় ইতিমধ্যেই রীতিমত বিভ্রান্তিকর কিছু সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় আসা শুরু করেছে এবং যেই মিডিয়ায় এই সংবাদ প্রকাশিত তার তথ্যসূত্র/ভিত্তিও বেশ সন্দেহজনক৩! ইতিমধ্যেই একটি স্বনামধন্য বিদেশী পত্রিকা এই বিভ্রান্তিকর খবরটিকেই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে ফেলেছে৪!
তবে ডেইলিস্টারের রিপোর্টে বলা হয়েছে –
However, the Information Ministry official said they prepared the draft in a manner so none of its provisions conflicts with the constitutional rights of freedom and expression or the Right to Information Act.He added the government will place the draft broadcasting policy on online for eliciting public opinion. It will also discuss the policy with the private broadcasting organizations and other stakeholders.
খসড়া নীতিমালা দ্রুত প্রকাশিত হোক জনগণের কাছে, আলোচনার আর মতামত আদানপ্রদানের সুযোগ আসুক, আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত থাকুক।
মন্তব্য
স্লট বরাদ্দের ব্যাপারটা আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। সত্যি বলতে কী বাচ্চাদের জন্য আমাদের দেশীয় চ্যানেলে কোনো আয়োজন নেই। বাচ্চা এখন বড়ো হচ্ছে বিদেশী চ্যানেলগুলোর কার্টুন দেখে। আমি অনেক বাড়িতে দেখেছি সারাদিন এসব কার্টুন চ্যানেল চালানো হয়। আমি কার্টুনকে খারাপ বলছিনা। বাংলাদেশী চ্যানেলে কার্টুন দেখানো যেতে পারে। এজন্য দরকার সামান্য উদ্যোগ। অনেক শিশুকেই দেখেছি রেসলিং নামক জিনিশটাতে একেবারে মগ্ন। কী পরিমাণ ভায়োলেন্স যে এসব অনুষ্ঠানে দেখানো হয় তা সবাই জানেন,এমনকি শিশুর মা-বাবাও জানেন,কিন্তু বাধা দেন না;কারণ তাদের হাতে ত অপশন নেই।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আরো আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
হিন্দি কার্টুন চ্যানেলও আছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
সত্যি কথা বলতে কি, আমি ইদানীং অনেক বাবা-মাকে দেখেও হতাশ। আমাদের সময়ে, আই মিন আমরা ছোট থাকতে বাবা-মা, বড়রা বকাবকি করতেন বেশিক্ষণ টিভি দেখতে মানা করতেন, কাছ থেকে টিভি দেখা খারাপ বলতেন। রাত দশটার সংবাদের পরে 'টুইন পিকস' দেখালে বড় ভাইরা দেখতো আর আমাকে ঘাড় ধরে ঘুমাতে পাঠিয়ে দিত, 'এটা এখন তোমার দেখার জিনিস নয়' বলে। (পরে ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন 'টুইন পিকস' দেখতে এই জন্যেই আরো মজা লেগেছিলো মনে হয়! কে জানে!!)
এখন দেখি অধিকাংশ বাবা-মাই ছেলেমেয়ে কী দেখবে, কী দেখা উচিত নয়, কী দেখা দরকার, এগুলো নিয়ে তেমন মাথাই ঘামান না! আমি বেশ বিস্মিত ব্যাপারটা অবজারভ করে! বাচ্চারা ধুমিয়ে পরকীয়া, খুন জখম, অত্যাচার নিয়ে নাটক, সিনেমা, সিরিয়াল দেখছে মায়ের পাশে বসে, বা একটু বড় ছেলেমেয়েরা একাই দেখছে, কেউ কিছুই বলছেনা, এইটা ভারি অবাক লাগে দেখে!
কিন্তু কী বলবো? বাচ্চাদের জন্যে প্রোগ্রাম কই?! আমরা ছোট থাকতে বিটিভি নিয়মিত সে সময়ের পপুলার কার্টুন দেখাতো, এখনো দেখায় সম্ভবত, কিন্তু আর কোন চ্যানেল কি দেখায়? আমি ঠিক জানি না আসলে। নাটক, ছোটদের জন্যে প্রায় কোন নাটক নাই! ঈদের অনুষ্ঠানমালায় ভুলেচুকে কখনো কখনো কোন নির্মাতা বানিয়ে ফেলেন, কোন চ্যানেল এয়ার করে, নিয়মিত কিচ্ছু নাই! আর বিটিভিই বা এমন কী ছিল! ছোটকালে আমরাই হন্যে হয়ে থাকতাম ভারতের ডিডি-১-এ বিকালে কখন কার্টুন দেখাবে, আর আমাদের পূজোর ছুটি কবে হবে যে বাড়িতে বসে ডিডি-৭ এ 'ছুটি ছুটি ছুটি'-র রকমারী প্রোগ্রাম দেখব! আর অনিন্দ্য যেমন বললো, এখন ছোটদের চ্যানেল তা কার্টুন হলেও, আবার হিন্দি ভাষারটাই প্রচারিত হচ্ছে! বাচ্চাদের দেখি বাংলা শব্দভাণ্ডার দুর্বল হলেও হিন্দি ইংরেজীর থেকে রিচ!
আমাদেরকেও সচেষ্ট হতে হবে, যারা মিডিয়ায় জড়িত তাঁদেরকে ছোটদের জন্যে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সংখ্যক সিনেমা বানানো, নাটক, প্রোগ্রাম তৈরি করতে হবে, এয়ার করতে হবে! নাহলে আর ক্যাম্নে কী! আর বাচ্চারা কী দেখবে না দেখবে এইটার চর্চা বাড়িতে শুরু হওয়াটাও জরুরি!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খুব গোছান, informative, analytical পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া অবিলম্বে উন্মুক্ত হোক জনগনের কাছে; আপনার এই যৌক্তিক দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছি।
হিন্দি শাড়ি-গয়না-সর্বস্ব superficial সংস্কৃতির কুৎসিত প্রভাব কাটিয়ে উঠতে হিন্দি চ্যানেলগুলোর বেশিরভাগই বাতিল করা যেতে পারে। ঐসব substandard, স্হূল রসিকতায় ভরা অনুষ্ঠানগুলোতে শেখার মতো, উপভোগ করার মতো কোনো উপাদানই নেই।
আপনাকেও পড়বার আর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। কিন্তু অনুগ্রহ করে 'পাঠক'-এর নাম ব্যবহার করলে ভালো হয়।
আমার কাছে সব হিন্দি চ্যানেলের সব প্রোগ্রামই এককথায় বাজে বলার জেনেরালাইজেশন ঠিক মনে হয় না। তবে হ্যাঁ, রাশিরাশি হিন্দি সোপ অপেরার চ্যানেলের দরকার আমাদের নেই নিঃসন্দেহে। আমাদের দেশে বাচ্চাদের চ্যানেল, স্পোর্টস বা জ্ঞান-বিজ্ঞান-ট্রাভেলের বিদেশী চ্যানেলগুলোও ইংরেজী হলেই চলবে। আমাদের দেশে ক্লাশ ফোর থেকে সম্ভবত ইংরেজী শেখা বাধ্যতামূলক। কাজেই ধরেই নিচ্ছি স্কুলে গেছেন এমন সবাই টুকটাক ইংরেজি জানেন। আর স্যাটেলাইট চ্যানেল আছে, এমন বাড়ির মানুষেরা ইংরেজী বুঝেন বলেই ধারণা, হিন্দি না শেখানো সত্ত্বেও যদি তারা টিভি দেখতে দেখতেই হিন্দি ভালো বুঝেন, তবে ইংরেজী না শিখে থাকলেও একপর্যায়ে শিখে যাবেন আশা করা যায়।
খসড়া প্রকাশিত হোক। জনগণের মতামতকেও বিবেচনা করা হোক। এটাই আশা।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
খুবই গোছানো, informative, analytical পোস্ট। পড়ে অনেক কিছু জানলাম।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার খসড়া জনসম্মুখে প্রকাশ করা হোক, আপনার এই দাবীর সাথে একাত্মতা ঘোষনা করছি।
আর substandard, স্হূল রসিকতা, শাড়ি-গয়না-কুটকাচালীতে ভরা হিন্দী চ্যানেলগুলোর বেশিরভাগই বাদ দেয়ার ব্যাপারে খসড়াতে উল্লেখ থাকা উচিত ছিল।
খসড়া খুব একটা smart হয়নি। প্রনয়নকারীরা জনমতকে শ্রদ্ধা জানিয়ে খসড়া amend করলে হয়; fingers crossed
আপনাকেও পড়বার আর মতামত শেয়ার করবার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
(মন্তব্যের শব্দচয়ন আর প্যাটার্ন দেখে মনে হলো, তাই জিজ্ঞেস করছি, আপনি আর আগের মন্তব্যের 'পাঠক' কি একই ব্যক্তি?)
নীতিমালা একটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তবে খসড়া নিয়ে আলোচনা দরকার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
জ্বি। প্রথম মন্তব্যে আমার নাম না লিখেই 'সংরক্ষন' বাটনে হিট করে ফেলেছি। ভুল করে মিসটেক হয়ে গেছে। দুঃখিত
ব্যাপার নাহ্! আবারো নামসহ মন্তব্য করায় ধন্যবাদ।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ছোটদের উপযোগী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যাপারে অবশ্যই মনোযোগ দেয়াটা প্রয়োজন। 'এসো গান শিখি' ধরনের মানসম্মত অনুষ্ঠান এখন প্রচারিত হয় কিনা আমার ঠিক জানা নাই। ক্ষুদে গানরাজ নামের এক অনুষ্ঠানে একক্ষুদে
গাইয়ের গান শুনে তো রীতিমত টাশকিত হয়েছিলাম! এত পিচ্চাকালেই যদি শিশুরা প্রেম এবং বিরহে কাতর গানে
আগ্রহী হয় বড় হয়ে করবেটা কী! তাই শিশুদের জন্য ঠিক কেমন ধরনের অনুষ্ঠান বা বিষয় উপযোগী সেদিকে নজর
দেয়াটা দরকার। আর শিশুদের অনুষ্ঠান সম্প্রচারের একটা নিদির্ষ্ট সময়ের কথা তো আপনি বলেই দিয়েছেন। ওটারও খুবই দরকার।
হিন্দি চ্যানেলের সংখ্যা কমিয়ে মানসম্মত অন্য দেশের আরো চ্যানেল বাড়ানো যেতে পারে( আমার কথা শুনতে যেন বয়েই গেছে নীতিনির্ধারকদের ) আর অদ্ভূতুরে বাংলা ডাবের বদলে ইংরেজি সাবটাইটেল সবার জন্যই উপকারি হবে বলেই বিশ্বাস। কারণ সেদিন আমি যোগাযোগ মন্ত্রীকে ভুল ইংরেজি বলতে শুনেছি! তবে টক শো গুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত(যদি ঘটনা সত্যি হয় আর কি) না নিয়ে বরং ওতে অংশ গ্রহণকারী মানুষগুলোর আচার-আচরনের ব্যাপারে মনোযোগ দেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে 'তৃতীয়মাত্রা' ঠিক কতটা টক শো আর কতটা
'কে কতটা হা করিতে পারে তাহারই' প্রতিযোগিতা সেটা নিয়ে দ্বন্দ্বে পড়তে হয়। বেশিরভাগ টক শো তেই বক্তা
'আমারে কইতে দে আমি সব জানি' টাইপ। .....হিন্দি চ্যানেলের নাটকগুলো বন্ধ করা যেতো যদি কোনভাবে!
অবশ্য এটা শুনলে অনেকেই আমার মুণ্ডুপাত করবেন। দেশের অর্ধেক জনসংখ্যাই মনে হয় আমরন অনশনে চলে যাবেন...ইস্যুটা বেশ নাজুক দেখা যাচ্ছে
আমি মনে হয় অপ্রাসঙ্গিক আলাপে চলে গেছি থাক অন্যেরা কী বলেন সেটাই বরং শুনি। তবে এটা তো খুবই সত্যি কথা, লাঠি যখন আমার হাতে, তোমার মাথাটাই আমার লক্ষ্য! মানে ক্ষমতাসীন দল যেমনটা চাইবেন তেমনই সব ঘটতে হবে......
বড় হয়ে গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা আর সাতচাড়া খেলবে
আপনার আলাপ প্রাসঙ্গিকই আছে। তবে আপনি প্রায় আমার কথাগুলো বলে দিয়েছেন বলে দিক্কার!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
প্রেম আর বিরহে কাতর গান অনেক ভালো জিনিস - ছানাপোনাদের গানের প্রতিযোগিতায় মাঝে মধ্যে ইরোটিক সুড়সুড়িযুক্ত গানও গাইতে দেখা যায়!
অদ্ভুতুড়ে বাংলা ডাবিং? আপনি জ্ঞানীগুণীদের অবমাননা করছেন। ম্যাট্রিক্সের বাংলা ডাবিং-এ "I knew it, He is the one!" এর বাংলা ছিলো "আমি জানতাম, সে একজন!" - এমন চমৎকার ভাষাজ্ঞান আর মুন্সিয়ানা সমৃদ্ধ ডাবিং আর কোথায় পাবেন?
বিটিভিকে যদি আবার পঁচিশ বছর আগের বিটিভিতে পরিণত করা যেতো তাহলে বিটিভি দর্শকের সংখ্যা অনেক বাড়তো কিনা জানি না, একজন বাড়তো - সেটা আমি। এ পর্যন্ত আমার দেখা সেরা হলিউড সিনেমা, বাংলা নাটক সবই ছিলো বিটিভিতে।
আর ইয়ে, বাঁশ যখন হাতে, তখন নিঃসন্দেহে জনগনের কিছু একটাই টার্গেট (মাথা হলে বেঁচে যেতাম, এক বাড়িতেই পগারপার - কিন্তু ওটা মাথা নয়)...
আমি জানতাম, সে একজন!---
facebook
পোস্টে যে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে, নীতিমালার প্রধান দর্শন যদি এটাই হয়, তাহলে আমার তো মনে হচ্ছে নীতিমালার উদ্দেশ্য উদ্ধৃত অংশটুকুই !! তবে আগেভাগে এতো তাড়াতাড়ি হতাশ না হয়ে আরেকটু অপেক্ষা করে দেখি জনমতামতকে শ্রদ্ধা জানাতে খসড়াটা প্রকাশ করা হয় কিনা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
সংবাদে সরকারী মাধ্যমের বরাত দিয়ে যখন বলেছে যে খসড়া নীতি অনলাইনে প্রকাশ করা হবে, এবং জনমত গ্রহণ করা হবে, আশা করছি সত্যিই তা করা হবে। এখন দেখা যাক!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
একবার কোন এক গানের কম্পিটিশনে বেশ অনেকদূর পৌঁছে যাওয়া এক পিচ্চি (ক্লাশ ফাইভ পড়ুয়া হবে) ট্রেইনে আমাদের কামরায় আসছিলো, পুরো রাস্তাই 'বড়'দের প্রেমের গান শুনতে শুনতে আসলাম... তার মা- অবশ্য বেশ প্রাউড ফিল করছিলো এইটা বলতে পারি!! আর অন্য অনেক যাত্রীকেও দেখলাম সেগুলো খুব অ্যাপ্রিশিয়েট করতে! আমাদের মতন হাতেগোণা কয়েকজনই খালি এই বয়সের অনুপযোগিতা হ্যান-ত্যান বাজে সব ব্যাপার নিয়ে আজাইরা গিয়াঞ্জাম করি মনে হয়!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
উফফফ! বিশ্বাস করেন, আমি কালকে পোস্টের মধ্যে এই গানের কম্পিটিশন নিয়ে বেশ বড়সড় একটা আলোচনা করেও, সেমি-অফটপিক বিবেচনায় বাদ দিয়েছিলাম। ছোটদের জন্যে একেতো অনুষ্ঠান কম, তার উপরে গত পাঁচ বছরে আমার চোখে পড়েছে, তার মেজরিটি হলো বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানকেই বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা ছাড়া নতুনত্ব তেমন কিছু চোখে পড়েনি, সবসময়ে সেইসব প্রতিযোগিতা স্কুলপড়ুয়াদের মানসিক বিকাশের জন্যে খুব একটা সহয়কও মনে হয় নাই।
কালকে আবার টিভিতে বাচ্চাদের একটা গানের অনুষ্ঠানে দেখলাম লালন সঙ্গীত হচ্ছিলো। চমৎকার গলা একেকজনের। ফরিদা পারভিন ছিলেন। কিন্তু বাচ্চাদের কস্টিউম দেখে আমার মনে হলো বৈষ্ণব লুক দেয়া হয়েছে। লালন নিজেই যেখানে গেয়েছেন - "সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে" সেখানে 'বাউল' লুক নিয়ে ধারণা চ্যানেল কর্তৃপক্ষ বা অনুষ্ঠান নির্মাতার বাড়াবাড়ি অথবা অজ্ঞতা মনে হওয়া স্বাভাবিক!
আবার ছোটদের জন্যে একসময়ে 'নতুন কুঁড়ি' জাতীয় পর্যায়ের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ছিল। স্ট্যান্ডার্ড কিছুটা হলেও মেইন্টেইন হতো সেখানে। আমরা কিন্তু সেখান থেকে পরবর্তীতে অনেক সত্যিকারের স্টারের দেখা পেয়েছি সংস্কৃতি অঙ্গনে। কিন্তু এইটার আয়োজন আবার ক্ষমতাসীনদলের উপরে নির্ভরশীল! বাচ্চাদের একটা অনুষ্ঠান নিয়েও রাজনীতি করতে ছাড়ি না আমরা!
তবে 'কম্পিটিশনাল' অনুষ্ঠানগুলো দেখে মাঝে মাঝে মনে হয় এত এত পড়ার চাপ, কোচিং-এর চাপ, প্রাইভেট টিউশনির চাপের উপরে আবার এক্সট্রাভাবে আর নানান কম্পিটিশনের চাপটা বাচ্চাদেরকে না দিলেও হয়তো চলতো! তাদের জন্যে নাটক, গানের বা কবিতা-ছড়ার অনুষ্ঠান, কুইজ শো, অ্যানিমেশন, ইত্যাদি নানান রকম ভিন্ন স্বাদের প্রোগ্রামের কোন বালাই নেই। অবশ্য কীইবা যায় আসে পিচ্চিরা কী দেখল না দেখলো তা নিয়ে? ১৮ বছর হয়ে গেলে এরাই দেশের ভোটাধিকার প্রয়োগকারী প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হয়ে তো এমনিতেই যাবে, এদের মনন গড়বার দায়-দায়িত্ব শুধু শুধু আমাদের চ্যানেলদের, এবং অনুষ্ঠান নির্মাতাদের নেয়ার দরকার কী! হুদাই সময় নষ্ট!
টক শো নিয়ে আসলে আর কিছু বলার নাই!! এমনিতেই যত কথা বলেন আমাদের বিজ্ঞজনেরা! কয়েকজন আছেন ধরা-বাঁধা, নিয়মিত প্রতি মধ্যরাতে এই চ্যানেলের অনুষ্ঠানের পরেই দেখবেন ঐ চ্যানেলে হাজির! ওঁরা নিজেদের পড়ালেখা আর প্রফেশনাল কাজকর্ম কখন করেন ভেবে পাই না! হিসেব করে দেখি নাই, কিন্তু ধারণা যে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলোর হাইয়েস্ট এয়ারিং টাইম-স্লট দখল করে আছে মনে হয় এইসব টক-শো!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই গানের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকেই সরব। দেখতে-শুনতেও তো অস্বস্তি লাগে। আমার ছোট ভাই ছায়ানটে পড়ত, তখন সারাদিন "খর বায়ু বয় বেগে", "আমরা সবাই রাজা" মাথা খারাপ হওয়ার দশা। বেশ কিছু উদভুটি ছড়া গানও শুনেছিলাম। সব গান গেল কই?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা যে অন্য যে কোন দেশের চাইতে অনেক বেশি সেটা ব্লিটজের রিপোর্টটা পড়লেই বোঝা যায়। সরকারের নাম দিয়ে যে যা খুশি ছাপিয়ে ফেলতে পারে।
আশঙ্কার কথা হচ্ছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারগুলো একেকটি উদ্যোগের মাধ্যমে নিজেদের কবর যেভাবে খোঁড়ে তাতে করে ভরসা পাই না। তাই ব্লিটজের রিপোর্টটি মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেওয়ার সাহস পাই না মনে।
যদি দেখা যায় ব্লিটজের রিপোর্টটি সত্যি তাহলে বাকস্বাধীনতা "হতবাকস্বাধীনতায়" পরিণত হবে।
তা-ই বটে...
এমনিতে হয়তো ব্লিটজের খবরটা হেসে উড়িয়ে দিতে পারতাম কিন্তু পুরো অবিশ্বাস করতে মনের মধ্যে খুঁতখুঁত করে...
ব্লিৎজ সম্পর্কে যা জেনেছি তা বেশ চমকপ্রদ! ব্লিৎজ চালায় যিনি সেই শোয়েব চৌধুরী বেশ কিছুদিন আগে ইজরায়েল যেতে গিয়ে এয়ারপোর্টে ধরা খেয়ে আলচিত হয়েছিল। বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের বাকস্বাধীনতাহীনতার দোহাই দিয়ে বেশ ব্যবসা করে এমনও শুনছি। তাঁর নামে উইকিলিকসেও নাকি বেশ কিছু নিবন্ধন আছে।
কাজেই অতিরঞ্জিত রিপোর্ট সেই সন্দেহই হয়। কিন্তু খসড়া নীতিমালা প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কতটা, কী, সেটা বুঝাই মুশকিল!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
রাজাকার মান্নান এর শেষ ইচ্ছ ছিলো সম্ভবত একটা টেলিভিশন চ্যানেল। ইনকিলাব টিভি বা আই টিভি নাম দিয়া একটা আবেদনও সে করছিলো। সেই প্রস্তাবিত টিভির প্রধান নির্বাহী ছিলো এই শোয়েব চৌধুরী। নাইমুল ইসলাম খান মাঝখানে তারে বিশেষ সংবাদ দাতা পদে নিয়োগ দিয়েছিলো আমাদের সময় এ। জেল থেকে বের হবার পর তার সামাজিকিকরনে এটা নাইমুলের উদ্যোগ ছিলো। এই লোক নাকি সিনেমাও বানায়।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমাদের বিপদ দুই দিকেই। নীতিমালা থাকলেও বিপদ, না থাকলেও যার যা খুশী করবে। তবে বাংলাদেশের সরকারের যে চরিত্র, তাতে কোন নীতিমালা না থাকাই ভালো। কারন নীতিমালা বললে দুটো জিনিস মাথায় আসে, একটা হলো নিয়ন্ত্রন, আরেকটা হলো বিটিভি। সরকারের নিয়ন্ত্রনের ধরণটা অসুস্থ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো কিছুর গলা টিপে ধরা হয়। এর কারণ অশিক্ষিত অযোগ্য মূর্খ লোকদের রাজত্ব সরকারের তোয়ালে বিছানো চেয়ারগুলোতে।
বিদেশী চ্যানেলের নিয়ন্ত্রন কিসের ভিত্তিতে হবে? জনগনের মধ্যে জনপ্রিয় চ্যানেলের মাধ্যমে বিচার করা হবে? জনগন কে? আমার বউ সুলতা, পাশের বাড়ির ভাবী ইনানের মা, সামনের বাসার খালাম্মা তানভীরের মা, পেছনের ঘরের জামশেদ সাহেবের পরিবার এরা সবাই তো জনগনের অংশ। এরা সন্ধ্যার পরেই স্টারপ্লাস বা জিটিভি বা সনি খুলে বসে থাকে হিন্দি সিরিয়াল দেখার জন্য। এসব না দেখলে এদের ভাত হজম হয় না। আবার আমার এসবে বমি পায়। সরকার কি আমার দিকে তাকাবে নাকি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের দিকে?
সম্প্রচার নীতিমালা বানাবার সময় বিটিভিকে সরিয়ে রেখে একুশে টিভি আদি অবস্থাকে সামনে আনতে হবে। বাংলাদেশ বা উপমহাদেশে একুশে টিভির মতো বৈচিত্রময় চ্যানেল আর একটিও আসেনি। লজ্জার কথা সেই চ্যানেলকে খুন করেছে জনগনের নির্বাচিত সরকার। আবারো সেই.....ুত্তার বাচ্চারা ক্ষমতায় আসবে। (দুঃখিত, কিন্তু একুশে টিভি বন্ধ করার ঘটনা মনে পড়লে ওই সরকারের জন্য আমার মুখ দিয়ে গালি ছাড়া আর কিছু বের হয় না।)
টকশো নিয়ন্ত্রনের বিরোধী আমি। কিন্তু টকশোতে কিছু ফাউল লোকের উপদ্রপ নিয়ন্ত্রন করা দরকার। এরা হলো নীতিহীন পতিত টকার। যাদের চশমায় দিগন্ত আর দেশটিভির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
টিভি অনুষ্ঠান বানাবার ক্ষেত্রে যেসব নির্মাতা ভারত পাকিস্তান বাদে আর কিছু চোখে দেখে না, তাদেরকে বিনা পাসপোর্টে দেশ থেকে রপ্তানী করে দেয়া দরকার।
শিশুদের শিশুতোষ ধারণা থেকে জোর করে টেনে আনে কিছু অনুষ্ঠান। বাচ্চাদের যেসব প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ভারতে বানানো হয়, তার কিছু অনুষ্ঠানের সাথে পাল্লা দেবার মতো অশ্লীলতা ইউরোপ আমেরিকায়ও নেই। এই নির্মাতা বা চ্যানেলগুলোকে কষে থাপ্পড় লাগানো উচিত।
আপাততঃ এইই আমার দুই পয়সা। মনে পড়লে পরে আবার লিখবো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার কেন জানি মনে হয় বিদেশী চ্যানেল নিয়ে আমাদের মতামতকে সরকার গ্রাহ্যই করবে না! এখানে প্রাধান্য পাবে দেশের কেবল চ্যানেল অপারেটররা। আর কেবল চ্যানেল তাই দেখায় যা সাধারণে দেখতে চায়। হিন্দি সিরিয়াল! ভালো প্রোগ্রাম তৈরি না হওয়াটা, জনগণের চাহিদা না মেটাটা একটা বড় ইস্যু হয়ে যাচ্ছে আসলে।
অ্যাগ্রিড!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ঠিকই বলেছেন, বউ, মা, খালা, শাশুড়ি, বান্ধবী, আত্মীয়া এনারাই স্যাটেলাইট চ্যানেলের সংখ্যাগরিষ্ঠ দর্শক এবং দেশের ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন বটে। তাই আপনার বা আমার দিকে তাকিয়ে ভোট ব্যাংকে কেই বা গুতা দিতে চাইবে?
শুধু যে এগুলো ভারতীয় ডেইলি সোপ সে জন্য এর বিরোধীতা করছিনা, বরং এগুলোতে এক একটা চরিত্ররে যে জটিল ও কুটিল মারপ্যাচ, চরম বিত্তবানদের যে লাইফ স্টাইল, সুন্দরী সুন্দরী তরুণী থেকে বিগত যৌবনা রমণীদের পোশাক-পরিচ্ছদ, ছোটছোট বাচ্চাদের অকালপক্ক ডায়লগ এইরকম আরো অনেক অ-শিক্ষণীয় ব্যাপার আছে যার প্রত্যক্ষ প্রভাব আমাদের আশেপাশে লক্ষণীয়, সে জন্যই এর বিরোধিতা।
বহুত খাটনি করে এই পোষ্টটি দেবার জন্যে আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই। খাটনি না আসলে, চিন্তাগুলান মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, লিখে ফেললাম। আপনারা সবাই আলোচনা করলে আরো অনেক পয়েন্ট বেরিয়ে আসবে নিশ্চয়ই।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার করে পয়েন্ট ধরে ধরে গুছিয়ে লিখেছেন । আরো আলোচনা হওয়া তো দরকারই, কিন্তু কুম্ভকর্ণদের ঘুম ভাঙ্গানো যায় কি করে!
facebook
ধন্যবাদ অণু ভাই। আলাপ-আলোচনা হওয়া দরকার, খসড়া নীতিমালা যে জনগণ জানতে চায় তা সরকারের বোঝা দরকার।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
ভয়ানক ভালো পোস্ট। কিন্তু হিন্দি সিরিয়ালের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির কোন উপায় বাতলালে প্রাণে বাঁচতাম। সেদিন তুতুন বললে, "আমি অনেক 'কোশিশ' করলাম"। আমি বললাম কোশিশ মানে কি রে ? বলে, "কোশিশ মানে হল 'ট্রাই' করা"। অনেক চেষ্টাতেও 'চেষ্টা' শব্দটা মুখ দিয়ে বের করাতে পারলাম না।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
হি হি হি... আরেকটা গল্প শুনেন - আমার দুই বোন বিদেশ থেকে দেশে আসছে, তাদের মা আবার ভিনদেশী। ছোট থেকে বিভিন্ন দেশে থাকার কারণে তারা ৪টা ভিন্ন ভিন্ন ভাষা গড়্গড় করে বলতে পড়তে পারলেও, বাংলা ভালো শেখে নাই, দেশে বেড়াতে আসলে আমরা এট্টু আট্টু তালিম দেই, কিছু কিছু জিনিস বুঝে। সেইবার দেশে এসে খুব মন দিয়ে খালি ডিজনি চ্যানেল দেখেছে, তাদের ঐখানে ২৪ ঘন্টার বাচ্চাদের চ্যানেল নাই (এইটাও একটা ব্যাপার, ২৪ ঘন্টার বাচ্চাদের চ্যানেল আদৌ থাকা উচিত কিনা, যাই হোক, গল্পে ফেরত যাই...), বাবা-মা মানা করছে না তেমন টিভি দেখতে, কারণ ছুটিতে আসছে, এমনিতে খুব কম টিভি দেখতে দে্ সুযোগও পায় কম, যেমনটা বলেছি পোস্টে, যে নির্ধারিত সময়ে ছোটদের অনুষ্ঠান দেখান হয়, সেটুকুই। তো প্রতিদিন রাতে আর টিভির কাছ থেকে টেনে সরান যায় না তাদেরকে, কিছুতেই ঘুমাতে যাবে না, আমার বাবা-মার পাশে লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে শুয়ে টিভি দেখবে! তো একদিন পার্কে নিয়ে গিয়েছি ওদেরকে। হঠাৎ ছোট জন দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বলে, "আমাকে পাঁচ রুপি দাও, বাদাম কিনবো"!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
এই লেখাটার দরকার ছিলো।
সম্প্রচার নীতিমালাটা থাকা জরুরী, অন্তত আমাদের অরাজক সম্প্রচার কর্মকাণ্ডকে কিছুটা নিয়মে রাখা দরকার। কিন্তু এখানে যা যা আলোচনা হচ্ছে, সেটা হলেতো ভয়ংকর হবে। ভিক্ষা চাই না মা, কুত্তা সামলা...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ধন্যবাদ অপু ভাই।
সম্প্রচার নীতিমালা থাকা খুবই জরুরি। দেখা যাক সরকার কোন্ বিষয়ে আসলে কতটুকু ছাড় দেবে আর কতটুকু নিয়ন্ত্রণ রাখবে। প্রয়োজন হলো সরকারী ভাষ্যমতেই নীতিমালার খসড়া প্রকাশ করা, এবং জনমত গ্রহণ ও তা আমল করা।
তবে সবচেয়ে জরুরি আর শেষ কথা হলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকতে হবে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
দারুণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন জনাব। শিশুদের নিয়ে আমরা কতোটা কম ভাবি তার প্রমাণ পেলাম এখানেও। জানি না এটা নিয়ে আমরা এতোটা নির্বিকার কেন। শেখার সুযোগ করে দেবো না, আবার যতো বড় বড় প্রত্যাশা করবো ওদের কাছ থেকে। চ্যানেলগুলোর আরেকটা নির্লজ্জ আচরণ প্রকাশ পায় বিজ্ঞাপন প্রচার করার মধ্য দিয়ে। আপনার কথাগুলো যদি কর্তারা শুনতেন এবং মানতেন, তবে কিছু পরিবর্তন আমরা দেখতে পেতাম। সতত শুভকামনা।
সবাই মিলে চেঁচামেচি করে যদি কণামাত্র টনক নড়ানো যায় তো তাও ভালো!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
চমৎকার! খুবই প্রয়োজনীয় আলোচনা, আপনাকে ধন্যবাদ!
পরিশ্রমী লেখাটির জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী
পড়বার আর মন্তব্য করবার জন্যে ধন্যবাদ তানিম, ধন্যবাদ সুমন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন