আমার বই পড়া, আমি এবং আমার হুমাহূন আহমেদ…

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৫/০৯/২০১১ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শৈশবে আমার বাচন যন্ত্রটিতে কিছু ঝামেলা ছিল। কথা বলা শুরু হতেই বোঝা গেল, এই মেয়ে ‘ত’ ততিয়ে কথা বলে। যেমন বাবার নাম জিজ্ঞেস করা হলে জবাব দেই, ‘তায়েত তালোয়াল’ (জাহেদ সারোয়ার)। প্রথম দিকে এটা নিয়ে বিশেষ কেউ চিন্তিত না হলেও স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ঝামেলার ব্যাপারটা বোঝা গেল। আমার তোতিয়ে কথা বলাটায় অন্যরা মজা পেতে শুরু করেছে। বড়রা তো আদর করার ছলে হাসি ঠাট্টা করতোই, ছোটরাও ভেঙ্গানো শুরু করলো। মনের দুঃখ বাবাকে গিয়ে বলতেই বাবা চিন্তিত হয়ে উঠে পড়ে লাগলেন আমার বাচন ঠিক করতে। নানা রকম কলা কৌশল শেষে জ্বীহবার নীচে মার্বেল ঢুকিয়ে দিলেন। ঘটাস ঘটাস কয়েক্ষানা মার্বেল গলধঃকরন করার পরে মার্বেল থেকে রেহাই পেলাম। অতঃপর, কয়েক দিন পর বাবা নিজের বুদ্ধি খাঁটিয়ে নূতন পন্থা আবিষ্কার করলেন। ঘরের বইয়ের আলমিরা থেকে বেছে বেছে ভয়ংকর সব শব্দাবলি দিয়ে রচিত সাহিত্যের বই (তারাশঙ্কর, বিভূতি, মানিক, আলাওল…!!!)টেনে আমার সামনে এনে ফেলে বললেন, পড়।
‘তৃতীয় শ্রেণীর একটা বাচ্চা পড়বে ঐ বই?!! বুঝবে কি?’ মায়ের এই প্রশ্নে বাবার সাফ জবাব, ‘বোঝাবুঝির দরকার কি? উচ্চারণ করে পড়তে পারলেই হবে। ওর জ্বীহবাটা তো সাফ হবে?’

শুরু হল আমার সাহিত্য পাঠ। রোজ দুই বেলা জবরদস্তি দাঁতভাঙ্গা সব বাক্য পড়তে পড়তে আমি পঞ্চম শ্রেনীতে উত্তির্ণ হয়ে গেছি। জ্বীহবার জড়তা অনেক্ষানি কমেছে কিন্তু প্রচন্ড ভাবে বেড়েছে সাহিত্যভীতি। তোতিয়ে কথা বল্লেও আশ্চর্যজনক ভাবে আমি গান গাইতে পারতাম পষ্ট উচ্চারনেই। ক্লাস ফোর থেকে স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরষ্কার স্বরূপ কিছু বই এর মালিকও হয়ে গেছি।কিন্তু সেই সব বই এর পাতা খুলে দেখার ইচ্ছাও হত না। এমন ভয় তখন আমার সাহিত্যে।

‘ত’র হাত থেকে পুরো নিস্তার পেয়ে গেলেও সাহিত্যভীতি (সাহিত্যও) আমায় নিস্তার দিলনা। বরং আরো যেন আকঁড়ে মাকড়ে ধরে বসল। কিন্তু রোজ দুবেলা পড়তে পড়তে পড়ার অভ্যাস হয়ে গেছে। কিছু না কিছু পড়া চাই-ই চাই, তা বুঝি না বুঝি। বাবার অনুকরনে দৈনিক পেপার পড়া শুরু করলাম। কিন্তু মুখে মধু নেই। সব তেতো। তাও পড়ি, এমনি করে আরো এক ক্লাস উপরে উঠে গেলাম। ষষ্ঠ শ্রেনীতে উঠে অনেক কিছুই বুঝি। অনেক শব্দের অর্থই জানি বা করতে শিখেছি। কিন্তু তবুও পড়ার বইয়ের বাইরের বই পড়ার আগ্রহ তখনো পাইনা তেমন করে। বছর শেষে, বার্ষিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মোট ১১টি বই জিতে নিলাম। নানা রকম জীবনী আর উপদেশমূলক বইয়ের মাঝখানে দুটি বই আমার নজর কাড়লো। দেশাত্মবোধক আর নজরুল গীতি গাওয়ার পুরষ্কার হিসেবে পাওয়া বই দুটোর লেখক হূমায়ুন আহমেদ! “ফেরা” ও “একা একা”।

স্কুল ছুটির অখন্ড অবসরে ত্যাক্ত হতে হতে বই দুটির একটি টেনে নিয়ে বসলাম। তেতো মুখ করে প্রথম পাতা পড়তে পড়তে টান টান হয়ে গেলাম কিছুক্ষন পরেই। নিজের অজান্তেই গোগ্রাসে গিলে চেটেপুটে খেয়ে শেষ করে ফেললাম চিকন চাকন বইটিকে। কিন্তু পেট তো ভরে না…
দ্বিতীয় বই খুলে বসলাম। সেটাও শেষ। সপ্তম শ্রেনীতে পড়া একটি মেয়ে দেড় দিনে দুইটি উপন্যাস বই শেষ করে অস্থির হয়ে উঠলাম এই লেখকের আরো বই জোগাড়ে।
এর তার কাছে খোঁজ নিয়ে, লাইব্রেরীতে খোঁজ় নিয়ে জোগাড়ও করে ফেললাম আরো বেশ কিছু বই। পুরোই নেশা ধরে গেল। এই করে করে আমার গল্প পড়ার আগ্রহ তৈরি হল নেশা করার মতই। মায়ের বিছানার বালিশের পাশে পড়ে থাকা যে বেগম, বিচিত্রা, সানন্দা বা দেশ পত্রিকায় কোনোদিন আগ্রহও দেখাইনি সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের দেখার জন্য হলেও। সেই দেশ পত্রিকার একটি ধারাবাহিকের সর্বশেষ অংশটুকু পড়ে পুরোনো বইয়ের গাঁদা ঘেঁটে বের করলাম আগের গুলো। এক এক করে পড়লাম পূর্ব-পশ্চিম, সাততকাহন।

মূলতঃ সেই বছরটাই আমার সত্যি করে বইকে ভালবাসার বছর ছিল। আর তা হয়েছিল কেবল মাত্র ‘হুমায়ূন আহমেদের’ বই পড়া শুরু করার পরই। এত সুন্দর সাবলিল ভাষায়ও যে সাহিত্য রচনা হতে পারে তা আমার ধারনার বাইরে ছিল। আর হুমায়ূন আহমেদের বিভিন্ন বই-এ তাঁর পড়া বেশ কিছু বই এর নাম থাকতো। খুঁজে খুঁজে সেই সব বইও জোগাড় করে পড়া শুরু করলাম। ক্লাস নাইনে উঠতে উঠতে আমি বিশাল সাহিত্যপ্রেমিকে পরিনত হয়ে গেলাম(!!) সেবার বাংলায় ১০০তে ৯৫ পেয়ে বাবাকে মায় স্কুলের স্যারদেরকেও তাক লাগিয়ে দিলাম। বাবা সেই খাতা বাঁধিয়ে রেখে দিয়েছিলেন।(আহা, কালের গর্ভে কোথায় যে তা হারিয়ে গেল তা!) পাড়া পড়শি আত্মীয়স্বজনেরা যেই-ই বাসায় আসতেন তাকেই বাবা সেই খাতা খুলে মেয়ের কির্তী দেখাতেন গর্ব ভরে।

ততদিনে, লুকিয়ে চুরিয়ে নিজেও লেখা শুরু করেছি টুকটাক। এখানে ওখানে পাঠাই বিভিন্ন পত্রিকার ‘লেখা আহবান’ বিজ্ঞাপন দেখে দেখে। ছাপাও হয়। নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুলের বার্ষিক ক্রোড়পত্রে একটি গল্পও ছাপা হল। একুশে ফেব্রুয়ারী’র প্রেক্ষাপটে লেখা। ধন্য ধন্যও হল সেই লেখা নিয়ে। পুরোদস্তুর নাম কামাই যাকে বলে। আর সব কিছুর মূলে আমার মন কৃতজ্ঞতা জানায় এক ও অদ্বিতীয়, হুমায়ুন আহমাদকেই।
উনার হেন কোনো বই আমার পড়া হয় নাই এমন রেকর্ড নেই। বই তো বই। কোথায় কোন পত্রিকায় কোন কলাম ছাপলেও তা কেটে রেখে দিতাম পড়ে।

‘টুকুনজিল” নামক এক বই পড়ে আমার পড়ার দুনিয়ায় তখন আরো একটি নাম জুড়ে গেছে, তা হল, মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তারো অনেক আগে সেই ক্লাস ফোর থাকতেই কোথাও বেড়াতে গিয়ে কারো বসার ঘরের টেবিলের উপরে পেয়েছিলাম ‘উন্মাদ’ পত্রিকাটি। সেটা পড়ে বাবাকে অনেক বলে কয়ে রোজ মাসে ঐ পত্রিকাটি কিনে আনার ব্যাবস্থাও করেছিলাম।(তখনো জানিনা, হুমায়ূন আহমেদ, জাফর ইকবাল আর উন্মাদের আহসান হাবিব একই মায়ের পেটের তিন সন্তান)। নিজের অজান্তেই এক পরিবারের তিনটি মানুষ আমার জীবনের সাথে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেলেন। দশম শ্রেনীতে উঠতে উঠতে পেঁকে টসটস আমি রোজ একটা করে হুমায়ুন উপন্যাস শেষ করি আর তাকে চিঠি লিখতে বসি। কত কত কথাই না লিখতাম তাকেঁ!! কিশোর বয়সের নির্মলতার সাথে তখন কিছু কিছু বড়দের ভাবনাও যোগ হয়েছে। সেই সময়ে চিঠিতে যোগ হত নানামুখি অনুযোগ অভিযোগ।(যেমনঃ কেন তার সব নায়িকারা অসম্ভব রূপবতি-ই হবে শুধু? শ্যামলা মেয়েরা কি নায়িকা হতে পারেনা?ইত্যাদি।)।শুধু চিঠি-ই নয়, সেই সময় নিজের ভাবনার কিছু কিছু গল্পের প্লটও লিখে দিতাম যাতে উনি সেই সব নিয়ে গল্প লিখতে পারেন!! কি ভীষন ছেলেমানুষি !!! রোজ বছরে বই মেলায় গিয়ে হুমায়ুন আহমেদের পেছনে পেছনে ঘুরে ঘুরে তার অটোগ্রাফ শিকার করে আনি। আর সেই অটগ্রাফ সম্বলিত বইটি হারিয়ে কেঁদে কেটে বালিশ নষ্ট করি। প্রথম যেদিন তিনি মুখ উঁচু করে নাম জিজ্ঞেস করতে বলেছিলাম, ‘বন্দনা’ উনি ক’মুহুর্ত তাঁর বিস্মিত চোখ তুলে গলায় মুগ্ধতা ঢেলে বলেছিলেন, ‘বাহ! সুন্দর নাম তো!!’ সেই দিন থেকে কয়েক রাত দিন আমি অশান্তিতে কাটিয়েছি। ঘুরে ফিরে তার কন্ঠ শুনেছি বেতারে, ‘বাহ সুন্দর নাম তো!’ সেই দিন থেকে আমার সার্টিফিকেটের নামটি প্রায় মুছেই গেল। আমার ডাক নামটি-ই হয়ে গেল মুখ্য নাম। নামের শেষে স্বামীর নামটি যোগ করে হয়ে গেলাম বন্দনা কবীর। যে নামটি বাড়ির আর সকলে ডাকলে খুব একটা প্রসন্ন বোধ করতাম না, ‘কেমন হিন্দুয়ানি নাম’ বলে কত কথা শুনেছি কতবার বলে কতবার রাগও হয়েছি। সেই নামটি-ই আমার প্রিয় হয়ে গেল মূহুর্তে !!
আমার বই পড়া জীবনে অন্যান্য সব নামকরা লেককদের সবার শীর্ষে স্বাভাবিক ভাবেই হুমায়ুন আহমেদের নাম।

সেই মানুষের বই পড়া ছেড়ে দিলাম তাঁর দ্বিতীয় বিবাহের সংবাদ পেয়ে। খাই না দাইনা রাগ করে তার কিছু বই ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেললাম। স্বামি অনেক কষ্টে কিছু বই রক্ষা করলেন (তিনিও হুমায়ূনের অন্ধ ভক্ত)।কী ছেলেমানুষি-ই না করেছি দুটো তিনটে বছর!! বই মেলায় যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছি। বই কেনাও। এমন সময় আমার জন্মদিনের উপহার হিসেবে স্বামি একটা প্যাকেট দিলেন হাতে ২০ তারিখ রাত বারোটার পর। প্রিয়জনের দেয়া জন্মদিনের উপহারের প্যাকেট আগ্রহভরে খুলেই মুখ চুন হয়ে গেল।
“জ্যোছনা ও জননীর গল্প”। স্বামী বললেন, এটা পোড়ো।আমার মুখ চেয়েই পোড়ো। আমার বিশ্বাস এটা পড়ে তুমি ওঁকে ক্ষমা করে দেবে’।

দুপুরে নিভৃত সময়ে বইটি নিয়ে বসলাম। অতো মোটা বইটি আমি দুটি দুপুর মিলে শেষ করে ফেলে চোখের জলে ভেসে গেলাম। তার সাথে ভেসে গেল সকল অভিমান। গোপনে প্যাকেট বন্দি হুমায়ূন আহমেদ আবার আমার বইয়ের আলমিরায় স্থান করে নিলেন। যেগুলো ছিঁড়েছিলাম তা আবার কিনে এনে শুন্যস্থান পূরণ করলাম। আবার শুরু হল বই কেনা-পড়া। আমার ডুবে গেলাম হুমায়ূন আহমেদে।
মনের মধ্যে গুটুর গুটুর করে একটা ইচ্ছা জমা হতে শুরু করলো, অন্ততঃ একটিবার তাঁর সাথে সাক্ষাত করার।

এভাবে কেটে গেল কয়টি বছর…
প্রকৃতির অনেক কৌতুকের মতন, না বোঝা খেলার মতন- কি করে কি করে যেন একদিন আমি পৌছে গেলাম উন্মাদ অফিসে। আহসান হাবীবের সাথে কাজ করতে করতে একদিন টের পেলাম আমিও উনাদের পরিবারের-ই একজন হয়ে গেছি অনেক্ষানি।ট্রাভল এন্ড ফ্যাশন নামের একটি পত্রিকার সাথেও জড়িত (এটাও আহসান হাবীবের সম্পাদনায়)। সেই পত্রিকার ঈদ সংখ্যা আর উন্মাদ ঈদ সংখ্যা নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের বাসায় গেলাম প্রথমবারের মত। দেখলাম আমার স্বপ্নের লেখনককে !!

সে বছর একটা ছোট্ট ‘প্রোডাকশন হাউস’ খুলে বসলাম কি মনে করে। টুকটাক কয়টি নাটক তৈরি করাও হল। পার্টনার নায়ক ফেরদৌস। এক ঈদের দুদিন পর ফোন পেলাম,’ভাবি, এবারের ঈদ সংখ্যায় ছাপানো স্যারের ‘গন্ধ’ গল্পটা পড়েছেন? পড়ে দেখেন।’
আমার তখনো ঈদ সংখাগুলো নিয়ে বসা হয় নাই সাংসারিক ব্যাস্ততায়।দুদ্দাড় ছুটে বসে গেলাম। পড়লাম। পড়ে টরে চোখ ভাসিয়ে বসে আছি। তখন আবার ফোন, কেমন লাগলো? এটা নিয়ে একটা নাটক করলে কেমন হয়?’
আমার চোখ চক চক করে উঠলো। বসকে(আহসান হাবীব)ফোন লাগালাম।
বস বললেন, ‘যান, দেখা করে আসেন। দেখেন রাজি হয় কিনা’।
বলার অপেক্ষা মাত্র। তখনকার উন্মাদের সহকারি সম্পাদক মারুফ রেহমানকে নিয়ে ছুটলাম তাঁর বাসায়। এটাই ওখানে প্রথম যাত্রা নয়। তবুও, বুক ঢিপ ঢিপ করছে একটা আবদার নিয়ে যাচ্ছি বলে। পৌছে দেখি ঘর ভর্তি লোক। কেউ এসেছে তাঁর উপন্যাস থেকে নাটক সিনেমা করবে তার অনুমতি চাইতে, কেউবা অন্য কাজে, কেউবা তার নতুন সিনেমার বিষয়ে আলাপ করতে। এক এক করে সবার বিদায় হওয়া পর্যন্ত বসে রইলাম।
অবশেষে… বলো, কি বিষয়?
বললাম।
সব শুনে উনি চোখ কুঁচকে বললেন, ‘এতো গল্প থাকতে এইটা কেন? এইটাতে নানা রকম ঝামেলা আছে যা চিত্রায়ন করা দূঃসাধ্য’
বললাম, স্যার আপনি একটু দেখিয়ে দিলে…
বললেন, হুম্ম… স্ক্রিপ্ট কে করবে?
বললাম, দরকার পড়লে দেশের বিখ্যাত কোনো স্ক্রিপ্ট রাইটারকে দিয়ে করিয়ে নেবো।
শুনে কেমন যেন ক্ষেপে উঠলেন, ‘প্রফেশনাল? তাইলে হবেনা। যাও, বাদ। গল্প দিবোনা।
আমার তো মাথায় হাত। শাওন পাশেই বসে ছিলেন। মিটিমিটি হাসছেন।আমাদের কথার মাঝখানে আগ বাড়িয়েই বলে বসলেন, ‘আপনি তো লেখেন। আপনার লেখা পড়েছি। বেশ ঝরঝরে। এই কাজটা আপনি কেন করছেন না?
শুনে আকাশ থেকে পড়লাম, আমি?!!!
চট করে স্যারের মুখের দিকে তাকালাম। দেখি তার মাথা দুলছে। আমার কলিজা তখন জ্বীভের উপরে। স্যারের গল্পের স্ক্রিপ্ট করবো আমি?!!!
‘কেন নয়?’
জানিনা সেই মূহুর্তে আমার আর কি প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। কারন, চিন্তা করার শক্তি আমার নেই। কতক্ষন ভোম্বলের মত বসে থেকে শুনলাম স্যার বলছেন, দুই দিন সময় দিলাম। স্ক্রিপ্ট তৈরি করে নিয়ে এসে আমাকে দেখিয়ে নিয়ে যাবে’।
বলেই উঠে ভেতরে চলে গেলেন। বিচারকের আদেশ দেওয়া শেষ।আসামি এখন ফাঁসির মঞ্চে। টলতে টলতে বাড়ি ফিরলাম। ফেরদৌস’দেরকে জানালাম বিষয়। তারা তো মহা খুশি।
‘লিখে ফেলেন বিসমিল্লাহ করে। উনি যে গল্প দিতে রাজি হয়েছেন এতেই…
‘আরে রাজি কই হয়েছেন? স্ক্রিপ্ট দেখে রাজি হবেন।
‘ওই হল। আপনি পারবেন।
রাতে বসে গেলাম গল্পকে নাটক বানাতে। দুই দফা বদলাবদলি করে লিখে ক্ষান্ত দিলাম। দুদিন পর রওনা দিলাম পরীক্ষা দিতে।
উনি পড়লেন। পড়ে টড়ে একটা ‘হুম’ দিয়ে কিছুক্ষন গুম হয়ে রইলেন।
‘তুমি ক্যামেরা বোঝো কতটুকু?
‘তেমন না, সামান্যই।
তারপর শুরু হল ক্লাস। ঝাড়া তিনটে সোয়া তিন্টে ঘন্টায় আমি মোটামুটি একটা ফিল্ম তৈরি করার জ্ঞান নিয়ে আরেকবার স্ক্রিপটা ঠিক মত লিখে আনার নির্দেশ নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
বাড়ি ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম, এতো বড় এতো ব্যাস্ত একজন লেখক আমার মতন নগন্য একজন মানুষের জন্য কতটা মমতা নিয়েই না সময় নষ্ট করলেন! অথচ লোকে…
বিষাদে মন খারাপ হয়ে গেল।
মন দিয়ে ফের স্ক্রিপ্ট করে পরদিন আবার গেলাম। এবার তিনি এপ্রুভ করলেন। যদিও অনেক হাসলেন আগে। বললেন। এর পরে আরো বেশি গুবলেট করবে। তার আগেই ভাগো। যাও, নাটক করে দেখিয়ো কি করলে। খারাপ হলে…’
নাচতে নাচতে বিনিপয়সায় হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে চলে এলাম যেখানে লাখ টাকা দিয়েও মানুষে তার গল্প পায় না। আমি জানি, এটা সম্ভব হয়েছিল শুধু মাত্র হুমায়ুন আহমেদের মমতার কারনে। আর সেই মমতাটি প্রকান্তরে ছিল তাঁর ছোট ভাইটির এসিস্টেন্টের প্রতি-ই অনেকাংশে।

এক নাটককে কেন্দ্র করে নানামুখি নাটক হয়ে গেল যখন অনেকেই জানতে পেলো (আমার কর্তার বোকামির ফলে) গল্পটি আমি উনার কাছ থেকে বিনি মাগ্না পেয়েছি। নাটক তৈরি অর্ধেক প্রায় শেষ তখন স্যারের পক্ষ থেকে তলব এলো। আমার আবার বুক ঢিপঢিপ। কি বিষয়? জানা গেল উনি আমার উপরে ক্ষেপেছেন।কারনও জানলাম। ছুটলাম আবার। উনার বাসায় গেলাম। উনি নিজের ঘরে। বের হন না। খালাম্মার সাথে গল্প সল্প করে ঘন্টা কাটিয়ে অস্থির সময় পার করছি। উনি বের হয়ে কড়া গলায় বললেন, ‘আমি একটা গল্প বাবদ এক লক্ষ টাকা নেই। তুমিও তা দেবে। মাফ নাই’।
কিন্তু আমি জানি এর মধ্যেই তিনি আরেকজনকেও একটা পুরো উপন্যাস দান করে দিয়েছেন সিরিয়াল করার জন্য। চুপ করে রইলাম। চোখ টলমল। কিছুক্ষন পর ধমক দিয়ে বললেন, ‘আমি যে মানুষকে গল্প দেইনা সেইটা তো তুমি জানতা। কি জানতা না? তার উপরে তোমাকে মাগনা দিছি এইটা কেন বলতে গেলা? এখন কত জনকে আমার গল্প দিতে হবে জানো?
আমি মাথা হেট করে বসে আছি।
উনি মন খারাপ করা গলায় বললেন, ‘মানুষে আমাকে চামার ভাবে লাখ টাকায় গল্প বিক্রি করি বলে। কিন্তু এইটা আমি কেন করি জানো? কাউকেই যাতে গল্প দিতে না হয় তার জন্য। কারন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গল্প উপন্যাস থেকে নাটক বানায়ে বারোটা বাজায়ে ফেলে এরা। নিজের গল্পকে যদি নিজে সাড়ে বারোটাও বাজাই তো দুক্ষ কম হয়। অন্যে বাজালে কষ্ট বেশি হয়।আর গল্প টাকায় বিক্রি করি শুনে অনেকে টাকা নিয়ে চলে আসে। সবাইকে তো না-ও করা যায় না তাইনা? এই জন্যেই আমি গল্প বাবদ চড়া দাম বলি। কিন্তু তাও অনেকেই পায়না। আর তুমি মাগ্না পাইছো এইটা শুনলে লোকে…। যাও নেক্সট টাইম টাকা নিয়ে আসবা।

বলা বাহুল্য, সেই টাকা আমাকে মোটেও পরিশোধ করতে হয়নি।
টাকা নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কিনা এই নিয়ে বসের সাথে বিস্তর আলাপ আলোচনা করে স্বাব্যস্ত হল টাকা নিয়ে যাওয়ারই।
টাকা হাতে চোরের মত উনার বসার ঘরে বসে ছিলাম। স্যার বেরিয়ে এসে বললেন, আবার কি হইছে?
মিন মিন করে বললাম, স্যার টাকার কথা বলেছিলেন…
‘কই দেখি’
এক হাজার টাকার নতুন বান্ডিলটা কাঁপা হাতে তাঁর হাতে তুলে দিয়ে আটকে রাখা দমটা ফেললাম। উনি ফুরফুর করে নোটের বান্ডিলটা একবার শাফল করে আবার প্যাকেটে ভরে আমার দিকে এগিয়ে ধরলেন।
‘এইগুলা নাটকটার পিছনে খরচ কোইরো। যত্ন করে বানাইও নাটকটা। গল্পটা আমার অনেক প্রিয়। যাও’।বলে উঠে চলে গেলেন। সেইদিন উনার চোখে মুখে মন কেমন করা একটা বিষাদ দেখেছিলাম। যেটা আজো ভুলতে পারিনা।

হূমায়ুন আহমেদের কাছে অনেকেই অনেক ভাবে ঋনী। তাদের মধ্যে আমিও একজন নিঃসন্দেহে। কিন্তু তার কাছে আমি তার মমতার জন্য ঋনি এটা ভেবেই আপ্লুত হই। সান্তনা পাই উনার জন্য কিচ্ছু করতে না পারার পরেও।

উনার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এই সংবাদটা আমি পেয়েছিলাম ৭ সেপ্টেম্বর। জানিনা এর আগে তার আর মাজহার পরিবার ছাড়া আর কেউ এই সংবাদটা পেয়েছিলেন কিনা।কিন্তু আমি পেয়েছিলাম। সেদিন আমি নিজেই অনেক বেশি অসুস্থ্য ছিলাম। স্ংবাদটা শুনে হৃৎপিন্ডটা এতো জোরে লাফিয়ে উঠেছিল যে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতেও পারিনি। তার উপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল উনি দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত যেন সংবাদটা কেউ জানতে না পারে। আমিও কবরের ফেরেস্তা হয়ে গেলাম। উনি প্লেনে চড়ে বসার আগ পর্যন্ত দেশবাসি যেমন খবরটা পায় নাই তেমনি আমিও মুখ সেলাই করে বসে রইলাম।

ক্যান্সার রোগটির উপরে আমার অনেক রাগ অনেক ক্ষোভ। এই পৃথিবীতে আমার সবচাইতে পছন্দের কটা মানুষ এই ক্যান্সার রোগেই নাই হয়ে গেছেন, কেউ বা ভুগছেন। তাদের নামের তালিকায় আমার অতি প্রিয় আরেকটি নাম যুক্ত হল।
শুনছি, উনি ভাল নেই। তার পরেও প্রকৃতির মালিকের কাছে কায় মনোবাক্যে আর্জি জানাই, উনাকে যেন সুস্থ্য করে আমাদের কাছে, উনার প্রিয়জনদের কাছে, উনার নোভা, শিলা, বিপাশা, নূহাশ, নিষাদ, নিনিতের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। আমরা অভাগারা এর চাইতে বেশি কি আর করার যোগ্যতা রাখি?


মন্তব্য

নিটোল. এর ছবি

অসাধারণ লাগল আপনার লেখাটা। হুমায়ুন আহমেদ স্যারকে নিয়ে অনেকের মাঝেই একটা আবেগের জায়গা আছে-এটা আমি খেয়াল করেছি। স্যারের খবরটা শোনার পর নিজের মাঝেও সেই আবেগের অস্তিত্ব খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করছি।

বন্দনা কবীর এর ছবি

মুখে আমরা স্বিকার করি আর নাই করি উনাকে ঘিরে আমাদের বেশিরভাগেরই আবেগের ঘরের কিছু না কিছু জায়গা দখল আছেই।

ধন্যবাদ নিটোল।

তারেক অণু এর ছবি

চমৎকার লাগল আপনার লেখা। মন ছুয়ে যায়--

বন্দনা কবীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ অনুদা। আপনার ভ্রমন কাহিনীও মনযোগ দিয়ে পড়ি সব সময়। ভাল থাকুন।

বন্দনা কবীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আপনার ভ্রমন কাহিনীও মনযোগ দিয়ে পড়ি। ভাল থাকুন।

কল্যাণF এর ছবি

মন খারাপ হয়ে গেলো পড়ে। হুমায়ুন আহমেদ ভাল হয়ে উঠুন।

বন্দনা কবীর এর ছবি

আপনার আমার আমাদের সকলের দোয়া যেন স্যারের গায়ে লাগে। ভাল থাকুন।

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

অনেক আবেগি লেখা। হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ হয়ে উঠুন

বন্দনা কবীর এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ্য হয়ে উঠুন' আমিন। ভাল থাকুন আপনিও।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো।
প্রিয় লেখক সুস্থ হয়ে উঠুন

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

বন্দনা কবীর এর ছবি

আপনার দোয়া কবুল হোক ভাই।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদ এবং কাজী আনোয়ার হোসেন এই দেশে না থাকলে বাংলা বইয়ের পাঠক অন্তত একজন হলেও কমে যেতো, সেটা হচ্ছি আমি (অবশ্য তাতে কিছু যায় আসে না।) বন্দনা দি আপনার লেখাটা ভালো লাগলো। আমার প্রিয় লেখক আশা করছি দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন এবং আমাদের ভাসিয়ে নেবেন হিমু কিংবা মিসির আলীর চিরচেনা অথচ অদেখা ভূবনের দিকে।

বন্দনা কবীর এর ছবি

আমাদের আশাটা ঈশ্বর পূরন করুন। ভাল থাকুন।

নিবিড় এর ছবি

লেখা ভাল লাগছে। হুমায়ুন আহমেদ আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছিলেন তার একটা ছোটদের সমগ্র দিয়ে। সেখানকার বোতল ভূত, সূর্যের দিন, পুতুল, রাজকুমারী সূবর্ণরেখা এবং মামা- এই লেখা গুলো ঐ বয়সে যে কতবার পড়ছি ঠিক নাই। বোতল ভূত এখনো মাঝে মাঝে পড়ি। আশা করি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন হুমায়ুন আহমেদ।

লেখার শিরোনামে হুমায়ুন আহমেদের নামের বানান ভুল আসছে। আপনি যেহেতু অতিথি লেখক তাই কনটাক্ট @ সচলায়তনে মেইল করে শিরোনামের বানানটা ঠিক করার অনুরোধ করতে পারেন, মডুরা বানানটা ঠিক করে দিবে।

বন্দনা কবীর এর ছবি

ইয়ালাহ !!! এতো বড় ভুল?!!

ভাই, আমি সচলের কিছুই বুঝিনা। সচলে আমি মূলতঃ পাঠকই। সচলে যে কখনো লিখবো তাও ভাবিনি।
আপনার কমেন্ট পড়ে অনেক ঘাটাঘাটি করলাম, কিন্তু টেকনোলজিতে এখনো ৪৬ মডেলেই আটকে আছি মন খারাপ

মডারেশনের কেউ যদি কষ্ট করে একটু ঠিক করে দিতেন তো বড়ই উপকার হত।
আমার বানান খুব খারাপ, তাই বলে শিরোনামেই ভুল?
সবাই ক্ষমা করবেন আশা করি।

কল্যাণF এর ছবি

আপনার হয়ে মেইল করে দিলাম

তানিম এহসান এর ছবি

অনেক মমত্ব নিয়ে লেখা, ভালো লেগেছে!

বন্দনা কবীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

guest_writer এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়ে গল্প উপন্যাস পড়ায় আমার আগ্রহ জাগে। আগ্রহ কবে নেশায় পরিনত হয়েছে তা আজ ভুলেই গেছি। পড়ার নেশা ধরিয়ে দেবার জন্য আমি হুমায়ুন আহমেদের কাছে ঋণী। তিনি ভাল হয়ে ফিরে আসুন আমাদের মাঝে এই প্রার্থনা।

- দহন বেলা

বন্দনা কবীর এর ছবি

যদিও ডাক্তাররা আশার বানী শুনিয়েছেন তবুও নিশ্চিন্ত যতক্ষন না হওয়া যায় ততক্ষন প্রার্থনা জারি থাকুক আমাদে?
ভাল থাকুন আপ্নিও।

ফালতু পাঠক এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো আপনার মমতা মাখানো লেখাটি পড়ে। হুমায়ুন আহমেদ আমারও প্রিয় লেখক, উনার আশু আরোগ্য কামনা করছি...

বন্দনা কবীর এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদ ভাল হয়ে উঠবেন নিশ্চই। ভাল থাকুন আপনিও।

মৌনকুহর এর ছবি

মানুষ ভুল করতেই পারে। হুমায়ূন আহমেদও রক্ত-মাংসেরই মানুষ, ফেরেশতা নন।

ক্ষোভ-অভিমান ভুলে আপাতত তাঁর আশু রোগমুক্তি কামনা করি।

তবে বন্দনাদি, পোস্ট করার আগে লেখাটা একবার দেখে নিলে টাইপোগুলো বোধ হয় এড়ানো যায়।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

বন্দনা কবীর এর ছবি

লেখায় ভুল বানান আমার ভাগ্যের সাথে জড়িয়ে গেছে। অনেক করেও এর থেকে পরিত্রান পাইনি মন খারাপ
তবে এবার বড় শিক্ষা হয়েছে। এরপর থেকে কিছু লিখলে তিনের নীচে রিভাইস দেবোনা।
একবার পুরোপুরি পড়েই পোস্ট করেছিলাম কিন্তু গোঁড়াতেই যে এতো বড় গলদ রয়ে গেছে...
আর হবেনা ভাই, এবারের মত... মন খারাপ :(

মৌনকুহর এর ছবি

আমি কিন্তু কোন শিক্ষা-টিক্ষা দিবার জন্য কথাটা বলি নি। হাসি

প্রথম দিকে আমারও অনেক ভুল থাকত পোস্টে, আস্তে আস্তে কমে এসেছে। আপনারও হয়ে যাবে নিশ্চয়ই।

শুভেচ্ছা অহর্নিশ।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

ত্রিনিত্রি এর ছবি

অনেক ভালো লাগলো। বোতল ভূত দিয়ে সেই যে শুরু, এখনো মুগ্ধতার রেশ কাটেনি। উনার সুস্থ্যতা কামনা করছি।

বন্দনা কবীর এর ছবি

সেই কুঁচো বয়স থেকেই আমি তাঁর সব অখাদ্য রেসিপির বইগুলোও গোগ্রাসে গিলি, এখনো।
উনার এখন দোয়ার অনেক প্রয়োজন।

জ্যাক। এর ছবি

বেশ লিখেছ। তোমার দৌড় এতদুর তা কিন্তু জানতাম না হাসি

বন্দনা কবীর এর ছবি

জ্যাক??!!! খাইছে খাইছে

জ্যাক। এর ছবি

বেশ লিখেছ, তোমার দৌড় এতদুর তা কিন্তু জানতাম না!! হাসি

আশালতা এর ছবি

আপনার লেখার হাত আসলেও ভাল।
লেখকের জন্য শুভ কামনা রইল।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বন্দনা কবীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আশালতা'দি।
আমাদের ভালবাসা আর শুভ কামনার জোরেই তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠবেন নিশ্চই।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

হুমায়ুন আহমেদের জন্য দোয়া রইলো। ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা...

অতৎপর এর ছবি

দোয়া রইলো।

আলিম আল রাজি এর ছবি

স্যার সুস্থ হবেনই। আমি জানি।

ঋক এর ছবি

আমার মনে মেঘ করল।

ঋক এর ছবি

আমার মনে মেঘ করে এল।

ঋক এর ছবি

আমার মনে মেঘ করে এল।

এম আব্দুল্লাহ এর ছবি

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকের মানবিক দিকের আরেকটি পরিচয় পাওয়া গেল আপনার লেখায়। নিজের সম্মানি এভাবে ফেরত দিয়ে তিনি প্রমাণ করলেন হুমায়ুন আহমদ একজনই।
সবার সাথে হুমায়ুন আহমদের সূস্থতা কামনায়,
এম আব্দু ল্লাহ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।